বাবা
বাবা-ছেলের ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে চাচার মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাবা-ছেলের কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া থামাতে গিয়ে ভাতিজার ছুরির আঘাতে ইসমাইল হোসেন (৬৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে জেলার ভোলাহাট উপজেলার ঝাউবোনা গ্রামে নিজ বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, রাত ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে বাবা মিলন ও তার ছেলে রবিউল পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া করছিল।
এ সময় চাচা ইসমাইল তাদের থামাতে গেলে ভাতিজা রবিউল বুকে, পেটে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: ভারতের বিহারে ধর্মীয় উৎসবের সময় পানিতে ডুবে ৪৬ জনের মৃত্যু
১ মাস আগে
ধলেশ্বরী নদীতে সাঁতার শেখাতে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে বাবাও নিখোঁজ
বাড়ির পাশের ধলেশ্বরী নদীতে ১১ বছর বয়সী মেয়ে রাফা আক্তারকে সাঁতার শেখার একপর্যায়ে নদীর পানিতে হঠাৎ ডুবে নিখোঁজ হয় মেয়ে।
তাকে উদ্ধারচেষ্টার সময় বাবাও নিখোঁজ হয়েছেন। বুধবার সকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বারাহির চর খেয়াঘাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের পরদিন প্রতিবেশীর সেপটিক ট্যাংক থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
রাফা জামালপুর গ্রামের মহিদুর রহমানের (৫০) মেয়ে এবং স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মহিদুর পেশায় ব্যবসায়ী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাফাকে সাঁতার শেখাতে ধলেশ্বরী নদীতে নিয়ে যান মহিদুর। প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে সাঁতার কাটার চেষ্টার একপর্যায়ে বোতলের মুখ খুললে এর ভেতরে পানি ঢুকে যায়। ফলে রাফা পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় মেয়েকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাবা নিখোঁজ হন।
খবর পেয়ে সিঙ্গাইর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ও আরিচা স্থল কাম নদীবন্দর ফায়ার স্টেশনের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। সবশেষ তথ্যানুযায়ী তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ডুবুরি দলের নেতা দেওয়ান মো. জাহিদুর রহমান বলেন, বাবা ও মেয়েকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: রাতে নিখোঁজ, সকালে ঘরের পেছন থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ মাস আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে ২ ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যুর
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে দুই ছেলের মারধরে নাজিম উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর পলাতক তার দুই ছেলে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নে পিঁয়াজু পাড়া গ্রামে মারধরের ঘটনাটি ঘটে।
নিহত নাজিম উদ্দীন (৫২) ওই গ্রামের টেপু মোহাম্মদের ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন- আলাল হোসেন (২৭) ও সাইফুল ইসলাম (২০)।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের মারধর, চিকিৎসাসেবা বন্ধ
নিহত নাজিম উদ্দীনের চাচি মাসুমা খাতুন বলেন, সোমবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাজিমের দুই ছেলে আলাল ও সাইফুল তার বাবাকে মাঠ থেকে বাসায় ধরে এনে মারধর করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে এলেও দুই ছেলের হুমকি ও গালিগালাজের কারণে তাকে সাহায্য করতে পারেননি।
নিহতের চাচাতো বোন মুক্তা আক্তার বলেন, মারধরের পর বাড়ির বারান্দায় শুইয়ে রাখা হয় নাজিমকে। পরে রাত ৮টার দিকে স্থানীয়দের চাপের মুখে নাজিমকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, নাজিমকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আনে হাসপাতালে। মৃত ঘোষণার পরই তাকে নিয়ে চলে যায় স্বজনেরা।
আরও পড়ুন: ঢামেকে মারধর ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
পাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বলেন, দুই ছেলের মারধরেই নাজিমের মৃত্যু হয়। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া লাশ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি ফিরোজ কবির।
আরও পড়ুন: নাটোরে রিকশাচালককে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
২ মাস আগে
মাদক কেনার টাকা না দেওয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগ, ছেলে আটক
চুয়াডাঙ্গায় মাদক কেনার টাকা না দেওয়ায় ছেলে শিশির আহম্মেদের বিরুদ্ধে তার বাবা আব্দুস সোবহানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় শিশিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার থানাপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত আব্দুস সোবহান একজন সাবেক নৌ বাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন।
এদিকে গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মা-ছেলেসহ তিনজনকে হত্যা
