সন্তান
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যার দায়ে মায়ের যাবজ্জীবন
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে জয়পুরহাটে ছয় বছরের ছেলেকে গলাটিপে হত্যার দায়ে মা রেশমা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে রেশমা বেগমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। এ রায় ঘোষণার সময় আসামি রেশমা বেগম বুলি পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিশু রিয়াদ হত্যা মামলা: ২৪ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন
রেশমা বেগম বুলি জয়পুরহাটের সদর উপজেলার সগুনা গোপীনাথ পুর গ্রামের আসাদুজ্জামান আসাদুলের স্ত্রী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আসাদুজ্জামানের ভাই-ভাবির সঙ্গে রেশমা বেগমের প্রায়ই ঝগড়া লাগত। তার ভাই-ভাবির বাড়িতে একই গ্রামের মানিক হোসেন যাওয়া আসা করার কারণে তার সঙ্গেও রেশমা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। সে কারণে মানিককে লাঠি দিয়ে রেশমা মারধর করেন। এ ঘটনায় মানিকের স্ত্রী থানায় মামলা দায়ের করলে গ্রেপ্তার হয়ে রেশমাকে কয়েকদিন জেল খাটতে হয়েছে। পরে তিনি জেল থেকে বের হয়ে ২০০৭ সালের ১৩ জুলাই সন্ধ্যায় আসাদুলের ভাই-ভাবি ও মানিককে ফাঁসাতে নিজের ছয় বছরের শিশু রাকিবকে গলাটিপে হত্যা করেন। এ ঘটনায় শিশুর বাবা আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালত বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ২ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
৩ মাস আগে
সাতক্ষীরায় সন্তানকে হত্যার পর জ্বালিয়ে দিল বাবা!
সাতক্ষীরায় আট বছর বয়সী শিশু আরিফ বিল্লাহকে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা ইয়াসিন আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ধলাবাড়িয়া মাঠপাড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরিফ বিল্লাহ ধলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
আরিফের মা রোকেয়া খাতুন জানান, সদর উপজেলার চুপড়িয়া গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে ইয়াছিন আলীর সঙ্গে তার ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। তিন বছর আগে ধলবাড়িয়া মাঠপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পান তিনি। এরপর থেকে একমাত্র সন্তান আরিফ বিল্লাহসহ স্বামীকে নিয়ে তারা সেখানে বসবাস করতেন।
রোকেয়া বলেন, ‘আমার স্বামী মাদকাসক্ত ও অস্ত্র মামলার আসামি। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে আমার বিরোধ লেগেই থাকে। মঙ্গলবার স্বামী আমাকে মারধর করলে আরিফকে নিয়ে আমি আমার নানা ধুলিহর গ্রামের ইজ্জত আলীর বাড়িতে আশ্রয় নিই।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বাড়িতে প্রবেশের পথ নিয়ে বিরোধের জেরে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আহত ৫
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার নানার বাড়ি থেকে আরিফকে নিয়ে আসেন। রাতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে স্বজনদের ঘটনাটি জানায় ইয়াসিন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরে আগুন জ্বলছে দেখতে পায় গ্রামবাসী। ততক্ষণে পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে শিশু আরিফ।
আরিফ বিল্লাহর দাদী মলুদা খাতুন জানান, ইয়াছিন তার ছেলেকে হত্যা করে ঘরে আগুন লাগিয়ে তার মামার বাড়ি আগরদাড়িতে চলে যায়। সেখানে সে সামনে যাকে পেয়েছে তাকে পিটিয়েছে। পরে ইয়াছিনকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, শিশুটির বাবাকে আটক করা হয়েছে। সম্ভবত, তিনি মাদকাসক্ত। থানায় তিনি অসংলগ্ন আচরণ করছেন।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে গুলি করে হত্যা
তিনি আরও জানান, ছেলেটির দেহ পুড়ে গেছে। চেনা যাচ্ছে না এমন অবস্থা। ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে কামরাঙ্গীরচর হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
১০ মাস আগে
সাতক্ষীরায় স্বামীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে স্ত্রীর সন্তান প্রসব!
