কেসিসি
হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণে ভবনের ছবি বাধ্যতামূলক করেছে কেসিসি
হোল্ডিং ট্যাক্স (গৃহকর) নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট ভবনের ছবি বাধ্যতামূলক করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন কর আদায় শাখার প্রধান ও রাজস্ব কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামান খান।
কেসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামান খান বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স ধরার জন্য এখন নতুন ভবন ও বর্ধিত ভবনের ছবি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হোল্ডিং ট্যাক্সের বিল নথির সঙ্গে ওই ছবি যুক্ত থাকবে। এতে করে নগরীর সব ভবনের প্রকৃত ধারণা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে থাকবে। এতে করে হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য করার সময় যে অনিয়ম হতো তা অনেকাংশে কমবে। বাড়বে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি এবং রাজস্ব আয়। একই সঙ্গে এখন ভবন মালিকরা ইচ্ছা করলেই ঘরে বসে হোল্ডিং ট্যাক্স অনলাইনে জমা দিতে পারেন। এতে করে বাড়ির মালিকদের সময় বাঁচবে আর ঝামেলা মুক্ত থাকবেন।
তিনি বলেন, নগরীতে নতুন করে ১ হাজার ১৫৮টি ভবন হয়েছে। যার বিপরীতে ট্যাক্স ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৯ টাকা। এছাড়া ১ হাজার ৪০৩টি ভবনের ট্যাক্স হালনাগাদ করা হয়েছে। এসব ভবনের বিপরীতে ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৮ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য করা হয়েছে। চলতি বছরে নতুন করে মোট ৬ কোটি ৫৩ লাখ ১৬ হাজার ৯৫০ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স ধরা হয়েছে। এ ট্যাক্স আদায়ে কেসিসি নতুন নতুন কৌশল গ্রহণসহ তৎপর রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচনে আ. লীগ সমর্থিত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক জয়ী
কেসিসির প্যানেল মেয়র-৩ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু বলেন, ভবন মালিকদের সহনীয় পর্যায়ে হোল্ডিং ট্যাক্স ধরা হয়েছে। এতে করে ভবন মালিকরা সন্তুষ্টচিত্তে নির্ধারিত সময়ে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করছেন।
এছাড়া এককালীন হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের ক্ষেত্রে ভবন মালিকদের ছাড় দেওয়াসহ নানা ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সচেতন হোল্ডিং মালিকরা কেসিসি এ সুবিধা নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে খুলনা নগরীতে ৭৬ হাজার ৬২৮টি হোল্ডিং রয়েছে। এর বিপরীতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কেসিসি প্রায় সাড়ে ৪২ কোটি টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করে। আনাদায়ী রয়েছে প্রায় কোটি টাকার মতো।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র সিরাজুল ইসলাম আর নেই
কর আদায় শাখার প্রধান তপন কুমার নন্দী বলেন, অনাদায়ী ১০০ কোটি টাকার হোল্ডিং ট্যাক্সের বড় অংশ আদায় করা অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে নৌ বাহিনীর, বন্ধ পাটকল, এজাক্স জুট মিল, দৌলতপুরের কয়েকটি পাটের গোডাউনসহ বড় বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কেসিসির পাওনা ৫০ কোটি টাকার মতো হবে।
তবে বকেয়া টাকা ধারাবাহিকভাবে আদায় করা হচ্ছে। আগের মতো বাড়ির মালামাল ক্রোকসহ নানা ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এখন আর ঘটছে না। ভবন মালিকরা অনেক সচেতন, তারা নির্ধারিত সময়ে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করছেন বলে জানান তপন নন্দী।
বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের গতি বিগত দিনের চেয়ে অনেক বেড়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১ হাজার ৮২ কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা
১১ মাস আগে
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১ হাজার ৮২ কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৮২ কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে এ বাজেট ঘোষণা করেন কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
এটি কেসিসির ইতিহাসের সব থেকে বড় বাজেট।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: অধিকাংশ কেন্দ্র ফাঁকা, ১১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ ১১%
এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৬ কোটি ৫২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা এবং সরকারি বরাদ্দ ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা হতে উন্নয়ন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩৬ কোটি ৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।
এ ছাড়া গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৬১ কোটি ৬ লাখ ২৭ হাজার টাকা। সংশোধিত বাজেটে যার আকার দাঁড়িয়েছে ৬৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ৮১ শতাংশ।
উক্ত বাজেটে রাজস্ব তহবিলের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯২ কোটি ১১ লাখ ৩৮ টাকা। যা সংশোধিত বাজেটে দাঁড়িয়েছে ২৮২ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। নিজস্ব তহবিলে অর্জনের হার ১৪৭ শতাংশ।
উন্নয়ন তহবিল তথা সরকারি অনুদান ও দাতা সংস্থার বিশেষ প্রকল্পে বিগত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৬৮ কোটি ৯৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কিন্তু পাওয়া যায় ৪১৪ কোটি ৭৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে অর্জনের হার ৬২ শতাংশ।
বাজেট ঘোষণাকালে সিটি মেয়র বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরে বলেন, বাজেটে এবারও নতুন কোনো কর আরোপ করা হয়নি। বকেয়া পৌরকর আদায়, নবনির্মিত সব স্থাপনার উপর প্রচলিত নিয়মে কর ধার্য এবং নিজস্ব আয়ের উৎস সম্প্রসারণ ও সীমানা সম্প্রসারণের মাধ্যমে কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সিটি মেয়র আরও বলেন, এটি একটি উন্নয়নমূখী বাজেট। বাজেটে সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, নাগরিক সেবা সম্প্রসারণ, ডেঙ্গু মোকাবিলায় মশক নিধন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, ধর্মীয় উপাসনালয়, পার্ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট উন্নয়ন, কেসিসির বিভিন্ন দপ্তর আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় আনা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
