এমডির পদত্যাগ
সুশাসন নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক এমডির পদত্যাগ
দেশের ব্যাংকিং খাতে বড় পরিবর্তনের মধ্যে সুশাসন নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে আছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত এক বছরে অন্তত ১২ জন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদত্যাগ করেছেন।
সর্বশেষ পদত্যাগ করেছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তিনি গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) পদত্যাগপত্র জমা দেন।
তিনি পদত্যাগের কারণ হিসেবে সরকারের পরিবর্তনের পর অভ্যন্তরীণ চাপ বৃদ্ধিকে উল্লেখ করেছেন। ব্যাংক সূত্র জানায়, কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক বোর্ড সদস্য অত্যন্ত সক্রিয় হওয়ায় অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
শেখ মারুফ ২০২৩ সালের অক্টোবরে ঢাকা ব্যাংকে যোগদান করেন। এর আগে তিনি সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার পদত্যাগ নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমাদের ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা ছিল না, তবে তিনি কিছু বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম মেনে চলেননি। পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে, সোমবার বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হবে।’
পড়ুন: সূচকের বড় উত্থান ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান নির্বাহীদের দায়িত্ববোধ এবং ব্যাংকিং নিয়ম অমান্য বা আর্থিক অনিয়মের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর ব্যাংক ব্যবস্থাপনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতার উপর জোর দিচ্ছেন, যার ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানের গোপন অনিয়ম প্রকাশ হচ্ছে।
নিয়ম অনুযায়ী, এমডি বা সিইও-এর মূল দায়িত্ব হলো সুশাসন নিশ্চিত করা। কোনো ধরনের আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়লে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে। বোর্ড সদস্যরা এমডিকে অনিয়মে জড়িত করার চেষ্টা করলে, এমডি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবহিত করবেন। প্রয়োজন হলে ব্যাংকিং বোর্ড বিলুপ্ত করার অধিকারও বাংলাদেশ ব্যাংকের আছে।
মূলত এই নিয়ম মানতে ব্যর্থ বা অনিয়মে জড়িত এমডিরা ধারাবাহিক পদত্যাগ করছেন। আগস্টের শুরুতেই আরও তিন ব্যাংকের এমডি — সাউথইস্ট ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক এবং কমার্স ব্যাংক — এক সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করেছেন।
এমডির পদত্যাগ তাৎক্ষণিক কার্যকর হয় না এবং এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন প্রয়োজন।
১১০ দিন আগে