ক্রিকেট
ব্র্যাডম্যানের বিখ্যাত ‘ব্যাগি গ্রিন’ টুপি নিলামে
সর্বকালের সেরা ব্যাটার অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের বিখ্যাত ব্যাগি গ্রিন টুপিটি নিলামে উঠেছে। নিলামে টুপিটে বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলারে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার কিছু বেশি।
বিখ্যাত ব্রিটিশ নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বোনহ্যামস টুপিটি নিলামে তোলে। নিলাম অনুষ্ঠানে টুপিটিকে ‘সূর্যে রং জ্বলে যাওয়া ও জীর্ণ’ বলে উপস্থাপন করা হয়। তবে তা বিশেষ এই টুপিটির মূল্য নির্ধারণে কোনো প্রভাব ফেলেনি। নিলামের ওঠার ১০ মিনিটের মধ্যেই সেটি বিক্রি হয়ে যায়।
৩ লাখ ৯০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলারে টুপিটি বিক্রি হয়। এর সঙ্গে নিলামঘরের ফি যুক্ত করে মোট মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
১৯৪৭-৪৮ সালে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় টুপিটি পরেছিলেন স্যার ব্র্যাডম্যান। ওই সিরিজে তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের শততম সেঞ্চুরি করেন। ঘরের মাঠে সেটিই ছিল তার শেষ সিরিজ।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ দৃষ্টিহীন ক্রিকেট দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি ব্লাইন্ড ক্রিকেট বিশ্বকাপে রানার্সআপ হওয়ায় বাংলাদেশ ব্লাইন্ড ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
পাকিস্তানে গত ২১ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সিরিজটি অনুষ্ঠিত হয়।
দলকে পাঠানো এক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তাদের অর্জনে গোটা জাতি গর্বিত।
আরও পড়ুন: সার্ক পুনরুজ্জীবিত হলে মানুষ সুফল পাবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) মুলতানে স্বাগতিক পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। লাহোর ও মুলতানে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরে ছয়টি দেশ- পাকিস্তান, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান অংশ নেয়।
২০২২ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত আগের আসরেও রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ।
৪ ঘণ্টা আগে
উন্মোচিত হলো বিপিএলের মাসকট ‘ডানা ৩৬’
জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে বিপিএলের আসন্ন আসর নিয়ে মহাপরিকল্পনা সাজিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে রবিবার (০১ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ শীর্ষক এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তরুণ ও যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে দেশব্যাপী এই আয়োজনের মিডিয়া লঞ্চিং প্রোগ্রামে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫-এর লোগো এবং আসন্ন বিপিএলের অফিশিয়াল মাসকট ‘ডানা ৩৬’ উন্মোচন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এসময় উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐক্য বজায় রেখে দেশ পুনর্গঠন ও রাষ্ট্রসংস্কারে এগিয়ে যাওয়াই এই তারুণ্যের উৎসবের মূল লক্ষ্য। এই আয়োজন সফল করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
তিনি বলেন, শোককে শক্তিতে রূপান্তর করার জন্য ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক স্লোগান নিয়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫, যা অনুষ্ঠিত হবে এ বছরের ৩০ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: বিপিএলের সূচি প্রকাশ
আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা সুখে-দুঃখে, আনন্দ-বেদনায় সবসময় জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণ করতে চাই। তাদের ত্যাগের স্পৃহা বাস্তবায়নে কাজ করে যেতে চাই। খেলাধুলা আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে, বিশেষ করে ক্রিকেট আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে। ভিন্ন ক্ষেত্রে যতই মতভেদ থাকুক না কেন, খেলাধুলার ক্ষেত্রে আমরা সবাই একত্রিত হয়ে যাই।
‘ডানা ৩৬’ মাসকটটি সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনা ও ক্রীড়ামোদীদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রতীক হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।
পায়রার আকৃতির ৩৬টি রঙিন পালকবিশিষ্ট এই মাসকটটি শান্তি, স্থিতিস্থাপকতা এবং জাতির শক্তি ও ঐক্যের প্রতীক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মিজ্ লামিয়া মোরশেদ, বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। তাদের পাশাপাশি নারী ক্রিকেট দলের সদস্য এবং ফুটবলসহ অন্যান্য ক্রীড়া ফেডারেশনের কর্মকর্তারা ও খেলোয়াড়রা অনুষ্ঠানটিকে রঙিন করে তোলেন।
