বহুমুখী পরিবহন পরিকল্পনা
সরকার বহুমুখী পরিবহন পরিকল্পনা নিয়েছে: ফাওজুল কবির খান
সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, সরকার একটি বহুমুখী পরিবহন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যেখানে সব পথকে আমরা একত্র করে দেখব। সড়ক, রেল, নৌপথ যেখানে যেটি উপযুক্ত সেখানে সেটি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ভুমি অধীগ্রহণ একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। এখান থেকে বেরিয়ে অন্যান্য পরিবহনে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।
রবিবার (২৪ আগস্ট) সকালে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় ভোগড়া থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার ঢাকা বাইপাস সড়কের ১৮ কিলোমিটার অংশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
পড়ুন: চাকরি অধ্যাদেশের কিছু ধারা অপপ্রয়োগের আশঙ্কা আছে: ফাওজুল কবির
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দেশে দক্ষ প্রকৌশলী না থাকায় বাইরে থেকে লোক এসে সড়ক ও রেলপথ বানিয়ে দিয়ে যায়। অথচ আমাদের দেশের বুয়েট থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ার বের হয়। এটা অনেক লজ্জার বিষয়। সুতরাং বিদেশিদের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশে দক্ষ প্রকৌশলী তৈরির চেষ্টা করতে হবে।
তিনি বলেন, আশেপাশের দেশের তুলনায় আমাদের সড়কের নির্মাণ ব্যয় বেশি। এছাড়া এটি দুর্নীতির একটি বড় ক্ষেত্র। এগুলো কমানো গেলে রাস্তায় নির্মাণ ব্যয় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমানো সম্ভব।
পরে উপদেষ্টা ফিতা কেটে মহাসড়কের টোল প্লাজা ও প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এসময় তার সঙ্গে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন চৌধুরী, পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান, জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীনসহ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকরা জানান, পিপিপি ভিত্তিতে জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর সড়ক ঢাকা-বাইপাস ৪-লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্লাটি গাজীপুরের ভোগড়া থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক প্রকল্প।
সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সড়কের নকশা, নির্মাণ, অর্থায়ন, পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ ডিবিএফওটি মডেল অনুসরণে বাস্তবায়িত হচ্ছে। সড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-ময়মনসিংহ এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ককে সংযুক্ত করে।
রবিবার প্রকল্পের আওতাধীন ১৮ কিলোমিটার অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো। প্রকল্পের নির্মাণকাজ আগামী বছরের জুন মাসে সম্পন্ন হবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
ঢাকা বাইপাস সড়ক প্রকল্পের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আকন্দ বলেন, প্রকল্পের ফলে ঢাকা শহরে প্রবেশ ব্যতিরেকেই পণ্যবাহী যানবাহন কম সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর হতে ময়মনসিংহ, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে যাতায়াত করতে পারবে।
এতে একইসঙ্গে ঢাকা শহরের যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি হ্রাস পাবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ব্যবহারকারী ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
১০৩ দিন আগে