সংস্কার
গভীর মাটির কূপ সংস্কার ও পরিস্কারকালে ২ শ্রমিক নিহত
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে গভীর মাটির কূপ সংস্কার ও পরিস্কারকালে নারায়ণ কোচ (৩৮) ও নিরাঞ্জন কোচ (৩৫) নামে দুই শ্রমিক নিহত নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে ঝিনাইগাতীর নলকুড়া ইউনিয়নের শালচূড়া এলাকায় ভূঁইয়া বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া এলাকার নীপুরায় কোচের ছেলে নারায়ণ কোচ এবং শালচুড়া এলাকার মৃত নীল মহন কোচের ছেলে নিরাঞ্জন কোচ।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাক্টর-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
স্থানীয়রা জানান, ভূঁইয়া বাড়িতে গভীর কূপ সংস্কার ও পরিস্কার করার জন্য কুয়ায় নামেন নারায়ণ ও নিরাঞ্জন। কুয়ায় অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে তারা অজ্ঞান হয়ে যান। পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুজনের লাশ উদ্ধার করে।
ঝিনাইগাতী ফায়ার সার্ভিসের অফিসার মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘নিহত দুজনের লাশ ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে দুজনেরই মৃত্যু ঘটেছে।’
৩ দিন আগে
সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ঐকমত্য কমিশনের দুই সদস্যের সঙ্গে শনিবার (১২ এপ্রিল) এক বৈঠকে তিনি এই তাগিদ দেন। বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখা এমন তথ্য দিয়েছে।
বৈঠকে অংশ নেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ এবং সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) মনির হায়দার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে প্রফেসর আলী রীয়াজ ও ড. বদিউল আলম মজুমদার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে কমিশনের চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক ১৬ এপ্রিল
তারা জানান, বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা অব্যাহত আছে। শনিবার পর্যন্ত মোট ৮টি দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সময়সূচি নির্ধারণ করা আছে।
তারা আরও জানান, সংস্কার কার্যক্রমের বিষয়ে জনমত যাচাই এবং সে বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এ সময় কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা তথা সামগ্রিক সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেন।
৪ দিন আগে
সংস্কার সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: বিএনপি মহাসচিব
সংস্কার সম্পর্কে বিএনপির বক্তব্যকে একটি মহল ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে প্রচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারে বিএনপির সমর্থন রয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার (২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংস্কার সম্পর্কে আমাদের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। কিছু মহল প্রচার করছে, বিএনপি আগে নির্বাচন, পরে সংস্কার চায়। এটি পুরোপুরি মিথ্যা। আমরা বরাবরই সংস্কারের পক্ষে কথা বলেছি।’
‘আমরা বলেছি, একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য মিনিমাম যে সংস্কারগুলো করা দরকার সেগুলো করতে হবে। আমরা কখনোই বলিনি আগে নির্বাচন, পরে সংস্কার। এটা ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ চায় বিএনপি: ফখরুল
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার সংস্কার এবং বিচার বিভাগের সংস্কারের ওপর বিএনপির জোর সমর্থন রয়েছে বলে অভিমত দেন দলটির এই মহাসচিব।
সংস্কার সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘তারা জ্ঞানী মানুষ, পণ্ডিত লোক, বিশাল ডিগ্রিধারী। তাদেরকে আমরা শ্রদ্ধা ও সম্মান করি। কিন্তু তারা যদি জনগণের বাইরে গিয়ে কিছু করে আমরা সেটিকে সমর্থন করতে পারব না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্রই হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা। এখানে কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসার পরে স্বৈরাচারী হয়ে উঠলে জনগণই তাদের সরিয়ে দেবে। তাদের পরিস্থিতিও আওয়ামী সরকারের মতো হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব মতামত থাকবে। জনগণ বেছে নেবেন, কোনটি তাদের জন্য উপযোগী। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজস্ব নীতিমালা নিয়ে জনগণের কাছে যাবে এবং জনগণ যাদের সমর্থন দেবেন, তারাই সরকার ও পার্লামেন্ট গঠন করবে, এটাই গণতন্ত্র।’
এসময় জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
১৫ দিন আগে
আগামী নির্বাচন হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে: ফখরুল
সার্বিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচন আলাদা জিনিস। তাই সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে আর নির্বাচন হবে নির্বাচনের মতো।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় মতামত সংস্কার কমিশনকে দিয়েছি। এ বিষয়ে আগামীতে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও একসঙ্গে বসবে।’
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকালে শহরের কালিবাড়ি নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভার আগে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন এমন উপদেষ্টাদের সরিয়ে দিতে পরামর্শ ফখরুলের
