ইউরোপীয় ইউনিয়ন
আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ক্যারিয়ার গঠনে সুষ্ঠু শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি যুগপৎভাবে কাজ করে চাকরি বা ব্যবসায়িক পরিমণ্ডলের সামঞ্জস্যপূর্ণতা। সেখানে মেধা বিকাশের সাথে সম্মেলন ঘটে জাতীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থায়িত্বের। এই সমন্বয়ের মাঝে নিহিত থাকে শিক্ষা ও পেশাগত দিক থেকে বেড়ে ওঠার সহায়ক পরিবেশ। আর এই পরিবেশ পেতেই শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার ব্রত নিয়ে পাড়ি জমান উন্নত দেশগুলোতে। কাঙ্ক্ষিত ক্যারিয়ারের পাশাপাশি উন্নত জীবনধারণের প্রস্তাবনা নিয়ে এই গন্তব্যগুলোর সঙ্গে একই সারিতে রয়েছে ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। বৈচিত্র্যপূর্ণ কোর্সে বিশ্ব মানের পাঠদানের অভিজ্ঞতা নিতে দেশটি প্রতি বছর স্বাগত জানায় হাজার হাজার বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের। চলুন, আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া, পড়াশোনা ও জীবনধারণের আর্থিক ব্যবস্থাপনার নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আয়ারল্যান্ড কেন উচ্চশিক্ষার অন্যতম গন্তব্য
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সদস্য রাষ্ট্রটির ক্রাইম ইনডেক্স ৪৬ দশমিক ৮। অন্যদিকে ১ দশমিক ৩০৩ গ্লোবাল পিস ইনডেক্স নিয়ে শীর্ষ শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় দেশটি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
এই সূচকগুলোর পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড কিউএস র্যাংকিং-এও আছে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তার মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিন, যার র্যাংক ৮১। ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিন রয়েছে ১৭১-এ, গালওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ২৮৯-এ ও ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্ক-এর অবস্থান ২৯২-এ। স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লিমেরিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি রয়েছে যথাক্রমে ৪২৬ ও ৪৩৬-এ।
আইরিশ শিক্ষার প্রসিদ্ধির কারণে এটি অভাবনীয় সাড়া ফেলেছে বৈশ্বিক কর্মক্ষেত্রে। অনেক বহুজাতিক কোম্পানি আয়ারল্যান্ডে তাদের ইউরোপীয় সদর দপ্তর স্থাপনের মাধ্যমে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তার পরিবেশ গড়ে তুলেছে। এর ফলে ছাত্রছাত্রীরা ইন্টার্নশিপ, কো-অপারেশন প্রোগ্রাম এবং নেটওয়ার্কিং ইভেন্টগুলোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ইন্ডাস্ট্রিগুলোর সান্নিধ্যে যেতে পারে।
সবচেয়ে সুবিধাজনক বিষয়টি হচ্ছে দেশটির ইংরেজি ভাষাভাষী যোগাযোগ ব্যবস্থা। শুধুমাত্র এই একটি ভাষা দক্ষতা নিয়ে আয়ারল্যান্ড পড়াশোনা, স্কলারশিপ ও চাকরির সুবিধাগুলো পাওয়া যায়। এই সুবিধার প্রভাব শ্রেণীকক্ষের বাইরেও বিস্তৃত। যেমন আবাসনের ক্ষেত্রে আইরিশ পরিবারগুলোর সঙ্গে শেয়ার করে থাকলে ভাড়া অনেকটাই বাঁচানো যায়।
তাছাড়া আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়াতে ইংরেজিকে পুঁজি করে এই আয়ারল্যান্ড থেকেই বৈশ্বিক নেটওয়ার্কগুলোতে প্রবেশাধিকার লাভ করা যায়। এতে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ভ্রমণের সুযোগও সৃষ্টি হয়, যা ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করার এক অভাবনীয় প্রয়াস।
আরও পড়ুন: চেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষা: পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার জন্য যে যোগ্যতাগুলো থাকা দরকার
আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামগুলোর জন্য ক্লাস ১২ তথা উচ্চ মাধ্যমিক সনদ পরীক্ষায় সাধারণত কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ থাকা প্রয়োজন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে সাধারণ শর্ত হচ্ছে একই বিষয়ে ন্যূনতম ৬০ শতাংশ বা তার বেশি স্কোরের স্নাতক ডিগ্রি। মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্যও একই বা প্রাসঙ্গিক বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি প্রয়োজন। পিএইচডির জন্য প্রকাশনা এবং এমবিএর ক্ষেত্রে পেশাগত অভিজ্ঞতা দেখাতে হবে।
ইংরেজি ভাষা দক্ষতার জন্য আইইএলটিএস, টিওইএফএল বা পিটিই-এর মতো ভাষা যাচাই পরীক্ষার স্কোরগুলো দেখা হয়।
আয়ারল্যান্ডের সেরা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাহিদাসম্পন্ন কোর্স
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আয়ারল্যান্ডের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-
· আমেরিকান কলেজ ডাবলিন
· ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিন
· ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিন
· ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি
· লিমেরিক বিশ্ববিদ্যালয়
· ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্ক
· মায়নুথ বিশ্ববিদ্যালয়
· কুইন্স ইউনিভার্সিটি বেলফাস্ট
· আয়ারল্যান্ডের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গালওয়ে
· গালওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
