জবি শিক্ষার্থী
জবি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একাধিক শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য প্রতারকদের হাতে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই তথ্য ব্যবহার করে ‘মেধা বৃত্তি’ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিকাশ, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী। প্রতারকরা নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীর নাম, বিভাগ ও বর্ষ জেনে প্রথমে মেধা বৃত্তি অনুমোদনের কথা জানায়। পরে একটি ওটিপি কোড মোবাইলে পাঠানোর কথা বলে সেটি জানানোর অনুরোধ করে। শিক্ষার্থীরা ওটিপি সরবরাহ করার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে টাকা তুলে নেয় প্রতারক চক্রটি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর দুই ধরনের বৃত্তি দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। এরমধ্যে মেধা বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীদের নগদ টাকা দেওয়া হয়। অন্যদিকে, সাধারণ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ করা হয়।
সাম্প্রতিক প্রতারণার ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আইয়ুব আলী বলেন, ‘এক অপরিচিত নাম্বার থেকে কল দিয়ে আমার নাম, বিভাগ ও বর্ষ জানায়। তারা বলে আমি মেধা বৃত্তি পেয়েছি এবং টাকা পাঠানের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর চায়। অসচেতনতাবশত আমি নম্বর দিয়ে দেই। পরে দেখি আমার কার্ড থেকে ছয় হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আজিজুল হাকিম আকাশ বলেন, একইভাবে এক অপরিচিত নম্বর থেকে কল দিয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত করে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর চাওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘তারা জানায় আমার ইসলামি ব্যাংকে করা বৃত্তির আবেদন অনুমোদিত হয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় আমি কোনো তথ্য দিইনি। পরে একজন শিক্ষার্থীর ফেসবুক পোস্টে দেখি, একই কৌশলে তার চার হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে চক্রটি।’
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনলাইন ফর্ম, বৃত্তির আবেদন অথবা অভ্যন্তরীণ ডেটাবেইস থেকে এসব তথ্য চুরি হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও তথ্য ফাঁসের উৎস সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: জবি ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের প্রোফাইল হালনাগাদের দাবিতে স্মারকলিপি
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দীন বলেন ইউএনবির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই, তাই এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। খোঁজ নিয়ে আপনাকে জানাবো।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কিছু কুচক্রী মহল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করছে। শিক্ষার্থীদের এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট বা কোনো অনলাইন মাধ্যম থেকে তথ্য চুরি হয়েছে কি না, সেটি প্রশাসন তদন্ত করে দেখবেন বলেও শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন তিনি।
১৮৬ দিন আগে
জবি শিক্ষার্থীদের সমাবেশ শুরু
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী জুমার নামাজ শেষে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাকরাইল মোড়ে সমাবেশ শুরু করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৬ মে) সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, এই ইন্টেরিম (অন্তর্বর্তী) সরকার আমাদের রক্তের সরকার। আমাদের আন্দোলনে রেখে আপনারা এসিতে বসে থাকবেন না। আপনারা জেগে উঠুন। আমাদের দাবিতে দাবিতে আপনাদের ঘুম ভেঙে যাবে।
আরও পড়ুন: আন্দোলন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে যে বার্তা দিলেন জবিসাস সেক্রেটারি
সমাবেশে (জবি) ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলতে চাই, আপনি ঘুম থেকে উঠুন, আর ঘুমাবেন না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তার যৌক্তিক দাবিতে আপনার দুয়ারে এসে দাঁড়িয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুনতে চায়, আপনি আমাদের জন্য কী বার্তা নিয়ে আসেন।’
এর আগে, গত বুধবার থেকে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছেন জবি শিক্ষার্থীরা। দুপুর ২টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সমাবেশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৫০টি বাস শিক্ষার্থীদের আন্দোলস্থলে নিয়ে এসেছে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
চলমান আন্দোলনে তাদের দাবিগুলো হলো—
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করা।
২. জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন দেওয়া।
৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় পাস ও দ্রুত বাস্তবায়ন।
৪. ১৪ মে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
২০২ দিন আগে
জবি শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড এবং জল-কামান নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৪ মে) দুপুর পৌঁনে ১২টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি অনুযায়ী সেগুনবাগিচার কাকরাইল মোড়ে পৌঁছালে শিক্ষার্থী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।
