ব্যবসা-বাণিজ্য
রেমিটেন্স: ১ অক্টোবর থেকে প্রতি ডলারে ১০৮ টাকার পরিবর্তে ১০৭.৫ টাকা পাবেন প্রবাসীরা
প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১ অক্টোবর, ২০২২ থেকে রেমিটেন্সের জন্য প্রতি মার্কিন ডলার ১০৮ টাকার পরিবর্তে সর্বোচ্চ ১০৭ দশমিক ৫ টাকা পাবেন।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) বৈদেশিক মুদ্রার বাজারকে স্থিতিশীল করতে আগামী মাসে রেমিটেন্সের জন্য এই হার নির্ধারণ করেছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করা হলে বর্তমান রেমিটেন্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
অর্থনীতিবিদ ও পিআরআই-এর চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, যখন খোলা বাজারে প্রতি ডলারের দাম ১১৪ টাকার বেশি হয়, তখন আরও রেমিটেন্স আকর্ষণ করার জন্য এটি সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজতে তুরস্ক যাচ্ছে ডিসিসিআই’র প্রতিনিধি দল
তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্তটি অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোকে উৎসাহিত করতে পারে, যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের সংকট সমাধানে কোনো সহায়তা হবে না।
সিপিডি-এর বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, যখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের চাহিদা বাড়তে থাকে তখন বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করা সহায়ক নয়।
তিনি বলেন, মার্কিন ডলারের বিভিন্ন দামে অসঙ্গতি সৃষ্টি করবে এবং রেমিটেন্স প্রবাহকে নিরুৎসাহিত করবে।
প্রফেসর মুস্তাফিজুর বলেন, ফলে অবৈধ খাতকে উৎসাহিত করা হবে এবং ব্যাংক ও খোলা বাজারের মধ্যে বিনিময় হারের পার্থক্য বৃদ্ধি পাবে।
সোমবার অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রেরকরা প্রতি মার্কিন ডলার সর্বোচ্চ ১০৭ দশমিক ৫ টাকা পাবেন। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর, এবিবি ও বাফেদা রেমিটেন্সের জন্য প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ মূল্য ১০৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল।
তবে, রপ্তানি আয় নগদীকরণের ডলারের হার আগের মতোই থাকবে প্রতি ডলার ৯৯ টাকা। আমদানি দায় পরিশোধ এবং আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের মূল্য প্রবাসী ও রপ্তানি আয় থেকে কেনা ডলারের গড় মূল্যের চেয়ে ১ টাকা বেশি হবে।
বৈঠক শেষে বাফেদা’র চেয়ারম্যান আফজাল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ডলারের বাজার স্বাভাবিক রাখতে সময়ে সময়ে মূল্য পর্যালোচনা করার কথা ছিল। ‘এরই ধারাবাহিকতায় আমরা নতুন দাম নির্ধারণ করেছি। নতুন দাম ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুন: আগস্টে রেকর্ড ৮ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা ভ্যাট সংগ্রহ
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৯ মাস ছাড়
বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজতে তুরস্ক যাচ্ছে ডিসিসিআই’র প্রতিনিধি দল
তুরস্কের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের নেতৃত্বে ৮৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল চারদিনের সফরে তুরস্কে যাবে। আগামী মঙ্গলবার দেশেটির রাজধানী ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে প্রতিনিধি দলটি ঢাকা ত্যাগ করবেন।
সোমবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় দক্ষিণ সুদানের প্রতিনিধি দল
এতে বলা হয়, বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার নতুন বাণিজ্যের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন এবং বিনিয়োগ সহযোগিতা সম্প্রসারণই ইস্তাম্বুল সফরের মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিতে ১০ সদস্যের সৌদি প্রতিনিধি দল ঢাকায়
সফরকালে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদলটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন ‘ইস্তাম্বুল চেম্বার অব কমার্স’ আয়োজিত ‘দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা এবং বিটুটিব সেশন’, ২৯ সেপ্টেম্বর ফরেন ইকোনোমিক রিলেশন্স বোর্ড অফ টার্কি (ডেইক) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার ও বিটুবি সেশনে অংশগ্রহণ করবে।
এছাড়াও সফরকালে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী মেহমেট মুসের সঙ্গে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান সাক্ষাৎ করবেন। একই সঙ্গে ডিসিসিআই’র প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে অবস্থিত বেশ কয়েকটি শিল্পাঞ্চল পরিদর্শন করবে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের মুখে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল
চারদিনের এই সফর সেবা, উৎপাদন এবং জেনারেল ট্রেডিং খাতে সহযোগিতা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগ আকর্ষণ ও সম্ভাবানাময় খাতে জয়েন্ট ভেঞ্চার কার্যক্রম বৃদ্ধিতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আগস্টে রেকর্ড ৮ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা ভ্যাট সংগ্রহ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আগস্টে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) থেকে আট হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে। যার ফলে দেখা যায় বছরে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
আগস্টে এনবিআরের সংগ্রহ করা ভ্যাট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫১৯ কোটি টাকা বেশি।
আরও পড়ুন: এনবিআর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডকে সহায়তা করে: চেয়ারম্যান
এ প্রসঙ্গে এনবিআর সদস্য (ভ্যাট) মইনুল খান বলেন, ব্যয় কমানোর কারণে সরকারি ব্যয় কমেছে। তারপরও নানা উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে।
সাধারণত বেসরকারি খাতের তুলনায় সরকারি ক্রয় থেকে বেশি ভ্যাট আদায় করা হয়। এবারের বিষয়টি ব্যতিক্রম বলেও জানান তিনি।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক আদায়ের পরিমাণ ৪০ হাজার ২৭০ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন হাজার ৩১৯ কোটি টাকা কম। চলতি অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআর সূত্র জানায়, প্রথম দুই মাসে আয়কর খাতে ১০ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা এবং শুল্ক খাতে ১৪ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।
জুলাই-আগস্ট মাসে ৩০টি ছোট খাতে ভ্যাট আদায় হয়েছে চার হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা।
অন্যদিকে খুচরা ও পাইকারি, রড-সিমেন্ট, হোটেল ও রেস্তোরাঁর মতো বেসরকারি খাত থেকে ১০ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট লাগবে না: এনবিআর
২০২১-২২ অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করায় সাড়া কম: এনবিআর ডাটা
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৯ মাস ছাড়
কোভিড-১৯ এর পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা তিন বছর তিন মাস বাড়িয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) অধীনে বিসিএস পরীক্ষার জন্য এটি প্রযোজ্য হবে না।
নির্দেশনায় বলা হয়, যে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ও এর অধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর এবং সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত, জাতীয়কৃত প্রতিষ্ঠানসমূহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ব্যতীত) সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি, সে সকল দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানের ২০২৩ সালের ৩০ জুন তারিখ পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের বয়স ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তারিখে সর্বোচ্চ বয়সসীমার মধ্যে থাকলে উক্ত প্রার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মহামারির কারণে সরকারি অফিসগুলো কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি।
এই সময়ের মধ্যে প্রচলিত বয়সের সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক প্রার্থী সরকারি চাকরির অযোগ্য হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিডিজবস চাকরি মেলায় ৩ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ
চলতি মাসের ১৫ দিনে দেশে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছে
‘রুপি বা টাকা ব্যবহার করুন’: বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসার ক্ষেত্রে ডলারে লেনদেন থেকে বিরত থাকার আহ্বান ভারতের
‘রুপি বা টাকা ব্যবহার করুন’: বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসার ক্ষেত্রে ডলারে লেনদেন থেকে বিরত থাকার আহ্বান ভারতের
বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে ভোগা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মার্কিন ডলারের পরিবর্তে রুপি বা টাকা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের ‘স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া’ (এসবিআই)। সোমবার দেশটির সর্ববৃহৎ সরকারি ব্যাংকটি তার শাখাগুলোতে দেয়া এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
এতে প্রতিবেশি দুই দেশের মধ্যকার ব্যবসার ক্ষেত্রে রুপি বা টাকায় চুক্তি করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘সেপা বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য লাভজনক’
প্রজ্ঞাপনে এসবিআই জানিয়েছে, ‘বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে মার্কিন ডলার/অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
মূলত মার্কিন ডলারের পরিবর্তে রুপি বা টাকায় লেনদেন সম্পন্ন করার জন্য একটি বিকল্প হলো রুপি-টাকায় লেনদেন।
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও জ্বালানি সংকটে ভোগা ঢাকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় ডলার বা ইউরোর মতো প্রধান বৈদেশিক মুদ্রায় রপ্তানিকারকদের বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে নিরুৎসাহিত করার জন্যই এসবিআই এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মিতালী এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু
বিকিরণ প্রযুক্তির বিনিময় সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও ভারত
চলতি মাসের ১৫ দিনে দেশে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছে
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মধ্যেও সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে বাংলাদেশ এক হাজার আট দশমিক ৬৭ মিলিয়ন (১০০০ মিলিয়ন = ১ বিলিয়ন) মূল্যের রেমিটেন্স পেয়েছে।
ব্যাংকাররা জানান, রেমিটেন্স প্রবাহের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার অন্যতম কারণ হলো টাকার মানের অবমূল্যায়নের জন্য প্রবাসীরা উৎসাহিত হওয়া। কেননা দেশে প্রতি ডলার ১০৮ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অন্যদেশ থেকে পণ্য কিনে তৃতীয় দেশে রপ্তানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা
বাংলাদেশ জুলাই মাসে ২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন এবং আগস্ট মাসে ২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন রেমিটেন্স পেয়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মধ্যে একটি আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো.সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আরও রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন প্রক্রিয়া সহজ করেছে।
সরকার রেমিটেন্স প্রণোদনার পাশাপাশি নীতিগত সহায়তাও দিচ্ছে।
এই খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মহামারি-পরবর্তী সময়ে বিদেশের চাকরির বাজার বৃদ্ধি পাওয়ায় গত অর্থবছরে জনশক্তি রপ্তানি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আর তাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহও বেড়েছে।
ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি) এর তথ্যে দেখা গেছে যে ৯ দশমিক ৮৮ লাখেরও বেশি কর্মী ২২’ অর্থবছরে বিদেশ গিয়েছে, যেখানে ২১’ অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৭১ লাখ।
গত সাত বছরের মধ্যে এ বছরেই সর্বোচ্চ মানুষ চাকরি করতে বিদেশ গেছে।
এটি অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতেও অবদান রাখছে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাসিক লেনদেন ১.১১ লাখ কোটি টাকার বেশি
ডিবিএইচের রংপুর শাখার উদ্বোধন
ডিবিএইচের রংপুর শাখার উদ্বোধন
দেশের গৃহঋণ প্রদানকারী সর্ববৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি (ডিবিএইচ) সম্প্রতি রংপুর শহরে তাদের ১৪তম শাখার উদ্বোধন করেছে। ডিবিএইচের নতুন এ শাখাটি শহরের খান বাহাদুর আব্দুর রউফ প্লাজা (৪র্থ তলা) বাড়ি নং-১, সড়ক নং-১, স্টেশন রোডে অবস্থিত।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ডিবিএইচের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও নাসিমুল বাতেন আনুষ্ঠানিকভাবে শাখার উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রংপুর শহরে আবাসন খাতের ব্যাপ্তি বেড়েছে। দেশের গৃহঋণের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান হিসাবে ডিবিএইচ এ অঞ্চলের মানুষদের যেকোনো আবাসিক চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রংপুর শহরের আবাসন খাতের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট লাগবে না: এনবিআর
এছাড়াও ডিবিএইচের ডিএমডি ও হেড অব ক্রেডিট এ.কে.এম. তানভির কামাল, হেড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও রিকভারি সাইয়াফ এজাজ, হেড অব লোন অপারেশনস মো. জাকারিয়া ইউসুফ, হেড অব ডিপোজিটস, বিজনেস প্ল্যানিং ও অল্টারনেট চ্যানেলস সাবেদ বিন আহসানসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊধর্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরুর পর গত ২৫ বছর ধরে দেশের আবাসন খাতে ঋণ সুবিধা প্রদান করছে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স, যা আগে ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন লিমিটেড নামে পরিচিত ছিল। কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে বিগত ১৭ বছর সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং ‘ট্রিপল এ’ অর্জন করেছে।
ভবিষ্যতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতেও ডিবিএইচ ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাসিক লেনদেন ১.১১ লাখ কোটি টাকার বেশি
বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বিজিএমইএ
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাসিক লেনদেন ১.১১ লাখ কোটি টাকার বেশি
কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে মানুষ ক্যাশলেস লেনদেনকে বেশি পছন্দ করছে। যার ফলে দেশে ক্রমবর্ধমান মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) কার্যক্রম ও লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিকাশ, রকেট ও অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গড়ে প্রতিদিন তিন হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক লেনদেন ৯৯৪ কোটি টাকা