৩ মাস আগে
চেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষা: পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
উন্নত মানের শিক্ষার ভিত্তিতে যুগ যুগ ধরে মেধার সুষ্ঠু বিকাশের মঞ্চ হয়ে আসছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠগুলো। বছরের পর বছর ধরে দেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতির ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন এই মহান মঞ্চগুলোরই রূপকল্পের ফসল। শত বছরের ঐতিহ্য নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সগর্বে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে এই শিক্ষাকেন্দ্রগুলো। প্রতিটির মতো ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও প্রতি বছর পরিণত হয় জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বজোড়া শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায়। তেমনই একটি দেশ চেক প্রজাতন্ত্র, যেটি ৯৯ শতাংশ শিক্ষার হার এবং মেধাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে পরিণত হয়েছে শিক্ষার স্বর্গভূমিতে। চলুন, চেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
উচ্চশিক্ষায় চেক প্রজাতন্ত্রের জনপ্রিয়তার কারণ
বিগত দশকে বিশ্বজুড়ে একটি স্বতন্ত্র অবস্থান মধ্য ইউরোপের দেশটিকে উচ্চশিক্ষার জন্য একটি আকর্ষণীয় বিকল্পে পরিণত করেছে। সব থেকে মোক্ষম কারণটি হচ্ছে দেশটির নিরাপদ পরিবেশ। বিশ্বব্যাপী ১৬৩টি দেশের মধ্যে ১ দশমিক ৪৫৯ গ্লোবাল পিস ইনডেক্স স্কোর নিয়ে ১২তম অবস্থানে রয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র। অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ নিরাপদ দেশগুলোর মধ্যে ৬ষ্ঠ তম এই দেশটির ক্রাইম ইনডেক্স স্কোর ২৬ দশমিক ৮।
শেনজেনভুক্ত রাষ্ট্র হওয়ায় অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে ভ্রমণের আকর্ষণে অধিকাংশ বিদেশি শিক্ষার্থীর গন্তব্য থাকে এই দেশটি।
এখানে পড়াশোনার জন্য স্থানীয় ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক নয়। এমনকি চাকরি ক্ষেত্রে অধিকাংশ চাহিদাসম্পন্ন কোর্সগুলো ইংরেজিতেই পড়ানো হয়ে থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা দক্ষতা হিসেবে আইইএলটিএস স্কোরের পূর্বশর্তটিও শিথিল করা হয়। সেক্ষেত্রে পূর্ববর্তী একাডেমিক ডিগ্রি ইংরেজি মাধ্যমে করা হয়েছে কিনা তার জন্য এমওআই ( মিডিয়াম অব ইন্স্ট্রাক্শন ) চাওয়া হয়।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সহজে ভর্তি হওয়ার জন্য ভাষার জন্য সিইএফআর বা কমন ইউরোপীয় ফ্রেমওয়ার্ক অব রেফারেন্স পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের এই দেশ নির্বাচনের আরও একটি কারণ হচ্ছে চেক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সহজ ভর্তি প্রক্রিয়া। এখানে প্রবেশিকা পরীক্ষা বা ইন্টারভিউয়ের যথেষ্ট বিকল্প রয়েছে, যেখানে শুধু সঠিক কাগজপত্র এবং ফি প্রদানের মাধ্যমেই ভর্তির কাজ সম্পন্ন করা যায়।
চেক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একদিকে যেমন প্রাচীন, অন্যদিকে তেমনি বিশ্বনন্দিত এবং নানা শিল্পের সর্বোচ্চ পর্যায়গুলোতে সমাদৃত।
কিউএস র্যাংকিং-এ ২৪৮ নম্বরে রয়েছে সুপরিচিত চেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া মাসারিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৪০০ নম্বরে, চেক টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির অবস্থান ৪৫৪, এবং কেমিস্ট্রি অ্যান্ড টেকনোলজি, প্রাগ ৫৫৬-তে। ব্রনো ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি রয়েছে ৬১১, প্যালাস্কি ইউনিভার্সিটি অলোমৌচ ৬৩১-এ এবং চেক ইউনিভার্সিটি অব লাইফ সায়েন্সেস প্রাগ ৭০১ নম্বরে।
আরো পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
উচ্চশিক্ষার জন্য চেক প্রজাতন্ত্র গমনের পূর্বশর্ত
এখানকার কোর্সগুলোতে পড়ার জন্য প্রাথমিক শর্ত হলো পূর্ববর্তী প্রাসঙ্গিক একাডেমিক ডিগ্রিগুলোতে উত্তীর্ণ হওয়া। যেমন আন্ডারগ্রাজুয়েশনের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক, ডিপ্লোমা বা সমমানের একাডেমিক পরীক্ষার সনদ থাকা প্রয়োজন। মাস্টার্সের জন্য স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরাল স্টাডি প্রোগ্রামের জন্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দরকার হয়।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেক ভাষায় পড়ানো কোর্সগুলোতে কোনো খরচ নেই। বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অনেক সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চেক ভাষায় পড়ার জন্য এক বছরের একটি ফাউন্ডেশন কোর্স করায়। অতঃপর প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ভাষা দক্ষতা যাচাইয়ের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে ভর্তি নেওয়া হয়। এখানে ভাষা টেস্ট পরীক্ষায় ন্যূনতম স্কোর বি-২, কিছু প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে সি-১ থাকতে হয়।
আর ইংরেজিতে পড়ানো কোর্সের ক্ষেত্রে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভাষা দক্ষতা সনদ চায়, তারা সচরাচর আইইএলটিস বা টিওইএফএল স্কোরকে গুরুত্ব দেয়।
