প্রত্যাহার
গণআন্দোলন দমনে দায়েরকৃত প্রায় সব মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে: আসিফ নজরুল
গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন দমনে দায়েরকৃত প্রায় সব ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন: আইন মন্ত্রণালয়ের কৈফিয়ত’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন। এসময় আইন মন্ত্রণালয়ের বিগত ১০০ দিনের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন আইন উপদেষ্টা।
ড. আসিফ নজরুল জানান, সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ বাতিলক্রমে কম্পিউটার সম্পর্কিত অপরাধগুলো প্রতিরোধের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ,২০২৪'' প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে: আসিফ নজরুল
সাইবার নিরাপত্তা আইন রহিত হলে উক্ত আইনের অধীনে দায়েরকৃত সব স্পিচ-অফেন্সের মামলা প্রত্যাহার করা হবে উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ করে এই আইন প্রত্যাহারে আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করেছি। তবে হ্যাকিং বা কম্পিউটার অপরাধ সংক্রান্ত মামলাগুলো চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
আইন উপদেষ্টা জানান, এই কদিনে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগে ২৩ জন বিচারপতি এবং অধস্তন আদালতে ১০৯ জন বিচারক নিয়োগে সাচিবিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ৬১টি জেলায় ৪ হাজার ৩০০ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দ্রুততম সময়ে সব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে বলে জানান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, এতো বেশি সংখ্যক নিয়োগ বাংলাদেশে এর আগে ঘটেনি। এর মাধ্যমে সব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে। এখন যে ঢালাও মামলা হচ্ছে, মামলা বাণিজ্য করা হচ্ছে; তাও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, যারা ‘মামলা বাণিজ্য’ করছে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) বিস্ফোরক মামলা পরিচালনার জন্য ২০ জন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ড. আসিফ নজরুল।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের নির্বাচনের ভবিষ্যৎ জনগণ নির্ধারণ করবে: আসিফ নজরুল
সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না প্রশ্ন আসিফ নজরুলের
১ মাস আগে
শাস্তিমূলক ব্যবস্থায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১৯৪ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
এস আলম গ্রুপকে অর্থ পাচার ও প্রতারণামূলক ঋণ প্রদানে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (এফএসআইবি)।
অনিয়ম নিরসনে ব্যাংকটির চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২৪ শাখা ব্যবস্থাপকসহ ১৯৪ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এফএসআইবির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নতুন পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের অনিয়ম উদঘাটন করে তাদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: এডিবি-বিশ্বব্যাংক থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১১০ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ: অর্থসচিব
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এফএসআইবির এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমকে চট্টগ্রামের শাখা থেকে উল্লেখযোগ্য ঋণ বিতরণে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে।
তার নামে ও ভুয়া পরিচয়ে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে বিপুল পরিমাণ ঋণ উত্তোলন করা হয়। ব্যাংকটির পতন ঠেকাতে দোষী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে নতুন পরিচালনা পর্ষদ।
আরও পড়ুন: কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
ব্যাংকে তারল্য সংকট: টাকা উত্তোলনে ভোগান্তিতে ৬ ব্যাংকের গ্রাহক
১ মাস আগে
গাজীপুরে আবারও মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা
অবরোধ প্রত্যাহার করার মাত্র দুই ঘণ্টা পর গাজীপুর মহানগরের মোগরখারের টিএন্ডজেড গ্রুপের পাঁচটি কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানায়, তিন মাসের বকেয়া বেতন কখন কীভাবে পরিশোধ করা হবে তার সুস্পষ্ট ঘোষণা না পেয়ে তারা আবারও অবরোধে নামেন। এর আগে কিছুটা বিভ্রান্তির কারণে তারা সড়ক থেকে উঠে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে তিন দিন ধরে মহাসড়ক অবরোধ
শ্রমিকরা আরও জানায়, তাদের তিন মাসের বকেয়া বেতন, ওভারটাইম বিলসহ সব পাওনাদির দাবিতে কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন। কিন্তু বেতন ভাতা পরিশোধ না হওয়ায় তারা সড়কে নামতে বাধ্য হন।
তারা বলছেন, বকেয়া আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের মাঠে থাকবেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, এদিকে দুই ঘণ্টা পর আবারও অবরোধ সৃষ্টি করলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-বাইপাস সড়কে যান চলাচলে স্থবিরতা দেখা দেয়।
তিনি আরও বলেন, যাত্রীবাহী বাস ও পণ্য বোঝাই ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। অফিস ও কর্মস্থল থেকে ফেরা লোকজন পড়েন চরম ভোগান্তিতে। আর এই তিনদিন ধরে যে সকল পরিবহন চালকরা ও লোকজন সড়কে আটকে আছেন তারা পড়েছেন যন্ত্রণায়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দ্বিতীয় দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ, ২০ কারখানা ছুটি ঘোষণা
১ মাস আগে
২০-২৫ বছরের বেশি পুরোনো যানবাহন প্রত্যাহারের উদ্যোগ পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের
বায়ুদূষণ কমাতে ২০ বছরের পুরোনো বাস ও মিনিবাস এবং ২৫ বছরের পুরোনো ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান রাস্তা থেকে প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
রবিবার (৬ অক্টোবর) সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়।
এছাড়া, পুরোনো ডিজেল চালিত বাস ও ট্রাকের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় বাধ্যতামূলকভাবে নিঃসরণ পরীক্ষা চালুর অনুরোধও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: আইএসও সনদ অর্জন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস++ সিস্টেম
