জবি শিক্ষার্থী
জবির শিক্ষার্থীদের দাবি ৩ দিনের মধ্যে পূরণের আশ্বাস উপদেষ্টার
জবির শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি আগামী তিন দিনের মধ্যে পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সকল দাবিই যৌক্তিক। এরসঙ্গে আমি একমত।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদেরকে এই প্রতিশ্রুতি দেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
আরও পড়ুন: মোবাইলে কলরেট হ্রাস ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্টে থাকে। তাদের হল নেই। শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের দাবি সম্পূর্ণ যৌক্তিক। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত। আমরা তিন দিনের মধ্যে হল করে দিতে পারব না কিন্তু সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে পারি। এরজন্য আমাদের বসতে হবে। আমরা তিনদিনের মধ্যে নতুন ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করার জন্য কাজ করব।
সচিবালয়ে সচিব শিক্ষার্থীদের অপমান করেছে এই প্রসঙ্গে বলেন, সচিব ও সংশ্লিরা যারা শিক্ষার্থীদের অপমান করে ফিরিয়ে দিয়েছে এর জন্য সে ও সংশ্লিষ্টরা ক্ষমা চাইবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা তিনদিনের সময় দিচ্ছি। আর সেইসঙ্গে হিট প্রজেক্টের ব্যাপারে আজকেই সিদ্ধান্ত চাই। আমাদের সামনে শিক্ষা উপদেষ্টাকে এসে আজই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত আসবে: উপদেষ্টা নাহিদ
'আপনাকে অজ্ঞ বলতে বাধ্য করবেন না’: উপদেষ্টা নাহিদকে অভিনেতা সোহেল রানা
১ সপ্তাহ আগে
৫ দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের সচিবালয় ঘেরাও
জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর, ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি, বিশ্ববিদ্যালয় বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিসহ ৫ দফা দাবিতে সচিবলায় ঘেরাও করে অবস্থান নিয়েছেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
সোমবার (১১ নভেম্বর) শিক্ষা ভবনের সামনের মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দাবির স্মারকলিপি নিয়ে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে প্রবেশ করে।
কিন্তু শিক্ষা সচিব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা না করায় সচিবালয় ঘেরাও করে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন- আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান, সংগঠক একেএম রাকিব, রাইসুল ইসলাম নয়ন, আসাদুল ইসলাম, আবু বকর খান, নওশীন নাওয়ার জয়া, সোহান প্রামাণিক, মাসুদ রানা, নূর নবী, ওমর ফারুক, ফেরদৌস শেখ, অপু মুন্সী।
আরও পড়ুন: তিন দফা দাবিতে তাঁতীবাজার অবরোধ জবি শিক্ষার্থীদের
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
১) স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাতদিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এই দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।
২) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ ঘোষণা করতে হবে যে, জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩) অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।
৪) সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণাকৃত পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেটে সর্বনিম্ন ৫০০ (পাঁচশত) কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষা উপদেষ্টাকে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ সম্পর্কে জবি শিক্ষার্থী নওশীন জয়া বলেন, আমরা শিক্ষা সচিবের কাছে এসেছিলাম। কিন্তু আমাদের কেচি গেটের ভেতরে দাঁড় করিয়ে ভেতর থেকে প্রতিনিধি পাঠিয়ে আমাদের দাবি-দাওয়া তাদের কাছে দিতে বলা হয়েছে।
১ সপ্তাহ আগে
তিন দফা দাবিতে তাঁতীবাজার অবরোধ জবি শিক্ষার্থীদের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন জবি শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তাঁতীবাজার অবরোধ করে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচির ডাক দেন।
এদিকে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় ডাকা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেন তারা।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগে ভিক্টর ক্লাসিকের ১২ বাস আটক
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো-