আরো পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় দেশের বাইরে যেতে প্রস্তুতির ধাপগুলো জেনে নিন
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য চেক প্রজাতন্ত্র সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্সগুলো
বিগত বছরগুলোতে দেশটির যে বিশ্ব মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সর্বাধিক বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল, সেগুলো হলো-
· চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়
· মাসারিক বিশ্ববিদ্যালয়
· চেক টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি
· ইউনিভার্সিটি অব কেমিস্ট্রি এ্যান্ড টেকনোলজি, প্রাগ
· ব্রনো ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি
· প্যালাস্কি ইউনিভার্সিটি অলোমৌচ
· চেক ইউনিভার্সিটি অব লাইফ সায়েন্সেস প্রাগ
· মেন্ডেল বিশ্ববিদ্যালয় ইন ব্রনো
· অস্ট্রাভা টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি
· সাউথ বোহেমিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইন চেক বুডিজোভিচ
আরো পড়ুন: দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার আগে যে অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা জরুরি
বিশ্ববিদ্যালয় এবং একাডেমি ডিগ্রির স্তর নির্বিশেষে সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন বিষয়গুলো হলো-
· মেডিসিন ও হেল্থকেয়ার
· ব্যবসা ও অর্থনীতি
· মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান
· তথ্য প্রযুক্তি
· প্রকৌশলী
চেক প্রজাতন্ত্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
ভর্তির জন্য আবেদনের মৌসুম শুরু হয় সাধারণত ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে। অনলাইনে ভর্তির আবেদনের জন্য প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব পোর্টাল। সেখানে কাঙ্ক্ষিত কোর্স খুঁজে বের করার জন্য রয়েছে যাবতীয় তথ্য।
অনলাইনে আবেদন সম্পন্নের সময় কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হতে পারে। ইলেক্ট্রনিক আবেদন সফলভাবে সম্পন্ন করার পর তা প্রিন্ট করতে হবে। অতঃপর তা সই করে সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকযোগে পাঠাতে হবে।
আরো পড়ুন: জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
ভর্তির আবেদনের সঙ্গে যে কাগজপত্রগুলো সংযুক্তি হিসেবে দিতে হয়, তা হলঃ
· ডিপ্লোমা বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণের সত্যায়িত অনুলিপি
· সনদপত্র এবং একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ইংরেজির পরিবর্তে বাংলায় হলে সেগুলো চেক বা ইংরেজিতে অনুবাদ করে নিতে হবে
· প্রশাসনিক ফি প্রদানের প্রমাণ: ৩ হাজার চেক কোরুনা বা ১৪ হাজার ৯৯১ টাকা ( ১ চেক কোরুনা = ৫ বাংলাদেশি টাকা )
· ভর্তি প্রক্রিয়াকরণ ফি প্রদানের প্রমাণ:
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভেদে এর পরিমাণ ভিন্ন হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২০ ইউরো থেকে শুরু হয়ে ৫০ ইউরোর অধিক হতে পারে। বাংলাদেশি টাকায় এটি ২ হাজার ৫৪১ টাকা ( ১ ইউরো = ১২৭ দশমিক ০৩ বাংলাদেশি টাকা ) থেকে ৬ হাজার ৩৫২ টাকার সমান।
· মোটিভেশন লেটার
· ২ থেকে ৩টি রেফারেন্স লেটার
· সিভি বা পোর্টফোলিও
· বৃত্তি পেলে বা অন্য কেউ পড়াশোনার খরচ বহন করলে তার প্রমাণ
· ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষা ( সাধারণত পিটিই একাডেমিক, টিওইএফএল ও আইইএলটিএস স্কোর দেখা হয়)|
আরো পড়ুন: ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট কী? কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
আবেদন পরবর্তী প্রক্রিয়া
পরবর্তী পদক্ষেপগুলো সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালের মাধ্যমে এবং চিঠি বা ইমেলের মাধ্যমে জানানো হয়। এখানে প্রার্থীর আবেদন ও কাগজপত্রগুলো যাচাইকরণে ৩০ সর্বোচ্চ ৬০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
আবেদনের প্রাথমিক ধাপে উতড়ে গেলে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় জুম বা স্কাইপের মাধ্যমে মৌখিক সাক্ষাৎকার নিতে পারে। যাবতীয় যাচাই-বাছাই শেষে সাধারণত জুনের শেষের দিকে চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায়।
ফলাফল ইতিবাচক হলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রথম সেমিস্টারের জন্য টিউশন ফি দিতে বলা হয়। আর এই ফি প্রাপ্তির পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীকে তার কাঙ্ক্ষিত অফার লেটারটি পাঠানো হয়। এটি পরবর্তীতে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করে।
চেক প্রজাতন্ত্রের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি
অফার লেটার পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভিসার কাজ শুরু করে দিতে হবে। চেক প্রজাতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদী ডি-টাইপ ক্যাটাগরিই হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা, যেখানে ৯০ দিনেরও বেশি সময় থাকার অনুমতি দেয়া হয়। ভিসার মেয়াদ থাকে সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত; এরপর ভিসা আবার রিনিউ করতে হয়।