কাঁদানে গ্যাসে আহত শিক্ষার্থী সামিউল রহমান বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক দাবির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। আমার উপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় জবির দুই শিক্ষার্থীর স্বর্ণপদক জয়
এর আগে, আজ (বুধবার) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন জবি শিক্ষার্থীরা। সোয়া ১২টার দিকে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট মোড়ে পৌঁছালে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। তবে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সামনে এগিয়ে যান।
তার আগে, গতকাল (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে জবির বাজেট বৃদ্ধি ও আবাসন সংকট নিরসন বিষয়ে আলোচনা হলেও দাবি মানা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর ‘জবি ঐক্য’ নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নতুন এক প্লাটফর্ম থেকে তিন দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনা অভিমুখে লং মার্চের ঘোষণা দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা, জবির ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে করা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা।
আরও পড়ুন: চার দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
আন্দোলনে উপস্থিত রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোশাররাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল হুসাইন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল, সদস্যসচিব সামসুল আরেফিন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আসাদুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান আকাশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি একে এম রাকিব সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
২০৪ দিন আগে
জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা: প্ররোচনার অভিযোগে প্রেমিক গ্রেপ্তার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে দায়ের করা আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার যুবক ইয়াছিন মজুমদারের (২৩) সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার অথৈ-এর বাবা প্রনব মজুমদার (৫৯) বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মো. ইয়াছিন মজুমদার (২৩) নামের এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। স্কুলজীবনে তাদের মধ্যে পরিচয় ছিল। আমার মেয়ে ঢাকা চলে আসলে বিবাদী আমার মেয়েকে অনুসরণ করে ঢাকায় আসে এবং লালবাগ থানা ধারা এলাকায় জমিদারী ভোজ নামক রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের চাকরি নেয়।
ইয়াছিন পূর্বের ন্যায় আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে এবং কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে অপমানজনক কথা, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন অথৈকে। এরপর গতকাল ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত উৎসবে অনুশীলন শেষে মেসে ফেরার পথে ইয়াসিন অথৈকে গালমন্দ করেন ও উৎসবে অংশ না নিতে চাপ দেন। পরে তার (অথৈ) রুমের দরজা ভেঙে অথৈয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মেসের মালিকের স্ত্রী মোসাম্মাৎ জোৎস্না বেগম প্রথম ঘটনাটি দেখেন। পরে ইয়াছিন মজুমদারসহ কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ২৯ জন
এজহারে নিহতের বাবা প্রণব মজুমদার বলেন, 'আমার ধারণা, বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে মেয়েটি মেসের রুমে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের সহপাঠীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ছুটে আসি।'
এবিষয়ে সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। কোর্টে চালান দিয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, মেয়ের বাবার মামলা মোতাবেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে বলেছি।
২১৮ দিন আগে
জবি শিক্ষার্থীকে মারধর ও পুলিশে সোপর্দ, প্রতিবাদে বিভাগের গেটে তালা
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বয়কট করে বিভাগটির গেটে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ওই শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে আনতে ৩ শিক্ষকসহ থানায় অবস্থান করছেন তারা।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম আকরাম হোসেন। তিনি জবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) আকরামের সঙ্গে ঘটা ঘটনার প্রতিবাদে ক্লাস পরীক্ষা বয়কট করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল (রবিবার) স্নাতকোত্তরের সনদ তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় এসেছিলেন আকরাম। সেখান থেকে তাকে আটক করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আকরামকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ছাত্রদল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, প্রথম বর্ষে থাকার সময় তাদের নেতাকর্মীদের ওপর দলবদ্ধ হামলা চালিয়েছিলেন আকরাম ও তার বন্ধুরা।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আকরাম। তিনি বলেন, ‘প্রথম বর্ষে থাকার সময় ছাত্রলীগের বড় ভাইয়েরা আমাকে মিছিলে নিয়ে যেত। কিন্তু এরপরে আমি আর কখনো ছাত্রলীগ করিনি। আমার কোনো পোস্ট-পদবি কিছুই নেই। আমি জুলাই আন্দোলনেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছি।’
