শিক্ষার্থী সায়ানের মৃত্যু
মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী সায়ানের মৃত্যু, বাড়িতে শোকের মাতম
রাজধানী ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে সপ্তম শ্রেণির সায়ান ইউসুফ (১৪) নামে এক শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
গতকাল (সোমবার) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর খবরে গ্রামের বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
সায়ান লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পালবাড়ির বাসিন্দা। তার বাবা এএফএম ইউসুফ মাইলস্টোন কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং মা শামীমা শাম্মী মাইলস্টোন স্কুল শাখার রসায়ন শিক্ষিকা। পরিবারটি রাজধানীর উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর পৌনে ১টার দিকে সায়ানের লাশ গ্রামের বাড়ি বশিকপুরে পৌঁছায়। বিকালে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত, একই ঘটনায় আরও একজন শিক্ষার্থী, আফনান ফায়াজ (১৩) নিহত হয়েছে। সে সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের রহিমবক্স হাজী বাড়ির আব্দুস সামাদের ছেলে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, আফনানকেও সোমবার সকালে ঢাকায় দাফন করা হয়েছে। সেও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আন্তঃবাহিনী সংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল দুপুর ১টা ৬ মিনিটে রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানটি স্কুল ভবনের ওপর এসে বিধ্বস্ত হয়। দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে এই খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
পরে জানা যায়, বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান স্কুলটির চত্বরের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত চীনের তৈরি এই যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উত্তরার ওই স্কুল ভবনে আছড়ে পড়েছিল।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই স্কুল ভবনে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিমানের পাইলটসহ ২৭ জন নিহত হয়েছে এবং ৭৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
১৩৬ দিন আগে