ফুটবল
এমবাপ্পের অনুপস্থিতিতে চুয়ামেনির নেতৃত্বে মাঠে নামবে ফ্রান্স
আন্তোয়ান গ্রিজমান অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর ‘পোস্টার বয়’ কিলিয়ান এমবাপ্পের নেতৃত্বে নতুন যুগ শুরুর আশা করেছিল ফ্রান্স। তবে ‘ঘোষিত’ চোটের কারণে স্কোয়াডে না থাকায় তারই রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ অরেলিয়েঁ চুয়ামেনির হাত ধরে গ্রিজমান-পরবর্তী যুগে প্রবেশ করছে দুবারের বিশ্বকাপজয়ীরা।
উয়েফা নেশন্স লিগে বুদাপেস্টে বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। ওই ম্যাচের জন্য চুয়ামেনিকে অধিনায়ক ঘোষণা করেছে ফরাসি ফুটবল ফেডারেশন।
এক দশকের ফ্রান্সের হয়ে নিয়মিত মাঠে নামার পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি অধিনায়ক আন্তোয়ান গ্রিজমান। তার পর কিলিয়ান এমবাপ্পেকে তার উত্তরসূরী নির্বাচন করা হয়।
আরও পড়ুন: দ্রুততম গোলের রেকর্ড গড়েও ইতালিতে বিধ্বস্ত ফ্রান্স
তবে গত মাসে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে মাঠে নেমে চোটে পড়েন এমবাপ্পে। ফলে অক্টোবরে নেশন্স লিগে ইসরায়েল ও বেলজিয়ামের বিপক্ষে তার খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এরপর গত ৩ অক্টোবর ওই দুই ম্যাচের জন্য তাকে স্কোয়াডের বাইরে রেখেই দল ঘোষণা করেন দিদিয়ের দেশম।
কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেদিন রাতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ২৫ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। এর তিন দিন পর লা লিগায় ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে শুরুর একাদশে থেকে খেলতে নামেন তিনি।
এহেন কর্মকাণ্ডে দেশের প্রতি এমবাপ্পের নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফ্রান্সের সাবেক খেলোয়াড়রা বিষয়টি নিয়ে তাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন।
অবশ্য এমবাপ্পের অনুপস্থিতিতে চুয়ামেনি ছাড়াও অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার জুল কুন্দে ও এসি মিলান গোলরক্ষক মাইক মাইনিয়ন। তবে প্রথম ম্যাচের জন্য রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডারের ওপরই আস্থা রাখছেন দেশম।
আরও পড়ুন: বেলজিয়ামকে হারিয়ে প্রথম জয় পেল ফ্রান্স
নেশন্স লিগের গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে ইতালির বিপক্ষে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতে। ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রথম লেগের শেষ ম্যাচটি খেলার পর দ্বিতীয় লেগে আগামী ১৫ অক্টোবর বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স।
এ লিগের দ্বিতীয় গ্রুপে সমান ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফ্রান্স ও বেলজিয়াম। দুই ম্যাচই জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ইতালি।
১ দিন আগে
বদলে যাচ্ছে আতলেতিকোর মাদ্রিদের স্টেডিয়ামের নাম
আতলেতিকো মাদ্রিদের স্টেডিয়াম মেত্রোপলিতানোর নাম বদলে যাচ্ছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন নামস্বত্ব কিনে নেওয়ায় আগামী ৯ বছর স্টেডিয়ামটিকে নতুন নামে ডাকতে হবে।
গত মৌসুমে আতলেতিকো মাদ্রিদের স্পন্সর হয় সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এয়ারলাইন রিয়াদ এয়ার। এরপর বুধবার (৯ অক্টোবর) ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ক্লাবটির স্টেডিয়ামের নামস্বত্ব কেনার কথা জানিয়েছে তারা। এর ফলে স্টেডিয়ামটির নতুন নাম হচ্ছে ‘রিয়াদ এয়ার মেত্রোপলিতানো।’