আবেদনের জন্য https://frs.gov.cz/en/forms-and-documents/-এই লিঙ্কে যেয়ে অনলাইন আবেদন করা যাবে। এ ছাড়া ফর্ম ডাউনলোড করে কম্পিউটারের মাধ্যমে অথবা প্রিন্ট করে হাতে লিখেও পূরণ করা যেতে পারে। ফর্মের সব তথ্য নির্ভুলভাবে প্রদানের পর সব শেষে সই করতে হবে। ইলেক্ট্রনিকভাবে এই আবেদনের সময় ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো সঙ্গে থাকা দরকার।
আরো পড়ুন: যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অল্প খরচে পড়তে পারবেন
দরকারি কাগজপত্র
চেক প্রজাতন্ত্রের স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করার জন্য যে নথিগুলো প্রস্তুত রাখতে হয়, সেগুলো হলো-
· চেক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে ভর্তির অফার লেটার
· দুটি ফাঁকা পৃষ্ঠা সহ একটি বৈধ পাসপোর্ট, যার মেয়াদ থাকতে হবে চেক প্রজাতন্ত্রে উপস্থিত হওয়ার দিন থেকে ন্যূনতম ৩ মাস পর্যন্ত।
· সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
· দেশটিতে থাকার জন্য আর্থিক তহবিলের প্রমাণপত্র ( কমপক্ষে ৭৮ হাজার ২৫০ কোরুনা বা প্রায় ৩ লাখ ৯০ হাজার ৯৯৭ টাকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট )
· মেডিকেল রিপোর্ট
· আবাসন নিশ্চিতকরণের প্রমাণ
· পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ( অফিসিয়াল রাবার স্ট্যাম্পসহ চেক ভাষায় অনুবাদ করা হতে হবে )
· চেক প্রজাতন্ত্রে পৌছার দিন থেকে কমপক্ষে ৯০ দিনের জন্য ভ্রমণ চিকিৎসা বীমার প্রমাণপত্র
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও পাসপোর্ট ছাড়া আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত সমস্ত নথি চেক ভাষায় হতে হবে। পাসপোর্ট ও ছবি ছাড়া ব্যতিত কোনো নথি ১৮০ দিনের বেশি পুরনো হতে পারবে না।
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
৩ মাস আগে
ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
সমৃদ্ধির সহায়ক শিক্ষাব্যবস্থা, সুষ্ঠু পরিবেশ এবং উন্নত জীবন ধারণের মতো সম্ভাবনাগুলোর দ্বার উন্মোচন করে উচ্চশিক্ষা। এই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার সর্বোচ্চ আদর্শ মান বজায় রাখা উন্নত বিশ্বের দেশগুলো আকৃষ্ট করে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের। বিগত কয়েক দশক জুড়ে পৃথিবীর প্রথম সারির বিদ্যাপীঠগুলোর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে রয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ৯৯ শতাংশ শিক্ষার হার নিয়ে সগর্বে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছে শৈল্পিক দেশ ফ্রান্স। বিশ্বের নানা প্রান্তের শিক্ষার্থীদের মতো বাংলাদেশের মেধাবীদেরও প্রতি বছর স্বাগত জানাচ্ছে দেশটি। চলুন, ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দেশটিতে আবেদন ও খরচসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষার যোগ্যতা
অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে আবেদনকারীর পূর্ববর্তী ডিগ্রি থেকে ন্যূনতম ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ মার্কস নেওয়া হয়।
মাস্টার্স ও পিএইচডির জন্য পূর্বে ডিগ্রিগুলো একই বা প্রাসঙ্গিক বিষয়ে থাকতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অভিন্ন একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকার পরেও অতিরিক্ত ক্রেডিট কোর্সের মাধ্যমে সমন্বয় করা হয়। পিএইচডির জন্য আলাদাভাবে প্রয়োজন হয় একই বিষয়ে গবেষণার অভিজ্ঞতা ও প্রকাশনার। এ ছাড়া সেমিনার ও কনফারেন্সের মতো পাঠ্যক্রম বহির্ভূত ক্রিয়াকলাপ অতিরিক্ত মান সংযোজন করে।
আরো পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
এমবিএর ক্ষেত্রে ফ্রান্সের শীর্ষ বিজনেস স্কুলগুলোতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। প্রাথমিক নিরীক্ষণে মূল্যায়ন করা হয় জিআরই কিংবা জিম্যাটের স্কোরকে।
সাম্প্রতিক শিক্ষাবর্ষগুলোতে পাঠদানের মাধ্যম হিসেবে ইংরেজিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যবস্থাপনা, প্রকৌশল, ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলোর ক্লাস ইংরেজিতেই করানো হয়। তাই ইংরেজি ভাষা দক্ষতার জন্য প্রয়োজন হবে টিওইএফএল এবং আইইএলটিএস।
তবে বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরও বেশি বিকল্প পেতে হলে ফরাসি ভাষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিদেশি এই ভাষার দক্ষতা খণ্ডকালীন চাকরি এবং পড়াশোনা শেষে ভালো চাকরি পাওয়ার জন্যও অপরিহার্য।
আরো পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রান্সের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্সগুলো
ফ্রান্সের পাবলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর রয়েছে জগৎজোড়া খ্যাতি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- টুলুজ, গ্রেনোবল ও বোর্দোর জাতীয় পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এবং লিলি, লিয়ন, মার্সেই ও নান্টেসের সেন্ট্রাল স্কুল।
লিয়ন, রেনেস, টুলুস, রুয়েন, স্ট্রাসবার্গ ও সেন্টারভাল ডি লোয়ারের প্রত্যেকটি স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।
কম্পিয়েনি, বেলফর মন্টবেলিয়ার ও ট্রয়াতে রয়েছে একটি করে টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়।