সাতক্ষীরায় আলতাফ হোসেন (৩৪) নামে এক ব্যক্তির লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে সন্তান প্রসব করেছেন তার স্ত্রী রহিমা খাতুন।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ থেকে স্বামীর লাশ নিয়ে আশাশুনি যাওয়ার পথে বুধহাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আলতাফ হোসেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর এলাকার শামছুর রহমানের ছোট ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ইট ভাটাশ্রমিক আলতাফ হোসেনের। লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফেরার পথে বুধহাটা বাজার এলাকায় পৌঁছালে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে থাকা গর্ভবতী স্ত্রী রহিমা খাতুনের প্রসব বেদনা শুরু হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই তিনি একটি মেয়েশিশুর জন্ম দেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আলতাফ হোসেন গত দুই সপ্তাহ আগে ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডাক্তার জানান আলতাফের ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়েছে। খুব দ্রুত তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ছেলের বন্ধুদের হাতে বাবা নিহত
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার লাশ গ্রামের বাড়ি আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর নেওয়া হচ্ছিল। বুধহাটা এলাকায় পৌঁছালে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা আলতাফ হোসেনের স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠে। এরপর অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই তিনি একটি মেয়েশিশুর জন্ম দেন।
প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালী বলেন, ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলতাফের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে তার জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। লাশ বাড়িতে আনার পথে লাশবাহী গাড়িতে তার স্ত্রী একটি মেয়েশিশুর জন্ম দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আলতাফের পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে। তার পরিবারকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় পুকুরে ডুবে ৫ বছরের ২ শিশুর মৃত্যু
সাতক্ষীরায় ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে মা ও নবজাতক নিহত
১১ মাস আগে
তিস্তা নদীতে ছুড়ে সন্তানকে হত্যার অভিযোগে বাবা আটক
তিস্তা ব্রিজ থেকে নদীতে ছুড়ে ফেলে নবজাতক সন্তানকে হত্যার অভিযোগে বাবা লাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ। এর আগে, শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে তিস্তা ব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ৭ কর্মী আটক, আহত ৫ পুলিশ সদস্য
পুলিশ জানায়, জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝার ইউনিয়নের রাবাইটারী এলাকার লাল মিয়া ও ছামিরন ৩ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন। লাল মিয়ার পরিবার এ বিয়ে মেনে না নেওয়ায় তারা স্বামী-স্ত্রী দুইজনে মিলে নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ তেতুলতলা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন।
এরই মধ্যে গত ২২ অক্টোবর ছামিরন তার বাবার বাড়িতে একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান প্রসব করেন। জন্মের পর থেকে তার স্বামী ওই সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করেন। এমতাবস্থায় স্ত্রী ছামিরন প্রতিবাদ করলে গত ২৭ অক্টোবর বিকালের দিকে স্বামী লাল মিয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নবজাতকের ডিএনএ পরীক্ষার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মোটরসাইকেলে করে রংপুরের উদ্দেশে রওনা দেন।