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নেতৃত্বে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এর অংশ হিসেবে বায়ুদূষণ রোধে, ইকোনমিক লাইফ অতিক্রান্ত যানবাহন প্রত্যাহার এবং ডিজেল চালিত পুরোনো যানবাহনের নিঃসরণ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার জন্য বিআরটিএকে অনুরোধ জানানো হয়।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে জাতীয় কমিটির প্রথম ও দ্বিতীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফিটনেসবিহীন এবং ইকোনমিক লাইফ অতিক্রান্ত হয়েছে এমন যানবাহনকে রাস্তা থেকে প্রত্যাহারের জন্য বিআরটিএ কর্তৃক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ঢাকায় পুরোনো ডিজেল চালিত বাস ও ট্রাকের ফিটনেস পরীক্ষার সময় নিঃসরণ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে।
আরও পড়ুন: লাঠিটিলায় সংরক্ষিত বনে সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিলের সুপারিশ পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের
২ মাস আগে
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে মন্ত্রণালয়ের ২ কমিটি
বিভিন্ন সময় ও নানা কারণে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করার লক্ষ্যে জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দুইটি কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের সই করা এক পরিপত্রে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে৷
জেলা পর্যায়ের কমিটির সভাপতি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার (মহানগর এলাকার জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার) ও পাবলিক প্রসিকিউটরকে (মহানগর এলাকার মামলাসমূহের জন্য মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর) সদস্য এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র সচিবের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন খুরশেদ আলম: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
জেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে-
* রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।
* আবেদনের সঙ্গে এজাহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযোগেপত্রের সার্টিফাইড কপি দাখিল করতে হবে।
* আবেদনের ৭ দিনের মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দরখাস্তটি পাবলিক প্রসিকিউটরের (ক্ষেত্র বিশেষে মেট্রোপলিটান পাবলিক প্রসিকিউটর) কাছে মতামতের জন্য পাঠাবেন।
* আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর (ক্ষেত্র বিশেষে মেট্রোপলিটান পাবলিক প্রসিকিউটর) তার মতামত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কছে পাঠাবেন।
* পাবলিক প্রসিকিউটরের মতামত নিয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি ৭ দিনের মধ্যে জেলা কমিটির সভায় উপস্থাপন করবেন।
* জেলা কমিটির কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে, মামলাটি রাজনৈতিক বা অন্যকোনো উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য দায়ের করা হয়েছে, তাহলে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য কমিটি সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
* জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত সুপারিশ, মামলার এজাহার, অভিযোগপত্রসহ আবেদন প্রাপ্তির ৪৫ দিনের মধ্যে সংযুক্ত ছক অনুযায়ী তথ্যাদিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের ৯২ লাখ টাকা দিল পরিবেশ ও পানি মন্ত্রণালয়
মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে-
* জেলা কমিটির কাছ থেকে সুপারিশ পাওয়ার পর মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি সুপারিশগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে। প্রত্যাহারযোগ্য মামলা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করবে এবং মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
* দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর আওতাধীন মামলাগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো ফৌজদারি আইন সংশোধন আইন, ১৯৫৮- এর ১০(৪) বিধানমতে কমিশনের লিখিত আদেশ ব্যতীত প্রত্যাহার করা যায় না। এ কারণে এ ধরনের মামলা চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে হবে। মামলার বিষয়ে করণীয় পরে নির্ধারণ করা হবে।
এই কমিটিতে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সভাপতি করে জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার উপসচিব বা সিনিয়র সহকারী সচিব বা সহকারী সচিবকে সদস্য সচিব করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়
২ মাস আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১২ থানার ওসি একযোগে প্রত্যাহার
চট্টগ্রাম জেলার ১৬ থানার মধ্যে ১২ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) একযোগে প্রত্যাহার করে তাদেরকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের নবাগত জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) রায়হান উদ্দিন খানের সই করা এক আদেশে তাদের প্রত্যাহার করা হয়।
এতে জানানো হয়, চট্টগ্রাম জেলা ১২ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশের লাইন ও আর এ সংযুক্ত করা হলো।
প্রত্যাহার হওয়া ১২ ওসি হলেন- ফটিকছড়ি থানার মীর মো. নুরুল হুদা, হাটহাজারীর মো. মনিরুজ্জামান, রাউজানের জাহিদ হোসেন, আনোয়ারার মোল্লা জাকির হোসেন, পটিয়া থানার জসীম উদ্দিন, চন্দনাইশ থানার ওবায়দুল ইসলাম, সাতকানিয়া থানার মিজানুর রহমান, ভূজপুর থানার মো. কামরুজ্জামান, বোয়ালখালী থানার মো. আহছাব উদ্দিন, বাঁশখালী থানার তোফায়েল আহমেদ, মিরসরাই থানার মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম ও সন্দ্বীপ থানার ওসি মো. কবির হোসেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের তদন্ত দলের প্রস্তাব অনুযায়ী পুলিশে সংস্কার আনা হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ‘পুলিশ সুপার ১২ ওসিকে থানা থেকে প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছেন। এসব থানায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন ওসি পদায়ন করা হবে বলে।’
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় ভ্যানে লাশের স্তূপ, পরিচয় মিলেছে জড়িতদের: পুলিশ
৩ মাস আগে
জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার হচ্ছে মঙ্গলবার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল তা মঙ্গলবার প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার যেহেতু সরকারি ছুটি, সেজন্য মঙ্গলবার এ নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে বলে আশা রাখছি।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীসহ জামায়াত-বিএনপির ৭০০ নেতা-কর্মী জামিনে মুক্ত
