���������������������-������������������-���������������������
ভারতে রপ্তানির উদ্দেশে বরিশাল ছেড়েছে ১৯ টন ইলিশের প্রথম চালান
সরকার মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যায় ১৯ টন ইলিশের প্রথম চালান ভারতের উদ্দেশ্যে বরিশাল ছেড়ে গেছে।
আগের দিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭৯ রপ্তানিকারককে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রত্যেকে ৫০ টন ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে।
বরিশাল থেকে পাঁচ রপ্তানিকারক-মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, মাসফি এন্টারপ্রাইজ, এআর এন্টারপ্রাইজ এবং সি গোল্ডকে ৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি: চলতি বছর এক কোটি ৩৬ লাখ ডলার আয় বাংলাদেশের
বরিশাল মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, মহিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক নিরব হোসেন টুটুল জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপের অংশ হিসাবে মহিমা এবং তানিশা এন্টারপ্রাইজ বুধবার বরিশাল শহরের তাদের গুদাম থেকে যৌথভাবে ভারতে ১৯টন ইলিশ রপ্তানি করেছে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ইলিশের প্রথম চালান যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পৌঁছাবে।
সরকারিভাবে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগের প্রশংসা করে মাছ ব্যবসায়ী জহির সিকদার বলেন, রপ্তানির অনুমতি পেলে জাতীয় মাছের চোরাচালান কমবে এবং স্থানীয় বাজারে মাছের প্রাপ্যতাও বাড়বে।
তিনি বলেন, মনিটরিংয়ের অভাবে নিয়মিত যশোর, সাতক্ষীরা ও আগরতলা দিয়ে প্রচুর মাছ ভারতে পাচার হয়।
আরও পড়ুন: দুর্গা পূজার আগে ভারতে ৩ ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন
বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে ১৪ লাখ কর্মসংস্থান হবে: মুখ্য সচিব
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে (বিএসএমএসএন) ১৪ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
তিনি বলেন, বিএসএমএসএন চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে বিএসএমএসএন-এ সরকারি সংস্থা ও বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মুখ্য সচিব।
চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলায় ৩ হাজার ৪০০ একর জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে বিএসএমএসএন।
পাঁচটি কোম্পানি ইতোমধ্যে উৎপাদন শুরু করেছে এবং আরও তিনটি কোম্পানি শিগগিরই উৎপাদনে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
শিল্পনগরী পরিদর্শন শেষে তোফাজ্জল বলেন, উন্নয়নের কাজ শেষ হলে পর্যায়ক্রমে আরও কারখানা নির্মাণ করা হবে এবং প্রায় ১৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের নিরাপত্তা, বাসস্থান, শিল্প-কারখানার নিরাপত্তা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা, এই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের পুলিশি সহায়তা বাড়াতে হবে। একটি থানা তৈরি করা হবে। তাদের চলাচল এবং অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে শুল্ক অব্যাহতি বেড়েছে ১৭.৬৪ শতাংশ
তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের প্রায় ১৫২টি কোম্পানি ইতোমধ্যে এই শিল্পনগরীতে (বিএসএমএসএন) বিনিয়োগ করেছে।
তিনি স্থানীয় জনগণের ত্যাগের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘একসময় এখানে ১৩৯টি পরিবার ছিল। শিল্পায়নের কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা তাদের বাড়ি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাদের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ দেওয়া হবে।’
তোফাজ্জল পরিবেশগত উদ্বেগের বিষয়ে বলেন,‘আমরা উন্নয়ন ও পরিবেশ রক্ষা চাই। এখানে পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে সব উন্নয়ন প্রকল্প করা হবে। একটি সেন্ট্রাল এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান (সিইটিপি) থাকবে। যদি কারও নিজস্ব ইটিপি থাকে, তবে এটিকে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায়, তাদের সিইটিপি-তে আসতে হবে।’
বৈঠকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) চেয়ারম্যান ইউসুফ হারুন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলাম, রেঞ্জ ডিআইজি নূর-ই আলম মিনা, জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার একেএম শফিউল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬টি পোশাক কারখানায় নজরদারির সুপারিশ সিপিডির
বেশি দামে ডলার বিক্রি: ১০ ব্যাংকের কোষাগার প্রধানদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ কী?
নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে মার্কিন ডলার বিক্রির অভিযোগে ১০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কোষাগার প্রধানদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শাস্তির নির্দেশনাসহ অপরাধের কথা উল্লেখ করে এসব ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, কোষাগার প্রধান এ ধরনের অপরাধের দায় উপেক্ষা করতে পারেন না।
অর্থ ও ডলারের চাহিদা ও সরবরাহের বিষয় পরিচালনা করে ব্যাংকের কোষাগার বিভাগ। কিছু ব্যাংকে কোষাগার বিভাগের প্রধান হিসেবে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে সৌদি আরবের ডাটাভোল্ট
একাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট ১০টি ব্যাংক হলো- মার্কেন্টাইল ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক।
এসব সূত্র জানায়, অভিযুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
একই অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের আগস্টে দেশি-বিদেশি ছয়টি ব্যাংকের কোষাগার বিভাগের প্রধানদের অপসারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখতে পারেনি।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিষয়। ‘এ ধরনের চিঠি নিয়মিত আসে। তাই এ বিষয়ে আমি সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
আরও পড়ুন: বেশি দামে ডলার বিক্রির জন্য ১৩ ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার: বাণিজ্য সচিব
ডিমের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ডিমের দাম যাচাইয়ের জন্য সরকার নিয়মিত বাজার মনিটরিং করবে এবং কোনো উন্নতি না হলে আরও ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
গত মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে।
কিন্তু কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) অভিযানে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে ডিম বিক্রি করছেন না।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের মার্কিন-নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যাংকগুলোর সঙ্গে লেনদেন না করার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
তাই সরকার চারটি কোম্পানিকে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে এবং প্রতিটি কোম্পানি ১ কোটি ডিম আমদানি করতে পারবে বলে জানান তপন কান্তি।
ডিম কোথা থেকে আমদানি করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, কম দামে পাওয়া যাবে এমন যে কোনো দেশ থেকে তারা ডিম আমদানি করতে পারেন।
ডিম আমদানিতে কোনো শর্ত আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো শর্ত নেই। তবে ডিমের দাম যেন ১২ টাকার বেশি না হয়।
তপন কান্তি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভোক্তাদের জন্য দিনে ৪ কোটি ডিমের প্রয়োজন এবং আমরা একদিনের জন্য আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। আমি মনে করি না এটি স্থানীয় বাজার বা কৃষকদের উপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে।’
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়বে: সালমান এফ রহমান
এর আগে ১৩ আগস্ট বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, ডিমের দাম না কমলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই ডিম আমদানির অনুমতি দেবে সরকার।
ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সদস্যরা নগরীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করছে।
বাংলাদেশ ডিম উৎপাদনকারী সমিতির মতে, চাহিদা মেটাতে দেশে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ মিলিয়ন ডিমের প্রয়োজন হয়। আর বেশিরভাগ ডিমই দেশীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিলেও আগস্টে খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ: বিবিএস
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিলেও আগস্টে খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ: বিবিএস
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারেরে উদ্যোগ সত্ত্বেও চলতি বছরের আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। আর আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির তথ্য অনুযায়ী- গত দুই মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় মূল্যস্ফীতি আগস্টে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেকার সংখ্যা ২.৭০ লাখ বেড়েছে: বিবিএস
গত দুই মাসে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর আগস্টে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। চলতি মাসে সামগ্রিকভাবে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। জুলাইয়ে তা ছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
তবে জুলাই মাসে সামগ্রিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ হলেও আগস্টে তা ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
এ ছাড়াও গ্রামীণ অঞ্চলে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি আগস্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
আগস্টে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ মানে- একজন ব্যক্তি যিনি ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ১০০ টাকায় পণ্য ও পরিষেবা কিনতেন। যা চলতি বছরের আগস্টে একই পণ্য কিনতে খরচ হয়েছে ১০৯ দশমিক ৯২ টাকা।