একই দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিস্তা ব্রিজের মাঝখানে স্বামী লাল মিয়া মোটরসাইকেল থামিয়ে নবজাতককে তার মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর কথা বলে বিরতি নেয়। দুধ খাওয়ানোর এক পর্যায়ে ছামিরন লাল মিয়া আকস্মিকভাবে নবজাতককে তার কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ব্রিজের উপর থেকে তিস্তা নদীতে ফেলে দিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে রংপুরের দিকে পালিয়ে যান।
পুলিশ আরও জানায়, পরে ছামিরন কান্নাকাটি ও চিৎকারে লোকজন জমা হয়। তাদের ঘটনাটি জানান ছামিরন। লোকজন কাউনিয়া ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নবজাতকে খোঁজাখুজি করেও কোনো সন্ধান পাননি।
গত ২৮ অক্টোবর রাতে লাল মিয়া ছামিরনের কাছে এলে ৯৯৯ নম্বরে কল করে কচাকাটা থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লাল মিয়া সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. রুহুল আমীন বলেন, এই বিষয়ে নাগেশ্বরী থানায় গত ২৯ অক্টোবর একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হলে সমস্ত ঘটনা বর্ণনা ও সত্যতা স্বীকার করে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আরও পড়ুন: বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া মিয়া আরেফিকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক
ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ-বিএনপি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বিএনপি নেতা আটক
১ বছর আগে
৮০ ‘সন্তানের’ মা নারায়ণগঞ্জের মুক্তা
নারায়ণগঞ্জ নগরীর পশ্চিম মাসদাইরের একটি বহুতল ভবনের সপ্তম তলায় মুখোমুখি দুটো ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন জাহানারা মুক্তা। ভাড়ার ফ্ল্যাট দুটোর একটিতে তিনি নিজে থাকেন। তিন কক্ষের অপর ফ্ল্যাটটি রেখেছেন তার তার ৮০ সন্তান। মানব সন্তান নয় ‘বিড়াল সন্তান’। ফ্ল্যাটে প্রবেশ করতেই বিড়ালগুলোকে আপন মনে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
মুক্তা জানান, শৈশব থেকেই বিড়ালের প্রতি আলাদা মমত্ববোধ তৈরি হয়।
পরিবারের লোকজনও বাড়িতে বিড়াল পুষতেন জানিয়ে মুক্তা বলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তেমন পছন্দ করে না। এ ছাড়া পেশাগত ব্যস্ততার কারণে বিড়াল পালন থেকে দীর্ঘ বছর বিরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিড়ালদের নতুন ঠিকানা ‘লিটল হুইস্কার ফোস্টার হোম’
তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে ছোট মেয়ের আবদার ও স্বামীর সম্মতিতে বিড়াল পালন শুরু করি।’
এরপর থেকে পথে-ঘাটে দুর্ঘটনায় আহত বিড়াল দেখলেই বাড়িতে এনে সেবা করে সারিয়ে তুলে নিজের কাছে রেখে দিতেন। এভাবেই একে একে বিড়ালের সংখ্যা ৮০ তে দাঁড়ায়।
মুক্তা আরও বলেন, ‘আমাদের পুরো পরিবার ছিল পশুপ্রেমী। বাড়িতে ৮-১০টা বিড়াল ছিল।’
বর্তমানে মুক্তার দুই কন্যা থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। বড় কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস মিফতি মাইক্রোসফট কোম্পানিতে চাকরি করেন আর ছোট কন্যা আফিয়া জাহিন মাহিয়া কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ছেন। গত আগস্টে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান স্বামী আমজাদ তালুকদার। এখন কন্যাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুক্তা। তবে বিদেশে যাওয়ার আগে ‘সন্তানতুল্য’ বিড়ালগুলোর একটা ব্যবস্থা করে যেতে চান। প্রকৃত বিড়ালপ্রেমীদের কাছে প্রাণীগুলো দত্তক দিতে চান তিনি।
১৭ অক্টোবর ফেইসবুকে বিড়ালপ্রেমীদের একটি গ্রুপে ‘বিড়াল দত্তক দেওয়ার বিষয়টি’ উল্লেখ করে পোস্ট দেন মুক্তার পরিচিত নাদিয়া নামে এক নারী।
নাদিয়ার এই পোস্ট রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকেই ফোনের পর ফোন আসতে থাকে জাহানারা খানম মুক্তার কাছে।
মুক্তা বলেন, ‘অনেক আমাকে ফোন দিয়ে বিড়াল দত্তক নিতে চাচ্ছেন। তবে সবাইকে দিচ্ছি না।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিড়ালের র্যাম্প শো
