সংস্কার
বাংলাদেশকে বিশ্বের নিখুঁত গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত করবে সংস্কার: গুতেরেস
সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম নিখুঁত গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
রমজান সংহতি সফর শেষ করে রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে ঢাকা ছাড়ার আগে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আজ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন গুতেরেস।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং রোহিঙ্গা বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান বিমানবন্দরে মহাসচিবকে বিদায় জানান।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে জানান, বাংলাদেশ ত্যাগ করার আগে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন এবং বিদায়ী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
২২ ঘণ্টা আগে
গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী জাতিসংঘ মহাসচিব
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আরও বেশি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশ যেহেতু উল্লেখযোগ্য একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই আমি আরও বেশি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের বিষয়ে আশাবাদী।’
শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর এক হোটেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গুতেরেস বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের জন্য এক সন্ধিক্ষণ, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ন্যায়সঙ্গত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের লক্ষ্যে আপনাদের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করা।’
বাংলাদেশের জনগণের পাশে থেকে একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে জাতিসংঘ নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সংস্কার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে মনে করে জাতিসংঘ: বিএনপি
এ বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও পরিবর্তনের পথে এগোচ্ছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, জাতিসংঘ শান্তি, জাতীয় সংলাপ, আস্থা ও সংহতি প্রতিষ্ঠায় সর্বদা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে আমরা একত্রিত হয়েছি। এই সময়ে সংহতি ও মানবতার ওপর গুরুত্বারোপ করা আগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
‘এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখব, যাতে আপনারাই সামনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা ও সুযোগগুলো গ্রহণ করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তটি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে আমি সম্মানিত। এই রমজান সবার জন্য শান্তি, আশীর্বাদ ও নতুন আশা নিয়ে আসুক।’
১ দিন আগে
সংস্কার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে মনে করে জাতিসংঘ: বিএনপি
সংস্কার ও নির্বাচন কীভাবে হবে, জাতিসংঘ সেটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে মনে করে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘তবে জাতিসংঘ মহাসচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, বাংলাদেশে আগামীতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার আসবে, পৃথিবীর মধ্যে একটা নজির সৃষ্টি করবে আগামীর নির্বাচন।’
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক করেছেন সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বৈঠকে বিএনপির হয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ অংশ নেন। বৈঠক শেষে তারা সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সালাহউদ্দিন এ মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘জাতিসংঘের তরফে বলা হয়েছে যে, এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার… আপনারা বসে রিফর্ম (সংস্কার) কী করবেন, সেটা ঠিক করেন এবং নির্বাচন যা হবে, বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছা অনুযায়ী হবে। বাংলাদেশে যেন একটা শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে—এটা তিনি আশা করেছেন।’
আরও পড়ুন: নারী-শিশু নির্যাতনে আইনি ও স্বাস্থ্য সহায়তায় বিএনপির ৮৪ সেল গঠন
এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এখানে (বৈঠকে) কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা ছিলেন। সংস্কার কমিশনের প্রধানরা ছিলেন। মূলত এখানে যে সংস্কারের ব্যাপারগুলো, যেগুলো নিয়ে কমিশনগুলো করা হয়েছে, সেই সম্পর্কে জাতিসংঘের মহাসচিবকে অবহিত করা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমরা আমাদের আগের বক্তব্যই তুলে ধরেছি।’
‘আমরা একই কথা বলেছি আমরা। সংস্কার তো অবশ্যই করতে হবে। আমরা সংস্কারের কথা আগেই বলেছি, সেই সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু সংস্কারটা যত দ্রুত করা যায়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম দাবি ছিল নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার। আমরা বলেছি, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনী সংস্কারগুলো সম্পন্ন করতে হবে। এরপর সংসদ গঠনের মাধ্যমে বাকি সংস্কারগুলো করা যাবে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া—এটাই আমরা বলে এসেছি।’
বৈঠকে সংস্কারের বিষয়ে কোনো সময়সীমার কথা আপনারা বলেছেন কি না—প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওখানে টাইমফ্রেম নিয়ে কথা বলার কোনো প্রয়োজন নাই। কারণ এটা তো আমাদের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।’
‘আমরা সংস্কার কমিশনগুলোর সঙ্গে আমরা কথা বলছি, তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। তারা যা চাচ্ছে আমরা সব দিয়ে দিচ্ছি। ইতোমধ্যে আমাদের সঙ্গে একটা বৈঠক হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিবকে আমরা আমাদের টাইম ফ্রেমটা দিতে যাব কেন?’