আরও পড়ুন: বিপিএলে সাকিবকে পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রংপুর
১ দিন আগে
নওগাঁয় অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শুরু
বিসিবি আয়োজিত ২০২৪-২৫ সালের রাজশাহী বিভাগের ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতার বি গ্রুপের খেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে নওগাঁ জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় নওগাঁ স্টেডিয়ামে এ খেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল।
বি-গ্রুপে রয়েছে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ও জয়পুরহাট জেলা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান, জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার এনামুল হক, জেলা ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও বিসিবির টিকিট কোচ সেলিম হোসেন সাবু, সাবেক ফুটবলার গোলাম রাব্বানী সাজ্জু, সাবেক ক্রিকেট খেলোয়ার রুহুল কুদ্দুস পলাশ, শামীনুর রহমান শামীম, ছাত্র সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি, মেহেদীসহ উভয় দলের খেলোয়াড়, কোচ, ম্যানেজার ও বিভিন্ন অতিথিরা।
আঞ্চলিক পর্যায়ের এ ক্রিকেট খেলার প্রথম দিন রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মধ্যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগে
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে টানা দুই ম্যাচ হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রথম ওয়ানডেতে ১৫৪ রানের বড় ব্যবধানে জয়ের পর ৫ উইকেটে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতেছেন নিগার সুলতানারা।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৯৩ রান করেন আইরিশ মেয়েরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটাই তাদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
দলের হয়ে ৮৮ বলে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন অধিনায়ক এমি হান্টার। এছাড়া ওরলা প্রেন্ডেরগাস্ট ৩৭ ও লাউরা ডেলানি ৩৩ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে সুলতানা খাতুন ১০ ওভারে ৩২ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন।
১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৪৩.৫তম ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ।
বাঘিনীদের হয়ে ব্যাট হাতে ৮৯ বলে সর্বোচ্চ ৫০ করেন ফারজানা। এছাড়া সুপ্তার ব্যাট থেকে আসে ৬৩ বলে ৪৩ রান, জ্যোতি ফেরেন ৩৯ বলে ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে। শেষে ২৯ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন স্বর্ণা।
মিরপুরে নারী ওয়ানডে ক্রিকেটে এটিই সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এর আগে ১৬৭ রানের তাড়ায় পাকিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ভারতের বিপক্ষে ২২৫ রান তাড়ায় ম্যাচটি টাই হয়েছিল।
২ দিন আগে
৪২ রানে অলআউট হয়ে শ্রীলঙ্কার লজ্জার রেকর্ড
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৯১ রানে থামালেও মার্কো ইয়ানসেনের আগুনে বোলিংয়ে পুড়ে ছাই হয়ে গেল শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন আপ। আর এর ফলে দুটি লজ্জার রেকর্ড নিজেদের নাম লেখাল তারা।
ডারবানে সিরিজের প্রথম টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩.৫ ওভারে ৪২ রানে গুটিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা।
নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এটিই শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে কখনোই ৫০ রানের নিচে অলআউট হয়নি দলটি।
এর আগে টেস্টে লঙ্কানদের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ৭১। ১৯৯৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে গড়া এই লজ্জার রেকর্ডটি ম্লান হয়েছে আজ। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটিই কোনো দলের সর্বনিম্ন ইনিংস। এর আগে, ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডকে ৪৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল প্রোটিয়ারা।
আরও পড়ুন: ভারতের বিষয়ে আইসিসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে পিসিবি
এদিন মাত্র ১৩.৫ ওভারেই শেষ হয় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। টেস্ট ক্রিকেটের দেড়শ বছরের ইতিহাসের এর চেয়ে ছোট ইনিংস রয়েছে আর মাত্র একটি। ১৯২৪ সালের জুনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১২.৩ ওভারে গুটিয়ে গিয়ে টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে ক্ষণস্থায়ী ইনিংসের বিব্রতকর রেকর্ডটি গড়ে এই দক্ষিণ আফ্রিকাই। ওই ইনিংসে তারা তুলেছিল ৩০ রান। সেই ঘটনার ১০০ বছর পর ঘটল অমন আরেকটি অঘটন। টেস্ট ক্রিকেটে ১৫ ওভারের আগে কেবল এই দুটি ইনিংসই শেষ হয়েছে।
