ক্রিকেট
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা বিসিবির
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ চলমান। এর মধ্যেই শুক্রবার (৩ জুলাই) তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টির সিরিজের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে ফিরেছেন তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও নাঈম শেখ।
আর এক বছরেরও বেশি সময় পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন সাইফউদ্দিন। সবশেষ, গত বছরের মে মাসে জিম্বাবুয়ে সিরিজে এই ফরম্যাটে খেলেছিলেন তিনি।
আগামী ১০ জুলাই ক্যান্ডিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে। ডাম্বুলায় দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে ১৩ জুলাই। তিন দিন পর ১৬ জুলাই শেষ টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে কলম্বোতে। সবগুলো ম্যাচ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে।
পড়ুন: টেস্টের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত
টি- টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ স্কোয়াড: লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নাঈম শেখ, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
এদিকে, শনিবার (৪ জুলাই) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
৩ দিন আগে
রংপুর ক্রিকেট গার্ডেনের দুরবস্থায় বিসিবি সভাপতি হতাশ
রংপুরের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে সব ধরনের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে রংপুর ক্রিকেট গার্ডেনে বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা অর্জনের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী উৎসব চলাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্রিকেট গার্ডেনের আউটফিল্ড দেখে হতাশা প্রকাশ করে বিসিবি সভাপতি বলেন, এই ধরনের মাঠ ক্রিকেটের জন্য কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে অনেক ভালো করার জায়গা আছে। বিভাগীয় শহর হওয়ার পরও রংপুরে বিভাগীয় স্টেডিয়াম, ইনডোর স্টেডিয়াম নেই। এটি দুঃখজনক।
তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটটা শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক নয়, সব জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভালোমানের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফ তৈরিতে অতীতের ভুল শুধরিয়ে নতুন ধারায় এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।’
পাশাপাশি রংপুরে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও একাডেমিসহ ক্রিকেটারদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার দ্বার উন্মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন বিসিবি সভাপতি।
আরও পড়ুন: টেস্টের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত
মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘সারা দেশের অন্যান্য বিভাগীয় নগরীর মতো রংপুরও সেসব সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখে। কারণ রংপুর থেকেও ক্রিকেটাররা জাতীয় ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করছে। এখানকার ক্রিকেটারদের মেধা আছে। সেই মেধার মুল্যায়ন অবশ্যই বিসিবি করবে।’
রংপুরে গত পাঁচ বছরে কোনো লিগ বা টুর্নামেন্ট আয়োজন না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগে কী হয়েছে জানি না, তবে এখন ধাপে ধাপে সবকিছু করা হবে। দেশের কোনও অঞ্চলই অবহেলিত থাকবে না। সব অঞ্চলের খেলোয়াড়দের মূল্যায়নের আওতায় আনা হবে। সব বিভাগেই বয়সভিত্তিক লিগ ও টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে।’
পরে অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিসিবি সভাপতি জেলা ও স্থানীয় প্রশাসন। তিনি ক্ষুদে ক্রিকেটারদের সঙ্গেও কথা বলেন এবং তাদের উৎসাহিত করেন।
১০ দিন আগে
টেস্টের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি ইনিংস ব্যবধানে হারের পর আরও এক দুঃসংবাদ পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভক্তরা। টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
