রেলওয়ে
রেলওয়ের ৪০% পোষ্য কোটা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়: হাইকোর্ট
বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যাডারবহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগসংক্রান্ত বিধিমালায় সরাসরি নিয়োগে (১৪তম থেকে ২০তম গ্রেড) মোট শূন্য পদের ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখার বিধান কেন অবৈধ ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ রুল দেন। রেলসচিব, আইনসচিবসহ বিবাদীদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাকরিতে কোটা সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ২ শিক্ষার্থীর আবেদন
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
পরে আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যাডারবহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা–২০২০–এর ৩(৩) উপবিধিতে রেলওয়েতে যারা চাকরি করছেন, তাদের সন্তানদের জন্য ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে। এই উপবিধি সংবিধানের ২৬, ২৭, ২৮ ও ২৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যে কারণে রিটটি করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত ওই রুল দেন।’
এর আগে গত ২৬ মে বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্যাডারবহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালার ৩(৩) উপবিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।
রিটকারী আইনজীবী জানান, ৪০ শতাংশ কোটার সংরক্ষিত থাকার ফলে সমাজের নিম্ন শ্রেণির তথা দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষকের সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী সন্তানদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী রোকনুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সেই কারণে একজন সচেতন নাগরিক এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে আমি সংক্ষুব্ধ। কারণ, এভাবে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমি আইনি প্রতিকার চাওয়ার জন্য রিট করেছি।’
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়ে ৪ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা
৪ মাস আগে
১৫ নভেম্বরে বাংলাদেশ রেলওয়ে’র সেবা সপ্তাহ শুরু
১৫ই নভেম্বর থেকে সপ্তাহব্যাপী রেলওয়ে সেবা সপ্তাহ পালন করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলওয়ে সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
এ সকল কার্যক্রমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ১৫ই নভেম্বর ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক টাস্কফোর্স কমিটি গঠন-পূর্বক বিভিন্ন স্টেশন/ট্রেন পরিদর্শন করা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে সেবামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ট্রেনে ভ্রমণরত যাত্রীদের মধ্যে ফুল/চকলেট/পানি বিতরণ করার ব্যবস্থা করা, যাত্রী সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন স্টেশনে রেল সেবা সংক্রান্ত লিফলেট বিতরণ করা ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ রেলওয়ে: ঢেলে সাজানোর বিস্তর পরিকল্পনা সরকারের
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন সমূহ ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিত করা, বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণ রোধে বিশেষ ব্লক চেকিং কার্যক্রম গ্রহণ করা, আরএনবি ও জিআরপি কর্তৃক বিভিন্ন নিরাপত্তা কার্যক্রম গ্রহণ করা, স্টেশন প্লাটফর্ম ও ট্রেনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, ট্রেনে সরবরাহকৃত খাবারের মান নিশ্চিতকরণ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা, স্টেশন প্লাটফর্ম ও স্টেশনে অবস্থিত দোকানসমূহ এবং চলন্ত ট্রেনে ধূমপান ও তামাক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা, রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন হাসপাতালসমূহে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, রেলওয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন স্টেশনসমূহে ফ্রী চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালনা করা, ট্রেনের গার্ড ও স্টেশন মাস্টারের নিকট রক্ষিত ফার্স্ট এইড বক্সে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি প্রদান করার ব্যবস্থা ইত্যাদি করা হবে।
এছাড়াও রেলসেবার মান উন্নয়নের লক্ষে যাত্রীদের নিকট থেকে ফিডব্যাক সংক্রান্ত সার্ভে সরাসরি কোশ্চেনইয়ার এর মাধ্যমে এবং অনলাইনেও করা হবে।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে সব আসনে যাত্রী নিয়ে চলবে ট্রেন: বাংলাদেশ রেলওয়ে
বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ৪০টি ইঞ্জিন কেনার চুক্তি সই
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে রেলওয়ের ৪ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য বরখাস্ত
