মাদক কারবারি
যেখানে নায়কেরা শুয়ে আছেন, সেই তিন নেতার মাজার মাদকসেবীদের দখলে
অবহেলায় জীর্ণ দশায় পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরসংলগ্ন ঐতিহাসিক তিন নেতার মাজার। মাদকসেবী ও ভবঘুরেদের দখলে থাকা এই স্থাপনা এখন নিরাপত্তাহীনতা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হারাতে বসেছে ঐতিহাসিক মর্যাদা।
স্বাধীনতা-পূর্ব বাংলার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সাবেক তিন প্রধানমন্ত্রী—হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, এ.কে. ফজলুল হক ও খাজা নাজিমুদ্দিনকে স্মরণে ১৯৮৫ সালে নির্মিত হয় তিন নেতার মাজার। এক সময় প্রাচীর দিয়ে সুরক্ষিত থাকলেও বর্তমানে স্থাপনাটি খোলা ও অনিরাপদ হয়ে উঠেছে।
পূর্বে রক্ষিত থাকলেও বর্তমানে নাজেহাল অবস্থা
সংশ্লিষ্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা বলছেন, তিন নেতার মাজার আগে প্রাচীর দিয়ে রক্ষিত ছিল। কিন্তু সম্প্রতি, বিশেষ করে ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বন্ধ করে দেওয়ার পর এই স্থাপনার নিরাপত্তা নাজেহাল হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, নিরাপত্তা বা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কেউকে পাওয়া যায়নি। মাজারের একেবারে সম্মুখ দিকে বড় একটি অংশের সীমানা প্রাচীর নেই। এ ছাড়াও, প্রাচীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় লোহার বেড়ি নেই। এসব জায়গা দিয়ে মানুষ অবাধে মাজারে প্রবেশ করছে। এদিকে, ঢাকা গেট সংলগ্ন সীমানা প্রাচীর পুরোটাই উধাও হয়ে গেছে।
মাজারের সামনে ফুটপাতের একজন দোকানদার বলেন, ‘ভবঘুরে ও পথশিশুরা দেওয়ালের এমন অবস্থা করেছে। তারা অর্থের বিনিময়ে দেওয়ালের রড বিক্রি করে দিচ্ছে। তাই, ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে এই দেওয়াল।’ নিরাপত্তার স্বার্থে ওই দোকানি নাম প্রকাশে অনিচ্ছা পোষণ করেছেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে স্থানান্তরিত ভবঘুরেদের আবাসস্থল
গত ১৩ মে, দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য। এরপর থেকে, প্রশাসনের উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ভবঘুরে ও মাদক ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করা হয়।
আরও পড়ুন: উত্তরাধিকার বিরোধে জুলাই শহীদ পরিবারের সহায়তা বিতরণে বিলম্ব
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর এইসব ছিন্নমূল মানুষ বর্তমানে তিন নেতার মাজারে আশ্রয় নিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাজারের মূল বেদীতে বেশ কয়েকজন মানুষ শুয়ে অথবা বসে আছেন। এমনকি কবরের আশেপাশের জায়গায়, অসংখ্য ব্যক্তি বসে আছেন। কেউ কেউ ঘুমিয়েও আছেন। আবার অনেকে ঘুমিয়ে আছেন। এ সময়, অনেককে মাদক গ্রহণ করতেও দেখা যায়।
কবরের উপরে বসে থাকা কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করলে তাদের মধ্যে একজন পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তি বলেন, ‘কই যাবো বলেন? আমাদের তো যায়গা নাই। আমরা এখন মাজারেই থাকি।’এসব ব্যক্তির বেশিরভাগই মাদক ব্যবসায়ী অথবা মাদক সংশ্লিষ্ট বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
মাদক বিক্রি ও মাদকের আখড়া
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র মতে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বন্ধ হওয়ার পর থেকে তিন নেতার মাজার মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। জানা যায়, ঢাকা গেট সংলগ্ন দুই পাশের সরু জায়গা, মেট্রোরেলের পিলারের নিচে এমনকি অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তার ওপরেই প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি হচ্ছে। মাদক ক্রয়ের পর ক্রেতারা মাজার প্রাঙ্গণেই সেবনে নিয়োজিত হচ্ছে।
নিয়মিত অভিযান চললেও থামছে না মাদক
