���������������-���������������
জুলাইতে বাংলাদেশের অপ্রচলিত বাজারে আরএমজি রপ্তানি ২৩.৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরএমজি রপ্তানি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই মাসে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়ে ৭২৯ দশমিক শূন্য ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। যা ২০২২-২৩ অর্থ-বছরের জুলাইতে ছিল ৬৮৫ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিজিএমইএ -এর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাসে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে আমাদের পোশাক রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের ১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ইইউ অঞ্চলের কিছু বড় বাজারে আমাদের রপ্তানি বেড়েছে। এর মধ্যে স্পেনে ৩৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ফ্রান্সে ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ, ইতালিতে ৩৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ২৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ এবং পোল্যান্ডে ১৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৭ম বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল গার্মেন্ট অ্যান্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ২৬-২৮ অক্টোবর
এক চিঠিতে মহিউদ্দিন রুবেল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য জার্মানিতে আমাদের রপ্তানি বছরে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির মুখোমুখি হয়েছে এবং তা ৫১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে ফিনল্যান্ড, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া, মাল্টা এবং স্লোভাকিয়াতে রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
২০২৩ অর্থ-বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাজ্য বছরে রপ্তানি ২৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭৫ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একইভাবে কানাডায় বছরে রপ্তানি ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১২৮ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭৪ দশমিক ৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপানে ৪৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় ৫৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ভারতে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে রপ্তানি ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ মে মাসে ৪.০৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে
ঢাকায় ৭ম বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল গার্মেন্ট অ্যান্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ২৬-২৮ অক্টোবর
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সপ্তম বিগটেক্স ২০২৩ (বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপো) এর ‘ইন অ্যাসোসিয়েশন পার্টনার’ হওয়ার জন্য রেডকার্পেট গ্লোবাল লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
রেডকার্পেট-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ ইমতিয়াজের নেতৃত্বে আয়োজক কমিটি ১৩ জুলাই ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সার্বিক সহযোগিতা ও সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন রেডকার্পেট এর পরিচালক ও প্রধান ব্যবসায়িক কর্মকর্তা লুৎফর হোসেন, পরিচালক ও করপোরেট অ্যাফেয়ার্স আবদুল্লাহ আল মামুন এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) মাজাহারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৩ দিনব্যাপি রোসা দ্বিতীয় কিচেন, বাথ অ্যান্ড লিভিং এক্সপো বাংলাদেশ-২০২৩ শুরু
বিজিএমইএ আগামী ২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বহুল প্রত্যাশিত ৭ম বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপোতে অ্যাসোসিয়েশন পার্টনার হিসেবে কাজ করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
বিজিএমইএ এই গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য ও আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আয়োজকদের বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক গার্মেন্ট অ্যান্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপোতে বিজিএমইএ-এর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের প্রাণবন্ত এবং সমৃদ্ধিশীল পোশাক শিল্পের প্রদর্শনের একটি উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম বলে তারা মনে করেন।
সমগ্র এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকাসহ প্রায় ১২টি দেশ হতে বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত সব ধরনের যন্ত্রপাতি, টেকনোলজি ও এক্সেসোরিস উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, ও আমদানিকারকরা এই প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে। তারা তাদের পণ্যের নতুনত্ব ও এই খাতের সর্বশেষ অগ্রগতি তুলে ধরবেন। যার ফলে বাংলাদেশের শিল্প মালিক, ব্যবসায়ী, উদ্যেক্তা, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, ইঞ্জিনিয়ার এবং মার্চেন্ডাইজাররা বেশ উপকৃত হবেন।
তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে দেশীয় ও বিদেশি প্রস্তুতকারক, ডিলার ও সরবরাহকারীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা হিসেবে বস্ত্র ও পোশাক খাতের প্রস্তুতকারক, রপ্তানিকারক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বি-টু-বি সম্পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম হবেন।
এজন্য, বাংলাদেশের বস্ত্র ও পোশাক শিল্প এবং সংশ্লিষ্ট খাতের সঙ্গে জড়িত সকল ব্যবসায়ী, শিল্প মালিক, উদ্যোক্তা, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, ইঞ্জিনিয়ার এবং মার্চেন্ডাইজারদের নাগালের মধ্যে বিশ্বের আধুনিক প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতির নতুনত্ব ও খুঁটিনাটি পৌঁছে দিতে এই প্রদর্শনী গুলো সন্দেহাতীতভাবে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে বড় এডুকেশন এক্সপো সোমবার
বাংলাদেশ মে মাসে ৪.০৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে
বাংলাদেশ মে মাসে পোশাক রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছে ৪ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
গতমাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার মূলের ওভেন পোশাক রপ্তানি করেছে যা লক্ষ্যমাত্রার ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
আর নীট পোশাক রপ্তানি করেছে ২ দশমিক ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা লক্ষ্যমাত্রার ৩২ দশমিক ৫৩ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিল্পের প্রবৃদ্ধি ছাড়া ৭.৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন অসম্ভব: বিজিএমইএ সভাপতি
সোমবার বিজিএমইএ –এর পরিচালক মহিউদ্দিন এই তথ্য জানান।
মে মাসে মোট পোশাক রপ্তানিতে ৪ দশমিক ০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৮ দশমিক ৩৩ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার।
এতে দেখা যায় বাংলাদেশ গত মাসে পোশাক খাতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে পিছিয়ে রয়েছে ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার বা ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
সেই আলোকে চলতি ১১ মাসে(জুলাই-মে) পর্যন্ত পোশাক রপ্তানি করে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৪২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার।
যেখানে গত ২০২১-২২ অর্থবছর (জুলাই-মে) প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩৮ দশমিক ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ জুলাই-মে সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দিল এফবিসিসিআই
শিল্পের প্রবৃদ্ধি ছাড়া ৭.৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন অসম্ভব: বিজিএমইএ সভাপতি
বর্তমান সংকটকালীন বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিক রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স এবং বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের নিম্নমুখী ধারায় সরকার আগামী অর্থবছরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ঘোষণা দিয়েছে, তা শিল্পের প্রবৃদ্ধি ছাড়া জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান
শুক্রবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বাজেটের ইতিবাচক দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, উচ্চতর জিডিপি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখা ও রাজস্ব বাড়ানো।
ফারুক বলেন, যেহেতু জিডিপি’র প্রায় ৩৫ দশমকি ৬ শতাংশ আসে শিল্প খাত থেকে, যা ২০৪১ সাল নাগাদ ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। শিল্পের সকল সুযোগ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো গেলে কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ তার।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমরা মনেকরি অর্থনীতিকে প্রানবন্ত রাখতে, প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে অর্থনৈতিক সুরক্ষা দিয়ে একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থনীতি তৈরি করার জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে যা বর্তমান মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত যৌক্তিক। তবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় পোশাক শ্রমিকদের অন্তভর্‚ক্ত করার বিষয়টির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
প্রস্তাবিত বাজেটে রপ্তানিমুখী শিল্পখাতের জন্য ইতিবাচক প্রস্তাবগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, আমদানি ও রপ্তানিতে ব্যবহৃত কন্টেইনার আমদানিতে করভার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা। কৃত্রিম আঁশের তৈরি কাটা ফেব্রিক্স এবং নষ্ট টুকরা (এক মিটারের বেশি দীর্ঘ নয়); বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেষ্টিং ইনস্টিটিউশনের নিকট নমুনা হিসেবে বিনামূল্যে সরবরাহকৃত ফেব্রিক্স (তিন বর্গমিটারের নীচের আকৃতির) এবং ট্যাপস অ্যান্ড ব্রেইডসের উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি প্রদান।
