আয়
বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের ৩৩ শতাংশ ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়: ড. দেবপ্রিয়
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলাদেশ একটি অনিশ্চিত আর্থিক অবস্থার মধ্যে রয়েছে, যেখানে রাজস্বের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ঋণ পরিশোধে ব্যয় করা হয়।
ড. ভট্টাচার্যের মতে, সরকারের মোট ঋণের দুই-তৃতীয়াংশ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসে, যার ফলে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ প্রায় ৮৫০ ডলারে পৌঁছায়।
বৃহস্পতিবার(৪ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এশিয়া ফাউন্ডেশন-বাংলাদেশের অংশীদারিত্বে সিপিডি আয়োজিত 'বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের পরিস্থিতি: উদ্বিগ্ন হওয়ার কি কোনো কারণ আছে?' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
ড. দেবপ্রিয় বাংলাদেশের ঋণ কাঠামোর জটিলতার ওপর আলোকপাত করেন সেমিনারে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।
ড. দেবপ্রিয় পরিস্থিতির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, 'জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজস্ব ব্যয়ের ৩৪ শতাংশ ঋণ পরিশোধে বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, এই পরিসংখ্যানে অভ্যন্তরীণ ঋণের জন্য ২৮ শতাংশ এবং বৈদেশিক ঋণের জন্য ৫ শতাংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা মাত্র তিন বছরে ২৬ শতাংশ থেকে ৩৪ শতাংশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: এমপিদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি তদন্ত করতে হবে: সিপিডির মুস্তাফিজুর রহমান
কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ২০১৮-১৯ সাল থেকে ঋণ গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, রাজস্ব বাজেট এখন এতটাই টানাটানি যে, উন্নয়ন প্রকল্পে এক পয়সাও অর্থায়ন করা সম্ভব নয়।
ঋণ পরিশোধের বৃহত্তর প্রভাব তুলে ধরে ড. দেবপ্রিয় অর্থনীতিবিদদের সতর্কবাণীর প্রতি নীতিনির্ধারকদের প্রত্যাখ্যানমূলক মনোভাবের সমালোচনা করেন। তিনি ২০২৪ সালে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে দুই বছর আগে করা নিজের ভবিষ্যদ্বাণীর কথা উল্লেখ করেন। ২০২৫ সাল থেকে শুরু করে ২০২৬ সালে ঋণ পরিশোধে প্রত্যাশিত অস্বস্তির ওপর জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ.লীগ ছাড়া সবাই বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বন্ধ করতে চায়: সিপিডি
তিনি বেসরকারি খাতের ঋণের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, মোট ঋণের ৮০ শতাংশই সরকারি ঋণ, বাকি ২০ শতাংশ বেসরকারি খাত। তিনি দেশের দায় ও বিনিময় খাতে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রভাবের ওপর জোর দিয়ে ব্যক্তিগত ঋণ এবং এর ব্যবহার দেশে বা বিদেশে যেখানেই হোক না কেন, অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের আহ্বান জানান।
বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণ একত্রিত করে ড. ভট্টাচার্য মাথাপিছু দায়বদ্ধতার বোঝার উপর জোর দিয়েছিলেন, যা কেবল বৈদেশিক ঋণের জন্য ৩১০ ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ ঋণের ক্ষেত্রে প্রায় ৮৫০ ডলারে উন্নীত হয়। বাংলাদেশের ঋণ পরিস্থিতির এই সামগ্রিক বিশ্লেষণ সামনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় রাজস্বের ক্ষেত্রে বিচক্ষণতা ও কৌশলগত পরিকল্পনার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে।
আরও পড়ুন: এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার-সোনালির দাম বেড়েছে ১০-৩০ টাকা
৮ মাস আগে
ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
