যুদ্ধবিরতি
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই শনিবার ইসরায়েলি হামলায় দক্ষিণ লেবাননে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা (এনএনএ) এ তথ্য জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের বিনতে জাবেইল জেলার বেইত লিফ গ্রামে ইসরায়েলি বিমান হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া, দক্ষিণ লেবাননের দেইর সিরিয়ান গ্রামে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এনএনএ আরও জানায়, ২৪ নভেম্বর বৈরুতের বাস্তা এলাকায় একটি আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় চার সিরীয় নাগরিক নিহত হন। বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো সেসব লাশ উদ্ধার করে।
ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায় ১৪ মাস ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ২৭ নভেম্বর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
চুক্তির অধীনে, উভয় পক্ষ ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে ইসরায়েল ধীরে ধীরে দক্ষিণ লেবানন থেকে তার সেনা প্রত্যাহার করবে এবং হিজবুল্লাহ লিতানি নদীর উত্তর দিকে সরে যাবে।
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও, উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। ফলে চুক্তির স্থায়িত্ব সম্পর্কে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
২ সপ্তাহ আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভেটো দিল যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় ইসরায়েল-হামাসের চলমান যুদ্ধ বন্ধে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকা বলেছে, বুধবারের (২০ নভেম্বর) উত্থাপিত প্রস্তাবটিতে হামাসের হাতে এখনও আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের তাৎক্ষণিক মুক্তির বিষয়টি নেই।
এদিকে লেবাননে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অগ্রগতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, তার দেশ যুদ্ধ বন্ধের যেকোনো চুক্তিতে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের অধিকার চায়।
লেবাননের সরকার সম্ভবত এ ধরনের যেকোনো দাবিকে তার দেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে দেখবে।, যা ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সেপ্টেম্বর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সর্বাত্মক যুদ্ধের অবসানের প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলবে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলা ও স্থল যুদ্ধে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ হাজার মানুষ। যুদ্ধের কারণে প্রায় ১২ লাখ মানুষ বা লেবাননের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
অন্যদিকে রকেট, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের ৮৭ সেনা ও ৫০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের অভিযানের পরদিন থেকেই ইসরায়েলে গোলাবর্ষণ শুরু করে হিজবুল্লাহ।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক যুদ্ধে প্রায় ৪৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। ৭ অক্টোবরের হামাসের ওই হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং আরও ২৫০ জনকে অপহরণ করা হয়। গাজার অভ্যন্তরে প্রায় ১০০ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে। যাদের অন্তত এক তৃতীয়াংশ নিহত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ত্রাণের ট্রাক লুট, ২০ জনকে হত্যা করেছে হামাস
১ মাস আগে
গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরায় শুরুর ইঙ্গিত ব্লিংকেনের
মধ্য গাজা উপত্যকায় বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় নেওয়া একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছে, যাদের প্রায় সবাই নারী ও শিশু।
বৃহস্পতিবার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে চালানো এই হামলায় আরও ৪২ জন আহত হয়েছেন।
আওদা হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সী ১৩ শিশু এবং তিনজন নারী রয়েছেন।
কোনো প্রমাণ ছাড়াই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা স্কুলের ভেতরে হামাস সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল হামাস
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি স্কুলে তৈরি আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তাদের দাবি তারা বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা হামাস সেনাদের লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে। তবে এসব হামলায় প্রায়ই নারী ও শিশু নিহত হয়।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, ইসরায়েল হামাসকে 'কার্যকরভাবে ধ্বংস' করার লক্ষ্য অর্জন করেছে এবং যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা শিগগিরই আবার শুরু হবে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করা ব্লিংকেন কাতারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আলোচকরা এই আলোচনা আবারও শুরু করবেন।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ওই অঞ্চলে ১১ বারের মতো সফরে গিয়েছেন ব্লিংকেন।
তিনি বলেন, 'আমাদের দেখতে হবে হামাস এতে জড়িত হতে প্রস্তুত কি না।’
লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল মায়াদিনকে হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওসামা হামদান জানান, তাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। কায়রোর মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে যুদ্ধবিরতি আলোচনা আবারও শুরু হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে শুনেছেন হামাস প্রতিনিধিরা। তবে গাজায় আক্রমণ বন্ধের পাশাপাশি ওই অঞ্চল থেকে সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করবে ইসরায়েল- এমন শর্তেই জোর দিচ্ছে হামাস।
গত সপ্তাহে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী হামাসের শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করার পর যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা আবারও শুরু হবে এমন আশা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু হামাস-ইসরায়েল দুই পক্ষই নিজেদের শর্তের অবস্থানে অনড়।
আরও পড়ুন: লেবাননে বাড়ছে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু ও বাস্তুচ্যুতি
এদিকে অবরুদ্ধ উত্তর গাজায় দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের টানা বিমান ও স্থল আক্রমণে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীরা।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজার উত্তরাঞ্চলে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। সামরিক বাহিনী বলছে, তারা উত্তরাঞ্চলে পুনরায় সংগঠিত হওয়া হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
বুধবার এক ভিডিও বার্তায় উত্তরের কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক ড. হোসাম আবু সাফিয়েহ বলেছেন, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে বা নবজাতক বিভাগে থাকা ১৪ শিশুসহ প্রায় ১৫০ জন আহত ব্যক্তিকে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে এখন যা ঘটছে তার মূল্য দিতে হচ্ছে সবাইকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে গাজায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। ৩৯টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ১৬টি হাসপাতাল আংশিকভাবে কাজ করছে।
চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতির পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভ্রাট, খাবার ও পানির সংকট পরিস্থিতি আরও বিপর্যস্ত করে দিয়েছে বলে জানান হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। বাস্তুচ্যুত হয়েছে গাজার ৯০ শতাংশ মানুষ।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাতারে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল
১ মাস আগে
গাজায় অব্যাহত নৃশংসতা ও মৃত্যু নিয়ে গভীর উদ্বেগ ঢাকার, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) সাম্প্রতিক পরামর্শক মতামতকে সমর্থন করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চলমান দশম বিশেষ জরুরি অধিবেশনে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের উত্থাপিত এই প্রস্তাবটিতে বাংলাদেশসহ ৫৩টি দেশ কো-স্পন্সর হয়।
ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে সমর্থন নেওয়া হয়। ১২৪টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ও ১৪টি দেশ বিপক্ষে এবং ৪৩টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। কো-স্পন্সর হওয়ায় বাংলাদেশের ভোট ফিলিস্তিনের পক্ষে যায়। পক্ষে ভোট পড়ে।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের সাম্প্রতিক পরামর্শমূলক মতামতের আলোকে, রেজ্যুলেশনটিতে ইসরায়েলকে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে বেআইনি উপস্থিতি বন্ধ করা এবং এর প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এছাড়াও প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অন্যায় কাজের কারণে যে সব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পূরণে একটি আন্তর্জাতিক মেকানিজম প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা করছে জাতিসংঘ
এই রেজ্যুলেশন বাস্তবায়নের ওপর প্রতিবেদন দিতে জাতিসংঘ মহাসচিবকে অনুরোধ জানানো হয়।
প্রস্তাবটিতে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষাবিষয়ক চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের আলোকে ইসরায়েল দ্বারা সংঘটিত নৃশংস অপরাধের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বানও জানানো হয়।
রেজ্যুলেশনটির মাধ্যমে আগামী এক বছরের মধ্যে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উপায় খুঁজে বের করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মূলত, দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়নের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে রেজ্যুলেশনটি।
এই প্রস্তাবটি নিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ জরুরি অধিবেশন চলাকালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বর্ণনা করে এটিকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত মুহিত। সব সদস্য রাষ্ট্রকে এটি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
গাজায় চলমান নৃশংসতা এবং হাজার হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু নিয়ে বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত রেজ্যুলেশন ২৭২৮-এর আলোকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
১৯৬৭ সালের পূর্বের সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি অর্জনের একমাত্র পথ বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত।