আরও পড়ুন: বিএনপির নতুন ভাইস-চেয়ারম্যান নার্গিস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইয়াসিন
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত এ গোলটেবিল বৈঠকে বিএনপি ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), নাগরিক ঐক্য, সিপিবি, এবি পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা অংশ নেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক আলী রিয়াজ, ড. ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস প্রমুখ।
১ দিন আগে
করদাতাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে এ খাতে সংস্কার জরুরি: গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
দেশের রাজস্ব আদায় বাড়ানোর পাশাপাশি করদাতাবান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য খাতটিতে জরুরি সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বক্তারা। একই সঙ্গে তারা বলেছেন, এ সংস্কার হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বাস্তবতার নিরিখে অংশীজনের মতামত গ্রহণের মাধ্যমে। বুধবার (৫ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, সংস্কার কার্যক্রম অন্তর্ভুক্তিমূলক না হলে তা মোটেই টেকসই হবে না। অথচ অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা না করেই বিপুল সংখ্যক পণ্য ও সেবায় কর বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে সংকটের মুখে পড়েছে বিভিন্ন শিল্প ও সেবাখাত।
প্রভাব পড়ছে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে। এতে সরকারের রাজস্ব আদায় না বেড়ে বরং কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
’কর নীতির কাঠামো পরিচালনা: গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর জন্য প্রভাব ও অগ্রাধিকার’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও সিইও ড. মাশরুর রিয়াজ অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি-প্রক্রিয়াকরণ, জ্বালানি ও ভোগ্যপণ্য খাতে সাম্প্রতিক কর নীতির পরিবর্তন ও এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। তারা বলেন, বিভিন্ন খাতে সাম্প্রতিক কর বৃদ্ধি সরকারের রাজস্ব আদায়, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিদেশি বিনিয়োগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও রাজস্ব আদায় বাড়ানোর স্বার্থে অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি প্রণয়নের ওপর জোর দেন তারা।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘সরকার এমন একটি কর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করবে ও আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কর নীতির লক্ষ্য হলো রাজস্ব আহরণ ও ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করা। আমরা শিল্প নেতাদের উদ্বেগ বুঝতে পারছি। বিনিয়োগ ও রাজস্ব আদায় বাড়ানো এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে আমরা একটি সুষ্ঠু কর কাঠামো তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘কর নীতিতে পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন। এ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশীজনদের সম্পৃক্ততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: দেশের মাটি ও মানুষকে ভালোবাসতেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর: চট্টগ্রামে স্মরণসভায় বক্তারা
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ঢাকার সভাপতি কামরান টি. রহমান কর নীতিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনার আগে নীতি-নির্ধারক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে গঠনমূলক সংলাপের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘একটি টেকসই কর কাঠামো তৈরি করতে এনবিআর এবং শিল্পখাতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা প্রয়োজন। আলোচনা বা মতামত গ্রহণ ছাড়া নীতি পরিবর্তন অর্থনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।’
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী উল্লেখ করেন, ‘করহারে ঘন ঘন পরিবর্তনের কারণে আগ্রহ হারাচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। দেশি-বিদেশি সব ধরনের বিনিয়োগকারীই চান একটি বিনিয়োগবান্ধব কর কাঠামো ও নীতির ধারাবাহিকতা। সেটি নিশ্চিত করা গেলে অর্থনীতিতে স্বস্তি আসার পাশাপাশি প্রবৃদ্ধিও ত্বরান্বিত হবে।’
এনবিআরের সাবেক সদস্য ও এনবিআর সংষ্কার কমিটির সদস্য ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘কমিটি অংশীজনদের সাথে কথা বলেছে। আমরা যে তথ্য পেয়েছি তা সবার কাছে তুলে ধরব। আমরা বেশ কিছু সুপারিশও দিয়েছি।’
১১ দিন আগে
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে: হামিদুর রহমান আযাদ
ফ্যাসিবাদী সরকারের মাধ্যমে সৃষ্ট অচলাবস্থার মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে দেশে আবারও ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ।