ফারুক প্রস্তাবিত বাজেটে ১৩টি পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের উপর ১৫ শতাংশ মূসক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে সবধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমানো ও এলএনজি ও এলপিজি’র আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি করেন।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেলেও নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহের জায়গাটিতে আমরা এখনও পিছিয়ে আছি। আমাদের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সব ধরনের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে।
ফারুক বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণায় আমরা রপ্তানিমূখী বস্ত্র ও তৈরি পোশাকখাতের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো দিক নির্দেশনা খুঁজে পাইনি। বিশেষ করে আমরা উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব না করে ২০২১-২২ অর্থবছরের যেটি ছিল, অর্থাৎ শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ করার জন্য প্রস্তাব করেছিলাম। কারণ এমনিতেই কোভিডের কারণে আমাদের শিল্পে যে ক্ষতি হয়েছে, সেটি পুষিয়ে নিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। বাজেট বক্তব্যে অন্যান্য বছরের মতো রপ্তানিখাতগুলোর জন্য প্রণোদনা বাবদ অর্থ বরাদ্দের কোনো ঘোষণা আসেনি বলেও জানান তিনি।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০২১ সালের আগষ্ট মাসে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে বর্তমানে ৩০ বিলিয়ন ডলারের নীচে নেমে এসেছে। সে সময়টিতে কিন্তু আমাদের রপ্তানি বেড়েছে, রপ্তানি ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩১ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ ঐ এক বছরে রপ্তানি বেড়েছে ১১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার, আর চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে রপ্তানি বেড়েছে ৩ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। যদিও শেষের ২মাসে রপ্তানি কমে এসেছে।
বর্তমান সংকট তুলে ধরে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের ফলে আমাদের পণ্যের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। অনেক কারখানা সক্ষমতার বাইরে চলছে, আগামি মাসগুলোতে আমরা এই অবস্থা উত্তরণের কোন লক্ষণ দেখছি না। এর উপর ১ জুলাই থেকে ব্যাংক সুদের যে ক্যাপ নির্ধারিত ছিল তা তুলে দেয়া হচ্ছে। এর ফলে আমাদের ব্যয় আরও বাড়বে এবং আমরা প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাব।
তিনি বলেন, আমাদের পোশাকের প্রধান দুই বাজার আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে ঋণের সুদের হার অনেক বেড়েছে; মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অনেক কমেছে। পোশাক রপ্তানির জন্য ইউরোপের জার্মানি অফিসিয়ালি জানিয়েছে, দেশটি মন্দার কবলে পড়েছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর অবস্থাও ক্রমশ সঙ্গীন হচ্ছে। আশঙ্কার বিষয় হলো- ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের জানুয়ারি-মার্চ মাসের আমদানি তথ্য নেগেটিভ প্রবৃদ্ধি দেখাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পোশাক আমদানি নভেম্বরে কমেছে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ, এবং ডিসেম্বরে কমেছে ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
নভেম্বর-মার্চ সময়ে ইউরোপে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি ভ্যালুতে বেড়েছে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং ভলিউমে কমেছে ৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। অবশ্যই পণ্যের রপ্তানি মূল্য বেড়েছে বলে এমনটি ঘটেছে।
চলমান সংকটময় পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে উৎসে কর ২০২১-২২ অর্থবছরের ন্যায় শূন্য দশমকি ৫০ শতাংশ ধার্য করে আগামী ৫ বছর পর্যন্ত তা কার্যকর করার জন্য পুনরায় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ফারুক।
এছাড়া নগদ সহায়তার উপর আরোপকৃত ১০ শতাংশ কর প্রতাহারের অনুরোধও জানান তিনি। যেহেতু নগদ সহায়তা কোন ব্যবসায়িক আয় নয়, তাই নগদ সহায়তার অর্থকে করের আওতার বাইরে রাখাই যুক্তিসংগত বলে দাবি তার।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে হাইকমিশনের সহায়তা চায় বিজিএমইএ
করারোপ করা সংক্রান্ত কয়েকটি প্রস্তাবনাও তুলে ধরে তিনি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের মূল্যায়নের সময় স্বাভাবিক হারে ৩০ শতাংশ কর আরোপ না করে কর্পোরেট কর হার ১২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন। তৈরি পোশাক শিল্পের সাব-কন্ট্রাক্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক চুক্তির মূল্য পরিশোধের সময় প্রস্তাবিত ধাপ অনুযায়ী উৎসে কর ধার্য করা, উক্ত করকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য করা, অন্যথায় মূল্যায়নের সময় কর আরোপকালে কর্পোরেট ট্যাক্স হার ১২ শতাংশ হারে কর ধার্য করা। রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য পরিশোধিত ফি হতে উৎসে আয়কর কর্তনের হার ২০ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ করা।
তিনি বলেন, বিগত চার দশকে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৪৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছলেও আমাদের পণ্যের উপাদান পরিবর্তন তুলনামুলকভাবে কম হয়েছে। বিশ্বে মোট টেক্সটাইল চাহিদার প্রায় ৭৫ শতাংশই নন-কটন এবং বৈশ্বিক পোশাক বাণিজ্যের ৫২ শতাংশ পণ্য নন-কটনের। আর আমাদের নন-কটন পোশাকের রপ্তানির হার মাত্র ২৬ শতাংশ। সরকারকে নন-কটন খাতে বিনিয়োগ ও রপ্তানি উৎসাহিত করতে এবং প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে নন-কটন পোশাক রপ্তানির উপর ১০ শতাংশ (রপ্তানি মূল্যের) হারে বিশেষ প্রনোদনা প্রদানের অনুরোধ করেন তিনি।