ব্যক্তির পারদর্শিতার জায়গাগুলোকে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর স্তরে নিয়ে গেছে হাল ফ্যাশনের স্বাধীন কন্টেন্ট নির্মাণ। ছোট ছোট বিষয়ে দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই নানা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন একদম কৈশোর থেকেই। এগুলোর মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয়গুলোর একটি হচ্ছে খাবারের মূল্যায়ন করা। এর শুরুটা মূলত ফুড ক্রিটিক থেকে, যেটি অনেক আগে থেকেই একটি স্বতন্ত্র মর্যাদা সম্পন্ন শিল্প। প্রযুক্তির ক্রমবিকাশে অনলাইন কন্টেন্টের সান্নিধ্যে এরই অবারিত অবতারণা ফুড ব্লগার এবং ফুড ভ্লগার। সদ্যপ্রাপ্ত কোনো স্বাদের অভিজ্ঞতা কেউ শব্দে প্রকাশ কছেন, কেউ বা ক্যামেরা হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রেস্তোরাঁ থেকে রেস্তোরাঁয়।
এই ধরনের কন্টেন্ট নির্মাণও হতে পারে ক্যারিয়ারের হাতিয়ার। আর ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির এই সম্ভাবনাময় পেশার নানা দিক নিয়েই আজকের নিবন্ধ। চলুন, একজন ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
যেভাবে একজন ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হয়ে উঠবেন
ফুড ব্লগিং বা ভ্লগিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা
হোক সে কলম হাতে ব্লগ লেখা অথবা ক্যামেরার সামনে কথা বলা; এ সময়ের একজন স্বাধীন ফুড ক্রিটিকের প্রথমেই কিছু দক্ষতা অর্জন আবশ্যক। চলুন দেখে নিই, এ ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা জরুরি।
খাবার ও রান্নার ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান
উদ্দেশ্য যখন খাদ্যের বিচার করা, স্বভাবতই তখন প্রথমেই এই বিচারের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এখানে রন্ধনশিল্প বা খাদ্যের উপর একাডেমিক কোনো ডিগ্রী নেওয়া জরুরি নয়। এমনকি পাকা রাঁধুনি হওয়ারও প্রয়োজন নেই। দরকার শুধুমাত্র বিষয়টির প্রতিটি প্রচণ্ড ভালো লাগা। আর এর উপর ভিত্তি করে বই ও ইন্টারনেটের তথ্য ভান্ডার থেকে জ্ঞানার্জনটা হবে স্বতঃস্ফূর্ত।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে বুফে খেতে যেসব রেস্তোরাঁয় যেতে পারেন
শুধু তাই নয়; এই তাড়না তাদেরকে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য ব্যবহারিক জ্ঞানার্জনের দিকেও ধাবিত করবে। যেমন- নতুন নতুন রেসিপি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, খাদ্যের ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব ইত্যাদি। এই প্রস্তুতি তাদের খাদ্যের খুটিনাটি বিশ্লেষণ করে তথ্যপূর্ণ সমালোচনা করার ক্ষমতা বিকাশে সহায়তা করবে।
এছাড়া একটি পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেল লেখার আগে তার প্রয়োজনীয় রসদ খোঁজার জন্যও মস্তিষ্কে সঠিক তথ্যের যোগান দরকার। এটি ক্যামেরার সামনে অনর্গল কথা বলে যাওয়ার জন্যও প্রযোজ্য।
গল্প বলার ও পরিবেশনের দক্ষতা
প্রতিটি রাঁধুনিই মানেন, শুধু রাধলেই হয় না, খাবারটিকে সুন্দর করে পরিবেশনও করতে হয়। রান্নার বাইরে যারা খাদ্য নিয়ে কন্টেন্ট বানাচ্ছেন, বিষয়টি তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। গবেষণা লব্ধ তথ্যগুলোর প্রকাশ হওয়া উচিত জটিলতা বিবর্জিত এবং সাবলীল। পাঠক পড়ার সময় যেন এই অনুভূতি পান, লেখক সরাসরি তাকে উদ্দেশ্য করেই কথা বলছেন।
এটি ব্লগারদের ক্ষেত্রে কঠিন হলেও ভ্লগারদের জন্য অনেকখানি সহজ। বলাই বাহুল্য- শব্দবহুল লেখা থেকে ছোট্ট ভিডিও উন্নত অভিজ্ঞতার সঞ্চার করতে পারে। এরপরেও একটি ভিডিও স্ক্রিপ্ট প্রস্তুত রাখা আবশ্যক। পরিকল্পিত চিত্রনাট্য অনুসরণ করা হলে শ্যুটের সময় ভুল-ভ্রান্তি কম হয়। এতে ভিডিওর পোস্ট-প্রোডাকশনে সময় বাঁচায়।