বিশ্লেষকরা বলেন, এক বছরের ব্যবধানে খরচ বেড়েছে ৯ দশমিক ৯২ টাকা। অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতি একটি করের মতো যা ধনী-গরিব সবার কাছেই সমান বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণ অঞ্চলে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি আগস্টে ছিল ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর শহরাঞ্চলে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ১১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশের নিচে।
আরও পড়ুন: জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৭৪ শতাংশে নেমে এসেছে: বিবিএস
বিবিএসের জিডিপি ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য নতুন পদ্ধতিতে হালনাগাদে সন্তুষ্ট আইএমএফ
ভবিষ্যতে ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়বে: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলেছেন, আগামী দিনে ব্যাংক সুদের হার বাড়বে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনস্থ সংস্থা বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সম্মেলন কক্ষে এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সালমান বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যবসায়ীরা ভীত নন।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরও এমন স্থিতিশীলতা আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬টি পোশাক কারখানায় নজরদারির সুপারিশ সিপিডির
এফবিসিসিআই নেতারা দেশের বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ এবং রাজস্ব কর্মকর্তাদের বিভিন্ন হয়রানির কথা তুলে ধরেন। জবাবে সালমান সংকট সমাধানে এফবিসিসিআইকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের কাজ ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করা। ব্যবসায়ীদের মুনাফা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব নয়।’
সালমান বলেন, ব্যবসায়ীদের নানা অভিযোগের কারণে সরকার দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকের সুদের হার নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। কিন্তু এখন আমানতের সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় ভবিষ্যতে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে না।
বর্ধিত সুদের হারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবসায়ীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সালমান বলেন, কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে রাজস্ব আদায়ে সরকারের চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং ব্যবসায়ীদের দাবি সত্ত্বেও কর কমানো হলেও ইচ্ছা অনুযায়ী রাজস্ব বাড়েনি।
দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতিনিয়ত কর প্রদানেরও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের মার্কিন-নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যাংকগুলোর সঙ্গে লেনদেন না করার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
মিয়ানমারের মার্কিন-নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যাংকগুলোর সঙ্গে লেনদেন না করার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা মিয়ানমারের দুটি ব্যাংকের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন না করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকে এ দুটি ব্যাংকের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এই দুটি ব্যাংক হলো- মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংক এবং মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য ৫২ আবেদন জমা বাংলাদেশ ব্যাংকে: মুখপাত্র
২১ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় (অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল-ওএফএসি) একটি প্রজ্ঞাপনে মিয়ানমারের এই দুটি ব্যাংকের উপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার এই ব্যাংকগুলোকে বিদেশ থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য পণ্য কেনার জন্য ব্যবহার করে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই দুই ব্যাংকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের ব্যবসায়িক হিসাব রয়েছে।
গত ৩ আগস্ট বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে সোনালী ব্যাংকে মিয়ানমারের দুটি ব্যাংকের ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে একটি চিঠি পাঠায়।
চিঠিতে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের বরাত দিয়ে স্মরণ করা হয়েছে, মিয়ানমারের দুটি ব্যাংক বর্তমানে মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। চিঠিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এরপর সোনালী ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে।
পরে, মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংক এবং মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ওপর ওএফএসি নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০ আগস্ট সব ব্যাংককে একটি চিঠি পাঠায়।
চিঠিতে ব্যাংকগুলোকে এই ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার এবং সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে আপডেট তথ্য সংগ্রহ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের এসব ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করে কোনো ব্যাংক যাতে নিষেধাজ্ঞার আওতায় না পড়ে সেজন্য লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করা একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন: বেশি দামে ডলার বিক্রির জন্য ১৩ ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