শনিবার (২৮ জুন) কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ৭৮ রান ও ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জায় পড়ে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন শান্ত।
সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানিয়েছেন, টেস্ট দলের নেতৃত্বে আর থাকতে চান না তিনি। বিসিবিকেও এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
২০২৪ সালে ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব পান নাজমুল। পরে এ বছরের শুরুতে টি–টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়েন তিনি। সে সময় তার স্থলাভিষিক্ত হন লিটন দাসকে। এরপর চলমান শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুরুর আগে তাকে ওয়ানডে দলের নেতৃত্বেও না রাখার বিষয়টি জানতে পারেন শান্ত। তার বদলে মেহেদী হাসান মিরাজকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ
এরপর কলম্বো টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার গুঞ্জন ওঠে। টেস্ট হারের পর সেই গুঞ্জন বাস্তবতায় পরিণত হলো।
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের ত্রয়োদশ টেস্ট অধিনায়ক শান্ত। তার অধীনে ১৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। এর মধ্যে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি, পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।
এ ছাড়া ওয়ানডে ফরম্যাটে শান্তর অধীনে ১৩ ম্যাচ খেলে ৪টি জিততে পেরেছে বাংলাদেশ।
অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট ও ওয়ানডেতে শান্তর ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্স ভালোই ছিল বলতে হয়। টেস্টে ক্যারিয়ারে তার ব্যাটিং গড় ৩২ হলেও অধিনায়ক হিসেবে তার গড় ৩৬। তার পুরো ক্যারিয়ারে ৭ সেঞ্চুরি আর ৫ ফিফটির মধ্যে ৩টি সেঞ্চুরি ও ২টি অর্ধ-শতক এসেছে অধিনায়ক হওয়ার পর।
সবশেষ, চলতি সিরিজে এক টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে দুই ইনিংসে শতক হাঁকানোর নজিরও গড়েন তিনি। গল টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৪৮ রান ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৫ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেন সদ্য টেস্টের অধিনায়কত্ব ছাড়া এই ব্যাটার।
ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে তিনি আরও ভালো খেলেছেন। অধিনায়ক হিসেবে তার ব্যাটিং গড় ৫১। ক্যারিয়ারসেরা অপরাজিত ১২২ রানের ইনিংসটি অধিনায়ক থাকাকালেই এসেছে তার ব্যাট থেকে। সঙ্গে তার স্ট্রাইক রেটেও উন্নতি হয়েছে।
১০ দিন আগে
দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ
গলে প্রথম টেস্ট অবিশ্বাস্যভাবে ড্র হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় টেস্টে অবিশ্বাস্য কিছু না হলে যে হারতে চলেছে বাংলাদেশ, তা একপ্রকার নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল গতকালই। ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে পারে কি না—শুধু তা-ই দেখার অপেক্ষা ছিল। তবে সেই আশা পূরণেও ব্যর্থ হয়েছে টাইগাররা।
কলম্বো টেস্টের তৃতীয় দিন ১১৫ রান তুলতে গিয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। এরপর চতুর্থ দিন শুরুর পর মাত্র ৩৪ বলেই গুটিয়ে গিয়েছে টাইগারদের ইনিংস।
দ্বিতীয় ইনিংসে স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে কেবল লিটন দাসই আউট হতে বাকি ছিলেন। তবে চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর পর পঞ্চম বলেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।
লিটনের আউটে বাংলাদেশ ১১৭ রানে সাত উইকেট হারানোর পর স্কোরবোর্ডে আর ১৬ রান যোগ করতে পারেন লেজের দিকের ব্যাটাররা। ফলে ৭৮ রান ও এক ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবতে হয় নাজমুল হোসেন শান্ত অ্যান্ড কোং-কে।
প্রথম ইনিংসে কেউ অর্ধশত ছুঁতে না পারলেও বেশ কয়েকটি ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসে ২৪৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রবাথ জয়সুরিয়ার বোলিং তাণ্ডবে ১৩৩ রানেই শেষ হয় টাইগারদের ইনিংস। এই ইনিংসে একাই পাঁচ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন জয়সুরিয়া।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৮০ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ, যা শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের ৪৫৮ রান টপকে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ১৫৮, দীনেশ চান্দিমালের ৯৩ ও কুশল মেন্ডিসের ৮৪ রানের ইনিংসে ভর করে ওই রান করে স্বাগতিকরা।
