ভাষণ
জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে হতাশ বিএনপি
জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা না করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সফল করতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি না করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে রবিবার জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণে অনেকেই খুশি হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমি কিছুটা হতাশ। আমি আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা তার সমস্ত প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবেন এবং নির্বাচনের একটি রূপরেখা দেবেন।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে যারা থামাতে গিয়েছে, তারাই ধ্বংস হয়েছে: আমীর খসরু
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসুক বা না আসুক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের অর্ধেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।
তিনি বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত সরকার গঠিত হলে যারা বাংলাদেশের ক্ষতি করতে চায়, অস্থিতিশীল করতে চায় এবং দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে চায় তারা পিছু হটতে বাধ্য হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা শুধু সংস্কার চাই না, আমরা সেগুলোর উদ্যোগ নিয়েছি এবং আমরা তা করব। আমরা আপনাদেরকে জনগণ-স্বীকৃত পদ্ধতিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিনি, বরং আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনাদের পাশে আছি।’
স্বৈরাচারের সহযোগীরা সচিবালয়ে তাদের পদে বহাল থাকা অবস্থায় সরকার কীভাবে সংস্কার করবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় না: বুলু
মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি এই সরকার ও তরুণরাই নতুন বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ১৭ বছর সংগ্রাম করলেও শেষ পর্যন্ত ছাত্ররাই শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। ‘তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো দূরত্ব তৈরি করা উচিত হবে না। এটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু বলছে এবং তাদের সেই অধিকার আছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার চায়। তা না হলে মানুষের মনে ধারণা জন্মাবে যে, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকারের খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে। ‘আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, জাতির কল্যাণে নির্বাচন করতে হবে।’
ফখরুল বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ হিসেবে জাতির জন্য মাওলানা ভাসানীর অবদানের কথা স্মরণ করেন। তার উপস্থিতি আমাদের সমগ্র অস্তিত্বে অনুভূত হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, সাধারণ পরিবারে জন্ম নেওয়া ভাসানী ছিলেন একজন ব্যতিক্রমী ও কিংবদন্তি জাতীয় নেতা।
এর আগে রবিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনি সংস্কারের সিদ্ধান্ত হলেই সরকার নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে।
আরও পড়ুন: পাবনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
১ মাস আগে
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভিশন স্পষ্ট: ফখরুল
বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণের প্রশংসা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভিশনের কথা তুলে ধরেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে যেসব সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছেন সরকার তা দ্রুত বাস্তবায়ন করবে বলেও আশাবাদী ফখরুল।
তিনি বলেন, 'এটা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। গতকাল (বুধবার) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন সংস্কার (বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার) নিয়ে আলোচনা করেন এবং সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের নাম উল্লেখ করেন।’
ফখরুল বলেন, 'তিনি (ইউনূস) তার ভাষণের মাধ্যমে তার সরকারের ভিশন ব্যাপকভাবে তুলে ধরেছেন।’
বিএনপির এই নেতা জোর দিয়ে বলেন, এই সংস্কারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। ‘তাই আমরা আশা করছি এসব সংস্কার খুব দ্রুতই সম্পন্ন হবে।’
সরকার দ্রুত জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শাসন ও জনগণের সংসদ প্রতিষ্ঠাকে অগ্রাধিকার দেবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘গণআন্দোলনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসায় আমরা তাদের সাফল্য কামনা করছি। আমরা আশা করি, তারা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবেন।’
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বারবার আধিপত্যের রাজনীতি করছে ভারত: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই কারণ এটি এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটতে পারে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এ কারণে আমাদের এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। তবে তা করতে হবে জনগণের ইচ্ছানুযায়ী। আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এটা অনুধাবন করবে এবং তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে, যাতে জনগণ উপকৃত হতে পারে।’
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, প্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সংবিধান সংস্কারের জন্য ৬টি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
৩ মাস আগে
