কম্পিউটার চিপ
যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন না করলে কম্পিউটার চিপে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন না করলে কম্পিউটার চিপ ও সেমিকন্ডাক্টরে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার (৭ আগস্ট) ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর ইলেকট্রনিক পণ্য, গাড়ি, গৃহস্থালী যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য ডিজিটাল পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে অ্যাপলের সিইও টিম কুকের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, আমরা চিপ ও সেমিকন্ডাক্টারে প্রায় ১০০ শতাংশ শুল্ক বসানোর কথা ভাবছি। যুক্তরাষ্ট্রে কম্পিউটার চিপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোনো শুল্ক দিতে হবে না।
ট্রাম্প প্রশাসনের আগের সিদ্ধান্তে ইলেকট্রনিক পণ্য শুল্কের আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল।
ট্রাম্প আরও বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির সময় চিপ সংকটের কারণে গাড়ির দাম বেড়ে গিয়েছিল এবং তা মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিয়েছিল।
ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো। টেক জায়ান্ট অ্যাপল ও অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে চিপ উৎপাদনে বড় অঙ্কের বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের অভিষেকের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বৃহৎ প্রযুক্তি খাত মিলিয়ে প্রায় ১৫ লাখ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি এসেছে। এর মধ্যে শুধু টেক জায়ান্ট অ্যাপলই ৬০০ হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।
পড়ুন: ভারতকে ট্রাম্পের শাস্তি, শুল্ক বেড়ে দাঁড়াল ৫০ শতাংশ
বুধবার ট্রাম্প ও কুকের বৈঠকের পর, বাজারে অ্যাপলের শেয়ারমূল্য ৫ শতাংশ বেড়েছে এবং লেনদেন শেষ হওয়ার পর আরও ৩ শতাংশ বেড়েছিল।
মার্কিন এআই চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া এবং ইন্টেল-এর শেয়ারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। চিপ নির্মাতাদের সংগঠন সেমিকন্ডাক্টর ইন্ড্রাস্টি অ্যাসোসিয়েশনও ট্রাম্পের এই নতুন সিদ্ধান্তে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
বিশ্ব সেমিকন্ডাক্টর ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্স জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে চিপের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। গত অর্থবছরে চিপের বিক্রি বেড়েছে ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ।
ট্রাম্প বলছেন, উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকিই প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা স্থাপন করতে বাধ্য করবে। এতে কোম্পানিগুলোর মুনাফা কমতে পারে এবং মোবাইল ফোন, টিভি, ফ্রিজসহ অনেক পণ্যের দাম বাড়তে পারে— তবুও ট্রাম্প মনে করেন, দেশীয় উৎপাদনই এখন মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
১১৯ দিন আগে