বিবি জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা ৮৯ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা লেনদেন করেছেন।
তবে এখানে নগদের তথ্য যোগ করা হয়নি। এই ক্যাশ অ্যাকাউন্ট যোগ করলে লেনদেনের পরিমাণ আরও ২২ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি পাবে।
সেই অনুযায়ী, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন দাঁড়াবে প্রায় এক দশমিক ১১ লাখ কোটি টাকা। তাহলে দৈনিক লেনদেন দাঁড়ায় তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
এ খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সূত্র জানায়, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সব জায়গায় টাকা পাঠানোর সুবিধার সঙ্গে কেনাকাটা, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা, বিভিন্ন বিল পরিশোধ, ঋণ বিতরণসহ নতুন নতুন সেবা যুক্ত করা হচ্ছে।
ফলে বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) ওপর মানুষের আগ্রহের পাশাপাশি নির্ভরতা বাড়ছে। গ্রাহকদের সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণও বাড়ছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এখন ১৮ কোটিরও বেশি গ্রাহক রয়েছে। দৈনিক লেনদেন হয় প্রায় তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় সম্প্রতি মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এখন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা প্রতিদিন এজেন্টদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা কার্ড থেকে ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিং: মনোপলি নয়, সুস্থ প্রতিযোগিতা চায় সরকার
আগে দৈনিক আমানত ৩০ হাজার টাকার বেশি জমা দেয়া যেত না। কার্ড থেকে টাকা জমা দেয়ার সীমাও নির্ধারণ করা হয়নি। এখন একজন গ্রাহক অন্য গ্রাহককে মাসে দুই লাখ টাকা পাঠাতে পারবেন। আগে এই সীমা ছিল ৭৫ হাজার টাকা।
বিবি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, সুবিধাজনক লেনদেনের সুযোগ বিবেচনা করে এবং ক্যাশলেস সমাজকে উৎসাহিত করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধীরে ধীরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন সহজ করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শহুরে জীবনে মানুষের বিশেষ প্রয়োজনে দেশে ই-কমার্স ও অনলাইন ট্রেডিং এবং পেমেন্ট সিস্টেম বাড়ছে, তাই বিবি লেনদেনের পরিমাণের সীমা বাড়িয়েছে।’
বর্তমানে দেশে ১৩টি ব্যাংক বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাইক্যাশ, শিওরক্যাশসহ বিভিন্ন নামে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ২০২২ সালের জুলাইয়ের শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা ১৮ দশমিক ১১ কোটির বেশি।
তাদের মধ্যে, গ্রামে ১০ দশমিক ৭ কোটি গ্রাহক এবং শহরে ৮ দশমিক ৪ কোটি গ্রাহক রয়েছে। এছাড়াও নিবন্ধিত ১০ দশমিক ৪৩ কোটি পুরুষ এবং ৭ দশমিক ৬৪ কোটি নারী গ্রাহক রয়েছেন। ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা ১৫ দশমিক ২৬ লাখে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিং: সেন্ড মানি ফ্রিসহ সার্ভিস চার্জ কমানোর দাবি
অন্যদেশ থেকে পণ্য কিনে তৃতীয় দেশে রপ্তানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা
এখন থেকে ব্যবসায়ীরা হংকং ও সিঙ্গাপুরের মতো অন্যদেশ থেকে পণ্য ক্রয় বা সেবা নিতে পারবেন। একই সঙ্গে তারা তৃতীয় দেশে ওই পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন। রপ্তানিতে এই বৈচিত্র্য আনতে ‘মার্চেন্ডাইজ ট্রেড’ নীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি নির্ধারক বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করে তা দ্রুত কার্যকর করতে অনুমোদিত ডিলারদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
পড়ুন: চাল রপ্তানিতে ২০ভাগ শুল্ক আরোপ করল ভারত
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘বলবৎ এই রপ্তানি নীতি অনুযায়ী এটি এমন একটি বাণিজ্য যার মাধ্যমে একটি দেশ থেকে পণ্য বা পরিষেবা সংগ্রহ করা হয়, সরাসরি তৃতীয় দেশে পাঠানো বা বিতরণ করা হয় এবং এটিকে 'মার্চেন্ডাইজিং ট্রেড' হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। তাদের 'মার্চেন্ডাইজিং ট্রেড' গ্রাহকদের কাছে এডি’র মাধ্যমে লেনদেনমূলক পরিষেবাগুলো সহজতর করার জন্য, পরিচালনার নির্দেশিকা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
এ ধরনের ব্যবসা সারাবিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন। নতুন নীতির মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারিত হবে। এখন থেকে ব্যবসায়ীরা হংকং ও সিঙ্গাপুরের মত বাণিজ্য করতে পারবে। এর মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে।
এই নীতির আলোকে, 'মার্চেন্ডাইজিং, ট্রেড' বলতে 'অন্য দেশ থেকে পণ্য ও পরিষেবা সংগ্রহ এবং সেই দেশ থেকে সরাসরি তৃতীয় দেশের ক্রেতাদের কাছে পণ্য ও পরিষেবার চালান' হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
পড়ুন:বিবি’র ওয়েব পোর্টালে ডলার ১০৬, ব্যাংকে ৯৬ টাকা!
