কর্তৃপক্ষ
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের ‘অবহেলায়’ গর্ভের সন্তানসহ প্রসূতির মৃত্যু
বগুড়া সদরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় গর্ভের সন্তানসহ এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে নিহতের স্বজনরা ওই ক্লিনিকে ভাঙচুর চালান।
শনিবার (১ মার্চ) রাতে জলেশ্বরীতলা এলাকায় এনাম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
নিহত রোখসানা আক্তার বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার মথুরাপাড়া গ্রামের রুবেল হোসেনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বরে সাবেক পিপি-জিপিসহ আ.লীগ নেতাদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
নিহতের ভাই সাফিউল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার বেলা ১১টার দিকে রোখসানার প্রসব ব্যথা ওঠে। তখন তাকে ডেলিভারির জন্য এনাম ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের পরামর্শে সেখানে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ভর্তি করার পর সেখানে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। এ সময় কর্তৃপক্ষ জানায়, রোগীর ব্যথা আরও বাড়ুক, ডাক্তার কিছুক্ষণ পর আসবেন। এসব বলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেওয়া হয়। ভর্তির প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ক্লিনিকে ডাক্তার উপস্থিত হন।’
‘পরে রোগীর অবস্থা ভালো না থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিতে বলা হয়। এরপর রোগীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গর্ভের সন্তানসহ আমার বোনকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এ বিষয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৯ দিন আগে
ঢাকায় রিকশার ব্যাপক বিশৃঙ্খলা, কর্তৃপক্ষ নীরব
জনবহুল রাজধানী ঢাকার সর্বত্র রিকশার সংখ্যা বাড়ায় তীব্র যানজট হলেও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে কর্তৃপক্ষ অনীহা দেখিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করছেন নগরবাসীরা।
নগরীতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারী সাইফুল আজম ইউএনবির প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘যানজটের ওপর দৃশ্যমান প্রভাব সত্ত্বেও রিকশার সংখ্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য না থাকা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।’
ইউএনবির এক তদন্তে রিকশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ঘাটতি থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। যা তথ্য এবং সঠিক বাস্তবতার মধ্যে একটি উদ্বেগজনক পার্থক্য দেখা গেছে।
বর্তমানে ঢাকার ১০ শতাংশ বাসিন্দা ব্যক্তিগত যানবাহন ব্যবহার করেন, ২৫ শতাংশ গণপরিবহন, ৫ শতাংশ অটোরিকশা ও ট্যাক্সি ব্যবহার করেন।
ব্যাটারিচালিত রিকশা: বাড়ছে উদ্বেগ
ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা বৃদ্ধি শহরের যানজট সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। লাইসেন্স বা আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ছাড়াই চলাচলকারী এই যানবাহনগুলো প্যাডেল রিকশা চালকদের জন্য হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের জীবিকা নির্বাহের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলেও তারা যুক্তি দিচ্ছেন।
২০১৪ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত রিকশার ওপর হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরও এটি থামেনি, বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর জারি করা আরেকটি নির্দেশনায় এ ধরনের রিকশা আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়। তবে ঢিলেঢালা আইন প্রয়োগের কারণে ঢাকার সড়কে এসব বাহনের লাগামহীন বৃদ্ধি ঘটছে।
অনুমোদন প্রদান এবং তথ্য বৈষম্য
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নামে বিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) তিন দশক আগে প্যাডেল রিকশার লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করে দেয়। কারণ, যানজটের জন্য এসব রিকশাই ভূমিকা রাখে ।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় অনুমোদিত রিকশার সংখ্যা ২ লাখ ২০ হাজার ৩৭৯টি, যার মধ্যে ডিএনসিসির ৩০ হাজার ১৬২টি এবং ডিএসসিসিতে ১ লাখ ৯০ হাজার ২১৭টি।
আরও পড়ুন: জুরাইন লেভেল ক্রসিংয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের অবরোধ, রেল চলাচল ব্যাহত
কিন্তু, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) ২০১৯ সালের এক গবেষণায় ঢাকায় প্যাডেল রিকশার সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশ নিবন্ধিত রিকশা।
নেপথ্যের শক্তি
