সংক্রমণ
শিগগিরই আসছে ফাইজারের ৬০ লাখ ডোজ টিকা
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আগস্ট মাসের শুরুতেই ফাইজারের ৬০ লাখ ডোজ টিকা আসছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন সেন্টারে ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুনঃ চলতি মাসে কোভ্যাক্সের ৩৫ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, ‘শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে চিঠি এসেছে। তারা জানিয়েছে, আগস্ট মাসের শুরুতেই কোভ্যাক্স সুবিধার আওতা থেকে ৬০ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা আমাদেরকে দেওয়া হবে। এছাড়াও এ মাসের শেষের দিকে বা আগস্টের প্রথম দিকে চীন থেকে আরও ৫০ লাখ টিকা আসছে।’
আরও পড়ুনঃ গণটিকার নিবন্ধন শুরু বৃহস্পতিবার
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী দেড় মাসের মধ্যে আমাদের হাতে এক থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা থাকবে। এছাড়াও আগস্ট মাসে আরও কিছু টিকা আসার কথা রয়েছে। ‘
আরও পড়ুনঃ এখন থেকে ৩৫ বছর হলেই টিকার নিবন্ধন
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের ডাক্তার নার্সরা গত দেড় বছর ধরে দিনরাত কাজ করছে। অনেকেই মৃত্যুবরণ করছে। তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ,আমরা আশা করবো আপনারা তাদের প্রতি সহানুভূতি জ্ঞাপন করবেন। তাদেরকে একটু উৎসাহিত করবেন।’
কিশোরগঞ্জে নতুন করে ১০২ জন আক্রান্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় কিশোরগঞ্জ জেলায় ৪২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ১০২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৬৪৭০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বগুড়ায় করোনা ও উপসর্গে ১৯ মৃত্যু, শনাক্ত ২৩৮
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার নতুন করে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের এ তালিকায় জেলার সদর উপজেলায় ৩৫ জন, হোসেনপুর উপজেলায় ০৬ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ০৫ জন, তাড়াইল উপজেলায় ০১ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ০৯ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ০৯ জন, ভৈরব উপজেলায় ২৪ জন, নিকলী উপজেলায় ০৩ জন ও ইটনা উপজেলায় ১০ জন রয়েছেন। আর ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় সুস্থ হয়েছেন ৪০ জন ।
আরও পড়ুনঃ করোনা: বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১২৭
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কিশোরগঞ্জ জেলার উপজেলা ভিত্তিক এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সদর উপজেলার ২৯৯৪ জন, হোসেনপুর উপজেলার ১৫৬ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ২৪৭ জন, তাড়াইল উপজেলায় ১৭৭ জন, পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ৩০৮ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ৪২৫ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ২৫৩ জন, ভৈরব উপজেলায় ১২৩৭ জন, নিকলী উপজেলায় ৭৯ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ৪২১ জন, ইটনা উপজেলায় ৬৫ জন, মিঠামইন উপজেলায় ৬৪ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৪৪ জন।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১৩ মৃত্যু
আক্রান্তদের মধ্যে ৫২৯৩ জন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন। বাকিরা আইসোলেশন কিংবা হোম কোয়ারান্টাইনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ছাড়া এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে এ জেলায় ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনা: খুলনায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু
খুলনার তিন হাসপাতালে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে করোনায় ১৪ জন ও উপসর্গে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এরমধ্যে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাতজন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুজন ও বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে খুলনা আবু নাসের হাসপাতালের নতুন করোনা ইউনিটে প্রথমদিনে ২৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ খ্যাত ফজল-এ-খোদার ইন্তেকাল
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনা করোনা ডেডিকেট হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৭ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ১০২ জন, ইয়ালো জোনে ৫৫জন, আইসিইউতে ২০ জন ও এইচডিসিতে ২০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪০ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৫ জন।