তিন নেতার মাজার গণপূর্ত অধিদপ্তরের আওতাধীন হলেও এলাকায় কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা প্রহরী নেই। সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে শাহবাগ থানার একটি টহল দল এসে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক ও মাদকগ্রহিতাদের মাজার থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু অভিযানের মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই অবস্থা পুরোপুরি একই। আবারও পুরোদমে মাদক বিক্রি হচ্ছে এবং বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সেবনকারীরা মাদকের ভয়াল থাবায় ঢুকে পড়ছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্য হত্যার পর থেকে নিয়মিতই এমন অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। কিন্তু মাদকের বেচাকেনা কমানো যাচ্ছে না। এ সময় ১৪-১৫ বছরের এক মাদক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে, ‘আগে উদ্যানে বেচতাম, উদ্যান থেকে বের করে দেওয়ার পর এইখানে গাঁজা বেচি।’
আরও পড়ুন: ‘অর্থাভাবে’ সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ, দুর্ভোগে কাউনিয়ার পাঁচ গ্রামের মানুষ
কোথায় বসবাস জিজ্ঞেস করলে সে মাজারের মূল বেদী আঙুল দিয়ে লক্ষ্য করে দেখায়। মাদকগুলো কে দিয়েছে জিজ্ঞেস করলে ওই শিশু ‘নবী’ নামের এক ব্যক্তির নাম বলেন।‘নবী’র বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৫ জুন বিকালে রাজধানীর শাহবাগে শিশুপার্কের সামনে ছুরিকাঘাতে মোবারক (১৮) নামে এক যুবক খুন হয়েছিল।
এ সময়, নিহতের চাচাতো ভাই রবিউল ইউএনবিকে জানিয়েছিলেন, নবী নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মাদকের টাকা আদায় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই খুন হয়।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর জানান, ‘প্রতিদিনই আমাদের অভিযান, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতেও আমরা তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক ও ১ কেজির বেশি গাঁজা জব্দ করেছি। এর মধ্যে একজনকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই মাদকের কারবার থামানো সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘খুব শীঘ্রই আমরা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, র্যাবের সঙ্গে যৌথ অভিযান পরিচালনার কথা ভাবছি।’ওসি বলেন, ‘আমরা উদ্যানের সীমানা প্রাচীর ঠিক করার ব্যাপারে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে অবহিত করেছি। আমরা আমাদের মতন কাজ করে যাচ্ছি। তারাও যেন এগিয়ে আসে— সে ব্যাপারে আমরা বারবার বলছি।’
এ বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের দায়িত্বরত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি সম্ভব হয়নি।
ঐতিহাসিক তিন নেতার মাজার কেবল একটি কবরস্থান নয়, এটি ইতিহাসের একটি গৌরবময় অধ্যায়ের স্মারক। তবে, বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, ভবঘুরে ও মাদকসেবীদের দখল, এবং নিরাপত্তাহীনতা—সব মিলিয়ে স্থাপনাটির ভবিষ্যৎ এখন শঙ্কার মুখে পড়ছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট ও সচেতন নাগরিকেরা।
১৩৫ দিন আগে
পল্টনে মাদক কারবারিদের গুলিতে ২ পুলিশ সদস্য আহত
রাজধানীর পল্টন এলাকায় মাদক কারবারিদের ছোড়া গুলিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত ১২ টা ২০ মিনিটের দিকে পল্টন থানাধীন কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের (সিপিএইচ) বিপরীত পাশে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় একটি প্রাইভেটকারসহ তিনজন সন্দেহভাজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৯ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবাও উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন— সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আতিক হাসান ও কনস্টেবল সুজন। তারা ডিবির লালবাগ বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ বলেন, গুলিবিদ্ধ দুজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
আরও পড়ুন: রাজধানীর শাহবাগে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
ঘটনার বিষয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল দিবাগত রাত রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে গোপন খবরের ভিত্তিতে ডিবির লালবাগ বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এনায়েত কবির শোয়েবের নেতৃত্বে সিপিএইচের বিপরীত পাশে রাস্তার ওপর একটি প্রাইভেট কারের গতি রোধ করার চেষ্টা করেন। এ সময় ভেতর থেকে মাদক কারবারিরা গুলি চালায়।
এতে এএসআই আতিক হাসানের পেটের বাঁ পাশে ও কনস্টেবল সুজনের বাঁ হাঁটুতে গুলি লাগে। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আহতদের মধ্যে এএসআই আতিক হাসান কে গুরুতর আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সী সেন্টার (ওসেক) এ রাখা হয়েছে। আর সুজনকে ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১৬৯ দিন আগে