স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুছে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রমাণ করে স্বাধীনতাবিরোধীরা চেষ্টা করলেও ইতিহাসকে মুছে ফেলা যায় না।
তিনি বলেন, ‘ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না, আর এখন সেটা প্রমাণিত হয়েছে। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক এই ভাষণ শুধু বাংলাদেশের জনগণের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ নয়, বরং বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করা নেতাদের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে একটি।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (স্বাধীনতাবিরোধীরা) জাতির পিতার নাম মুছে দেওয়া হয়, তার ছবি দেখানো যেত না, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ও জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়।’
জাতির পিতার বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে বাংলাদেশকে তিন বছর সাত মাসের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করার প্রচেষ্টা স্বাধীনতাবিরোধীরা পছন্দ করেনি।
আরও পড়ুন: সারা দেশে পালিত হচ্ছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
তিনি বলেন, ‘আর দেশ যখন অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তা পছন্দ করেনি।’
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো, পাকিস্তানিরা জাতির পিতাকে হত্যা করতে পারেনি, বরং তার নিজের দেশের কিছু মানুষ তাকে হত্যা করেছে।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বক্তব্য রাখেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদ।
আরও পড়ুন: যারা ৭ মার্চ পালন করে না তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে কি না সন্দেহ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৯ মাস আগে
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের অনুমোদন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশন স্থগিত
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজকের বৈঠকে একটিমাত্র এজেন্ডা ছিল। সেটা হচ্ছে সামনে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে।
তিনি আরও বলেন, অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিয়ে থাকেন। নিয়ম অনুযায়ী সেই ভাষণ মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়। আজকে সেই অনুমোদন হয়েছে।
তিনি জানান, বৈঠকে মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে আগামী রোজার মাসে দ্রব্যমূল্য ও রোজা সংশ্লিষ্টপণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয়গুলোকে বলেছেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যে নির্বাচনি ইশতিহার দেওয়া হয়েছে সেটা অনুযায়ী সব মন্ত্রণালয় যেন কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়।
কৃষি উৎপাদন যেন কোনো অবস্থায় ব্যাহত না হয় সেদিকে নজর দিতে বলেছেন। কৃষি পণ্য সংরক্ষণাগার তৈরি করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদের ২৫তম অধিবেশন শুরু
যেই মন্ত্রণালয়ের যে অংশ এসব স্তম্ভের সঙ্গে জড়িত তাদের সেই অনুযায়ী গুরুত্ব দিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে বলেছেন।
এছাড়া বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প যেগুলো শেষ পর্যায়ে সেগুলো দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সেটা কীভাবে জনগণের কল্যাণে লাগবে সেটা ভালোভাবে পরীক্ষা করতে বলেছেন।
সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে সচ্ছতা ও জবাবহিদির কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পগুলো যেন প্রকৃত মানুষরা পায় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: শেষ হলো জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশন
নারী উন্নয়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণে ও নতুন বাজার অনুসন্ধানের নির্দেশনা দিয়েছেন। রপ্তানি বাড়ানোর জন্য চামড়া ও চামড়াজাত, পাট ও পাটজাত এবং কৃষিজ পণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
এগুলোকে প্রয়োজনে পোশাক খাতের মতো সহায়তা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। আইসিটি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন যাতে করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। যুব সমাজ খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টির দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেছেন। এছাড়া অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতাকে সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ব্যাপক উন্নয়নের পেছনে সংসদীয় গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা: প্রধানমন্ত্রী
১১ মাস আগে
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শেষ জনসভায় ভাষণ দিতে বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় ফতুল্লার মাসদাইরে শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
জনসভার মঞ্চ তৈরিসহ সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে জেলা ও নগর আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে প্রস্তুত নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা ঠেকাতে ৭ জানুয়ারি ভোট দিন: শেখ হাসিনা
ব্যানার, তোরণ ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জের লিঙ্ক রোডসহ জনসভাস্থলের আশপাশের এলাকা। জনসভা উপলক্ষে সাজানো হচ্ছে শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স। জনসভার জন্য একদিকে মঞ্চ সাজানো হয়েছে। মঞ্চকে ঘিরে নিরাপ্ত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হচ্ছে। জনসভার জন্য নারী ও পুরুষের আলাদা বসার জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া জনসভার মাঠের বাইরেও নগরীর বিভিন্ন অঞ্চলে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে মাইক (লাউড স্পিকার) লাগানো হয়েছে। সেই সঙ্গে রাস্তাঘাট পরিষ্কার করে জনসভার পোস্টার দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো শহর।
জনসভাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু রযেছেন সেখানে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির চক্রান্ত বন্ধ করতে নৌকায় ভোট দিন: ফরিদপুরে শেখ হাসিনা
এ সময় শামীম ওসমান গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য নতুন বার্তা দেবেন এটাই সবার প্রত্যাশা। কারণ নারায়ণগঞ্জ হলো আওয়ামী লীগের জন্মস্থান। ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নারায়ণগঞ্জের প্রত্যাশাও অনেক।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা এ দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন। নিরাপত্তা রক্ষীরা ভালো কাজ করছে। তারা যেভাবে বলছে আমরা সেভাবে কাজ করছি। কিন্তু আমরা নিজেরাও নেত্রীর কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি। আমি আশাবাদী এই সমাবেশটা নারায়ণগঞ্জের সর্বকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে।
নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন নারায়ণগঞ্জের যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি এই নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের নেতা-কর্মীদেরও গুরুত্ব রয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশে লাখ লাখ মানুষের জনসমাগম হবে।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভার আগাম বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য চলছে মাইকিং। জনসভায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গিয়ে মাইকিং করছে নেতা-কর্মীরা। এদিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা
১১ মাস আগে
ফরিদপুরে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা
আগামীকাল মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ফরিদপুরে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিকাল ৩টায় ফরিদপুর জেলা শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে জনসভাকে ঘিরে স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠের পূর্ব পাশে একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ জানান, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সফরকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
জেলা শহরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি জনসভায় আসা পুরুষ ও নারী সমর্থকদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া রাস্তার পাশে গাছ ও সমাবেশস্থল রঙ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারে আওয়ামী লীগের টেলিগ্রাম চ্যানেল চালু
প্রায় ১ লাখ লোকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন ইশতিয়াক।
এতে সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদপুর-৩ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হক।
এছাড়াও আওয়ামী লীগ সমর্থিত ফরিদপুরের আরও তিনটি আসনের প্রার্থীরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ফরিদপুর সফর করেন এবং একই স্থানে এক জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জোয়ারে বিএনপির নেতা-কর্মী সমর্থকরাও শামিল হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
১১ মাস আগে
নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে বরিশালে প্রধানমন্ত্রী, নগরীতে উৎসবমুখর পরিবেশ
৫ বছরে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরিশাল সফরকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর পরিবেশে মুখরিত হয়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা বরিশাল।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বরিশালে সফর করছেন।
সকালে দলীয় প্রধান বরিশালে পৌঁছালে হাজার হাজার দলীয় প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পক্ষে স্লোগান দেন।
শেখ হাসিনা সেখানে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: জানুয়ারির নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য নগর ব্যানার, পোস্টার ও পতাকায় সাজানো হয়েছে।
বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উদ্যান ভরে যায়।
শেখ হাসিনা নৌকার আকৃতিতে সাজানো মঞ্চে ওঠার অনেক আগেই আশপাশের এলাকা, রাস্তা ঘাট ও ফাঁকা জায়গায় ভিড় ছড়িয়ে পড়ে।
সকাল থেকেই 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগান দিয়ে এবং রঙিন প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে অনুষ্ঠানস্থলের দিকে মিছিল করতে দেখা যায় নারীসহ অসংখ্য মানুষকে। তাদের অনেকে রঙিন টি-শার্ট, মাথায় টুপি, ড্রামসহ হেড ব্যান্ড, নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পাশাপাশি জাতীয় ও দলীয় পতাকা পরেছেন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীরা রেহাই পাবে না: প্রধানমন্ত্রী
বড় ও ছোট দলে নারীদের হাসিমুখে অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশদ্বারের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন ঢাকা থেকে সড়কপথে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
বরিশাল থেকে প্রধানমন্ত্রী তার জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন।
শনিবার টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় দু’টি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে এবং ঢাকায় ফেরার পথে মাদারীপুরের কালকিনিতে আরেকটি জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ. লীগের সফল পররাষ্ট্রনীতির কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী অবস্থানে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