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়াতে করোনায় সর্বোচ্চ ২১ মৃত্যুর রেকর্ড
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ১১৫ জন। এরমধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৮ জন ও এইচডিইউতে আছেন ১০ জন। নতুন ভর্তি হয়েছেন ২৩ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২২ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডাঃ কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৫ জন, তার মধ্যে ৩৩জন পুরুষ ও ৩২ জন মহিলা। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু ৩৯ লাখ ৬৯ হাজার ছাড়াল
খুলনার আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, হাসপাতালে করোনা শনাক্ত হওয়া ২৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।
বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু ৩৯ লাখ ৬৯ হাজার ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী প্রতিদিনি মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬৩৫ জন।
এছাড়া একই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ কোটি ৩৪ লাখ ৪ হাজার ১৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৩১৬ কোটি ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৫৯৫ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৭ লাখ ১৩ হাজার ৭২৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ৫ হাজার ৪৯৩ জন।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় টানা সাতদিন শতাধিক মৃত্যু
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ৫৮৭ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৮৭ লাখ ২৫ হাজার ৪২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৫ লাখ ২ হাজার ৩৬২ জন। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১ হাজার ৫০ জনে।
আরও পড়ুন: ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ খ্যাত ফজল-এ-খোদার ইন্তেকাল
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
গত মার্চে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে ভয়াবহ অবস্থানে রয়েছে। দেশে এক সপ্তাহ ধরে করোনায় একশো'র বেশি মৃত্যু হচ্ছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে আরও ১৩৪ জন এবং এ সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬,২১৪ জনের।
নতুন মৃত্যুসহ দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৪ হাজার ৯১২ জন এবং করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লক্ষ ৩৬ হাজার ২৫৬ জনে।
আরও পড়ুন: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ‘নির্লজ্জ’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ দাবি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার দেশে করোনা শনাক্তের হার ২৭.৩৯ শতাংশ যা শুক্রবারে ছিল ২৮ শতাংশ।
এই সময়ে দেশে মৃত্যুর হার ১.৫৯ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।
কিশোরগঞ্জে আরও ৯৫ জনের করোনা শনাক্ত
কিশোরগঞ্জে ৩০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে আরও ৯৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৬১৪৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দেশে করোনায় টানা সাতদিন শতাধিক মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, শুক্রবার নতুন করে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের এ তালিকায় জেলার সদর উপজেলায় ৬৩ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় তিনজন, তাড়াইল উপজেলায় তিনজন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় তিনজন, কুলিয়ারচর উপজেলায় পাঁচজন, ভৈরব উপজেলায় ৯ জন নিকলী উপজেলায় একজন, বাজিতপুর উপজেলায় পাঁচজন, ইটনা উপজেলায় দুইজন ও মিঠামইন উপজেলায় একজন রয়েছেন। আর ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় সুস্থ হয়েছেন ৩২ জন।
আরও পড়ুনঃ করোনা: বগুড়ায় ৬ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১১২