অনেক ব্লগার লেখার মাঝে প্রাসঙ্গিক ও মান সম্পন্ন ছবি যুক্ত করেন। এতে করে লেখার প্রতি পাঠকদের আকর্ষণ বাড়ে। এমনকি অনেকে ভিডিও সংযুক্ত করে দেন। ব্লগিং ও ভ্লগিংয়ের এই সংমিশ্রণটি অনেক বেশি পরিমাণে পাঠক ও দর্শক আকৃষ্ট করার একটি মোক্ষম উপায়।
আরও পড়ুন: বাজেটের মধ্যে ঢাকার সেরা ১০টি বুফে রেস্টুরেন্ট
১ বছর আগে
জাতীয় নির্বাচন: মাশরাফির আয় গতবারের চেয়ে অর্ধেকের বেশি কমেছে
নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজার বার্ষিক আয় ও গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ গতবারের (২০১৮ সালের নির্বাচন) চেয়ে অর্ধেকের বেশি কমেছে।
তবে স্থাবর সম্পত্তি, ব্যবহৃত গাড়ি ও আসবাব যা ছিল সেগুলো অপরিবর্তিত আছে।
বাংলাদেশ জাতীয় ওয়ানডে ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়কের একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচনী হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
মাশরাফি বছরে আয় ২০১৮ সালের হলফনামায় দেখানো হয় ১ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ৭০০ টাকা। এবার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ৮৮ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৮ টাকা।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: মোমেন, ইমরানের সম্পদ বেড়েছে, কমেছে নাহিদের
এর মধ্যে শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় বছরে ১৪ লাখ ১ হাজার ৯৯৩ টাকা, সম্মানী ও ভাতা থেকে ২৩ লাখ ৩ হাজার ২০ টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আয় ৫১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৫ টাকা। স্ত্রীর নামে নেই কোনো অস্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তি। গচ্ছিত আছে ৫০ তোলা স্বর্ণ।
গতবারের চেয়ে এবার নগদ অর্থ প্রায় ৪৩ লাখ টাকা বেড়েছে। গতবার নগদ অর্থ দেখানো হয় ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এবার দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ ৫৪ হাজার ৪০২ টাকা।
গতবার তার বাহন ও বাড়ির আসবাব হিসেবে যা যা দেখানো হয়, এবারও তাই দেখানো হয়েছে। তার বাহন হিসেবে আছে একটি প্রাইভেটকার, দু’টি মাইক্রো ও একটি জিপ (মূল্য ১ কোটি ৭৫ হাজার ৭ হাজার টাকা)।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচন: ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল, ১৯৮৫টি গৃহীত
বাসার আসবাব আছে ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার। স্থাবর সম্পদ হিসেবে গতবার হলফনামায় যা ছিল এবারও তাই দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে আছে নিজ নামে ৩ একর ৬১ শতাংশ জমি (অর্জনকালীন সময়ে এর মূল্য ৩৭ লাখ টাকা)। ঢাকার পূর্বাচলে একটি প্লট (অর্জনকালীন সময়ে এর মূল্য ৮ লাখ ২৪ হাজার টাকা)। মিরপুরে একটি ৬ তলা ও একতলা ফ্ল্যাট বাড়ি (এ দু’টির মূল্য ৪৭ লাখ ৫০ হাজার ও ১ কোটি ৮ লাখ টাকা)।
হলফনামা অনুযায়ী, ২০১৮ সালে অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত ছিল ৬ কোটি ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ৫১ টাকা। এবার ব্যাংক, বন্ড, ঋণপত্র, পোস্টাল, সেভিংস, সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতে গচ্ছিত দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৪ হাজার ২২৯ টাকা।
এর মধ্যে তিনটি ব্যাংকে গচ্ছিত আছে ১ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮৬০ টাকা এবং বন্ড, ঋণপত্রে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ২ কোটি ৪৫ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬৯ টাকা। এদিকে সিটি ব্যাংক থেকে লোন (হোম লোন) নেওয়া আছে ৮৯ লাখ ৭ হাজার ৭৭৫ টাকা।
আরও পড়ুন: মনোনয়ন ফরম বিক্রিতে আ. লীগের আয় ৪ দিনে ১৬.৮১ কোটি টাকা