মেয়র জানান, কেসিসির নিজস্ব সংস্থাপন ব্যয় মিটিয়ে এবং ব্যয় সংকোচন করে রাজস্ব তহবিল থেকে নগরীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতে মোট ৬১ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্বখাত থেকে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা। মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং মশক নিধনের জন্য কনজারভেন্সি খাতে ১৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় মেয়াদে কেসিসি মেয়রের দায়িত্ব নিলেন তালুকদার আবদুল খালেক
বাজেটে এডিপির জন্য থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬০ কোটি টাকা। এই বরাদ্দ থেকে পূর্ত খাতে ২৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা, নগরীতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের দায়িত্ব খুলনা ওয়াসার হলেও বিশেষ প্রয়োজনে জরুরি পানির চাহিদা মেটানোর জন্য গভীর ও অগভীর নলকূপকে সাবমারসিবল পাম্পে রূপান্তর করার জন্য এ খাতে ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
ভেটেরিনারি খাতে ৫০ লাখ টাকা, জনস্বাস্থ্য খাতে ৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, কনজারভেন্সি খাতে ১৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার ১৯টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৭৯ কোটি ৪৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকার উন্নয়ন সহায়তা পাওয়ার আশা করা যায়। জাতীয় এডিপিভুক্ত তিনটি প্রকল্পে ৪৯৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে সম্ভাব্য ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া যেতে পারে।
বাজেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কেসিসির বাজেট প্রস্তুত ও পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মো. আলী আকবর (টিপু)।
কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে কেসিসির প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতা, সরকারি কর্মকর্তা, কেসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
১ বছর আগে
খুলনা সিটি নির্বাচন: কর্মী-সমর্থকদের ভোট থেকে দূরে থাকার নির্দেশ বিএনপির
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে অংশগ্রহণের চেষ্টা করায় ৯ নেতাকে বহিষ্কার করে স্থানীয় নেতাকর্মীদের ভোটকেন্দ্র থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির খুলনা মহানগর শাখার সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে দূরে থাকার জন্য কেউ দলীয় নির্দেশ লঙ্ঘন করলে অবিলম্বে বহিষ্কার করা হবে।
সিটি নির্বাচন বর্জনের কেন্দ্রীয় কমান্ডের নির্দেশে তৃণমূল পর্যায় থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচন: অনেকগুলো কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম
দলীয় কর্মী, সমর্থক ও নেতা হওয়ার পাশাপাশি তারা ভোটারও বটে; তাই তাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্থগিত করার অপচেষ্টা বলে মনে করছেন অনেকে।
প্রবীণ সাংবাদিক ও গবেষক অজয় দাস গুপ্ত বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রচারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির আলোকে, ভোটদান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার এই ধরনের প্রচেষ্টা বিবেচনায় আসে কিনা তা দেখা গুরুত্বপূর্ণ।
খুলনা ও বরিশালে চলমান সিটি করপোরেশন নির্বাচন আজ বর্জন করছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
বরিশাল ও খুলনা সিটিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে: ইসি হাবিব
১ বছর আগে
খুলনা সিটি নির্বাচন: অনেকগুলো কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি হ্রাস পেয়েছে, এমনকি অনেক ভোটকেন্দ্র প্রায় জনশূন্য বলা যায়।
প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে ইউএনবির খুলনা প্রতিনিধি জানান, সকাল ১১টা পর্যন্ত গড়ে ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
২৫ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রে ৯ দশমিক ০২ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি বিশেষভাবে কম ছিল।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার রনজিত কুমার বিশ্বাস জানান, মোট ১ হাজার ৪৯৩ জন নিবন্ধিত ভোটার থাকা সত্ত্বেও সকাল ১১টার মধ্যে মাত্র ১৩৫টি ভোট পড়েছে।
একইভাবে, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে দারুল কুরআন সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রেও ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে কম ভোটার উপস্থিতি দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ মানিক জানান, ১ হাজার ৬৫৮ জন নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে সকাল ১১টার মধ্যে মাত্র ১৭০ জন ভোট দিয়েছেন।
১৯ নম্বর ওয়ার্ডে, ন্যাশনাল হাইস্কুল কেন্দ্রে ১১ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির খবর পাওয়া গেছে।
২৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুজন প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়েছেন যে পিটিআই মহিলা কেন্দ্রে ৭ দশমিক ০২ শতাংশ ভোট পড়েছে, যেখানে পুরুষ কেন্দ্রে সকাল ১১টা নাগাদ ৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।
তবে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে খুলনা কলেজ কেন্দ্রে ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয়। ওই কেন্দ্রে ২ হাজার ৮৬৮ জন নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে ৫৩৩ জন সকাল ১১টার মধ্যে ভোট দিয়েছেন, যা মোট ভোটারের ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