এছাড়াও অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্ব এবং গণহত্যার মতো অপরাধের জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ভূমিকার প্রশংসা করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
গাজায় গুরুতর মানবিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিব ও জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই-কমিশনারের প্রদত্ত বিবৃতিরও প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত।
আরও পড়ুন: বিশ্ব নেতাদের গাজা সফরের আহ্বান জানালেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট
৩ মাস আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইসরায়েল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: নেতানিয়াহু
হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবে ইসরাইল ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলের বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে ডাকা বিশেষ সংসদ অধিবেশনে সোমবার (২৪ জুন) এ কথা বলেন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান বদলায়নি।’
আরও পড়ুন: রাফায় ১০ ফিলিস্তিনি নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী
গাজায় আট মাসের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাত অবসানের জন্য মে মাসের শেষের দিকে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রস্তাবটিকে তিনি ‘ইসরায়েলি প্রস্তাব’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এরপর সোমবার ওই প্রস্তাবে প্রকাশ্য সমর্থন দিলেন নেতানিয়াহু।
সংসদে নেতানিয়াহু বলেন, ‘১২০ জিম্মির সবাইকে, জীবিত হোক বা মৃত, ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে। হামাসকে নির্মূল করে (ইসরায়েলের) দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা নিজ বাড়িতে যাওয়া পর্যন্ত সংঘাত চলবে।’
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের হামলায় দেশটির অন্তত ১ হাজার ২০০ বেসামরিক নাগরিককে নিহত হয়। সে সময় ২০০ ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিসের সশস্ত্র শাসক গোষ্ঠী হামাস। ওই ঘটনার পর থেকে গাজায় ক্রমাগত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: গাজায় ‘খুব শিগগির’ অভিযান বন্ধের ঘোষণা দিয়ে লেবাননে যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত ইসরায়েলের
৫ মাস আগে
যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৭৫
গাজা উপত্যকায় শুক্রবার সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরপরই ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৭৮ জন নিহত হয়েছেন। সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি জানিয়েছে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা হামাসের ২০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
গাজায় সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরায়েলের দিকে রকেট নিক্ষেপ শুরু করে এবং লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে সক্রিয় ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৩ যুবককে গুলি
যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী কাতার বলেছে, যুদ্ধবিরতি পুনর্নবীকরণের প্রচেষ্টা চলছে। যার ফলে ইসরায়েল গাজায় বেশিরভাগ সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে এবং গাজায় আটক ১০০ জনেরও বেশি জিম্মিকে মুক্ত করার বিনিময়ে ৩০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, ১১৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ, ২০ জন নারী ও ২ শিশু এখনো বন্দী রয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ এবং স্থল অভিযানের ফলে গাজার ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন বাসিন্দার তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এতে খাদ্য, পানি এবং অন্যান্য সরবরাহের ব্যাপক ঘাটতির কারণে সেখানে মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় 'অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের' আহ্বান ইইউ'র
সম্ভাব্য ব্যাপক অনুপ্রবেশের আগে গাজায় স্থল অভিযান ইসরায়েলি সেনাদের
১ বছর আগে
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে জি-২০ নেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দ্রুত ও নির্বিঘ্নে মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য যৌথভাবে আহ্বান জানানোর জন্য জি-২০ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি মাসে ভারতের সভাপতিত্ব শেষ করার আগে দিল্লি ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনার জন্য ভার্চুয়ালি জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন।
আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১৯টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত জি-২০ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার ফোরাম।
ফোরামে স্পেনকে স্থায়ী অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ করে ভারত।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন: বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা বলেন, দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব ফিলিস্তিনে হাজার হাজার নারী-পুরুষ এবং ১০ হাজারেরও বেশি নিরীহ শিশুকে নির্মমভাবে গণহত্যা প্রত্যক্ষ করছে।
