আন্তর্জাতিক-ব্যবসা-বাণিজ্য
সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬.৭৮ শতাংশ: ইপিবি
পোশাক খাতে শ্রমিক অসন্তোষ সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২০ মিলিয়ন ডলার বেশি।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে রপ্তানি আয় পর্যালোচনা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ব্যাংক আলফালাহর অধিগ্রহণ শুরু করেছে ব্যাংক এশিয়া
তিনি বলেন, এনবিআর অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের মতে রিয়েল টাইম শিপমেন্টের তথ্যের ভিত্তিতে তারা তথ্য প্রস্তুত করেছেন।
তিনি বলেন, 'এখন থেকে আমরা প্রতি মাসের রপ্তানি আয়ের বিস্তারিত বিশ্লেষণ তুলে ধরব।’
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৫ দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়ে ১১ দশমিক ৩৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এটি ২০২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১০ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রথম চালানে ১২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি
১ দিন আগে
বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রথম চালানে ১২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৩টি ট্রাকে করে ভারতে ১২ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১২ মেট্রিক টন ইলিশের এ চালান ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়ার পর ট্রাকগুলো বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে পৌঁছেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল মৎস্য কর্মকর্তা।
এবারের রপ্তানির প্রতি কেজি ইলিশের মূল্য ১০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। ভারতের অনুরোধের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার ৪৯টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতির প্রতিবাদে অন্তর্বর্তী সরকারকে আইনি নোটিশ
ভারতের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, আর জে এন্টারপ্রাইজ ও আর এস এন্টারপ্রাইজ, কলকাতা।
বাংলাদেশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, স্বর্ণালী এন্টার প্রাইজ, সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ ও সোমা এন্টারপ্রাইজ।
বেনাপোল বন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ৪৯টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। গুণগত মান পরীক্ষা করে ১২ মেট্রিক টন ইলিশের ছাড়পত্র দেওয়ার পর ইলিশের চালানগুলো আজ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজিব জানান, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১২ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। ইলিশের চালানগুলো বন্দরে প্রবেশের পর দ্রুত রপ্তানির জন্য বন্দরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইলিশ রপ্তানি বন্ধে হাইকোর্টে রিট
২ সপ্তাহ আগে
জ্বালানি আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রা সহায়তা বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক
বিদেশ থেকে পেট্রোলিয়াম জ্বালানি ও গ্যাস আমদানি অব্যাহত রাখতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কর্মকর্তারা জানান, বিদেশি গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম সরবরাহকারীদের পাওনা পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আরও বৈদেশিক মুদ্রা সহায়তা পাচ্ছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
জ্বালানি সচিব নুরুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘আগে আমরা বিদেশি কোম্পানিকে গ্যাস ও পেট্রোলিয়ামের বিল পরিশোধ করার জন্য প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার পেয়ে আসছি। এখন আমরা সেই পরিমাণের চেয়ে বেশি পাচ্ছি।’
সম্প্রতি বিদেশি গ্যাস ও জ্বালানি সরবরাহকারীদের সঙ্গে সরকারের বকেয়া বিল ৫০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে জ্বালানি সচিব এমন মন্তব্য করলেন।
সাম্প্রতিক নগদ অর্থ, বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহের ক্ষেত্রে পেট্রোলিয়াম জ্বালানি ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি এবং বিদেশি কোম্পানির পরিচালিত স্থানীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস কেনার ক্ষেত্রে এক প্রকার অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, গ্যাস কেনার জন্য পেট্রোলিয়াম আমদানির দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পাওনা ২২ কোটি ডলার এবং শেভরন বাংলাদেশেসহ বিদেশি কোম্পানির কাছে গ্যাস ক্রয়ের জন্য পেট্রোবাংলার পরিশোধ করতে হবে ২৮ কোটি ডলার।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সরবরাহকারীদের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক করায় কর পরিশোধ পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন নুরুল আলম।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, বিদেশ থেকে পেট্রোলিয়াম ও এলএনজি আমদানি অব্যাহত রাখা এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে গ্যাস কেনায় কোনো সমস্যা হবে না।’