১১ মাস আগে
৯ম ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এক্সপার্ট ফোরামে ভাষণ দেবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২৭ ও ২৮ নভেম্বর মস্কোর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ৯ম ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এক্সপার্ট ফোরাম প্রিমাকভ রিডিংস-এর আয়োজন করবে রাশিয়া।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক মারিয়া জাখারোভা বর্তমান পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক এক ব্রিফিংয়ে বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ২৭ নভেম্বর আয়োজনটিতে অংশ নেবেন।
মস্কোর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বছর আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বাংলাদেশ, চীন, কিউবা, মিশর, ফিনল্যান্ড, ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, নাইজেরিয়া, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা, সিরিয়া, তুরস্ক, উগান্ডা, যুক্তরাষ্ট্র ও উজবেকিস্তানের প্রতিনিধিরা ফোরামে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ দিনব্যাপী রুশ চলচ্চিত্র উৎসব ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘পূর্বানুমান ছাড়াই, আমি মূল বক্তব্যের বিষয়ে বলতে পারি: তিনি (সের্গেই ল্যাভরভ) একটি ন্যায্য বহুমেরু বিশ্ব ব্যবস্থার চলমান গঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত বৈশ্বিক উন্নয়নের প্রধান প্রবণতা সম্পর্কে রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করার পরিকল্পনা করেছেন।’
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও উল্লেখ করেন, ‘আমাদের চোখের সামনে আক্ষরিক অর্থেই ঘটে যাওয়া বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক দৃশ্যপটের গঠনমূলক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকের বিষয়টি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। এটির শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- পোস্ট-গ্লোবালাইজেশন হরিজনস।’
ফোরামে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতির নেতৃস্থানীয় রুশ ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ, কমিউনিটিভিত্তিক সংস্থার প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকরা অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ান মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতিপ্রাপ্তদের তালিকায় বাংলাদেশ: রুশ দূতাবাস
আলোচনায় আরও থাকবে- বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারের জন্য রাজনৈতিক ঝুঁকি, রাশিয়া এবং মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ ককেশাসের রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা, চীন-আমেরিকান সম্পর্ক এবং গ্লোবাল সাউথের উন্নয়ন।
অংশগ্রহণকারীরা বাল্টিক অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য এবং রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য-আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নের সম্ভাবনাও জায়গা করে নেবে বলে আশা করছেন অংশগ্রহণকারীরা।
প্রেসিডেন্সিয়াল গ্রান্টস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় প্রিমাকভ ন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব ওয়ার্ল্ড ইকোনমি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস, রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেস, প্রিমাকভ সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্স এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এক্সপার্ট ফোরাম প্রিমাকভ রিডিংস বিশ্ব অর্থনীতি, রাজনীতি ও নিরাপত্তার সমস্যা সমাধানের জন্য একটি বার্ষিক আলোচনার প্ল্যাটফর্ম।
আরও পড়ুন: আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান করুন: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
৭ মার্চের ভাষণ একটি দেশ, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ৭ মার্চের ভাষণ, জনসভাকে বাদ দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয় না, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয় না। বিশ্বের লিপিবদ্ধ ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই ভাষণ একটি দেশ বদলে দিয়েছে, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ৭ মার্চ বিএনপি পালন করে না। যারা ৭ মার্চ পালন করে না, অস্বীকার করে, তারা স্বাধীনতাকে কতটুকু স্বীকার করে, কতটুকু বিশ্বাস করে সেটিই হচ্ছে বড় প্রশ্ন।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ অনুষ্ঠানমালায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে না আসলে বিএনপিই অস্তিত্ব সংকটে পড়বে: চট্টগ্রামে তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ৭ মার্চকে অস্বীকার করে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয় না, অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ রাষ্ট্রীয় বেতারে, টেলিভিশনে, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানমালায় বন্ধ ছিলো, এমনকি ভাষণের সিডি সব জায়গা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল, ধ্বংস করা হয়েছিল। ১৯৭৭ সালে ঘরোয়া রাজনীতির অনুমতি দেয়ার আগে পর্যন্ত ৭ মার্চের ভাষণ বাজানোর অপরাধে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সরকার আমাদের দলের অনেককে গ্রেপ্তার করেছে।
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৮, ’৭৯, ’৮০,’ ৮১ সালে ছাত্রলীগের নবীন কর্মী হিসেবে আমি চট্টগ্রাম শহরে জনসভার মাইকিং করতাম। কোনো গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে গেলে প্রথমে আমরা ৭ মার্চের ভাষণ বাজিয়ে দিতাম, মানুষ জমে যেতো। তারপর জনসভার কথা বলতাম।
হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসের একটি অন্যন্য প্রামাণ্য দলিল হিসেবে ইউনেস্কো সংরক্ষণ করেছে, বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে। পৃথিবীতে অনেক কালজয়ী ভাষণ আছে। সেই কালজয়ী ভাষণগুলোর বেশিরভাগই যেমন মেনসন ম্যান্ডেলা, নেতাজী সুভাষ বসুর ভাষণ ছিল লিখিত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণে আমরা দেখি কোনো দাড়ি-কমা-সেমিকোলন ছাড়া, কোনো ইতস্তত ভাব ছাড়া তিনি এক নাগাড়ে দাঁড়িয়ে সব কথা বলে গিয়েছেন এবং গণমানুষের ভাষায় কথা বলেছেন।’
তথ্যমন্ত্রী জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ একটি দেশ বদলে দিয়েছে, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে, তাই এই ভাষণ আমার বিবেচনায় বিশ্বের লিপিবদ্ধ ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ এবং জাতিসংঘ সেই স্বীকৃতি দিয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘আজকের এই দিনে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। শ্রদ্ধা জানাই ১৫ আগস্ট শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ সকল শহীদদের প্রতি। আমি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে শুনেছিলাম যে, ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধুর গায়ে একটু তাপ, জ্বর জ্বর ভাব ছিলো। তখন অনেকেই অনেক নোট দিয়েছিলেন বলার জন্য। বঙ্গমাতা বলেছিলেন যে, তুমি যেটি দেশের জন্য, মানুষের জন্য, জাতির জন্য ভালো মনে করবে সেটাই বলবে। এবং বঙ্গবন্ধু সেটাই বলেছিলেন। তাই এখানে বঙ্গমাতারও ভূমিকা ছিল।’
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ।বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ আলোচকের বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ৭ই মার্চের শপথ স্বাধীনতাবিরোধী পশ্চাৎমুখী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ : তথ্যমন্ত্রী
পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের জলসায় হামলাকারীর বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে বলেছেন। যারা আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে পেছন দিয়ে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কেউ যেন জনগণের অধিকার হরণ করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য আমি সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আন্দোলনের নামে কেউ যাতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে এবং জনগণের জীবন, জীবিকা ও সম্পদের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ১১তম জাতীয় নির্বাচনের পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি বর্তমান সরকার গঠনের চতুর্থ বার্ষিকী উপলক্ষে এই ভাষণ দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী, ক্ষমতালোভী ও জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারীরা ইতোমধ্যেই নৈরাজ্য সৃষ্টিতে তৎপর হয়েছে।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ২৫ মিনিটের ভাষণে তিনি বলেন, ‘তাদের লক্ষ্য একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করা এবং পিছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা, এবং গণতন্ত্রের অগ্রগতিতেও বাধা সৃষ্টি করা।’
প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা আওয়ামী লীগকে অপদস্থ করার জন্য লুটপাটের টাকা দিয়ে দেশে-বিদেশে ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী ও বিবৃতিদাতাদের নিয়োগ করেছে। তিনি বলেন, ‘তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর, মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তাদের মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবেন না।’
তিনি গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এমন কোনো উদ্ভট ধারণা (পরবর্তী নির্বাচনের আগে চক্র দ্বারা চালিত) মঞ্জুরি না দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
‘আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করছি (পরবর্তীবার অনুষ্ঠিত হবে)।’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এই প্রথম নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে ওই আইনে বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। ‘নির্বাচন কমিশনকে আর্থিক স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল, যারা জনগণের শান্তি ও জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। ‘জনগণ যদি দলকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে তাহলে আওয়ামী লীগ দেশ গড়ার জাতীয় দায়িত্ব পালন করে যাবে। তারা আমাদের বিজয়ী না করলে আমরা জনগণের কাতারে যাব। তবে আমরা যেখানেই থাকি না কেন, আমরা জনগণের সেবা করব।’
প্রধানমন্ত্রী তার বর্তমান শাসনামলের চতুর্থ বার্ষিকী উপলক্ষে দেশ-বিদেশের নাগরিকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি তাদের ২০২৩ সালের খ্রিস্টান নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৩ এর উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
২০০৯ সাল থেকে তার সরকারের আমলে দেশের অগ্রগতির দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
‘আজকে কেউ বাংলাদেশকে বন্যা, খরা ও দুর্যোগের দেশ হিসেবে দেখে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি উদীয়মান অর্থনীতি এবং উন্নয়নের রোল মডেল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ টানা ১৪ বছর দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে।