২০১৭ সালে পুরনো ধাঁচের ভিসেন্তে কালদেরন থেকে সরে এসে নবনির্মিত মেত্রোপলিতানোকে নিজেদের ঘরের মাঠ হিসেবে ঘোষণা করে আতলেতিকো মাদ্রিদ। সে সময় চীনের রিয়েল এস্টেট গ্রুপ ওয়ান্দা নামস্বত্ব কেনায় ‘ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানো’ নামে পরিচিত হয় স্টেডিয়ামটি। এরপর ২০২২ সালে স্পেনের রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কোম্পানি সিভিতাসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ফলে এতদিন স্টেডিয়ামটিকে ‘সিভিতাস মেত্রোপলিতানো’ নামে ডাকা হতো।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালে খেলোয়াড় কিনতে ‘বাড়তি সুযোগ’ পাবে রিয়াল ও আতলেতিকো
রিয়াদ এয়ারকে ‘আতলেতিকোর ইতিহাসের সেরা স্পন্সর’ বলে জানানো হলেও আর্থিক অঙ্কে ঠিক কত টাকায় তাদের কাছে নামস্বত্ব বিক্রি করা হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
২০২৩ সালের মার্চে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান রিয়াদ এয়ার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। তবে এখনও কোম্পানিটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, মেত্রোপলিতানো স্পেনের আধুনিক স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর দর্শক ধারণক্ষমতা প্রায় ৬৮ হাজার। স্টেডিয়ামটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত হয়েছে।
২০১৯ সালের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এটি আন্তর্জাতিক পরিসরে আরও পরিচিতি পায়।
১ দিন আগে
খেলোয়াড়দের ‘নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ’ চেলসি ও ফরেস্টকে এফএর তলব
ম্যাচ চলাকালে খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় চেলসি ও নটিংহ্যাম ফরেস্টকে অভিযুক্ত করেছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। পাশাপাশি ব্লুসদের এক খেলোয়াড়কে নিষেধাজ্ঞাসহ ক্লাবটিকে ৫০ হাজার পাউন্ড জরিমানার কবলে পড়তে হয়েছে।
ঘটনাটি রবিবারের। প্রিমিয়ার লিগের সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ফরেস্টকে আতিথ্য দেয় চেলসি। ১-১ গোলে ম্যাচটি যখন ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছে, তখনই ঘটে বিপত্তি।
ম্যাচের ৮২তম মিনিটে চেলসির ডাগআউটের সামনে সাইডলাইন থেকে উইংব্যাক মার্ক কুকুরেইয়াকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন নটিংহ্যামের ফুলব্যাক নেকো উইলিয়ামস। কুকুরেইয়াকে তিনি এত জোরে ধাক্কা দেন যে ডাগআউটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা চেলসি কোচ এনসো মারেসকার ওপর গিয়ে পড়েন তিনি। এতে মারেসকাও মাটিতে পড়ে যান।
এরপর উইলিয়ামসের দিকে তেড়ে যান চেলসির খেলোয়াড়রা, অন্যদিক থেকে এগিয়ে আসেন ফরেস্টের খেলোয়াড়রা। ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বেঞ্চে থাকা চেলসির খেলোয়াড়রাও মারামারিতে যোগ দেন।
একপর্যায়ে চেলসি ফরোয়ার্ড নিকোলাস জ্যাকসন ফরেস্টের ব্রাজিলীয় সেন্টার ব্যাক মোরাতোর মুখে জোরে ধাক্কা দিয়ে তাকে ফেলে দেন।
বেশ কিছুক্ষণ ধরে এমন বিবাদ চলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন রেফারি। এরপর কুকুরেইয়া, লেভি চিলওয়েল এবং ফরেস্টের নেকো উইলিয়ামসকে হলুদ কার্ড দেখান তিনি।
আরও পড়ুন: সিটি-আর্সেনালের সঙ্গে লড়াই-ই করতে পারবে না চেলসি: মারেসকা
এ ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে ইংল্যান্ডের ফুটবল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটির ভিডিও পর্যালোচনা করে দুই ক্লাবকে ‘নিজেদের খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে’ বলে অভিযুক্ত করেছে এফএ। এ বিষয়ে কারণ দর্শাতে আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে ক্লাব দুটিকে।
এছাড়া, কুকুরেইয়াকে আন্তর্জাতিক বিরতির পর প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই ম্যাচে খেলতে পারবেন না চেলসির আরও এক খেলোয়াড়। পাঁচ ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখে এই শাস্তি পেয়েছেন ক্লাবটির ফরাসি ডিফেন্ডার ওয়েসলি ফোফানা।
