প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস
পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: সরকার
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং পৃথিবীর কোনো শক্তি এই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৈঠকে ১০ জন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন— স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান,পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। এ ছাড়া বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে) খোদা বকশ চৌধুরী, পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব শফিকুল আলম আরও বলেন, গত কিছু দিনে কিছু ঘটনা ঘটেছে, সেটির আলোকেই এই বৈঠক। যেসব ঘটনা ঘটছে, স্থানীয় প্রশাসন যেন এ ধরনের ঘটনা আরও শক্তভাবে মোকাবিলা করে, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জুলাইকে সামনে রেখে যে রাজনৈতিক ঐক্য হয়েছিল, সেটাকে ধরে রাখার বিষয়েও জোর দেওয়া হয় বৈঠকে। নির্বাচন সামনে রেখে যাতে কোনো নিরাপত্তাজনিত ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক করা হয়। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়।
পড়ুন: শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: সালাহউদ্দিন
প্রেস সচিব বলেন, ‘যে ঘটনাগুলো ঘটছে তা বা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না। সরকার মনে করে দেশের স্বার্থে জনগণসহ সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধ থাকা অপরিহার্য।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেছেন যে আসন্ন দুর্গাপূজায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে নানা রকম ষড়যন্ত্রমূলক প্রচেষ্টা হতে পারে। তিনি বলেন, ‘গত বছরের দুর্গাপূজা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ভালো অভিজ্ঞতা ছিল। তাই এবছরও সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আগেভাগেই সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
প্রেস সচিব জানান, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘ডাকসু নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।
প্রেস সচিব বলেন, পতিত ও পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি যখন দেখছে দেশ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং জুলাইয়ের হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িতদের বিচার যত দ্রুততর হচ্ছে, তত তারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এটি কেবল আইনশৃঙ্খলার সমস্যা নয়, এটি জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যু। তারা দেশের সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করার জন্য সকল শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
৮৮ দিন আগে
নির্বাচন আয়োজনে দেশ প্রস্তুত: প্রধান উপদেষ্টা
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এক বছরে দেশ নির্বাচন আয়োজন করার মতো যথেষ্ট প্রস্তুত ও স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছি। অন্তর্বর্তী সরকারের জায়গায় নির্বাচিত একটি সরকার দায়িত্ব নেবে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজারে আয়োজিত ‘স্টেকহোল্ডারস ডায়ালগে’ যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আমি এখানে এসেছি আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে। এক বছর আগে আমরা দেশকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে ছাত্রদের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এক হত্যাযজ্ঞের ভেতর দিয়ে গিয়েছি। এখন আমরা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেকটি রূপান্তরের জন্য প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছি। ঠিক এক বছর আগে আমাদের অভ্যুত্থান হয়েছিল, আর দেশ এখন যথেষ্ট স্থিতিশীল এবং নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত।
এ সময় সরকারের প্রতিনিধি, জাতিসংঘ সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার উৎপত্তি মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও মিয়ানমারে। সবাইকে এই সংকট নিরসনে কোনো বিলম্ব ছাড়াই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আপনাদের সোচ্চার হওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার আশা জাগাতে পারে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান শুধু বাংলাদেশের একার দায়িত্ব নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও এখানে এগিয়ে আসতে হবে। সংকটের সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে ভাবা এবং তা বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখা সবার যৌথ দায়িত্ব।
পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের রোডম্যাপ তৈরিতে প্রধান উপদেষ্টার ৭ দফা প্রস্তাব
যত দিন পর্যন্ত রোহিঙ্গারা নিজেদের আবাসভূমিতে ফিরে যেতে না পারেন, তত দিন পর্যন্ত তাদের বিষয়টি ও এর টেকসই সমাধানকে বৈশ্বিক এজেন্ডায় রাখার ওপর জোর দেন অধ্যাপক ইউনূস।
এর আগে, সোমবার সকালে এই সংলাপে যোগ দিতে কক্সবাজার পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা। এদিন বেলা ১১টার দিকে তিন দিনের এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়। এতে মিয়ানমার ও আঞ্চলিক স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা, রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন এবং বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টার আহ্বান জানানো হয়।