তিনি বলেন, 'এই সব দানবীয় কর্মকাণ্ড বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে, বৈশ্বিক দুর্দশাকে তীব্রতর করেছে এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে ধীর করে দিয়েছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ইউরোপের বর্তমান যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী মানবিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি করেছে এবং এটি অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, 'আজকের বিশ্বায়নের যুগে মানুষের জীবন ও মানবতা রক্ষার জন্য সব যুদ্ধ ও সংঘাতকে দৃঢ়ভাবে 'না' বলা সহজ হবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন , একটি ভাল শুরু হতে পারে সুপ্রতিবেশী সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং বিশ্বজুড়ে এটির প্রসার ঘটানো।
তিনি বলেন, 'প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী ভারতের চমৎকার সম্পর্কের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরে আমি আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই মানুষ ও পৃথিবীর অস্তিত্ব টিকে থাকতে পারে: জি-২০ সম্মেলনে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, প্রতিবেশীদেশগুলো অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে পারে। বাংলাদেশ ও ভারত তাদের সমুদ্র ও স্থল সীমান্ত দিয়ে সেটি প্রমাণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বিশ্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, 'আমাদের বৈশ্বিক পরিবারের সবার কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই চেতনায় বাংলাদেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১০ লাখেরও বেশি নাগরিককে (রোহিঙ্গা) মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে আমি আপনাদের আন্তরিক সমর্থন কামনা করছি।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে দেশগুলো যে সব অঙ্গীকার করেছে তা ফলপ্রসূ হবে এবং তা বাস্তবায়িত হবে এবং সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপে রূপান্তরিত হবে।
তিনি বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য 'এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত' আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত স্থান,পৃথিবী গ্রহের যত্ন নিতে, সুরক্ষিত করতে এবং গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর উন্নয়ন চাহিদা, বিশেষ করে জলবায়ু পদক্ষেপ, প্রযুক্তিগত রূপান্তর, ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন সম্পর্কিত দেশগুলোর উন্নয়ন চাহিদা পূরণে বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করতে নয়া দিল্লীতে নেতারা একমত হওয়ায় তিনি আনন্দিত।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে শেখ হাসিনার সঙ্গে বাইডেনের সেলফি
গত সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ১৮তম জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে সব সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত দিল্লি ঘোষণা বাস্তবায়নে উৎসাহিত করাই এই বৈঠকের লক্ষ্য।
গত ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে মোদী ঘোষণা করেছিলেন যে ভারত একটি ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে।
আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ জি-২০ দেশগুলোর নেতারা, ৯টি অতিথি দেশ এবং ১১টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
১ ডিসেম্বর ভারত জি-২০-এর সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে।
ভারত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জি-২০ সভাপতির দায়িত্ব পালন করবে। ২০২৪ সালে ব্রাজিলের জি-২০ সম্মেলনে ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে জি-২০ ত্রয়ীকা গঠিত হবে।
আগামী মাসে ব্রাজিল যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবে, তখন নতুন ত্রয়িকা গঠন করা হবে, যেখানে ভারতের সভাপতির মেয়াদ শেষ হবে দায়িত্ব নেবে ব্রাজিল এবং এর পরের মেয়াদে সভাপতি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
জি-২০ সদস্যরা বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ, বৈশ্বিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
জাতিসংঘের বৈঠকে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে হামাসকে ধ্বংস করার অঙ্গীকার ইসরাইলের
মঙ্গলবার জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জাতিসংঘ প্রধান, ফিলিস্তিনি এবং অনেক দেশের যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করার শপথ নিয়েছে এবং ঘোষণা করেছে- গাজায় যুদ্ধ কেবল তাদের যুদ্ধ নয়, বরং ‘মুক্ত বিশ্বের যুদ্ধ’।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনও একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলায় ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয় এবং তারপর থেকে গাজায় ৫ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
কোহেন প্রশ্ন করেন, ‘আমাকে বলুন, শিশু হত্যা, নারীদের ধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারা, শিশুর শিরশ্ছেদ করার জন্য ‘সমানুপাতিক’ প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে? আপনারা কীভাবে এমন একজনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারেন যিনি আপনাদের নিজের অস্তিত্বকে শেষ করার শপথ নিয়েছেন?’
