বিএসপিপি
বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমান দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সংগঠনটির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এবং সদস্যসচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী এক শোকবার্তায় এ সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় নেতৃদ্বয় বলেন, ‘উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলোর প্রতি আমরা আন্তরিক সমবেদনা জানাই। মহান আল্লাহর দরবারে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এই দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সেই প্রার্থনা করছি।’
তারা আরও বলেন, ‘আহতদের সুচিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাই। পাশাপাশি দর্শনার্থী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের হাসপাতাল বা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভিড় না করারও অনুরোধ জানাচ্ছি।’
শীর্ষ এই দুই নেতা বিমান দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে বলেন, এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন এবং এর প্রতিকারে উদ্যোগ নিতে হবে। গত তিন দশকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ৩২টি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিমানবাহিনীর বেশির ভাগ দুর্ঘটনা প্রশিক্ষণ চলাকালেই ঘটে, যা পিটি-৬, ইয়াক-১৩০, এল-৩৯ বা এফ-৭ টাইপ বিমানের ক্ষেত্রে বেশি দেখা গেছে। প্রায় প্রতি দশকেই ফ্লাইট ক্যাডেট এবং স্কোয়াড্রন লিডারদের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রাণহানি ঘটছে সাধারণ মানুষের। এবার পুড়ে অঙ্গার হলো অনেক শিশু। আমরা এভাবে আর কোনো মৃত্যু দেখতে চাই না।
এমন দুর্ঘটনা আমাদের সবার জন্য বেদনাদায়ক উল্লেখ করে বিএসপিপি নেতারা বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে আধুনিক প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা।’
১৩৫ দিন আগে
মাহমুদুর রহমানের মায়ের মৃত্যুতে বিএসপিপির শোক
দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মা ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।
রবিবার (৬ জুলাই) বিএসপিপির আহবায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ শোক প্রকাশ করেন।
শোক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ছয় দশকের বেশি সময় ধরে মাহমুদা বেগম শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত থেকে একটা শিক্ষিত জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
পেশাজীবী নেতৃদ্বয় বলেন, এই মহিয়সী নারীও বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে রেহাই পাননি। শুধু সত্যনিষ্ঠ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের রত্নগর্ভা মা হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। মামলা মাথায় নিয়ে আজ তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে।
শোক বার্তায় পেশাজীবী নেতৃদ্বয় মরহুমার বিদেহি আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
রবিবার (৬ জুলাই) ভোর সোয়া পাঁচটায় রাজধানীর মগবাজার ইনসাফ বারাকাহ কিডনি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে মাহমুদা বেগমের বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।
অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগম দৈনিক আমার দেশ পাবলিকেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। কর্মজীবনে তিনি চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, তিতুমীর কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন।
তিনি একমাত্র ছেলে মাহমুদুর রহমান, পুত্রবধু ফিরোজা মাহমুদ এবং ছোট বোন মনিরা মাহমুদসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী ও ছাত্র-ছাত্রী রেখে গেছেন।
১৫১ দিন আগে