ফেনীতে মাদক কারবারিদের হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের ৫ সদস্য আহত, আটক ৩
ফেনীতে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তারের অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
আটক তিনজন হলেন— জয়নগরের শফি উল্যাহর ছেলে জয়নাল আবদীন সিফাত (২০), তার মেয়ে রুজিনা আক্তার (৩২) ও রহিম উল্যাহর স্ত্রী রূপধন (৪৮)।
আহতরা হলেন— জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) তানভীর মেহেদী, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) খোকন হোসেন, রিংকু বড়ুয়া, কনস্টেবল মুজিবুর রহমান ও জাহাঙ্গীর।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে মাছ ধরতে নেমে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
পুলিশ জানায়, জয়নগর গ্রামের মাদক কারবারি আলমগীর ওরফে সোর্স আলমগীরকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে পুলিশের একটি টিম অভিযানে যায়। অভিযানে আলমগীরকে আটক করলে তাৎক্ষণিক সেখানকার ৪০-৫০ জন নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করেন। একপর্যায়ে তারা আলমগীরকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন।
খবর পেয়ে ছাগলনাইয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলামসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ফেনী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা জানান, হামলার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
২১৯ দিন আগে
পূর্বধলায় ভারতীয় মদসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলায় ভারতীয় মদসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে থেকে ১০ বোতল মদ জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি আঞ্চলিম মহাসড়কের পূর্বধলার গোজাখালী কান্দা বাজার থেকে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার দুই মাদক কারবারি হলেন- নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার ফেছিয়া পাথারিয়া গ্রামের হযরত আলী ছেলে ইমন মিয়া ওরফে হাসান (২০) ও একই এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে নাজমুল মিয়া (৩২)।
আরও পড়ুন: দৌলতপুর সীমান্তে মাদকসহ তিন ভারতীয় আটক
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কের গোজাখালী কান্দা বাজারে সন্দেহজনক একটি যাত্রীবাহী ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা তল্লাশি করে ১০ বোতল ভারতীয় মদসহ ওই দুজন কারবারিকে আটক করে। জব্দ করা মদের বাজারমূল্য আনুমানিক ২০ হাজার টাকা।
ওসি মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম বলেন, হাসান ও নাজমুল দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দুর্গাপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় মদ অবৈধ পন্থায় সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কেনাবেচা করে আসছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের শেষে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৬ এপ্রিল) একই স্থানে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তল্লাশি করে সাত বোতল ভারতীয় মদসহ মাদক কারবারি ফারজানা খাতুন ঝুমা নামে এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ওই তরুণী নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার কেরনখলা গ্রামের রজব আলী মেয়ে। পরে মাদক মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
২৩০ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোহাম্মদ হাবিব নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। হাবিব নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার আনোয়ার মোল্লার ছেলে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। পরে বুধবার (১৯ মার্চ) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতর ভাই বাবু বলেন, ‘হাবিব পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। সে চনপাড়া এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে। পরে ওইখানে তার একটি গুলি এসে গায়ে লাগে। খবর পেয়ে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