১) স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে।
২) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করতে হবে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল)।
৩) অবিলম্বে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘এই মুহূর্তে দরকার, সেনাবাহিনী ঠিকাদার,’ ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আবাসন, কবে দিবা প্রশাসন,’ ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাস চাই, শিক্ষার গতি বাড়াই,’ ‘এক দুই তিন চার, ক্যাম্পাস আমার অধিকার,’ ‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ স্লোগান দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আধা ঘণ্টা রাস্তা অবরোধের পর পুনরায় মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে এসে উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার ম্যুরাল স্থাপনের সিদ্ধান্তে জবিতে অস্থিরতা
জবির বোটানি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আমাদের নৈতিক অধিকার। আমাদের হল নাই, ক্যাম্পাস নাই। দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুনছি শুধুমাত্র ক্যাম্পাস হচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজের কাজ হচ্ছে না।’
জবি শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন, প্রশাসন কাজে গড়িমসি করে। যেখানে এক থেকে দুই বছরে একটা পূর্ণাঙ্গ কাজ হয়ে যায় সেখানে বছরের পর বছর কাজ চলে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ে কিন্তু কাজের অগ্রগতি থাকে না।
এছাড়া সেনাবাহিনীর কাছে এই ক্যাম্পাসের কাজ অতিদ্রুত হস্তান্তর করে দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে বলে জানান জবি শিক্ষার্থী নূর নবী।
২ সপ্তাহ আগে
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাজধানীর খিলগাঁওয়ের উত্তর গোড়ান এলাকায় একটি বাসা থেকে ফারহান আহসান চৌধুরী নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের সদস্যদের দাবি।
নিহত ফারহান জবির নাট্যকলা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। জানা গেছে, ফারহান খিলগাঁও থানার ছয় নম্বর উত্তর গোড়ানে একটি সাততলা বাসার ছয় তলায় থাকতেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ভূমি কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফারহানের মামা ফাহিম ফয়সাল বলেন, ‘আমার ভাগ্নে জবির নাট্যকলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাসায় এসে রুমের দরজা বন্ধ করে রাখে। অনেক ডাকাডাকি করলেও দরজা খোলেনি। এরপর ভেতরে ঢুকে দেখি সে প্যান্টের বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। অচেতন অবস্থায় ফারহানকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি বলেন, ‘কী কারণে আমার ভাগ্নে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে, তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে তা আমরা জানি না।’
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, ‘খিলগাঁও এলাকা থেকে জবি শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। আনার পরে চিকিৎসক জানায় সে আর বেঁচে নেই। নিহতের পরিবার দাবি করে, সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা বিষয়টি খিলগাঁও থানা পুলিশকে জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে জবির নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক ক্যাথরিন পিউরিফিকেশন বলেন, ‘ফারহান খুব ভালো ছেলে। তার মৃত্যুর বিষয়ে আমরা বিস্তারিত কিছু জানি না। আমি ফারহানের মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে তার মা অসুস্থ ছিল বলে জানতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ মাস আগে
গুলিবিদ্ধ জবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যু, বিচারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যব্যবস্থা বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইকরামুল হক সাজিদের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বেলা সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: জবির ছাত্রকল্যাণ-পরিবহন পরিচালকসহ একাধিক দপ্তরপ্রধানের পদত্যাগ
