উপদেষ্টা পদত্যাগের দাবি
সচিবালয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ৭০ শিক্ষার্থী
সচিবালয় এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে ৭০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের অনেকেই বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি আছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ জরুরি বিভাগের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, দুপুরের পর থেকে শিক্ষার্থীরা আহত অবস্থায় মেডিকেলে আসতে শুরু করেন। এখন পর্যন্ত ৭০ জনের মতো শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে কারও অবস্থা গুরুতর না।
মঙ্গলবার(২২ জুলাই) উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের বিচারের দাবি এবং সারাদিন কালক্ষেপণ করে রাত তিনটায় এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারের পদত্যাগের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে জড়ো হয় হাজার হাজার শিক্ষার্থী। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের এক নাম্বার গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালালে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
আহতদের একজন লালবাগ মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, ‘পুলিশ আমাকে বন্ধুকের বাট দিয়ে পিটিয়েছে। হেঁটে হাসপাতালে যাওয়ার অবস্থা নেই আমার।’
আরও পড়ুন: সচিবালয় ছেড়ে শিক্ষার্থীরা স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায়, পুলিশ জিরো পয়েন্টে
ঢাকা কলেজের আরেক আহত শিক্ষার্থী সোহাগ বলেন, ‘আমার পায়ের কাছে টিয়ার শেল পড়েছে। চোখ-মুখ জ্বলছে। পায়ে ভীষণ ব্যথা পেয়েছি।’
সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করায় দুপুরের পর থেকে সচিবালয়ের দুপাশে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড এবং টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে সচিবালয়ের মূল সড়ক থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
শুরুতে সচিবালয় সড়ক থেকে সরে শিক্ষার্থীরা গুলিস্তান জাতীয় স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে অবস্থান করলেও পুলিশ কয়েক দফা ধাওয়া দিয়ে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন। বর্তমানে এ এলাকার সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
১৩৬ দিন আগে
সচিবালয় ছেড়ে শিক্ষার্থীরা স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায়, পুলিশ জিরো পয়েন্টে
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় তারা গুলিস্তানের স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় অবস্থান করছেন।
বিমান দুর্ঘটনায় হতাহত শিক্ষার্থীদের সঠিক তথ্য প্রকাশের দাবিতে এবং মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা দেরিতে স্থগিত ঘোষণা করার কারণে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার ও শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জুবায়েরের পদত্যাগ দাবিতে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। যদিও এরইমধ্যে শিক্ষা সচিবকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘মাইলস্টোন কলেজে এত বড় বিপর্যয়ের পরও আজকের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়নি। রাত তিনটার দিকে কেন এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে? সকালে ঘুম থেকে উঠে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার পর শুনেছি পরীক্ষা স্থগিত। এমন অবিবেচক শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে আর দেখতে চাই না। তাই তাদের পদত্যাগের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে এসেছি।’
বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সচিবালয়ের সামনে এসে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। প্রথমে তারা সচিবালয়ের তিন নম্বর ফটকের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। পরে বিকেল পৌনে চারটার দিকে তারা ফটক খুলে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করেন।
এরপর সচিবালয়ের ভেতর পার্কিং অবস্থায় থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গাড়ি ভাঙচুরের জেরে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আরও পড়ুন: রণক্ষেত্র সচিবালয়, গেট ভেঙে প্রবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা=
১৩৬ দিন আগে
রণক্ষেত্র সচিবালয়, গেট ভেঙে প্রবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা
শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে দুপুর থেকে সচিবালয়ের সামনে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীরা গেট ভেঙে ও দেওয়াল টপকে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর ফাইটার জেট বিধ্বস্তের ঘটনার প্রতিবাদে এবং এইচএসসি পরীক্ষা দেরিতে স্থগিতের নিন্দা জানিয়ে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে মঙ্গলবার শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে সচিবালয়ের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বাধা দিতে লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মচারী-কর্মকর্তা জানান, সচিবালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা ভেতরে থাকা গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। স্বরাষ্ট্র ও এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সামনেও ভাঙচুর চালিয়েছেন তারা।
তবে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদেরই বলা হয়েছে সচিবালয়ে গিয়ে নিজেদের দাবি জানাতে। সচিবালয়ে তারা গেট ভেঙে প্রবেশ করেননি, এক নম্বর গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ভেতরে প্রবেশের পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারা একটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
লালবাগ মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, 'হাসিনা সরকারের আমলে যেভাবে পুলিশ ছাত্রদের পিটিয়েছে, আজকেও সেই একইভাবে আমাদের পেটানো হয়েছে। আমাকে বন্দুকের বাট দিয়ে পিটিয়েছে পুলিশ। পা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে।'
আরও পড়ুন: ফটক ভেঙে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন শিক্ষার্থীরা
১৩৬ দিন আগে