বাংলাদেশকে প্রতি বছর সাড়ে ৬ থেকে ৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে পৃথক বার্ষিক চুক্তির আওতায় আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সাড়ে ৬ মিলিয়ন টন বিভিন্ন পেট্রোলিয়াম জ্বালানি আমদানি করতে হয়। এর মধ্যে কাতার গ্যাস, ওমান ট্রেডিং এবং স্পট মার্কেট থেকে ৪ দশমিক ৫৫৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে এলএনজি (৫ দশমিক শূন্য ৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন) আমদানি করতে হয়।
এছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পরিশোধ করতে হয়। যার পরিমাণ ৪ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
২০২২ সালে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসার পর পেট্রোলিয়াম জ্বালানি ও এলএনজি আমদানি চাপের মুখে পড়ে।
ফলে গত বছরের কিছু সময়ের জন্য এলএনজি আমদানি কমাতে হয় সরকারকে।
১ মাস আগে
ব্যাংক আলফালাহর অধিগ্রহণ শুরু করেছে ব্যাংক এশিয়া
পাকিস্তানভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশের অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ব্যাংক এশিয়া। এটি ব্যাংক এশিয়ার তৃতীয় বিদেশি ব্যাংক অধিগ্রহণ।
এর আগে ২০০১ সালে কানাডাভিত্তিক নোভা স্কশিয়া এবং আরেকটি পাকিস্তানি ব্যাংক মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যক্রম অধিগ্রহণ করে ব্যাংক এশিয়া।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক কর, নিরীক্ষা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউসকুপারস (পিডব্লিউসি) বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ কার্যক্রমের নিরীক্ষা ও মূল্যায়ন পরিচালনা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক অধিগ্রহণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা, যা ব্যাংক এশিয়া কয়েক কিস্তিতে পাকিস্তানকে হস্তান্তর করবে। চলতি বছরেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তারা।
গত মাসে ব্যাংক এশিয়া ও ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ-সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ছিলেন ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হুসেইন ও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএনএম মাহফুজ।
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ব্যাংক এশিয়া অধিগ্রহণের অর্থ একাধিক কিস্তিতে পরিশোধ করবে, যার একটি অংশ প্রাথমিক পর্যায়ের এক বছর পর পরিশোধ করা হবে।
৩ মাস আগে
চীনের সঙ্গে আরও শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক চায় এফবিসিসিআই
দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করতে চীনের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়তে চায় দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
এ লক্ষ্যে চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (সিসিপিআইটি) ও চায়না চেম্বার অব ইন্টারন্যাশনাল কমার্সের (সিসিওআইসি) সঙ্গে যোগাযোগ আরও জোরদার করতে চায় এফবিসিসিআই।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইং, শাংরি-লা সার্কেলে চীনের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
সভায় আরও ছিলেন সিসিপিআইটি ও সিসিওআইসির ব্যবসায়ী নেতারা।
বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরে বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনার সুযোগ লুফে নিতে চীনের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশের শক্তিশালী অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কৌশলগত অবস্থান এবং অনুকূল ব্যবসায়িক নীতির কথা তুলে ধরে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান এবং চীনা কোনো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে এফবিসিসিআই চীনা বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বস্ত্র ও তৈরি পোশাক, হালকা প্রকৌশল খাতের সম্ভাবনা ও সুযোগকে কাজে লাগাতে সিসিপিআইটি ও সিসিওআইসির যৌথ গবেষণা উদ্যোগ এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ওপর বিশেষ জোর দেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এসময় প্রযুক্তি স্থানান্তরে চীনা ব্যবসায়ীদের সহায়তাও চান মাহবুবুল আলম।
বৈঠকে সিসিপিআইটির মহাসচিব সান শিয়াও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবকাঠামোগত উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের পারস্পরিক সুবিধাগুলোকে আরও শক্তিশালী করে নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রবাহের সুবিধার্থে একটি বৈশ্বিক করিডোর নির্মাণে সিসিপিআইটির কার্যক্রম ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি।