১ বছর আগে
মনোনয়ন ফরম বিক্রিতে আ. লীগের আয় ৪ দিনে ১৬.৮১ কোটি টাকা
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মাত্র ৪ দিনে ৩০০ আসনে ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করে মোট ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা আয় করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
যার অর্থ দাঁড়ায়- শুধু মনোনয়ন ফরম বিক্রি থেকে দলটি প্রতিদিন গড়ে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি আয় করেছে, যদিও গত দুই দিনে ধীরগতি দেখা গেছে। প্রথম দিন শনিবার থেকে ব্যাপক বিক্রি শুরু হওয়ায় দলীয় কোষাগারে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা জমা পড়ে। এরপর রবিবার ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার মধ্যে দিয়ে আরও লাভজনক একটি দিন পার হয়।
তুলনামূলকভাবে বলতে গেলে, দেশের ফ্ল্যাগশিপ উন্নয়ন প্রকল্প পদ্মা বহুমুখী সেতু থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার প্রথম দিনে (২৬ জুন, ২০২২) মাত্র ২.০৯ কোটি টাকা টোল আদায় হয়। প্রথম ৪ দিনে মোট আদায়ের পরিমাণ ছিল ৮ কোটি টাকার উপরে। ২০২৩ সালের ২৮ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার টোল আদায় হয়।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন সাকিব
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ঢাকা বিভাগে ৭৩০টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৫৯টি, খুলনায় ৪১৬টি, রাজশাহীতে ৪০৯টি, রংপুরে ৩০২টি, ময়মনসিংহে ২৯৫টি, বরিশালে ২৫৮টি এবং সিলেট বিভাগে ১৭২টি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (১৮ নভেম্বর) তার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মাধ্যমে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির উদ্বোধন করেন।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, মনোনয়ন ফরম বিক্রির সংখ্যা কমে গেলেও ২০১৮ সালের তুলনায় আওয়ামী লীগ অনেক বেশি আয় করেছে, সেসময় তারা ৪ হাজার ১০০ ফরম বিক্রি করে ১২ কোটি ৩২ লাখ টাকা আয় করেছিল।
আরও পড়ুন: আবারও নড়াইল ২ আসনের আ. লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন মাশরাফি
মূলত বর্ধিত আয়ের পেছনে রয়েছে মনোনয়ন ফরমের ফি বৃদ্ধি। ২০১৮ সালে প্রতিটি ফরমের দাম ছিল ৩০ হাজার টাকা, এ বছর তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
এ বছর মোট ৩ হাজার ৩৬২টি ফরমের মধ্যে অনলাইনে বিক্রি হয়েছে মাত্র ১২১টি ফরম।
২০২৫ সালে ক্রিকেট থেকে অবসরের পরিকল্পনা করা ক্রিকেট সুপারস্টার সাকিব আল হাসানের মতো সেলিব্রিটিদের আকৃষ্ট করেছে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে। ২০২৯ সাল পর্যন্ত ৫ বছরের মেয়াদের সংসদ নির্বাচনে সাকিবের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার প্রতিনিধিরা মাগুরার দু’টি ও ঢাকার একটি আসনে মোট ৩টি মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
গত ১৯ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন ডলার
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং মোট ৭২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
এসময়ে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাতের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ বিলিয়ন ডলার।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি চলতি অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের এই লক্ষ্যমাত্রার কথা জানান।
আরও পড়ুন: বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
