গেজেট
নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের গেজেট প্রকাশ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) শরিফুল আলম জানান, মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নবগঠিত মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ইপিজেডে শ্রমিক বিক্ষোভ
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
রবিবার ৩০০ টি আসনের মধ্যে ২৯৯ টিতে অনুষ্ঠিত নির্বচনে টানা চতুর্থ বারের মতো আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও বেশ ভালো ফলাফল অর্জন করে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: চট্টগ্রাম বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ২২২টি আসনে জয়লাভ করেছেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা (যাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের) ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছেন।
জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির তিন জন প্রার্থী তাদের নিজ নিজ আসনে বিজয়ী হয়েছেন।
এছাড়া ময়মনসিংহ-৩ আসনের একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত থাকায় ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে এবং এখানে আবারও ভোট গ্রহণ করা হবে। নওগাঁ-২ আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যুতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: খুলনা বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
১১ মাস আগে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের গেজেট ছয় মাসের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, ছয় মাসের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবর্তিত নামসমূহের গেজেট করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক, সেগুলোর নাম পরিবর্তন করে সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গত বছরের ২৩ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাথমিক শিক্ষার উদ্যোগ ও অর্জন নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
তিনি বলেন, পাইলটিং করে প্রায় চার লাখ শিক্ষককে দ্রুততম সময়ে বদলির জন্য গত বছরের ২২ ডিসেম্বর সংশোধিত অনলাইন বদলি নীতিমালা জারি করা হয়। প্রথম পর্যায়ে মাত্র সাত দিনের মধ্যে অনলাইনে বদলির জন্য ২৫ হাজার আবেদনের বিষয়ে নিষ্পত্তিমূলক সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন বইয়ের আনন্দে শিশুরা আলোকিত বাংলাদেশ গড়বে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষায় শুধু প্রথম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক প্রণীত হয়েছে। অন্যান্য শ্রেণির পাঠ্যবই পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়ে দেয়া হবে। এ কারণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ইতোমধ্যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম ৪+ ও ৫+ বছর বয়সকে বিবেচনা করে দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা পাইলটিং হিসেবে তিন হাজার ২১৪টি স্কুলে এ বছর শুরু করা হয়েছে।’
তিনি জানান, শিশুর বিকাশ ও খেলাভিত্তিক শিখনের ওপর ছয় দিনব্যাপী প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষকদের তৈরি করার লক্ষ্যে ৭০০ প্রশিক্ষক তৈরি করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণটিও মাঠ পর্যায়ের সকল শিক্ষক সরাসরি ও অনলাইন পদ্ধতিতে পাবেন। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর মধ্যে এ বিষয়ে প্রাক-প্রাথমিক বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ শিক্ষাক্রমের ওপর একটি বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ দেশব্যাপী পরিচালনা করবে।
চলতি বছরের মার্চের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষকের পাঠ্যক্রম বিস্তরণ সংক্রান্ত এবং বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল প্রণয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরইমধ্যে ৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৭ শিক্ষার্থীর প্রোফাইল প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৪ সালের এসব কাজ শেষ হবে। এতে করে একক পরিচিত বা ইউনিক আইডি’র (ইউআইডি) মাধ্যমে ভর্তি, পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ, হাজিরা তথ্য, মিড-ডে মিল, উপবৃত্তি বিতরণ এবং পরবর্তীতে নির্ভুল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিসহ সকল কাজ সহায়ক হবে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, বিদ্যালয়ের নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক এরকম নাম ২০০-এর মতো পেয়েছি।
আরও পড়ুন: পাঠ্যপুস্তক শিশু মনে ভীতির নয়, প্রীতির ভাব জাগাবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব
২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণার গেজেট প্রকাশের দাবিতে রিট
কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের দাবিতে হাইকোর্টে রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের দশজন আইনজীবী।
বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন তারা। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিট আবেদনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবীরা হলেন-মো. আসাদ উদ্দিন, মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুর রহমান, আল রেজা মো. আমির, মো. রেজাউল ইসলাম, কে এম মামুনুর রশিদ, মো. আশরাফুল ইসলাম, শাহীনুর রহমান, মো. রেজাউল করিম এবং মো. আলাউদ্দিন।
রিট আবেদনকারী আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, দেশের আপামর জনগণ জানে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। কিন্তু বাস্তবে এটির কোনো দালিলিক ভিত্তি নেই। মৌখিকভাবে তিনি জাতীয় কবি হিসেবে পরিচিত হলেও লিখিতভাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই।
বলা হয়ে থাকে, ১৯২৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর কলকাতার আলবার্ট হলে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সর্বভারতীয় বাঙালিদের পক্ষ থেকে কবিকে জাতীয় সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে মুখে মুখে তিনি জাতীয় কবি হয়ে আছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সরকারিভাবে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে কোনো প্রজ্ঞাপন বা গেজেট প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ডিআরইউ’র ‘কবি কাজী নজরুল ইসলাম লাইব্রেরি’ উদ্বোধন
