মশা নিধন
মশা নিধনে ৫৩ বছরে বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া হয়নি: উপদেষ্টা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, মশা নিধনে গত ৫৩ বছরে কোনো বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া হয়নি। বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে কখনো কোনো কমিটিও গঠিত হয়নি।
রবিবার (৩ নভেম্বর) বংশাল ও নাজিরাবাজারে মশা নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে নাটক বন্ধ করতে হয়েছে: ড. জামিল
উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেন, মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনায় বিশেষজ্ঞজনের মতামতের পাশাপাশি তাদের অন্তর্ভুক্ত করে স্থানীয় বিভাগ দুটি কমিটি গঠন করে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম।
তিনি আরও বলেন, একটা নির্দিষ্ট স্থানে কী পরিমাণ কীটনাশক বা লার্ভিসাইড ছিঁটালে মশা নিধন হবে তা বিশেষজ্ঞ ছাড়া নিরূপণ করা কঠিন। কিংবা কীটনাশক বা লার্ভিসাইড ছেটানোর ফলে ওই স্থানে কী পরিমাণ মশা নিধন হয়েছে তার সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। এসব তথ্য নির্ভুলভাবে পেতে বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে গঠিত কমিটিগুলো সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। পরিকল্পনায় বিশেষজ্ঞদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, মশা নিধন কার্যক্রম মনিটরিং করতে ডিএসসিসি’র বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছি। মশা নিধন পূর্বের চেয়ে জোরদার করা হয়েছে।
কার্যক্রম মনিটরিং শেষে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ডিএসসিসি’র নগর ভবনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিদর্শনে যান। সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত বিভিন্ন এলাকায় ফগিং ও লার্ভিসাইড ছিটানো অনলাইনে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন।
ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং ডিএসসিসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আদানির সময়সীমা নিয়ে আমরা খুবই মর্মাহত: প্রেস সচিব
২ সপ্তাহ আগে
ডেঙ্গু মোকাবিলা ও মশা নিধন অভিযান বাস্তবায়নে ১০ টিম গঠন
ডেঙ্গু মোকাবিলা ও মশা নিধন অভিযান বাস্তবায়ন, সমন্বয় ও নিবিড়ভাবে তদারকির জন্য ১০টি টিম গঠন করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনসহ সারাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ থেকে নাগরিকদের রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি, মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা এবং লার্ভা ও মশা নিধন ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, চাপ সৃষ্টি হচ্ছে ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর
তদারকির জন্য ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে তাদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কাজ করবে ৪টি টিম। উত্তর সিটি করপোরেশনে কাজ করবে ৩টি টিম। নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য সিটি করপোরেশনে কার্যপরিচালনার জন্য গঠিত হয়েছে একটি টিম।
এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ পৌরসভাসমূহ যেমন- সাভার, দোহার, তারাব, রূপগঞ্জ ও অন্যান্য পৌরসভার জন্য আরও একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার কাজটি সমন্বয় ও তথ্য সংগ্রহের জন্য ৭ সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসকল কমিটিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের টিম প্রধান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজন রোগীও যেন মারা না যায়: উপদেষ্টা হাসান আরিফ
গঠিত টিমগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দিনে কমপক্ষে ৩টি ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব এলাকা পরিদর্শন করবেন। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম মনিটরিং ও তদারকি করবেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের তথ্য সংগ্রহ কমিটির কাছে নিয়মিতভাবে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ ও অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত সচিত্র প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডেঙ্গু রোগ মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ এবং অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইট, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, এ কে এম তারিকুল আলম, মো. ফজলুর রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামানসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের সকল কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: নিয়মিত কর্মসূচির মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারব: ডিএসসিসি প্রশাসক