বল হাতে তাইজুল ইসলামও পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন, যা ছিল বিদেশের মাটিতে দ্বিতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টেস্টে সর্বোচ্চ পাঁচবার পাঁচ উইকেট করে নেওয়ার রেকর্ড। তবে লজ্জাজনক হারে সেই রেকর্ড ম্লান হয়েছে।
টেস্ট ইতিসাসে এটি বাংলাদেশের ৪৭তম ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়। আর সর্বোচ্চ ৯ বার টাইগারদের এই তেতো অভিজ্ঞতা দিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বিপক্ষে একই সংখ্যক টেস্ট ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে জেতার রেকর্ড আছে দক্ষিণ আফ্রিকারও। এই রেকর্ডে শ্রীলঙ্কা আজ প্রোটিয়াদের পাশে বসল।
আরও পড়ুন: ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ, ১১৫ রানেই সাজঘরে ৬ টাইগার ব্যাটার
১০ দিন আগে
ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ, ১১৫ রানেই সাজঘরে ৬ টাইগার ব্যাটার
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টিতে তৃতীয় দিন শেষে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২৭ জুন) দ্বিতীয় ইনিংসের তৃতীয় দিনে শ্রীলঙ্কার ২১১ রানের বড় লিডের সামনে নেমে ৯৬ রানে পিছিয়ে থেকে ১১৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করেছে টাইগাররা।
এ দিন শেষে, উইকেট কিপার ব্যাটার লিটন কুমার দাস ১৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ জুন) কলম্বোর সিনহালিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে শ্রীলঙ্কার বড় লিড সামনে রেখে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। দুই টাইগার ওপেনার জুটি বড় করতে পারেননি। ১৯ বলে ১৯ রান করে আসিথা ফারনানদোর শিকার হয়ে ডাগ আউটে ফেরেন এনামুল হক। সঙ্গীকে হারিয়ে সাদমান ইসলামও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। পরের ওভারেই প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে কনকাসন সাবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২৪ বলে ১২ রান করা এই টাইগার ওপেনার। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে মুমিনুল হক ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ইনিংস বড় করতে পারেননি। মুমিনুল ১৫ ও শান্ত ১৯ রান করে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর মুশফিকুর রহিমও প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। ফেরেন ৫৩ বলে ২৬ রান করে। শেষ দিকে, ইনিংসের ৩৮তম ওভারে থারিন্দ্য রত্নায়েকের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ১১ রান করা মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হলে আম্পায়ার দিনের শেষ ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে শান্তির বার্তা দিলেন রোনালদো
এর আগে, শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডারে আবারও ব্যাট হাতে ঝলক দেখালেন পাথুম নিসাঙ্কা। ২৫৪ বল মোকাবিলায় ১৯টি চারের সাহায্যে তিনি করেন ১৫৮ রান। এর আগে গলে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টেও ১৮৭ রান করেছিলেন তিনি। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ড্র দিয়ে শেষ হয়েছিল।
নিসাঙ্কার সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১৯৪ রানের জুটি গড়েন দীনেশ চান্দিমাল, যিনি করেন ৯৩ রান। পরে কুশল মেন্ডিসের ৮৭ বলে ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংস শ্রীলঙ্কার লিডকে আরও বড় করে তোলে।
দুপুরের সেশনে কয়েকটি উইকেট হারালেও পুরো ইনিংসে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল শ্রীলঙ্কার কাছেই।
বাংলাদেশের পক্ষে বাম-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ছিলেন একমাত্র উল্লেখযোগ্য বোলার। ৪২.৫ ওভারে ১৩১ রানে ৫টি উইকেট নিয়ে তিনি দলের হয়ে লড়াই করেন। নাইম হাসান ৩ উইকেট নিলেও ধারাবাহিকতা ছিল না। পেস আক্রমণে এবাদত হোসেন ও নাহিদ রানা দুজনই ছিলেন উইকেটশূন্য।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। তবে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি। শাদমান ইসলাম ৪৬ রান করেন। মেহেদি হাসান মিরাজ (৩১), তাইজুল ইসলাম (৩৩) ও লিটন দাস (৩৪) কিছু রান যোগ করলেও কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি।৮০ ওভারে ২৪৭ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার আসিথা ফার্নান্দো ৩ উইকেট নেন ৫১ রানে এবং সোনাল দিনুশা ২২ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের সূচি প্রকাশ করল বিসিবি