রিটকারী আইনজীবীরা আরও জানান, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে কবিকে বাংলাদেশে আনা হয়। বসবাসের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ধানমন্ডিতে তাকে একটি বাড়ি দেয়া হয়। বাংলাসাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত করা হয়। এরপর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে সরকারি আদেশ জারি করা হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তাকে ‘একুশে পদক’ দেয়া হয়।
কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং কবির মৃত্যুর ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির বিষয়ে কোনো যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। যদিও ইতোপূর্বে নজরুল ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে দুই-একবার চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেটি কোনো আলোর মুখ দেখেনি। তাই দেশের সচেতন নাগরিক এবং উচ্চ আদালতের আইনজীবী হিসেবে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন।
এর আগে গত ৩১ মে সুপ্রিম কোর্টের রিটকারী আইনজীবীদের পক্ষে আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাঠানোর পরও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এ রিট আবেদন করা হয়।
২ বছর আগে
অতিরিক্ত ডিআইজি হলেন ৪৩ কর্মকর্তা
পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ৪৩ জন কর্মকর্তাকে উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত জারিকৃত গেজেট প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে।
তাদের যোগদানের তারিখ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: পদোন্নতিপ্রাপ্ত ডিআইজিদের আইজিপি
২ বছর আগে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীতের রায় বহাল
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) দশম গ্রেডে উন্নীত করতে নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে বৃহস্পতিবার প্র্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণীর। বর্তমানে তাদের মধ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ১১তম গ্রেডে ও অপ্রশিক্ষিতরা ১২তম গ্রেডে বেতন পেয়ে থাকেন। তবে এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন শিক্ষকের করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন।
আরও পড়ুন: সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি
হাইকোর্টের রায়ে ৪৫ জন রিট আবেদনকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) দশম গ্রেডে উন্নীত করতে এবং দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে অফিসিয়াল গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দেয়া হয়। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর শুনানি নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন।
আদেশের বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও তারা বেতন পান ১১ ও ১২তম গ্রেডে। অথচ দ্বিতীয় শ্রেণির অন্য সব সরকারি চাকরিজীবী দশম গ্রেডে বেতন পান। ফলে সরকারি প্রধান শিক্ষকদের মর্যাদা দিলেও তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। এ নিয়ে ৪৫ জন শিক্ষক রিটটি করেছিলেন। হাইকোর্ট তাদের দশম গ্রেডে উন্নীত করতে ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে গেজেটভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে, যা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ফলে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রইল।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেন। সেদিনই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১ ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করে, যা বৈষম্যমূলক দাবি করে ওই রিটটি করা হয়।
আরও পড়ুন: উচ্চ আদালতে বিচারপতির নিয়োগ সংক্রান্ত আইন অপরিহার্য: প্রধান বিচারপতি
২ বছর আগে
বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ৮৪ জনকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর নিয়োগের জন্য পিএসসি’র সুপারিশপ্রাপ্ত বিভিন্ন ক্যাডারের ৮৪ জনকে কোন সুনির্দিষ্ট মামলা না থাকলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জনপ্রশাসন সচিবকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। পৃথক চারটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এই ৮৪ জনের মধ্যে ৩৬তম থেকে বিসিএস-এ সুপারিশপাপ্ত ১০ জন, ৩৭তম থেকে ৩৮ জন ও ৩৯তম বিসিএস’এ ৩৬ জন সুপারিশপ্রাপ্ত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য কাম্য নয়: হাইকোর্ট
রায়ের পর রিটকারীদের আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, ৩৬, ৩৭ ও ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষার সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) তাদের নিয়োগের সুপারিশ করে। কিন্তু কোন সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই এসব চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ জন্য এই ৮৪ জন প্রার্থী ২০২০ সালে হাইকোর্টে পৃথক চারটি রিট করে। প্রথমে হাইকোর্ট এসব রিটের শুনানি করে রুল জারি করেন। রুলে তাদের নাম নিয়োগের জন্য জারিকৃত গেজেটে অন্তর্ভূক্ত না করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাদের কেন নিয়োগের নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পরে রুলের ওপর শুনানিকালে সরকারপক্ষ বাদপড়ার কারণ হিসেবে তারা আনফিট বলে উল্লেখ করেন। পরে হাইকোর্ট তাদের নিয়োগের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, যথারীতি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ দুই হাজার ৩২৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর ওই সুপারিশ করা হয়। পরে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই দুই হাজার ২০২ জনকে নিয়োগের গেজেট প্রকাশ করা হয়। বাদ পড়ে ১২১ জন। এর মধ্যে এর আগেও অনেকে রিট করে ও বিভিন্ন ভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। সর্বশেষ ১০ জন ২০২০ সালে হাইকোর্টে রিট করেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর ছবির স্বত্ব ব্যক্তির নয়, রাষ্ট্রের: হাইকোর্ট