নিহত হাবিবের দুইটি সন্তান রয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক বলেন, ‘লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।’
২৬০ দিন আগে
রাজশাহীতে নারীর ঘরে আটক এএসআই বরখাস্ত
রাজশাহীতে এক নারীর ঘরে আটক হওয়া সমালোচিত সেই পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পাশাপাশি বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তাকে রাজশাহী পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এএসআই সোহেল রানা রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত ছিলেন।
এর আগে, গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর মতিহার থানার সাতবাড়িয়া মহল্লার এক মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে সোহেল রানাকে পেয়ে স্থানীয় লোকজন আটক করে। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে লাঠিপেটা করা হয়। এ সময় মারধর করা হয় ওই নারীকেও।
আরও পড়ুন: রাতে মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে এএসআই, লাঠিপেটা
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, রাতে ওই নারীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে এনে এএসআই সোহেল রানাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়।
পরে এএসআই সোহেলকে চন্দ্রিমা থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে পুলিশ লাইন্সে চলে যান তিনি।
রাজশাহী মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে এএসআই সোহেল রানাকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করার পাশাপাশি সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে। তদন্ত শেষে নিয়মানুযায়ী তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৮৭ দিন আগে
রাতে মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে এএসআই, লাঠিপেটা
রাজশাহীতে এক মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে পুলিশের একজন সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) পেয়ে লাঠিপেটা করেছে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে উদ্ধার করে নগরীর মতিহার থানা হেফাজতে নেয়।
জানা যায়, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) চন্দ্রিমা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানাকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের সাতবাড়িয়া মহল্লার এক মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘর থেকে স্থানীয়রা আটক করে। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে লাঠিপেটা করা হয়। মারধর করা হয় ওই নারীকেও। এর একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয়রা ওই নারী ও এএসআইকে নানাভাবে জেরা করছেন। জেরার ফাঁকে ফাঁকে লাঠি দিয়ে পেটানোও হচ্ছে। এ সময় ওই নারীকে বলতে দেখা যায়, ‘প্রচুর মেরেছে, প্রচুর,’ আর এএসআই সোহেলকে বলতে দেখা যায়, ‘আমি কলমা করে বিয়ে করেছি’।
জেরার মুখে এএসআই বলেন, ‘তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া। সেখানে তার স্ত্রী-সন্তান আছে। তাকে তিনি কলমা করে বিয়ে করেছেন।’
তবে ঘরে উপস্থিত ওই নারীর স্বামী বলেন, ‘স্ত্রীর সঙ্গে তার এখনও বিবাহ বিচ্ছেদই হয়নি। এ সময় ওই নারী বলেন, ‘স্বামীকে আমি মুখে মুখে তালাক দিয়েছি।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই নারীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন এএসআই সোহেল রানা। তাকে ঘরে আটকে রেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসার আগে অল্পবয়সী কয়েকজন লাঠি দিয়ে এএসআইকে পেটায়। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, ‘এএসআই সোহেল রানা থানা হেফাজতে আছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ধরনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ জন্য কর্তৃপক্ষ এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।’
তবে ওই নারীর সঙ্গে এএসআইয়ের বিয়ে কিংবা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চালানোর বিষয়ে ওসি কোনো তথ্য দিতে পারেননি। এ সময় তিনি জানান, ওই নারীর স্বামী মাদক কারবারি। তার বাড়ি ডাসমারী মধ্যপাড়ায়। তিনি মাদক মামলায় বছর দেড়েক জেলে ছিলেন। এই সময়ে ওই নারী বাবার বাড়ি চলে যান। এছাড়া স্বামী জামিনে বের হলেও তিনি তার বাড়ি আসছিলেন না।