ম্যাচটিতে দুই দলের মোট ১১ জনকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। এর মধ্যে চেলসির ছয়জন কার্ড পাওয়ায় প্রিমিয়ার লিগের নিয়ম অনুসারে ৫০ হাজার পাউন্ড জরিমানা গুনতে হচ্ছে ক্লাবটিকে।
প্রিমিয়ার লিগের কোনো ম্যাচে এক দলের ছয়জন বা তার বেশি খেলোয়াড় হলুদ কার্ড পেলে ক্লাবটিকে ৫০ হাজার পাউন্ড জরিমানা করার বিধান রয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদী মন্তব্য করে ১০ ম্যাচ নিষিদ্ধ ইতালিয়ান ফুটবলার
তবে এতকিছুর মধ্যেও শাস্তি থেকে রেহাই পেয়েছেন চেলসি আরেক খেলোয়াড় নিকোলাস জ্যাকসন। রিভিউতে তার আচরণ ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ হিসেবে বিবেচিত হয়নি।
ম্যাচশেষে সেদিন অবশ্য সাংবাদিকদের কাছে নিজের শিষ্যদের পক্ষে সাফাই গান মারেসকা।
তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু পরিস্থিতি আমাদের অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ; এটি তেমনই একটি ঘটনা। তবে ওরা একজোট হয়ে যেভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করল, (চলতি মৌসুমে) যেভাবে একট্টা হয়ে খেলছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট।’
২ দিন আগে
বিদায়বেলায় ইনিয়েস্তার প্রশংসায় রিয়াল মাদ্রিদ
৪০ বছর বয়সে দীর্ঘ খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টেনেছেন বার্সেলোনার কিংবদন্তি মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নিজের বিখ্যাত আট নম্বর জার্সির সঙ্গে মিলিয়ে মঙ্গলবার অর্থাৎ, অক্টোবরের ৮ তারিখে খেলোয়াড়ি জীবন ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এদিন শ’ পাঁচেক অতিথির সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা দেন এই কিংবদন্তি ফুটবলার।
কান্নাভেজা চোখে এ সময় ইনিয়েস্তা বলেন, ‘এই দিনটির কথা আমি কখনোই ভাবিনি, কখোনো নয়। চোখে যে পানি ঝরছে, তা ছিল আনন্দের, গর্বের।’
আরও পড়ুন: ‘বন্ধু’ ইনিয়েস্তাকে মেসির বিদায়বার্তা
লিওনেল মেসি, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোদের যুগে ফুটবলে আবির্ভুত হয়ে গাদা গাদা গোল না করেও ফুটবল বিশ্বের বিরল সম্মান ও সমীহ অর্জন করেন ইনিয়েস্তা।
নিজের ব্যক্তিত্ব দিয়ে ক্যারিয়ারে এমন সম্মান অর্জন করেছেন ইনিয়েস্তা, বিতর্ক-বিদ্বেষ ছাপিয়ে যা তাকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। কাতালান ক্লাব বার্সেলোনায় খেললেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকদের সম্মান কুড়িয়েছেন তিনি।
অবসরকালে এক বিবৃতিতে ইনিয়েস্তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদও।
ক্লাবটি লিখেছে, ‘বিদায়বেলায় স্পেন ও বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি ইনিয়েস্তার প্রতি স্বীকৃতি, প্রশংসা ও স্নেহ প্রকাশ করতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ, ক্লাবের সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদ।’
‘ক্যারিয়ারে অসংখ্য শিরোপা জয়ের পাশাপাশি নিজের খেলা ও মূল্যবোধ দিয়ে ফুটবলের মাহাত্ম্য প্রকাশে অবদান রেখেছেন ইনিয়েস্তা।’
আরও পড়ুন: এবার ‘লিটল ম্যাজিশিয়ান’ ইনিয়েস্তার বিদায়
এর আগেও বারবার ইনিয়েস্তার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন রিয়ালের খেলোয়াড়রা।
ইনিয়েস্তাকে নিয়ে করা প্রশ্নে রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক অধিনায়ক ও ক্লাবটির কিংবদন্তি ডিফেন্ডার সের্হিও রামোস বলেছেন, ‘ইনিয়েস্তাকে নিয়ে কোনো হিংসা চলে না। ও আমাদের দেশের জন্য প্রথম বিশ্বকাপ নিয়ে এসেছে। এখানে (মাদ্রিদে) আমরা সবাই ওকে ভালোবাসি, সম্মানের চোখে দেখি।’