প্যারিস, ক্যাচান, লিয়ন ও রেনেসে আছে ৪টি হায়ার এডুকেশন ইন্সটিটিউট।
আরো পড়ুন: সুইডেনে স্কলারশিপ পাওয়ার কিছু উপায়
২০টি জাতীয় ইন্সটিটিউটের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- কলেজ ডি ফ্রান্স, ন্যাশনাল কনজারভেটরি অব আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটস, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওরিয়েন্টাল ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড সিভিলাইজেশন এবং স্কুল অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সাইন্স।
এগুলোসহ অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিষয়গুলো হচ্ছে পরিবেশ, ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায় প্রশাসন, অর্থায়ন, কৃষিবিদ্যা, জীববিদ্যা, কলা, সংস্কৃতি, নকশা ও ফ্যাশন।
৩ মাস আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে আগ্রহী ইউরোপীয় ইউনিয়ন
আগামীতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টারিয়াল ফোরামের সাইডলাইনে ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপস জুটা আরপিলাইনেন এবং ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট জ্যানেজ লেনারসিচের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
৯ মাস আগে
ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংস্থা ও দেশ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে: তথ্যমন্ত্রী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ দেশি-বিদেশি সংস্থার পাশাপাশি ভারত, জাপান, ফিলিস্তিন, ওআইসি ও আরব লীগ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে।
তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার আগে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সময় অনেক শঙ্কা-আশঙ্কার কথা অনেকে ব্যক্ত করেছিল। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসবে কি না- সে নিয়েও নানাজনের নানা মত ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে, অনেক দেশ থেকে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসার আগ্রহ জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ দেশি-বিদেশি সংস্থার পাশাপাশি ভারত, জাপান, ফিলিস্তিন, ওআইসি ও আরব লীগ পর্যবেক্ষক পাঠাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। অর্থাৎ সবসময় যেভাবে পর্যবেক্ষকরা আসে ঠিক একইভাবেই পর্যবেক্ষকরা আসবে। এতেই প্রমাণ হয় দেশে নির্বাচনী ঢেউ বয়ে যাচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: চীনে আঞ্চলিক ও দেশীয় অধ্যয়নের উন্নয়ন
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগ্রহ প্রমাণ করে দেশে একটি স্বচ্ছ, সুন্দর, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে এবং তাদের আগমন ভালো নির্বাচনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, যারা পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে দোলাচলের মধ্যে ছিল, তারাও এখন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ, সুন্দর, ভালো নির্বাচন করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক।’
নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও শক্তিশালীভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত বলিষ্ঠ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন থানার ওসিদের বদলি, ইউএনওদের বদলি এমন কী ডিসি বদলি করছে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন যে, পরিপূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে সেটিই প্রমাণ হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সব সহায়তা করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন; যাতে করে স্বচ্ছ, সুন্দর উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।’
নির্বাচনে গণমাধ্যমের বড় ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমে নির্বাচনী খবরাখবর প্রচার করলে উৎসবের মাত্রা আরও বাড়বে। নির্বাচনে মানুষের অংশগ্রহণও বাড়বে।’
আরও পড়ুন: এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমবে: তথ্যমন্ত্রী
মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
১১ মাস আগে
ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ
আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) তৈরি পোশাক রপ্তানি ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
বিজিএমইএ -এর পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের রপ্তানি ছিল ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। সেখানে গত অর্থবছরে রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারে। তবে জার্মানি ও পোল্যান্ডের মতো ইইউ অঞ্চলের কিছু প্রধান বাজারে রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার, ২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার, ২ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার, ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার ও ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের শীর্ষ পোশাক রপ্তানি গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ৯ দশমিক ০১ বিলিয়ন ডলার থেকে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ কমে ৮ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