এদিকে, এ ঘটনায় বিভাগে তালা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আকরামকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় অবস্থান করছেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল ফকির বলেন, ‘আকরাম ভাইকে ট্যাগিং দিয়ে অন্যায়ভাবে থানায় দিয়েছে ছাত্রদল। আমরা যখন তাকে ছাড়াতে থানায় আসি, তখন আমাদের বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অথবা উপাচার্য না বললে আকরাম ভাইকে ছাড়া হবে না। এর প্রতিবাদে আমরা বিভাগে তালা দিয়েছি। আমরা তিনজন শিক্ষকসহ এখন থানায় অবস্থান করছি।’
আরও পড়ুন: পিএসসির সংস্কারসহ ৭ দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ফরহাদ বলেন, ‘আকরাম ভাই খুবই মেধাবী মানুষ। বিভিন্ন জার্নালে তার লেখাও প্রকাশিত হয়েছে। সনদ তুলতে এলে তাকে মারধর করে থানায় দেয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে বিভাগের অধ্যাপক ড. আঞ্জুমান আরা জানান, গেটে এখনও তালা দেওয়া রয়েছে।
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাস শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থানায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
২২০ দিন আগে
কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে এ অবস্থান কর্মসূচি করেন তারা।
এসময় তারা ‘এক দুই তিন চার, ভিসি মাসুদের পদত্যাগ’; ‘আমার ভাই অনশনে, ইনটেরিম কি করে’; ‘দফা এক, দাবি এক, কুয়েট ভিসির পদত্যাগ’; ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’; ‘কুয়েটের সংগ্রাম, চলছে চলবে’; ‘এক দফা এক দাবি, মাসুদ তুই কবে যাবি’ এমন বিভিন্ন স্লোগান দেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে কুয়েট ভিসির পদত্যাগ প্রসঙ্গে শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ বলেন, ‘কুয়েটে চলমান ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা সংহতি জানাচ্ছি। ৪২ ঘণ্টা ধরে অনশনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু এই ইনটেরিম সরকার কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে কোনোরকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।’
অনশনের সূত্রপাত তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বহিরাগতদের হামলার শিকার হয়ে বিচার দাবি করেন তারা। তবে উল্টো হামলার ঘটনা তদন্ত করা বা দোষীদের বদলে শিক্ষার্থীদের বহিস্কার করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের নামে মামলাও করা হয়।’
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসি মাসুদের পদত্যাগ দাবিতে জাবিতেও অনশন
উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
পাশাপাশি আগামী ২ মে আবাসিক হলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার এবং ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
২২৫ দিন আগে
জবির শিক্ষার্থীদের দাবি ৩ দিনের মধ্যে পূরণের আশ্বাস উপদেষ্টার
জবির শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি আগামী তিন দিনের মধ্যে পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সকল দাবিই যৌক্তিক। এরসঙ্গে আমি একমত।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদেরকে এই প্রতিশ্রুতি দেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
আরও পড়ুন: মোবাইলে কলরেট হ্রাস ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্টে থাকে। তাদের হল নেই। শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের দাবি সম্পূর্ণ যৌক্তিক। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত। আমরা তিন দিনের মধ্যে হল করে দিতে পারব না কিন্তু সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে পারি। এরজন্য আমাদের বসতে হবে। আমরা তিনদিনের মধ্যে নতুন ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করার জন্য কাজ করব।
সচিবালয়ে সচিব শিক্ষার্থীদের অপমান করেছে এই প্রসঙ্গে বলেন, সচিব ও সংশ্লিরা যারা শিক্ষার্থীদের অপমান করে ফিরিয়ে দিয়েছে এর জন্য সে ও সংশ্লিষ্টরা ক্ষমা চাইবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা তিনদিনের সময় দিচ্ছি। আর সেইসঙ্গে হিট প্রজেক্টের ব্যাপারে আজকেই সিদ্ধান্ত চাই। আমাদের সামনে শিক্ষা উপদেষ্টাকে এসে আজই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত আসবে: উপদেষ্টা নাহিদ
'আপনাকে অজ্ঞ বলতে বাধ্য করবেন না’: উপদেষ্টা নাহিদকে অভিনেতা সোহেল রানা
৩৮৮ দিন আগে
৫ দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের সচিবালয় ঘেরাও
জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর, ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি, বিশ্ববিদ্যালয় বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিসহ ৫ দফা দাবিতে সচিবলায় ঘেরাও করে অবস্থান নিয়েছেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
সোমবার (১১ নভেম্বর) শিক্ষা ভবনের সামনের মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দাবির স্মারকলিপি নিয়ে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে প্রবেশ করে।
কিন্তু শিক্ষা সচিব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা না করায় সচিবালয় ঘেরাও করে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন- আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান, সংগঠক একেএম রাকিব, রাইসুল ইসলাম নয়ন, আসাদুল ইসলাম, আবু বকর খান, নওশীন নাওয়ার জয়া, সোহান প্রামাণিক, মাসুদ রানা, নূর নবী, ওমর ফারুক, ফেরদৌস শেখ, অপু মুন্সী।