চীন সফর অন্তর্বর্তী সরকারের একটি সাফল্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একতরফাভাবে চীনের একটি দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তবে সরকারের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চীন তাদের চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন করেছে। চীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আগামী দিনেও তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে বিনিয়োগ করবে। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য আশাবাদী।’
ফখরুল জানান, রাজনৈতিক দল হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় আছে। তবে বিএনপির প্রধান কাজ জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা। এছাড়া নিজ দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক তৈরি করছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকার বিএনপির সমর্থন ও ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এসেছে। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য তারা সংস্কার কমিশন তৈরি করেছেন। সেই সংস্কারের প্রস্তাবগুলো যথাযথভাবে পর্যালোচনা করছি।’
১৫ দিন আগে
রাষ্ট্র সংস্কারের পর নির্বাচনের কথা ভাবতে হবে: নুর
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আগে রাষ্ট্র সংস্কার ও জনআকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করতে হবে, তার পরে নির্বাচনের কথা ভাবতে হবে।
সোমবার (২৪ মার্চ) বিকালে পটুয়াখালী শহরের জেলা পরিষদ শিশুপার্কে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নুর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে একটি ফ্যাসিস্ট ও রাজনৈতিক দল।’ তাই সকল দল ও সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় পটুয়াখালীতে একটা সুন্দর ও সম্প্রীতির রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হোক সেই প্রত্যাশা করি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে নজর দিন।’
আরও পড়ুন: আয়নাঘরের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার করতে হবে: নুরুল হক
এছাড়া জনগণের ক্ষোভ বাড়ছে, প্রশাসনের অনেকে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে— সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ডাকসু্ এই সাবেক ভিপি।
গণঅধিকার পরিষদ পটুয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম লিটুর সভাপতিত্বে সভায় কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা, ইউনিট নেতারা ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
২৩ দিন আগে
ঘুষ-দুর্নীতি বেড়েছে, তাহলে কীসের সংস্কার হচ্ছে: মুরাদ
সংস্কারের মুলা ঝুলিয়ে নির্বাচন বিলম্বিত করার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা জেলা যুবদল সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল, রাষ্ট্র সংস্কার হবে, সরকারি অফিস-আদালতে ঘুষ দুর্নীতি কমবে। দেশে ঘুষ-দুর্নীতি তো কমেনি বরং বেড়েছে। তাহলে দেশে কীসের সংস্কার হচ্ছে?’
সোমবার (১৭ মার্চ) ধামরাই সদর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
মুরাদ বলেন, দেশের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থা নাজুক। চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইয়ে মানুষ অতিষ্ঠ। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি বেহেশতে যাওয়ার টিকিট বিক্রি করে না: মুরাদ
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১দফার মধ্যেই রাষ্ট্রের সব সংস্কারের উল্লেখ রয়েছে। ৩১ দফা বাস্তবায়ন করলে আলাদা করে আর কোন সংস্কার প্রয়োজন হবে নেই।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে মুরাদ বলেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। এটাই আমাদের দলের মূলনীতি। দলের আদর্শচ্যুত হয়ে এই দলে কেউ টিকে থাকতে পারেননি। তাই ভেবেচিন্তে কাজ করবেন। এমন কিছু করবেন না যাতে দলের সুনাম নষ্ট হয়।
ধামরাই সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্ব এবং এনায়েত হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় নেতা এম এ জলিল, এবাদুল হক জাহিদ, মনিরুল ইসলাম, আবুল হোসেন, মো. পলাশ, জসিমউদদীন, মুহাম্মদ রাকিব প্রমুখ।
আগের দিন রবিবার কুশুরা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন লোকমান দেওয়ান।
৩০ দিন আগে
বাংলাদেশকে বিশ্বের নিখুঁত গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত করবে সংস্কার: গুতেরেস
সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম নিখুঁত গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
রমজান সংহতি সফর শেষ করে রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে ঢাকা ছাড়ার আগে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আজ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন গুতেরেস।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং রোহিঙ্গা বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান বিমানবন্দরে মহাসচিবকে বিদায় জানান।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে জানান, বাংলাদেশ ত্যাগ করার আগে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন এবং বিদায়ী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