রপ্তানি বাড়াতে ৪৩টি পণ্যের জন্য সর্বোচ্চ ২০% নগদ সহায়তা ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের
বেশি দামে ডলার বিক্রির জন্য ১৩ ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
উচ্চমূল্যে মার্কিন ডলার বিক্রির জন্য ১৩টি ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
তলব করা ব্যাংকগুলো বেসরকারি খাতের, যার মধ্যে একটি শরিয়াহ-ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকও রয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়ে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাংকগুলোকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেসবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, বেশি দামে ডলার বিক্রির দায়ে সাত মানি চেঞ্জারের ট্রেডিং লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে।
একই ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরও ১০ জন মানি চেঞ্জারের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোর ওপরও নজরদারি করা হচ্ছে।
সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আগস্টে সর্বোচ্চ আমদানি মূল্য ১০৯.৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও কিছু ব্যাংক ১১৭ টাকা পর্যন্ত ডলার বিক্রি করে ১১৬ টাকায় কিনেছে।
ডলারের লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি এবং কাস্টমার সার্ভিস এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ পরিদর্শন বিভাগ পরিদর্শন করে।
সম্প্রতি ডলারের দাম বাড়ায় পরিদর্শনে পাঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তথ্য সংগ্রহের পর ডলার বিক্রির বিষয়গুলো যাচাই করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত মুনাফার কারণে ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১২টি ব্যাংকের মুনাফা থেকে সিএসআর খাতে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করার নির্দেশ দেয়। ওই তালিকায় বিদেশি মালিকানাধীন দুটি এবং বেসরকারি খাতের ১০টি ব্যাংক ছিল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।
এ সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুরুতে ডলারের দাম নির্ধারণ করলেও সংকট অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে ৪৩টি পণ্যের জন্য সর্বোচ্চ ২০% নগদ সহায়তা ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের
ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য ৫২ আবেদন জমা বাংলাদেশ ব্যাংকে: মুখপাত্র
ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬টি পোশাক কারখানায় নজরদারির সুপারিশ সিপিডির
দুর্ঘটনা এড়াতে ৮৫৬টি ঝুঁকিপূর্ণ পোশাক কারখানাকে নজরদারির আওতায় আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
বুধবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে 'পোশাক শিল্পে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা: অর্জন ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক ব্রিফিংয়ে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এ পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
এ সময় ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটির অন্য গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, দেশে এখনও অনেক ঝুঁকিপূর্ণ পোশাক কারখানা রয়েছে। ১ হাজার ৮৮৭টি কারখানা আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিলের (আরএসসি) তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং ৩৫০টি কারখানাকে নিরাপদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সচেতনতার অভাবে দূষণের মারাত্মক ঝুঁকি : সিপিডি
তিনি বলেন, ৬৫৯টি কারখানা রিমেডিয়েশন কোঅর্ডিনেশন সেলের (আরসিসি) তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং মোট ২ হাজার ৮৯৬টি কারখানা আরএসসি ও আরসিসি'র তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তবে মোট কারখানার প্রায় ২৩ শতাংশ বা ৮৫৬টি কারখানা বর্তমানে কোনো পরিদর্শনের আওতায় নেই। এসব কারখানাকে কীভাবে নিরাপত্তার আওতায় আনা যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
মোয়াজ্জেম বলেন, ৮৫৬টি কারখানা ব্যবসা করছে এবং রপ্তানিও চলছে, কিন্তু সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না।
নজরদারিবিহীন কারখানার এই সংখ্যা বাড়তে পারে এবং অদূর ভবিষ্যতে তা মোট কারখানার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এসব কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় নেবে কে? বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এর দায় নেবে না। আমরা চাই সব কারখানাই কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে জবাবদিহি করুক।’
২০২৩ সালে রানা প্লাজা ধসের দশম বার্ষিকী। এই দুর্যোগপরবর্তী দশকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে দাবি সিপিডির।
বিশেষ করে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স গঠন এবং তাদের পরিচালিত কার্যক্রম কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা তদারকির জন্য জোরালো দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি আমদানিতে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বাংলাদেশের: সিপিডি