আরও পড়ুন: তিন দফা দাবিতে তাঁতীবাজার অবরোধ জবি শিক্ষার্থীদের
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
১) স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাতদিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এই দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।
২) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ ঘোষণা করতে হবে যে, জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩) অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।
৪) সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণাকৃত পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেটে সর্বনিম্ন ৫০০ (পাঁচশত) কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষা উপদেষ্টাকে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ সম্পর্কে জবি শিক্ষার্থী নওশীন জয়া বলেন, আমরা শিক্ষা সচিবের কাছে এসেছিলাম। কিন্তু আমাদের কেচি গেটের ভেতরে দাঁড় করিয়ে ভেতর থেকে প্রতিনিধি পাঠিয়ে আমাদের দাবি-দাওয়া তাদের কাছে দিতে বলা হয়েছে।
৩৮৮ দিন আগে
তিন দফা দাবিতে তাঁতীবাজার অবরোধ জবি শিক্ষার্থীদের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন জবি শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তাঁতীবাজার অবরোধ করে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচির ডাক দেন।
এদিকে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় ডাকা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেন তারা।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগে ভিক্টর ক্লাসিকের ১২ বাস আটক
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো-
১) স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে।
২) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করতে হবে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল)।
৩) অবিলম্বে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘এই মুহূর্তে দরকার, সেনাবাহিনী ঠিকাদার,’ ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আবাসন, কবে দিবা প্রশাসন,’ ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাস চাই, শিক্ষার গতি বাড়াই,’ ‘এক দুই তিন চার, ক্যাম্পাস আমার অধিকার,’ ‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ স্লোগান দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আধা ঘণ্টা রাস্তা অবরোধের পর পুনরায় মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে এসে উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার ম্যুরাল স্থাপনের সিদ্ধান্তে জবিতে অস্থিরতা
জবির বোটানি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আমাদের নৈতিক অধিকার। আমাদের হল নাই, ক্যাম্পাস নাই। দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুনছি শুধুমাত্র ক্যাম্পাস হচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজের কাজ হচ্ছে না।’
জবি শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন, প্রশাসন কাজে গড়িমসি করে। যেখানে এক থেকে দুই বছরে একটা পূর্ণাঙ্গ কাজ হয়ে যায় সেখানে বছরের পর বছর কাজ চলে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ে কিন্তু কাজের অগ্রগতি থাকে না।
এছাড়া সেনাবাহিনীর কাছে এই ক্যাম্পাসের কাজ অতিদ্রুত হস্তান্তর করে দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে বলে জানান জবি শিক্ষার্থী নূর নবী।
৩৯৫ দিন আগে
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাজধানীর খিলগাঁওয়ের উত্তর গোড়ান এলাকায় একটি বাসা থেকে ফারহান আহসান চৌধুরী নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের সদস্যদের দাবি।
নিহত ফারহান জবির নাট্যকলা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। জানা গেছে, ফারহান খিলগাঁও থানার ছয় নম্বর উত্তর গোড়ানে একটি সাততলা বাসার ছয় তলায় থাকতেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ভূমি কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফারহানের মামা ফাহিম ফয়সাল বলেন, ‘আমার ভাগ্নে জবির নাট্যকলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাসায় এসে রুমের দরজা বন্ধ করে রাখে। অনেক ডাকাডাকি করলেও দরজা খোলেনি। এরপর ভেতরে ঢুকে দেখি সে প্যান্টের বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। অচেতন অবস্থায় ফারহানকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি বলেন, ‘কী কারণে আমার ভাগ্নে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে, তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে তা আমরা জানি না।’
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, ‘খিলগাঁও এলাকা থেকে জবি শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। আনার পরে চিকিৎসক জানায় সে আর বেঁচে নেই। নিহতের পরিবার দাবি করে, সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা বিষয়টি খিলগাঁও থানা পুলিশকে জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে জবির নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক ক্যাথরিন পিউরিফিকেশন বলেন, ‘ফারহান খুব ভালো ছেলে। তার মৃত্যুর বিষয়ে আমরা বিস্তারিত কিছু জানি না। আমি ফারহানের মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে তার মা অসুস্থ ছিল বলে জানতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৪২১ দিন আগে