ফারুক বলেন, টেক্সটাইল ও পোশাকখাত থেকে বছরে প্রায় ৫ লাখ টনের মতো ঝুট তৈরি হয়। এগুলো রিসাইকেল করে পুনরায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব, যা প্রকারান্তরে আমাদের দেশজ প্রবৃদ্ধি আনবে। তাই, এ খাতে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে রিসাইকেলিং শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রক্রিয়া, পণ্য ও সেবাকে শুল্ক ও ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখার দাবি করেন তিনি।
বন্ড লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ দুই বছরের পরিবর্তে ৩ বছর করার দাবি করেন ফারুক। এছাড়া কাঁচামাল আমদানিতে এইচ. এস. কোড সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের বিষয়টি বিবেচনার জন্যও পুনরায় অনুরোধ করেন ফারুক।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিশ্বে ব্যবসা সহজীকরণে বাংলাদেশের অবস্থান আরও উন্নত করার জন্য সেবা প্রদানকারী সংস্থা, যেমন কাষ্টমস, বন্দর এর সেবা প্রাপ্তি আরও গতিশীল ও সহজ করা গেলে তা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশকে আরও উন্নত করবে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের স্বস্তি দিতে প্রয়োজন নীতি সহায়তা ও নীতি স্থিতিশীলতা। বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক ও রাজস্ব সংক্রান্ত নীতি স্থির করা হলে বিনিয়োগকারীরা স্বস্তির সঙ্গে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
বিশ্ব পোশাক বাজারে বাংলাদেশের শেয়ার মাত্র ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এই শেয়ারটি ১২ শতাংশে এ উন্নীত করা এবং ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০ বিরিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে তারা কাজ করছেন বলেও জানান ফারুক হাসান।
আরও পড়ুন: এলডিসি উত্তোরণে বাংলাদেশকে সহায়তায় ইইউ’র প্রতি বিজিএমইএ প্রধানের আহ্বান
বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দিল এফবিসিসিআই
ঢাকার বঙ্গবাজারে সাম্প্রতিক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য অনুদানের এক কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
শনিবার চেম্বারের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এফবিসিসিআই আইকন, ঢাকায় বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির কাছে চেক হস্তান্তর করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন,‘যে কোনো ধরনের অগ্নিকাণ্ড যেকোনো ব্যবসায়ীর জন্যই দুর্ভাগ্যজনক। বঙ্গবাজারে যখন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তখন আমি দেশের বাইরে ছিলাম। আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়, সেখানে কিছুই অবশিষ্ট থাকেনি। এই সংকটে আমাদের একটু হলেও অবদান রাখা উচিত। তাই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের এক কোটি টাকা সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দেবে এফবিসিসিআই
সার্ক চেম্বারের নতুন সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন,‘আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা আজ এই চেক হস্তান্তর করছি। আমি মনে করি, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অগ্নিকাণ্ডে সকল সক্ষম ব্যবসায়ীদের ছোট ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীদের অবশ্যই কমপ্লায়েন্স মেনে চলতে হবে। তবে শুধু ব্যবসায়ীদের দোষ দিলে হবে না, বাণিজ্যিক ভবন ও কারখানার লাইসেন্স প্রদানকারী কোম্পানিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে এফবিসিসিআই সভাপতি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ী ও আধুনিক ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআই প্রধান ব্যবসায়ী নেতারা এবং বাজার কমিটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বাজার সম্পর্কে সচেতন হতে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করার আহ্বান জানান।
দেশের কারখানায় অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এফবিসিসিআই সরকারের সঙ্গে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আমরা ফায়ার সেফটি কাউন্সিল গঠন করেছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ৩,৮৪৫ জন: ডিএসসিসি
এই নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার কোম্পানি পরিদর্শন করা হয়েছে। এই নিরাপত্তা পরিষদ সারাদেশে মোট ৪৪ হাজার কোম্পানি পরিদর্শন করবে। এ ছাড়া প্রতিটি কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান জসিম।
তিনি বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি এবং এফবিসিসিআই ফায়ার সেফটি কাউন্সিলকে দোকান ও শপিং মলে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ফায়ার সার্ভিস ইউনিট বঙ্গবাজারকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে কয়েকবার সতর্ক করে দিলেও বাজার কমিটি বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি।