৩২ দিন আগে
গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী জাতিসংঘ মহাসচিব
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আরও বেশি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশ যেহেতু উল্লেখযোগ্য একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই আমি আরও বেশি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের বিষয়ে আশাবাদী।’
শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর এক হোটেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গুতেরেস বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের জন্য এক সন্ধিক্ষণ, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ন্যায়সঙ্গত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের লক্ষ্যে আপনাদের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করা।’
বাংলাদেশের জনগণের পাশে থেকে একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে জাতিসংঘ নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সংস্কার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে মনে করে জাতিসংঘ: বিএনপি
এ বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও পরিবর্তনের পথে এগোচ্ছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, জাতিসংঘ শান্তি, জাতীয় সংলাপ, আস্থা ও সংহতি প্রতিষ্ঠায় সর্বদা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে আমরা একত্রিত হয়েছি। এই সময়ে সংহতি ও মানবতার ওপর গুরুত্বারোপ করা আগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
‘এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখব, যাতে আপনারাই সামনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা ও সুযোগগুলো গ্রহণ করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তটি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে আমি সম্মানিত। এই রমজান সবার জন্য শান্তি, আশীর্বাদ ও নতুন আশা নিয়ে আসুক।’
৩২ দিন আগে
সংস্কার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে মনে করে জাতিসংঘ: বিএনপি
সংস্কার ও নির্বাচন কীভাবে হবে, জাতিসংঘ সেটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে মনে করে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘তবে জাতিসংঘ মহাসচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, বাংলাদেশে আগামীতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার আসবে, পৃথিবীর মধ্যে একটা নজির সৃষ্টি করবে আগামীর নির্বাচন।’
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক করেছেন সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বৈঠকে বিএনপির হয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ অংশ নেন। বৈঠক শেষে তারা সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সালাহউদ্দিন এ মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘জাতিসংঘের তরফে বলা হয়েছে যে, এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার… আপনারা বসে রিফর্ম (সংস্কার) কী করবেন, সেটা ঠিক করেন এবং নির্বাচন যা হবে, বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছা অনুযায়ী হবে। বাংলাদেশে যেন একটা শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে—এটা তিনি আশা করেছেন।’
আরও পড়ুন: নারী-শিশু নির্যাতনে আইনি ও স্বাস্থ্য সহায়তায় বিএনপির ৮৪ সেল গঠন
এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এখানে (বৈঠকে) কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা ছিলেন। সংস্কার কমিশনের প্রধানরা ছিলেন। মূলত এখানে যে সংস্কারের ব্যাপারগুলো, যেগুলো নিয়ে কমিশনগুলো করা হয়েছে, সেই সম্পর্কে জাতিসংঘের মহাসচিবকে অবহিত করা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমরা আমাদের আগের বক্তব্যই তুলে ধরেছি।’
‘আমরা একই কথা বলেছি আমরা। সংস্কার তো অবশ্যই করতে হবে। আমরা সংস্কারের কথা আগেই বলেছি, সেই সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু সংস্কারটা যত দ্রুত করা যায়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম দাবি ছিল নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার। আমরা বলেছি, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনী সংস্কারগুলো সম্পন্ন করতে হবে। এরপর সংসদ গঠনের মাধ্যমে বাকি সংস্কারগুলো করা যাবে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া—এটাই আমরা বলে এসেছি।’
বৈঠকে সংস্কারের বিষয়ে কোনো সময়সীমার কথা আপনারা বলেছেন কি না—প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওখানে টাইমফ্রেম নিয়ে কথা বলার কোনো প্রয়োজন নাই। কারণ এটা তো আমাদের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।’
‘আমরা সংস্কার কমিশনগুলোর সঙ্গে আমরা কথা বলছি, তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। তারা যা চাচ্ছে আমরা সব দিয়ে দিচ্ছি। ইতোমধ্যে আমাদের সঙ্গে একটা বৈঠক হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিবকে আমরা আমাদের টাইম ফ্রেমটা দিতে যাব কেন?’