তিনি বলেছন, ‘বর্তমান সরকার যদি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার দিকে ফিরিয়ে নিতে চান, তাহলে বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার যে দেশকে অচলাবস্থা করেছিল সেটার প্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে আবারো ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে।’
আযাদ বলেন, বাংলাদেশকে গড়তে হলে আমাদেরকে ঔক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টায় ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে উপজেলা ও পৌর জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হামিদুর রহমান বলেন, বিগত ৫৩ বছর বাংলাদেশের মানুষ দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কবলে পড়েছে, বৈষম্যের শিকার হয়েছে। এ জন্যই জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লব ঘটেছে। বুলেটের সামনে দেশের দামাল ছেলেরা বুক পেতে রক্ত দিয়েছে। হাজার হাজার লাশ পড়েছে ও ৩০ হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন
অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দ্যেশে করে তিনি বলেন, জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হবে। তারপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সংসদে সংখ্যানুপাতিক আসন বিন্যাস করতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থার মধ্যে বিগত সরকারের দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবিও জানান আযাদ।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকার এসেছিল বৈষম্য দূর করতে, এখনো বৈষম্যমুক্ত হয়নি দেশ। আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিকের অধিকার সমান। সংবিধানের ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদ কার্যকর হয়নি এখনো।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ৫ আগস্ট গণভবন ঘেরাওয়ের কথা বুঝতে পেরে নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। ১৫ বছর ছাত্রদের যে ইতিহাস পড়ানো হয়েছিল, ছাত্র-জনতা সেদিন ফুসে উঠে ক্রেন দিয়ে সেগুলো ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বিগত সরকার সম্পদের সঠিক ব্যবহার না করে শুধু লুটপাটে ব্যস্ত ছিল। তারা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে, চর দখলের মতো ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখল করে ক্যান্টনম্যান্ট তৈরি করেছিল। যে কারণে মেধাবীরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। শুধু সমদ্রের সম্পদ ব্যবহার করে দেশের ছয় মাসের চাহিদা মেটানো সম্ভব ছিল।
হামিদুর রহমান বলেন, যে উদ্দেশ্য এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। দেশে সুশাসন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় পাঁচবার বাংলাদেশ দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে। গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিস্টের দোসরদের বিচার করতে হবে। তিনি সর্বশেষে জামায়াত নেতা আজাহারুল ইসলামসহ জেলবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতায় যাওয়া নয়, সুশাসন কায়েম করাই জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য’
ফরিদপুর জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ইমারত হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও বোয়ালমারী পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা সৈয়দ নিয়ামুল হাসানের সঞ্চালনায় জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ দেলোয়ার হুসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য শামসুল ইসলাম আল-বরাটী, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ বদরুদ্দীন, সেক্রেটারি আব্দুল ওহাব, ফরিদপুর-১ আসনের জামায়াতের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ড. মো. ইলিয়াস মোল্যা, জেলা নায়েবে আমির আবু হারেস মোল্যা প্রমুখ।
২১ দিন আগে
আগে স্থানীয়, সংস্কার শেষে পরে জাতীয় নির্বাচন: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি না থাকায় জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর উপযুক্ত সংস্কার নিশ্চিত করার পরই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার সড়কে চাঁদপুর জেলা জামায়াত আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কার নিশ্চিত করার পরই আমরা জাতীয় নির্বাচন চাই। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়া উচিত, যাতে কারও ভোট নষ্ট না হয় এবং প্রতিটি ভোটের মূল্য থাকে।’
আরও পড়ুন: বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক বিভেদকে কবর দিন: জামায়াত আমির