মুক্তা বলেন, ‘বিড়ালগুলো যাতে ভালো থাকে, ওদের যত্ন যারা নেবেন, তাদের বাছাই করে আমি বিড়ালগুলো দিচ্ছি। কেননা, আমার অতীত অভিজ্ঞতা ভালো না। একবার একজনকে পাঁচটা বিড়াল দিয়েছিলাম, কিন্তু কয়েকদিন পরই জানান, বিড়ালগুলো তিনি হারিয়ে ফেলেছেন। এরপর থেকে আর কাউকে দেইনি।’
৮০টির মধ্যে এ পর্যন্ত তার ৪০টি বিড়াল বিভিন্ন জন এসে নিয়ে গেছেন। তবে বিড়ালগুলোর বিষয়ে তিনি নিয়মিত খোঁজ-খবর নেবেন বলে জানান।
তিনি যে এলাকায় থাকেন ওই এলাকার অন্তত পাঁচটি স্থানে বেওয়ারিশ বিড়ালদের জন্য খাবার দেন। আশেপাশের অন্তত ৩৫টি বিড়াল নিয়মিত তার হাতের খাবার খায় বলে দাবি তার।
মুক্তা বলেন, ‘বিড়ালের বাচ্চার মিউ মিউ শব্দ আমার কাছে শ্রেষ্ঠ মিউজিক। আমি কখনই ওদের খাবার না দিয়ে নিজে খাই না। ওদের স্বাস্থ্যগত দিকে খেয়াল রাখার জন্য চিকিৎসকেরও নিয়মিত পরামর্শ নেই।’
ফেইসবুকে পোস্ট দেখতে পেয়ে মুক্তার কাছ থেকে দুটো বিড়াল দত্তক নিয়েছেন ঢাকার মাতুয়াইলের গৃহিণী নাজমা বেগম। বিড়াল নিতে আসেন নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুরের দ্বাদশ শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান সোয়াদও।
এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার বাসায় বিড়াল পুষি। ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেখে আমি আন্টির (মুক্তা) কাছ থেকে একটি বিড়াল নেওয়ার জন্য এসেছি। সঙ্গে আমার বন্ধুরাও এসেছে।’
আরও পড়ুন: বিড়ালের র্যাম্প শো!
১ বছর আগে
নড়াইলে স্বামী-সন্তানের জন্য ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না বৃদ্ধার!
নড়াইলে ঘরে শয্যাশায়ী স্বামী ও সন্তানের জন্য ওষুধ নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগমের (৭০)। বেপরোয়া গতির পিকআপ কেড়ে নিল তার প্রাণ।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নড়াইল-যশোর মহাসড়কে সদর উপজেলার গাবতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত আনোয়ারা দুর্ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী চাঁচরা গ্রামের শওকত মোল্যার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: হিলিতে মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টর মুখোমুখি সংঘর্ষে স্কুল ছাত্রী নিহত
জানা গেছে, রাস্তা পার হতে গিয়ে বৃদ্ধা আনোয়ারা পিকআপের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।
স্থানীয়রা জানায়, আনোয়ারার স্বামী শওকত মোল্যা ও তার ছেলে দুইজনই শয্যাশায়ী। সে তাদের জন্য ওষুধ কিনতে গাবতলা গিয়েছিলেন। সেখানে রাস্তা পার হওয়ার সময় নড়াইল থেকে যশোরগামী একটি বেপরোয়া পিকআপ আনোয়ারাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে জ্ঞান হারান। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তুলারামপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান জানান, ঘাতক পিকআপটিকে জব্দ করা গেলেও এর চালক পালিয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে বালুর স্তূপ ধসে নিহত ৩
কুমিল্লায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ৩
১ বছর আগে
সন্তানদের পাড়ে রেখে নদীতে নেমে লাশ হয়ে ফিরলেন মা
কুড়িগ্রামে ধরলা নদীতে গোসল করতে নেমে এক গৃহবধূর পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কৃষ্ণপুর এলাকার ধরলা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খোদেজা বেগম (২৭) সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের চর কৃষ্ণপুর গ্রামের মো. খয়শের আলীর মেয়ে। তিনি ওই গ্রামের দিনমজুর মো. ছয়ফুল ইসলামের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় গড়াই নদীর পাড়ে রাসেল ভাইপার
মোগলবাসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাহফুজার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধরলা নদীতে গোসল করতে নেমে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, খোদেজা বেগম দুই শিশু সন্তানসহ ধরলা নদীতে গোসল করতে যান। শিশুদের নদীর পাড়ে বসিয়ে রেখে গোসলে নেমে তিনি নিখোঁজ হন। এ সময় পাড়ে বসে থাকা তার সন্তানরা মাকে দেখতে না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করলে স্থানীয়রা এসে পানিতে নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল থেকে ১০০ ফুট দূরে ঝাঁকি জালের সাহায্যে খোদেজা বেগমের লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ধরলা নদীতে গোসল করতে নেমে গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
আরও পড়ুন: সিলেটের সুরমা নদীর পাড় থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
নদীর পাড়ে পড়েছিল হরিপদের নিথর দেহ!
১ বছর আগে
সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মায়ের স্বীকৃতি দিলেন হাইকোর্ট
সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মাকেও স্বীকৃতি দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতদিন অভিভাবকের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র বাবার নাম দেয়ার সুযোগ ছিল।
মঙ্গলবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মা স্বীকৃতি পাবেন কি না- এ বিষয়ে গত ১৬ জানুয়ারি শুনানি শেষে রায়ের জন্য ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
ওইদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আইনুননাহার সিদ্দিকা, অ্যাডভোকেট এস এম রেজাউল করিম এবং অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের খুঁজে বের করতে স্বাধীন কমিশন কেন নয়: হাইকোর্ট
রিটের পক্ষের আইনজীবীরা জানান, ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্বে শিক্ষার্থী তথ্য ফরমে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে বাবার নাম পূরণ করতে না পারার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী ঠাকুরগাঁওয়ের এক তরুণীকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রবেশপত্র দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
উল্লেখ্য যে, মা ও সন্তানকে কোনোরূপ স্বীকৃতি না দিয়ে বাবার চলে যাওয়ার পর ওই তরুণী তার মায়ের একার আদর স্নেহে বড় হয়েছিলেন।
পরে এ ঘটনার যথাযথ অনুসন্ধানের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এবং সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মায়ের স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠার দাবিতে ২০০৯ সালের ২ আগস্ট তিনটি মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন- বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং নারীপক্ষ যৌথভাবে জনস্বার্থে রিট দায়ের করে।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩ আগস্ট বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহম্মেদ এবং বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মানবাধিকার, সমতার পরিপন্থি ও বিশেষভাবে শিক্ষার অধিকারে প্রবেশগম্যতার বাধাস্বরূপ বিদ্যমান বৈষম্যমূলক এ বিধানকে কেন আইনের পরিপন্থি এবং অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি করেন।
একইসঙ্গে বর্তমানে কোন কোন শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বাবা ও মা উভয়ের নাম সম্পর্কিত তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে উল্লেখ করতে হয় তার একটি তালিকা এবং যেসব যোগ্য শিক্ষার্থী তাদের বাবার পরিচয় উল্লেখ করতে অপারগ তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সে সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়।
পরে ২০২১ সালের ৬ জুন ব্লাস্ট আবেদনকারীদের পক্ষে একটি সম্পূরক হলফনামা আদালতে দাখিল করে। রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় ঘোষণার জন্য ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: ২১ আইনজীবীর ভাষা ছিল অশ্লীল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় হাইকোর্ট
১ বছর আগে
জামালপুরে একসঙ্গে ৪ কন্যা সন্তানের জন্ম!