রিকশাচালকদের সাক্ষাৎকারে জানা গেছে, রাজনীতিবিদ, প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সম্পৃক্ততার কারণে রিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জিং। এই গোষ্ঠীগুলো রিকশা খাতের মুনাফা এবং সরকারি রাজস্বে এর ন্যূনতম অবদান বিবেচনা করে অবৈধভাবে রিকশা পরিচালনার সুরক্ষা এবং সহায়তা করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এক দশকের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্যাডেল রিকশাচালক জব্বার শোষণের গল্প শোনান: ‘আমরা যে অর্থ উপার্জন করি, তার বেশিরভাগই মালিকদের দিতে হয়। আমরা প্রতিদিনের সঞ্চয়, রাস্তার খরচ এবং যেকোনো ক্ষতির জন্য অর্থ দিয়ে থাকি। একটি রিকশা হারিয়ে গেলে কিস্তিতে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। রিকশার মালিকানা ব্যয়বহুল এবং এলাকার উপর নির্ভর করে। গুলশান ও বনানীর মতো জায়গায় বাড়তি বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। আমরা প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করছি, কিন্তু খুব কম আয় করি। ‘
আরও পড়ুন: ডিএমপির আশ্বাসে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের কর্মসূচি স্থগিত
আরেক রিকশাচালক সুমন আলী জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় এবং ব্যাটারিচালিত রিকশার সঙ্গে প্রতিযোগিতার কারণে সৃষ্ট সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এখন সবকিছুর দাম বেশি, তবে ব্যাটারিচালিত রিকশা আমাদের যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার কারণে আমাদের পক্ষে এটি আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। মানুষ প্রায়ই আমাদের চেয়ে তাদের (ব্যাটারিচালিত রিকশা) বেশি পছন্দ করে।’
রিকশার মালিকানায় বিনিয়োগ
বিনিয়োগকারীদের জন্য রিকশার মালিকানা একটি লাভজনক সুযোগ করে দেয়। একটি নতুন বা মেরামত করা রিকশার ভাড়া প্রায় ২০ হাজার টাকা। আর এমন রিকশার জন্য দৈনিক জমা দিতে হয় ২০০ টাকা।
পাঁচটি রিকশার জন্য এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে ছয় মাসের মধ্যে লাভবান হতে পারেন বিনিয়োগকারী। প্রতি সাড়ে ৫ মাসে ১০ শতাংশ ক্ষতির হার ধরে ৩ বছর ২ মাসে তাত্ত্বিকভাবে ৩২০টি রিকশার বহর তৈরি করতে পারেন তিনি। এতে পার্কিং ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাদ দিলে মাসিক আয় হবে ৬ লাখ ১২ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল
সাংগঠনিক শোষণ
ঢাকা বিভাগ রিকশা ও ভ্যান মালিক সমিতি এবং বাংলাদেশ রিকশা মালিক লীগসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে রিকশার নম্বর প্লেট দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ডিএসসিসি নিশ্চিত করেছে, ১৯৮৬ সাল থেকে রিকশার লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। তবুও এই সংস্থাগুলো আদালতের স্থগিতাদেশের কথা উল্লেখ করে অনুমোদন দেওয়া অব্যাহত রেখেছে।
রিকশার গুরুত্ব
এসব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও রিকশা ঢাকার পরিবহন ও অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো যাতায়াত, স্কুলে যাওয়া-আসা এবং বিনোদনমূলক উদ্দেশ্যে বিশেষত বর্ষার সময় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। হিসাব অনুযায়ী, সারা বাংলাদেশে ১০ থেকে ৪০ লাখ রিকশা চলাচল করে, যারা প্রতিদিন আড়াই কোটি যাত্রী পরিবহন করে।
কিন্তু অটোরিকশার অতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণে যানজট বেড়েছে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনা ও অতিরিক্ত গতির কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকিসহ বাড়তি চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। অনেক অটোরিকশা চালকের অভিজ্ঞতাও নেই, যারা সড়ক ব্যবহারকারীদের আরও বিপদে ফেলছে।
যদিও রিকশা পরিবেশবান্ধব এবং কোনো ক্ষতিকর নিঃসরণ করে না, কিন্তু এগুলোর ধীর গতি ও ক্রমবর্ধমান সংখ্যা ঢাকার যানজট বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
একটি সাংস্কৃতিক প্রতীক
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রিকশা চালানোর রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশে। শুধু ঢাকায় এর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ প্রতিদিন চলাচল করছে।
২০২৩ সালে রিকশা ও রিকশাশিল্পকে বাংলাদেশের অস্পষ্ট সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।
রিকশার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি, বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত রিকশার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি রাখে। কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ও প্রয়োগ ছাড়া পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা ঢাকার ইতোমধ্যে চাপযুক্ত পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও অচল করে দেবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে বাধা নেই, সুপ্রিম কোর্টের স্থিতাবস্থা জারি
৬৮ দিন আগে
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষে নতুন মহাপরিচালক
বাংলাদেশ পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষে নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে এটিএম আবু আসাদকে পুনর্বহাল
এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুর রহিম খান।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বশিরুলের বদলি
১৭২ দিন আগে
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার!
কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার বসানো হয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনরা।
এদিকে হাসপাতালের মধ্যে নবনির্মিত গ্যারেজের মধ্যেই চেয়ার-টেবিল বসিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার। পাশে ঝোলানো হয়েছে খুলনা জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি লিমিটেড পরিচালিত, অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার।
এছাড়া হাসপাতালের মধ্যে ও বাইরে রাস্তা দখল করে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো। দূর থেকে দেখে মনে হবে এটা কোনো সরকারি হাসপাতাল না, যেন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ড।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের সামনে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে অ্যাম্বুলেন্স। রোগী পরিবহনে চাহিদা যতটা, তার চেয়ে অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা বেশি। কিন্তু রোগী পেলেই ভাড়া হাঁকা হয় অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: সরকারি বিএল কলেজে আবাসন-পরিবহন সংকট চরমে
হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্স না নিয়ে অন্য কোথাও থেকে কম টাকায় ভাড়া করার সুযোগ নেই। হাসপাতালের মধ্যে নবনির্মিত গ্যারজের জায়গা দখল করে তোলা হয়েছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার।
কাউন্টারের সামনে ১০ থেকে ১২টা অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি বিভাগের সামনে রয়েছে ৪ থেকে ৫টা, হাসপাতালের আউটডোর পেছনে রয়েছে ৭ থেকে ৮টা অ্যাম্বুলেন্সের সারিবদ্ধ লাইন।
এর বাইরে লাশ ঘরে যেতে যে রাস্তা সেখানেও রয়েছে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়া হাসপাতালের দেয়াল ঘেঁষে বাইরে রয়েছে আরও ১০ থেকে ১২টা অ্যাম্বুলেন্সের লাইন। দূর থেকে যে কেউ মনে করবেন, এটা কোনো সরকারি হাসপাতাল নয়, অ্যাম্বুলেন্সের স্ট্যান্ড।
রোগীও স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালকেন্দ্রিক ‘অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট’ রোগীকে বাইরের অ্যাম্বুলেন্সে তুলতেই দেয় না। হাসপাতালকে কেন্দ্র করে অ্যাম্বুলেন্সের মতো একটি জরুরি পরিবহন সেবাকে ঘিরে এ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স এক চালক জানান, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো নীতিমালা নেই। তাছাড়া অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায় ট্রিপ কমে গেছে। এ কারণে খরচ পোষাতে কিছুটা বাড়তি ভাড়া নিতে হয়। অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়ার কোনো তালিকা নেই। নেই সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালাও। যে যেভাবে পারছেন রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স নামাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগী পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে হাসপাতালগুলোর কর্মচারীদের (ওয়ার্ডবয় ও আয়া) উপর। এজন্য তাদের ভাড়ার একটা অংশ কমিশন দিতে হয়। এ কমিশন বাণিজ্য না থাকলে ভাড়া অনেকটাই কমে যেত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
এ ব্যাপারে খুমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত বলেন, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কয়েকজন চালকরা আমার কাছে এসে বলেন, তাদের নিজস্ব জায়গায় কাউন্টার কাজ বসানোর কাজ চলছে। ২ থেকে ১ দিনের মধ্যে তাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এই অনুরোধের কারণে তাদের বলেছিলাম কয়েকদিনের জন্য হাসপাতালের ভেতরে কাউন্টার রাখার জন্য। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ শোনার পরে জানতে পারলাম এদের একটু মানবিক দিক সুযোগ দেওয়ায় পুরো হাসপাতালটাই দখল করে নিয়ে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে মধ্যে কোনো বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকতে পারবে না, রোগীদের প্রয়োজন হলে বাইরে থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভাড়া আনতে পারবেন। এর বাইরে হাসপাতালের জায়গা দখল করে অ্যাম্বুলেন্স রাখার সুযোগ নেই।
খুলনায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার মেহেদী নেওয়াজ জানান, মেডিকেল কলেজের নিজস্ব অ্যামবুলেন্স যার মাধ্যমে রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। তারপরও বেসরকারি অ্যামবুলেন্স চালু হয়েছি বলে শুনেছি। কোনো রোগীকে যাতে হয়রানি না করা হয় সে জন্য প্রোয়জনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুর মোরশেদ বলেন, এ ব্যবসা অনেকদিন যাবত চলছে। খুমেক হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনি সহযোগিতায় তাদের উঠিয়ে দিলে কিছুদিন পর আবার তারা বসতে শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, খুমেক হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেই ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
