মঙ্গলবার
বিদ্যুৎ বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করবেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নেতারা
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ বিভাগের কমিটির প্রধানের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করবেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৈঠকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় আরইবি কার্যালয়ে নতুন চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এস এম জিয়া-উল-আজিম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: সেলিম উদ্দিন বিআরইবির নতুন চেয়ারম্যান নিযুক্ত
পরে দুপুর ২টায় বিদ্যুৎ বিভাগে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গঠিত কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্বকারী নেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. মকবুল হোসেন আশা প্রকাশ করেন, এসব সভা কার্যকরভাবে তাদের সমস্যার সমাধান করবে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের দাবির পক্ষে সোচ্চার হয়েছেন। চাকরির শর্তাবলীতে বৈষম্যের অবসান চেয়ে স্থায়ী কর্মসংস্থানের মর্যাদা সুরক্ষিত করার বিষয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাদের দাবি মানা না হলে গণছুটি ও পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন তারা।
তবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে এসব দাবির কারণে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে যে এসব আন্দোলন প্রশাসনকে অস্থিতিশীল করার বৃহত্তর কৌশলের অংশ হতে পারে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনেকেই পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন বলেই এই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: বিআরইবির ৯৩,ওয়েস্ট জোন পাওয়ারের ৮৭ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
উত্তেজনা ক্রমেই বাড়তে থাকায় বিদ্যুৎ বিভাগ অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরীকে প্রধান করে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চারজন, পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের তিনজন এবং বিদ্যুৎ বিভাগের দুজন প্রতিনিধি রয়েছেন।
সৈয়দ মাসুম বলেন, 'আমরা আশা করছি কমিটির প্রথম বৈঠকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সমস্যাগুলো নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করে একটি কার্যকর সমাধান হবে।’
গত ৮ আগস্ট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢাকার নিকুঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। তারপর এ অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা বাস্তবায়ন ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
পরে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত যেকোনো কর্মী বদলি স্থগিত রাখতে সম্মত হওয়ার পর অবরোধ থেকে সরে আসে আন্দোলনকারীরা।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয় এবং দেশের বিদ্যুতায়ন প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়োগে বৈষম্যকে কেন্দ্র করে এই অভিযোগগুলো তৈরি হয়েছে। একই যোগ্যতা ও একই সমান কাজ করা সত্ত্বেও তাদের পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের সহকর্মীদের তুলনায় বৈষম্য করা হয় বলে অভিযোগ করছেন কর্মীরা।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিতরণ প্রকল্পে পোল ও ১৪০ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ ক্যাবল কিনবে বিআরইবি
জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার হচ্ছে মঙ্গলবার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল তা মঙ্গলবার প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার যেহেতু সরকারি ছুটি, সেজন্য মঙ্গলবার এ নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে বলে আশা রাখছি।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীসহ জামায়াত-বিএনপির ৭০০ নেতা-কর্মী জামিনে মুক্ত
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আইনজীবী মনির বলেন, ‘জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার কারণ আমরা জানি না। মনে করছি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ ফ্যাসিবাদি এই সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে। যেখানে জামায়াতে ইসলামীও সহযোগী শক্তি হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ক্ষেত্রে দলটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
জামায়াত নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহারের পরই দলটির নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল বিভাগে মামলা পুনরুজ্জীবিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরবর্তীতে হাইকোর্ট রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। গত বছরের ১৯ নভেম্বর সে আপিল খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তারপর গত ১ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী, ছাত্রশিবির ও সংশ্লিষ্ট সব অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনের সুযোগে বিএনপি-জামায়াতের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা: ধর্মমন্ত্রী
ছাত্র-জনতার বিজয়কে দুষ্কৃতকারীরা যেন নস্যাৎ করতে না পারে: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
কোটা সংস্কার: মঙ্গলবারের কর্মসূচি ঘোষণা আন্দোলনকারীদের
