পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে আশাবাদী পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ একটি সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। রবিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী দিনে বাংলাদেশ একটি সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি (ইসহাক) মন্তব্য করেছেন। তারা এটির প্রশংসা করেছেন।’
পড়ুন: জামায়াত আমিরের সঙ্গে দেখা করলেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার
দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাকে (সার্ক) গতিশীল করা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সেটা যখন সুযোগ আসবে, তখন দেখতে পাবেন। সার্ককে গতিশীল করার জন্য বিএনপি যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।’
ডা. জাহিদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী এসেছেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। কথা বলার ফাঁকে ম্যাডাম হয়তো জিজ্ঞেস করেছেন যে আপনাদের দেশে বন্যা কেমন হয়েছে, আগে বন্যা বাংলাদেশেও হতো, এখন আপনাদের দেশেও হচ্ছে। এমন কিছু কথা হয়েছে।’
‘কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে সার্ক নিয়ে তারা যেমন বলেছেন, ম্যাডামও তেমনি সার্কের স্মৃতিচারণ করেছেন। সার্ক প্রতিষ্ঠা হওয়ার সময় কী অবস্থা ছিল? শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সার্কের যে ঘোষণা, পরবর্তীতে তার পাকিস্তান সফর, বাংলাদেশেও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের সফর—এগুলো নিয়ে কথা হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
পড়ুন: সম্পর্ক জোরদারে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সাক্ষাৎ
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন, এটা কুশলবিনিময় কিংবা খোঁজখবর নেওয়া, বা সেগুলো স্মৃতিচারণ করা হয়েছে।’
দুদেশের বিদ্যমান সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়া নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো স্বাভাবিক কথা। দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভবিষ্যতে যাতে দুদেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবাই মিলিতভাবে কাজ করতে পারি, সে আলোচনা তারা করেছেন।’
বাংলাদেশের গণতন্ত্র কিংবা নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না প্রশ্নে ডা. জাহিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ যেহেতু নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, সেহেতু তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে, সে কথা তিনি বলেছেন।’
১০২ দিন আগে
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রীর সফরে ১৯৭১ সালের বিষয় তুলবে ঢাকা: তৌহিদ হোসেন
বাংলাদেশে আগামী ২৩ আগস্ট সফর করবেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী। তাকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশ প্রস্তত এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো ঢাকা আলোচনার টেবিলে তুলে ধরবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
সোমবার (৪ আগস্ট) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
পাকিস্তানের কাছ থেকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণের বিষয়গুলো বাংলাদেশ উত্থাপন করবে কিনা—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিটি বিষয়ই আলোচনার টেবিলে থাকবে।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘বাস্তবসম্মত উপায়ে’ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, চলতি মাসের শেষের দিকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের নির্ধারিত সফরের সময় সবকিছু আলোচনায় থাকবে।
চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনায় পাকিস্তানের সঙ্গে ঐতিহাসিক অমীমাংসিত বিষয়গুলো উত্থাপন করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশে যে নৃশংসতা চালিয়েছে—তার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়া এবং পাকিস্তানের কাছ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি আদায়ের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করতে এই বিষয়গুলোর সমাধান করা প্রয়োজন, বলেছেন তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত কীভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে—তা বাংলাদেশ নির্ধারণ করে না এবং একইভাবে ভারতও কীভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে—তা নির্ধারণ করে না।
পড়ুন: ২৩ আগস্ট ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
হোসেন বলেন, তারা সম্পর্কের একটি দিক অন্য দিকে আটকে যেতে দেখতে চায় না।
তিনি বলেন, ১৫ বছর পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই বিষয়গুলোতে জড়িত থাকার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সমন্বয় জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ২৩ আগস্ট ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
অন্যান্য ব্যস্ততার পাশাপাশি তিনি ২৪ আগস্ট পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। এর আগে গত এপ্রিলের তার পূর্ব নির্ধারিত বাংলাদেশ সফর স্থগিত করা হয়।
ভারত-শাসিত কাশ্মীরে এক প্রাণঘাতী হামলার পর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার কারণে সফরটি স্থগিত করা হয়েছিল।
সে সময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ‘অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৫ সালের ২৭-২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সফর করতে পারছেন না।’
পরবর্তীতে, উভয় পক্ষ পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে নতুন তারিখ চূড়ান্ত করে।
গত সপ্তাহে জুলাই মাসে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন এবং ফিলিস্তিনে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ফিলিস্তিনি জনগণ এবং তাদের ন্যায্য দাবির প্রতি নিজেদের অটল সংহতি পুনর্ব্যক্ত করে।
পড়ুন: হাসিনা ও তার দোসরদের অপরাধ পাকিস্তানি বাহিনীকে হার মানিয়েছে: আইন উপদেষ্টা
জাতিসংঘে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ফাঁকে ইসহাক দার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই বার্তাটি জানানো হয়। ২০২৪ সালের অক্টোবরের পর এটি ছিল তাদের চতুর্থ বৈঠক।
ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন জানিয়েছে, তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যালোচনা করে এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। পাশাপাশি সংযোগ এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির উপায় অনুসন্ধান করে।
উভয় পক্ষ অদূর ভবিষ্যতে উচ্চ পর্যায়ের সফর করতে সম্মত হয়েছে।
১২২ দিন আগে
২৩ আগস্ট ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার আগামী ২৩ আগস্ট ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। তিনি এ সময় বাংলাদেশের সঙ্গে সমন্বয় জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২৪ আগস্ট তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন এবং অন্যান্য কার্যক্রমেও অংশ নেবেন। সোমবার (৪ আগস্ট) এ তথ্য বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
এর আগে, এ বছরের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের এই সফর স্থগিত হয়। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে প্রাণহানির এক ভয়াবহ ঘটনার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় সফরটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
সেদিন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ‘অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৫ সালের ২৭-২৮ এপ্রিল বাংলাদেশের সফর করতে পারছেন না।’
পরবর্তীতে দুই পক্ষ পরস্পরের পরামর্শে নতুন তারিখ চূড়ান্ত করে।
২০২৫ সালের ১৭ এপ্রিল পাকিস্তানের কাছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর করা বর্বরতার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা এবং বকেয়া আর্থিক দাবিসহ ঐতিহাসিক অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো উত্থাপন করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সেসময়ের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি গড়ার জন্য এসব বিষয় সমাধান হওয়া প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ মনে করছে, ওই বিষয়গুলো আলোচনায় থাকার জন্য পাকিস্তান ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, যদিও ঢাকা-ইসলামাবাদ মধ্যকার কথাবার্তা ১৫ বছর পর শুরু হয়েছে।
গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন ও মানবিক সংকটের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি তাদের অটুট সংহতি পুনর্ব্যক্ত করে।
১২২ দিন আগে