এদিকে, সাজিদের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই দায়ী সকলের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় ‘ফ্যাসিজমের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘টু জিরো টু ফোর, ফ্যাসিজম নো মোর’ ও ‘বিচার বিচার বিচার চাই, খুনি হাসিনার বিচার চাই’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, ‘সাজিদের অবস্থা খারাপ ছিল। ছেলেটা আর আমাদের মাঝে নেই। ওর বাবা-মা এই শোক কীভাবে সামলাবে! তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহিন আলম সান বলেন, ‘আমাদের ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না। সাজিদের মৃত্যুতে জড়িত সকলের বিচার চাই। হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত জবিয়ানরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’
এর আগে, গত ৪ আগস্ট ইকরামুল রাজধানীর মিরপুরে আন্দোলনরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হন। এরপর তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: জবিতে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ, রবিবার থেকে ক্লাস শুরুর আশ্বাস
৩ মাস আগে
হল উদ্ধারে মঙ্গলবার আন্দোলনে নামবে জবি শিক্ষার্থীরা, কোষাধ্যক্ষ-শিক্ষকদের পাশে থাকার আহ্বান
বিশ্ববিদ্যালয়ের দখলকৃত হল উদ্ধারের জন্য আন্দোলনে নামবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। কোষাধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
একইসঙ্গে ধূপখোলা মাঠকেও শিক্ষার্থীরা পূর্বের ন্যায় নিজেদের দখলে নেবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেদখল হওয়া হলগুলো দখলমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: জবি উপাচার্যকে পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, শিক্ষার্থীদের ১৩ দফা দাবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নুর নবী সোমবার (১২ আগস্ট) এ ঘোষণা দিয়েছেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর তার স্বপদে বহাল থাকবেন। তার নেতৃত্বে সকাল ১০টায় হল আন্দোলন শুরু হবে। সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই আন্দোলনের পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়া ট্রেজারার আমাদের ১৩ দফা শুনেছেন। আশাকরি ট্রেজারার ১৩ দফা মেনে নেবেন এবং তিনি সেই আশ্বাসও দিয়েছেন।’
শিক্ষার্থীদের ১৩ দফা দাবি হলো-
১. ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবির ভিসি, প্রক্টরসহ সম্পূর্ণ প্রক্টোরিয়াল বডি, হল প্রভোস্ট, ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের প্রধান ও রেজিস্ট্রারকে পদত্যাগ করতে হবে।
২. ক্যাম্পাসের ভেতরে লেজুড়বৃত্তির ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। ক্যাম্পাসের বাইরে তার রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে। এটা যে কারও ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্ত, ক্যাম্পাসের ভেতরে সবাই সাধারণ ছাত্র।
৩. আন্দোলনে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সার্বিক খরচ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে বহন করতে হবে।
৪. আগে যারা ছাত্রলীগের পদধারী ছিলেন এবং এর ওপর ভিত্তি করে যারা ক্যাম্পাসে চাকরি পেয়েছেন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকসহ যারা এখনও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যারা শহীদ ও আহত সহযোদ্ধাদের নিয়ে ঠাট্টা-টিটকারি করেছেন তাদের আগামী দুইদিনের মধ্যে চাকরি থেকে অব্যহতি নিতে হবে।
৫. আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জকসু) নীতিমালা প্রণয়ন করে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. দখল হওয়া হলগুলো অবিলম্বে দখলমুক্ত করতে হবে। এছাড়া মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ দিতে হবে।
৭. জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে ক্যাম্পাসের দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।
৮. শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। গবেষণায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
৯. ক্যাফেটেরিয়ার জন্য বাজেট বরাদ্দ রেখে খাবারের মান উন্নত করতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি নতুন ক্যাফেটেরিয়ার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
১০. নারী শিক্ষার্থীদের কমন রুমের মান উন্নত করা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং যৌন হয়রানি বন্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।
১১. ক্যাম্পাসের আশপাশে চাঁদাবাজি ও রাজনীতির নামে টেন্ডারবাজি বন্ধের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১২. পোষ্য কোটা বাতিল ও রাজনৈতিক নিয়োগ-বাণিজ্য আজীবনের জন্য বন্ধ করতে হবে।