চট্টগ্রামে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) চার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের বরখাস্ত করা হয় বলে আরএনবির কর্মকর্তারা জানিয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া চার সদস্য হলেন- সিপাহি মাইন হাসান রাকিব, লিটন চাকমা, হাবিলদার মো. রবিউল ইসলাম। অপরজনের নাম জানা যায়নি।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে সৃষ্ট অপ্রীতিকর ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানায় রেলের নিরাপত্তা বিভাগ।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে রেলওয়ে কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
বিষয়টি নিশ্চিত করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আরএনবির কমান্ডেন্ট রেজওয়ানুর রহমান বলেন, সম্প্রতি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে একটি বাহিনীর এক সদস্যের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে আরএনবির চার সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই বিষয়ে তদন্ত চলছে।
জানা গেছে, গত বুধবার রাতে একটি বিশেষ বাহিনীর এক সদস্য ট্রেনের যাত্রী ছিলেন। সাদা শার্ট পরিহিত ওই যাত্রী আরএনবির সদস্যের সঙ্গে অনিয়ম নিয়ে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসময় আরএনবির এক সদস্য ওই বিশেষ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নাম ধরে গালি দিতে দিতে ওই সদস্যকে লাথি মারতে থাকেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আরএনবির চার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টারকে শোকজ, ৫ জনের বদলি
রেলের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে ৭ দিন সময় পেল রেলওয়ে
২ বছর আগে
অরক্ষিত রেলক্রসিং: ফেনীতে ৭ মাসে ৯ জনের মৃত্যু
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ফেনী অংশে শশর্দী থেকে মুহুরীগঞ্জ পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ২৩ কিলোমিটারের মধ্যে অনুমোদনহীন অরক্ষিত ১২টি ও ২১টি অনুমোদিত রেলক্রসিং রয়েছে। চলতি বছরের ৭ মাসে রেলপথের ফেনী অংশে ট্রেনে কাটা পড়ে ৯ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
ট্রেনকে ভ্রমণের অন্যতম নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা সত্ত্বেও প্রতি বছর বাংলাদেশে রেল দুর্ঘটনায় বহু মানুষ মারা যায়। জানুয়ারি ২০২২ সালে প্রকাশিত রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে ১২৩টি রেল দুর্ঘটনায় প্রায় ১৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
গত ২৯ জুলাই মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় একসঙ্গে ১১ তরুণের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দুজনের মৃত্যু হয়। এর মধ্য দিয়ে নিরাপদ রেলক্রসিংয়ের বিষয়টি ফের সামনে উঠে আসে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ঊর্ধ্বতন উপ সহকারী প্রকৌশলী (পথ) রিটন চাকমা জানান, প্রতিনিয়ত ইচ্ছেমতো রেলের ওপর দিয়ে পথ তৈরি করা হচ্ছে। অনুমোদনহীন এসব ক্রসিংগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে মুহুরীগঞ্জে। এখানে ৬টি অনুমোদনহীন রেলক্রসিং তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া শর্শদী, দেওয়ানগঞ্জ, ফাজিলপুরে রয়েছে আরও ৬টি। সবচেয়ে ঝূকিপূর্ণ হচ্ছে মুহুরীগঞ্জ।
ফেনীর বারাহীপুর রেলক্রসিং এলাকার দায়িত্বে থাকা গেটম্যান জীবন জানান, ট্রেন আসার আগেই গেট বন্ধ করা হয়। কিন্তু গাড়ীর ড্রাইভার ও পথচারীরা দ্রুতত রেল লাইন পার হওয়ার চেষ্টা করে। এতে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়।
অনুমোদনহীন এসব রেলক্রসিং প্রসঙ্গে ফেনী রেলস্টেশন মাস্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, রেলপথের পাশে বসতঘর থাকায় বিভিন্ন সময় অনুমোদনহীন ক্রসিং তৈরি করা হয়। ফলে দুর্ঘটনার শঙ্কা অনেক বেশি বাড়ছে।
রেলওয়ে পুলিশের ফেনী ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নফিল উদ্দিন জানান, চলতি বছরের ৭ মাসে রেলপথের ফেনী অংশে ট্রেনে কাটা পড়ে ৯ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনায় ৯টি অপমৃত্যুর মামলাসহ ১২ মামলা রেকর্ড হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত বছরের ১১ অক্টোবর ভোরের দিকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফতেহপুর রেলক্রসিংয়ে যাত্রীবাহি বাস রেললাইনে উঠে পড়লে ট্রেনের সাথে সংঘর্ষ ঘটে। এতে ৪ ব্যক্তি প্রাণ হারান। এছাড়া বারাহীপুর রেলক্রসিং, শহরের রেলগেট ক্রসিংয়ে সাম্প্রতিককালে দুর্ঘটনা ঘটে এবং প্রাণহানিও হয়।
পড়ুন: মিরসরাই ট্রাজেডি: আয়াতের পর এবার চলে গেলেন তাসমির হাসান
২ বছর আগে
রেলের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে ৭ দিন সময় পেল রেলওয়ে
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি ও ছাদে যাত্রী বহন বন্ধসহ অব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছে রেলওয়ে। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী রবিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তিনি জানান, রেলওয়ের পক্ষে কমপ্লায়েন্স (প্রতিবেদন) দাখিলের জন্য এক সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করেছি। আদালত সময় দিয়ে আগামী রবিবার পরবর্তী দিন রেখেছেন।
রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা বন্ধে ছয় দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির বিষয়টি নজরে নেয়ার পর ২১ জুলাই হাইকোর্ট প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। ওইদিন হাইকোর্ট ট্রেনের ছাদে যাত্রী বহন বন্ধ করতে বলেন। যদি বন্ধ না করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
রেলওয়ের সামগ্রিক অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ৬ দফা দাবি নিয়ে ৭ জুলাই থেকে একক অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাবির থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। তিনি ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী। তার ছয় দফা দাবিগুলো- সহজ ডটকম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে অথবা সহজকে বয়কট; টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ; টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্ব সাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ; ট্রেনের জনসাধারণের জানমালের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; ট্রেনে ন্যায্যমূল্যে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ; ট্রেনের সিট সংখ্যা বা ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো; একইসঙ্গে সঠিক সেবার মান ও তথ্যের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে শক্তিশালী মনিটরিং টিম গঠন। এছাড়া রনির অভিযোগের পর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গত ২০ জুলাই রেলের টিকিট বিক্রির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের বিরুদ্ধে গ্রাহক অবহেলার প্রমাণ পাওয়ায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করে। গত ২৫ জুলাই রাতে রেলভবনে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন রনি।
আরও পড়ুন: রেলের অব্যবস্থাপনা: চলামান আন্দোলন স্থগিত করলেন রনি
রেলের প্রতিবাদ: কমলাপুর স্টেশনে ঢুকতে রনিকে বাধা
২ বছর আগে
পদ্মা সেতুর আদলে হবে চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেল সেতু
অবশেষে ২০০১ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা শতবর্ষী কালুরঘাট সেতুটি নির্মাণে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।
পদ্মা সেতুর আদলে হবে চট্টগ্রামের কাক্ষিত কালুরঘাট রেল সেতু। পদ্মা সেতুর মত দ্বিতল ডিজাইনে কালুরঘাট সেতুর ওপরে দুই লেনের সড়ক ও নিচে ট্রেন চলাচল উপযোগী করে নকশা প্রণয়ণের কাজ চলছে। রেল সেতুতে ব্রড ও মিটার গেজ ট্রেন চলাচল উপযোগী রেল লাইন বসানো হবে।বুধবার দুপুরে পূর্বাঞ্চলীয় রেলের সদর দপ্তরের (সিআরবি) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সেতুর প্রাথমিক সমীক্ষা শেষে সেতু নির্মাণের স্থান, নকশা, ব্যয় ও নির্মাণকাল নিয়ে প্রাথমিক প্রস্তাবনা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেছে দাতা সংস্থা কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক।সভায় জানানো হয়, নতুন ডিজাইনে সেতুটি নির্মাণের জন্য আগের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ব্যয় করতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই কালুরঘাট সড়ক কাম রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতে পারে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে জয়-পুতুলের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাইরালবৈঠক শেষে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কালুরঘাট সেতু নিয়ে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক ফিজিবিলিটি স্টাডি করছে। আমাদের জানানো হয়েছে, ব্রিজের ওপরের ডেকে থাকবে সড়ক, নিচের ডেকে থাকবে রেললাইন। উভয়ই ডাবল লাইন হবে। রেল ডাবল লাইন হবে, সড়কও ডাবল লাইন। পদ্মা সেতুর আদলে আগামী বছরের শুরুতে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৩৪১ কোটি টাকা। সেতুটির ৭৮০ মিটারের ওপরে চলবে গাড়ি আর নিচে ট্রেন। দুটিই হবে ডাবল লাইনের। ফলে ট্রেন-গাড়ি একই সময়ে যেতেও পারবে, আসতেও পারবে। প্রাথমিকভাবে ব্রিজের দৈর্ঘ্য আমাদের বলা হয়েছে ৭৮০ মিটার, বায়াডাক্ট ৫ দশমিক ৬২ মিটার। স্প্যান হবে ১০০ মিটার। ব্রিজের উচ্চতা হবে ১২ দশমিক ২ মিটার।’তিনি আরও বলেন, ‘আগামী মাসে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক ফাইনাল ফিজিবিলিটি স্টাডি রিপোর্ট জমা দেবে। এরপর টেন্ডার হবে। আমাদের টেন্ডার শেষ করতে প্রায় ছয় থেকে আট মাস সময় লাগবে। তারপর ইডিসিএফ ফান্ড দেবে। ফান্ড দিলে কাজ শুরু হবে। টেন্ডারের পর সেতুটি নির্মাণের প্রায় চার বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের খরচ ছয় হাজার ৩৪১ কোটি টাকার মতো বলা হয়েছে।’