১ মাস আগে
মশা নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: ডিএনসিসির সিইও
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে একসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব ওয়ার্ডে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচি শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ কর্মসূচি ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিচালনা করা হবে।
সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচির প্রথম দিনে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলেই একসঙ্গে জনসচেতনতা ও মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
বৃহস্পতিবার সকালে ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন বাড্ডা এলাকায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম সপ্তাহব্যাপী বিশেষ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চলমান উন্নয়ন সম্পন্ন করা হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক
এসময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি কাজ করছে। এই সময়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে, তাই ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে একসঙ্গে মশা নিধন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ডিএনসিসির মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷
বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও এই কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। আমাদের সঙ্গে মাঠে আছে বিএনসিসি, স্কাউট ও গার্লস গাইডের সদস্যরা। সবার সম্পৃক্ততায় এই কার্যক্রম ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে।’
মীর খায়রুল আলম বলেন, ‘জনগণের সহযোগিতা পেলে ডেঙ্গু সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বাড়িতেই জমে থাকা পানিতে এডিস মশার জন্ম হয়। আমাদের কর্মীরা বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার করে ও ওষুধ ছিটায়। কিন্তু বাড়ির ভেতরে আমাদের কর্মীরা কাজ করতে পারে না৷ তাই নিজেদের বাড়িতে ফ্রিজ, এসি, ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির ৫ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০ কিউআরটি
ডিএনসিসির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ডিএনসিসির মশক নিধন কার্যক্রম সারা বছর জুড়েই চলেছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিতসহ সব মানুষকে সম্পৃক্ত করে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে পদক্ষেপ নিয়েছি। এছাড়া বৃহস্পতিবার থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে৷ শুরুতে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক করা হবে। পরে যদি অবহেলার কারণে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া আগে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা মশক নিধন ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম তদারকি করত। বর্তমানে অনেক কাউন্সিলররা অনুপস্থিত। তাই কার্যক্রম তদারকি যেন ব্যহত না হয় সেজন্য ডিএনসিসির বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তদারকি টিম করে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি শিক্ষার্থীসহ সবাইকে নিয়ে মেরুল বাড্ডা ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে জনসচেতনতামূলক র্যালি করেন। র্যালি শেষে কয়েকটি বাড়িতে পরিদর্শন করেন এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নায়নও উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রুবাইয়াত ইসমত অভীক।
আরও পড়ুন: এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ডিএনসিসির ৬ ভবন মালিককে ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা জরিমানা
২ মাস আগে
মশা নিধনে ডিএনসিসির খাল না হওয়া সত্ত্বেও আমরা পরিষ্কার করছি: মেয়র আতিক
মশা নিধনের লক্ষ্যে ডিএনসিসির খাল না হওয়া সত্ত্বেও সেগুলো আমরা পরিষ্কার করছি বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, কিউলেক্স মশা নিধনে আমরা খাল পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছি। উত্তরার রাজউক খালে প্রচুর কচুরিপানা। যার ফলে উত্তরা এলাকায় কিউলেক্স মশা ব্যাপক বেড়ে গেছে।