২০২২-২৩ অর্থবছরের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, এই অর্থবছরে ৬৪ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করা হয়েছে। যা ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই অর্থবছরে ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন মূল্যের পণ্য এবং ৯ বিলিয়ন মূল্যের পরিষেবা রপ্তানি করা হয়েছিল এবং প্রবৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ৬ দশমিক ৬৭ এবং ১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
ঘোষণার আগে মন্ত্রী বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা সাশ্রয়ী মূল্যে শিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়া রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তারা মন্ত্রীকে বলেন।
নতুন রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণার সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সময় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা বিবেচনা করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সময় গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকটও বিবেচনা করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষিত শ্রমশক্তি এবং পণ্যের সাশ্রয়ী মূল্যসহ বাংলাদেশের কিছু সুবিধা রয়েছে।
এছাড়াও, বিশ্বব্যাপী উদ্যোক্তারা ভূ-রাজনৈতিক কারণে চীন থেকে শিল্প স্থানান্তর করছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ভিয়েতনামেও শ্রমিক সংকট রয়েছে। এসব সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ
ভারতে নির্বাচন, হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
১ বছর আগে
২৩’ অর্থবছরে আরএমজি পণ্য রপ্তানি আয় ৪৭ বিলিয়ন ডলার, মোট আয়ের ৮৫%
২০২৩’ অর্থবছরের জুন মাসে মোট ৫ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের মধ্যে, শুধুমাত্র আরএমজি পণ্য রপ্তানি করে ৪ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে; যা এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই খাতের মোট রপ্তানি আয় ৪৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার।
আরএমজি রপ্তানি প্রধানত দুটি বিভাগ নিয়ে গঠিত- ওভেন ও নিটওয়্যার।
সোমবার বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, জুন মাসে রপ্তানি করা পোশাকের মধ্যে ১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারের ওভেন পোশাক এবং ২ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারের নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলার, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ
২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মোট ২১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার ওভেন এবং ২৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে।
সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, তাই আরএমজি রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেকর্ড ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করেছে।
তাই আরএমজি খাতের আয়ের পরিমাণ মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ মে মাসে ৪.০৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে
১১ মাসে রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৫০.৫২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: ইপিবি
১ বছর আগে
দিশেহারা সাধারণ আয়ের মানুষ, ফের বাড়ছে পোল্ট্রি মুরগির দাম!
খাদ্যের দাম বেশির কারণ দেখিয়ে খুলনার বাজারে ফের দাম বাড়তে শুরু করছে গরীবের একমাত্র আমিষের চাহিদা পূরণের ভরসা ব্রয়লার মুরগির। খুলনার বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও রাতারাতি হরিলুটের মতো চার থেকে পাঁচদিনের ব্যবধানে ১৯০টাকার ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।