‘আমাদের দেশ অনেক এগিয়েছে। তবে আমাদের এটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ অর্জনই আমাদের লক্ষ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পর আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষি খাতসহ সব ক্ষেত্রে রোবোটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ন্যানোটেকনোলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োলজিক্যাল টেকনোলজি, স্মার্ট জনসংখ্যা এবং স্মার্ট শিল্প কারখানা এবং ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার নিশ্চিত করবে সরকার। ‘সব ক্ষেত্রেই গবেষণার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শতভাগ জনসংখ্যাকে বিদ্যুতের আওতায় আনা, সড়ক ও রেল যোগাযোগ শক্তিশালীকরণ, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিভিন্ন বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে তার সরকারের সাফল্যের ওপর আলোকপাত করেন। ঢাকা-মাওয়া-জাজিরা এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট, ১৬ কিলোমিটার ঢাকা বিমানবন্দর-কুতুবখালী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প এবং ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, পশ্চিমা দেশ ও রাশিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বে অস্বাভাবিক হারে জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাংলাদেশেও বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কিছু পণ্য বেশি দামে কিনছি এবং সীমিত আয়ের লোকেদের মধ্যে কম দামে বিতরণ করছি, এক কোটি পরিবার টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে ৩০ টাকা কেজিতে চাল এবং ভোজ্যতেল, ডাল ও চিনি কিনতে পারবে।’ এছাড়া ন্যায্যমূল্যের কার্ড দিয়ে ৫০ লাখ পরিবার এক মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে পারবে।
বিএনপি ও জামায়াত জোট শাসনের শেষের ১৬ বছর আগের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, ২০০৫-২০০৬ অর্তবছরের মাথাপিছু আয় ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে এখন দুই হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার হয়েছে। আর দারিদ্র্যের হার ৪১ দশমিক ৫০ শতাংশ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে, গড় আয়ু ৬৪ দশমিক ৫০ বছর থেকে বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে এবং সাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে ৭৫ দশমিক ২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ পেতে উৎপাদন খরচ পরিশোধ করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, জিডিপি ২০২১-২২ অর্থবছরে মাত্র ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৪৬০.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটের আকার ৬১ হাজার ৫৭ কোটি টাকা থেকে ৬৭৮ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫২ দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, এবং রেমিট্যান্সের প্রবাহ ৪ দশমিক ৮০ থেকে বেড়ে ২২ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০০৫-০৬ অর্থবছরে মাত্র তিন দশমিক ৫ পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২০২১ সালে ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে এখন তা ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। তারপরও পাঁচ মাসের রপ্তানি ব্যয় মেটানোর মতো পর্যাপ্ত রিজার্ভ রয়েছে বাংলাদেশের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির বিপরীতে বরাদ্দ ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে মাত্র ৩৭৩ কোটি টাকা থেকে চলতি অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা, যেখানে কৃষি খাতে ভর্তুকি ৫৯২ কোটি টাকা থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা মাত্র তিন হাজার ৬০০ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে এখন ২৫ হাজার ৮২৬ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে এবং বিদ্যুতের আওতাভুক্ত জনসংখ্যা একই সময়ে মাত্র ৪৫ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ২০২২ সালে শতভাগ মানুষের জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করেছি। আমরা সব ঘর আলোকিত করেছি।’
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৪১তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।
যোগাযোগ খাতে বাংলাদেশে বৈপ্লবিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার শত শত মহাসড়ক নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি প্রধান নদীগুলোর ওপর সেতু নির্মাণ করেছে। নিরবচ্ছিন্ন সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে গত ১৪ বছরে পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু, তিস্তা সেতু, পায়রা সেতু, দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু। দ্বিতীয় মেঘনা সেতু দ্বিতীয় গোমতী সেতু নির্মাণ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত নভেম্বরে এক দিনে প্রায় ১০০টি সেতু একযোগে চালু করা হয়েছে এবং গত ডিসেম্বরে এক দিনে প্রায় ১০০টি সড়ক উদ্বোধন করা হয়েছে।
‘এটি দেশের উন্নয়নের ইতিহাসে একটি অনন্য অর্জন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে প্রায় ৭১৮ কিলোমিটার মহাসড়ক চার বা তার উপরে লেনে উন্নীত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজ জনগণ আমাদের দূরদর্শী পরিকল্পনার সুফল পেতে শুরু করেছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সোনার বাংলা (সোনার বাংলা) গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন উল্লেখ করে তিনি একটি সুখী-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি জাতির উদ্দেশে বলেন, আসুন একটি স্মার্ট দেশ গড়তে এবং এদেশের সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করি।’
আরও পড়ুন: মায়ের স্মৃতি বিজড়িত জমি ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে