চেলসি
‘মেসিনিয়ো’ খেতাব চান না এস্তেভিয়াও
লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা যেকোনো ফুটবলারের জন্য দারুণ ব্যাপার হলেও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম পালমেইরাস থেকে আগামী মৌসুমে চেলসিতে যোগ দিতে যাওয়া ব্রাজিলীয় তরুণ উইলিয়ান এস্তেভিয়াও। নিজের নামে পরিচিতি হওয়াই শ্রেয় বলে মনে করেন তিনি।
২০১৭ সালে ব্রাজিলীয় ক্লাব ক্রুজেইরোর একাডেমিতে যোগ দেওয়ার পরই ‘মেসিনিয়ো’ বা ‘ছোট মেসি’ তকমা পান এস্তেভিয়াও। এরপর ২০২১ সালে পালমেইরাসের যুব একাডেমিতে যোগ দেন এবং চলতি বছরের শুরুতে খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেন তিনি।
লিওনেল মেসির ভক্ত হলেও মেসির সঙ্গে তুলনা নয়, বরং নিজের পরিচয়ে ফুটবল বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করতে চান এই তরুণ।
ইএসপিএন ব্রাজিলকে তিনি বলেন, “মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই আমাকে ‘মেসিনিয়ো’ নামে ডাকা হয়। তবে বলতে আপত্তি নেই যে, এই নামে আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। এই তুলনা আমার পছন্দ নয়। আমার মতো যারা এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে, তাদের জন্য বিষয়টি সামলানো বেশ অস্বস্তিদায়ক।”
মেসির মতো বড় মাপের ফুটবলারের সঙ্গে তুলনা নিজের ওপর কতটা চাপ সৃষ্টি করে তা তিনি ভালো করেই জানেন।
এ বিষয়ে তার মন্তব্য, ‘১৭ বছর বয়সেই আমার ওপর সমালোচনার পাহাড় চাপুক, তা চাই না। এই বয়সে সমালোচনা শোনার মতো সময় আমার নেই। আমি খুশি থাকতে চাই, (নিজের মতো করে) ফুটবল খেলতে চাই। ফুটবল থেকে সর্বোচ্চ আনন্দ উপভোগ করতে চাই। তাই ‘এস্তেভিয়াও’ হয়ে ওঠাই আমার জন্য ভালো।’
আরও পড়ুন: চেলসিতেই যাচ্ছেন মেসিনিয়ো!
চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুব অ্যকাডেমি থেকে পালমেইরাসের মূল দলে অভিষেক হয় ২০০৭ সালে জন্ম গ্রহণ করা এই তরুণের। তারপর থেকে ব্রাজিলীয় লিগে নিজের প্রতিভার সাক্ষর রেখে চলেছেন তিনি। এ পর্যন্ত লিগে ৩১ ম্যাচ খেলে ১৩ গোল ও ৯ অ্যাসিস্টের মাধ্যমে মোট ২২ গোলে অবদান রেখেছেন এস্তেভিয়াও। ব্রাজিলীয় সেরি-আয় গত মৌসুমে পালমেইরাসকে দ্বিতীয় স্থানে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল এই তরুণের।
এরই স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর ব্রাজিলীয় ব্যালন দ’র বা দেশটির বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে এ পুরস্কার জিতেছেন এস্তেভিয়াও। মৌসুমসেরা ফুটবলার, ব্রেকথ্রু ফুটবলার ও বর্ষসেরা হিসেতে অনুষ্ঠানে তিনটি পুরস্কার জেতেন তিনি।
১ সপ্তাহ আগে
ক্যারাবাও কাপ: এক রাতে বিদায় সিটি, ভিলা ও চেলসির
ইংলিশ ফুটবল লিগ বা লিগ কাপ বা ক্যারাবাও কাপের চতুর্থ রাউন্ডে টটেনহ্যাম-ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচটি ছাড়া প্রিমিয়ার লিগে আধিপত্য দেখানো বাকি সবগুলো দলই পেয়েছিল তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ। কিন্তু মাঠের খেলায় এলোমেলো হয়ে গেছে তাদের অনেকেই।
বুধবার রাতে ক্যারাবাও কাপে ঘটেছে তিনটি অঘটন। এর মধ্যে বড় খবর হলো টটেনহ্যামের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে সিটি।
এছাড়া চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় দাপট দেখানো অ্যাস্টন ভিলা এবং এনসো মারেসকার অধীনে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়া চেলসিকেও বিদায় নিতে হয়েছে চতুর্থ রাউন্ড থেকেই।
অন্যদিকে, দুর্দান্ত জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভুগতে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আর রোমাঞ্চের পর রোমাঞ্চ ছড়িয়ে শেষ পর্যন্ত কোয়ার্টারে উঠেছে লিভারপুল। আর্সেনালও কোয়ার্টার নিশ্চিত করেছে, তবে জিততে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি তাদের।
টটেনহ্যামের কাছে সিটির হার
স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড ও গোলরক্ষক এদেরসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছাড়াই এদিন মাঠে নামে সিটি। চোটের কারণে দলে ছিলেন না কেভিন ডি ব্রুইনে-রদ্রিরাও।
অন্যদিকে, চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলা হয়নি টটেনহ্যামের তারকা ফরোয়ার্ড হিউং মিন-সনেরও।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই টিমো ভের্নারের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ২৫তম মিনিটে টটেনহ্যামের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিডফিল্ডার পেপে মাতার-সার। এরপর যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করে বিরতিতে যায় সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধেও টটেনহ্যামকে চেপে ধরে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা, কিন্তু শট লক্ষ্যে রাখতে বারবার ব্যর্থ হয়েছেন ম্যাথুস নুনেস-বের্নার্দো সিলভারা। শেষদিকে সমতায় ফেরার জোর চেষ্টা চালালেও টটেনহ্যামের রক্ষণ ভেদ করতে তা যথেষ্ট ছিল না। তাই ২-১ ব্যবধানেই শেষ হয় ম্যাচ।
এর ফলে, গত মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও এবার কোয়ার্টারেও পৌঁছানো হলো না গার্দিওলার শিষ্যদের।
নিউক্যাসলের মাঠে জোড়া গোল হজম চেলসির
ঘরের মাঠে ম্যাচের ২৩তম মিনিটে আলেকজান্ডার ইসাকের গোলে এগিয়ে যায় নিউক্যাসল ইউনাইটেড। এর তিন মিনিট পরই আক্সেল দিসাসির আত্মঘাতী গোলে আরও পিছিয়ে পড়ে চেলসি।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর নিউক্যাসলের ওপর রীতিমতো শাসন করা শুরু করে চেলসির খেলোয়াড়রা। গোলের জন্য হন্যে হয়ে যায় তারা। কিন্তু ৬৬ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে মোট ১৭টি শট নিয়ে একবারের জন্যেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি মারেসকার শিষ্যরা। ফলে দুর্দান্ত চেলসিকে ২-০ গোলে রুখে দিয়ে জয়ের হাসি হাসে এডি হাউইর দল।
ঘরের মাঠে হেরে ভিলার বিদায়
অ্যাস্টন ভিলার গল্পটি অনেকটা সিটির মতোই। ম্যাচের একেবারে শুরুতেই (অষ্টম মিনিটে) এবেরেচি এজের গোলে পিছিয়ে পড়লেও অপ্রতিরোধ্য জন ডুরানের নৈপুণ্যে ২৩তম মিনিটেই সমতায় ফেরে উনাই এমেরির শিষ্যরা।
ম্যাচজুড়ে বলের দখল, আক্রমণ, গোলের সুযোগ তৈরি- সবকিছুতেই প্যালেসের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকে অ্যাস্টন ভিলা। তাই মনে হচ্ছিল ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে তারা। কিন্তু দাইচি কামাদার গোলে দ্বিতীয়ার্ধে ফের এগিয়ে যায় প্যালেস। এরপর রক্ষণে দেওয়াল তুলে স্কোরলাইন রক্ষা করে অলিভার গ্লেসনারের দল।
ফলে ২-১ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ক্রিস্টাল প্যালেস।
জিতল যারা
বড় দলগুলোর অনেকেই ব্যর্থ হলেও রুড ভ্যান নিস্টরলয়ের অধীনে প্রথম ম্যাচেই দারুণ এক জয় তুলে ক্যারাবাও কাপের কোয়ার্টারে উঠেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচে লেস্টার সিটির বিপক্ষে ৫-২ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টারের লাল দলটি।
ইউনাইটেডের হয়ে জোড়া গোল করেন কাসেমিরো ও ব্রুনো ফের্নান্দেস; অপর গোলটি আসে আলেহান্দ্রো গারনাচোর পা থেকে। অপরদিকে, লেস্টারের গোলদুটি করেন বিলাল এল খানুস ও কনর কোডি।
এদিকে, ঘরের মাঠে লিভারপুলের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত হেরে গেছে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন। প্রতিযোগিতার সেরা দলটির বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরেছে ফাবিয়ান হুয়ের্সেলারের দল।
ম্যাচের সবগুলো গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। লিভারপুলের তিন গোলের প্রথম দুটি আসে ৪৬ ও ৬৩তম মিনিটে, কোডি গাকপোর পা থেকে; আর ৮৫তম মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন লুইস দিয়াস।
মাঝে ৮১তম মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে ব্রাইটনের ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা জাগান সিমোন আদিংগ্রা। চার মিনিট পর দিয়াসের গোলে লিভারপুল ফের ব্যবধান দ্বিগুণ করলে ৯০তম মিনিটে গিয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন তারিক ল্যাম্পটি। এরপর দুই মিনিট অতিরিক্ত খেলার সুযোগ দেওয়া হলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাইটন। ফলে স্বাগতিকদের হতাশ করে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল।
এছাড়া, দ্বিতীয় বিভাগের দল প্রেস্টন নর্থ এন্ডের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে মিকেল আর্তেতার আর্সেনাল। গোল তিনটি করেন গাব্রিয়েল জেসুস, ইথান নোয়ানেরি ও কাই হাভার্টস।
চতুর্থ রাউন্ডের অপর ম্যাচগুলোতে জয় পেয়েছে ব্রেন্টফোর্ড ও সাউথহ্যাম্পটন।
১ মাস আগে
সিটি-আর্সেনালের সঙ্গে লড়াই-ই করতে পারবে না চেলসি: মারেসকা
এনসো মারেসকার তত্ত্বাবধায়নে চলতি মৌসুমটা দারুণ শুরু করেছে চেলসি। দশ ম্যাচ খেলে তার সাতটি জিতেছে লন্ডনের ক্লাবটি। তবুও এবার ম্যানচেস্টার সিটি বা আর্সেনালের সঙ্গে লড়াই-ই করতে পারবে না বলে মনে করছেন এনসো মারেসকা।
চলতি মৌসুমে সিটির বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে প্রিমিয়ার লিগ শুরু করার পর থেকে দারুণ ছন্দে রয়েছে চেলসি। তার পরের পাঁচ ম্যাচে চারটি জয় ও একটি ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এসেছে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটি। টেবিলের শীর্ষে থাকা লিভারপুলের সঙ্গে মাত্র দুই পয়েন্টে পিছিয়ে রয়েছে তারা।
এছাড়া সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে সবশেষ টানা পাঁচ ম্যাচ জিতেছে ব্লুজরা। এ সময় তিনটি ক্লিনশিটসহ ১৭ গোল করেছে দলটি; হজম করেছে মাত্র চারটি।
গতরাতে কনফারেন্স লিগের ম্যাচে বেলজিয়ান ক্লাব গেন্টকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে তারা। ওই ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ব্লুজ বস মারেসকা।
আরও পড়ুন: মাদুয়েকের হ্যাটট্রিকে গোল উৎসব করে জয়ে ফিরল চেলসি
তার দলের যে পারফরম্যান্স, তাতে চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগসহ সম্ভাব্য শিরোপাগুলো জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ৪৪ বছর বয়সী এই কোচ বলেন, ‘আমার মনে হয় না যে চলতি মৌসুমে আমরা সিটি কিংবা আর্সেনালকে টক্কর দিতে পারব। আমার সত্যিই তা মনে হয় না, কারণ আমরা এখনও (পুরোপুরি) প্রস্তুত নই।’
বিষয়টির ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন এভাবে, ‘সিটির দিকে তাকান। দলটি গত ৯ বছর ধরে একই কোচের তত্ত্বাবধায়নে খেলছে; (মিকেল) আর্তেতার তত্ত্বাবধায়নে আর্সেনাল খেলছে পাঁচ বছর যাবত। যদি বড় কিছুর জন্য লড়াই করতে চান, তবে ওইরকম সময় প্রয়োজন।’
মারেসকা বলেন, ‘আর্সেনাল যখন পিএসজিকে (চ্যাম্পিয়ন্স লিগে) হারাল, তখন লুইস এনরিকেও একই কথা বলেছিলেন! সেদিক থেকে আমাদের দেখুন, মাত্র তিন মাস হয়েছে আমি (চেলসির) দায়িত্ব নিয়েছি।’
‘ফলে এই জায়গায় একটি বড় ব্যবধান রয়েছে। তাই ওইসব ক্লাবের সঙ্গে যে আমরা (এবার) লড়াই-ই করতে পারব না, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’
আরও পড়ুন: এনকুঙ্কুর হ্যাটট্রিকে লিগ কাপে চেলসির গোল উৎসব
তবে ধীরে ধীরে ওইসব ক্লাবগুলোর পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্যের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তেই আমরা ওই পর্যায়ে যাওয়ার চিন্তা করছি না। আবার ঠিক কবে নাগাদ অমন হয়ে উঠতে পারব, তা-ও নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে আস্তে আস্তে সব সমস্যার সমাধান করে একটু একটু করে এগোনোই আমাদের লক্ষ্য।’
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা শুরু হলে রোমান আব্রাহামোভিচ একপ্রকার বাধ্য হয়ে ক্লাব ছাড়ার পর শক্তিশালী দলগঠনে গত পাঁচ মৌসুম ধরে দলবদলে টাকার ফোয়ারা ছুটিয়েছে চেলসি। এই সময়ে দেড় বিলিয়ন ইউরোর বেশি খরচ করে যেখানে যত প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলার পেয়েছে, তাকেই মোটা অঙ্কের বিনিময়ে দলে ভিড়িয়েছে ক্লাবটি।
শিরোপাজয়ের আশায় এই সময়ের মধ্যে চারজন কোচ পাঁচবার ক্লাবটির দায়িত্ব নিয়েও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। সর্বশেষ ১ জুলাই পাঁচ বছরের জন্য লেস্টার সিটি থেকে মারসেকাকে ক্লাবে নিয়ে আসে টড বোহেলি ও ক্লিয়ারলেক ক্যাপিটালের নেতৃত্বাধীন চেলসি কর্তারা।
আরও পড়ুন: পালমারের চার গোল, চেলসিতে বিধ্বস্ত ব্রাইটন
তারা এত ফুটবলার কিনেছে যে মারেসকা দায়িত্ব নেওয়ার পর তার স্কোয়াডে সদস্য সংখ্যা ছিল ৪৪ জন। ফলে দায়িত্ব নিয়েই তিনি খেলোয়াড় বিক্রি ও ধারে অন্য ক্লাবে পাঠানোর মাধ্যমে যতটা সম্ভব স্কোয়াড ছোট করেন। এরপর নিজের পছন্দের স্কোয়াড নিয়ে এগিয়ে চলেছেন এই কোচ।
২ মাস আগে
চার গোল করে ইতিহাসের পাতায় পালমার
প্রিমিয়ার লিগে শনিবার ব্রাইটনের বিপক্ষে দারুণ এক জয় পেয়েছে চেলসি। আর তাতে একাই চার গোল করে অনন্য এক কীর্তি গড়েছেন ব্লুসদের ইংলিশ মিডফিল্ডার কোল পালমার।
প্রিমিয়ার লিগে শনিবার স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়নকে ৪-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে চেলসি।
চেলসির চারটি গোলই করেছেন ২২ বছর বয়সী ইংলিশ প্রতিভা কোল পালমার। মাত্র দশ মিনিটের ব্যবধানে হ্যাটট্রিক করার পর ২০ মিনিটের মধ্যে ওই চার গোল করেন তিনি।
পালমারের চারটি গোলই এসেছে বিরতির আগে। আর তাতেই ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছেন এই প্রতিভাবান তরুণ।
প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথমার্ধে চার গোল করার রেকর্ড আর কারও নেই। লিগের ৩২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ফুটবলার এই কীর্তি গড়ল বলে জানিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের পরিসংখ্যান প্রকাশকারী সাইট অপটা।
আরও পড়ুন: পালমারের চার গোল, চেলসিতে বিধ্বস্ত ব্রাইটন
এদিন ম্যাচের ২১, ২৮, ৩১ ও ৪১তম মিনিটে গোলগুলো করেন পালমার। এর মধ্যে তার দ্বিতীয় গোলটি আসে পেনাল্টি থেকে।
অবশ্য ওই চার গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধে গোল পায়নি ব্রাইটনও। ফলে ৪-২ গোলে জিতে ম্যাচ শেষ করে চেলসি।
এর আগে, গত মৌসুমেও প্রিমিয়ার লিগে চার গোল করেন পালমার। এভারটনের বিপক্ষে চলতি বছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচটি ৬-০ গোলে জেতে চেলসি।
এদিকে, আজকের হ্যাটট্রিকের ফলে লিগে তার মোট হ্যাটট্রিক সংখ্যা হলো তিনটি। এর মাধ্যমে প্রিমিয়ার লিগে তিন হ্যাটট্রিক করা চেলসির চতুর্থ ফুটবলার হিসেবে দিদিয়ের দ্রগবা, ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড ও জিমি ফ্লয়েডের পাশে বসলেন তিনি।
আজকের পারফরম্যান্সের পর লিগে ৬ ম্যাচে পালমারের গোলসংখ্যা হলো ৬টি। এর পাশাপাশি চারটি অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি।
দশ গোল নিয়ে লিগে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হালান্ড। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন পালমার। আর সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের তালিকায় লেস্টার সিটির উইলফ্রেদ এনদিদি ও লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহর সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন তিনি। ৬ অ্যাসিস্ট নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন আর্সেনালের ইংলিশ উইঙ্গার বুকায়ো সাকা।
২ মাস আগে
৫০তম ম্যাচে জ্যাকসনের জোড়া গোল, বড় জয় চেলসির
ব্লুজদের জার্সি পরে মাঠে নামার পঞ্চাশতম উপলক্ষ ছিল নিকোলাস জ্যাকসনের জন্য। আর বিশেষ এই দিনটি জোড়া গোল করে রাঙিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী এই সেনেগালিজ স্ট্রাইকার।
লন্ডন স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় শনিবার বিকালে প্রিমিয়ার লিগে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানের জয় পেয়েছে চেলসি।
দলের হয়ে জোড়া গোল করেন জ্যাকসন এবং তৃতীয় ও জয়সূচক গোলটি করেন ২২ বছর বয়সী ইংলিশ মিডফিল্ডার কোল পালমার।
ঘরের মাঠে এদিন বলের দখল ও আক্রমণে চেলসির চেয়ে এগিয়ে ছিল হ্যামার্সরা। তাদের ৫২ শতাংশের বিপরীতে ৪৮ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ রাখতে সমর্থ হয় চেলসি। এছাড়া ম্যাচজুড়ে মোট ১৫টি শট নিয়ে তার ৭টি লক্ষ্যে রেখেও গোল পায়নি ইউলেন লোপেতেগির শিষ্যরা। অন্যদিকে, ১২টি শটের পাঁচটি লক্ষ্যে রেখে তা থেকে তিনটি গোল আদায় করে নেয় চেলসি।
আরও পড়ুন: মাদুয়েকের হ্যাটট্রিকে গোল উৎসব করে জয়ে ফিরল চেলসি
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এদিন গোল করে চেলসিকে এগিয়ে নেন জ্যাকসন। জেডন স্যানচোর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া ফ্রি কিক ধরে এগিয়ে গিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে শট নেন এই সেনেগালিজ। রক্ষণ থেকে ওয়েস্ট হ্যামের ডিফেন্ডাররা তাকে খুব বেশি চ্যালেঞ্জ জানাতে না পারায় শেষে বল জালে জড়িয়ে দেন এই স্ট্রাইকার।
এর ১৪ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জ্যাকসন। এবার মোইসেস কাইসেদোর ডিফেন্সচেরা পাস ধরে বক্সে ঢুকে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।
বিরতির আগে অবশ্য একবার জালের দেখা পায় ওয়েস্ট হ্যাম, কিন্তু মোহাম্মদ কুদুসের সেই গোলটি অফসাইডে কাটা পড়ে।
এরপর দুই গোলের ব্যবধান ধরে রেখে বিরতিতে গেলেও ফিরে এসেই ৪৭তম মিনিটে তৃতীয় গোলটি পেয়ে যান চলতি মৌসুমে উড়তে থাকা ইংলিশ মিডফিল্ডার কোল পালমার। এবার তাকে অ্যাসিস্ট করেন জ্যাকসন। এর ফলে চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে পাঁচ ম্যাচে ৪ গোল ও দুই অ্যাসিস্ট হলো জ্যকসনের।
আরও পড়ুন: চেলসি ছেড়ে নাপোলিতে লুকাকু
এরপর আর চেষ্টা করেও জালের দেখা পায়নি দুদলের কেউ। ফলে ৩-০ গোলের ব্যবধান ধরে রেখেই মাঠ ছাড়ে এনসো মারেসকার শিষ্যরা।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচে তিনটি জয় ও একটি ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো চেলসি। তাদের চেয়ে মাত্র দুই পয়েন্টে এগিয়ে চূড়ায় ম্যানচেস্টার সিটি। এক ম্যাচ কম খেলে চেলসির সমান পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আর্সেনাল।
আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন সিটি ও রানার্স-আপ আর্সেনাল।
২ মাস আগে
মাদুয়েকের হ্যাটট্রিকে গোল উৎসব করে জয়ে ফিরল চেলসি
প্রিমিয়ার লিগের প্রথম রাউন্ডে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে দৃঢ় পারফর্ম করেও ২-০ ব্যবধানে হেরে মৌসুম শুরু করে চেলসি। এর ফলে হার দিয়ে প্রিমিয়ার লিগে চেলসি অধ্যায় শুরু করেন কোচ এনসো মারেসকা। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডেই উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষ গোল উৎসব করে জয়ে ফিরেছে ব্লুসরা।
রবিবার (২৫ আগস্ট) উলভসের মলিনো স্টেডিয়ামে ৬-২ গোলের জয় পেয়েছে চেলসি। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন চেলসির ২২ বছর বয়সী ইংলিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ননি মাদুয়েকে। বাকি গোল তিনটি করেন নিকোলাস জ্যাকসন, কোল পালমার ও সদ্যই আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে চেলসিতে ফেরা জোইয়াও ফেলিক্স।
উলভসের হয়ে দুটি গোল করেন ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড মাথিউস কুনিয়া ও নরওয়ের তরুণ ফরোয়ার্ড ইয়োর্গেন স্ট্রান্ড লারসেন।
আরও পড়ুন: রাহিম স্টার্লিং পরিকল্পনায় নেই, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মারেসকা
এদিন ম্যাচের ৯৮ সেকেন্ডের মাথায় এগিয়ে যায় চেলসি। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল হেডারে জালে জড়ান চেলসির সেনেগাল স্ট্রাইকার নিকোলাস জ্যাকসন।
এরপর দুই পক্ষই একের পর এক আক্রমণে উঠতে থাকে। এর মধ্যে ১৯তম মিনিটে এনসো ফের্নান্দেসের বাড়ানো পাস ধরে বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে নেওয়া মাদুয়েকের নিচু শট প্রতিহত করেন উলভস গোলরক্ষক হোসে সা। তবে এর কিছুক্ষণ পরই স্বাগতিকদের সমতা ফেরান কুনিয়া।
ম্যাচের ২৭তম মিনিটে ডানপায়ের শটে চেলসির জাল কাঁপিয়ে দেন এই ব্রাজিলীয়। তবে ৪৫তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় চেলসি।
জ্যাকসনের বাড়িয়ে দেওয়া বল ধরে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন কোল পালমার।
তবে এগিয়ে থেকে বিরতি যাওয়া হয়ে ওঠেনি চেলসির। যোগ করা ৯ মিনিটের ষষ্ঠ মিনিটে স্বাগতিকদের ফের সমতায় ফেরান লারসেন।
৩ মাস আগে
রাহিম স্টার্লিং পরিকল্পনায় নেই, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মারেসকা
নতুন কোচের তত্ত্বাবধায়নে বেশ কিছুদিনের অনিশ্চয়তায় পর এবার রাহিম স্টার্লিং জানতে পারলেন, চেলসিতে তিনি একেবারেই ব্রাত্য। সদ্য শুরু হওয়া মৌসুমে দলের পরিকল্পনায় তিনি যে একেবারেই নেই, তা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন কোচ এনসো মারেসকা।
তবে প্রাক-মৌসুমে চেলসির ম্যাচগুলোতে দেখা গেছে সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র। যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে ছয় ম্যাচের সবকটিতে খেলানো হয়েছে স্টার্লিংকে। কিন্তু লিগের প্রথম ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষ শুরুর একাদশ তো দূরের কথা, স্কোয়াডেও রাখা হয়নি তাকে।
তাছাড়া, উয়েফা কনফারেন্স লিগের প্লে-অফ ম্যাচের আগে মূল স্কোয়াডের সঙ্গেও অনুশীলনে দেখা যায়নি স্টার্লিংকে।
চেলসিতে তার চুক্তির মেয়াদ আরও তিন বছর থাকলেও কোচের এমন সিদ্ধান্তে খানিকটা অস্পষ্টতায় ভুগছিলেন স্টার্লিং। তাই তাকে নিয়ে ক্লাবের সিদ্ধান্ত জানতে চেয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন ২৯ বছর বয়সী এই উইঙ্গার।
এর পরিপ্রেক্ষিতে কোচ মারেসকা জানালেন, আগেই স্টার্লিংয়ের কাছে তিনি সব স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করেছেন।
আরও পড়ুন: অবশেষে ‘ঠিকানা’ খুঁজে পেলেন ফেলিক্স
বৃহস্পতিবার রাতে সার্ভেত্তের বিপক্ষে প্লে-অফ খেলতে নামবে চেলসি। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে স্টালিংয়ের প্রতি কোচ ‘নিষ্ঠুর’ আচরণ করছেন কি না, তা জানতে চান এক সাংবাদিক।
জবাবে মারেসকা বলেন, ‘আমার একদমই তা মনে হয় না। আমি সবসময় সৎ থাকার চেষ্টা করি। সিটি ম্যাচের আগেই আমি রাহিমের সঙ্গে কথা বলেছি, এটা স্পষ্ট না হলে আমি আবারও বলতে পারি।’
‘আমি তাকে পরিষ্কার বলেছি যে, এ মৌসুমে তাকে দলে সুযোগ পেতে ভুগতে হবে। আর সে কারণেই সে (সিটির বিপক্ষে) স্কোয়াডে নেই।’
ম্যানচেস্টার সিটিতে সাত বছর কাটানোর পর ২০২২ সালে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে স্টার্লিংকে দলে ভেড়ায় চেলসি। যে প্রত্যাশা নিয়ে তাকে এনেছিল ক্লাবটি, তিনি তা পুরোপুরি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ব্লুজদের জার্সিতে এ পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৮১ ম্যাচ খেলে মাত্র ১৯ গোল করেছেন এই ইংলিশ ম্যান।
মারেসকা বলেন, ‘সিটি ম্যাচের আগে আমি তাকে পরিস্থিতি স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছি। আমার যদি আবার তার সঙ্গে কথা বলতে হয়, আমি সেই কথাগুলোই বলব। তাকে বলার মতো নতুন কিছু আমার কাছে নেই।’
গত কয়েক মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে খেলোয়াড় কেনায় চেলসির স্কোয়াডে বর্তমানে ৪২ জন ফুটবলার রয়েছেন। তবে সবাইকে নিয়ে ভাবছেন না বলে জানালেন ৪৪ বছর বয়সী ইতালিয়ান এই কোচ।
‘আমি কোনোমতেই ৪২-৪৩ জন খেলোয়াড় নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছি না। আপনি বলতে পারেন যে, আমাদের স্কোয়াডে এত খেলোয়াড় রয়েছে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, তাদের ১৫ জনেরও বেশি আলাদাভাবে অনুশীলন করছে। তারা (আমার) দলে নেই। তাই বাইরে থেকে যতটা জটিল দেখা যায়, পরিস্থিতি ততটা জটিল নয়।’
আরও পড়ুন: চেলসি থেকে আতলেতিকো মাদ্রিদে গ্যালাগার
শুধু স্টার্লিং নয়, ইংলিশ লেফট ব্যাক বেন চিলওয়েলের ব্যাপারেও একই ধরনের কথা শোনালেন তিনি।
‘আমি বলছি না যে সে ভালো ফুটবলার নয়, তবে আমার দলে সে যথেষ্ট সুযোগ পাবে না। আমি নির্দয় নই, তবে স্রেফ সত্যিটা বলছি।’
আগামী ৩০ আগস্ট প্রিমিয়ার লিগের গ্রীষ্মকালীন দলবদল মৌসুম শেষ হচ্ছে। কোচের এমন সিদ্ধান্তের পর তাই এই সময়ের মধ্যেই অনেক খেলোয়াড় অন্যত্র বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টায় থাকবে চেলসি।
ইএসপিএনের খবর অনুসারে, স্টার্লিকে দলে টানতে আগ্রহী ইতালির ক্লাব ইউভেন্তুস। এছাড়া আরও দুয়েকটি ক্লাবও তার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ: ব্রাজিল পুলিশের তদন্তে নির্দোষ আন্তোনি
৩ মাস আগে
চেলসি থেকে আতলেতিকো মাদ্রিদে গ্যালাগার
প্রথমে চুক্তি একেবারেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েও ভেস্তে যায়। এরপর কিছুদিনের অনিশ্চয়তা। তারপর সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে সেই আতলেতিকো মাদ্রিদেই নাম লেখালেন ইংলিশ মিডফিল্ডার কনর গ্যালাগার।
৪২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তাকে চেলসি থেকে ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় নিয়ে এসেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। পাঁচ বছরের জন্য মাদ্রিদের এই ক্লাবটির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
গ্যালাগারকে পেতে টটেনহ্যাম হটস্পার ও অ্যাস্টন ভিলাও চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে আতলেতিকো মাদ্রিদকেই বেছে নিয়েছেন তিনি।
শৈশবের ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার আগে ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশে আবেগী বিদায় বার্তা লিখেছেন তিনি।
‘আমার স্বপ্ন সত্যি করতে চেলসির সবাইকে ধন্যবাদ। প্রতিবার যখনই আমি এই ক্লাবের জার্সি গায়ে চড়িয়েছি, ততবারই সম্মানিত বোধ করেছি। তাছাড়া অসংখ্যবার অধিনায়কের ভূমিকা পালন করতে পারাটাও ছিল আমার কাছে স্বপ্নের মতো।’