বার্সেলোনা ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকেও একের পর এক ‘স্ট্যান্ডিং ওভেশন’ পেয়েছেন তিনি। ইতিহাসের খুব কম ফুটবলারই দলমত-প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বিশেষে ফুটবলভক্তদের অপার শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠতে পেরেছেন। আর তা-ই করে দেখিয়েছেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা।
২ দিন আগে
‘বন্ধু’ ইনিয়েস্তাকে মেসির বিদায়বার্তা
কিশোর বয়স থেকে লা মাসিয়ায় একসঙ্গে বেড়ে উঠে বার্সেলোনার জার্সিতে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মাঠে আলো ছড়িয়েছেন লিওনেল মেসি ও আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। ‘লিটল ম্যাজিশিয়ানের’ বিদায়বেলায় তাই সাবেক সতীর্থ ও বন্ধু ইনিয়েস্তাকে নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে ভুললেন না ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় মেসি।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নিজের বিখ্যাত আট নম্বর জার্সির সঙ্গে মিলিয়ে মঙ্গলবার অর্থাৎ, অক্টোবরের ৮ তারিখে ফুটবলের খেলোয়াড়ি জীবন ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা।
মঙ্গলবার শ’ পাঁচেক অতিথির সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা দেন তিনি।
কান্নাভেজা চোখে এ সময় ইনিয়েস্তা বলেন, ‘এই দিনটির কথা আমি কখনোই ভাবিনি, কখোনো নয়। চোখে যে পানি ঝরেছে, তা ছিল আনন্দের, গর্বের।’
‘ফুটবল ক্যারিয়ারে যেসব সতীর্থকে পাশে পেয়েছি, তাদের জন্য আমি গর্বিত।’
কোনো এক সময়ে বার্সেলোনার কোনো দায়িত্বে তিনি ফিরতে চান বলেও জানান এ সময়।
‘আমি মনে করি, যাদের মাঠে প্রচুর অভিজ্ঞতা হয়েছে, যারা দলকে প্রভাবিত করতে পারে, তাদের ক্লাবের (বার্সেলোনা) সঙ্গে থাকা উচিৎ, ক্লাবের জন্য কিছু করা উচিৎ।’
আরও পড়ুন: এবার ‘লিটল ম্যাজিশিয়ান’ ইনিয়েস্তার বিদায়
কাতালুনিয়ায় ইনিয়েস্তা যখন সাবেক সতীর্থ, কোচ ও বর্তমান খেলোয়াড়দের মাঝ থেকে বিদায় নিচ্ছেন, সে সময় যুক্তরাষ্ট্রে আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন লিওনেল মেসি।
তবে ব্যস্ততার মাঝেও ইনিয়েস্তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে ভোলেননি তিনি। ইনস্টাগ্রামে ইনিয়েস্তার সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে মেসি লেখেন, ‘সতীর্থদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জাদু যার (পায়ে) ছিল; যার সঙ্গে ফুটবল আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছি।’
‘আন্দ্রেস, বল তোমাকে মিস করবে, যেমনটি মিস করব আমরা। আমার শুভকামনা সবসময় তোমার সঙ্গে থাকবে।’
লিওনেল মেসি, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোদের যুগে ফুটবলে আবির্ভুত হয়ে গাদা গাদা গোল না করেও ফুটবল বিশ্বের বিরল সম্মান ও সমীহ অর্জন করেন ইনিয়েস্তা।
মাত্র ১২ বছর বয়সে বার্সেলোনার লা মাসিয়া অ্যাকাডেমিতে যোগ দেওয়ার পর ২০০২ সালের ২৯ অক্টোবর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ক্লাব ব্রুজের বিপক্ষে ১৮ বছর বয়সে ব্লাউগ্রানাদের জার্সিতে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয় ইনিয়েস্তার। এরপর কাতালান জায়ান্টদের জার্সিতে বছরের পর বছর ধরে আলো ছড়িয়ে কিংবদন্তি হিসেবে বিদায় নেন তিনি।
লিওনেল মেসি ও শাভি এরনান্দেসের সঙ্গে বিখ্যাত ত্রয়ী গড়ে এক দশকের বেশি সময় ধরে ইউরোপীয় ফুটবলে আধিপত্য বিস্তার করেন ৪০ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। এই সময়ে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, সাতটি লা লিগাসহ আরও অনেক শিরোপা ঘরে তোলে তারা।
২ দিন আগে
বর্ণবাদী মন্তব্য করে ১০ ম্যাচ নিষিদ্ধ ইতালিয়ান ফুটবলার
দক্ষিণ কোরিয়ার এক ফুটবলারকে বর্ণবাদী মন্তব্য করে শাস্তি পেয়েছেন চলতি মৌসুমে প্রথমবার সেরি-আয় উঠে আসা ইতালিয়ান ক্লাব কোমোর ডিফেন্ডার মার্কো কুর্তো। ১০ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ২৫ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়কে।