একই সময়ে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ২৩’ অর্থবছরে আরএমজি পণ্য রপ্তানি আয় ৪৭ বিলিয়ন ডলার, মোট আয়ের ৮৫%
একই সময় প্রচলিত রপ্তানি বাজারের বাইরে বাংলাদেশের রপ্তানি ৩১ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।
এ ছাড়া জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতে রপ্তানি ১ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
নিয়মিত বাজারের বাইরে আগের বছরের তুলনায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছিল ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আর গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি আয়ের জন্য ডলারের বিনিময় হার বেড়ে ১০৭.৫ টাকা
২০২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলার, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ
১ বছর আগে
কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলবে
এক-দুই শতবর্ষ নয়, কয়েক দশকও নয়, কয়েক বছরের মধ্যেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকার কর্মী ও জেনোসাইড বিশেষজ্ঞগণ।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
‘বাংলাদেশ জেনোসাইডের স্বীকৃতি অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন-২০২৩’ উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রবাহমান সংগঠন আমরা একাত্তর, ডায়াসপোরা সংগঠন ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম (ইবিএফ) এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম’ ৭১ যৌথভাবে এ মিট দ্যা প্রেস-এর আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত। আমরা একাত্তরের চেয়ারপার্সন মাহবুব জামানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।
নেদারল্যান্ডসের সাবেক সংসদ সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী হ্যারি ভ্যান বোমেল বলেন, ‘স্বাধীনতার একান্ন বছরেও ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চালানো জেনোসাইডের স্বীকৃতি পায়নি বাংলাদেশ। এর অন্যতম কারণ মুক্তিযুদ্ধের সময় চলমান স্নায়ুযুদ্ধ এবং পাকিস্তানের ওপর তখনকার বৈশ্বিক সুপার পাওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হ্যারি বলেন, ‘বাংলাদেশে যখন মুক্তিযুদ্ধ চলছিল তখন স্নায়ুযুদ্ধের জন্য বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে তাদের অস্ত্র সরবরাহ করে। অন্যদিকে ভারত তখন রাশিয়ার পক্ষে। তাই সঙ্গত কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণহত্যার বিষয়ে জানলেও না জানার ভান করে। পশ্চিমারা পাকিস্তানকে বন্ধু ভাবায় এতদিন ধরে বাংলাদেশে সংগঠিত জেনোসাইডের স্বীকৃতি আদায় করা যায়নি।’
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে 'গণহত্যা' ঘোষণার আহ্বান
তিনি বলেন, ‘আর্মেনিয়ান জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে একশ’ বছর লাগলেও বাংলাদেশ জেনোসাইডের স্বীকৃতি পেতে অত সময় লাগবে না বলে আশা করি। কয়েক দশকও নয়, আমরা কয়েক বছরের মধ্যেই এটি পেতে চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ জেনোসাইডের পক্ষে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে বিশ্বব্যাপী জনমত আদায়ে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে একদিনের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আরমা দত্ত বলেন, ‘আমি নিজে একজন শহীদ সন্তান। বাংলাদেশে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ ও ন্যাক্কারজনক গণহত্যা ঘটে, যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করে। জাতিসংঘ এই স্বীকৃতি দিতে বাধ্য। আমাদের দাবি আদায়ে একসঙ্গে কাজ করার জন্য ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বন্ধুদের ধন্যবাদ।’
প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘১৯৭১ সালের প্রতিটি ঘটনাই গণহত্যার, যা দেশে-বিদেশে দৃষ্টি আকর্ষণ প্রয়োজন। বাংলাদেশি গণহত্যা নিয়ে ইইউ পার্লামেন্ট ও ইউএস কংগ্রেসে আলোচনা হয়েছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আমস্টারডামের ভ্রিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধাপক ড. এ্যানথনি হলসল্যাগ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বাংলাদেশে জেনোসাইডের বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজ এখনও চলমান। এটি শেষ হলে স্বীকৃতি আদায়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।’
মাহবুব জামান বলেন, বাংলাদেশ জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে ২০২০ সাল থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে কাজ করছে আমরা একাত্তর। এ উপলক্ষে তারা বাংলাদেশে দূতাবাস আছে এমন সবগুলো দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, যাতে সেসব দেশের সংসদে এটি নিয়ে আলোচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের আন্তর্জাতিক সম্মেলন। যেখানে ইউরোপীয় প্রতিনিধিরাও অংশ নিচ্ছেন যারা এই জেনোসাইডের স্বীকৃতি চান।