আরও পড়ুন: রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল সহায়তা বহনকারী তৃতীয় চালান, ২ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি হামাসের
কোহেন ৭ অক্টোবরের হামলাকে ‘চরমপন্থার’ বিরুদ্ধে সমগ্র মুক্ত বিশ্বের জন্য জেগে ওঠার আহ্বান জানান এবং হামাসকে পরাজিত করতে সভ্য বিশ্বকে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
এবং তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আজ ইসরায়েল এবং আগামীকাল হামাস ও হামলাকারীরা পশ্চিমা থেকে শুরু করে সবার দোরগোড়ায় থাকবে।
কোহেন কাতারের বিরুদ্ধে হামাসকে অর্থায়নের অভিযোগ এনে বলেন, ইসরায়েল থেকে নেওয়া ২০০ জনেরও বেশি জিম্মিদের ভাগ্য, যাদের কয়েকজন পরিবার জাতিসংঘের বৈঠকে এসেছিল, তাদের ভাগ্য তার আমিরের হাতে ছিল।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিরিয়া-অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলা, গাজায় পৌঁছেছে ত্রাণের দ্বিতীয় বহর
তিনি বলেন, ‘আমরা আজ এখানে এসেছি হত্যা বন্ধ করতে, থামাতে… ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে দখলদার শক্তি ইসরাইল কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে এবং নৃশংসভাবে চলমান গণহত্যা চালানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এগুলো বন্ধ করা আমাদের সম্মিলিত মানবিক দায়িত্ব।
আল-মালিকি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আরও হামলা, হত্যা, অস্ত্র ও জোট ইসরাইলকে নিরাপদ করবে না, ‘কেবলমাত্র শান্তিই করবে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কয়েক দশকের পুরনো ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে মাসিক বৈঠকের উদ্বোধন করেন, যা একটি বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে এবং যুদ্ধের মূল পক্ষের মন্ত্রী এবং আরও এক ডজন দেশের মন্ত্রীরা নিউ ইয়র্কে গেছেন এবং সতর্ক করেছেন যে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে মার্কিনিরা হামলার শিকার হলে জবাব দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন-অস্টিনের হুঁশিয়ারি
১ বছর আগে
অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার আহ্বান জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞের
স্বাস্থ্যের অধিকার সম্পর্কিত জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক তলালেং মোফোকেং মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ক্রমাগত সহিংস বাস্তুচ্যুতি ও হামলার হুমকি একটি বড় জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং জরুরি অবস্থা সৃষ্টি করেছে।
এই অঞ্চলে সহিংসতা বৃদ্ধির পর থেকে কমপক্ষে ১২জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত এবং ২৪ স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জেরে তিনি এসব কথা বলেন।
মোফোকেং বলেন, ‘সংঘাতে জড়িত সব পক্ষ এবং তাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের অবশ্যই দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্নভাবে খাদ্য, পানীয়, ওষুধ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ প্রয়োজনীয় মানবিক পরিষেবাগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গাজার চিকিৎসা অবকাঠামোগুলোর অপূরণীয়ভাবে ক্ষতি হয়েছে এবং স্বাস্থ্য সেবাকারীরা চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবসহ একটি ভয়ানক পরিস্থিতিতে কাজ করছে।’
এই বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘মানবতাবাদী কর্মী, চিকিৎসক, সুশীল সমাজ, মানবাধিকার সংস্থা ও সাংবাদিকরা এই অঞ্চলে বোমাবর্ষণের মধ্যেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।’
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলোতে ১১১ টিরও বেশি হামলার নথিভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যার মধ্যে গাজা উপত্যকায় ৪৮টি হামলা করা হয়েছে, এর ফলে কমপক্ষে ১২ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
মোফোকেং বলেছেন, গাজায় খাদ্য, পানীয়, জ্বালানি, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জামসহ প্রয়োজনীয় সরবরাহের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল।
তিনি বলেন, ‘গাজা উপত্যকা ক্রমাগত বোমাবর্ষণ ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সম্মুখীন হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশটির স্বাস্থ্যখাত সহনসীমার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি
মোফোকেং মানবিক করিডোরের মাধ্যমে সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার দাবি করে সংঘাতের বৃদ্ধি রোধ করতে এবং সকলের স্বাস্থ্যের অধিকার রক্ষা ও সম্মান করার জন্য অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর জন্য খাদ্য, পানীয়, আশ্রয়, জ্বালানি, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, মনোসামাজিক সহায়তা এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জরুরি সরবরাহ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ইসরায়েল ও অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সাম্প্রতিক আগ্রাসন বৃদ্ধিকে অবশ্যই উপক্ষো করা উচিত নয়। দখলদারিত্বের পর থেকে প্রতিদিন ফিলিস্তিনিদের উপর চলমান স্থূল কাঠামোগত, পদ্ধতিগত ও দীর্ঘমেয়াদি সহিংসতার একটি নিষ্পেষণ মুহূর্তকে প্রতিনিধিত্ব করে এটি।’
মোফোকেং বলেন, ‘আমি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং সদস্য দেশগুলোকে যুদ্ধের দামামা বাজানো বন্ধ করার আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণ ৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটি ৫৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে সামরিক দখলে রয়েছে। এই দখলদারিত্বের ফলে জবাবদিহিতার অভাব, চলমান স্থানচ্যুতি ও ধ্বংস, চলাচলে নিয়ন্ত্রণ এবং পদ্ধতিগত জাতিগত বৈষম্য প্রভৃতি ঘটেছে।’
এই বিশেষজ্ঞ স্মরণ করেন, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো ২০০৯ থেকে ২০২৮ সালকে ‘শান্তির দশক’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সব দেশের সার্বভৌম সমতা এবং তাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান বজায় রাখার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
তিনি বলেন, ঘোষণাটি সংঘাত প্রতিরোধ করে এবং এর মূল কারণগুলোকে সমাধান করে শান্তি বজায় রাখার জন্য একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা গ্রহণ করাকে সমর্থন করে।
মোফোকেং বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায়ের পদক্ষেপ তাদের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত। আপনারা মানুষের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে নিভিয়ে দিতে পারবেন না।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস দ্বন্দ্ব বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বাড়াচ্ছে: আইএমএফ প্রধান
সিরিয়ার আলেপ্পো বিমানবন্দরে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
১ বছর আগে
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনার আহ্বান চীনের
এবার রাশিয়ার পরিক্ষিত মিত্র চীন; ইউক্রেন ও মস্কোর মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং সংঘাতের অবসানের জন্য ১২-দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতে শান্তি আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে।
শুক্রবার সকালে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিকল্পনায় রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার অবসান, পারমাণবিক স্থাপনার সুরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা, বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার জন্য মানবিক করিডোর স্থাপন এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির মোকাবিলায় শস্য রপ্তানি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছে।
চীন এই সংঘাতে নিরপেক্ষ থাকার দাবি করেছে, তবে রাশিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্কের ‘হ্রাস’ করতে এবং ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের সমালোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এমনকি চীন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে সংঘাতে উসকানি দেয়ার অভিযোগ এনেছে এবং বলেছে তারা মূলত ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করে এই সংঘাতকে টিকিয়ে রেখেছে।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিরোধীতা করতে গিয়ে ক্রমেই চীন ও রাশিয়ার বৈদেশিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এই সপ্তাহে মস্কো সফরের সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কগুলো শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাশ: বাংলাদেশসহ ৩২টি দেশ ভোট দেয়নি
অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে তারা সম্ভবত রাশিয়াকে সামরিক সহায়তা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এ বিষয়ে তারা কোনও প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
চীনের এই অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে তার দেয়া ১২-দফা প্রস্তাব নিয়ে শান্তি আলোচনা এগিয়ে নেয়ার কোনও আশা আছে কিনা- বা চীনকে নিরপেক্ষ ভাবা হচ্ছে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রস্তাবটি প্রকাশের আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুক্রবার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘চীন যে ইউক্রেনের শান্তির পক্ষে কথা বলা শুরু করেছে, আমি এটিকে খারাপ মনে করি না। আমাদের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ যে সমস্ত দেশ আমাদের অর্থাৎ ন্যায়বিচারের পক্ষে আসছে।’
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বৃহস্পতিবার বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়ে আলোচনা করবে, তবে রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্কের ধরনই বলে দেয় যে চীন এ ক্ষেত্রে কোনওভাবেই একটি নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি ন্যায্য এবং টেকসই শান্তি ছাড়া আর কিছুই চাই না ... তবে এই প্রস্তাবগুলো নিরপেক্ষ ও গঠনমূলক হবে কিনা এ বিষয়ে আমরা সন্দিহান।’
শান্তি প্রস্তাবে প্রধানত সব দেশের ‘সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা কার্যকরভাবে নিশ্চিত করার’- প্রয়োজনীয়তার উল্লেখসহ দীর্ঘকাল ধরে থাকা চীনা অবস্থানের বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
এটিকে ‘স্নায়ু যুদ্ধের মানসিকতার’- অবসানও বলা হয়েছে। যেটি মার্কিন আধিপত্য এবং অন্যান্য দেশে হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করার জন্য এটি একটি আদর্শ শব্দ।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের খসড়া রেজ্যুলেশন: ইউক্রেনের শান্তি নিশ্চিত করতে হবে
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘একটি দেশের নিরাপত্তার বিনিময়ে অন্য একটি দেশ নিরাপত্তা পেতে পারে না এবং সামরিক ব্লকগুলোকে শক্তিশালী করে বা সম্প্রসারণের মাধ্যমে আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষা করা যায় না।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘সব দেশেরই যৌক্তিকভাবে নিরাপত্তা স্বার্থ ও উদ্বেগগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নেয়া উচিত এবং সঠিকভাবে তা সমাধান করা উচিত।’
বৃহস্পতিবার চীন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ এবং রাশিয়ার প্রতি ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে পাশ হওয়া প্রস্তাবে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে।
চীন সেই ১৬টি দেশের মধ্যে একটি, যারা জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে তোলা আগের পাঁচটি প্রস্তাবের প্রায় সবকটির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে বা ভোট দেয়ায় বিরত থেকেছে।
ইউক্রেন তার মিত্রদের সঙ্গে পরামর্শ করে এবারের প্রস্তাবটির খসড়া তৈরি করেছে। ১৪১টি দেশ এ প্রস্তাবের পক্ষে এবং ৭টি দেশ এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। এসময় ৩২টি দেশ ভোট দেয়ায় বিরত ছিল।
যদিও চীন খোলাখুলি মস্কোর সমালোচনা করেনি, তবে তারা বলেছে যে সংঘাত তাদের ‘কাম্য নয়’ এবং বারবার বলেছে যে কোনওভাবেই পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা।
এটি মূলত পুতিনের বক্তব্যের প্রতিউত্তরে বলা হয়েছে।
কেননা এর আগে পুতিন তার বক্তব্যে বলেছে, রাশিয়া তার ভূখণ্ড রক্ষা করার জন্য ‘সব ধরনের উপায়’- ব্যবহার করবে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধে কেউই বিজয়ী হয়না।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘সকল পক্ষের উচিত যুক্তিবোধ এবং সংযম বজায় রাখা... রাশিয়া ও ইউক্রেনের সমঝোতায় সমর্থন করা, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুনরায় সরাসরি সংলাপ শুরু করা, ধীরে ধীরে সংঘাতের পরিস্থিতি হ্রাসের চেষ্টা করা এবং যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে পৌঁছানো।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ার নিকট যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দাবির জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ
১ বছর আগে