‘আমি (এখানে) প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। এই স্মৃতি আজীবন আমার হৃদয়ে থাকবে। ভক্তদের কাছ থেকে যে পরিমাণ সমর্থন ও ভালোবাসা পেয়েছি তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। (স্ট্যামফোর্ড) ব্রিজে আমার নামে জয়ধ্বনি শুনতে পাওয়া সত্যিই এক বিশেষ অনুভূতি ছিল।’
‘সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ! ক্লাবের ভবিষ্যতের জন্য আমার শুভকামনা। আশা করি, স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে খুব শিগগিরই দেখা হবে।’
এদিকে এক অফিশিয়াল বিবৃতিতে চেলসি লিখেছে, ‘ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাওয়া গ্যালাগারকে আমাদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।’
আরও পড়ুন: আলভারেস আতলেতিকোর ডিএনএর সঙ্গে পুরোপুরি মানানসই: সিমিওনে
মাত্র আট বছর বয়স থেকে চেলসির অ্যাকাডেমিতে বেড়ে উঠে গত মৌসুমে ক্লাবটির মূল দলে জায়গা করে নেন গ্যলাগার। তবে চেলসির অ্যাকাডেমিতে বড় হলেও পেশাদার ফুটবলে চেলসির শার্ট পরতে বেশ অপেক্ষা করতে হয় এই মিডফিল্ডারকে। শুরুতে চার্লটন, সোয়ানসি, ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিয়ন ও ক্রিস্টাল প্যালেসের মতো ক্লাবে তাকে ধারে খেলতে পাঠায় চেলসি। এরপর ২০২২ সালে তিনি চেলসির সিনিয়র দলের শার্ট পরার সুযোগ পান।
তারপর গত মৌসুমে লিগে ৩৭ ম্যাচে শুরুর একাদশে থেকে মাঠে নামেন গ্যালাগার। বাকি একটি ম্যাচ শৃঙ্খলাজনিত শাস্তির কারণে খেলা হয়নি তার। শুধু তাই নয়, রিস জেমস ও বেন চিলওয়েলের চোটের কারণে অধিকাংশ ম্যাচেই অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
৩ মাস আগে
অবশেষে ‘ঠিকানা’ খুঁজে পেলেন ফেলিক্স
আতলেতিকো মাদ্রিদে থাকতে না চাওয়ায় গত দুই মৌসুম ধরে এক প্রকার ভেসে বেড়াচ্ছিলেন পর্তুগিজ তারকা জোয়াইও ফেলিক্স। অবশেষে ২০২২-২৩ মৌসুমে ধারে খেলা স্ট্যামফোর্ড ব্রিজই হলো তার নতুন ঠিকানা।
বুধবার (২১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে প্রিমিয়ার লিগ জানিয়েছে, ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে ২৪ বছর বয়সী এই তারকাকে দলে টেনেছে চেলসি।
দুই মৌসুম আগে ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানো ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানানোর পর থেকেই প্রতিভাবান এই তরুণ ফুটবলারের জন্য নতুন ঠিকানা খুঁজছিল আতলেতিকো। ২০২২-২৩ মৌসুমের শেষ ছয় মাসের জন্য চেলসিতে তাকে ধারে পাঠানো হয়। সে সময় ব্লুজদের হয়ে ২০ ম্যাচ খেলে ৪ গোল করেন ফেলিক্স।
তবে মৌসুম শেষে চেলসি তাকে রাখতে না চাওয়ায় আবারও ফিরতে হয় মাদ্রিদে। এরপর গত মৌসুমে বার্সেলোনা তাকে এক মৌসুমের জন্য ধারে নেয়। মৌসুমজুড়ে কোচ শাভি এরনান্দেসের শুরুর একাদশে জায়গা করে নিতে না পারলেও বেশিরভাগ ম্যাচে তিনি নামেন বদলি খেলোয়াড় হিসেবে। তারপরও কাতালুনিয়ার দলটির হয়ে ৪৪ ম্যাচ খেলে ১০ গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।
এরপর বার্সেলোনাও তাকে পাকাপাকিভাবে দলে না টেনে মৌসুম শেষে আতলেতিকোয় পাঠিয়ে দেয়। তারপর থেকে ফের ফেলিক্সের জন্য নতুন ঠিকানা খুঁজছিল মাদ্রিদের ক্লাবটি।
আরও পড়ুন: চেলসিতেই যাচ্ছেন মেসিনিয়ো!
কিছুদিন থেকেই তাকে দলে টানতে চেলসির ইচ্ছার কথা জানিয়ে আসছিলেন ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো। এবার গুঞ্জন সত্যি করে অবশেষে স্থায়ী দলবদলে ঠিকানা খুঁজে পেলেন এই পর্তুগিজ তারকা। চেলসিতে যোগ দিয়ে তার কণ্ঠেও এ বিষয়ে স্বস্তি ঝরেছে।
চেলসির অফিশিয়াল সাইটে ফেলিক্স লিখেছেন, ‘(স্থায়ী) ঠিকানা করে নিতে এটি আমার জন্যে একটি ভালো সুযোগ।’
‘চেলসি ও বার্সায় দুটি লোনপর্ব শেষের পর আমার একটি জায়গায় স্থায়ী হওয়ার দরকার ছিল। এক্ষেত্রে চেলসির চেয়ে ভালো স্থান হতে পারে না। উন্নতি করার জন্য এই ক্লাবটি আমার কাছে একেবারে উপযুক্ত মনে হয়।’
শুধু আতলেতিকো ছাড়তেই চেলসিতে আসেননি ফেলিক্স। ক্লাবটির অনেকগুলো বিষয় তাকে গন্তব্য নির্বাচনে সহায়তা করেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
‘অনেকগুলো বিষয়ের একটু একটু করে নিয়ে আমি চেলসিতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই ক্লাব, প্রজেক্ট, লিগ, সমর্থক ও এখানে আমার কাটানো সময়- সবকিছু আমি পছন্দ করি। এখানে (এর আগে) যখন ছিলাম, ভালো ফল আনতে না পারলেও ওই সময়টা আমি খুব ভালো কাটিয়েছিলাম। তাই ফিরে আসতে পেরে সত্যিই আমি খুশি।’
তবে আগের ব্যর্থতা আর পেছনে ফিরে দেখতে চান না তিনি। সময়ের সঙ্গে তিনি যে নিজেও বদলেছেন, তা জানিয়ে আগামীতে আরও ভালো করার প্রত্যয় ঝরল এ তরুণের কণ্ঠে।
‘সেবারের চেয়ে এবার আমি অনেকটাই বদলেছি। এখন আমার বয়স ২৪, (আগামী) নভেম্বরে ২৫-এ পা দেব। খেলোয়াড় হিসেবে এখন নিজেকে অনেকটাই পরিণত মনে হয়। প্রিমিয়ার লিগে খেলতে আমি এখন অনেকটাই প্রস্তুত।’
নিজের সেরাটা এখনও দেখাননি জানিয়ে ফেলিক্স বলেন, এই বছরটি ভালো একটি বছর হতে চলেছে। কারণ অবশেষে আমি ঠিকানা খুঁজে পেয়েছি। তাই নতুন ঠিকানায় ফুটবলটা উপভোগ করতে চাই।’
আরও পড়ুন: আলভারেস আতলেতিকোর ডিএনএর সঙ্গে পুরোপুরি মানানসই: সিমিওনে
ফেলিক্সকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত চেলসি কোচ এনসো মারেসকাও। তিনি বলেছেন, ‘জোইয়াও (ফেলিক্স) দারুণ প্রতিভাবান। ক্লাবের সবাই আগে থেকেই তাকে চেনে। তার ভালো দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে- সে ইনসাইড, নম্বর নাইন কিংবা আউটসাইড- বিভিন্ন পজিশনে খেলতে পারে।’
১৯৯৯ সালে পর্তুগালের ভিসেউতে জন্ম নেওয়া এই ফুটবলার মাত্র ১৭ বছর বয়সে বেনফিকার জার্সিতে পেশাদার ফুটবলে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০১৮ সালে মাত্র বেনফিকার হয়ে ওই মৌসুমে ২৬ ম্যাচে ১৫ গোল ও ৯ অ্যাসিস্ট করে ইউরোপীয় ফুটবলে সাড়া ফেলে দেন তিনি। পর্তুগিজ লিগের ওই মৌসুমের ‘গোল্ডেন বয়’ খেতাবও জোটে তার।
পরের বছর জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয় ফেলিক্সের। এরপর ২০২০ সালে আতলেতিকো মাদ্রিদে পাড়ি জমান তিনি। ক্লাবের রেকর্ড ফিতে ফেলিক্সকে দলে টানে আতলেতিকো। তবে দিয়েগো সিমিওনের তত্ত্বাবধায়নে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এই প্রতিভাবান ফুটবলার।
৩ মাস আগে
চেলসিতেই যাচ্ছেন মেসিনিয়ো!
নাম উইলিয়ান এস্তেভিয়াও। ডাক নামটি আর আর্ষণীয়, ‘মেসিনিয়ো’ অর্থাৎ ছোট মেসি। ১৭ বছরেই মেসির সঙ্গে তুলনা পাওয়া ব্রাজিলিয়ন তরুণ এস্তেভিয়াওকে পেতে ইউরোপের বড় বড় ক্লাবগুলো টানাটানি শুরু করেছিল বলে শোনা গেছে আগেই। তবে সে প্রতিযোগিতায় ইংলিশ ক্লাব চেলসি জিতে গেছে।
ইতোমধ্যে এস্তেভিয়াওয়ের সঙ্গে চেলসির মৌখিক চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো। এমনকি চেলসির দেওয়া ৬৫ মিলিয়ন ইউরো (৪০+২৫) ফিয়ের প্রস্তাবটিও মেসিনিয়োর বর্তমান ক্লাব পালমেইরাস গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এক্স পোস্টে রোমানো আরও জানিয়েছেন, চেলসির লিখিত চুক্তিপত্রে সই করতে মুখিয়ে আছে এস্তেভিয়াও ও পালমেইরাস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: মেসি-বার্সা চুক্তির সেই বিখ্যাত টিস্যু বিক্রি হলো ১১ কোটি টাকায়
তবে এখনই প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটিতে যোগ দিতে পারছে না উইলিয়ান। বয়স ১৮ হওয়ার পর ২০২৫ সালে লন্ডনের ক্লাবটিতে যাবে সে। চেলসির সঙ্গে ২০৩২ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হতে চলেছে এস্তেভিয়াও।
এস্তেভিয়াওয়ের ব্যাপারে দুই ক্লাব সম্মত হওয়ার দিন দশেক আগেই ব্যক্তিগতভাবে চেলসিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দেয় সে। চুক্তিটি পাকাপাকি করতে গত কয়েকদিন ধরে ব্রাজিলে অবস্থান করছিলেন চেলসির কয়েকজন কর্মকর্তা।
সৃজনশীলতা, অসাধারণ ড্রিবলিং ও খেলার ধরনের জন্য দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম সেরা ফুটবল প্রতিভা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এস্তেভিয়াও। ব্রাজিলের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে অংশ নেয় এই সেলেসাও যুবা। সেখানেও বল পায়ে আলো ছড়ায় সে।
আরও পড়ুন: প্রিমিয়ার লিগে ‘ভিএআর’ বাদ দেওয়ার প্রস্তাব
এর আগে ১৭ বছর বয়সী এই ফুটবল প্রতিভাকে দলে টানতে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি ও পিএসজির মতো ইউরোপের বাঘা বাঘা দলগুলোর আগ্রহের কথা শোনা গিয়েছিল। এমন গুঞ্জনও ছড়িয়েছিল যে, বার্সেলোনার সঙ্গে মৌখিক চুক্তি সেরে ফেলেছে সে। তবে কাতালুনিয়ার ক্লাবটি আর্থিক দুর্দশার কারণে সে গুঞ্জন থেমে যায়। পরে চেলসির সঙ্গে তার সম্পর্কের অগ্রগতির কথা চাউর হয়।
অবশেষে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজই হতে চলেছে তার ঠিকানা।
৬ মাস আগে