১৩. গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: জবির ছাত্রকল্যাণ-পরিবহন পরিচালকসহ একাধিক দপ্তরপ্রধানের পদত্যাগ
আল্টিমেটামের ৪ ঘণ্টার মধ্যেই জবি উপাচার্যের পদত্যাগ
৩ মাস আগে
জবি শিক্ষার্থী ফাইরুজের সুইসাইড নোটে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিবৃতি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আত্মহত্যার আগে লেখা সুইসাইড নোটে তার মৃত্যুর জন্য দুই ব্যক্তিকে দায়ী করেন। তাদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। তিনি এ বিষয়ে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন।
তার দেওয়া ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো:
‘আসসালামু আলাইকুম,
আমি দ্বীন ইসলাম
সহকারী অধ্যাপক,
ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগ,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রথমত আমি একজন মানুষ, দ্বিতীয়ত আমি একজন শিক্ষক, তৃতীয়ত আমি দুইজন কন্যা সন্তানের বাবা। আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা আমার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং প্রকৃত ঘটনা জানুন। দয়া করে আমার জীবনটাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়ে আমার সন্তানদের এতিম করবেন না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার অকাল মৃত্যুর জন্য গভীর শোক প্রকাশ করছি। অবন্তিকার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়: জবি ভিসি
আমাদের ছাত্রী অবন্তিকা ও তার সহপাঠীদের নিয়ে প্রকৃত ঘটনা নিচে তুলে ধরলাম:
ঘটনা প্রায় দেড় বছর আগের। অবন্তিকার ব্যাচমেটরা কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে, সেখানে অবন্তিকাও উপস্থিত ছিল। জিডিতে উল্লেখ করা হয় যে, কেউ একজন ফেইসবুকে ভুয়া একাউন্ট খুলে তাদের হয়রানি করে। পুলিশ তখন উচ্চতর তদন্তের আশ্বাস দিয়ে বলে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আইডিটা কে চালায় সেটা বের করে দেবে। এই কথা শুনে অবন্তিকা থানা থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসে আসার পথেই তার বন্ধুদের কাছে স্বীকার করে যে, আইডিগুলো (ফেইক একাউন্টসগুলো) সে নিজেই চালায়।তখন তার বন্ধুরা তাকেসহ প্রক্টর অফিসে নিয়ে এসে অবন্তিকার বিরুদ্ধে গত ০৮.০৮.২০২২ ইং তারিখে একটা লিখিত অভিযোগ দেয়।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যার আমাকে এবং সহকারী প্রক্টর গৌতম কুমার সাহা (গণিত বিভাগ) স্যারকে গত ১১.০৮.২০২২ তারিখে তদন্তের দায়িত্ব দেন।
পরবর্তীতে গত ১৬.০৮.২০২২ তারিখে প্রক্টর স্যারের উপস্থিতিতে আমি এবং সহকারী প্রক্টর গৌতম কুমার সাহা অবন্তিকা এবং অবন্তিকার অভিভাবকদের প্রক্টর অফিসে আসার জন্য আহ্বান করি। পরে অবন্তিকার মা মিটিং এ আসে এবং এখানে অবন্তিকার ক্লাসমেইটস সহ (অভিযোগ কারীরা) সবাই উপস্থিত ছিল। তখন অবন্তিকার মা তার ব্যাচমেইট (যারা এ অভিযোগ করেছে) তাদের কাছে ঘটনার সত্যতা শুনে বলে যে, আমার মেয়ে যা করেছে ভুল করেছে, ঘটনার জন্য অভিযোগকারী সকলের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে এবং ভবিষ্যতে আমার মেয়ে আর এই ধরনের কাজ করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং বলে, যদি করে তার দ্বায় আমরা নেব। এবারের মতো বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ জানান এবং বলেন, আমার মেয়ে ভালো শিক্ষার্থী কিন্তু সে কয়েকদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ এবং ওষুধ খাচ্ছে।
তখন তার ব্যাচমেইটরা বিষয়টা মানবিক এবং ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখেন। এভাবে বিষয়টা প্রাথমিকভাবে মিমাংসা করা হয়। মিমাংসার পরে অবন্তিকার মা জিডিটা তুলে নেওয়ার জন্য অভিযোগকারীদের বারবার অনুরোধ করেন। কিন্তু অভিযোগকারীরা জিডি তুলে নিতে অসম্মতি জানায়, কারণ তাদের ধারণা অবন্তিকা ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ আবারও করতে পারে।
তখন আর জিডিটা সাথে সাথেই তোলা সম্ভব হয়নি। অভিযোগকারীরা বলেন, আমরা তাকে আগামী ৩ মাস পর্যবেক্ষণ করব এবং যদি অবন্তিকা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে তাহলে আমরা ৩ মাস পরে জিডিটা তুলে নেব। ঝামেলা এখানেই প্রাথমিকভাবে নিষ্পত্তি করা হয়। এর কিছুদিন পরে অবন্তিকা ও তার মা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন এবং আমাকে প্রক্টর অফিসে না পেয়ে আমার বিভাগে আসেন। যেহেতু আমার এলাকার আমি তাদের আমার সাধ্যমত আপ্যায়ন করি। যেহেতু তিনি আমার এলাকার এবং তিনি একজন অভিভাবক আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ টুকু দিয়ে আপ্যায়ন করি। ওইদিন অবন্তিকার মা আমাকে জানান অবন্তিকার হলের বন্ধুরা ওর সাথে ভালো ব্যবহার করছে না, এতে অবন্তিকা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে।
তখন আমি তাদের প্রক্টর অফিসে লিখিতভাবে অভিযোগ করার পরামর্শ দেই। তখন অবন্তিকার মা বলে যা হওয়ার হয়ে গেছে এখন আর এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে চাচ্ছি না এবং বলেন আমি আমার মেয়েকে হলে রাখবো না, এতে করে তার পড়াশুনা খারাপ হয়ে যাবে এবং সে মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়বে। তখন আমি তাকে বলি আপনি অভিভাবক যা ভালো মনে করেন সেটাই করেন। যেকোনো প্রয়োজনে আমার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। অভিযোগ নিষ্পত্তির ৩ মাসেরও কিছুদিন পরে অবন্তিকা এবং তার বাবা-মা প্রক্টর অফিসে জিডি তোলার জন্য আসে কিন্তু তার ব্যাচমেইটরা জিডি তুলতে অসম্মতি জানায়।তখন অবন্তিকার মা-বাবা ও অবন্তিকা আবার আমাকে ফোন করে আমার বিভাগে দেখা করতে আসে।
আরও পড়ুন: ফাইরুজের আত্মহত্যার ঘটনায় জবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী সাময়িক বরখাস্ত
আমি তখন ক্লাস নিচ্ছিলাম এবং পরে ক্লাস থেকে বের তাদের আমার রুম এ নিয়ে আমার সাধ্যমত আপ্যায়ন করি। তখন তারা জিডি তুলার বিষয়ে আমাকে অনুরোধ করে। আমি তখন তাদের বিষয়টা বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি যে বিষয়টা আমার হাতে নেই। আমাদের কাজ তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করা এবং আমরা তাই করি। জিডির বিষয়ে প্রক্টর স্যার এবং অভিযোগকারীদের সাথে আলাপ করে নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেই।
তৎক্ষনাৎ অবন্তিকার মা কিছুটা হতাশার ভাষায় বলেন, আমি দুজন (অবন্তিকা এবং ওর বাবা) ডিপ্রেশনের রোগীকে নিয়ে এত বছর সংসার করে আসছি। আমি নিজেও অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ছি।এবং বলেন আমার মেয়েটা মারাত্মক ডিপ্রেশনে পড়ে গেছে। এরপরে অবন্তিকা ও তার পরিবারের কারো সাথে এ বিষয়ে আজ পর্যন্ত আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।’
এ ছাড়া মৃত্যুর আগে ফেইসবুকে দেওয়া অবন্তিকার স্ট্যাটাস নিয়ে তিনি লেখেন:
‘প্রথমত আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ, আম্মানকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা, যা সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ ঘটনা নিস্পত্তি হয় ১৬-০৮-২০২২ সালে। এরপর এই বিষয় নিয়ে আর কারো সাথে কোনো আলোচনা হয়নি কখনোই।
প্রক্টর অফিসে অবন্তিকা ও তার মাকে একবারই ডাকা হয়েছিল। সেই সময় প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যার সহকারী প্রক্টর গৌতম সাহা স্যার এবং অভিযোগকারী তার বন্ধুরা উপস্তিত ছিলেন। একাধিকবার ডেকে হেনস্তা করার বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। কারণ বিষয়টি ওইদিনই মিমাংসা হয়ে গিয়েছিল।
সুইসাইড নোটে প্রক্টর অফিসে আম্মানের বিরুদ্ধে আনিত যৌন হয়রানি ও ভয়ভীতির অভিযোগের বিচার না পাওয়ার বিষয়টি তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যার ভালো বলতে পারবেন। এ অভিযোগ সম্পর্কে আমি অবগত নই।
সুইসাইড নোটে আনিত অভিযোগ অবন্তিকাকে বহিষ্কার করার বিষয়ে পরবর্তীতে আমি কখনো কিছুই বলিনি। কারণ বিষয়টি মিমাংসা হওয়ার পরে অবন্তিকার সাথে বিগত দেড় বছরে একবারের জন্যেও অবন্তিকা বা তার পরিবারের সাথে আমার কোনো কথা বা যোগাযোগ হয়নি।’
এ বিষয়ে তিনি আরও কিছু কথা বলেন।
তিনি লেখেন, ‘একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা এবং তাদের জন্য কাজ করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। দীর্ঘ ১১ বছরের শিক্ষকতার জীবনে আমি আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকবো।’
‘শুধুমাত্র স্ট্যাটাসের উপর ভিত্তি করে কাউকে ভুল না ভাবার অনুরোধ রইল। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য আমি সবিনয়ে প্রস্তুত। সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ রইল। সবাই ভালো থাকবেন।’
আরও পড়ুন: ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
৮ মাস আগে