রোববার (২৪ আগস্ট) কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘স্টেকহোল্ডারস ডায়ালগ: টেকঅ্যাওয়ে টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শুরু হয়। রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
১০১ দিন আগে
মালয়েশিয়ার শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠীগুলোকে বাংলাদেশে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন, বন্দর, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৩ আগস্ট) মালয়েশিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের এখনই সময়।
অধ্যাপক ইউনূস সানওয়ে গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা জেফ্রি চিয়াকে বিশেষভাবে বাংলাদেশের কারখানা শ্রমিকদের জন্য সাশ্রয়ী আবাসনের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার ব্যবসায়িক পরিবেশকে আরও ব্যবসাবান্ধব করতে ব্যাপক সংস্কার করেছে, যা এখন বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করেছে।’
বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, আবাসন ও নির্মাণ খাতে, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে যেখানে নতুন বন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে, সেখানে বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে নগরায়ন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক ও নতুন শহরবাসীর জন্য বাড়ি ও সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে বড় বিনিয়োগ দরকার।
অধ্যাপক ইউনূস সানওয়ে গ্রুপকে বাংলাদেশে হাসপাতাল স্থাপনের জন্যও উৎসাহিত করেন।
জেফ্রি চিয়া বলেন, তার প্রতিষ্ঠান অবশ্যই বাংলাদেশে ব্যবসার সুযোগ খুঁজবে। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি দেওয়ার আগ্রহও প্রকাশ করেন। বর্তমানে হাজার হাজার বাংলাদেশি সানওয়ের নির্মাণ ও হাউজিং বিভাগে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।
পড়ুন: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হতে পারে মালয়েশিয়ার ‘গ্র্যাজুয়েট প্লাস’ ভিসা
চিয়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রশংসা করে জানান, মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষকে তিনি তাদের ছয় বছরের অনুমোদিত কর্মমেয়াদ বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছেন।
পৃথক এক বৈঠকে, মালয়েশিয়ার জাতীয় গাড়ি নির্মাতা প্রোটন ও অবকাঠামো প্রতিষ্ঠান এমএমসি করপোরেশন বেরহাদের মালিক—শীর্ষ শিল্পপতি সৈয়দ মোকতার আল-বুখারি বাংলাদেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, ‘এটি শুধু মুনাফার জন্য নয়, আমরা এটি করতে চাই বাংলাদেশের মানুষের জন্য।’
তিনি নদী উন্নয়ন ও মৎস্যজীবী সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করা প্রকল্পে দায়িত্বশীল পুনর্বাসনের গুরুত্বও উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক ইউনূস পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবসা ও বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করতে ব্যাপক সংস্কার এনেছে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী সৌরশক্তি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণকে অগ্রাধিকারমূলক বিনিয়োগ খাত হিসেবে চিহ্নিত করেন।
সৈয়দ মোকতার বাংলাদেশের সৌরশক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং নবায়নযোগ্য শক্তি ও খাদ্য নিরাপত্তা খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সৈয়দ মোকতার অধ্যাপক ইউনূসকে সম্মান জানিয়ে ১৮ শতকের ভারতীয় ঔপনিবেশিক বিরোধী শাসক টিপু সুলতানের ওপর ২০ বছরের গবেষণা সংকলিত একটি বই উপহার দেন।
১১৩ দিন আগে
আরও ১২ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূস
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার অংশ হিসেবে আরও ১২টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ জানান, শনিবার (২৬ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন—জাতীয় গণফ্রন্টের আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, জাতীয় পার্টি (জাফর) ও ১২ দলীয় জোটের মোস্তফা জামাল হায়দার, নিজাম-ই-ইসলাম পার্টির মাওলানা আব্দুল মজিদ আতহারি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাসদের ড. মোস্তাক হোসেন, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজি, ভাসানী জনশক্তি পার্টির রফিকুল ইসলাম বাবুল, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাসদ (মার্কসবাদী)-এর মাসুদ রানা এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি।
পড়ুন: নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া প্রকৃত সংস্কার সম্ভব নয়: ফখরুল
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা হেফাজতে ইসলামের কিছু নেতার সঙ্গেও আলোচনায় বসার কথা রয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব ফয়েজ।
দেশের রাজনৈতিক বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে পরামর্শ চালিয়ে যাওয়ার অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস এ নতুন সংলাপ শুরু করেন গত মঙ্গলবার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে।
এরপরের দিন (বুধবার) তিনি আরও ১৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই দলে ছিলেন গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, খেলাফত মজলিস, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও সিপিবির নেতারা।
১৩১ দিন আগে