সরকারকে দোষারোপ না করে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ দোকন মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, রাজধানীর বিদ্যমান বাজারগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। কোনো ধরনের ঝুঁকি লক্ষ্য করা গেলে তাদেরকে সতর্ক করার পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্কারের নির্দেশনা দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালকবৃন্দ, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ (অব.), বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রীর
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩৮.৫৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩৮ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ বেশি।
বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিশদ বিবরণে দেখা গেছে, আট দশমিক ৯৭ শতাংশ ও ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ বছর-বছর বৃদ্ধি নিয়ে নিটওয়্যার ও ওভেন গার্মেন্টস রপ্তানি যথাক্রমে ২০ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ও ১৭ দশমিক ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। সামগ্রিকভাবে, এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক তৈরি পোশাক রপ্তানি আয়ের স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির লক্ষণ।
সামগ্রিক ইতিবাচক প্রবণতা নির্বিশেষে, একক মাসের পরিসংখ্যানের আরও বিশদ পরিদর্শনে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধির সাম্প্রতিক হ্রাস দেখা যায়।
২০২২ সালের এপ্রিলের তুলনায় এ বছরের এপ্রিলে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা তিন দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: মার্কিন বাজারে দরপতন পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধির গতি কমাতে ব্যর্থ
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এই পতনের সংমিশ্রণ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সামগ্রিক পতনের প্রবণতায় অবদান রেখেছে, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের উল্লিখিত সময়ের জন্য অন্যথায় ইতিবাচক গতিপথের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ৪৬ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার এবং আমাদের ৯ দশমিক ৮৩% প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। চলতি অর্থবছরে আর দুই মাস বাকি আছে, তাই এই দুই মাসে আমাদের প্রায় আট বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এপ্রিলে আমাদের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে চার দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার। এ মাসে আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ কম রপ্তানি করেছি। আর গত বছরের এই মাসের তুলনায় আমাদের রপ্তানি কমেছে ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এটি এ বছরের সর্বনিম্ন এক মাসে রপ্তানি।’
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক কারখানায় ‘সবুজ বিপ্লবের’ নেতৃত্বে এগিয়ে বাংলাদেশ
রুবেল বলেন, ‘এর কারণ হলো, ঈদের কারণে আমাদের কর্মদিবস কম ছিল। সাধারণ ঈদের ছুটি থাকায় ওই মাসে রপ্তানি কম হয়। আরেকটি প্রবণতা যা চলছে তা হলো- অন্যান্য মাসের তুলনায় গত মাসে আমাদের রপ্তানি কম ছিল। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাদের সক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসেও রপ্তানি কমেছে। আমরা ঈদের ছুটিতে নেতিবাচক প্রবণতা দেখেছি।’
তিনি বলেন, ‘তবে ঈদের ছুটির প্রভাবে না কি আমরা যে নেতিবাচক প্রবণতা দেখছি তার কারণে এই নেতিবাচক প্রবণতা রয়ে গেছে তা আগামী মাসেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। আশা করি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমরা অবশিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সক্ষম হব।’
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পে জুলাই-ডিসেম্বরে ১৬% বেড়ে রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
মার্কিন বাজারে দরপতন পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধির গতি কমাতে ব্যর্থ
চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে, অর্থাৎ জুলাই-২০২২ থেকে মার্চ-২০২৩ -এ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। যে কারও মানদণ্ড অনুসারে একটি চিত্তাকর্ষক অর্জন। এটি আরও বেশি চিত্তাকর্ষক যখন আপনি বিবেচনা করেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির বৃহত্তম একক বাজার, যেখানে পাঁচ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেলের মতে, সামগ্রিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি শিল্পের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মার্চের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানিও ২০২১-২২ অর্থবছর জুলাই-মার্চে রেকর্ড করা ১৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ (১১.৮ শতাংশ আরও সুনির্দিষ্টভাবে) বেড়ে ১৭ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
পোশাক রপ্তানির সামগ্রিক বৃদ্ধি একটি চিত্তাকর্ষক ১২ দশমিক দুই শতাংশ হয়েছে, যা ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৩১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার থেকে২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৩৫ দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিল্পের রপ্তানি প্রকৃতপক্ষে পাঁচ শতাংশ কমে যাওয়া সত্ত্বেও এটি অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক বৃদ্ধির পরিসংখ্যান অর্জিত হয়েছে - চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ছয় দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়। যা গত বছর রেকর্ড করা হয়েছিল ছয় দশমকি ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