বড় লিড কাটিয়ে উঠতে এখন ব্যাট হাতে দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের সামনে। ম্যাচে টিকে থাকতে প্রয়োজন বড় ইনিংস।
১০ দিন আগে
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ, ৮৬ রানেই নাই ৪ উইকেট
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টির তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ২১১ রানের বড় লিড সামনে খেলতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৩০ রানে পিছিয়ে থেকে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৮৬ রান তুলতেই সাজঘরে ফিরেছেন ৪ টাইগার ব্যাটার।প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ১৩১ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেছেন টাইগার স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
শুক্রবার (২৭ জুন) কলম্বোর সিনহালিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে শ্রীলঙ্কার বড় লিড সামনে রেখে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। দুই টাইগার ওপেনার জুটি বড় করতে পারেননি। ১৯ বলে ১৯ রান করে আসিথা ফারনানদোর শিকার হয়ে ডাগ আউটে ফেরেন এনামুল হক। সঙ্গীকে হারিয়ে সাদমান ইসলামও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। পরের ওভারেই প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে কনকাসন সাবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২৪ বলে ১২ রান করা এই টাইগার ওপেনার। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে মুমিনুল হক ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ইনিংস বড় করতে পারেননি। মুমিনুল ১৫ ও শান্ত ১৯ রান করে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। বর্তমানে, মুশফিকুর রহিম ১৬ ও উইকেট কিপার ব্যাটার লিটন কুমার দাস ৫ রানে অপরাজিত থেকে প্রাথমিক ব্যাটিং বিপর্য সামলে উঠার চেষ্টা করছেন।
এর আগে, টপ অর্ডারে আবারও ব্যাট হাতে ঝলক দেখালেন পাথুম নিসাঙ্কা। ২৫৪ বল মোকাবিলায় ১৯টি চারের সাহায্যে তিনি করেন ১৫৮ রান। এর আগে গলে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টেও ১৮৭ রান করেছিলেন তিনি। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ড্র দিয়ে শেষ হয়েছিল।নিসাঙ্কার সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১৯৪ রানের জুটি গড়েন দীনেশ চান্দিমাল, যিনি করেন ৯৩ রান। পরে কুশল মেন্ডিসের ৮৭ বলে ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংস শ্রীলঙ্কার লিডকে আরও বড় করে তোলে।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের সূচি প্রকাশ করল বিসিবি
দুপুরের সেশনে কয়েকটি উইকেট হারালেও পুরো ইনিংসে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল শ্রীলঙ্কার কাছেই।
বাংলাদেশের পক্ষে বাম-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ছিলেন একমাত্র উল্লেখযোগ্য বোলার। ৪২.৫ ওভারে ১৩১ রানে ৫টি উইকেট নিয়ে তিনি দলের হয়ে লড়াই করেন। নাইম হাসান ৩ উইকেট নিলেও ধারাবাহিকতা ছিল না। পেস আক্রমণে এবাদত হোসেন ও নাহিদ রানা দুজনই ছিলেন উইকেটশূন্য।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। তবে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি। শাদমান ইসলাম ৪৬ রান করেন। মেহেদি হাসান মিরাজ (৩১), তাইজুল ইসলাম (৩৩) ও লিটন দাস (৩৪) কিছু রান যোগ করলেও কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি।৮০ ওভারে ২৪৭ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার আসিথা ফার্নান্দো ৩ উইকেট নেন ৫১ রানে এবং সোনাল দিনুশা ২২ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট।
বড় লিড কাটিয়ে উঠতে এখন ব্যাট হাতে দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের সামনে। ম্যাচে টিকে থাকতে প্রয়োজন বড় ইনিংস।
১১ দিন আগে
টেস্ট মর্যাদার ২৫ বছর পূর্তিতে বিশেষ আয়োজনে বিসিবি