ওসি বলেন, ‘ওই নারীর স্বামী যখন জেলে ছিলেন, তখন এএসআই তিনটি অটোরিকশা কেনেন। অটোরিকশাগুলো সোহেল তার পূর্বপরিচিত ওই নারীর তত্ত্বাবধানে রাখেন। ওই নারীর ভাই ও অন্য চালকেরা অটোরিকশাগুলো চালান। সোহেল মাঝে মাঝে ওই নারীর কাছ থেকে ভাড়ার টাকা নিয়ে আসতেন। মঙ্গলবার রাতেও তিনি ভাড়ার টাকা আনতে গিয়েছিলেন। তখন ওই নারীর স্বামী স্থানীয় কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। আসলেই কী ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে।’ইউএনবি/এএস
২৮৮ দিন আগে
বিজিবি-মাদক কারবারির গোলাগুলি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মাদক চোরাকারবারিদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৩ জুন) ভোর ৫টায় নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের ভালুখাইয়া বিওপির এলাকার গর্জনিয়ার মরিচ্যাচর রাজঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে শাহবাগ থানা
বিজিবি জানিয়েছে, অভিযান চালিয়ে ৯৮ কার্টুন বার্মিজ সিগারেট ও ২০ হাজার ইয়াবা পিস জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় নিজাম ডাকাতের নেতৃত্বে দেড়শ’ থেকে ২০০ জন মাদককারবারি বিজিবি টহল দলের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
চোরাকারবারীরা গুলি ছুঁড়লে আত্মরক্ষার জন্য বিজিবি পাল্টা গুলি ছুঁড়ে।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবি ও মাদককারবারিদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির সময় একটি মোটরসাইকেলেও আগুন দেওয়া হয়। এ সময় ইয়াবা ও বার্মিজ সিগারেট জব্দ করা হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আরও পড়ুন: আফতাবনগরে পশুর হাট বসানো যাবে না: আপিল বিভাগ
টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে ডিআরএফ প্রণয়ন করা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৫৪৯ দিন আগে
রাজধানীতে ১২ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি আটক
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকা থেকে ১২ কেজি গাঁজাসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (৩১ জুলাই) রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- মো. আরমান হোসেন রনি ও মো. জুয়েল ওরফে রবিন।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ১৮ স্বর্ণের বারসহ আটক ২
সহকারী পুলিশ কমিশনার (তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল) এসএম আরিফ রায়ান ইউএনবিকে ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএমপির শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশের একটি দল রসুলবাগ এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করে।
তিনি জানান, এ সময় তাদের কাছ থেকে ১২ কেজি গাঁজাও জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তিনি আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্প থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়াতে গিয়ে বুয়েটের ৩৪ শিক্ষার্থী আটক
চট্টগ্রামে লরি থেকে কনটেইনার পড়ে ট্রাফিক পুলিশ নিহত, আটক ২
৮৫৭ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় ‘মাদক কারবারির’ গলাকাটা লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় এক ‘মাদক কারবারিকে’ গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার সকালে উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কিতাব আলী (৪৮) চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ি কাদিপুরে ঘর জামাই থাকতেন কিতাব। দীর্ঘদিন থেকে তিনি ও তার স্ত্রী মাদকের কারবার করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের নামে থানায় একাধিক মাদক মামলাও আছে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পর্যটকের লাশ উদ্ধার, ‘স্ত্রী’ পলাতক
তিনি আরও বলেন, মাদক কারবারে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। দ্রুত আমরা বিস্তারিত জানাতে পারব।
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
উল্লেখ্য, হাউলি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বিট পুলিশের উপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক বুধবার সকাল ১০টার দিকে কাদিপুর গ্রামের মাঠে কিতাব আলীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। এর আগে ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: পাবনায় ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
৯৬০ দিন আগে