ঘটনাটি গত জুলাই মাসের। ইংলিশ ক্লাব উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচে এই কাণ্ড করে বসেন কুর্তো। স্পেনের মারবেইয়া শহরে ওই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে উলভস ফরোয়ার্ড হোয়াং হি-চ্যানকে কিছু একটা বলেন তিনি। এরপর কোমোর ফুটবলারদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন উলভসের খেলোয়াড়রা। এমনকি, কোমোর এক খেলোয়াড়কে ঘুষি মেরে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় উলভারহ্যাম্পটনের উইঙ্গার দানিয়েল পোদেন্সকে।
ওই ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কুর্তোকে এই শাস্তি দিয়েছে ফিফা। তবে শাস্তির অর্ধেকটা এখন থেকেই তার ওপর কার্যকর হলেও বাকি অংশ দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উয়েফাকে ‘মাফিয়া’ বলল ডর্টমুন্ড সমর্থকরা
অবশ্য সে সময় কোমোর দাবি ছিল, অপমানজনক কোনো কিছুই কুর্তো বলেননি, উলভারহ্যাম্পটনের খেলোয়াড়রাই ‘তিলকে তাল’ বানিয়েছেন। হোয়াংকে তিনি স্রেফ ‘জাকি চ্যান’ বলেছিলেন। কারণ তিনি শুনেছিলেন, উলভসের খেলোয়াড়রা তাকে ‘চ্যানি’ (জ্যাকি চ্যানের ডাকনাম) নামেই ডাকেন।
তবে তদন্তে কুর্তোর দোষ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়ে ফিফার এক মুখপাত্র বলেন, ‘দশ ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি তাকে সামাজিক সেবামূলক কাজ, ফিফা অনুমোদিত কোনো সংস্থায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
ফিফার এ রায়কে স্বাগত জানিয়েছে উলভারহ্যাম্পটন। ক্লাবটির ক্রীড়া পরিচালক ম্যাট ওয়াইল্ড এ বিষয়ে বলেছেন, ‘এই শাস্তি বর্ণবাদ ও যে কোনো ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে ফুটবলারদের একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়।’
উল্লেখ্য, কোমো থেকে চলতি মৌসুমে ইতালির দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব চেজেনায় ধারে খেলছেন কুর্তো।
আরও পড়ুন: ‘আপত্তিকর’ আচরণের শাস্তি পেলেন মার্তিনেস
২ দিন আগে
লেভানডোভস্কির হ্যাটট্রিকে দারুণ জয় বার্সেলোনার
হান্সি ফ্লিকের তত্ত্বাবধায়নে উড়তে থাকা বার্সোনার প্রতাপ দেখল এবার আলাভেস। রবের্ট লেভানডোভস্কির হ্যাটট্রিকে ক্লাবটিকে উড়ে দিয়েছে বার্সা।
লা লিগায় রবিবার আলাভেসকে তাদের মাঠেই ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সেলোনা। দলের হয়ে প্রথম ৩২ মিনিটের মধ্যে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন লেভানডোভস্কি।
এর ফলে চলতি মৌসুমে লিগে ৯ ম্যাচে ১০ গোল ও ২ অ্যাসিস্টসহ মোট ১২ গোলে অবদান রাখলেন তিনি। এছাড়া পিচিচির দৌড়ে নিজেকে আরও উপরে তুললেন ৩৬ বছর বয়সী এই পোলিশ স্ট্রাইকার।
দুই অর্ধে অবশ্য দুটি গোল পেয়েছিল আলাভেস, তবে অফসাইডের কারণে দুবারই হতাশ হতে হয় তাদের। অবশ্য বার্সেলোনার একটি গোলও অফসাউডে কাটা পড়ে।
এদিন বল দখলের লড়াইয়ে পরিষ্কার এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। ৭২ শতাংশ সময় নিজেদের দখলে বল রেখে মোট ১৫টি শট নেয় তারা যার ৯টিই ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, প্রথমার্ধে একবারও লক্ষ্যে রাখতে না পারা আলাভেসের ১১টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল মাত্র দুটি।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনাকে খুশি করে সমতায় শেষ মাদ্রিদ ডার্বি
প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে উঠতে থাকে বার্সেলোনা। এরই ধারাবাহিকতায় রাফিনিয়ার গোলে চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় কাতালানরা। তবে মাঝমাঠ থেকে লং পাস ধরে রাফিনিয়াকে বাড়ানোর আগে অফসাইডে ছিলেন লামিন ইয়ামাল। ফলে গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