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কিশোরগঞ্জ জেলার উপজেলা ভিত্তিক আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সদর উপজেলায় ২৮০৯ জন, হোসেনপুর উপজেলায় ১৪৩ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ২৩১ জন, তাড়াইল উপজেলায় ১৭৪ জন, পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ২৮৮ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ৪০০ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ২৫২ জন, ভৈরব উপজেলায় ১১৯৬ জন, নিকলী উপজেলায় ৭৫ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ৪২০ জন, ইটনা উপজেলায় ৫৪ জন, মিঠামইন উপজেলায় ৬৩ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৪৪ জন।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহী মেডিকেলে করোনায় আরও ১৩ মৃত্যু
আক্রান্তদের মধ্যে ৫১৭৫ জন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন। বাকিরা আইসোলেশন কিংবা হোম কোয়ারান্টাইনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উল্লেখ্য এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ জেলায় ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে করোনায় টানা সাতদিন শতাধিক মৃত্যু
গত মার্চে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে ভয়াবহ অবস্থানে রয়েছে। দেশে এক সপ্তাহ ধরে করোনায় একশো'র বেশি মৃত্যু হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে আরও ১৩৪ জন এবং এ সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬,২১৪ জনের।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহী মেডিকেলে করোনায় আরও ১৩ মৃত্যু
নতুন মৃত্যুসহ দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৪ হাজার ৯১২ জন এবং করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লক্ষ ৩৬ হাজার ২৫৬ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার দেশে করোনা শনাক্তের হার ২৭.৩৯ শতাংশ যা শুক্রবারে ছিল ২৮ শতাংশ।
আরও পড়ুনঃ ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় আরও ৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৯৪
এই সময়ে দেশে মৃত্যুর হার ১.৫৯ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।
কুড়িগ্রামে গরু পাচারকারীদের তৎপরতায় করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক
কুড়িগ্রামে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ডেল্টা ধরন নিয়ে জেলাবাসীর আতঙ্ক দিন-দিন বেড়েই চলেছে। করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারি ভাবে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন উদ্যোগ।অন্যদিকে আসন্ন ইদুল আযহাকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারত থেকে গরু নিয়ে আসায় সক্রিয় গরু পাচারকারীরা। জেলার অরক্ষিত বিভিন্ন সীমান্ত পথে প্রায় প্রতি রাতেই ভারতীয় গরু ঢুকছে এমন অভিযোগ সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল দিয়ে ছিনতাইকৃত গরুর ট্রাক উদ্ধার, আটক এক
ভারতীয় এই গরুগুলো পৌঁছে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরাও কুড়িগ্রামে আসছেন গরু কিনতে।জেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের আব্দুল হাকিম জানান, শনিবার ও মঙ্গলবার যাত্রাপুর হাটে শতশত ভারতীয় গরু কেনাবেচা হয়।এছাড়াও নারায়ণপুরের ইউনিয়নের বাসিন্দা মোজাম্মেল হক জানান, নদীপথে শত-শত গরু সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। এতে গরু পাচারকারীদের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকা গুলোতে করোনার ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
তবে বিজিবির দাবি, করোনার বিস্তাররোধে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।জেলাপ্রশাসন ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি বাজার মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে। এতকিছুর পরেও সীমান্ত দিয়ে গরু প্রবেশ থেমে নেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘পাচারকারীদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ধরন কুড়িগ্রামের সীমান্ত এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও কেন গরু চোরাচালান বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না, তা আমাদের বোধগম্য নয়? করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত কুড়িগ্রামের সব সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি গরু আসা বন্ধ করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত জরুরি।’
আরও পড়ুন: গরু ছিনতাই করতে না পেরে কৃষকের গলায় ছুরিকাঘাত
কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্নেল জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে সীমান্তে করোনা বিষয়ক প্রচারণা শুরু করা হয়েছে। সীমান্তবাসীদের জানানো হয়েছে কোনওরকম অনুপ্রবেশ লক্ষ্য করলেই তারা যেন বিষয়টি দ্রুত আমাদের জানান। এছাড়া অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্ত এলাকাগুলোতে টহল জোরদার করা হয়েছে।’