৪১৮ দিন আগে
কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে খাদ্য ব্যবসায়ীদের ব্রান্ডিং করবে: খাদ্যসচিব
কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে খাদ্য ব্যবসায়ীদের ব্রান্ডিং করবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি।
তিনি বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি খাদ্য ব্যবসায়ীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুত ও বিক্রয়ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ব্রান্ডিং করবে। এজন্য খাদ্য ব্যবসায়ীদেরও বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন করতে হবে।’
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রেশনসের (গেইন) উদ্যোগে আয়োজিত ‘অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ অন কোঅর্ডিনেশন ইন এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং অব দ্য মার্কেট অ্যঅন্ড ফুড এস্টাব্লিশমেন্ট’- শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশের তুলনায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা ও জনবল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।’
সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামীদিনের বাংলাদেশ হবে নিরাপদ খাদ্যের অন্যতম গন্তব্য।
আরও পড়ুন: রমজান উপলক্ষ্যে চালের দাম বাড়বে না: খাদ্যসচিব
সকাল ১০টায় কর্তৃপক্ষের সদস্য নাজমা বেগমের স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া এ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফএসএ'র সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাক হাসান মো. ইফতেখার।
তিনি তার আলোচনায় অফিসিয়াল ফুড কন্ট্রোল প্ল্যান, খাদ্যনিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের মধ্যে সেবাদান চুক্তি, খাদ্য ব্যবসায়ীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় ডাটাবেস নির্মাণ, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার তথ্য সংরক্ষণ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের মাঝে সমন্বয় ইত্যাদি বিষয়ে এবং প্রতিষ্ঠানসমূহ ভূমিকা কী হতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য জনাব মো. রেজাউল করিম।
তিনি কলেন, বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে।
ঢাবির রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইকবাল রউফ মামুন বলেন, ‘পরিদর্শন কার্যক্রম রি-অ্যাকটিভ না হয়ে প্রো-অ্যাকটিভ হতে হবে।’
তিনি ইউনিফর্ম কাঠামোর মাধ্যমে পরিদর্শন কাজ পরিচালনার কথা বলেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. গোলজারুল আজিজ তার আলোচনায় সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণে সরকার ও দাতা সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার।
বিএফএসএ'র সঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি গেইন-এর কর্মকর্তাবৃন্দকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
কর্মশালায় বিভিন্ন খাদ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা, গেইন ও বিএফএসএ'র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চালের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
অসহায় মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন দিয়েছেন শেখ হাসিনা: খাদ্যমন্ত্রী
৪৫১ দিন আগে
'জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১' শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় ঢাবি কর্তৃপক্ষের বাধা
'জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২১' শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় আয়োজকদের অনুমতি দেয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা বন্ধ করে দিয়েছে।
বুধবার(১৩ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে 'জাতীয় পাঠ্যক্রম ২০২১: আমরা কেন উদ্বিগ্ন?' শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
ইউনিভার্সিটি টিচার্স নেটওয়ার্ক পাঠ্যক্রম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বক্তা ও শ্রোতারা মিলনায়তনের সামনে জড়ো হওয়ার পর কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বশির আয়োজকদের ফোন করে আলোচনা সভা না করার কথা জানান।
অনুষ্ঠানের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বশির বলেন, 'তাদের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অনুমতি দিয়েছি। কিন্তু আমি দুপুর ২টায় জানতে পারি যে এই কর্মসূচি রাষ্ট্র, সরকার এবং আমাদের জাতির ক্ষতি করতে পারে। এজন্য আমি আয়োজকদের ফোন করে অনুরোধ করেছিলাম, তারা যেন অন্য কোথাও আয়োজন করে।’