৩৭তম বিসিএসে এ বিভিন্ন ক্যাডারে ২০১৮ সালের ১২ জুন মোট এক হাজার ৩১৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পরবর্তী সময়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ২০ মার্চ এবং পরে বিভিন্ন তারিখে সর্বমোট এক হাজার ২৪৮ জনকে নিয়োগ দেয়। কিন্তু সুপারিশকৃত এক হাজার ৩১৪ জনের মধ্যে ৩৮ জন রিটপিটিশনারসহ সর্বমোট ৬৬ জন নিয়োগ বঞ্চিত হয়।
এরপর ৩৯তম বিসিএসে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল মোট চার হাজার ৭৯২ জনকে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে সুপারিশ করে পরবর্তী সময়ে সুপারিশকৃতদের মধ্যে থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর এবং পরবর্তী বিভিন্ন তারিখে চার হাজার ৭২০ জনকে সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ দেয়। কিন্তু ৩৬ জন রিটকারীসহ সর্বমোট ৭২ জন নিয়োগ বঞ্চিত হয়।
বারবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেও তাদের নিয়োগ না দেয়ায় তারা হাইকোর্টে রিট করেন।
২ বছর আগে
ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই ড্যাপ চূড়ান্ত হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারির মধ্যে ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) চুড়ান্ত করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপ এর উল্লেখিত ভূমি ব্যবহারের শ্রেণি পরিবর্তন সংক্রান্ত আবেদনগুলো যাচাই বাছাইয়ের আগে মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কারিগরি কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও ড্যাপ বাস্তবায়ন রিভিউ কমিটির আহ্বায়ক জানান, ‘ড্যাপ চুড়ান্ত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সকল পক্ষ যেমন নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থাপত্যবিদ, রিহ্যাব, বিএলডিএসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এবং ড্যাপের সাথে সভা করে তাদের মতামত ও পরামর্শ নেয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারির মধ্যেই ড্যাপ চুড়ান্ত করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।’
আরও পড়ুন: জোনভিত্তিক লকডাউন: মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটিগুলোকে সক্রিয় করার নির্দেশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রীরড্যাপের আহ্বায়ক হওয়ার পর একটি মন্ত্রীসভা কমিটির সভা আয়োজন করা হয়েছিল এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করের মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনার মহাসংকটের কারণে ইচ্ছা থাকা সত্বেও আর মন্ত্রী সভার আয়োজন করা যায় নি। তবে বিভিন্ন সময় ছোট করে অনেক সভা করেছি। এখন করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আমরা আবার কাজ শুরু করেছি। ড্যাপকে চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করার জন্য প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আমরা চাই দ্রুত কাজ শেষ করতে। ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারির মধ্যেই শেষ করার জন্য কাজ করছি। দ্রুত শেষ করার জন্য সকলে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে কোটিরও বেশি মানুষ বসবাস করে। এই শহরের সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া এবং বিধি বহির্ভূতভাবে অনেক অবকাঠামো নির্মাণ হয়েছে যা রাজধানীর সোন্দর্য মলিন করে দিয়েছে। এপ্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, এই শহরে নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হয় না। আবার সরকারি খাল-বিল দখল করে বড় বড় বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়। কোনো অবস্থাতেই এসব আর করতে দেয়া যাবে না। নকশা এবং বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করতে হবে। ভবন নির্মাণে প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের সবচেয়ে বেশি সচেতন হয়ে ভূমিকা রাখার আহ্বানও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: করোনা প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই: স্থানীয় সরকার মন্ত্রীতিনি বলেন, ঢাকাকে আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন ও বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য যে সমস্ত বিষয়গুলো আমলে নেয়া দরকার তা পর্যালোচনা করে ড্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি চুড়ান্ত করার পর বাস্তবায়িত হলে ঢাকার অনেক পরিবর্তন আসবে।
সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান এবং ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
তৃতীয় ধাপে ১২ হাজার ১১৬ বীর মুক্তিযোদ্ধার সমন্বিত তালিকা প্রকাশ
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের সমন্বিত তালিকার তৃতীয় পর্ব প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) অনুমোদনবিহীন বেসামরিক গেজেট নিয়মিতকরণে আট বিভাগের ৩৮৮ উপজেলার ১২ হাজার ১১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
সোমবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.molwa.gov.bd) এ তালিকাটি পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশ
প্রকাশিত তালিকায় ঢাকা বিভাগের ৩ হাজার ৪৫৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২ হাজার ৩৭৪ জন, বরিশাল বিভাগের ১ হাজার ১৮০ জন, খুলনা বিভাগের ২ হাজার ২৯০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৩৩৩ জন, রাজশাহী বিভাগের ১ হাজার ৪৩৭ জন, রংপুর বিভাগের ৭৬৮ জন ও সিলেট বিভাগের ২৭৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ২০ হাজার টাকা
এর আগে গত ২৫ মার্চ প্রথম ধাপে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে গত ৯ মে ৬ হাজার ৯৮৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামের সমন্বিত তালিকায় প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৩ বছর আগে
মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে লিখতে হবে ‘বীর’, গেজেট প্রকাশ
সব ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর’ শব্দটি ব্যবহারের বিধান করে গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৪ বছর আগে
করোনাকে ‘সংক্রামক ব্যাধি’ ঘোষণা করে আজই গেজেট প্রকাশের নির্দেশ
করোনাভাইরাসকে সংক্রামক ব্যাধি হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট জারি করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সম্ভব হলে আজ বুধবার রাতের মধ্যেই গেজেট প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
৪ বছর আগে