মঙ্গলবার
দেশে ২৪ ঘণ্টায় ১ জনের করোনা শনাক্ত
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময় নতুন করে একজনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৫৩১ জনে। এছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৯ জনের।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৯ শতাংশ।
মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন একজন। এ নিয়ে সেরে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ২০ লাখ ১৯ হাজার ২২৮ জনে।
৩ দিন আগে
মঙ্গলবারও বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকা মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় একিউআই স্কোর ২৪১ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে।
একিউআই সূচক অনুযায়ী, আজকের বাতাসকে 'বিপজ্জনক' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর, ভিয়েতনামের হ্যানয় ও ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ২১৯, ১৯৪ ও ১৯১ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
আরও পড়ুন: ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে ঢাকার বাতাস
১ সপ্তাহ আগে
প্রায় তিন মাস পর মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন চালু
প্রায় তিন মাস পর মঙ্গলবার চালু হলো মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন। প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে স্টেশনটি মেরামত করা হয়েছে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
তিনি আরও বলেন, 'দুই মাস ১৭ দিন পর মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন খুলে দেওয়া হয়েছে। মেরামত করতে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এখানে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রপাতির বদলে অন্য দুটি স্টেশনের অব্যবহৃত যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।’
কিন্তু অন্য দুটি স্টেশনের যন্ত্রপাতি আনা হলে কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন মেরামতের চূড়ান্ত ব্যয় প্রায় ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় দাঁড়াবে বলে জানান ফাওজুল কবির খান।
আরও পড়ুন: তিন মাস পর খুলছে মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন
গত জুলাইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রায় তিন মাস পর মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা।
উপদেষ্টা বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর কাজীপাড়া মেট্রো রেল স্টেশন খুলে দেওয়া হয়।
ফাওজুল কবির খান জানান, মেরামত কাজের জন্য তারা সরকারের কাছে অর্থ চাইবেন না। ব্যয়ের ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির তহবিল থেকে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশনে মেট্রোরেলের যাত্রী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
পরিদর্শনকালে আরও ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহসানুল হক ও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রউফ ছিলেন।
আরও পড়ুন: আগামীকাল থেকে শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল
২ মাস আগে
বিদ্যুৎ বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করবেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নেতারা
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ বিভাগের কমিটির প্রধানের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করবেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৈঠকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় আরইবি কার্যালয়ে নতুন চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এস এম জিয়া-উল-আজিম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: সেলিম উদ্দিন বিআরইবির নতুন চেয়ারম্যান নিযুক্ত
পরে দুপুর ২টায় বিদ্যুৎ বিভাগে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গঠিত কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্বকারী নেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. মকবুল হোসেন আশা প্রকাশ করেন, এসব সভা কার্যকরভাবে তাদের সমস্যার সমাধান করবে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের দাবির পক্ষে সোচ্চার হয়েছেন। চাকরির শর্তাবলীতে বৈষম্যের অবসান চেয়ে স্থায়ী কর্মসংস্থানের মর্যাদা সুরক্ষিত করার বিষয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাদের দাবি মানা না হলে গণছুটি ও পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন তারা।
তবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে এসব দাবির কারণে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে যে এসব আন্দোলন প্রশাসনকে অস্থিতিশীল করার বৃহত্তর কৌশলের অংশ হতে পারে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনেকেই পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন বলেই এই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: বিআরইবির ৯৩,ওয়েস্ট জোন পাওয়ারের ৮৭ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
উত্তেজনা ক্রমেই বাড়তে থাকায় বিদ্যুৎ বিভাগ অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরীকে প্রধান করে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চারজন, পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের তিনজন এবং বিদ্যুৎ বিভাগের দুজন প্রতিনিধি রয়েছেন।
সৈয়দ মাসুম বলেন, 'আমরা আশা করছি কমিটির প্রথম বৈঠকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সমস্যাগুলো নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করে একটি কার্যকর সমাধান হবে।’
গত ৮ আগস্ট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢাকার নিকুঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। তারপর এ অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা বাস্তবায়ন ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