খুলনা সিটিতে মেয়র পদে পাঁচজন, ৩১টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৪ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১৩ নং ওয়ার্ডে এস এম খুরশীদ আহমেদ টোনা ও ২৪ নং ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
খুলনা সিটি করপোরেশনে মোট নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: অধিকাংশ কেন্দ্র ফাঁকা, ১১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ ১১%
বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
১ বছর আগে
নির্বাচন ঘিরে খুলনা সিটিতে কঠোর নিরাপত্তা বলয়
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ হাজার ৩০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে টহল দিচ্ছে বিজিবির ১১ প্লাটুন সদস্য। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্র ও নগরীর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ হাজার ৩০০ জন সদস্য।
নির্বাচনী মাঠে থাকবেন ৪৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে বসানো হচ্ছে ২ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা
ভোট কেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ২ হাজার ৩০০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। প্রায় ৩ হাজারইভিএম মেশিন প্রয়োজন হচ্ছে।
এতে দুটি সংস্থার ২০ জন বেসরকারি ও নির্বাচন কমিশনের ১০ জন পর্যবেক্ষক থাকবেন।
কেসিসি নির্বাচনে এবার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন ভোটার। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি ভোটকেন্দ্র এবং ১ হাজার ৭৩২টি বুথ স্থাপন করা হচ্ছে।
ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন ৫ হাজার ৭৬০ জন কর্মকর্তা।
কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন-আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত মো. শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা) ও জাকের পার্টি মনোনীত এসএম সাব্বির হোসেন (গোলাপফুল) এবং একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি)।
এছাড়া সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর মধ্যে নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঁঞা বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্নের লক্ষ্যে সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে সরঞ্জাম পাঠানো কার্যক্রম চলছে।
তিনি আরও জানান, সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি অডিটোরিয়ামে।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন চলছে, শেষ হবে শনিবার
রাত পোহালে বরিশাল সিটি নির্বাচন
১ বছর আগে
খুলনা সিটি নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে বসানো হচ্ছে ২ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা
স্থানীয় নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনার ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে প্রায় ২ হাজার ক্লোজ সার্কিট টিভি ক্যামেরা (সিসিটিভি) স্থাপন করা হবে, যাতে ঢাকায় নির্বাচন কমিশন ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচিত ৫ হাজার ৪৮৫ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
এ বছর ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সহজ করতে ইতোমধ্যে ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে এবং ২৮৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৭৩২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৩ হাজার ৪৬৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও খুলনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ বলেন, ইভিএমসহ (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) নির্বাচনী উপকরণ পাঠানোর কাজ ১১ জুন থেকে শুরু হবে এবং ১২ জুন মধ্যরাতে মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: বিএনপির ৮ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার
কেসিসি নির্বাচন: এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে শোকজ, ২ প্রার্থীকে জরিমানা
১ বছর আগে
কেসিসি নির্বাচন: ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ১০ জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত খুলনা মহানগরী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকেও পৃথক গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের পরিবেশ নির্বিঘ্ন করতে ১০ জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত খুলনা মহানগরী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল করবে না।
এছাড়া ১১ জুন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা নগরীতে ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জীপ, পিকআপ, কার ও ইজিবাইক চলাচল করবে না।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: বিএনপির ৮ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার
নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন
নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত দরখাস্ত ও আপিল গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন।
গত ৪ জুন কমিশন সচিবালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
কেসিসি এলাকার জন্য নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ এবং নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, প্রথম আদালত এবং খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে শোকজ, ২ প্রার্থীকে জরিমানা
১ বছর আগে
কেসিসি নির্বাচন: বিএনপির ৮ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপির আট নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিএনপি। শনিবার (৩ জুন) রাতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এ দিন স্ব-স্ব নেতাদের নামে বহিষ্কারের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
যাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে তারা হলেন- মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ সাজ্জাদ হোসেন তোতন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশফাকুর রহমান কাকন, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. মাহবুব কায়সার, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. শমসের আলী মিন্টু, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি কর্মী ও সাবেক কাউন্সিলর মুহা. আমান উল্লাহ আমান, সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাজেদা খাতুন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী ফজলুল কবির টিটো এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মুশফিকুস সালেহীন।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে শোকজ, ২ প্রার্থীকে জরিমানা
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিএনপি এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ আপনি দলের একজন সদস্য হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে এ সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেছেন। ১ জুন আপনাদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হলেও নোটিশের জবাব দেননি, যা গুরুতর অসদাচরণ।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে গত ১৫ বছর ধরে চলমান গণতান্ত্রিক অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠী দ্বারা যারা গুম-খুন ও পৈশাচিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তাদের পরিবারসহ দেশের গণতন্ত্রকামী বিপুল জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষার প্রতি আপনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
এমন অবস্থায় অবজ্ঞা ও ঔদ্ধত্যের জন্য বিএনপির গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পদ থেকে আপনাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো।
গণতন্ত্র উদ্ধারের ইতিহাসে আপনার নাম বেঈমান, বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর হিসেবে উচ্চারিত হবে বলেও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
১ বছর আগে
হাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন কেসিসির মেয়র প্রার্থী মুশফিকুর
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) বাতিল হওয়া মেয়র প্রার্থী এস এম মুশফিকুর রহমান এর রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি জাফরুল্লাহ ও বিচারপতি বশিরউল্লার দ্বৈত বেঞ্চ রবিবার এক আদেশে আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে তার প্রার্থীতা ফিরিয়ে দেওয়ার এবং তাকে প্রতীক দেওয়ার জন্য কমিশনকে নির্দেশ দেন।
এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এসএম মুশফিকুর রহমান।
স্বতন্ত্রপ্রার্থী মুশফিকুরের হাইকোর্টের আইনজীবী এস এম মাহবুবুর রহমান জানান, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমার মক্কেলের যে ভুলের কারণে প্রার্থীতা বাতিল করেছিল রিটার্নি অফিসার তার বিরুদ্ধে আমার মক্কেল বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আপিল করেছিলেন, সেখানেও আমার মক্কেলকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। আজ (রবিবার) আদালত আমার মক্কেলের অধিকারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
কেসিসি নির্বাচন: ২৮৯ কেন্দ্রের মধ্যে ১৬১ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
১ বছর আগে
কেসিসি নির্বাচন: প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
১২ জুন অনুষ্ঠেয় খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে চারজনসহ ১৭৯ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পর শুক্রবার সকালে খুলনা শহরে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়েছে।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, সকালে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়।
তিনি বলেন, আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন করতে চাই, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সবার আগে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলা।
তিনি জানান, মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় চার প্রার্থীই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তাদের দলীয় প্রতীক পেয়েছেন-আওয়ামী লীগ সমর্থিত তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা) জাতীয় পার্টির এসএম শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবদুল আউয়াল (হাত পাখা) ও জাকের পার্টির এসএম সাব্বির হোসেন (গোলাপ)।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: প্রতীক পেলেন ৭ মেয়র প্রার্থী
সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের লটারির মাধ্যমে প্রতীক দেওয়া হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৩১টি সাধারণ কাউন্সিলর ওয়ার্ডে ১৩৬ জন এবং সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
কেসিসি নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং এর মধ্যে ১৬১টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়েছে।
৩ হাজার, ৫৬৭ পুলিশ সদস্য ৩০০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পুলিশ এবং ৬৫৭ জন আনসার সদস্যসহ ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য প্রায় সাড়ে আট হাজার পুলিশ ও আনসার সদস্য নির্বাচনী মাঠে থাকবেন।
এছাড়া ভোটের দিন পুলিশসহ অন্যান্যদের সঙ্গে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। ১০ থেকে ১৪ জুন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য ১০ জন বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুন বিজয়ী
একটি অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে, ২৮৯টি কেন্দ্রে এবং এক হাজার ৭৩২টি বুথের আগে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। নির্বাচন কমিশন ঢাকায় তার সদর দপ্তর থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নগরীতে ইতোমধ্যে ১৬টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার এবং তাদের মধ্যে দুই লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন মহিলা এবং বাকি পুরুষ ভোটাররা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর নির্বাচন দেশের প্রকৃত ভোটের চিত্র তুলে ধরে: খসরু
১ বছর আগে