আরও পড়ুন: ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের কাছে ৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ
এদিকে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেন, 'আমরা নতুন পাঠ্যক্রমের ভালো-মন্দ নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। যারা এ ধরনের সাধারণ কর্মসূচিতে বাধা দেয় তারা রাষ্ট্রের কল্যাণ চায় না। আমাদের শিক্ষার্থীদের উপর যে নতুন পাঠ্যক্রম চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তা একটি ফাঁকা গুলি ছাড়া আর কিছুই নয়।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসির উদ্দিন বলেন, 'নতুন পাঠ্যসূচিতে ৩০ শতাংশ বিজ্ঞান কার্যক্রম রাখা হয়েছে এবং বাকিগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞান ও গণিত বাদ দিয়ে শিল্প ও সংস্কৃতি, জীবন ও জীবিকার বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এগুলো কারিগরি শিক্ষার অংশ হতে পারে, মূলধারার নয়। এভাবে চলতে থাকলে শিগগিরই প্রশাসক ও নির্বাহীদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও বেশকিছু শিক্ষার্থী অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প থেকে বাঁচতে দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দিলেন ঢাবি শিক্ষার্থী
৪৬৪ দিন আগে
সাবেক ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ার পর যারা হলে অবস্থান করছেন এবং বিভিন্ন সময়ে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কৃতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমেদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে সংঘর্ষ: ৫ বহিরাগত আটক, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের পর রবিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুর রব হলে অভিযান চালিয়ে ৮টি ধারালো অস্ত্র ও ১৭টি পাইপ জব্দ করেছে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, আব্দুর রব হল থেকে কিছু লোহার রড, ক্রিকেট স্ট্যাম্প ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পড়াশোনা শেষ করার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে অবস্থানকারী সাবেক শিক্ষার্থীদের সোমবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে বলা হয়েছে রবিবারের জারি করা জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে বহিষ্কৃতদেরও একই সময়ের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দিষ্ট সময়ের পর হলে এ ধরনের কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: চবিতে প্রথম আলোর প্রতিনিধির উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
চবিতে ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত
৫৪৩ দিন আগে
শিগগিরই বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট
বাগেরহাটের রামপালে অবস্থিত কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট বন্ধের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে নিয়মিত বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক সরবরাহ করা হয়েছে।
এছাড়া আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে নিয়মিত ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হবে।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে বন্ধ থাকা প্রথম ইউনিট কবে চালু হবে তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেনি কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টটির ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চালু আছে।
ইতোমধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দ্বিতীয় ইউনিটের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। গত ২৮ জুন সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট জাতীয় গ্রিডে সফলভাবে যুক্ত হয়েছে।
আগস্ট মাস থেকে এই ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়মিত জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
বিআইএফপিসিএল-এর প্রকল্প পরিচালক অতনু দত্ত বলেন, কৌশলগত পরিকল্পনা এবং প্রকল্পে কর্মরত সদস্যদের সার্বক্ষণিক কঠোর পরিশ্রমের ফলে রেকর্ড সময়ের মধ্যে আমরা দ্বিতীয় ইউনিট চালু করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এখন দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে জনগণ এই ইউনিটের বিদ্যুৎ পাবেন।
বিআইএফপিসিএল‘র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ আকরাম উল্লাহ বলেন, মৈত্রী প্রকল্প বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব ও দৃঢ় বন্ধনের প্রতীক। দেশ-বিদেশের কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিশেষজ্ঞদের প্রচেষ্টায় আমরা দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটি, দুইদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটি, উৎপাদন বন্ধ