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের পরিবর্তে সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারা দেশে ক্যাম্পাসে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন কোটা আন্দোলনের মুখপাত্র ও অন্যতম সংগঠক নাহিদ ইসলাম।
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে তারা সারাদেশের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করবেন।
তিনি এ কর্মসূচি সফল করতে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত হওয়ারও আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে 'ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের' হামলায় ২৫০ শিক্ষার্থী আহত
এদিন বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: চবি-ষোলশহরে কোটাবিরোধী ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ, আহত ১০
দেশে আরও ১৭ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে নতুন করে ১৭ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৪১ জনে।
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৮ জনের।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১৪ জনের করোনা শনাক্ত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সময় শনাক্তের হার ৫ দশমিক শূন্য ১৭ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৩ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১৫ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে আরও ১৫ জনের করোনা শনাক্ত
বৈধভাবে ইতালিতে দক্ষ জনবল পাঠানো হবে: প্রতিমন্ত্রী
বৈধভাবে ইতালিতে দক্ষ জনবল পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে দুই দেশ যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে।
মঙ্গলবার (২১ মে) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালি রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৩ বছরেই সফল ইউনিকর্ন স্টার্টআপ নগদ: প্রতিমন্ত্রী পলক
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে ইতালি বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ। বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে বাংলাদেশ তার জনবলকে চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে।
প্রবাসী কর্মীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতালি দক্ষ জনবলের চাহিদাপত্র দেবে। সেই পত্রের বিপরীতে কম খরচে কর্মী পাঠাবে।
দক্ষ জনবল তৈরির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতালি সরকার চাইলে আমাদের টিটিসিগুলোতে তাদের চাহিদা মতো জনবলকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, আজকে আমরা আলোচনা করেছি কীভাবে বৈধ অভিবাসন বাড়ানো যায়।
ভিসা প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতারর বিষয় তিনি বলেন, যারা যোগ্য তাদেরকে আমরা ভিসা দিতে আগ্রহী। দূতাবাস দ্রুত ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছে।
গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার কারণে আমাদের অনেক সময় দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হচ্ছে বলে জানান ইতালির রাষ্ট্রদূত।
অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো আরও বলেন, ইতালি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। ইতালি ও বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। সেজন্য ইতালিতে বাংলাদেশের দক্ষ জনবলের কাজের সুযোগ তৈরি করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, যারা ইতালি গমনেচ্ছু কর্মীদের মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে সেটি প্রকৃত আবেদনকারীদের ক্ষতির কারণ হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কারণেই প্রকৃত আবেদনকারীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে।
ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য আপনারা নতুন কোনো প্রক্রিয়া হাতে নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
আরও পড়ুন: তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়: প্রতিমন্ত্রী
আগামী ঈদ পর্যন্ত কোনো পণ্য ঘাটতি থাকবে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবন থেকে বাঘের মরদেহ উদ্ধার
সুন্দরবনের খাল থেকে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলাধীন সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের আন্ধারিয়া খালে ভাসমান অবস্থায় বন বিভাগ বাঘটির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
ওই দিন রাতে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে বাঘটির ময়নাতদন্ত করা হয়। বন বিভাগের ধারণা গরমের কারণে বাঘটি হিট স্ট্রোকে মারা গেছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের খাল থেকে মৃত বাঘ উদ্ধার
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, বন বিভাগের সদস্যরা মঙ্গলবার বিকালে সুন্দরবনের জোংড়া এলাকার আন্ধারিয়া খালে টহলে ছিল। এসময় তারা একটি বাঘের মরদেহ ভাসতে দেখে উদ্ধার করে। ওই রাতে বাঘটির মরদেহ করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে আনা হয়। পরে সেখানে বনবিভাগ ও দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে প্রাণীসম্পদ বিভাগ বাঘটির ময়নাতনন্ত সম্পূর্ণ করে।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে গরমের কারণে ৩ থেকে ৪ দিন আগে বাঘটি হিটস্টোকে মারা গেছে। বাঘের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এছাড়াও বাঘের মরদেহ থেকে বিভিন্ন নমুনা সংরক্ষণ করা হয়েছে ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য। রিপোর্ট পাওয়ার পর বাঘের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে খালে পানি খেতে এসে বাঘটি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভাসমান অবস্থায় অর্ধগলিত বাঘের মরদেহ উদ্ধার করার পর মঙ্গলবার রাতে করমজলে আনা হয়। বাঘের চামড়া পচে গেছে। ময়নাতদন্ত করে বাঘের দাঁত ও হাড়গোড় সংরক্ষণ করা হয়েছে। ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য বাঘের লালা, চামড়া, লিভার, রক্তসহ বিভিন্ন আলামত সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, সুন্দরবনে বাঘের নিরাপ্তা নিশ্চিত করতে টহল ফাঁড়ির কার্যক্রমের পাশাপাশি স্মার্ট পেট্রোল করা হচ্ছে সুন্দরনে। বাঘ যাতে সুন্দরবন ছেড়ে লোকালয়ে বের হতে না পারে এজন্য বনের সীমানা এলাকায় বন বিভাগের টহল বাড়ানো হয়েছে।