তবে এর দুই মিনিট পর পায়ের পেশিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সা উইঙ্গার ফেররান তোরসকে। তার বদলি হিসেবে এরিক গার্সিয়াকে মাঠে নামান হান্সি ফ্লিক।
এরপর সপ্তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় বার্সা। ডান পাশে প্রতিপক্ষের বক্সের অনেকটা বাইরে ফ্রি কিক আদায় করেন লামিন, তা থেকে গোলমুখে দারুণ একটি ক্রস দেন রাফিনিয়া। এরপর লাফিয়ে উঠে চমৎকার হেডারে ঠিকানা খুঁজে নেন রবের্ট লেভানডোভস্কি।
ম্যাচের ২২তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান বাড়ান লেভানডোভস্কি। বাঁ পাশ দিয়ে বক্সে ঢুকেই পেনাল্টি স্পটের সামনে থ্রু বল বাড়ান রাফিনিয়া, এরপর এগিয়ে গিয়ে গোলরক্ষককে বোকা বানান লেভানডোভস্কি।
দুই মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়াতে পারতেন রাফিনিয়া। তবে বাঁ পাশ থেকে কাছের পোস্টে তিনি নিচু শট নিলে গোলরক্ষক তা ঠেকিয়ে দেন।
৩২তম মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন লেভানডোভস্কি। লেভাকে বক্সে ঢুকতে দেখে রক্ষণচেরা অসাধারণ একটি পাস দেন এরিক গার্সিয়া, তা ধরে কিছুটা ডান দিকে সরে গিয়ে পড়ে যাওয়ার মুখে দূরের পোস্টের দিকে আচমকা বল ঠেলে দেন লেভানডোভস্কি। গোলরক্ষক বিষয়টি একেবারেই আঁচ করতে না পেরে কাছের পোস্টের দিকে এগিয়ে এসেছিলেন। ফলে শটে গতি না থাকলেও বলের গড়িয়ে গড়িয়ে জালে জড়িয়ে যাওয়া দেখতে হয় তাকে।
এর ফলে প্রথম গোল করার ২৫ মিনিটের মধ্যে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ৩৬ বছর বয়সী এই পোলিশ।
৩৯তম মিনিটে ড্রিবল করে এগিয়ে গিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নেন পেদ্রি, তবে সহজেই তা লুফে নেন আলাভেস গোলরক্ষক আন্তনিও সিভেরা।
দুই মিনিট পর চতুর্থ গোল পেতে পারতেন লেভানডোভস্কি, তবে সতীর্থের বাড়ানো পাসে গতি বেশি থাকায় এগিয়ে এসে বলের নিয়ন্ত্রণ নেন সিভেরা।
প্রথমার্ধের এক মিনিট বাকি থাকতে আক্রমণে ওঠে আলাভেস। এরপর দুই কর্নারের পর ৪৫তম মিনিটে একটি গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা, কিন্তু অফসাইডে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। ফলে হতাশ হয়ে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আলাভেস।
৪ দিন আগে
আলিসনের পর এবার ভিনিসিউকেও হারাল ব্রাজিল
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের অক্টোবর পর্ব শুরু হওয়ার আগে জোড়া দুঃসংবাদ পেল ব্রাজিল। গোলরক্ষক আলিসন বেকারের পর এবার ভিনিসিউস জুনিয়রকেও দলে পাচ্ছেন না দরিভাল জুনিয়র।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আগামী বৃহস্পতিবার চিলির বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল। এর পাঁচ দিন পর পেরুর বিপক্ষে খেলবে তারা।
শনিবার প্রিমিয়ার লিগে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ের দিন চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন লিভারপুলের ব্রাজিলীয় গোলরক্ষক আলিসন বেকার। ম্যাচের ১১ মিনিট বাকি থাকতে পায়ের পেশিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ৩২ বছর বয়সী এই গোলরক্ষককে।
পরে লিভারপুল কোচ আর্নে স্লট জানান, বেশ কয়েক সপ্তাহ পাওয়া যাবে না অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষককে।
আরও পড়ুন: শীর্ষস্থান সংহত করার ম্যাচে আলিসনকে হারাল লিভারপুল
ফলে আন্তর্জাতিক বিরতিতে ব্রাজিল যে তাকে পাবে না, সে কথাও জানিয়েছিলেন স্লট।
‘যেভাবে সে মাঠ ছেড়েছে, এর মানে দাঁড়ায়, স্বাভাবিকভাবেই ব্রাজিলের হয়ে সে খেলতে পারবে না। এমনকি (আন্তর্জাতিক বিরতির পর) প্রথম ম্যাচেও তাকে আমরা পাওয়ার আশা করছি না। (মাঠে ফিরতে) তার বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে বলেই আমার ধারণা।’