৬২৬ দিন আগে
নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
দেশের ২৮টি জেলায় নিপাহ ভাইরাসের বিস্তারের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখতে শুক্রবার সরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস) এর ডা. শেখ দাউদ আদনান, পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিজিএইচএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১০টি শয্যা এবং ১০টি নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) শয্যা প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ জারি করেছে।
আরও পড়ুন: এ বছর নিপাহ ভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২৯ জানুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, এ বছর সারা দেশে নিপাহ ভাইরাসে মোট পাঁচজন মারা গেছেন।
আটজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে এই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
সাধারণত ৭০ শতাংশের বেশি সংক্রামিত লোক মারা যায়। যারা কাঁচা খেজুরের রস এবং আংশিকভাবে পাখি, বিশেষ করে বাদুড় খাওয়া ফল খান তাদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এছাড়া সুস্থ ব্যক্তিরা যারা সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসেন তাদেরও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং এটি দ্রুত একজন থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে যা উদ্বেগের বিষয়।
আরও পড়ুন: পহেলা মার্চ থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানেই রোগী দেখতে পারবেন সরকারি চিকিৎসকরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজশাহীতে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশুর মৃত্যু
৭৭৭ দিন আগে
ইরাকে বিস্ফোরণে ৯ পুলিশ নিহত: কর্তৃপক্ষ
ইরাকে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণের ঘটনায় ফেডারেল পুলিশ বাহিনীর টহলরত অন্তত নয়জন সদস্য নিহত হয়েছেন।
রবিবার উত্তর ইরাকে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া রসুলের একটি টুইট অনুসারে, নিহতদের মধ্যে একজন মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন। কিরকুক প্রদেশের রিয়াদ জেলার আলি আল-সুলতান গ্রামে হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার করেনি।
রসুল আরও বলেন, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানিকে হামলা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে জ্বালানি ট্যাঙ্কার টানেলে বিস্ফোরণ, নিহত ১৯
দুই ইরাকি নিরাপত্তা কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে ডিভাইসটি বোমা ছিল এবং বিস্ফোরণে নয়জন নিহত হয়েছেন। তবে বিস্ফোরণের পর জঙ্গিদের সঙ্গে শুরু হওয়া সংঘর্ষে আরও তিন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার বিষয়ে তারা বিস্তারিত কিছু জানাননি।
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় দুই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন।
বুধবার, বাগদাদের উত্তরে তারমিয়াহ জেলায় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট অভিযানের সময় বোমা বিস্ফোরণে তিন ইরাকি সেনা নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ৫৯ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডারও ছিলেন।
এখন পর্যন্ত হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তবে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট গ্রুপের একটি অংশ এলাকায় সক্রিয় রয়েছে এবং অতীতে তারা ইরাকে একই ধরনের হামলার দাবি করেছে।
২০১৯ সালে মার্কিন সমর্থিত অভিযানে আইএস পরাজিত হয়েছিল এবং সিরিয়ার শেষ ঘাঁটিটি এবং ইরাকে এটির নিয়ন্ত্রিত সমস্ত অঞ্চল হারিয়েছিল। এছাড়া গ্রুপটির গোপন শাখার সদস্যরা সক্রিয় থেকে হামলা চালিয়েছে যা বহু ইরাকি এবং সিরিয়ানকে হত্যা করেছে৷
ইরাকের কুর্দি-চালিত আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী বাগদাদ এবং ইরবিলের মধ্যে চলমান বিরোধের কারণে জঙ্গিরা উত্তরের একটি অংশ জুড়ে নিরাপত্তা ফাঁকগুলোকে সফলভাবে কাজে লাগিয়েছে।
বিশেষ করে কিরকুক, দিয়ালা, নিনেভা এবং সালাদ্দীন প্রদেশের গ্রামীণ এলাকাগুলো পুলিশের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে, যেখানে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি কম এবং আইএস জঙ্গিরা নিয়মিতভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্কিত করছে। অনেক সময় নিরাপত্তার ফাঁকফোকরের কারণে তারা রাতারাতি শহরগুলো দখল করতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে মর্টার বিস্ফোরণে নিহত ৪, নিখোঁজ ২০
বাবুগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ: বিএনপির ২০৫ নেতাকর্মীর নামে মামলা
৮২৩ দিন আগে