আরও পড়ুন: বিএনপির নতুন ভাইস-চেয়ারম্যান নার্গিস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইয়াসিন
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত এ গোলটেবিল বৈঠকে বিএনপি ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), নাগরিক ঐক্য, সিপিবি, এবি পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা অংশ নেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক আলী রিয়াজ, ড. ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস প্রমুখ।
৩২ দিন আগে
করদাতাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে এ খাতে সংস্কার জরুরি: গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
দেশের রাজস্ব আদায় বাড়ানোর পাশাপাশি করদাতাবান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য খাতটিতে জরুরি সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বক্তারা। একই সঙ্গে তারা বলেছেন, এ সংস্কার হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বাস্তবতার নিরিখে অংশীজনের মতামত গ্রহণের মাধ্যমে। বুধবার (৫ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, সংস্কার কার্যক্রম অন্তর্ভুক্তিমূলক না হলে তা মোটেই টেকসই হবে না। অথচ অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা না করেই বিপুল সংখ্যক পণ্য ও সেবায় কর বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে সংকটের মুখে পড়েছে বিভিন্ন শিল্প ও সেবাখাত।
প্রভাব পড়ছে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে। এতে সরকারের রাজস্ব আদায় না বেড়ে বরং কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
’কর নীতির কাঠামো পরিচালনা: গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর জন্য প্রভাব ও অগ্রাধিকার’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও সিইও ড. মাশরুর রিয়াজ অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি-প্রক্রিয়াকরণ, জ্বালানি ও ভোগ্যপণ্য খাতে সাম্প্রতিক কর নীতির পরিবর্তন ও এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। তারা বলেন, বিভিন্ন খাতে সাম্প্রতিক কর বৃদ্ধি সরকারের রাজস্ব আদায়, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিদেশি বিনিয়োগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও রাজস্ব আদায় বাড়ানোর স্বার্থে অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি প্রণয়নের ওপর জোর দেন তারা।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘সরকার এমন একটি কর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করবে ও আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কর নীতির লক্ষ্য হলো রাজস্ব আহরণ ও ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করা। আমরা শিল্প নেতাদের উদ্বেগ বুঝতে পারছি। বিনিয়োগ ও রাজস্ব আদায় বাড়ানো এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে আমরা একটি সুষ্ঠু কর কাঠামো তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘কর নীতিতে পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন। এ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশীজনদের সম্পৃক্ততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: দেশের মাটি ও মানুষকে ভালোবাসতেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর: চট্টগ্রামে স্মরণসভায় বক্তারা
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ঢাকার সভাপতি কামরান টি. রহমান কর নীতিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনার আগে নীতি-নির্ধারক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে গঠনমূলক সংলাপের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘একটি টেকসই কর কাঠামো তৈরি করতে এনবিআর এবং শিল্পখাতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা প্রয়োজন। আলোচনা বা মতামত গ্রহণ ছাড়া নীতি পরিবর্তন অর্থনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।’
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী উল্লেখ করেন, ‘করহারে ঘন ঘন পরিবর্তনের কারণে আগ্রহ হারাচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। দেশি-বিদেশি সব ধরনের বিনিয়োগকারীই চান একটি বিনিয়োগবান্ধব কর কাঠামো ও নীতির ধারাবাহিকতা। সেটি নিশ্চিত করা গেলে অর্থনীতিতে স্বস্তি আসার পাশাপাশি প্রবৃদ্ধিও ত্বরান্বিত হবে।’
এনবিআরের সাবেক সদস্য ও এনবিআর সংষ্কার কমিটির সদস্য ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘কমিটি অংশীজনদের সাথে কথা বলেছে। আমরা যে তথ্য পেয়েছি তা সবার কাছে তুলে ধরব। আমরা বেশ কিছু সুপারিশও দিয়েছি।’
৪২ দিন আগে