তবে ব্রাজিলের দুর্ভাবনার শেষ এখানেই নয়। রবিবার রাতে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের রাতে কাঁধে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ভিনিসিউস।
ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে চোটের কারণে ভিনিসিউসকে উঠিয়ে নিতে বাধ্য হন আনচেলত্তি। মাঠ ছাড়ার সময় তাকে কাঁধের পেশিতে বারবার চাপ দিতে দেখা যায়।
তিনি যে কাঁধে চোট পেয়েছেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়ে ফের মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি। এক্ষেত্রে দুই সপ্তাহের আন্তর্জাতিক বিরতি চলাকালে পূর্ণ বিশ্রামে থাকবেন তিনি।
আরও পড়ুন: জয়ের ফেরার রাতে ২ খেলোয়াড় হারানোর শঙ্কায় রিয়াল
এর ফলে ব্রাজিলের জার্সিতে পেরু ও চিলির বিপক্ষে খেলতে পারবেন না বলে সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর বেরিয়েছে।
লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এমনিতেই নড়বড়ে অবস্থনে রয়েছে ব্রাজিল। অষ্টম রাউন্ড শেষে মাত্র তিনটি ম্যাচ জিতেছে তারা। আরেকটি ম্যাচ ড্র করে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে দরিভাল জুনিয়রের দল।
পেরু ও চিলির বিপক্ষে দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হারিয়ে তাই স্বাভাবিকভাবেই চাপ অনুভব করবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
আরও পড়ুন: মৌসুমই শেষ কারভাহালের!
৪ দিন আগে
মৌসুমই শেষ কারভাহালের!
গতরাতে যেভাবে চিৎকার করে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েছিলেন, তাতেই বোঝা যাচ্ছিল যে বড় ধরনের চোট পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের স্প্যানিশ উইংব্যাক দানি কারভাহাল। আজ তা নিয়েই দুঃসংবাদ দিয়েছে ক্লাবটি।
রবিবার এক বিবৃতিতে রিয়াল মাদ্রিদ জানিয়েছে, বাঁ পায়ের এসিএলসহ আরও দুটি লিগামেন্টে চোট পেয়েছেন কারভাহাল। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার সেরে ওঠার সময় নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।
এদিকে, মাদ্রিদভিত্তিক সাংবাদিকদের দাবি, অন্তত ৮-১০ মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে এই ফুটবলারের। তবে পুরোপুরি সেরে উঠতে আরও বেশি সময়ও লাগতে পারে তার।
ফলে চলতি মৌসুমে তিনি আর মাঠে ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
চোটের কারণে ইতোমধ্যে চলতি মৌসুমের জন্য দলের নিয়মিত গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। কারভাহালও ছিটকে গেলে তা হবে ক্লাবটির জন্য আরও বিপর্যয়কর।
আরও পড়ুন: জয়ের ফেরার রাতে ২ খেলোয়াড় হারানোর শঙ্কায় রিয়াল
লা লিগায় ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের রাতে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে হাঁটুতে চোট পান কারভাহাল।
অতিরিক্ত যোগ করা চার মিনিটের চতুর্থ মিনিটে ইয়েরেমি পিনোর কাছ থেকে জোরালো শটে বল কাড়তে গিয়ে উল্টোভাবে তার পায়ের সঙ্গে কারভাহালের পায়ের বাড়ি লাগে। ফলে ব্যথায় চিৎকার করে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর বেশ কিছুক্ষণ মাঠে চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে বাইরে নিয়ে যেতে চান চিকৎসকরা। তবে উঠে দাঁড়ানোর মতো অবস্থা না থাকায় পরে স্ট্রেচারে করে তাকে নিয়ে যেতে হয়।
রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে থাকা অবস্থার একটি ছবি পোস্ট করে নিজের অসুস্থতার আপডেট দিয়েছেন কারভাহাল।
ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘ক্রুসিয়েট লিগামেন্টের গুরুতর চোট নিশ্চিত হয়েছে। অস্ত্রোপচার করতে হবে এবং কয়েক মাস মাঠের ফেরা হচ্ছে না আমার।’
‘তবে সেরে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু করা ও দুর্দান্তভাবে ফিরে আসার জন্য মুখিয়ে আছি। সবার বার্তা ও শুভ কামনার জন্য কৃতজ্ঞতা, আমি আপ্লুত।’