আরও পড়ুন: পশ্চিমাদের অবশ্যই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া পাক গণহত্যার কথা স্বীকার করতে হবে: শাহরিয়ার
বিদেশি প্রতিনিধিরা আগামী এক সপ্তাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্টাডিজ বিভাগ ঘুরে দেখবেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইবুন্যালের প্রধান প্রসিকিউটর, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করবেন। এছাড়াও তারা রায়েরবাজার ও মিরপুর জল্লাদখানা, বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ও জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শন করবেন এবং পরে চট্টগ্রাম ভ্রমণ করবেন। চট্রগ্রামে ও তারা বিভিন্ন বধ্যভূমি পরিদর্শন, শহীদ স্বজনদের সাথে সাক্ষাত করবেন। দুই দিনের সফরে সেখানে তারা সংবাদ সম্মেলন ও সেমিনারে অংশ নেবেন।
যুক্তরাজ্যের সিনিয়র সাংবাদিক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন বলেন, ‘আমি আমার জীবনের ২০ বছর কাটিয়েছি বাংলাদেশের জেনোসাইড বিষয়ে পড়াশোনা করে। এই সম্মেলন ও ভ্রমণের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে কী ঘটেছিল তা আরও ভালোভাবে জানতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইবুনালের মাধ্যমে যুদ্ধাপরধীদের বিচার প্রক্রিয়ার ফলে এক ধাপ এগোনো গেছে। এখন পরবর্তী ধাপ পাকিস্তান বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে গণহত্যা, ধর্ষণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।’
ইবিএফ-এর যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি আনসার আহমেদ উল্লাহ বলেন, ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য গণহত্যার শিকার ব্যাক্তিদের সাক্ষাৎকার নেবেন। পরবর্তীতে ইউরোপের বিভিন্ন পার্লামেন্টে স্বীকৃতির বিষয়টি তুলে ধরা হবে।’
ইবিএফ এর নেদারল্যান্ডস শাখার সভাপতি ও প্রবাসী সংগঠন বাংলাদেশ সাপোর্ট গ্রুপ (বাসুগ) এর চেয়ারম্যান বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া বলেন, ‘আর্মেনিয়ান গণহত্যার স্বীকৃতি পেতে একশ’ বছর লেগেছে। আমরা এতদিন লাগুক তা চাই না। বাংলাদেশের জন্মের ৫১ বছরেও গণহত্যার স্বীকৃতি মেলেনি, তার অন্যতম কারণ আমাদের রাজনৈতিক বিভেদ; যা বিদেশেও বিদ্যমান। সব পক্ষ মিলে চাইলে এই কাজ আরও দ্রুত হবে বলে আশা করি।’
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ সন্তান ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১ বছর আগে
বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বিজিএমইএ
রপ্তানির সঙ্গে সম্পৃক্ত কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্ট এসোসিয়েশন(বিজিএমইএ)।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বৈশ্বিকভাবে জ্বালানি ও বিদ্যুতের সংকট এবং দেশে তৈরি পোশাক শিল্পে প্রভাব পড়ার কথা স্বীকার করে এই অনুরোধ জানান।
শনিবার বিজিএমইএ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ সম্পর্কে বক্তব্য রাখার সময় এ অনুরোধ জানান তিনি।
বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম(অর্থ) এবং সংগঠনটির পরিচালকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই) ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্ট এসোসিয়েশন(বিজিএমইএ)এর যৌথ উদ্যোগে আগামী ১২-১৮ নভেম্বর ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ আয়োজন করা হবে। যাতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের চিত্তাকর্ষক গল্পসমূহ ও উৎকর্ষ সাধনের ক্রমাগত প্রচেষ্টাগুলো তুলে ধরা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ নভেম্বর ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ -এর উদ্বোধন করবেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এই শিল্প ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত এক বছর নিরবিচ্ছিন্ন উৎপাদনের প্রত্যক্ষ সাক্ষী।
‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে ধীরে ধীরে আমাদের কাজের আদেশগুলো বাতিল হয়ে যাচ্ছে,’ উল্লেখ করে বিজিএমইএ প্রধান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বাংলাদেশের রপ্তানির প্রধান বাজারগুলোতে সম্ভাব্য মন্দা ও মূল্যস্ফীতির কারণে আগামী বছরের কার্যাদেশ ২০-৩০ শতাংশ কমে এসেছে।
ফারুক হাসান বলেন, অনেক খুচরা বিক্রেতা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে এবং অনেক ব্রান্ডের পণ্যের বিক্রির হার কমে যাওয়ার ফলে অবিক্রিত পণ্যের মজুদ বেড়েছে।
বিজিএমইএ প্রধান বলেন, ‘সবকিছু বিবেচনায় সামনের মাসে আমাদের রপ্তানির ধারাবাহিকতায় নেতিবাচকতা দেখা যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
চলতি অর্থবছরে রপ্তানি মুনাফার ওপর ১ শতাংশ উৎস কর আরোপ করেছে সরকার। বিজিএমইএ প্রধান সরকারকে বিগত বছরের মতো (০.৫ শতাংশ) রাখার অনুরোধ জানান।
সপ্তাহব্যাপী সম্মেলনের এই আয়োজনে মেলা, প্রদর্শনী, পুরস্কার, কারখানা ভ্রমণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নেটওয়ার্কিংসহ শারীরিক ইভেন্ট উপস্থাপন করা হবে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের এটি একটি সাংকেতিক ঘটনা। বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পোশাক রপ্তানি করে দেশটি।
