সন্তান
তিন সন্তান ও স্ত্রীসহ হানিফের বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও স্ত্রী ফৌজিয়া আলম, ছেলে ফাহিম আফসার আলম ও ফারহান সাদিক আলম এবং মেয়ে তানিশা আলমের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, স্ত্রী, তিন সন্তানসহ মাহবুব উল আলম হানিফের বিদেশ যাত্রা বন্ধের আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
দুদকের পক্ষে উপপরিচালক সাইদুজ্জামান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
আবেদনে বলা হয়, মাহবুব উল আলম হানিফের বিরুদ্ধে পদ্মা ও গড়াই নদীর বালুমহল থেকে চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, হাটবাজার ইজারা বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টিআর-কাবিখাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক বিজিবি প্রধান সাফিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এসব অর্থ বিদেশে পাচার ও স্ত্রীর নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মাহবুব উল আলম হানিফ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে (কুষ্টিয়া, খুলনা, পটুয়াখালী, মোংলা, কক্সবাজার, টেকনাফ এলাকা ছাড়াও অন্যান্য এলাকায়) এবং দেশের বাইরে- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ অন্যান্য দেশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে।
অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন মর্মে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধানকার্য ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।
৩২ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণ: স্ত্রী-সন্তানের পর চলে গেলেন স্বামীও
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের পাইপে লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় মা ও মেয়ের পর এবার মারা গেলেন বাবা সোহাগ। এ নিয়ে এ ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ মোট চারজনের মৃত্যু হলো।
সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মারা যান সোহাগ (পোশাক শ্রমিক)।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘সোহাগের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।’
এর আগে রবিবার তার স্ত্রী পোশাকশ্রমিক রূপালী ও শনিবার দেড় বছরের শিশু সুমাইয়া একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তারা যথাক্রমে ৩৪ ও ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বর্ষবরণের কনসার্টে যুবক খুন, আহত ৩
ডা. শাওন বলেন, ‘এ ঘটনায় রিকশাচালক মো. হান্নান শনিবার ৪৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় মারা যান। এছাড়া হান্নানের স্ত্রী পোশাকশ্রমিক নূরজাহান আক্তার লাকি, তাদের সন্তান জান্নাত, সামিয়া ও সাব্বির এখনও বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন।’
গত ৩ মার্চ ভোরে লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে জমা গ্যাস বিস্ফোরণের পর আগুনে দুটি পরিবারের আট সদস্য দগ্ধ হন।
৩৭ দিন আগে
৩ বছরের সন্তানকে ‘কুপিয়ে হত্যা’, মা আটক
নরসিংদীর রায়পুরায় আনাস মিয়া নামে ৩ বছর বয়সী একটি শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরই পালিয়ে যান অভিযুক্ত নারী।
শনিবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ মির্জানগরে ঘটনাটি ঘটে। পরে রবিবার (২ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে শিশুটির মা শিরিনা বেগমকে হাসনাবাদ গ্রামের রেললাইনের পাশ থেকে আটক করে এলাকাবাসী।
আনাস মিয়া ওই এলাকার ডালিম মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে শিরিনের সঙ্গে বিয়ে হয় ডালিমের। বিয়ের তিন বছর পর জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে পাড়ি জমান ডালিম। তার পর থেকে সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন শিরিনা বেগম।
পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাতে শিরিনের শয়নকক্ষ থেকে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পান আনাছের দাদি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি এগিয়ে এসে নাতির রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। এর পরপরই পালিয়ে যান শিরিন।
পরে আজ (রবিবার) সকালে হাসনাবাদ গ্রামের রেললাইনের পাশ থেকে তাকে আটক করে এলাকাবাসী। এ সময় তার কাছে ছেলেকে হত্যার কারণ জানতে চাইলে তিনি কিছুই বলেননি। পরে তাকে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঞ্চল্যকর লক্ষণ পাল হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন
শিরিনের শ্বশুর ও আনাসের দাদা রহম আলী বলেন, ‘আমার ছেলের বউয়ের মাথায় কিছু সমস্যা রয়েছে। আনাসের জন্মের পর থেকেই তার মা তাকে মারধর করত। সে কারণে তার মায়ের কাছে বেশি দিতাম না।’
‘গতরাতে আমার নাতিকে আদর করে ঘুম পাড়িয়ে নামাজে যাই। পাশে বসা ছিল তার মা। পরে জানতে পারি আমার নাতিকে কুপিয়ে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। রাতে আর তার খোঁজে পাওয়া যায়নি। সকালে এলাকাবাসী তাকে আটক করে খবর দিলে আমরা ছুটে যাই।’
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত নারীকে আটক করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।’
৪৬ দিন আগে
হবিগঞ্জে দুই সন্তানকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে দাম্পত্য কলহের জেরে দুই শিশু সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার রাণীগাও ইউনিয়নের আতিকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
নিহতরা হলেন— আতিকপুর গ্রামের আব্দুর রউফ (৩৫) এবং তার শিশু সন্তান খাদিজা আক্তার (৫) ও আয়েশা আক্তার (৩)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (মাধবপুর-চুনারুঘাট সার্কেল) এ কে এম সালিমুল হক জানান, আব্দুর রউফ ও তার স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। তিনি ঋণগ্রস্তও ছিলেন। গতরাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয় আব্দুর রউফের। ঝগড়ার একপর্যায়ে কোলের সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান তার স্ত্রী। এরপর আব্দুর রউফ অপর দুই শিশু সন্তান খাদিজা ও আয়েশাকে বিষ খাওয়ানোর পর নিজেও বিষপান করেন।
আরও পড়ুন: আদালত ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির
বিষয়টি আঁচ করতে পেরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় আব্দুর রউফকে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। সেখানে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মারা যান তিনিও।
আব্দুর রউফের ছোট ভাই সোহাগ মিয়া বলেন, আমরা পাশের ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ চিৎকার-চেচামেচি শুনে গিয়ে দেখি আমার দুই ভাতিজি ও ভাই বিষ খেয়ে পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ভাতিজিদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, আমার ভাই ও ভাবির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকত।
আরও পড়ুন: পল্লবীতে ২ সন্তানকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
হবিগঞ্জ জেলা সদর ২৫০ শয্যা হাসাপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সাফায়াতুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল রাত ১টার দিকে আব্দুর রউফ বিষাক্রান্ত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (শুক্রবার) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান।’
৬২ দিন আগে
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যার দায়ে মায়ের যাবজ্জীবন
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে জয়পুরহাটে ছয় বছরের ছেলেকে গলাটিপে হত্যার দায়ে মা রেশমা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে রেশমা বেগমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। এ রায় ঘোষণার সময় আসামি রেশমা বেগম বুলি পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিশু রিয়াদ হত্যা মামলা: ২৪ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন
রেশমা বেগম বুলি জয়পুরহাটের সদর উপজেলার সগুনা গোপীনাথ পুর গ্রামের আসাদুজ্জামান আসাদুলের স্ত্রী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আসাদুজ্জামানের ভাই-ভাবির সঙ্গে রেশমা বেগমের প্রায়ই ঝগড়া লাগত। তার ভাই-ভাবির বাড়িতে একই গ্রামের মানিক হোসেন যাওয়া আসা করার কারণে তার সঙ্গেও রেশমা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। সে কারণে মানিককে লাঠি দিয়ে রেশমা মারধর করেন। এ ঘটনায় মানিকের স্ত্রী থানায় মামলা দায়ের করলে গ্রেপ্তার হয়ে রেশমাকে কয়েকদিন জেল খাটতে হয়েছে। পরে তিনি জেল থেকে বের হয়ে ২০০৭ সালের ১৩ জুলাই সন্ধ্যায় আসাদুলের ভাই-ভাবি ও মানিককে ফাঁসাতে নিজের ছয় বছরের শিশু রাকিবকে গলাটিপে হত্যা করেন। এ ঘটনায় শিশুর বাবা আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালত বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ২ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
২৬০ দিন আগে
সাতক্ষীরায় সন্তানকে হত্যার পর জ্বালিয়ে দিল বাবা!