একই রাতে আক্রমণভাগের অপরিহার্য খেলোয়াড় ভিনিসিউসও কাঁধে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনিও যে কাঁধে চোট পেয়েছেন, সে বিষয়েও নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়ে ফের মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি। এক্ষেত্রে দুই সপ্তাহের আন্তর্জাতিক বিরতি গুরুত্বপূর্ণ সময় হয়েছে তার ও ক্লাবটির জন্য।
কারভাহালের চোটের পর লুকাস ভাসকেসকে দিয়ে আপাতত রাইটব্যাকের শূন্যতা পূরণ করবে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে জানুয়ারির দলবদলে তারা একজন সেন্টারব্যাক ও একজন রাইটব্যাক দলে টানতে চায় বলে শোনা যাচ্ছে।
৪ দিন আগে
জয়ের ফেরার রাতে ২ খেলোয়াড় হারানোর শঙ্কায় রিয়াল
লা লিগায় মাদ্রিদ ডার্বি ড্র করার পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিলের বিপক্ষে হারে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে জিতে ফের ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। তবে দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়া বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের।
লা লিগার নবম রাউন্ডের ম্যাচে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে শনিবার রাতে ভিয়ারিয়ালকে ২-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের চতুর্দশ মিনিটে ফেদেরিকো ভালভার্দের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ভিনিসিউসের গোলে জয় নিশ্চিত করে লস ব্লাঙ্কোসরা।
তবে ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে চোটের কারণে ভিনিসিউসকে উঠিয়ে নিতে বাধ্য হন আনচেলত্তি। মাঠ ছাড়ার সময় তাকে কাঁধের পেশিতে বারবার চাপ দিতে দেখা যায়।
এরপর নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা সময়ের শেষের দিকে হাঁটুতে গুরুতর চোট পান দানি কারভাহাল। তার অবস্থা এতটাই গুরুতর ছিল যে স্ট্রেচারে করে তাকে মাঠের বাইরে নিতে হয়। ফলে ভিনিসিউসের বিষয়ে খুব বেশি আতঙ্কিত না হলেও করভাহালকে কতদিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ক্লাবটি।
আরও পড়ুন: প্রথম দেখাতেই রিয়ালকে হারিয়ে দিল লিল
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে টক্কর দিতে থাকে ভিয়ারিয়াল। তবে প্রথম শটটি নেয় রিয়াল মাদ্রিদই।
চতুর্থ মিনিটে বক্সের মধ্যে লুকা মদ্রিচের দেওয়া ক্রসে প্রথম ছোঁয়াতেই জোরালো শট নেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, কিন্তু তার শটটি ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
দশম মিনিটে সের্হি কারদোনার পাস থেকে নিকোলাস পেপের শটটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এর চার মিনিট পর গোল করে ম্যাচে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের চতুর্দশ মিনিটে মদ্রিচের পাস ধরে প্রতিপক্ষের বক্সের সামান্য বাইরে থেকে বাঁ পাশের পোস্টঘেঁষা জোরালো শট নেন ফেদেরিকো ভালভার্দে। শটে গতি থাকায় তা গোলরক্ষক দিয়েগো কন্দেকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়িয়ে যায়।
গোল খাওয়ার দুই মিনিট পরই অবশ্য সমতায় ফিরতে পারত ভিয়ারিয়াল, কিন্তু পেপের বুলেট গতির শটটি ক্রসবারে লেগে বাইরে বেরিয়ে যায়। ফলে হতাশ হয় ভিয়ারিয়াল সমর্থকরা।
পরের মিনিটে ভিয়ারিয়ালের আরও একটি হেডার ক্রসবারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নেন জুড বেলিংহ্যাম, কিন্তু শট গোলপোস্টের ধারেকাছেও ছিল না।
এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ভালো একটি দলীয় আক্রমণে ওঠে ভিয়ারিয়াল। তবে কর্নারের বিনিময়ে তা প্রতিহত করে রিয়াল মাদ্রিদ। ফলে এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
৫ দিন আগে