বৈঠকে আরও ছিলেন- এফবিসিসিআইর সহসভাপতি মো. খায়রুল হুদা চপল, শমী কায়সার, মো. রাশাদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ, এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি. আহমদ, এফবিসিসিআইইর সাবেক সহসভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডন, এফবিসিসিআই পরিচালক মোহাম্মদ আলী খোকন, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, সাবেক পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর, সিসিওআইসির মহাপরিচালক সু চিনলি, সিসিপিআইটির পরিচালক চু ইয়িংমিন, সিসিপিআইটির চাও চিন।
৩ মাস আগে
রপ্তানি উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে ইপিবি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দায়িত্বশীল ভূমিকায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের উন্নতি হচ্ছে।’
রাজধানীর ইপিবি কনফারেন্স রুমে মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদের ১৪৬তম সভায় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ৬৩ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি একটা সময় অবিশ্বাস্য ছিল। সরকারের লক্ষ্য পরের ৩ অর্থবছরে রপ্তানি ১১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা। সে লক্ষ্য পূরণে পরিবর্তন ও সহযোগিতা লাগবে।’
তিনি বলেন, ‘রপ্তানি সংখ্যার তুলনায় কিভাবে স্থানীয় রিসোর্স ব্যবহার করা যায়, কত বেশি কর্মসংস্থান করা যায়, সেসব দিকে নজর দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: রমজানের মতো ১২ মাস একইভাবে কাজ করব: টিটু
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আগামীতে পণ্যের সেক্টর করে আলাদা করে মেলা করতে হবে। মেলায় দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। এতে করে মেলার উদ্দেশ্য পূরণ হবে।’
এছাড়া আগামী সেপ্টেম্বরে পূজার সময় কলকাতায় দেশীয় শাড়ির মেলা করা হবে বলে জানান তিনি।
এসময় পর্ষদের সদস্য হিসেবে হামিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ, এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
৩ মাস আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বাড়বে ৫.৭ শতাংশ: বিশ্ব ব্যাংকের পূর্বাভাস
বেসরকারি ব্যয় বৃদ্ধি ও বড় বিনিয়োগ প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সামান্য বেড়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এই পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস প্রতিবেদনের অংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে (২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন) প্রকৃত মজুরি বৃদ্ধি এবং বেসরকারি ব্যয়ের ওপর উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাব পড়ায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ধীর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া উচ্চ ঋণের খরচ চাহিদা কমিয়েছে।
পাকিস্তানে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ যদিও এখনও অবনমিত, আমদানি নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার পর ২০২৩ সালের শেষের দিকে এবং চলতি বছরের প্রথম দিকে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধিসহ উন্নতি করেছে। ২০২৩ সালে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছেছে, যা মূলত ভারতের দ্রুত প্রবৃদ্ধির কারণে হয়েছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে এই অঞ্চলে মিশ্র বেসরকারি খাতের কার্যক্রম দেখা গেছে। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় সংক্রমণ বাড়লেও চলমান আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বাংলাদেশ শিল্পবিষয়ক কার্যক্রমে বাধার সম্মুখীন হয়েছে।
বর্ষার কারণে কৃষি উৎপাদনে ব্যাঘাত সত্ত্বেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে (২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ) শিল্প ও পরিষেবা কার্যকলাপের কারণে ভারতের প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী হয়েছে।
শ্রীলঙ্কা পর্যটন ও রেমিট্যান্স পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সফলতা অর্জন করেছে, যদিও উভয়ই প্রাক-মহামারি স্তরের নিচে রয়েছে। আংশিকভাবে পর্যটন এবং রেমিট্যান্স পুনরুদ্ধারের কারণে ভুটান এবং নেপালও প্রবৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে করনীতির ধারাবাহিকতা চান মার্কিন ব্যবসায়ীরা: সালমান এফ রহমান
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি ২০২৪ সালে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হবে এবং ২০২৫-২৬ সাল পর্যন্ত এই হারে থাকবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ২০২৪ সালে স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৫-২৬ সালে সামান্য বেড়ে ২ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হওয়ার আগে প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৬ শতাংশে স্থির থাকবে। যা কোভিড-১৯ সময়ের আগের গড় ৩ দশমিক ১ শতাংশের চেয়ে কম।
উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলো ২০২৪-২৫ সালে গড়ে ৪ শতাংশ হারে বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় কিছুটা ধীর। নিম্ন আয়ের অর্থনীতির দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি ২০২৩ সালের ৩ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে ৫ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ২০২৪ সালের জানুয়ারি প্রথম তিন মাসে এসব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমেছে।
বিপরীতে, উন্নত অর্থনীতির দেশগুলো ২০২৪ সালে ১ দশমিক ৫ শতাংশে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি বজায় রাখবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা ২০২৫ সালে ১ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের দৃষ্টিভঙ্গি
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্ডারমিট গিল বলেন, 'মহামারি, সংঘাত, মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রানীতির কড়াকড়ির কারণে সৃষ্ট উত্থানের চার বছর পর মনে হচ্ছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল রয়েছে।’ ‘তবে ২০২০ সালের আগের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কম পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্বের দরিদ্রতম অর্থনীতির পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক। তারা শাস্তিমূলক মাত্রার ঋণ পরিশোধ, বাণিজ্য সম্ভাবনা সংকুচিত এবং ব্যয়বহুল জলবায়ু ইভেন্টগুলোর মুখোমুখি হয়। উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোকে বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা, সরকারি ঋণ হ্রাস এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়নের উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’
চারটি উন্নয়নশীল অর্থনীতির মধ্যে ২০১৯ সালের তুলনায় একটি দেশ দরিদ্র থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উন্নয়নশীল ও উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে আয়ের ব্যবধান ২০২০-২৪ সালে প্রায় অর্ধেক উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে বাড়বে, যা ১৯৯০-এর দশকের পর সর্বোচ্চ। ২০২৬ সালের মধ্যে এসব অর্থনীতিতে মাথাপিছু আয় গড়ে ৩ দশমিক শূন্য শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা কোভিড-১৯ এর আগের গড় ৩ দশমিক ৮ শতাংশের নিচে।
আরও পড়ুন: হোন্ডার বৈদ্যুতিক গাড়িতে বিনিয়োগ ঘোষণা, লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাজার
বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালে সাড়ে ৩ শতাংশ এবং ২০২৫ সালে ২ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই পতন আগের প্রত্যাশার চেয়ে ধীর। অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২৫-২৬ সালের তুলনায় গড়ে প্রায় ৪ শতাংশ সুদের হার বেশি রাখতে পারে, যা ২০০০-১৯ সালের গড়ের দ্বিগুণ।
গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস রিপোর্টে বেসরকারি বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সরকারি বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে সরকারি বিনিয়োগ জিডিপির ১ শতাংশ বাড়ালে মাঝারি মেয়াদে উৎপাদন ১ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
প্রতিবেদনটি রাজস্ব স্থিতিশীলতা, ব্যয় দক্ষতা ও রাজস্ব কাঠামো উন্নত করার জন্য ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হওয়া ছোট দেশগুলোর কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিপিসিসিআই সভাপতি হুমায়ুন রশীদের বৈঠক
৩ মাস আগে
ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিপিসিসিআই সভাপতি হুমায়ুন রশীদের বৈঠক
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ ফিলিপাইন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিপিসিসিআই) নবনিযুক্ত সভাপতি হুমায়ুন রশীদ।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সংগঠনটির সহসভাপতি ইমরান আহমেদ।
সোমবার(১১ জুন) ঢাকাস্থ ফিলিপাইন দূতাবাসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক চলাকালে, নতুন নির্বাচিত কমিটির পক্ষ থেকে হুমায়ুন রশীদ ও ইমরান আহমেদ বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করে কার্যকরী বাণিজ্য কৌশলসহ দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়ের সম্ভাব্য সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
বৈঠকে বিপিসিসিআই সভাপতি ও সহসভাপতি ২০২৪ ও ২০২৫ সালে সংগঠনের লক্ষ্য তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সংগঠনের প্রতিশ্রুতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ফলপ্রসূ এ বৈঠকে বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে ভবিষ্যৎ সহযোগিতামূলক কার্যক্রম এবং অংশীদারিত্বের সুযোগ নিয়ে মতবিনিময় করা হয়। এতে উভয় পক্ষই নতুন সুযোগ এবং বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করে।
বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল দুই অর্থনীতির দেশ – বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে বিপিসিসিআই।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিপিসিসিআই দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পরিসর বাড়ানোর লক্ষ্য অর্জনেও ভূমিকা রাখে এই সংগঠনটি।
৩ মাস আগে
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে করনীতির ধারাবাহিকতা চান মার্কিন ব্যবসায়ীরা: সালমান এফ রহমান
মার্কিন ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে করনীতির ধারাবাহিকতা চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
সোমবার (২৭ মে) বিকালে আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবনের কনফারেন্স রুমে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ বিজনেস ডেলিগেশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
বৈঠকে আরও অংশ নেন বোয়িং, এক্সিলারেট, আমাজন, মেটা, ভিসা কার্ডসহ বড় বড় কোম্পানির প্রতিনিধিরা।
ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল হওয়ার আশা প্রকাশ করে সালমান এফ রহমান বলেন, ব্যাংক খাতের সংস্কারে কাজ করছে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক। শেয়ারবাজারের দুর্বলতার দূর করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা আরও জানান, ‘দেশের অর্থনীতিতে অবশ্যই চ্যালেঞ্জ আছে। তবে আমরা তা মোকাবিলা করতে পারব। ডলার সংকটও কমে আসছে।’
ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ বিজনেস ডেলিগেশনের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে সালমান এফ রহমান বলেন, কৃষিখাতে অনেকগুলো বিদেশি প্রতিষ্ঠান এআই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে এগিয়ে আসছে। তারা দেশে বিনিয়োগ করতে চায়। বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ আছে বলে জানিয়েছেন তারা।
মেটা (ফেসবুক) বাংলাদেশে এআই নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী আছে বলেও জানান সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, ‘অ্যামাজনের বাংলাদেশে অলরেডি ব্যবসা করছে। যারা এখন আমদানি রপ্তানি নিয়েও কাজ করতে চায়।’
প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, ভিসা, মাস্টারকার্ড আগামীতে এআই প্রযুক্তি যুক্ত করতে চায়। টোল প্লাজা বা মেট্রোরেলের টিকেট কাটতে লম্বা লাইন ধরতে হয়। সেই সমস্যার সমাধান হবে ভিসা, মাস্টার কার্ডে এআই প্রযুক্তি যুক্ত হলে। এআইর মাধ্যমে পেমেন্ট হবে।
দেশের ব্যাংক খাতের সংস্কার দরকার জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, ‘এ বিষয়ে কাজ চলছে। তারল্য সংকট কাটাতে কী করা যায় সেটা নিয়েও আলোচনা চলমান রয়েছে।’
৪ মাস আগে
হোন্ডার বৈদ্যুতিক গাড়িতে বিনিয়োগ ঘোষণা, লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাজার
জাপানি গাড়ি নির্মাতা হোন্ডা জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ বিশ্বজুড়ে বৈদ্যুতিক যানবাহন (ইভি) সরবরাহ করতে ২০৩১ অর্থবছরের মধ্যে ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন (৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বিনিয়োগ করবে।
বৃহস্পতিবার (১৬) টোকিওভিত্তিক কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মোটরসাইকেলসহ এর মতো ছোট বাহনের ক্ষেত্রে ইভি যে সবচেয়ে কার্যকর সমাধান- এই বিশ্বাস হোন্ডা এখনও বদলায়নি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে ব্যাটারি ইভি ও জ্বালানি সেল ইভি হোন্ডা মোটর কোম্পানির বিশ্বব্যাপী যানবাহন বিক্রয়ের ৪০ শতাংশ দখলে নেবে এবং ২ মিলিয়নেরও বেশি ইভির জন্য বিশ্বব্যাপী উৎপাদন ক্ষমতা অর্জন করবে।
আরও পড়ুন: টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়িকে টক্কর দিতে চীনা কোম্পানির নতুন ব্র্যান্ড
কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী তোশিহিরো মিবে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা টেকসই লক্ষ্য অর্জনের জন্য জীবনযাত্রার পরিবর্তনে অগ্রণী হয়ে উঠব, অন্য কারও মোকাবিলার জন্য অপেক্ষা করব না।’
তোশিহিরো মিবে বলেন, ‘শূন্য দুর্ঘটনার লক্ষ্য নিয়ে হোন্ডা উৎপাদন সারিতে হাইব্রিড গাড়ি রাখছে। কারণ এতে ব্যাটারির কার্যকারিতা বেড়ে যায়এবং সেগুলো তুলনামূলক পাতলা হয়। ফলে বৈদ্যুতিক যানবাহনের ক্ষমতা বেড়ে যায়।’
হোন্ডা জানিয়েছে, ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন (৬৫ বিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগের মধ্যে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ইয়েন (১৩ বিলিয়ন ডলার) সফটওয়্যার নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়নে এবং আরও ২ ট্রিলিয়ন ইয়েন (১৩ বিলিয়ন ডলার) যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং চীনের মতো প্রধান বাজারগুলোতে বড় পরিসরে ইভি’র সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরিয়ে ব্যয় করা হবে।
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ৩০% বৈদ্যুতিক যানবাহন করতে চায় সরকার: সালমান এফ রহমান
৪ মাস আগে