টেস্ট ক্রিকেটের মর্যাদা অর্জনের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশেষ সংবর্ধনার আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের এ মাইলফলক স্মরণে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত স্টেডিয়ামের মিডিয়া প্লাজায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাজিব ভূঁইয়া। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এতে সূচনা বক্তব্য দেবেন।
এদিনের অন্যতম আকর্ষণ থাকবে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট খেলা দলের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান। ২০০০ সালের নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের ওই স্কোয়াডের জীবিত সদস্যদের স্মারক ব্লেজার ও ক্যাপ পরিয়ে সম্মান জানানো হবে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে শান্তির বার্তা দিলেন রোনালদো
প্রথম টেস্ট দলের সদস্যরা সেদিনের স্মৃতিচারণও করবেন সংক্ষিপ্ত এক পর্বে।
আয়োজনে থাকবে কেক কাটার আনুষ্ঠানিকতা এবং সাবেক খেলোয়াড় ও অতিথিদের সঙ্গে দলগত ছবি তোলার আয়োজন।
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট একাদশ ছিল— শাহরিয়ার হোসেন, মেহরাব হোসেন, হাবিবুল বাশার, আমিনুল ইসলাম, আকরাম খান, আল সাহারিয়ার, নাইমুর রহমান (অধিনায়ক), খালেদ মাসুদ (উইকেটকিপার), মোহাম্মদ রফিক, হাসিবুল হোসেন ও রঞ্জন দাস।
১২ দিন আগে
জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের সূচি প্রকাশ করল বিসিবি
আগামী জুলাইয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের তিন ম্যাচের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইটের আলোয় সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে ২০ জুলাই। দ্বিতীয় ম্যাচ ২২ জুলাই এবং তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ম্যাচই সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে।
সূচি অনুযায়ী, সিরিজ শুরুর চার দিন আগে ১৬ জুলাই পাকিস্তান দল ঢাকায় পৌঁছাবে। সিরিজ শেষে ২৫ জুলাই বাংলাদেশ ত্যাগ করবে পাকিস্তান দল।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মাঝে আইপিএল স্থগিত
এদিকে, বাংলাদেশের ক্রিকেট দল বর্তমানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলছে।
১২ দিন আগে
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মাঝে আইপিএল স্থগিত
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনার মাঝে এবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে(আইপিএল) স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ক্রিকবাজ।
খবরে বলা হয়েছে, চলমান উত্তেজনার মাঝে আইপিএলে অংশ নেওয়া বিদেশি খেলোয়াড়দের উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছিল। তাদের প্রাথমিক উদ্বেগগুলোর মধ্যে ছিল নিরাপদে চলাচলের মতো বিষয়।
গতরাতে ধর্মশালায় দিল্লি ক্যাপিটালসকে আতিথ্য দেয় পাঞ্জাব কিংস। প্রথম ইনিংসের অর্ধেক খেলা হতেই কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ। শুরুতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ম্যাচ বন্ধ থাকলেও পরে নিরাপত্তার কারণে ১০ মিনিটের মাথায় ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর দল, খেলোয়াড়, সম্প্রচারকর্মী ও অন্যান্য লিগ স্টাফসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে ধর্মশালা থেকে নয়াদিল্লিতে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
আজ (শুক্রবার) সংশ্লিষ্টদের ধর্মশালার হোটেল থেকে বাসে ওঠার নির্দেশ দেওয়া হয়, কিন্তু তারা কোথা থেকে দিল্লিগামী ট্রেনে উঠবেন, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৩৩ মিনিটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ক্রিকবাজ জানিয়েছে, এই প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত তারা বাসেই আছেন এবং গন্তব্য সম্পর্কে তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
টুর্নামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আসরের বাকি ম্যাচগুলোর ভেন্যু পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়। সব বিকল্প খতিয়ে দেখার পরই সাময়িকভাবে আইপিএল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই।
ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, খুব শিগগিরই এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
সংঘাত শুরু হওয়ার পর আইপিএল সভাপতি অরুণ ধুমাল জানিয়েছিলেন, পরবর্তী যেকোনো সিদ্ধান্ত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি। এটি একটি চলমান অবস্থা এবং সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো নির্দেশনা পাইনি। অংশীদারদের সর্বোত্তম স্বার্থের দিকটি মাথায় রেখে এবং সব রকম কৌশলগত বিষয় বিবেচনা করেই যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ধর্মশালার বাতিল হওয়া ম্যাচটিসহ আইপিএলের এবারের আসরে এ পর্যন্ত ৫৮টি ম্যাচ খেলা হয়েছে। গ্রুপ পর্বে এখনও ১২টি ম্যাচ খেলা বাকি।
৬০ দিন আগে
ক্রিকেটারদের বেইজ্জত করা হচ্ছে, দাবি তামিমের
ফিক্সিং, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেছেন তামিম ইকবাল। ক্রিকেটারদের ‘বেইজ্জত-অপমান’ করা হচ্ছে বলে দাবি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
হার্ট অ্যাটাকের পর শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) প্রথম সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তামিম। বিসিবির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ সময় একাধিক বিষয়ে অসন্তোষের কথা জানান জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
মূলত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএলে) তাওহীদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা ইস্যু নিয়ে আজ (শুক্রবার) বৈঠক বসে মোহামেডান ও বিসিবি। মোহামেডানের জ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার তামিমসহ বেশ কয়েকজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনাটি গত ১২ এপ্রিলের। ডিপিএলে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার সৈকতের সঙ্গে সেদিন তর্কে জড়ান মোহামেডানের অধিনায়ক হৃদয়। শুধু মাঠে তর্কে জড়িয়েই ক্ষান্ত হননি তিনি, ম্যাচ শেষে কিছুটা বিতর্কিত সুরে বলেছিলেন, ‘তিনি (সৈকত) আন্তর্জাতিক আম্পায়ার হলে আমিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।’
ম্যাচ অফিশিয়ালদের সঙ্গে তর্ক ও তাদের কটাক্ষ করার কারণে ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পান হৃদয়। তবে তার শাস্তি কমানোর জন্য ডিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির কাছে আবেদন করে মোহামেডান কর্তৃপক্ষ। কমিটি তাতে সাড়া না দিলেও তাদের সেই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে হৃদয়ের শাস্তি কমিয়ে এক ম্যাচে নিয়ে আসে বিসিবির আম্পায়ার বিভাগ, অথচ এই এখতিয়ার তাদের নেই।
নিয়ম ভেঙে হৃদয়ের এই শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্তের কারণে বিসিবির চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন সৈকত। তবে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সৈকতের অভিমান ভাঙায় বিসিবির আম্পায়ার বিভাগ এবং সেই এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা নতুন করে দেওয়া হয় হৃদয়কে। এই সিদ্ধান্ত নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা।
এ বিষয়ে তামিমের ভাষ্য, ‘হৃদয়ের ইস্যুটা... ওকে দুটি ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। তখন কিন্তু কোনো খেলোয়াড় বা কেউ এটা নিয়ে কথা বলেনি! আম্পায়ার আর ম্যাচ রেফারি মিলে তাকে নিষিদ্ধ করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমরা মনে করতে পারি, সিদ্ধান্তটা কঠোর ছিল, কিন্তু এটা নিয়ে আমরা কেউ কোনো কথা বলিনি। তার কিছুদিন পর দেখলাম যে, (নিষেধাজ্ঞা) দুই ম্যাচ থেকে এক ম্যাচ করা হলো; এটা বিসিবি করেছে। তখনও আমরা কেউ কোনো কথা বলিনি। তারপর হৃদয় একটা ম্যাচ না খেলে পরের দুটি ম্যাচ খেলল। স্বাভাবিকভাবে ওর যে শাস্তি ছিল, সেটা সে ভোগ করে নিয়েছে। এখন দুটি ম্যাচ খেলার পর গতকাল শুনলাম যে, তাকে আবার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
‘এটা কোন নিয়মে, কীভাবে করা হয়েছে—তা আমার জানা নেই। এটা নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত ছিলাম। এটা হাস্যকর ছিল। কোনোভাবেই সে নিষিদ্ধ হতে পারে না যে কিনা আগেই (একবার) নিষিদ্ধ হয়েছে। বিসিবি তাকে দুটি ম্যাচ খেলতে দিয়েছে। তাকে আবার আপনি কীভাবে নিষিদ্ধ করতে পারেন?’