এতকিছুর পরেও আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দু'চারটি গরু চোরাপথে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনা: খুলনায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের তীব্র সংকট
কুড়িগ্রাম জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘মরণব্যাধি করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ করার বিষয়ে সবরকম নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে গাফলতি দেখা গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইউএনও ও বিজিবির সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।’উল্লেখ্য, সারাদেশে করোনার ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় এক সপ্তাহের লকডাউন চলছে পুরো দেশজুড়ে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) লকডাউনের প্রথম দিন দেশে করোনায় একদিনে ১৪৩ জন মারা যাবার কথা জানানো হয়, যা একদিনের হিসেবে মৃত্যুর রেকর্ড।
করোনা: খুলনায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের তীব্র সংকট
খুলনা অঞ্চলে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সাথে সাথে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংকটও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ফলে সময় মতো অক্সিজেন না পেয়ে অনেকে মারা যাচ্ছে বলে করোনা আক্রান্তদের স্বজনরা অভিযোগ করছে। আর এ অবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্যেও স্পষ্ট অসহায়ত্ব ফুটে উঠছে।
অক্সিজেন সিলিন্ডার কে আগে নেবে, তা নিয়ে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত রীতিমত কাড়াকাড়ি চলে রোগীদের স্বজনদের মধ্যে। এমনটাই দেখা গিয়েছে করোনার হটস্পট খুলনার কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে। সময়মতো অক্সিজেন না পেয়ে রোগী মৃত্যুর অভিযোগও বাড়ছে দিন দিন। অন্যদিকে বাসা-বাড়িতে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের স্বজনরা তৎপর আগে ভাগে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুদ করে রাখতে। এতে নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে সেবা খাতে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ
খুলনার সবচেয়ে বড় বিশেষায়িত হাসপাতালে ১৩০ শয্যার বিপরীতে গত কয়েকদিন যাবত রোগী ভর্তি আছেন ১৮০ থেকে ১৯০ জন। এখানে মাত্র ৭৭ টি শয্যায় রয়েছে কেন্দ্রীয় অক্সিজেনের সরবরাহ ব্যবস্থা, বাকি রোগীদের ভরসা সিলিন্ডার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাঁচ’শ সিলিন্ডার মজুদের কথা বললেও হাহাকার থামছে না।
এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘অক্সিজেনের সিলিন্ডার আমি নিজে ঘুরিয়ে আমার রোগীর পাশে রাখি। একটু পর এসে দেখি সেটা আরেকজন নিয়ে গেছে। আমাদের মতো যারা নরমাল পেশেন্ট তারা সিলিন্ডার পাচ্ছে না।’
আরেক করোনা রোগীর ভাই বলেন, ‘সিলিন্ডার না পেয়ে আমরা হাসপাতালে এদিক-ওদিক ছুটছি, কিন্তু সিলিন্ডার পাচ্ছি না। শুধু এই অক্সিজেনের জন্য আমার বোনটা মারা যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার সুযোগ দিচ্ছে সরকার
করোনা প্রতিরোধ ও সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য ও মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ ইউএনবিকে বলেন, ‘রোগীর এমন চাপ অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি চলে যাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। রোগীর সংখ্যা যখনই ১৭০ অতিক্রম করছে তখনই অক্সিজেন সিলিন্ডার সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।’
অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের হিসেবে সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল, বিভিন্ন সংগঠন আর ব্যক্তি পর্যায়ে শুধুমাত্র করোনা রোগীদের জন্য খুলনা শহরে বর্তমানে দৈনিক সিলিন্ডারের চাহিদা ৭০০ টি। তার বিপরীতে সরবরাহ করা যাচ্ছে মাত্র ৪১০ টি।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় একদিনেই সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু
তারা জানান, ‘ছোট সিলিন্ডারের চাহিদা প্রচণ্ড বেড়ে গেছে, প্রতিনিয়তই রাতের বেলা ফোন আসছে। অনেককে দিতে পারছি, অনেককে বলছি পরে আসেন, গাড়ি এখনো আসেনি বা আসতেছে। হঠাৎ করে চাহিদা যদি এক শ’র জায়গায় দুই শ’ হয়ে যায় সেটা চ্যালেঞ্জিং।’
একটি ছোট সিলিন্ডারে ১ হাজার ৩৬০ আর বড় সিলিন্ডারে অক্সিজেন ধারণ ক্ষমতা ৬ হাজার ৮০০ লিটার।