বাজারের বর্তমান দৃশ্যমান দামের আগে শীতকালীন সময়ে টানা কয়েকমাস ১৪০ টাকা কেজি দরে স্থিতিশীল ছিল ব্রয়লার মুরগির দাম। তা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে বাড়তে ২৪০টাকা দরে পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
প্রতিদিনই খুলনার বিভিন্ন অঞ্চল- তালা, বটিয়াঘাটা, তেরখাদা, কৈয়া বাজার, ডুমুরিয়া, ফুলতলা, জামিরা, পথের বাজার, দিঘলিয়াসহ স্থানীয় এলাকার খামার হতে মুরগি আসে খুলনার খুচরা বাজারে।
রমজানকে ঘিরে খুলনা মহানগরী এলাকার রূপসা নতুন বাজার, জোড়াকল বাজার, সন্ধ্যা বাজার, বয়রা বাজার, বৈকালি বাজার, দৌলতপুর বাজার, খালিপুর বাজারসহ স্থানীয় এলাকার বাজারসমূহে জাতীয় ভোক্তা ও অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কেসিসি কর্তৃক মোবাইল কোর্ট, জেলা প্রশাসনের অভিযানসহ অন্যান্য সংস্থা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে করার ফলে বাজারে বিভিন্ন পণ্যের নিয়মবর্হিভূত কেনাবেচা অনেকটাই রোধ হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। মাত্র তিন দিনের মাথায় কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
রেডি মুরগির বাচ্চা সরবরাহকারী পরিবেশক ও খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ খাতে কর্পোরেট গোষ্ঠী তাদের ইচ্ছেমতো ফিড ও মুরগির দাম বাড়াচ্ছে, আর সেই দাম মেনে নিয়ে প্রান্তিক খামারিরা উৎপাদন করলে বাজারে দাম কমিয়ে দিয়ে লোকসানে ফেলা হচ্ছে তাদের। এতে করে প্রান্তিক খামারিরা উৎপাদন থেকে ছিটকে পড়ছে।
আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা কেজি, কমেছে ডিমের দাম
তারা আরও জানান, বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানির সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিনিয়ত পোল্ট্রি মুরগির দাম ওঠা নামা করছে। ওই কোম্পানিগুলো গোটা বাংলাদেশে এই খাতের ব্যবসাটাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করছে। খাদ্যে ও বাচ্চার দাম বৃদ্ধির জন্য কতিপয় কোম্পানি, কন্ট্রাক্ট ফার্মের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিসহ কিছু কর্মকর্তার কারসাজিতে চাহিদার তুলনায় বাচ্চা কম উৎপাদন করে রেডি মুরগির কৃত্রিম সংকট করছে, যার প্রভাব গোটা বাংলাদেশের উপর পড়ছে।
ফুলতলা আলকা ট্রান্সপোর্ট বাজার ফুলতলার মিতু পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিড’র সত্ত্বাধিকারী এবং কাজী ফার্মস’র পরিবেশক রেজাউল ইসলাম সরদার জানান, গোটা বাংলাদেশের পোল্ট্রি খাতের যারা মাথা, তারা হাজার হাজার ডিলারদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। মুষ্টিমেয় কিছু ব্যবসায়ী এই খাতটাকে নিয়ে খেলছে। আমি কাজী ফার্মের পরিবেশক। গোটা দেশে আজ পোল্ট্রি খাতে যে দামের ওঠা নামা চলছে, তা মাত্র কয়েকটি কোম্পানির কারণে হচ্ছে। তারা এ খাতটাকে জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশে বাচ্চা উৎপাদনে এই কোম্পানিতে লিডিংয়ে রয়েছে তারা। গোটা বাংলাদেশে যে বাচ্চা উৎপাদন হয়, তার ৫০ হতে ৭০ শতাংশ বাচ্চাই কাজী ফার্মের।
খামারিরা জানিয়েছেন খাদ্যের ও বাচ্চার দাম বেশি। রবিবার (২ এপ্রিল) প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি স্থানীয় এলাকার খামারিদের কাছ থেকে ১৯০ টাকা দরে পাইকারি দরে কিনে এনেছি। খুচরা বিক্রি করেছি প্রতি কেজি ২১০ টাকা দরে। খামারিরা যে দাম কাটে তা হতে কিছু লাভে বিক্রি করি।
মুরগি বিক্রেতা মোস্তাক বলেন, কোম্পানি রেট, খাবার ও বাচ্চার দাম বেশির কারণেই মুরগির দাম বেশি। আর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কোম্পানি।