সাতক্ষীরায় আট বছর বয়সী শিশু আরিফ বিল্লাহকে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা ইয়াসিন আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ধলাবাড়িয়া মাঠপাড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরিফ বিল্লাহ ধলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
আরিফের মা রোকেয়া খাতুন জানান, সদর উপজেলার চুপড়িয়া গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে ইয়াছিন আলীর সঙ্গে তার ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। তিন বছর আগে ধলবাড়িয়া মাঠপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পান তিনি। এরপর থেকে একমাত্র সন্তান আরিফ বিল্লাহসহ স্বামীকে নিয়ে তারা সেখানে বসবাস করতেন।
রোকেয়া বলেন, ‘আমার স্বামী মাদকাসক্ত ও অস্ত্র মামলার আসামি। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে আমার বিরোধ লেগেই থাকে। মঙ্গলবার স্বামী আমাকে মারধর করলে আরিফকে নিয়ে আমি আমার নানা ধুলিহর গ্রামের ইজ্জত আলীর বাড়িতে আশ্রয় নিই।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বাড়িতে প্রবেশের পথ নিয়ে বিরোধের জেরে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আহত ৫
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার নানার বাড়ি থেকে আরিফকে নিয়ে আসেন। রাতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে স্বজনদের ঘটনাটি জানায় ইয়াসিন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরে আগুন জ্বলছে দেখতে পায় গ্রামবাসী। ততক্ষণে পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে শিশু আরিফ।
আরিফ বিল্লাহর দাদী মলুদা খাতুন জানান, ইয়াছিন তার ছেলেকে হত্যা করে ঘরে আগুন লাগিয়ে তার মামার বাড়ি আগরদাড়িতে চলে যায়। সেখানে সে সামনে যাকে পেয়েছে তাকে পিটিয়েছে। পরে ইয়াছিনকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, শিশুটির বাবাকে আটক করা হয়েছে। সম্ভবত, তিনি মাদকাসক্ত। থানায় তিনি অসংলগ্ন আচরণ করছেন।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে গুলি করে হত্যা
তিনি আরও জানান, ছেলেটির দেহ পুড়ে গেছে। চেনা যাচ্ছে না এমন অবস্থা। ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে কামরাঙ্গীরচর হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
৪৬৮ দিন আগে
সাতক্ষীরায় স্বামীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে স্ত্রীর সন্তান প্রসব!
সাতক্ষীরায় আলতাফ হোসেন (৩৪) নামে এক ব্যক্তির লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে সন্তান প্রসব করেছেন তার স্ত্রী রহিমা খাতুন।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ থেকে স্বামীর লাশ নিয়ে আশাশুনি যাওয়ার পথে বুধহাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আলতাফ হোসেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর এলাকার শামছুর রহমানের ছোট ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ইট ভাটাশ্রমিক আলতাফ হোসেনের। লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফেরার পথে বুধহাটা বাজার এলাকায় পৌঁছালে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে থাকা গর্ভবতী স্ত্রী রহিমা খাতুনের প্রসব বেদনা শুরু হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই তিনি একটি মেয়েশিশুর জন্ম দেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আলতাফ হোসেন গত দুই সপ্তাহ আগে ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডাক্তার জানান আলতাফের ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়েছে। খুব দ্রুত তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ছেলের বন্ধুদের হাতে বাবা নিহত
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার লাশ গ্রামের বাড়ি আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর নেওয়া হচ্ছিল। বুধহাটা এলাকায় পৌঁছালে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা আলতাফ হোসেনের স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠে। এরপর অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই তিনি একটি মেয়েশিশুর জন্ম দেন।
