পান
চুয়াডাঙ্গায় ২শ’ বিঘা জমির পান ও ভুট্টা পুঁড়ে ছাই
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার খাদিমপুর মাঠে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২'শ বিঘা জমির ভুট্টা ও পানের বরজ পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) উপজেলার খাদেমপুর ইউনিয়নের বানাতখাল মাঠে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের দাবি, এতে অন্তত ৫ কোটির টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসসহ ৪টি ইউনিট প্রায় ৫ ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, মাঠের পাশে ‘বানাত’ নামে একটি খাল আছে। সেই বানাত খাল দীর্ঘদিন পানিশূন্য থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে বিপাকে পড়তে হয় ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের। কৃষকদের পানের বরজে স্থাপন করা পানির সেচ পাম্প থেকে পানি উত্তোলন করে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় ফায়ার সার্ভিস।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে আগুনে পুড়ল ৩০টি দোকান ও ১৫টি ঘর
এঘটনায় খাদেমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাহিদুর রহমান লোটাস জোয়াদ্দার জানান, সকাল সাড়ে ১০ টায় হঠাৎ পানের বরজে আগুন দেখতে পায় স্থানীয় কৃষকেরা। মাঠে উপস্থিত কৃষকদের সহযোগীতায় আগুন নেভানোর চেষ্টা চালানো হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে দীর্ঘ চেষ্টায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়।
চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অফিসার সেন্টু মিয়া জানান, দুপুরে খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে ২টি ইউনিট ও আলমডাঙ্গার ২ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ৫ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে ফায়ার সার্ভিস। তদন্ত করে ক্ষয়ক্ষতির মোট পরিমাণ ও আগুনের সূত্রপাত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হানিফ পরিবহনের বাসে আগুন
মাগুরায় গবাদিপশু বাঁচাতে গিয়ে আগুনে পুড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
১ বছর আগে
পান চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন অভয়নগরের চাষিরা!
কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন পান চাষে ঝুঁকছেন যশোরের অভয়নগরের চাষিরা। চাষে সাফল্যও পেয়েছেন তারা। তাই এই উপজেলায় দিন দিন পানের বরজের সংখ্যাও বাড়ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার চেঙ্গুটিয়া এলাকায় সবচেয়ে বেশি পান চাষ হয়। এছাড়া চাষের জন্য বাঘুটিয়া ইউনিয়নও অন্যতম। উপজেলার প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষের পানের বরজ আছে। নওয়াপাড়া ও চেঙ্গুটিয়া হাটে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত এসব পান বেচাকেনার হয়। অনেকে আবার পানকে ঔষধি গাছ হিসেবে ব্যবহার করছেন।
আরও পড়ুন: সাদা সোনা খ্যাত রসুন রোপনে ব্যস্ত মণিরামপুরের চাষিরা
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এই উপজেলায় চলতি বছরে ৪০০ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হয়েছে। পান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে হেক্টর প্রতি ৩০ মেট্রিক টন।
বাঘুটিয়া এলাকার পান চাষি হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য চাষিরা জানান, পানের বরজে এক প্রকার ফাপপচা রোগ দেখা দেয়। এ থেকে বাঁচাতে পারলে একটি বরজ ২০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত থাকে। সাধারণ আষাঢ়-শ্রাবন মাসে এ রোগটি বেশি দেখা যায়। তবে এ রোগ দমনে ফোরি, এডমা ও কাফডার নামে তিনটি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও শীতের সময় এক প্রকার বিষাক্ত কুয়াশা পান গাছে লাগলে পান পাতা ঝরে যায়। এতে চাষিরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
আরও পড়ুন: শীতের প্রথম বাজার ধরতে ব্যস্ত যশোরের সবজি চাষিরা
পান চাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার দুই বিঘার ওপর একটা পানের বরজ আছে, তার বয়স প্রায় ১০ বছর হবে। বর্তমানে প্রতি বিড়া পান আকার ভেদে ৬০ থেকে ১০০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করতে পারছি। বাজারে চাহিদা থাকায় পুরাতন পানের যে দাম পেয়ে ছিলাম, নতুন পানেরও তেমনি দাম পাচ্ছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সামদামী জানান, জাইকার আয়োজনে উপজেলাতে পান চাষিদের কয়েকটি প্রশিক্ষণ করানো হয়েছে। যে কারণে এই এলাকায় পান চাষ ভালো হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় দিন দিন এখানে পান চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উৎপাদিত পান স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতেও
২ বছর আগে
জুস পানে একই পরিবারের ৪ জন অসুস্থ
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল সফিবাদ গ্রামে মা, মেয়ে ও দুই শিশু ছেলে জুস পান করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই অজ্ঞান হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
অসুস্থরা হলেন- পালাখাল সফিবাদ গ্রামের হাজী বাড়ীর নাছির মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৩৪), তার একমাত্র মেয়ে সামিয়া আক্তার (১৪), ছেলে মারুফ (১২) ও বোরহান (৫)।
পরবর্তীতে রাত ১০টা ১০ মিনিটের তাদেরকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে স্বজনরা।
আরও পড়ুন: অজ্ঞানপার্টির খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায় এক ব্যক্তির মৃত্যু
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. মোহাইমেনুল তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
পরিবারের স্বজনরা জানান, বিকেলে পালখাল উত্তর বাজারের একটি দোকান থেকে তাদের একজন নিকটাত্মীয় স্টার শিপ কোম্পানির বোতলজাত করা চার বোতল জুস ক্রয় করে দেন। সন্ধ্যার পরে ওই জুস মা ও তিন সন্তান পান করার পরেই একে একে সকলেই অচেতন হয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ‘খাদ্যে বিষক্রিয়ায়’ শিশুর মৃত্যু
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মুহাইমিনুল ইউএনবি কে জানান, জুসগুলোতে কোনও ধরনের বিষক্রিয়া আছে কিনা তা পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয়। কোন কারণে বিষক্রিয়া কিংবা ফুড পয়জনিংও হতে পারে।
৩ বছর আগে
সুস্থ থাকতে দিনের কোন সময়ে কত পরিমাণে পানি খাবেন?
শরীর সুস্থ রাখতে সময় মতো পানি পানের বিকল্প নেই। তবে অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে আমাদের সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে পানি পান করা হয়ে উঠে না। ফলে ক্ষতি হয় শরীরের।
৪ বছর আগে