ক্রেতা রাজিব জানান, মাঝে ১৪০ টাকা ব্রয়লার মুরগি ধাপে ধাপে ২৪০টাকা পর্যন্ত হয়েছিল। হাতে গোনা কয়েকদিন আগে সেই মুরগি ১৯০ টাকা হওয়ার বেশ স্বস্তি নেমেছে ক্রেতাদের মাঝে। গরুর গোস্ত যাদের কেনার সমার্থ নেই, মুরগি তাদের অন্যতম ভরসা। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো- হঠাৎ আবার মুরগির দাম বাড়তে শুরু করেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করছি।
কেসিসি’র বাজার সুপারভাইজার মো. মাজেদ মোল্লা জানান, মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে পবিত্র মাহে রমজানে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করছে কেসিসি। বাজারে যেহেতু ব্রয়লারের দাম বাড়তির ব্যাপারে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে বাজার মনিটরিং করা হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. ইব্রাহিম হোসেন জানান, ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান কাজ। জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত বাজার মনিটরিং, ভেজাল, মূল্য প্রদর্শন, পচাবাসী খাবার, মানহীন পণ্য, মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্যসহ বিবিধ বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। চলতি রমজানে আমরা নিয়মিত বিভিন্ন বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। ইতোপূর্বেও আমরা নানামুখী বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি। নতুন করে আবার মুরগির দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে আমরা মার্কেট মনিটরিং করব। দামের কারসাজিতে যারা যুক্ত থাকবেন তাদের ব্যপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসিন আরেফীন জানান, আগের থেকে মুরগির দাম বেশ কমে এসেছিল। তবে যেহেতু নতুন করে বাড়তির দিকে যাচ্ছে, আমরা আবার মনিটরিংয়ের কাজ শুরু করবো।
আরও পড়ুন: খুলনায় খামারে দাম কমলেও বাজারে কমেনি পোলট্রি মুরগির দাম
১ বছর আগে
শখের পোষা পাখি এখন তামিমের আয়ের উৎস
দোতলা বাড়ির ছাদে টিনের ছাউনির ঘর। ঘরের চারপাশ কাঠ ও তারের নেট দিয়ে ঘেরা। খামারের ভেতর কবুতরের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন জাতের পাখি। পাখির কিচিরমিচিরে বাড়িটি সবসময় মুখরিত থাকে।
বাসার কাছে আসতেই শোনা গেল পাখির কলরব। ছাঁদে গিয়ে আটকে গেল চোখ। সুন্দর পরিচ্ছন্নভাবে সাজানো পাখির খাঁচা।পাখিগুলোর মধ্যে কোন কোন পাখি ওড়াওড়ি করছে। কোন পাখি বানাচ্ছে বাসা। মনোরম সব দৃশ্য দেখতে পাখিপ্রেমীরা আসছেন এই পাখির খামারে। কেউ কেউ আবার পাখি কিনছেনও।
খামারটি তামিমের। তামিম এখানে পরিচিত ‘পাখি তামিম’ নামে।
তামিম ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরশহরের বাসিন্দা মো. মোকসেদ আলীর ছেলে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট সে। ঢাকা কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন তিনি।
তামিম জানান, পাখির প্রতি ভালোবাসা থেকেই ২০১৪ সালে অনার্সে পড়ার সময় ঢাকার কাঁটাবনের একটি পাখির খামার থেকে প্রথমে দুটি বাজরিগার পাখি নিয়ে এসে বাসার ছাদে একটি খাঁচায় রাখেন। পরবর্তীতে সেই পাখি বাচ্চা দিলে সেটিকে বড় পরিসরে করার চিন্তা করেন তামিম।
আরও পড়ুন: শখের বসে গৃহিণী থেকে সফল খামারি
১ বছর আগে
মোবাইলে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারীদের প্রত্যাবাসন (বৈদেশিক মুদ্রা স্থানীয় মুদ্রায় রূপান্তর) রপ্তানি আয় এবং অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্সের লেনদেনে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তথ্য প্রযুক্তি সক্ষম পরিষেবা (আইটিইএস) রপ্তানির কারণে সমস্ত অনুমোদিত ডিলার এমএফএস প্রদানকারীদের ইনওয়ার্ড রেমিটেন্সের বিপরীতে নগদকরণ সনদপত্র প্রদান করবে।
বৈদেশিক মুদ্রা প্রাপ্তি সহজতর করতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নির্দেশনা জারি করে।
আরও পড়ুন: আইএমএফের হিসাবে আরও কমে যাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ!