প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালী বলেন, ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলতাফের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে তার জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। লাশ বাড়িতে আনার পথে লাশবাহী গাড়িতে তার স্ত্রী একটি মেয়েশিশুর জন্ম দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আলতাফের পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে। তার পরিবারকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় পুকুরে ডুবে ৫ বছরের ২ শিশুর মৃত্যু
সাতক্ষীরায় ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে মা ও নবজাতক নিহত
৪৯০ দিন আগে
তিস্তা নদীতে ছুড়ে সন্তানকে হত্যার অভিযোগে বাবা আটক
তিস্তা ব্রিজ থেকে নদীতে ছুড়ে ফেলে নবজাতক সন্তানকে হত্যার অভিযোগে বাবা লাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ। এর আগে, শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে তিস্তা ব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ৭ কর্মী আটক, আহত ৫ পুলিশ সদস্য
পুলিশ জানায়, জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝার ইউনিয়নের রাবাইটারী এলাকার লাল মিয়া ও ছামিরন ৩ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন। লাল মিয়ার পরিবার এ বিয়ে মেনে না নেওয়ায় তারা স্বামী-স্ত্রী দুইজনে মিলে নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ তেতুলতলা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন।
এরই মধ্যে গত ২২ অক্টোবর ছামিরন তার বাবার বাড়িতে একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান প্রসব করেন। জন্মের পর থেকে তার স্বামী ওই সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করেন। এমতাবস্থায় স্ত্রী ছামিরন প্রতিবাদ করলে গত ২৭ অক্টোবর বিকালের দিকে স্বামী লাল মিয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নবজাতকের ডিএনএ পরীক্ষার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মোটরসাইকেলে করে রংপুরের উদ্দেশে রওনা দেন।
একই দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিস্তা ব্রিজের মাঝখানে স্বামী লাল মিয়া মোটরসাইকেল থামিয়ে নবজাতককে তার মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর কথা বলে বিরতি নেয়। দুধ খাওয়ানোর এক পর্যায়ে ছামিরন লাল মিয়া আকস্মিকভাবে নবজাতককে তার কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ব্রিজের উপর থেকে তিস্তা নদীতে ফেলে দিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে রংপুরের দিকে পালিয়ে যান।
পুলিশ আরও জানায়, পরে ছামিরন কান্নাকাটি ও চিৎকারে লোকজন জমা হয়। তাদের ঘটনাটি জানান ছামিরন। লোকজন কাউনিয়া ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নবজাতকে খোঁজাখুজি করেও কোনো সন্ধান পাননি।
গত ২৮ অক্টোবর রাতে লাল মিয়া ছামিরনের কাছে এলে ৯৯৯ নম্বরে কল করে কচাকাটা থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লাল মিয়া সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. রুহুল আমীন বলেন, এই বিষয়ে নাগেশ্বরী থানায় গত ২৯ অক্টোবর একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হলে সমস্ত ঘটনা বর্ণনা ও সত্যতা স্বীকার করে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আরও পড়ুন: বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া মিয়া আরেফিকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক
ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ-বিএনপি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বিএনপি নেতা আটক
৫৩৫ দিন আগে
৮০ ‘সন্তানের’ মা নারায়ণগঞ্জের মুক্তা
নারায়ণগঞ্জ নগরীর পশ্চিম মাসদাইরের একটি বহুতল ভবনের সপ্তম তলায় মুখোমুখি দুটো ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন জাহানারা মুক্তা। ভাড়ার ফ্ল্যাট দুটোর একটিতে তিনি নিজে থাকেন। তিন কক্ষের অপর ফ্ল্যাটটি রেখেছেন তার তার ৮০ সন্তান। মানব সন্তান নয় ‘বিড়াল সন্তান’। ফ্ল্যাটে প্রবেশ করতেই বিড়ালগুলোকে আপন মনে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
মুক্তা জানান, শৈশব থেকেই বিড়ালের প্রতি আলাদা মমত্ববোধ তৈরি হয়।
পরিবারের লোকজনও বাড়িতে বিড়াল পুষতেন জানিয়ে মুক্তা বলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তেমন পছন্দ করে না। এ ছাড়া পেশাগত ব্যস্ততার কারণে বিড়াল পালন থেকে দীর্ঘ বছর বিরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিড়ালদের নতুন ঠিকানা ‘লিটল হুইস্কার ফোস্টার হোম’
তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে ছোট মেয়ের আবদার ও স্বামীর সম্মতিতে বিড়াল পালন শুরু করি।’