৪ দিন আগে
তিন পেসার নিয়ে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের
নিজের ৫০তম টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেক ম্যাচেই টস ভাগ্য গিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের পক্ষে। স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নামছে মিরাজ অ্যান্ড কোং।
প্রথম টেস্টে ক্যারিবীয়দের চার পেসারের বিপরীতে দুজন স্পিনার ও তিনজন পেসার নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মিরাজের সঙ্গে স্পিনার হিসেবে একাদশে রয়েছেন তাইজুল ইসলাম। আর পেসার হিসেবে রয়েছেন তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।
পাকিস্তানে দুই টেস্টের সিরিজে ঐতিহাসিক জয় পেলেও ভারত সফরে গিয়ে বিপরীত অভিজ্ঞতা হয় বাংলাদেশের। এরপর দেশে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের সামনে টিকতেই পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ফলে একপ্রকার লড়াই ছাড়াই সিরিজ হারতে হয় টাইগারদের।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলমান চক্রে এটিই বাংলাদেশের শেষ সিরিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতে শেষটা নিশ্চিতভাবেই রাঙিয়ে রাখতে চাইবেন দেশের ক্রিকেটাররা।
আরও পড়ুন: মুরাদের হ্যাটট্রিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রস্তুতি শেষ করেছে বাংলাদেশ
অবশ্য কাজটা মোটেই সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য। চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নেই অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও ব্যাটিংয়ে ভরসার নাম মুশফিকুর রহিম। এমন অবস্থায় জাকের আলী, শাহাদাত হোসেন দিপু ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের মতো তরুণদের ওপর ভরসা রাখতে হচ্ছে সফরকারীদের।
বাংলাদেশ একাদশ: মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, শাহাদাত হোসেন দিপু, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), জাকের আলী অনিক, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ক্রেইগ ব্রেথওয়েট (অধিনায়ক), মিকাইল লুই, আলিক আথানেজ, কেসি কার্টি, জশুয়া ডা সিলভা, জাস্টিন গ্রিভস, কাভেম হজ, আলজারি জোসেফ, শামার জোসেফ, কেমার কোচ, জেইডেন সিলস।
১ সপ্তাহ আগে
ঢাকায় পৌঁছেছে আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল
বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে শুক্রবার সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে আয়ারল্যান্ড জাতীয় নারী ক্রিকেট দল।
এই সফরে আয়ারল্যান্ড দলের নেতৃত্ব পেয়েছেন গ্যাবি লুইস। পুর্ণাঙ্গ অধিনায়ক হিসেবে এটিই তার প্রথম সফর। এছাড়া দলের বাকি ক্রিকেটাররাও বেশ তরুণ।
আগামী ২৭ নভেম্বর শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। বাকি দুই ম্যাচ হবে ৩০ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বর। ওয়ানডে ফরম্যাটের সবগুলোই হবে মিরপুর স্টেডিয়ামে। প্রতিটি ম্যাচই শুরু হবে সকাল ১০ টায়।
ওয়ানডে সিরিজ শেষ করে দুই দল চলে যাবে সিলেটে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হবে তিন ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজ। আগামী ৫, ৭ ও ৯ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে ম্যাচগুলো।
এই সিরিজের আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ছয়টি ওয়ানডে খেলে তিনটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচ ফলাফল ছাড়াই শেষ হয় এবং হেরেছে একটিতে।
বাংলাদেশের ওয়ানডে স্কোয়াড: নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার (সহ-অধিনায়ক), মুর্শিদা খাতুন, ফারজানা হক পিংকি, শারমিন আক্তার সুপ্তা, সোবহানা মোস্তারি, স্বর্ণা আক্তার, রিতু মনি, রাবেয়া খান, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, জাহানারা আলম, সুলতানা খাতুন, তাজ নেহার, সানজিদা আক্তার মেঘলা।
আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে স্কোয়াড: গ্যাবি লুইস (অধিনায়ক), আভা ক্যানিং, ক্রিস্টিয়ানা রিয়ালি, লরা দিলানি, সারাহ ফোর্বস, এমি হান্টার, আরলেনে কেলি, এইমি মাগুইরি, সারা মারে, লিহ পল, অরলা প্রেনডারজাস্ট, রেয়মন্ড হোয়ে, ফ্রেয়া সারজেন্ট, অ্যালিস টেকটর।
১ সপ্তাহ আগে
মুরাদের হ্যাটট্রিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রস্তুতি শেষ করেছে বাংলাদেশ
টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজে সফররত বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিজেদের প্রস্তুতি ভালোভাবেই শেষ করেছে।
অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিলেক্ট একাদশের বিপক্ষে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের বোলাররা।