প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সেতু নির্মাণের সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছে কাজ শুরুর সময় থেকে চার বছর। আর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একনেকে অনুমোদন, দরপত্রসহ আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে তারা সেতুর কাজ শুরু করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সেতুটি নির্মাণ শেষ হতে বর্তমান সময় থেকে পাঁচ বছর অর্থাৎ ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও প্রকল্প পরিচালক গোলাম মোস্তফা, ইউশিন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার কোণ উক পার্ক, কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতুর প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. গোলাম মোস্তফা, ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্টস লিমিটেডের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. আনোয়ারুল হক, ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্টস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মো. রিয়াজুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টারকে শোকজ, ৫ জনের বদলি
রেলওয়ের নিয়ম ভঙ্গ করে পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করায় খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করা হয়েছে। এর সঙ্গে সেই পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিভিন্ন স্টেশনে বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেলে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক পাকশী মো. শাহেদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
তিনি বলেন, স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার রেল প্রশাসনকে না জানিয়ে পুলিশে জিডি করেছেন যেটা সঠিক করেননি। সে কারণে তাকে শোকজ করা হয়েছে। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে মানিক চন্দ্রকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তিনি যে অভিযোগ করেছেন তা আমরা তদন্ত করছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাদের বিভিন্ন স্টেশনে বদলির অর্ডার করেছি।
এর আগে ১৬ মে খুলনা মানিক চন্দ্র সরকার টিকিট কালোবাজারীর অভিযোগ এনে দু’জন সহকারী স্টেশন মাস্টারসহ পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। যাদের বিরুদ্ধে জিডি করা হয়েছে তারা হলেন টিএক্সআর বায়তুল ইসলাম, আইডব্লিউ অফিসের মো. জাফর মিয়া, তোতা মিয়া, সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. আশিক আহম্মেদ ও সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. জাকির হোসেন।
আরও পড়ুন: টিটিই বরখাস্ত: স্ত্রীর কর্মকাণ্ডে বিব্রত রেলমন্ত্রী
খুলনা স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার জিডিতে উল্লেখ করেছেন, খুলনা আইডব্লিউ অফিস স্টাফ, দুইজন সহকারী স্টেশন মাস্টারসহ পাঁচজন কর্মকর্তা এবং আরও ৪/৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি সরাসরি টিকিট কালোবাজারীর সঙ্গে জড়িত। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের নামে ভুয়া টিকিটের চাহিদা দিয়ে সংগ্রহ করেন। টিকিট না পেলে বহিরাগত লোকদের ডেকে এনে সংঘবদ্ধ হয়ে মাস্টারকে হেনস্থা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। তাদের টিকিটের চাহিদা এতোটা বেড়েছে যে টিকিট না পেলে স্টেশন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও মারধর করার মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর পায়তারা করছে। প্রকৃত পক্ষে রেলের কোন ভিআইপি টিকিট সংরক্ষিত নেই। কিন্তু তারা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে এ কাজে লিপ্ত। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং স্টেশনের শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে এই জিডি করা হয়েছে।
এদিকে যাদের বিরুদ্ধে জিডি করা হয়েছে তারা বলেন, আমরা টিকিট কালোবাজারি করেছি তার কোন প্রমাণ দিতে পারবেন না স্টেশন মাস্টার। সংরক্ষিত কোটার টিকিটগুলো সব সময় স্টেশন মাস্টার নিজে মেনমেইন করতেন। আমাদের তিনি তালিকা দিলে আমরা সেই তালিকা অনুযায়ী টিকিট বিক্রি করতাম। যার প্রমাণ আছে আমাদের কাছে।
আরও পড়ুন: টিটিই বরখাস্তের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, যাত্রীরা আমার আত্মীয় নয়: রেলমন্ত্রী
রেলওয়ে এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
রেলমন্ত্রীর আশ্বাসে রানিং স্টাফদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর রেলমন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে বুধবার বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারী ঐক্য পরিষদ তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল আলম ইউএনবিকে জানান, রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজনের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলনকারীরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে রেলওয়ের রানিং স্টাফদের সঙ্গে আলোচনা করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এ সময় তিনি রানিং স্টাফদের ভাতা বাতিলের ঘোষণা সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: রানিং স্টাফরা ধর্মঘটে, সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ
রেলমন্ত্রী বলেন, আমরা রেলের রানিং স্টাফদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করছি। তাদের দাবি আদায়ে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু গত ১০ এপ্রিল বেসমারিক কর্মচারীদের পেনশন ও আনুতোষিক হিসাবের ক্ষেত্রে মূল বেতনের সঙ্গে কোনো ভাতা যোগ করার সুযোগ নেই বিধায়, রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মূল বেতনের সঙ্গে রানিং ভাতা, পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা দেয়ার প্রস্তাবে নির্দেশক্রমে পুনরায় অর্থ বিভাগ অসম্মতি জানায়।
তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের এমন অবস্থানের পর বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা কর্মবিরতিতে যান। তাতে ট্রেন চলাচলে অচলাবস্থা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামী ১৯ এপ্রিল রেলের এ সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের শিডিউল রয়েছে। আশা করি তিনি রেলের সমস্যাগুলো সমাধানে সহযোগিতা করবেন।
এর আগে রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ধর্মঘটে যাওয়ায় ভোর থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আকস্মিক ধর্মঘটের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভ্যন্তরীণ রুটের হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রেল খাতে বিনিয়োগ করতে চায় স্পেন
২ বছর আগে
রানিং স্টাফরা ধর্মঘটে, সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ
রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারী ঐক্য পরিষদ অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাওয়ায় বুধবার ভোর থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল আলম বলেন, মাইলেজ ভাতা প্রত্যাহারে সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ভোর ৫টা থেকে অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট শুরু করেন।
আকস্মিক ধর্মঘটের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভ্যন্তরীণ রুটের হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ শিক্ষার্থী নিহত
বিষয়টি সমাধানে সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে আন্দোলনরত স্টাফদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রেলমন্ত্রী, সচিব ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ইউএনবির গাজীপুর সংবাদদাতা জানান, সকাল ৬টা থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি এবং ধর্মঘটের কারণে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা ‘একতা এক্সপ্রেস’সহ বেশ কয়েকটি ট্রেন রেলস্টেশনে আটকা পড়ে।
মাইলেজ ভাতা হল ট্রেনচালক, সহকারী চালক, গার্ড ও টিটিরা দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বেসিকের হিসেবে বাড়তি অর্থ পেতেন। এছাড়া অবসরের পর বেসিকের সঙ্গে এর ৭৫ শতাংশ অর্থ যোগ করে অবসরকালীন অর্থের হিসাব হতো। গত বছরের ৩ নভেম্বর এসব সুবিধা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে ট্রেনের ধাক্কায় বাবা-মেয়ে-নাতি নিহত
২ বছর আগে
রাজশাহীতে রেলওয়ে কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
রাজশাহী মহানগরীর ভদ্রা এলাকায় রেলওয়ের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডের ভদ্রা রেল কলোনীর পেছনে একটি ধানের জমিতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জহুরুল ইসলাম রেলওয়ের চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা স্টেশনের পোর্টাল পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি শ্রমিক লীগের রেলওয়ে ওপেন লাইন শাখার সহ-সভাপতি। এছাড়াও তিনি ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয় ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমন জানান, বাড়ির পিছনে রেলওয়ে একটি জমিতে চাষাবাদ করা নিয়ে রেলওয়ের আরেক কর্মী মতিহারের ছেলে সজীবের সঙ্গে জহুরুলের বিরোধ চলছিল। শুক্রবার দুপুরে রেলের ওই জমিতে ধান লাগানোকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সজীব তাকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় গৃহকর্মী হত্যার মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমরান আলী বলেন, জহুরুল ও সজীব দুজনেই রেলওয়ের কর্মচারী। কয়েক বছর ধরে ওই জমিটি তারা দুজনে চাষাবাদ করতো। এ বছর জহুরুল একাই জমিটিতে ধান লাগাতে গেলে দ্বন্দ্ব বাধে। সে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সজীবের বাবা মতিয়ারকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ঘটনার সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে যুবকের লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
২ বছর আগে