এ সময় নির্বাচনকে কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, ‘যারা চাঁদাবাজি করেন, তাদের বলছি— আল্লাহ ভিক্ষাকে হালাল করেছেন, কিন্তু চাঁদাবাজিকে হারাম করেছেন। তাই চাঁদাবাজি না করে ভিক্ষা করাও উত্তম। অথবা আপনারা যদি আমাদের কাছে সহযোগিতা চান, আমরা আপনাদের সহায়তা করতে প্রস্তুত, কিন্তু আল্লাহর ওয়াস্তে চাঁদাবাজি করবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যারা বিভিন্ন গাড়ীতে চাঁদাবাজি করেন, এ চাঁদাবাজির টাকা ১৮ কোটি মানুষের পকেট থেকে যায়। ভিক্ষুকের পকেট থেকেও যায়। সুতরাং চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। নইলে আবারও ৫ আগস্ট আসবে, আপনাদের দশাও তাদের মতো হবে।’
পথসভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি এটিএম মাসুদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি কামাল উদ্দিন, সাবেক জেলা আমির মাওলানা আবদুর রহিম পাটওয়ারী ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান।
আরও বক্তব্য দেন জেলার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবুল হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, মুহাদ্দিস আবু নসর আশরাফী, শহর জামাতের আমির অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান খান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ৫৩ বছরের হওয়া সব খুনের বিচার হতে হবে: জামায়াত আমির
এদিন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভার সূচনা করেন সদর উপজেলা আমির মাওলানা আফসার উদ্দিন মিয়াজী। পথসভায় দলের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতাসহ হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
২২ দিন আগে
রাজপথে যাদের দেখা যায়নি, তারাই এখন সংস্কারের কথা বলছে: তারেক
এখন অনেকেই সংস্কারের কথা বলছেন, অথচ বিগত সময়ে তাদের রাজপথে পাওয়া যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘একমাত্র বিএনপি স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশ পুনর্গঠনের কথা বলেছে এবং ৩১ দফা ঘোষণা করেছে। বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে সবার আগে দেশ পুনর্গঠন করবে।’
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিএনপিসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দলের নেতা-কর্মীদের খুন, গুম ও লুটতরাজ করে। তখন নানা ধরনের নির্যাতনের মুখে বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল রাজপথে থেকে লড়াই করেছে।’
‘এখন যারা বড় বড় কথা বলছে, তারা তখন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে মাঠে ছিল না। এখন অনেকেই সংস্কারের কথা বলছেন, অথচ বিগত সময়ে তাদের রাজপথে পাওয়া যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির মূল লক্ষ্য ভেঙে পড়া রাষ্ট্র-কাঠামো মেরামত করা। কৃষকের উৎপাদন, নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন করাও আমাদের লক্ষ্য। জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব করবে।’
এ সময় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের জনগনের সমর্থন নেই—এমন কোনো কাজ বিএনপি করে না। বিভ্রান্ত হয়ে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়া নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাই বিএনপির বিরুদ্ধে কারও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।’
দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ পুনর্গঠনে দ্রুততম সময়ে স্বচ্ছ নির্বাচন দেওয়া জরুরি বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: গণহত্যার বিচারের জন্য হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি বিএনপির আহ্বান
তারেক রহমান বলেন, ‘যে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমরা বিগত ১৭টি বছর আন্দোলন করেছি, সেই স্বৈরাচার আজ পলাতক। তবে তারা বিভিন্নভাবে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে; ষড়যন্ত্রকারীরা কিন্তু বসে নেই! বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার অসিলায় বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তাদের এই লক্ষ্য আমরা হাসিল করতে দিতে পারি না। দেশের মানুষকে যদি রক্ষা করতে হয়, সর্বোপরি বাংলাদেশকে যদি রক্ষা করতে হয়, তাহলে আমাদের সবাইকে যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। আমরা বসব, আলোচনা করব। এক আলোচনায় শেষ না হলে আবার আলোচনায় বসব। আলোচনার মাধ্যমেই আমরা সমস্যার সমাধার খুঁজে বের করব। আমাদের অনেক কাজ; দেশকে পুনর্গঠনের কাজ। দেশের সামনে আমরা রাষ্ট্র-কাঠামো পুনর্গঠনের ৩১ দফা রূপরেখা দিয়েছি। সেটির মধ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সন্তানদের শিক্ষাব্যবস্থা কীভাবে করব—তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া আছে। এই দেশের বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও কৃষির জন্য আমরা কী কী করতে চাই, তার কথাও উল্লেখ করা আছে। সমগ্র দেশকে পুনর্গঠন করার জন্য আমরা কী করতে চাই, সেই কথাগুলো বলা আছে।’
যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বিএনপি চেরায়পারসনের উপদেষ্টা আমন উল্লাহ আমান।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী টি এস আইয়ূব, আবুল হোসেন আজাদ, সাবিরা নাজমুল মুন্নী, কেশবপুর পৌর বিএনপি সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, যশোর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জারুল হক খোকন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশিদা রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তফা আমির ফয়সাল, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ।
২২ দিন আগে
সংস্কার পদক্ষেপ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: চীনের রাষ্ট্রদূত
সংস্কার সংক্রান্ত যেকোনো পদক্ষেপ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর চীনা দূতাবাসে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সবসময়ই বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা, ঐক্য ও উন্নয়ন কামনা করে চীন।
বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে চীন। বাংলাদেশে চলমান সংস্কার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে না চাইলেও কৌশলগত সম্পর্ক জোরদারের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি।
এ সময় তিনি ডিজিটাল অর্থনীতি, গ্রিন ইকনোমি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এর মতো বিকাশমান ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সহায়তার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে জাপানের প্রতি বাণিজ্য উপদেষ্টার আহ্বান
ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে আরও বেশি চীনা প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করবে তারা।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ ও চীন কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশটিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে বলেও জানান চীনের এই রাষ্ট্রদূত। কূটনৈতিক সম্পর্কের এই সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও কৌশলগত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে চীন আগ্রহী বলে জানান তিনি।
এ সময় চীন নিজেদের রোড এন্ড বেল্ট ইনিশিয়েটিভে বাংলাদেশের কৌশলগত অংশীদারত্ব নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায় বলে উল্লেখ করেন তিনি। ব্রিফিং চলাকালে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনের ঋণের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন কখনোই ঋণের সাথে কোনো শর্ত জুড়ে দেয় না।’
চীন ইতোমধ্যে বাংলাদেশে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। দুই কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশ ও চীন পরস্পরকে সাহায্য করে আসছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
২৬ দিন আগে
সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানো যাবে না: ডা. ফরহাদ
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেছেন, সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর নিকৃষ্ট শাসক শেখ হাসিনা। তাই তাদের রাজনীতি করার সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব দ্রুত নির্বাচন দিন।’
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শরীয়তপুর পৌরসভা মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সংস্কারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অতীতে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া সংস্কার করেছেন। আর ভবিষ্যতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সংস্কার হবে।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী মামলা-হামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিত্ব ছাড়া রাষ্ট্রের সংস্কার সফল হবে না: তারেক
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আমাদের বিজয় হবে। আর জনগণের ভোটের মাধ্যমেই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে।’
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরন এবং সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি একেএম নাসির উদ্দীন কালুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী।
২৭ দিন আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন: রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক শনিবার
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতে কথা বক্তব্য রাখবেন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।আরও পড়ুন:দুবাইয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
কমিশনের সদস্য সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রিয়াজ, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান বৈঠকে অংশ নেবেন।
এই কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস। কমিশন নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের কার্যক্রমসহ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের জন্য জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপের সুপারিশ করবে।
এই কমিশনের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। কমিশনের কার্যালয় সরকার নির্ধারিত হবে বলেও জানানো হয়েছে।
৩০ দিন আগে