জাতীয় দলের হয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলা মুরাদ দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করে ম্যাচটি ড্র করে নজর কেড়েছেন।
টস জিতে ৭ উইকেটে ২৫৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। মুমিনুল হক, লিটন দাস, জাকির আলী অনিক, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনসহ বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান মাঝমাঠে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
মুমিনুল ৫৮ বলে ৩১ রান করেন, লিটন মাঠ ছাড়ার আগে ৫৩ বলে ৩১ রান করেন। জাকির ১১০ বলে ৪৮ ও অঙ্কন ৮৭ বলে ৪১ রান করেন।
বৃষ্টি ও বাংলাদেশের তীক্ষ্ণ বোলিং ব্যাট হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিলেক্ট একাদশের সুযোগকে সীমিত করে দেয়।
স্বাগতিকরা ২৭.৪ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮৭ রান তুলতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের বিষয়ে আইসিসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে পিসিবি
২৮তম ওভারে পরপর দুই বলে ড্যানিয়েল বেকফোর্ড, নাভিয়ান বিদাইড ও চেইম হোল্ডারকে আউট করে হ্যাটট্রিক করেন হাসান মুরাদ। ১.৪ ওভার, ১ রান ও ৩ উইকেট নিয়ে বোলিং শেষ করেন মুরাদ।
পেসাররাও ভালো অবদান রেখেছেন। তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ ২টি করে উইকেট নেন, তাসকিন ৫ ওভারে ২১ রান দেন এবং হাসান মাহমুদ ৬ ওভারে দেন মাত্র ১৫ রান।
২২ নভেম্বর অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডের স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট এবং ৩০ নভেম্বর থেকে জ্যামাইকার কিংস্টনের সাবিনা পার্কে দ্বিতীয় টেস্ট।
টেস্ট সিরিজ শেষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল।
আরও পড়ুন: টেস্ট ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসরে ইমরুল কায়েস
১ সপ্তাহ আগে
টেস্ট ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসরে ইমরুল কায়েস
টেস্ট ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস। সোমবার(১৮ নভেম্বর) এই ঘোষণা দেন তিনি।
টেস্ট ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ১৭ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারের আবেগময় সমাপ্তি টানার ঘোষণা দিয়েছেন ইমরুল।
তবে কিছুদিন আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়েছিলেন ইমরুল।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার ক্যারিয়ার নিয়ে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। ১৬ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে টেস্ট ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানবো। এটা আমার জীবনের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং ও আবেগঘন মুহূর্ত।’
আরও পড়ুন: বিপিএলের সূচি প্রকাশ
ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ৩৯ টেস্ট খেলে তিনটি সেঞ্চুরি ও চারটি ফিফটি করা ইমরুল তার কৃতজ্ঞতা ও গর্ব প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৬ সালে যখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়, কখনো ভাবিনি বাংলাদেশের হয়ে ৩৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলব। একটা টেস্ট হোক বা পঞ্চাশে, দেশের প্রতিনিধিত্ব করা অনেক বড় সম্মানের। আমি আমার সেরাটা দিয়ে দলের জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করেছি, হয় ব্যাট হাতে নিয়ে কিংবা কিপার হিসেবে।’
ইমরুলের টেস্ট ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি মাইলফলক রয়েছে, যার মধ্যে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে তামিম ইকবালের সঙ্গে রেকর্ড ৩১২ রানের উদ্বোধনী জুটি রয়েছে।
তিনি বলেন, দেড়শ’র ওই ইনিংসটি আমার কাছে চিরকাল বিশেষ স্মৃতি হয়ে থাকবে।
নিজের অবদানে গর্ববোধ করলেও ইমরুল কিছু অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষার কথা উল্লেখ করেছেন। বিশেষ করে ক্যারিয়ারে বড় কোনো ট্রফি জিততে না পারা।
তিনি বলেন, ‘সাকিব আল হাসান, তামিম, মাশরাফি, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাইয়ের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে দীর্ঘদিন খেললেও আমরা বাংলাদেশের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো ট্রফি জিততে পারিনি। এশিয়া কাপ বা নিদাহাস ট্রফির মতো কিছু জিততে পারলে আমার ক্যারিয়ার আরও পরিপূর্ণ হতো।’
ইমরুল আরও বলেন, ‘ওই জয়ের পর যে উদযাপন করা হয়েছিল, তা ছিল অবিস্মরণীয়। সেই রাতে ভক্তদের কাছ থেকে আমরা যে ভালবাসা এবং সমর্থন পেয়েছিলাম তা এখনও আমাকে শিহরিত করে। এটা প্রমাণ করে আমাদের দেশে ক্রিকেটকে কতটা গভীরভাবে ভালোবাসে।’
আরও পড়ুন: ভারতের বিষয়ে আইসিসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে পিসিবি
২ সপ্তাহ আগে