মেড ইন বাংলাদেশ উইক’-এর লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতের সম্ভাবনা এবং রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা ও সহযোগিতা শুরু করতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সকল মালিকদের একত্রিত করা।
এছাড়াও, টেকসই এবং দায়িত্বশীল ব্যবসা সম্প্রসারণে সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির জন্য আয়োজনটি কাজ করবে।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, দেশের পোশাক শিল্পের প্রশস্ততা প্রদর্শনের পাশাপাশি, এই সপ্তাহের লক্ষ্য ভবিষ্যতের অগ্রাধিকার এবং অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতার
সুযোগগুলো চিহ্নিত করা। যাতে বিশ্বব্যাপী পোশাকের সোর্সিংয়ের জন্য একটি পছন্দের গন্তব্য হিসাবে বাংলাদেশ থাকে, তা নিশ্চিত করা।
এতে বলা হয়েছে, মেড ইন বাংলাদেশ উইক হবে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য একটি মাইলফলক ঘটনা।
বৈশ্বিক ফ্যাশন বাজারে বাংলাদেশের উপস্থিতি জোরদার করার গুরুত্ব এবং টেকসই উৎপাদন ও সোর্সিংয়ের জন্য বিশ্বব্যাপী স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৃহত্তর সহযোগিতার সূচনার জন্য, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ বাংলাদেশে ৩৭তম বিশ্ব ফ্যাশন কনভেনশনের আয়োজন করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন ফোরামকে(আইএএফ) সুপারিশ করেছে।
আইএএফ সেই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে এবং ৩৭তম বিশ্ব ফ্যাশন সম্মেলন বাংলাদেশে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ -এর সহযোগিতায় ২০২২ সালের ১২-১৫ নভেম্বর -এর মধ্যে ঢাকায় হোটেল রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের প্রচারের আহ্বান বিজিএমইএ’র
২ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে
মার্চে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে যা অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহে পরিবর্তন নির্দেশ করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর প্রাধান্য রয়েছে। কিন্তু এখন অনেক বাংলাদেশি দক্ষ মানুষ উন্নত দেশে কাজ করায় পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের আগের রেকর্ড বিশ্লেষণ করে আমরা দেখতে পেয়েছি মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ ধীরে ধীরে বাড়ছে।’
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ৩.২৫ বিলিয়ন ডলার
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো উন্নত দেশগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং কাজের কারণে রেমিট্যান্স আয় বৈচিত্র্যময় হবে।
রেমিট্যান্স নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশ মার্চে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩০৮ দশমিক ৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে যা এখন পর্যন্ত দেশটি থেকে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।
মার্চে বাংলাদেশ সৌদি আরব থেকে ৩৭৭ মিলিয়ন, যুক্তরাজ্য থেকে ২১৪ দশমিক ১৬ মিলিয়ন, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৮৪ দশমিক ১৪ মিলিয়ন, কুয়েত থেকে ১৪৪ দশমিক ৪৮, কাতার থেকে ১১৯ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন, ইতালি থেকে ৮৫ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন, মালয়েশিয়া থেকে ৮১ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন, ওমান থেকে ৭৪ দশমিক ৩০ ও বাহরাইন থেকে ৮৭ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স প্রবাহ নিয়ে আত্মতৃপ্তির সুযোগ নেই, বলছেন অর্থনীতিবিদরা
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য থেকে দেখা যায়, কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটি ২০ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর প্রবাসীরা বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ে বড় ভূমিকা রাখছেন।
২ বছর আগে
ইউক্রেনে ১৬ শিশু নিহত ও ৪৫ জন আহত: প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি
ইউক্রেনে রুশ হামলার কারণে ১৬ ইউক্রেনীয় শিশু ও আরও ৪৫ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সোমবার এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেছেন, ‘প্রতিটি অপরাধ, দখলদারদের প্রতিটি গুলি আমাদের ও আমাদের সহযোগীদের আরও কাছে নিয়ে আসে।’
এ সময় তিনি রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের দেয়া নিষেধাজ্ঞার প্রশংসা করেছেন এবং দাবি করেন এগুলো রুশ মুদ্রার মান কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়া জেলেনস্কি ইউরোপীয় ইউনিয়নে দেশটির সদস্য পদের জন্য বিশেষ ও দ্রুত পথের আহ্বান জানান।
সাড়ে চার হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে রুশ সেনাদের আত্মসমর্পণ ও দেশ ((ইউক্রেন) ত্যাগের আহ্বান জানান জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের কমান্ডারদের বিশ্বাস করবেন না; অপপ্রচারণায় বিশ্বাস করবেন না; শুধু জীবন বাঁচান।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ান হামলায় বিশ্বের বৃহত্তম কার্গো বিমান পুড়ে ছাই
ইউরোপীয় ইউনিয়নের আকাশসীমায় রাশিয়ার বিমান চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা
২ বছর আগে