এতে বলা হয় যে বৈদেশিক মুদ্রার সমস্ত অনুমোদিত ডিলার এবং সমস্ত লাইসেন্সপ্রাপ্ত এমএফএস প্রদানকারীকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একাধিক দেশে চালু ওপিজিএসপিএস বা ডিজিটাল ওয়ালেট অথবা অ্যাগ্রিগেটর এবং আইটিইএসকে রপ্তানি আয় আহরণের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এই প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং তা অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত ডিলার এবং এমএফএস প্রদানকারীদের কাছে পাঠিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণকারী অনুমোদিত ডিলাররা ইলেকট্রনিকভাবে এমএফএস প্রদানকারীদের অনুরোধের ভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্সের সমর্থনে নগদকরণ সনদপত্র প্রদান করবে।
এক্ষেত্রে অনুরোধটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হওয়া তথ্য-সুবিধাভোগীর নাম, ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট নম্বর, টাকার পরিমাণ, ক্রেডিট তারিখ- বিদেশে রেমিটেন্স পরিষেবা প্রদানকারীকে সমর্থন করা প্রয়োজন।
তথ্য সম্পর্কিত তাদের নিজস্ব স্ক্রীনিং প্যারামিটারের ওপর ভিত্তি করে মনোনীত অনুমোদিত ডিলাররা এমএফএস প্রদানকারীদের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য কিউআর কোডসহ একটি ইলেকট্রনিক নগদকরণ সনদপত্র (ঘের এ অনুযায়ী) তৈরি করবে।
সনদপত্রটি শুধুমাত্র আয়করের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য আছে ১.৬৯ লাখ কোটি টাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঋণের সীমা তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
২ বছর আগে
বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ প্রবাহ ২৪.৩৮% কমেছে: ইআরডি
বিগত অর্থবছরের তুলনায় চলতি (২০২২-২০২৩) অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণ প্রবাহ ২৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ কমেছে। যা ৮৬ দশমিক ৪৩ কোটি মার্কিন ডলার।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ৮৬ দশমিক ৪৩ কোটি মার্কিন ডলার পেয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল এক দশমিক ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বৈদেশিক ঋণের ২৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ হ্রাস দেখায়।
বিগত আর্থিক বছরের ধারাবাহিকতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের প্রবাহে লাফ দেয়া শুরু করেছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম জুলাই মাসে প্রায় ৪৯ কোটি মার্কিন ডলার বৈদেশিক ঋণ দেশে এসেছে যা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ৪৮ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি।
কিন্তু, আগস্টে তা কিছুটা হোঁচট খেয়েছে। দাতারা এ মাসে ৩৭ দশমিক ৬৩ কোটি মার্কিন ডলার পাঠানো বন্ধ করেছে। যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২৩ শতাংশ কম।
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা: বিবি
করোনা মহামারির পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে উল্টে যাওয়া বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে স্বল্প সুদে বৈদেশিক ঋণ পাওয়ার রেকর্ড গড়েছে। দাতারা এই অর্থবছরে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বৈদেশিক ঋণ মওকুফ করেছে।
বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের শাখা ইআরডি বিদেশি ঋণ মওকুফের এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায় যে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) দাতাদের কাছ থেকে ৮৬ দশমিক ৪৩ কোটি মার্কিন ডলার গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য এসেছে ৮৩ দশমিক ২৯ কোটি মার্কিন ডলার। আর প্রাপ্ত অনুদান হল তিন দশমিক ১৪ কোটি মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার পদ্ধতি
গত বছরের একই সময়ে প্রকল্প সহায়তা ছিল এক দশমিক ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে অনুদান এসেছে তিন দশমিক ৪২ কোটি মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ বাড়তে থাকে। একই বছরে বৈদেশিক ঋণ এক লাফে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ছয় দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। তারপর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঋণ ছিল ছয় দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: শেয়ার বাজার কারসাজিকারীকে চিহ্নিত করতে ৬-১২ মাস সময় লাগে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
২ বছর আগে