সার্বক্ষণিক বন বিভাগ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে ডিএফও জানান।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহত
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মঙ্গলবার ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে জাতি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মঙ্গলবার ৫৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করবে বাংলাদেশ।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার পর ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ নারীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ অর্জন করে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
এদিন সরকারি ছুটি হলেও দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। সকাল ১০টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী
পরে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা এবং সর্বস্তরের জনগণ শ্রদ্ধা জানাবে।
পরে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগণ শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং সরকারি, আধা-সরকারি ভবন ও উন্মুক্ত স্থানেও আলোকসজ্জা করা হবে।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি রেডিও স্টেশন ও টেলিভিশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশের সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে হাসপাতাল, কারাগার, বৃদ্ধাশ্রম ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, শিল্পকলা ও পোস্টার প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করবে।
দিবসটি উপলক্ষে সারাদেশে সব শিশুপার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনামূল্যে খোলা রাখা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সমর্থক, বিদেশি বন্ধুসহ সর্বস্তরের জনগণকে; যারা আমাদের অধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদান রেখেছেন।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, 'আমি আশা করি, বিগত বছরগুলোতে দেশের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং আর্থ-সামাজিক সূচকে সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্যের উপর ভিত্তি করে আগামী দিনগুলোতে আমরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।’
‘দেশের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে জাতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথ সুগম হোক- মহান স্বাধীনতা দিবসে এটাই আমার প্রত্যাশা।’
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, 'এই শুভক্ষণে আমি দেশে এবং বিদেশে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার সুদৃঢ় ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে বিশ্বাসী। সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও দেশের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা সরকার পরিচালনা করছি। তাছাড়া আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারের বাস্তবায়ন অগ্রগতি আমরা নিয়মিত মনিটরিং করি। এসব কারণে আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা ও দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি বলেন, 'আসুন, মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তোলার শপথ নিই, যে স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেখেছিলেন।’
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি
হাইতির ৪০ লাখ মানুষ 'তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার' শিকার : জাতিসংঘ খাদ্য সংস্থা
হাইতিতে 'তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার' মুখোমুখি হয়েছেন ৪০ লাখ মানুষ এবং তাদের মধ্যে ১০ লাখ দুর্ভিক্ষের মাত্র এক ধাপ দূরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থার পরিচালক জিন-মার্টিন বাউয়ার।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ক্যারিবীয় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির খাদ্য সংকটের চিত্র তুলে ধরেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সতর্ক সংকেত বেজে উঠছে’ কারণ সাম্প্রতিক সময়ে গ্যাং সহিংসতা বৃদ্ধির ফলে পরিস্থিতিকে খুব খারাপ থেকে আরও খারাপ করে তুলেছে এবং মার্চের প্রথম সপ্তাহেই রাজধানী পোর্ট অ-প্রিন্সে অতিরিক্ত ১৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এক কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষ। জাতিসংঘের হিসাব মতে মোট বাস্তুচ্যুতদের অর্ধেকেই শিশু।
বাউয়ার বলেন, ২০২০ সালে কোভিড মহামারির সময় ৪০ লাখ খাদ্য নিরাপত্তাহীন ও ক্ষুধার্ত হাইতিয়ান ছিল এবং এই সংখ্যা কমেনি, তবে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে থাকা সংখ্যাটি ১০ লাখে উন্নীত হয়েছে।