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, মার্চেন্ডাইজিং ট্রেডের অধীনে রপ্তানি কার্যক্রমের জন্য রপ্তানি ফরমের প্রয়োজন হবে না। একইভাবে, বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে আমদানি ফরমের প্রয়োজন হবে না।
বৈদেশিক উৎস থেকে আয় দিয়ে আমদানি ব্যয় মেটানো যায়। একই সঙ্গে বিদেশ থেকে প্রাপ্ত ক্রেতাদের ঋণের আওতায় আমদানি ব্যয় মেটানোর সম্ভাবনাও রাখা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। যাইহোক, এই ক্ষেত্রে, ব্যাংক অর্থ প্রদানের নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার হার বাজারভিত্তিক করা হবে: অর্থমন্ত্রী
বৈদেশিক মুদ্রার হার বাজারভিত্তিক করা হবে: অর্থমন্ত্রী
সরকার বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার কথা চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ‘আমরা বৈদেশিক বিনিময় হার বাজার ভিত্তিক করার চিন্তা করছি। আজ বা আগামীকাল, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার বাজার-ভিত্তিক লেনদেনের জন্য যেতেই হবে।’
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) পরপর দুটি বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:বিদ্যুৎ ও পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়াতে আইএমএফের কোনো প্রস্তাব পাইনি: অর্থমন্ত্রী
সাম্প্রতিককালে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অস্থিরতার পটভূমিতে অর্থমন্ত্রী এমন মন্তব্য করলেন। মুদ্রার বাজারে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ৮৫ টাকা থেকে ১১৯ টাকায় উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি বিনিময় হার নির্ধারণ করেছে ৯৫ টাকা, বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ডলার লেনদেন হচ্ছে ১০৮ টাকায়।
ব্যাংক ঋণের সুদ হার পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আমানত ও ব্যাংক ঋণে বিদ্যমান ৬-৯ শতাংশ সুদের হারের বিপরীতে ঋণের হারে কোনো ঊর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী পরিবর্তনের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সুদের হার ৬-৯ শতাংশের মধ্যে ভাল কাজ করছে।’
মুস্তাফা কামাল বলেন, অনেক দেশ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বৃদ্ধির পথ অনুসরণ করে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বাংলাদেশের মতো দেশে সুদের হার বাড়িয়ে বা কমিয়ে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুটি উপায়ে কাজ করে – আর্থিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাজার পর্যবেক্ষণ করে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্পর্কে তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভালো অবস্থায় রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী দাবি করে বলেন, ‘আমাদের রেমিট্যান্স বাড়ছে, রপ্তানি বাড়ছে এবং আমদানি কমছে।’
তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কোনো সংকট নেই। শিগগিরই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।
রুবলে রাশিয়ান জ্বালানি আমদানির বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে মুদ্রা অদলবদলের মাধ্যমে তা করতে হবে। সেক্ষেত্রে রাশিয়াকে প্রথমে আমাদের মুদ্রা গ্রহণ করতে হবে।’
আরও পড়ুন:আইএমএফের কাছে ঋণ চাইলেও অর্থনীতির অবস্থা খারাপ নয়: অর্থমন্ত্রী
আইএমএফের ঋণের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের খবর নাকচ অর্থমন্ত্রীর