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মো. নুরুল ইসলাম নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: বুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নিহত শিক্ষার্থীর মো. নুরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থী। বাবুবাজারের বাসিন্দা মো. মুসলিম ও রেশমা বেগমের ছেলে তিনি। তিনি সিদ্ধেশ্বরী কলেজ থেকে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
এ খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবরা ঘটনাস্থলে এসে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
এরপর ঢাকা মেডিকেলে দগ্ধ লাশের পকেটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড পাওয়া যায়। তার বন্ধুরা হাসপাতালে এসে লাশটি শনাক্ত করে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।
এছাড়া বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন তারা।
আরও পড়ুন: ‘বাবা আমি আটকা পড়েছি, আমাকে বাঁচাও’-মৃত্যুর আগে লামিসা
নওগাঁয় আগুনে পুড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
৮ মাস আগে
রাজধানীতে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে আহত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজধানীর গেন্ডারিয়া এলাকার ধুপখোলা বাজারে তিতাসের গ্যাসলাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে আহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৬ মে) সকালে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: খুলনায় চায়ের দোকানে বোমা বিস্ফোরণে আহত ৩
নিহত শিক্ষার্থীর নাম মেহেদী হাসান শাওন (২২)। তিনি নাটোর জেলার সদর উপজেলার আব্দুল লতিফের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
তিনি জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেহেদী হাসান শাওনের শরীর ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে শেখ হাসিনা বার্নে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও জানান, পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান তিনি।
এর আগে, সোমবার রাজধানীর ধূপখোলা বাজারে রাস্তার গ্যাসলাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে ৯ জন আহত হন।
আহতরা হলেন- মো. সোহেল (৪২), মেহেদী হাসান শাওন (২২), আলী হোসেন (৫২), রাশেদ মিয়া (৩২), সাহারা বেগম (৬৫), আব্দুর রহিম (৫০), মিম আক্তার (২২), আলিফ (২২), মিজানুর রহমান (৩২)।
এদের মধ্যে আব্দুর রহিম ও শাওনের শরীর যথাক্রমে ৪০ ও ৩০ শতাংশ পুড়েছিল।
আহত সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সকালে ওই এলাকায় পানি সরবরাহের জন্য পাইপ বসানোর কাজ করছিলেন ওয়াসার এক ঠিকাদার।
সকালে ওয়াসার ঠিকাদার কর্তৃক খননের সময় গ্যাসের পাইপলাইনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিস্ফোরণ ঘটে।
পরে তিতাস গ্যাসের একটি জরুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সমস্যার সমাধান করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে দগ্ধ এক নারীর মৃত্যু
চট্টগ্রামে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে আহত শিক্ষিকার মৃত্যু
১ বছর আগে
রাজধানীতে বিলবোর্ড ভেঙে জবি শিক্ষার্থী আহত
রাজধানীতে বিলবোর্ড ভেঙে পড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে লক্ষ্মীবাজারে সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আহত সুমাইয়া মোস্তফা প্রাপ্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোবাইল বিপনন কোম্পানি স্যামসাংয়ের বিলবোর্ডটি জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকায় হঠাৎ ভেঙে পড়ে। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা দুজন আহত হন। পরে তারা আহত দুজনকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
আহত প্রাপ্তীর বন্ধু মুন হাসান বলেন, প্রাপ্তি রাতে তার মেসের সামনেই একটি দোকান থেকে খাবার কিনতে গিয়ে ছিল। ফেরার সময় হঠাৎ করেই বিলবোর্ড ভেঙে পড়ে এবং আহত হন।
এই বিষয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষক নিউটন হাওলাদার বলেন, আমরা ন্যাশনাল মেডিকেল থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে সিটিস্ক্যান করা হয়েছে। নিরিবিলি পরিবেশের জন্য তাকে আমরা ন্যাশনাল মেডিকেলে নিয়ে এসেছি। আপাতত সে আশঙ্কামুক্ত।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তের দাবি
তিনি বলেন, পরবর্তীতে এমন ঘটনা যেনো না ঘটে সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমরা বিলবোর্ডের মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।
২ বছর আগে