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আইনজীবী মনির বলেন, ‘জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার কারণ আমরা জানি না। মনে করছি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ ফ্যাসিবাদি এই সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে। যেখানে জামায়াতে ইসলামীও সহযোগী শক্তি হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ক্ষেত্রে দলটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
জামায়াত নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহারের পরই দলটির নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল বিভাগে মামলা পুনরুজ্জীবিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরবর্তীতে হাইকোর্ট রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। গত বছরের ১৯ নভেম্বর সে আপিল খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তারপর গত ১ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী, ছাত্রশিবির ও সংশ্লিষ্ট সব অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনের সুযোগে বিএনপি-জামায়াতের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা: ধর্মমন্ত্রী
ছাত্র-জনতার বিজয়কে দুষ্কৃতকারীরা যেন নস্যাৎ করতে না পারে: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
৩ মাস আগে
চট্টগ্রাম বিভাগের ৪ ওসিকে প্রত্যাহারের সুপারিশ ইসির
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে এবং বির্তকিত ভূমিকার কারণে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) চট্টগ্রাম বিভাগের ৪ ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (২৭ মে) বিকালে তাদের প্রত্যাহার চেয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর চিঠি দিয়েছে ইসি।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ রোধে ২০ বছরের পুরোনো বাস প্রত্যাহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
প্রত্যাহার হওয়া দুই ওসি হলেন- আনোয়ারা থানার মোহাম্মদ সোহেল আহমেদ ও চন্দনাইশ থানার ওবায়দুল ইসলাম।
ইসি জানায়, কুমিল্লার দেবীদ্বার, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও আনোয়ারা থানার ওসিকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই চার ওসিকে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শককে (তদন্ত) ৩১ মে পর্যন্ত দায়িত্বে থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া পটুয়াখালীর দুমকী থানার ওসিকে ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শককে (তদন্ত) দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপে ১৩০ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার
চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
৬ মাস আগে
চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
চট্টগ্রামে চলমান ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতারা।
পরিবহন মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠক শেষে ধর্মঘট প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন তারা।
এর আগে চুয়েটে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে শনিবার পরিবহন মালিক শ্রমিকরা চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট ডাক দেয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট চলছে, চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ
এদিকে রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায়।
পরে প্রশাসনের অনুরোধে রবিবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা আলোচনা শেষে চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ আহ্বায়ক মঞ্জুর আলম চৌধুরী ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের অনুরোধে জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে ৪৮ ঘণ্টার চলমান ধর্মঘট আমরা প্রত্যাহার করেছি। জেলা প্রশাসক আমাদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছেন, সেজন্য তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, পরে এরকম কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আমরা পুনরায় ধর্মঘট দেব। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনটি বাস পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। এসব বাসের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধি অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাউজান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের প্রতিনিধি, বিআরটিসির সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৩১ জন আক্রান্ত
দেশে আরও ১৫ জনের করোনা শনাক্ত
৭ মাস আগে
চট্টগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়ায়) সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে পটিয়া থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) তাদের প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়েছে।
প্রত্যাহারকৃত কর্মকর্তারা হলেন- উপপরিদর্শক সঞ্জয় ঘোষ ও সহকারী উপপরিদর্শক মো. জিয়াউল হক জিয়া।
এর আগে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিনকে একই অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পটিয়া থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত ২৯ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. সোলাইমান, এসআই সঞ্জয় ঘোষ, মো. আসাদুর রহমান, রতন কান্তি দে, আকরাম হোসেন সুমন, শিমুল চন্দ্র দাস, জিয়া উদ্দিন, এএসআই মো. ফয়েজ আহমদ, এএসআই অনুপ কুমারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।আরও পড়ুন: কুমারখালীতে পাঁচটি নির্বাচনী কার্যালয় অপসারণ, জরিমানা
তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর পক্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের ঘরে ঘরে গিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
পটিয়ায় নৌকার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আ.ক.ম. শামসুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার কারণে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী নিজেই ওসি (তদন্ত)সহ আটজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই ও এএসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে পটিয়া থেকে ওসি (তদন্ত) মো. সোলাইমানসহ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তাদেরকেও দ্রুত প্রত্যাহার করার দাবি জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে সরকার আন্তর্জাতিক সংকটে পড়বে: তৈমুর
১১ মাস আগে