পরে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত যেকোনো কর্মী বদলি স্থগিত রাখতে সম্মত হওয়ার পর অবরোধ থেকে সরে আসে আন্দোলনকারীরা।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয় এবং দেশের বিদ্যুতায়ন প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়োগে বৈষম্যকে কেন্দ্র করে এই অভিযোগগুলো তৈরি হয়েছে। একই যোগ্যতা ও একই সমান কাজ করা সত্ত্বেও তাদের পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের সহকর্মীদের তুলনায় বৈষম্য করা হয় বলে অভিযোগ করছেন কর্মীরা।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিতরণ প্রকল্পে পোল ও ১৪০ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ ক্যাবল কিনবে বিআরইবি
৩ মাস আগে
জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার হচ্ছে মঙ্গলবার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল তা মঙ্গলবার প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার যেহেতু সরকারি ছুটি, সেজন্য মঙ্গলবার এ নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে বলে আশা রাখছি।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীসহ জামায়াত-বিএনপির ৭০০ নেতা-কর্মী জামিনে মুক্ত
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আইনজীবী মনির বলেন, ‘জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার কারণ আমরা জানি না। মনে করছি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ ফ্যাসিবাদি এই সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে। যেখানে জামায়াতে ইসলামীও সহযোগী শক্তি হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ক্ষেত্রে দলটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
জামায়াত নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহারের পরই দলটির নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল বিভাগে মামলা পুনরুজ্জীবিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরবর্তীতে হাইকোর্ট রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। গত বছরের ১৯ নভেম্বর সে আপিল খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তারপর গত ১ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী, ছাত্রশিবির ও সংশ্লিষ্ট সব অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনের সুযোগে বিএনপি-জামায়াতের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা: ধর্মমন্ত্রী
ছাত্র-জনতার বিজয়কে দুষ্কৃতকারীরা যেন নস্যাৎ করতে না পারে: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
৩ মাস আগে
কোটা সংস্কার: মঙ্গলবারের কর্মসূচি ঘোষণা আন্দোলনকারীদের
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের পরিবর্তে সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারা দেশে ক্যাম্পাসে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন কোটা আন্দোলনের মুখপাত্র ও অন্যতম সংগঠক নাহিদ ইসলাম।
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে তারা সারাদেশের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করবেন।
তিনি এ কর্মসূচি সফল করতে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত হওয়ারও আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে 'ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের' হামলায় ২৫০ শিক্ষার্থী আহত
এদিন বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: চবি-ষোলশহরে কোটাবিরোধী ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ, আহত ১০
৫ মাস আগে
দেশে আরও ১৭ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে নতুন করে ১৭ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৪১ জনে।
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৮ জনের।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১৪ জনের করোনা শনাক্ত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সময় শনাক্তের হার ৫ দশমিক শূন্য ১৭ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৩ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১৫ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে আরও ১৫ জনের করোনা শনাক্ত
৫ মাস আগে
বৈধভাবে ইতালিতে দক্ষ জনবল পাঠানো হবে: প্রতিমন্ত্রী
বৈধভাবে ইতালিতে দক্ষ জনবল পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে দুই দেশ যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে।
মঙ্গলবার (২১ মে) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালি রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৩ বছরেই সফল ইউনিকর্ন স্টার্টআপ নগদ: প্রতিমন্ত্রী পলক
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে ইতালি বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ। বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে বাংলাদেশ তার জনবলকে চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে।
প্রবাসী কর্মীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতালি দক্ষ জনবলের চাহিদাপত্র দেবে। সেই পত্রের বিপরীতে কম খরচে কর্মী পাঠাবে।
দক্ষ জনবল তৈরির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতালি সরকার চাইলে আমাদের টিটিসিগুলোতে তাদের চাহিদা মতো জনবলকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, আজকে আমরা আলোচনা করেছি কীভাবে বৈধ অভিবাসন বাড়ানো যায়।
ভিসা প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতারর বিষয় তিনি বলেন, যারা যোগ্য তাদেরকে আমরা ভিসা দিতে আগ্রহী। দূতাবাস দ্রুত ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছে।
গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার কারণে আমাদের অনেক সময় দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হচ্ছে বলে জানান ইতালির রাষ্ট্রদূত।
অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো আরও বলেন, ইতালি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। ইতালি ও বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। সেজন্য ইতালিতে বাংলাদেশের দক্ষ জনবলের কাজের সুযোগ তৈরি করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, যারা ইতালি গমনেচ্ছু কর্মীদের মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে সেটি প্রকৃত আবেদনকারীদের ক্ষতির কারণ হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কারণেই প্রকৃত আবেদনকারীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে।
ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য আপনারা নতুন কোনো প্রক্রিয়া হাতে নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
আরও পড়ুন: তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়: প্রতিমন্ত্রী
আগামী ঈদ পর্যন্ত কোনো পণ্য ঘাটতি থাকবে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৭ মাস আগে
সুন্দরবন থেকে বাঘের মরদেহ উদ্ধার
সুন্দরবনের খাল থেকে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলাধীন সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের আন্ধারিয়া খালে ভাসমান অবস্থায় বন বিভাগ বাঘটির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
ওই দিন রাতে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে বাঘটির ময়নাতদন্ত করা হয়। বন বিভাগের ধারণা গরমের কারণে বাঘটি হিট স্ট্রোকে মারা গেছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের খাল থেকে মৃত বাঘ উদ্ধার
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, বন বিভাগের সদস্যরা মঙ্গলবার বিকালে সুন্দরবনের জোংড়া এলাকার আন্ধারিয়া খালে টহলে ছিল। এসময় তারা একটি বাঘের মরদেহ ভাসতে দেখে উদ্ধার করে। ওই রাতে বাঘটির মরদেহ করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে আনা হয়। পরে সেখানে বনবিভাগ ও দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে প্রাণীসম্পদ বিভাগ বাঘটির ময়নাতনন্ত সম্পূর্ণ করে।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে গরমের কারণে ৩ থেকে ৪ দিন আগে বাঘটি হিটস্টোকে মারা গেছে। বাঘের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এছাড়াও বাঘের মরদেহ থেকে বিভিন্ন নমুনা সংরক্ষণ করা হয়েছে ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য। রিপোর্ট পাওয়ার পর বাঘের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে খালে পানি খেতে এসে বাঘটি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভাসমান অবস্থায় অর্ধগলিত বাঘের মরদেহ উদ্ধার করার পর মঙ্গলবার রাতে করমজলে আনা হয়। বাঘের চামড়া পচে গেছে। ময়নাতদন্ত করে বাঘের দাঁত ও হাড়গোড় সংরক্ষণ করা হয়েছে। ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য বাঘের লালা, চামড়া, লিভার, রক্তসহ বিভিন্ন আলামত সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, সুন্দরবনে বাঘের নিরাপ্তা নিশ্চিত করতে টহল ফাঁড়ির কার্যক্রমের পাশাপাশি স্মার্ট পেট্রোল করা হচ্ছে সুন্দরনে। বাঘ যাতে সুন্দরবন ছেড়ে লোকালয়ে বের হতে না পারে এজন্য বনের সীমানা এলাকায় বন বিভাগের টহল বাড়ানো হয়েছে।
সার্বক্ষণিক বন বিভাগ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে ডিএফও জানান।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহত
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
৭ মাস আগে
৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মঙ্গলবার ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে জাতি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মঙ্গলবার ৫৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করবে বাংলাদেশ।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার পর ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ নারীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ অর্জন করে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
এদিন সরকারি ছুটি হলেও দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। সকাল ১০টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী
পরে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা এবং সর্বস্তরের জনগণ শ্রদ্ধা জানাবে।
পরে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগণ শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং সরকারি, আধা-সরকারি ভবন ও উন্মুক্ত স্থানেও আলোকসজ্জা করা হবে।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি রেডিও স্টেশন ও টেলিভিশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশের সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে হাসপাতাল, কারাগার, বৃদ্ধাশ্রম ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, শিল্পকলা ও পোস্টার প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করবে।
দিবসটি উপলক্ষে সারাদেশে সব শিশুপার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনামূল্যে খোলা রাখা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সমর্থক, বিদেশি বন্ধুসহ সর্বস্তরের জনগণকে; যারা আমাদের অধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদান রেখেছেন।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, 'আমি আশা করি, বিগত বছরগুলোতে দেশের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং আর্থ-সামাজিক সূচকে সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্যের উপর ভিত্তি করে আগামী দিনগুলোতে আমরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।’
‘দেশের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে জাতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথ সুগম হোক- মহান স্বাধীনতা দিবসে এটাই আমার প্রত্যাশা।’
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, 'এই শুভক্ষণে আমি দেশে এবং বিদেশে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার সুদৃঢ় ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে বিশ্বাসী। সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও দেশের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা সরকার পরিচালনা করছি। তাছাড়া আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারের বাস্তবায়ন অগ্রগতি আমরা নিয়মিত মনিটরিং করি। এসব কারণে আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা ও দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি বলেন, 'আসুন, মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তোলার শপথ নিই, যে স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেখেছিলেন।’
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি
৮ মাস আগে