যুক্তরাজ্য ও কানাডায় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যথাক্রমে ১৪ দশমিক ০৪ শতাংশ ও ১৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে তিনি দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার এবং এক দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান বাজারগুলোর মধ্যে জার্মানিতে পোশাক রপ্তানি বছরে চার দশমিক ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে যেখানে ফ্রান্স এবং স্পেনে রপ্তানি যথাক্রমে ২৫ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং ১৮ দশমিক ৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, পোল্যান্ডে রপ্তানি ১৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমেছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অপ্রচলিত খাতে রিপোর্ট করা হয়েছে। অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি ৩৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ের মধ্যে ছয় দশমিক ৪৪ বিলিয়ন হয়েছে যা একই সময়ের মধ্যে চার দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ছিল।
বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেলের বলেন, ‘বিজিএমইএ নতুন বাজার অনুসন্ধানের সুবিধার্থে কাজ করছে, পাশাপাশি ব্যবসাকে সহজ ও সহজ করার জন্য নীতি সংস্কারের কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে, এবং নতুন সুযোগগুলো অন্বেষণ করার জন্য বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের (বিদ্যমান এবং নতুন) সামনে নতুন পণ্য এবং নতুন বাজারে আমাদের শক্তিগুলোকে প্রচার এবং হাইলাইট করার সময় এসেছে। এটি দীর্ঘমেয়াদে আমাদের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সাহায্য করবে।’
তৈরি পোশাক কারখানায় ‘সবুজ বিপ্লবের’ নেতৃত্বে এগিয়ে বাংলাদেশ
তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের কারখানাগুলো সবুজ কারখানার মানদণ্ডে এগিয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) সার্টিফিকেশন প্রাপ্ত বাংলাদেশে এ ধরনের কারখানার সংখ্যা এখন ১৮৭টি।
চট্টগ্রামভিত্তিক কেডিএস গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কেডিএস আইডিআর সর্বশেষ নতুন প্রজন্মের এই কারখানার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল জানান যে ১ ফেব্রুয়ারি তারা ১০০ এর মধ্যে ৮৪ স্কোর নিয়ে প্ল্যাটিনাম সার্টিফিকেশন পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শীর্ষ ১০০ গ্রিন ফ্যাক্টরি ইউনিটের মধ্যে ৫০টিই বাংলাদেশের। আর সেরা ১০ জনের মধ্যে আটজন এখান থেকেই এসেছেন।’
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পে জুলাই-ডিসেম্বরে ১৬% বেড়ে রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
২০২৩ সালে চারটি কারখানা ইউনিট ইতোমধ্যে এলইইডি সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।
নরসিংদীর পাঁচদোনার আমানত শাহ ফেব্রিক্স ইউএসজিবিসি থেকে এ বছরের প্রথম এলইইডি সার্টিফিকেট পেয়েছে।
ইউএসজিবিসি অনুসারে, বাংলাদেশের ১৮৭টি গ্রিন-সার্টিফাইড কারখানার মধ্যে ৬৩টি প্লাটিনাম-রেটেড, ১১০টি গোল্ড-রেটেড, ১০টি সিলভার-রেটেড ও চারটি গ্রিন-সার্টিফাইড।
ইউএসজিবিসি বেশ কয়েকটি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে কারখানাগুলোকে সার্টিফিকেশন দিয়ে সম্মানিত করে।
মানদণ্ডগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- বিদ্যুৎ, পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।
সেরা পারফর্মারদের প্ল্যাটিনাম,এরপর যথাক্রমে গোল্ড ও সিলভার সার্টিফিকেশন দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ২০২২ সাল ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর বছর: বিজিএমইএ
তৈরি পোশাক শিল্পে জুলাই-ডিসেম্বরে ১৬% বেড়ে রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২২ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যের বরাত দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
১৩ দশমিক ৪২ ও ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে নিটওয়্যার ও ওভেন পোশাক খাত যথাক্রমে ১২ দশমিক ৬৬ ও ১০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার ভূমিকা রেখেছে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সাল ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর বছর: বিজিএমইএ
বিজিএমইএর পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘ডিসেম্বরে পোশাক শিল্প ভালোই চলেছে। ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে চার দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে, যা এক মাসের হিসাবে সর্বোচ্চ।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা ক্যালেন্ডার বছরের তথ্য বিবেচনা করি তাহলে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই বাংলাদেশ ২০২২ সালে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে একটি নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। বিজিএমইএ-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২১ সালের তুলনায় ২৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ২০২২ সালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৪৫ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।’
মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘নিটওয়্যার খাত থেকে রপ্তানি আয় ২৪ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার, অন্যদিকে ওভেন খাত থেকে আয় ২০ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। উভয় খাতে ২০২২ সালে যথাক্রমে ২৬ দশমিক ১১ শতাংশ ও ২৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি হয়েছে।’
ইপিবি অনুসারে, ২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ ২৭ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
আরও পড়ুন: ইউরোপে পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের
ইতালির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ আছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
২০২২ সাল ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর বছর: বিজিএমইএ
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) শনিবার বলেছেন, সদ্য শেষ হওয়া ২০২২ ছিল অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর ও পুনর্গঠনের একটি বছর।
বিজিএমইএ পরিচালক মো মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় দুর্যোগ, কোভিড-১৯-এর দ্বারা সৃষ্ট সমস্ত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, আমরা আমাদের স্থিতিস্থাপকতা প্রমাণ করেছি এবং ঘুরে দাঁড়িয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি নতুন চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছি। উন্নত অর্থনীতিগুলোও মন্দার দিকে যাচ্ছে, আর আমরা আমাদের অর্থনীতি এখনও মহামারি সঙ্কট থেকে পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করতে পারিনি। বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক সংকটের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যসহ পণ্যের দাম বাড়ছে এবং বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির হার ২০২২ সালে রেকর্ড ৮ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছেছিল; যা ২০২১ সালে ছিল ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।’
তাই আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের চাহিদা ও ক্রয়ক্ষমতা সংকুচিত হচ্ছে। এসবই খুচরা বিক্রয় বাজারকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনকে ব্যাহত করছে।
রুবেল বলেন, ‘তবে, ২০২১-২২ অর্থবছরে, আমাদের পোশাক রপ্তানি ৪২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার ছিল। এটি তৈরি পোশাক (আরএমজি) উৎপাদনের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা, কেননা আমরা ৪০ বছরের যাত্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান বাজারগুলো ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও মার্কিন অপ্রচলিত বাজারে আমাদের রপ্তানি অংশ দ্বিগুণ হয়েছে। ০৯ অর্থবছরে রপ্তানি ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে ২২ অর্থবছরে ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপান, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ায় উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে।’
২০২১ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ’ অনুসারে, বিশ্ব বাজারে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে স্থান পেয়েছে।
রুবেল বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য শীর্ষ ডেনিম-সোর্সিং দেশ হয়ে উঠেছে। এখন আমরা সবচেয়ে বড় পোশাক রপ্তানিকারক চীনের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতায় রয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০২২ আমাদের জন্য একটি স্বতন্ত্র বছর হয়ে থাকবে, কারণ আমরা ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি ছাড়িয়েছি।’
বিজিএমইএর পরিচালক বলেন, ‘২০২২ সালে আমরা ইএসজি অগ্রাধিকার ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০৩০ এর সঙ্গে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্নির্মাণ করেছি। আমাদের কাছে ইউএসজিবিসি দ্বারা স্বীকৃত লিড (এলইইডি) সবুজ আরএমজি কারখানার সংখ্যা সর্বাধিক। বর্তমানে, লিড গ্রিন কারখানার সংখ্যা ১৮৩, যার মধ্যে ৬০টি প্লাটিনাম।’
তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের সবচেয়ে বড় সাফল্যের মধ্যে একটি ছিল ‘মেড ইন বাংলাদেশ সপ্তাহ’।
রুবেল বলেন, ‘শুধুমাত্র ২০২৩ সালে এগিয়ে যাওয়া নয়, পরবর্তী দশকেও আমাদের এই সমস্ত রূপান্তর বজায় রাখতে হবে এবং চালিয়ে যেতে হবে। পণ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন, ফাইবার ও বাজার বৈচিত্র্য এবং মূল্য সংযোজন এই সেক্টরের জন্য প্রধান সুযোগ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও আমাদের ব্যাকওয়ার্ড এবং ফরোয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্পে আমাদের সক্ষমতা বিকাশ করতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত আপগ্রেডেশন, ডিজাইন ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং সামগ্রিক ব্যবসায়িক সক্ষমতার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।’