নতুন ডিসিটিএস স্কিম যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করতে পারে: বিজিএমইএ সভাপতি
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, নতুন ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোর ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস)’ বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের একীভূতকরণে অবদান রাখবে এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করবে।
তিনি বলেন, বিজিএমইএ পোশাক কূটনীতি উদ্যোগের অধীনে বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ক্রমাগত কাজ করছে।
তিনি বিজিএমইএ সদস্যদের একটি চিঠিতে বলেছেন, তিনি ডিসিটিএস প্রকল্প স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একটি শক্তিশালী পরামর্শ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছেন।
যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।
ফারুক হাসান বলেন, যুক্তরাজ্য ছাড়াও তারা কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার বাজারে ইতিবাচক ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাজ্যে ৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছি। ২০২১-২২ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার; অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বিজিএমইএ হাসপাতালের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারি-জুলাই সময়কালে যুক্তরাজ্যে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। যা ২০২২ সালের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়েছে।
বিজিএমইএ প্রধান বলেন, আমরা আমাদের বাণিজ্যের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক সমস্ত সমস্যা সমাধান করেছি এবং সেগুলি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করার জন্য আমরা ব্রিটিশ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।
যুক্তরাজ্য সরকার সম্প্রতি ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোর ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস)’ নামে একটি নতুন ট্যারিফ স্কিম চালু করেছে।
এই স্কিমটি ইউরোপিয় ইউনিয়নের জিএসপি স্কিমের জায়গায় নিয়েছে। এর অধীনে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পায়।
নতুন স্কিম অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর তৈরি পোশাকগুলো যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করার সময় যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ডিসিটিএস আমদানি করা কাঁচামাল ব্যবহার করে শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার সহজ করবে।
ডিসিটিএস ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি প্লাস স্কিমের অনুরূপ। ২০২৪-৩৪ সালের জন্য ইইউ'র খসড়া জিএসপি প্রস্তাবে বাংলাদেশের পোশাক পণ্যগুলো টেক্সটাইল সুরক্ষা ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে পারে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের ডিসিটিএসে এ ধরনের টেক্সটাইল সুরক্ষা বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
তিনি বলেন, বিজিএমইএ এও বাংলাদেশ সরকার ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এমনকি অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশগুলোর জন্য কিছু আন্তর্জাতিক কনভেনশন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ডিসিটিএস আরও নমনীয় বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যাইহোক আমরা সামাজিক ও পরিবেশগত মান অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আরও এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, যেহেতু আমরা আমাদের শিল্পকে নিরাপদ এবং টেকসই করার জন্য প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করছি ওকরছি। আমরা ব্রিটিশ পোশাকের ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে একটি ক্রমবর্ধমান প্রতিশ্রুতি ও আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি।
যুক্তরাজ্যের বাজার নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানোর জন্য সবাইকে উৎসাহিত করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
বিশেষত বাসার বাইরে পরার পোশাক, প্রথাগত পোশাক (ফরমাল) ও সব সময় ব্যবহারের উপযোগী পোশাক এবং সুতি ছাড়া অন্য কাপড়গুলো নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলতে পারে।
যুক্তরাজ্যের উন্নয়নশীল দেশগুলোর ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস) কার্যকর হয়েছে যা বাংলাদেশসহ ৬৫টি উন্নয়নশীল দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারী পণ্যের উপর ট্রেডিং নিয়মগুলোকে সহজ করে এবং শুল্ক কমিয়ে দেয়।
বাণিজ্য বৃদ্ধি, চাকরি বৃদ্ধি ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাহায্য করবে ডিসিটিএস। এই নতুন পরিকল্পনা আধুনিক ও পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতির নিদর্শন।
ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন বলেছে, ডিসিটিএস-এ পরিবর্তনের অর্থ হলো বাংলাদেশ তৈরি পোশাকসহ রপ্তানির ৯৮ শতাংশ শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ইরাক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আশাবাদী বিজিএমইএ সভাপতি
বাংলাদেশ জুলাইয়ে আরএমজি রপ্তানি করে ৩.৯৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: বিজিএমইএ