বুধবার (২০ মার্চ ) সকালে রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের রাজউক খালে ডিএনসিসির মশক নিধন ও পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলের আদলে সুতিভোলা খাল সাজানো হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, উত্তরার রাজউক খালটির মালিকানা রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)। আজকে এসে জানতে পারলাম এটিতে ওয়াসারও মালিকানা আছে। আমি অনেকবার বলেছি খালটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এখনও খালটি হস্তান্তর করা হয়নি। এই এলাকায় নিয়মিত ওষুধ ছিটালেও, খালের কচুরিপানা থেকে প্রচুর মশা জন্মায়। স্থায়ী সমাধানের জন্য খাল পরিষ্কারের কোনো বিকল্প নাই। তাই মশা নিধনের লক্ষ্যে ডিএনসিসির খাল না হওয়া সত্ত্বেও আমরা পরিষ্কার করছি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে সাধারণত কিউলেক্স ও এডিস এই দুই ধরণের মশা রয়েছে।
কিউলেক্স মশা আমাদের অনেক বিরক্ত করে, কামড় দেয়। কিউলেক্স মশার কামড়ে মানুষের মৃত্যু হয় না। কিন্তু এডিস মশার কামড়ে মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি আছে। এডিস মশা মানুষের বাসা-বাড়ি, অফিস আদালতের জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে জন্মে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য যার যার ঘর, বাড়ি, অফিস, আদালত তাদেরই কিন্তু দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ আমাদের পক্ষে দেখা অসম্ভব কারো বাড়ির ছাদে পানি জমে আছে কিনা। কারও ছাদে, বারান্দায় নারিকেলের খোসা, রঙের কৌটা, অব্যবহৃত টায়ার পড়ে আছে কি না। ভবনের বেজমেন্টে গাড়ির গ্যারেজে পানি জমে আছে কি না সেটি দেখা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। এগুলো নিজেদের দায়িত্ব।
মেয়র বলেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ শুধু একা সিটি করপোরেশনের পক্ষে সম্ভব নয়। সবাইকে সচেতন হতে হবে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন। আর কিউলেক্স মশার জন্য খালগুলো পরিষ্কার করছি। গুলশান লেকে, বারিধারা লেকেও প্রচুর মশা। আমরা সেগুলো পরিষ্কার করছি। অন্যান্য সংস্থাগুলো যার যার জায়গাগুলো পরিষ্কার করতে হবে। খালগুলোতে সরাসরি পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ দেওয়ার ফলে অনেক মশার জন্ম হয়। উত্তরা এলাকায় ওয়াসা একটি পয়ঃশোধনাগার নির্মাণ করবে। এটি নির্মাণে কয়েক বছর সময় লেগে যাবে। কিন্তু এই অন্তর্বতীকালীন খালগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি।
এসময় তিনি বলেন, উত্তরার রাজউক খালটি আমাদের হস্তান্তর করলে পরিষ্কার করে এখানে একটি নান্দনিক জায়গা করে দেবো। এখানে ওয়াটার বোট চলবে। মাছের চাষও সম্ভব হবে। কিন্তু তার জন্য অবশ্যই পয়ঃবর্জ্যের ব্ল্যাক ওয়াটার (দূষিত পানি) খালে আসা বন্ধ করতে হবে। ওয়াসা ও রাজউককে এগিয়ে আসতে হবে। সব সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
মেয়র আরও বলেন, আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর থেকেই ব্যাপকভাবে ক্যাম্পেইন শুরু করব। গতবার মশার লার্ভা নিধনের জৈব কীটনাশক বিটিআই (বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস) আমদানির উদ্যোগ নিয়েছিলাম কিন্তু আপনারা জানেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জালিয়াতির কারণে সেটি ব্যবহার করা যায়নি। তাই এবার আমরা সিটি করপোরেশন থেকে সরাসরি বিটিআই আমদানি করছি। আশা করছি আগামী দুই মাসের মধ্যে বিটিআই নিয়ে আসব। ওষুধ ছিটানোর জন্য অত্যাধুনিক মেশিনও (হুইলবারো মেশিন) আনার প্রক্রিয়া চলছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আমরা বর্ষার আগেই প্রস্তুতি নিয়েছি।
আরও পড়ুন: জনগণকে নিয়ে গুলশান-বারিধারা লেক পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি: মেয়র আতিক
মহাসড়কে ইফতার বিতরণ করছেন ফেনী পৌরসভার মেয়র
৮ মাস আগে
মশা সমস্যা সমাধানে লড়তে প্রস্তুত ডিএসসিসি: তাপস
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে সম্ভাব্য ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা ঢাকার বাসিন্দাদের আতঙ্কিত করে তুলেছে। তবে সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র (ডিএসসিসি)।
৪ বছর আগে
করোনা রোধে ‘লকডাউনের’ মধ্যেও ডেঙ্গুর ঝুঁকি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে রাজধানীসহ সারাদেশে চলমান অঘোষিত লকডাউনের মধ্যে ডেঙ্গু রোগ বিস্তারে দায়ি মশা নিধনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলেছে নগরবাসী।
৪ বছর আগে
কুমিল্লায় মশা নিধনে আরও ১৮টি ফগার মেশিন কিনবে কুসিক
কুমিল্লা, ২৮ আগস্ট (ইউএনবি)- সারাদেশে এখনও মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ আতঙ্ক বিরাজ করছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ২৭টি ওয়ার্ডে মশা মারার জন্য মাত্র নয়টি ফগার মেশিন রয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তবে কুসিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মশা নিধনের জন্য আরও ১৮টি ফগার মেশিন ক্রয় করা হবে।
৫ বছর আগে