চাহিদা আর সরবরাহের ভিতর ফারাকের দূরত্ব ক্রমশই বাড়ছে। যে পরিস্থিতি চলছে তাতে অক্সিজেন সিলিন্ডার একসময় দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠতে পারে খুলনায়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের করোনায় শনাক্তের হার ৪৫.৯৫, মৃত্যু ৫
সাতক্ষীরা করোনা ডেডিকেটেড মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন বিপর্যয়ের কারণে বুধবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় ৭ জন রোগী মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদেরকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে গত বুধবার হঠাৎ করেই খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। এখানকার মেশিন ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: করোনা: খুলনা বিভাগে রেকর্ড ৩৫ জনের মৃত্যু, ১২৪৫ শনাক্ত
তবে তার আগেরদিন মঙ্গলবার (২৯ জুন) ২৬৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪৬.৭৪ শতাংশ। এর আগে সোমবার খুমেক ল্যাবে শনাক্তের হার ছিলো ৩৮.৯৩ শতাংশ, আর রবিবার ৩৯.৬৫ শতাংশ, শনিবার ৫০ শতাংশ, শুক্রবার ৩৭.৯০ শতাংশ, বৃহস্পতিবার ৫১.৫৫ শতাংশ, বুধবার ৩৪ শতাংশ আর মঙ্গলবার ৪০ শতাংশ। এই তথ্যই বলে দিচ্ছে খুলনা অঞ্চলে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা সংক্রমণের হার ৫৪ শতাংশ
ঠাকুরগাঁও জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০৮ জন করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এসময় মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২০০ জনের। শনাক্তের হার ৫৪ শতাংশ।
এছাড়া বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনার তিন হাসপাতালে ১০ মৃত্যু
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, নতুন ১০৮ জন আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ৬৭ জন, বালিয়াডাঙ্গীতে ০৯ জন, পীরগঞ্জে ০৫ জন, রাণীশংকৈলে ১৮ জন এবং হরিপুরে ০৯ জন।
তিনি আরও জানান, ঠাকুরগাঁও জেলায় সর্বমোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৩,৩৮৪ জন, যাদের মধ্যে ১৯৯৭ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন এবং এ পর্যন্ত মৃত্যু ৮৩ জন।
আরও পড়ুনঃ রামেকে রেকর্ড ২২ জনের মৃত্যু
এদিকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন প্রায় প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।
জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, বুধবার ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৮ টি মামলায় বিভিন্ন জনকে ৩২ হাজার ২৭০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
লকডাউন: সিলেটে গণপরিবহন বন্ধ
করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত সীমিত লকডাউনে সিলেটের রাস্তায় গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা না গেলেও বন্দরবাজার, মদিনা মার্কেট, আখালিয়া এলাকায় লেগুনা ও সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
সোমবার সকাল থেকেই সিলেট নগরীর উপশহর, টিলাগড়, মেজরটিলা, কুমারপাড়া, মীরবক্সটুলা, কদমতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাট খোলা রাখতে দেখা যায়।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে একদিনে সর্বোচ্চ ২৩৪ জনের করোনা শনাক্ত
এদিন, সিলেট থেকে কোন দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। এমনকি সিলেটের অভ্যন্তরেও কোন বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। বন্ধ রয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) টাউন বাসও।
এদিকে, সোমবার সকালে পরিবহনের অভাবে সিলেটের বিভিন্ন পয়েন্টে অফিসগামী যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে দেখা গেছে। অনেকে দীর্ঘক্ষণ ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকেছেন যানবাহনের অপেক্ষায়।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনকে ‘তামাশা’ বললেন ফখরুল
উল্লেখ্য, সারাদেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত বৃহস্পতিবার সারাদেশে ১৪ দিনের পূর্ণ শাটডাউন দেয়ার সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে বিধিনিষেধ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যদিও এর আগে থেকে বিধিনিষেধ জারি ছিল, যেটির মেয়াদ রয়েছে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনের সীমিত লকডাউন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে। তবে সেদিন থেকে সর্বাত্মক লকডাউন দেয়া হবে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।