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন তামিম, ফিরেছেন বাসায়
এছাড়া, ডিপিএলের চলতি আসরে একটি ম্যাচকে ঘিরে ফিক্সিংয়ের সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুরের ম্যাচকে ঘিরে ওঠা সেই সন্দেহের ম্যাচটি নিয়ে বিসিবির তদন্ত চলছে।
তদন্তের অংশ হিসেবে গত ১০ এপ্রিল শাইনপুকুরের দুই ক্রিকেটার রহিম আহমেদ ও মিনহাজুল আবেদীন সাব্বিরকে মিরপুরে ডাকা হয়। এই দুজন স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে উপস্থিত হয়ে বিসিবি কর্মকর্তাদের সামনে বিতর্কিত স্টাম্পিংয়ের সেই ঘটনা পুনরায় মঞ্চায়ন করে দেখান। উইকেটের দুই পাশে দুটি ক্যামেরায় ধারণ করা হয় সেই দৃশ্য। মিডিয়াকর্মীরাও সে সময় উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মনে করেন, মিডিয়ার সামনে এই দুই ক্রিকেটারকে দিয়ে অভিনয় করানোর কোনো অধিকার কারও নেই।
‘আমরা এই জিনিসটা ক্রিকেট বোর্ডকে সরাসরি বলেছি যে দেখেন, যদি ওখানে কোনো ধরনের দুর্নীতি হয়ে থাকে বা কোনো খেলোয়াড় কোনো ধরনের দোষ করে থাকে, আমরা সবাই চাই এটার (জন্য) শাস্তি হোক; এতে আমরা শতভাগ একমত। কিন্তু তার মানে এটা না যে, আপনি ওই দুটি ছেলেকে নিয়ে গিয়ে মিডিয়ার সামনে অভিনয় করাবেন, এমনটা করার অধিকার কারো নেই।’
‘বিশ্বের কোথাও দুর্নীতি দমন ইউনিটে এমন নিয়ম নেই যে, একই জিনিস অভিনয় করিয়ে আপনি ওই দুটি ছেলেকে বেইজ্জত করবেন মিডিয়ার সামনে। এটা খেলোয়াড়দের অপমান করা। এই জিনিস নিয়ে আমরা একবিন্দুও খুশি ছিলাম না।’
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত আসরে কয়েকজন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ওঠে। যাদের নাম গণমাধ্যমে আসায়ও বিসিবিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তামিম।
‘বিপিএলেও ১০ জনের নাম ফাঁস হয়েছে বিসিবির ভেতর থেকে; ১০ জনের ছবি মিডিয়াতে দেওয়া হয়েছে। আমরা সবাই চাই, ওখান থেকে কেউ যদি দোষী হয়, তার শাস্তি হোক।
কিন্তু তাদের মধ্যে যদি দুজন বা আটজনও নির্দোষ বলে প্রমাণিত হয়?—প্রশ্ন রেখে তামিম তাদের নামগুলো জনগণের সামনে ফাঁস করে দেওয়াকে ‘অপমানজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এই প্রত্যেকটা জিনিস নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার হলো ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের যদি এভাবে ট্রিট করা শুরু করেন, তাহলে তো হলো না! এই জিনিস নিয়ে আমরা প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছি আসতে। উনি এসেছেন, সঙ্গে আরও দুজন পরিচালক (নাজমুল আবেদীন ও ইফতেখার আহমেদ) ছিলেন। আমরা লম্বা আলোচনা করেছি। আমাদের পয়েন্ট তুলে ধরে উনাকে বলেছি যে, (বিষয়গুলো নিয়ে) আমরা আপসেট।’
‘এসব নিয়ে আমাদের বিতর্ক হয়েছে। উনাদের আমরা সুন্দর করে (নিজেদের) অবস্থান পরিষ্কার করেছি যে আমরা কী অনুভব করি। তারপর উনারা উনাদের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবেন।’
৭৩ দিন আগে