স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আব্দুস সোবহান ব্যাংক থেকে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা তোলেন। ওই রাতেই তার ছেলে শিশিরের সঙ্গে গণ্ডগোল বাধে। পরে দিন বুধবার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বাবা ও ছেলের মধ্যে হট্টগোল চলে। ওই দিন মাঝ রাতে সোবহানের চিৎকার শোনেন প্রতিবেশীরা। এরপর থেকে সোবহানকে বাইরে দেখেনি এলাকাবাসী। শনিবার বাড়ির দ্বিতল ভবন থেকে পচা গন্ধ বের হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের ভাইয়ের মেয়ে গুলশান আরার ভাষ্য মতে, তার চাচাতো ভাই শিশির বখাটে ও নেশাগ্রস্ত ছিল। কোনো কাজকর্ম করত না। নেশার টাকা জোগাতে না পেয়ে তার বাবার সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। পরে শনিবার দুপুরে পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, প্রতিবেশীদের খবরে নিহতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সোবহানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মাথায় ও শরীরের আঘাতে চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলে শিশিরকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সীমান্তে বিএসএফের হত্যাকাণ্ডকে 'নির্মমতা' বললেন ইউনূস
যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর এ পর্যন্ত ৩০টি হত্যাকাণ্ডে ১৩১ প্রাণহানি
২ মাস আগে
সাভারে বাবা-শিশু সন্তানের লাশ উদ্ধার
সাভার আমিন বাজারের একটি প্লট থেকে বাবা ও দেড় বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ৪টার দিকে কেবলারচর রূপালী সৈকত কল্যাণ সমিতির প্লট থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- ফুয়াদুল ইসলাম (৫৫) ও তার দেড় বছরের শিশু সন্তান আশিক। তাদের বাড়ি মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার কাজিপুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: সাভারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত দুই-তিন আগে জয় নামের ওই যুবক নিহত ব্যক্তির কয়েকটি গরু বিক্রি করার চেষ্টা করছিল। পরে তারা গরু বিক্রিতে বাধা দিলে ওই যুবক আত্মগোপনে চলে যায়।
তাকে আটক করলে হত্যার রহস্য উৎঘাটন হবে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
পুলিশ জানায়, ফুয়াদুল কয়েক বছর ধরে রূপালী সৈকত কল্যাণ সমিতির নির্জন এলাকায় একটি খালি প্লটে কয়েকটি গরু লালন পালন শুরু করেন। সঙ্গে তার তার দেড় বছরের শিশু সন্তান থাকত। সেখানে গরুকে খাস খাওয়ানোর জন্য জয় নামের এক যুবককে দেখভাল করার জন্য রাখেন।
দুর্বৃত্তরা বাবা ও শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ প্লটের একটি কাশবনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরে সোমবার বিকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনার পর থেকে জয় নামের ওই যুবক পলাতক রয়েছেন।
এবিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল ইসলাম বলেন, বাবা ও শিশু হত্যার ঘটনায় ঘাতকদের আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: সাভারে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-বিজিবি-ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
২ মাস আগে
পঞ্চগড়ে মেয়েকে ধর্ষণ, বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড
পঞ্চগড়ে ১৬ বছর বয়সি মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবা সাইফুল ইসলামকে (৪৯) আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৩০ জুন) পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) বিএম তারিকুল কবির এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে জেএমবির ২ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এর আগে, ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর ভুক্তভোগী তরুণীর মা বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরে মামলার ৭ মাসের মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্ন করে এ দণ্ডাদেশ দেন বিচারক।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৫ বছর আগে দুই মেয়ে ও দুই ছেলে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলেন মামলার বাদী। এদিকে, গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাবার বাড়িতে যায় ভুক্তভোগী। পরে ২৪ সেপ্টেম্বর বাবার ঘরেই আলাদা বিছানায় রাতে ঘুমাচ্ছিল মেয়েটি। এই সুযোগে বাবা সাইফুল ইসলাম তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন।
পরে মেয়েকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। এতে ভুক্তভোগী মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলাটি তদন্ত করে গত ২৮ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) শামছুজ্জোহা সরকার।
পরে ৭ মাস ধরে ৮ জনের সাক্ষ গ্রহণ শেষে ও মামলার বিচারকাজ শেষে আদালত রবিবার এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামি পক্ষের আইনজীবী আহসান উল্লাহ আল হাবিব লাবু বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আদালতে গিয়ে মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।
পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আজিজার রহমান আজু বলেন, এ রায় সমাজের জন্য একটি বার্তা। এতে করে অপরাধীরা অপরাধ করতে আর সাহস পাবে না।
