মিটফোর্ড হত্যা
মিটফোর্ড হত্যায় দুই আসামির চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর
রাজধানীর পুরান ঢাকায় সোহাগ নামের এক ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার আলমগীর ও মনিরের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
এর মধ্যে আলমগীর মামলার ৪ নম্বর ও মনির ৫ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি। রবিবার (১৩ জুলাই) আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন।
শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ তাদের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে এ মামলায় গত ১০ জুলাই মাহমুদুল হাসান মহিনের পাঁচদিন ও ১২ জুলাই টিটন গাজীর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: এক আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর, আরেকজনের দায় স্বীকার
গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেট সংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) এলোপাতাড়িভাবে পাথর দিয়ে আঘাত করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
ওই ঘটনায় পরের দিন ১০ জুলাই নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়।
সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন।
১৪৪ দিন আগে
মিটফোর্ড হত্যায় ভিডিও থাকার পরেও হামলাকারীদের ধরা হচ্ছে না কেন, প্রশ্ন তারেকের
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গেলেও হামলাকারীদের এখনও গ্রেপ্তার না করায় ‘সরকারের নীরবতা’ এবং ‘অন্তর্বর্তী সরকারের পরোক্ষ প্রশ্রয়’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (১২ জুলাই) ঢাকায় ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহিদ ১৪২ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে’ ভার্চুয়াল মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক বলেন, ‘গতকালকের ঘটনাটি দেখে আমরা বিস্মিত। খুনিরা কারা তা পর্দায় স্পষ্ট দেখা গেছে, কিন্তু এখনো তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাহলে কি ধরে নিতে হবে, যারা দেশব্যাপী মব ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, তারা সরকারের নীরব প্রশ্রয় কিংবা প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তার মদদ পাচ্ছে?’
পড়ুন: মিটফোর্ডে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুতই হবে: আইন উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক, তার শাস্তি হওয়া উচিত। অপরাধী মানেই অপরাধী। আইনের ভিত্তিতে বিচার হতেই হবে। কোনো অপরাধীর পরিচয় রাজনৈতিক হতে পারে না।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, দেশে নানা স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে, কিন্তু প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। ‘দেশের জনগণ প্রশ্ন করছে—সরকার এত চুপ কেন? যারা বিশৃঙ্খলা ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন?’
ছাত্রদলের আয়োজনে ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এ সভায় ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে পরিবারগুলো তাদের শোক ভাগাভাগি করেন। অনেকে বিচার দাবি করেন এবং হত্যাকাণ্ডের দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানান।
তারেক শহিদ পরিবারগুলোর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিচার প্রক্রিয়ায় দেরির বিরুদ্ধে জোরালোভাবে আওয়াজ তুলতে হবে।’ একই সঙ্গে যারা ‘মবের মাধ্যমে বিচারকে বিলম্বিত করতে চায়’, তাদের বিরুদ্ধেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
তিনি আশ্বস্ত করেন, ‘যদি বিএনপি জনগণের সমর্থনে আগামী দিনে সরকার গঠন করতে পারে, তাহলে শহিদদের রক্তের যথার্থ মর্যাদা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। যারা গণআন্দোলনের সময় নিরীহ মানুষ হত্যা করেছে, তাদের বিচার নিশ্চিত করাই হবে বিএনপির অগ্রাধিকার।’
১৪৫ দিন আগে