জামালপুর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আঞ্জুয়ারা বেগম(২০) নামের এক নারী। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে আমলাপাড়া এপোলো হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে তিনি চার সন্তান প্রসব করেন।
আঞ্জুয়ারা জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর সরিষাবাড়ী গ্রামের কাঠমিস্ত্রী আতাউর রহমান বাবুর স্ত্রী।
হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আঞ্জুয়ারা বেগম প্রসববেদনা নিয়ে গত বুধবার জামালপুর শহরের আমলাপাড়ায় এপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও গাইনি সার্জন ডা. খায়রুল বাশার পলাশ তার সফল অস্ত্রোপচারে একে একে চারটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এ সংবাদে হাসপাতাল এলাকায় একনজর নবজাতকদের দেখতে অনেকেই ভিড় করেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে একসঙ্গে চার কন্যা সন্তানের জন্ম
গাইনি সার্জন ডা. খায়রুল বাশার পলাশ বলেন, বর্তমানে প্রসূতি ও নবজাতকরা সুস্থ আছেন। তবে বাচ্চাদের ওজন যথাক্রমে এক কেজি ৮০০ গ্রাম, এক কেজি ৭০০ গ্রাম, এক কেজি ৬০০ গ্রাম ও এক কেজি ৪০০ গ্রাম। তাদের ওজন কম হওয়ায় উন্নত চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আঞ্জুয়ারার স্বামী আতাউর রহমান বাবুর জানান, প্রথম তারা সন্তানের বাবা-মা হলেন।
একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হওয়ায় অবাক হয়েছেন এবং খুশিও হয়েছেন বলেও তিনি জানান।
এপোলো হাসপাতালের পরিচালক শরিফুজ্জামান রুবেল জামালী বলেন, বিষয়টি সত্যিই অবাক করার মতো। একে একে চারটি সন্তান প্রসব সত্যিই বিরল। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের অনেক মানুষ হাসপাতালে ছুটে আসেন।
বর্তমানে মা ও শিশুরা ভালো রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ায় তাড়িয়ে দিল স্বামীর পরিবার: নবজাতকের মায়ের মামলা
১ বছর আগে
নড়াইলে দুই সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা!
নড়াইলে পারিবারিক কলহের জের ধরে এক মা দুই সন্তানসহ বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) শহরের ভাওয়াখালীতে এ ঘটনা ঘটেছে।
আশংকাজনক অবস্থায় তিনজনকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আত্মহত্যার চেষ্টাকারী সাতক্ষীরা জেলার মিঠু শেখের স্ত্রী শিউলি বেগম (৩২), রাব্বি (৭) ও ইলমা (৪) দুই সন্তানের জননী।
আরও পড়ুন: ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা, ৯৯৯-এ কল পেয়ে উদ্ধার
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, মিঠু সম্প্রতি অন্য এক নারীকে বিয়ে করে শিউলিকে পারিবারিক খরচের জন্য টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে বিরোধের জের ধরে বুধবার শিউলিকে বেদম মারধর করে মিঠু। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দুই সন্তানসহ তিনি বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। জুসের সঙ্গে প্রথমে দুই সন্তানকে বিষপান করিয়ে পরে নিজে বিষপান করে। পরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাদের সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনার পর থেকে মিঠু ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী পলাতক রয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, ভওয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী শিশু সন্তান রাব্বিকে (৭) স্কুল থেকে ডেকে এনে মা শিউলি বেগম তাকে এবং ছোট বোন ইলমাকে (৪) জুসের সঙ্গে বিষপান করান। আশংকজনক অবস্থায় প্রতিবেশিরা তাদের উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর মধ্যে ছেলে রাব্বি কিছুটা সুস্থ হলেও বোন ইলমা ও মা শিউলি বেগম স্বাভাবিক হতে পারেননি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআর অফিসের সামনে রোহিঙ্গা যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা
১ বছর আগে