বাউয়ার বলেন, পোর্ট-অ-প্রিন্সকে 'একটি বুদ্বুদে' পরিণত করা হয়েছে। যেখানে গ্যাংগুলো রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করে, বন্দর ও বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয় এবং কেউ ঢুকতে বা বের হতে পারে না।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিচালক বলেন, সংস্থাটি এবং তার অংশীদাররা রাজধানীতে নতুন করে বাস্তুচ্যুত লোকদের জন্য একটি গরম খাবার পরিষেবা শুরু করেছে, দিনে ২ হাজার জনের খাবার দিয়ে শুরু করে এখন তা দিনে প্রায় ১৪ হাজার জনের খাবার রয়েছে।
তবে তিনি বলেন, বন্দরটি পুনরায় চালু করা হলে না করলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ডব্লিউএফপির গুদামের সরবরাহ শেষ হয়ে যাবে।
হাইতি তার খাদ্য সরবরাহের ৫০ শতাংশের জন্য খাদ্য আমদানির উপর নির্ভর করে। বাউয়ার বলেন, ডব্লিউএফপি নিশ্চিত করতে পারে যে পোর্ট-অ-প্রিন্সের পাশাপাশি হাইতির অন্য এলাকায় খাদ্যের দাম বাড়ছে।
তিনি বলেন, জানুয়ারিতে গোলযোগ হয়েছিল এবং দক্ষিণে খাদ্যের দাম ২৫ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে রাস্তাঘাট অবরোধ করা হয়েছিল এবং ট্রাকগুরো মৌলিক প্রয়োজনীয়তা নিয়ে পোর্ট-অ-প্রিন্সে যেতে পারেনি। সেখানে রান্নার জন্য প্রাথমিক জ্বালানি প্রোপেনের সংকট ছিল।
আরও পড়ুন: চিলির দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩১, নিখোঁজ ৩০০
বাউয়ার বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গ্যাং সহিংসতার কারণে খাদ্যপণ্যের দাম অন্তত ১০ শতাংশ বেড়েছে।
তিনি বলেন, রাজধানীর বাইরের গ্রামীণ এলাকার অর্থনীতি পোর্ট-অ-প্রিন্সের সংযোগের উপর নির্ভর করে এবং বাণিজ্য ব্যাহত হওয়ার কারণে দেশের অন্যত্র খাদ্যের দামও বেড়েছে।
বাউয়ার বলেন, ডব্লিউএফপির এক জরিপে দেখা গেছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পরিবারের আয় কমে যাচ্ছে, কারণ মানুষ কাজে যেতে পারছে না। তারা ' একটি জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে' এবং অর্থ উপার্জন করছে না।
প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির পদত্যাগের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে বাউয়ার বলেন, তিনি রাজনৈতিক গতিশীলতা পড়ার ক্ষেত্রে ভাল নন ‘তবে আমরা অবশ্যই আশা করি যে নিরাপত্তার উন্নতি হবে।’
তিনি বলেন, নিরাপত্তাহীনতা মানুষকে এই মুহূর্তে খুব সাধারণ কাজগুলো করতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। সন্তানদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া, বা সুপারমার্কেটে যাওয়া বা 'অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ' কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উত্তর হাইতির ক্যাপ হাইতিয়েন থেকে কথা বলার সময় বাউয়ার জোর দিয়ে বলেন, ‘শুধু নিরাপত্তার দিকে নজর দিলে হবে না, আমাদের জোরালো মানবিক সহায়তাও প্রয়োজন।’
কিন্তু এ বছর হাইতির জন্য জাতিসংঘের ৬৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারের মানবিক আবেদনের মাত্র ২ দশমিক ৬ শতাংশ অর্থায়ন করা হয়েছে।
একটি ইতিবাচক নোটে, বাউয়ার বলেন, স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ডব্লিউএফপি কিনতে পারে এমন সরবরাহের জন্য ধন্যবাদ। এটি চলমান কর্মসূচির অংশ হিসাবে সোমবার উত্তর ও দক্ষিণ হাইতি এবং অন্যান্য শান্ত অঞ্চলে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার স্কুল শিশুকে খাওয়াতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, সহিংসতার কারণে প্রবেশের ঝুঁকি সত্ত্বেও ডব্লিউএফপি হাইতির কিছু দরিদ্র মানুষের কাছে তাদের মোবাইল ফোনে অর্থ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক মঙ্গলবার বলেছেন, গোষ্ঠীগত সহিংসতার কারণে অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, ন্যাশনাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেন্টারে রক্তের ঘাটতি রয়ে গেছে এবং প্রতিবেশী ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র থেকে রক্ত আনার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চিলির ঘনবসতিপূর্ণ মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া দাবানলে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জন হাসপাতালে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এই সময়ের মধ্যে এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এদের মধ্যে পুরুষ ৪ জন এবং নারী ৪ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫ জন। আর আর ঢাকার বাইরে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জন হাসপাতালে
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ৯ জন ও নারী ১১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৫০২ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ৯৪৯ জন ও নারী ৫৫৩ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জন হাসপাতালে
মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাস
চন্দ্র মাসের নতুন চাঁদ দেখা যাওয়ায় বাংলাদেশের মুসলমান সম্প্রদায় মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে পবিত্র রোজা পালন শুরু করবে।
সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস
সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এমতাবস্থায়, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে পবিত্র রমজান মাস গণনা শুরু হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, শনিবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।
আরও পড়ুন: পবিত্র রমজান মাসে প্রয়োজনীয় ১০টি মোবাইল অ্যাপস
চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে রোজা শুরু