এরপর থেকে পথে-ঘাটে দুর্ঘটনায় আহত বিড়াল দেখলেই বাড়িতে এনে সেবা করে সারিয়ে তুলে নিজের কাছে রেখে দিতেন। এভাবেই একে একে বিড়ালের সংখ্যা ৮০ তে দাঁড়ায়।
মুক্তা আরও বলেন, ‘আমাদের পুরো পরিবার ছিল পশুপ্রেমী। বাড়িতে ৮-১০টা বিড়াল ছিল।’
বর্তমানে মুক্তার দুই কন্যা থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। বড় কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস মিফতি মাইক্রোসফট কোম্পানিতে চাকরি করেন আর ছোট কন্যা আফিয়া জাহিন মাহিয়া কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ছেন। গত আগস্টে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান স্বামী আমজাদ তালুকদার। এখন কন্যাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুক্তা। তবে বিদেশে যাওয়ার আগে ‘সন্তানতুল্য’ বিড়ালগুলোর একটা ব্যবস্থা করে যেতে চান। প্রকৃত বিড়ালপ্রেমীদের কাছে প্রাণীগুলো দত্তক দিতে চান তিনি।
১৭ অক্টোবর ফেইসবুকে বিড়ালপ্রেমীদের একটি গ্রুপে ‘বিড়াল দত্তক দেওয়ার বিষয়টি’ উল্লেখ করে পোস্ট দেন মুক্তার পরিচিত নাদিয়া নামে এক নারী।
নাদিয়ার এই পোস্ট রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকেই ফোনের পর ফোন আসতে থাকে জাহানারা খানম মুক্তার কাছে।
মুক্তা বলেন, ‘অনেক আমাকে ফোন দিয়ে বিড়াল দত্তক নিতে চাচ্ছেন। তবে সবাইকে দিচ্ছি না।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিড়ালের র্যাম্প শো
মুক্তা বলেন, ‘বিড়ালগুলো যাতে ভালো থাকে, ওদের যত্ন যারা নেবেন, তাদের বাছাই করে আমি বিড়ালগুলো দিচ্ছি। কেননা, আমার অতীত অভিজ্ঞতা ভালো না। একবার একজনকে পাঁচটা বিড়াল দিয়েছিলাম, কিন্তু কয়েকদিন পরই জানান, বিড়ালগুলো তিনি হারিয়ে ফেলেছেন। এরপর থেকে আর কাউকে দেইনি।’
৮০টির মধ্যে এ পর্যন্ত তার ৪০টি বিড়াল বিভিন্ন জন এসে নিয়ে গেছেন। তবে বিড়ালগুলোর বিষয়ে তিনি নিয়মিত খোঁজ-খবর নেবেন বলে জানান।
তিনি যে এলাকায় থাকেন ওই এলাকার অন্তত পাঁচটি স্থানে বেওয়ারিশ বিড়ালদের জন্য খাবার দেন। আশেপাশের অন্তত ৩৫টি বিড়াল নিয়মিত তার হাতের খাবার খায় বলে দাবি তার।
মুক্তা বলেন, ‘বিড়ালের বাচ্চার মিউ মিউ শব্দ আমার কাছে শ্রেষ্ঠ মিউজিক। আমি কখনই ওদের খাবার না দিয়ে নিজে খাই না। ওদের স্বাস্থ্যগত দিকে খেয়াল রাখার জন্য চিকিৎসকেরও নিয়মিত পরামর্শ নেই।’
ফেইসবুকে পোস্ট দেখতে পেয়ে মুক্তার কাছ থেকে দুটো বিড়াল দত্তক নিয়েছেন ঢাকার মাতুয়াইলের গৃহিণী নাজমা বেগম। বিড়াল নিতে আসেন নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুরের দ্বাদশ শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান সোয়াদও।
এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার বাসায় বিড়াল পুষি। ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেখে আমি আন্টির (মুক্তা) কাছ থেকে একটি বিড়াল নেওয়ার জন্য এসেছি। সঙ্গে আমার বন্ধুরাও এসেছে।’
আরও পড়ুন: বিড়ালের র্যাম্প শো!
৫৪৩ দিন আগে
নড়াইলে স্বামী-সন্তানের জন্য ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না বৃদ্ধার!
নড়াইলে ঘরে শয্যাশায়ী স্বামী ও সন্তানের জন্য ওষুধ নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগমের (৭০)। বেপরোয়া গতির পিকআপ কেড়ে নিল তার প্রাণ।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নড়াইল-যশোর মহাসড়কে সদর উপজেলার গাবতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত আনোয়ারা দুর্ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী চাঁচরা গ্রামের শওকত মোল্যার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: হিলিতে মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টর মুখোমুখি সংঘর্ষে স্কুল ছাত্রী নিহত
জানা গেছে, রাস্তা পার হতে গিয়ে বৃদ্ধা আনোয়ারা পিকআপের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।
স্থানীয়রা জানায়, আনোয়ারার স্বামী শওকত মোল্যা ও তার ছেলে দুইজনই শয্যাশায়ী। সে তাদের জন্য ওষুধ কিনতে গাবতলা গিয়েছিলেন। সেখানে রাস্তা পার হওয়ার সময় নড়াইল থেকে যশোরগামী একটি বেপরোয়া পিকআপ আনোয়ারাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে জ্ঞান হারান। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তুলারামপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান জানান, ঘাতক পিকআপটিকে জব্দ করা গেলেও এর চালক পালিয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে বালুর স্তূপ ধসে নিহত ৩
কুমিল্লায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ৩
৫৮০ দিন আগে