আরও পড়ুন: নাটোরে হেরোইন পাচার মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সুইজারল্যান্ডে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ধনকুবেরসহ পরিবারের ৪ জনের কারাদণ্ড
৪ মাস আগে
ডেমরায় ছেলের আঘাতে বাবার মৃত্যুর অভিযোগ
ঢাকার ডেমরায় ছেলের আঘাতে ৬৫ বছর বয়সী এক বাবা নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত উন্মেষ সরকার রাজধানীর ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার সুরেশ সরকারের ছেলে।
আরও পড়ুন: কাভার্ডভ্যানের পেছনে ধাক্কা, পিকআপ চালক নিহত
সোমবার (২৭ মে) বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের নাতি অঙ্গন মিত্র জানান, তিনি শুনেছেন উম্মেশ সরকারকে তার নিজের ছেলে বিষ্ণু সরকার আঘাত করেছিলেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, নিহতের বুকের বাম পাঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নিহতের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে ডেমরা থানা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: যশোরে বাস উল্টে নিহত ২, আহত ৪
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে নিহত ৭
৫ মাস আগে
বাবার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে শিশুর মৃত্যু
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় বাবার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে রেদোয়ান আহমদ (১২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার আটগ্রামের নোয়াগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু
নিহত রেদোয়ান ওই গ্রামের মাসুক আহমেদের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদরাসায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাবার সঙ্গে রেদোয়ান ও তার এক ভাই বাড়ির পাশে মাছ ধরতে যায়। এ সময় হালকা বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে রেদোয়ান গুরুতর আহত হয়। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিদুল হক সজল বলেন, পরিবারের আবেদনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম কুড়ানোর সময় বজ্রপাতে শিশুর মৃত্যু
জৈন্তাপুরে বজ্রপাতে ফুটবল খেলোয়াড় নিহত
৬ মাস আগে
ছেলে হত্যা মামলায় বাবা-মায়ের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবা হেলাল শেখ ও সৎ মা জেসমিন বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বিকালে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: হেরোইন বহনের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
তবে রায় প্রদানের সময় আসামি হেলাল ও জেসমিন পলাতক ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, হেলাল ২০০৪ সালে জোৎস্না বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে আজিজুল নামে এক প্রতিবন্ধী ছেলের জন্ম হয়। ২০১৩ সালের শুরুর দিকে হেলাল শেখ জেসমিন নামে আরেক নারীকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে জ্যেৎস্না বেগমকে নির্যাতন করতেন হেলাল ও জেসমিন। স্থানীয় সালিশে জ্যেৎস্নার ছেলে আজিজুল মাকে নির্যাতনের কথা প্রকাশ করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৩ সালের ২৬ জুলাই কীটনাশক ফুরাডন (বিষ) খাইয়ে আজিজুলকে হত্যা করেন আসামিরা।
এ ঘটনায় পরদিন ২৭ জুলাই জ্যোৎস্না বেগম বাদী হয়ে তার স্বামী হেলাল ও তার সতিন জেসমিনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ৩০ জুন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিরাজুল ইসলাম আজিজুলকে হত্যার দায়ে বাবা হেলাল শেখ ও সৎ মা জেসমিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের কৌঁসুলি নাওয়াব আলী মৃধা বলেন, সন্তান হত্যার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। এ রায় পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সুস্থতা আনতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৬ মাস আগে
সিলেটে বাবাকে খুনের অভিযোগে ছেলে আটক
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় পারিবারিক কলহের জেরে বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার মোগলাবাজার থানার সিলাম ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত তপন মিয়া রুস্তমপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দোকান কর্মচারীর হাতে আরেক কর্মচারী খুনের অভিযোগ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কহলের জেরে ছেলে আনছার মিয়া তার বাবা তপন মিয়াকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন। পরে আশপাশের লোকজন এসে ছেলেকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে তাকে আটক করে।
মোগলাবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুকুল আহমদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এছাড়া ঘাতক ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে।
তিনি আরও জানান, এবিষয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি। মামলা দায়েরের পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পাবনায় ১ হাজার টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
সিলেটে প্রবাসী যুবক খুন!
৮ মাস আগে