ফুটবল
নেইমারের পাঁচটি ব্যালন দ’র জেতা উচিত ছিল: বুফন
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রতিপক্ষের সবচেয়ে কঠিন ফুটবলার হিসেবে মেসি, রোনালদো নয়, বরং নেইমারকে বেছে নিয়েছেন ইতালি ও ইউভেন্তুসের কিংবদন্তি গোলরক্ষক জানলুইজি বুফন। ব্রাজিলের এই তারকা ফুটবলারের অন্তত পাঁচটি ব্যাল দ’র জেতা উচিৎ ছিল বলে মনে করেন তিনি।
২৮ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ার শেষে ২০২৩ সালে গ্লাভস খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেন বুফন। বর্তমানে ইতালি জাতীয় দলের টিম অপারেশন ম্যানেজারের ভূমিকায় রয়েছেন সাবেক এই ফুটবলার।
সম্প্রতি মিলানভিত্তিক ইতালির জাতীয় দৈনিক করিয়েরে দেল্লা সেরাকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বুফন। সেখানে নিজের আত্মজীবনী উপস্থাপন করেন তিনি। এ সময় ক্যারিয়ারের অসংখ্য বিষয় নিয়ে কথা বলেন ৪৬ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি।
কেন গোলরক্ষক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গোলরক্ষক হওয়ার মাঝে একটা আকর্ষণ আছে। ব্যাথা পেয়েও তা থেকে আনন্দ খুঁজে নেওয়া, ব্যাপারটি একেবারেই ব্যতিক্রম।’
‘কিশোর বয়সে আমি যখন খেলা শুরু করেছি, তখনও (ফুটবলের) পরিস্থিতি ৭০-এর দশকের মতো- পিচগুলো সিমেন্টের মতো শক্ত। ক্ষতবিক্ষত হাত, পেছনে কালশিটে পড়ে যাওয়া এবং কতবার রক্তাক্ত হয়েছে- এসব দিয়ে তখনকার গোলরক্ষকদের বিচার করা হতো।’
আরও পড়ুন: এবার ‘লিটল ম্যাজিশিয়ান’ ইনিয়েস্তার বিদায়
১৯৯৫ সালে পার্মার জার্সি গায়ে চড়িয়ে পেশাদার ফুটবলে নাম লেখান বুফন। ছয় বছরে পার্মাকে বেশ কয়েকটি শিরোপা জেতাতে ভূমিকা রাখেন তিনি। এর মধ্যে ১৯৯৯ সালে ক্লাবটির হয়ে উয়েফা কাপ, কোপা ইতালিয়া ও ইতালিয়ান সুপার কাপ জেতেন এই গোলরক্ষক। পার্মায় থাকাকালেই নিজের প্রতিভা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেন তিনি। এরপর ২০০১ সালে তৎকালীন রেকর্ড ট্রান্সফার ফি-তে নাম লেখান ইউভেন্তুসে।
ওল্ড লেডিদের জার্সিতেই টানা ১৮ বছর কাটিয়ে এবং অসংখ্য রেকর্ডের পাশে নিজের নাম লিখিয়ে কিংবদন্তির তকমা অর্জন করেন বুফন। ২০১৮ সালে ইউভেন্তুস থেকে বিদায় নিয়ে এক বছর পিএসজিতে কাটান তিনি। তবে পরের বছরই ফেরেন তুরিনে। আরও দুই বছর সাদা-কালো জার্সিতে খেলে শৈশবের ক্লাব পার্মায় ফেরেন ২০০৬ বিশ্বকাপ জয়ী এই গোলরক্ষক। ২০২৩ সালে সেখান থেকেই অবসরে যান তিনি।
তবে শেষবার ইউভেন্তুস ছাড়ার পর বার্সেলোনায় ভেড়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
‘বার্সা আমাকে ডেকেছিল তাদের রিজার্ভ গোলরক্ষক হওয়ার জন্য। (ক্রিস্তিয়ানো) রোনালদোর সঙ্গে খেলেছি, মেসির সঙ্গেও খেলার সুযোগ তখন এসেছিল; তবে শেষমেষ পার্মায়ই ফিরে গেলাম। যেখানে শুরু হয়েছিল, সেখান থেকেই (ক্যারিয়ার) শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
১ দিন আগে
প্যারাগুয়ে ম্যাচে রেগে রেফারিকে যা বলেছিলেন মেসি
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত হরের রাতে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন লিওনেল মেসি। ম্যাচের প্রথমার্ধে রেফারির একটি সিদ্ধান্তে মেজাজ হারাতে দেখা যায় তাকে। এবার তার সেই মন্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোরে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে ২-১ গোলে হারে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে একটি বাজে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন প্যারাগুয়ে ডিফেন্ডার ওমর আলদেরেতে। এর চার মিনিট পর আরও একটি বাজে ফাউল করে বসেন তিনি। তবে এবার তার শিকার মেসি।
ফাউলের পর দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের আবেদন নিয়ে রেফারির কাছে ছুটে যান মেসি, কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দেননি ব্রাজিলিয়ান রেফারি আন্দেরসন দারোঙ্কো।
বিষয়টি নিয়ে মেজাজ হারার মেসি। বিরতির সময় নিকোলাস ওতামেন্দিকে সঙ্গে নিয়ে মাঠেই রেফারির ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন তিনি। সে সময় আঙুল তুলে কিছু একটা বলতে দেখা যায় আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে।
দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হলে দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে খেলতে হতো প্যারাগুয়ের। ফলে ম্যাচটিতে হারের পরিবর্তের জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যেত আর্জেন্টিনার।
অস্ট্রেলিয়ার সরকারি সম্প্রচার সংস্থা এসবিএস স্পোর্টস ওই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছে, আপনি কাপুরুষ। আমি আপনাকে পছন্দ করি না- এমনই কিছু বলেছেন মেসি।
আটালান্টা ইউনাইটেডের কাছে টানা দুই ম্যাচ হেরে এমএলএস কাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর মেজাজ খারাপ করেই আর্জেন্টিনা শিবিরে যোগ দেন মেসি। তাছাড়া প্যারাগুয়ে ম্যাচের আগে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সবশেষ তিন ম্যাচের দুটিতেই জয়বঞ্চিত ছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
বাংলাদেশ সময় আগামী বুধবার ভোরে পেরুর বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচে মাঠে নামবে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
৪ দিন আগে
ইউনাইটেড নিয়ে লক্ষ্যের কথা জানালেন আমোরিম
এক দশকের বেশি সময় ধরে ভুগতে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হারানো ঐতিহ্য ফেরানোর গুরুদায়িত্ব পড়েছে তরুণ কোচ রুবেন আমোরিমের কাঁধে। আর দায়িত্ব নিয়েই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাবটি নিয়ে নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন এই কোচ।
পোর্তার পাঠ চুকিয়ে সোমবার ম্যানচেস্টারে পৌঁছেছেন আমোরিম। ইতোমধ্যে ক্লাবটির খেলোয়াড়, স্টেডিয়াম ও পরিবেশের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে তার। আগামী ২৪ নভেম্বর ইপসউইচ টাউনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ইউনাইটেড ক্যারিয়ার শুরু করবেন তিনি। তার আগে ক্লাবের আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকারে নিজের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন ৩৯ বছর বয়সী এই কোচ।
তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতার যে পর্যায়ে ইউনাইটেডের থাকার কথা, সেখানে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করব। আমার বিশ্বাস, অনেক কিছুতেই আমরা সাফল্য পেতে যাচ্ছি।’
১৩টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতিয়ে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ডাগআউট ছাড়ার পর গত ১১ বছরে পাঁচজন অভিজ্ঞ কোচ নিয়োগ দিয়েছে ইউনাইটেড। ডেভিড ময়েস, লুই ফন খাল, হোসে মরিনিয়ো, ওলে গুনার সোলশার ও এরিক টেন হাগের মতো বড় বড় নামের ওপর ক্লাব কর্তারা আস্থা রাখতে চাইলেও তাদের সে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি কেউই।
আরও পড়ুন: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন কোচ আমোরিম
এবার কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুতেই আলোচনার জন্ম দেওয়া তরুণ আমোরিমের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে রেড ডেভিলদের ব্যাটন। আর এমন সময় তিনি ক্লাবের দায়িত্ব নিয়েছেন, যখন ১৯৮৬ সালের পর প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বাজে শুরু করেছে ইউনাইটেড। তবে এ নিয়ে কোনো অজুহাত দেখাতে চান না তিনি।
‘আমি জানি যে সবকিছু ঠিক করতে সময় প্রয়োজন। তবে আমাকে সময় দেওয়া হোক তা চাই না, বরং সময় আদায় করে নিতে চাই। জয়ের মাধ্যমেই তা করত হবে; মাঠের খেলা দিয়ে সময় আদায় করে নিতে হবে।’
৪ দিন আগে
অবসর নিয়ে আরও স্পষ্ট বার্তা রোনালদোর
অবসর নিয়ে কিছুদিন আগেই নিজের ভাবনা জানিয়েছেন পর্তুগিজ ফুটবল সুপারস্টার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। এবার সেটি আরও স্পষ্ট করেছেন তিনি।
৩৯ পেরিয়ে ৪০-এ পা দিতে আর বেশিদিন দেরি নেই। এই বয়সেও দুর্দান্ত পারফর্ম করে চলেছেন রোনালদো। গতরাতে নেশন্স লিগে পোল্যান্ডকে ৫-১ গোলে হারানোর ম্যাচেও জোড়া গোল পেয়েছেন তিনি। তার দ্বিতীয় ও পর্তুগালের পঞ্চম গোলটি আসে দৃষ্টিনন্দন এক বাইসাইকেল কিক থেকে।
এর ফলে জাতীয় দলের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের (১৩২টি) রেকর্ড এখন রোনালদোর। এই রেকর্ড গড়ার পথে তিনি পেছনে ফেলেছেন তারই সাবেক ক্লাব সতীর্থ সের্হিও রামোসকে। ২০২১ সালে স্পেনের জার্সিতে বিদায় নেওয়ার আগে ১৩১ ম্যাচ জেতেন এই রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি।
পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি বয়সে জোড়া গোল করার রেকর্ডটিও নিজের করে নিয়েছেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে তার গোলসংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৫টিতে।
নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের ১ নম্বর গ্রুপের পাঁচ ম্যাচে চার জয় ও একটি ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ইতোমধ্যে কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পর্তুগাল। একইসঙ্গে ৫ গোল নিয়ে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতাও পর্তুগিজ মহাতরকা। অবশ্য সমান সংখ্যক গোল নিয়ে স্লোভেনিয়ার বেনিয়ামিন শেশকোও তার পাশে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: অবসরের বিষয়ে আগে কাউকে কিছু জানাবেন না রোনালদো
এই ম্যাচের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবারও অবসরের প্রসঙ্গটি উঠে আসে।
তার কথায়, ‘এখন শুধু (খেলা) উপভোগ করতে চাই। অবসর নিয়ে পরিকল্পনা বলতে… যদি নিতে হয় তো আগামী বছর দুয়েকের মধ্যেই নিয়ে নেব।’
‘আসলে কী হবে জানি না। ৪০-এ পড়তে যাচ্ছি…. এখন যতদিন পারি ফুটবল উপভোগ করতে চাই। তবে যতক্ষণ খেলার অনুপ্রেরণা পাচ্ছি, চালিয়ে যেতে থাকব। যখন দেখব ভেতর থেকে আর (খেলার) তাড়না পাচ্ছি না, অবসর নিয়ে নেব।’
তবে খেলা ছাড়ার পর সত্যিই যে ফুটবলের সঙ্গে আর থাকার ইচ্ছা নেই, সে কথাও উল্লেখ করতে ভুললেন না আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪০-এ পা দিতে চলা এই স্কোরিং মেশিন।
‘জাতীয় দল ছাড়ার সিদ্ধান্তটি অবশ্যই ভেবেচিন্তে নেব। তারপর ম্যানেজার হিসেবে আর (ফুটবলে) ক্যারিয়ার শুরু করার পরিকল্পনা নেই। যদিও সময় অনেক কিছু পাল্টে দেয়, তবে এখন পর্যন্ত ফুটবলের বাইরে কিছু করার পরিকল্পনাই রয়েছে আমার।’
কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করায় ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে রোনালদোকে বিশ্রাম দেওয়া হব বলে জানিয়ে দিয়েছেন কোচ রবের্তো মার্তিনেস।
ক্লাবের হয়েও চলতি মৌসুমের শুরুটা ভালো হয়েছে রোনালদোর। আল-নাসরের হয়ে ১৫ ম্যাচে ১০ গোলের পাশাপাশি তিনটি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।
৪ দিন আগে
ইউরোপের দেশ না হয়েও ইসরায়েল কেন উয়েফার প্রতিযোগিতায়
দক্ষিণ ইসরায়েলে গাজার শাসক দল হামাসের গত বছরের অক্টোবরের হামলার জেরে উপত্যকাটিতে অব্যাহত অগ্রাসনের কারণে বিশ্বজুড়ে সমর্থন হারায় ইসরায়েল। অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও।
গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সম্প্রতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনপন্থিদের সোচ্চার হতে দেখা গেছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা শঙ্কায় নেশন্স লিগে ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচ আয়োজনে অস্বীকৃতি জানায় বেলজিয়াম। পরবর্তী সময়ে হাঙ্গেরির একটি দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৬ নভেম্বর রাতে প্যারিসের পার্ক দে প্রান্স স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজি-আতলেতিকো মাদ্রিদ ম্যাচের আগে গ্যালারি থেকে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিশাল ব্যানার প্রদর্শন করতে দেখা যায়। পরের দিন রাতে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে ইউরোপা লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচের পর ইসরায়েলি ক্লাব মাকাবি তেল আবিবের সমর্থকদের ওপর হামলা হয়।
একই ঘটনা দেখা গেছে ফ্রান্সে নেশন্স লিগের ম্যাচ আয়োজনের আগেও। বৃহস্পতিবার রাতে ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে বিক্ষোভে উত্তাল ছিল পুরো প্যারিস শহর।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে বিক্ষোভে উত্তাল প্যারিস
সাম্প্রতিক এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কারও কারও মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে যে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ হওয়া সত্ত্বেও কেন ইউরোপের প্রতিযোগিতায় খেলে ইসরায়েল ও তার ক্লাবগুলো।
এর উত্তর পেতে আমাদের ঢুঁ মারতে হবে ইতিহাসের পাতায়।
ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার বছর ১৯৪৮ সালে দেশটির জাতীয় ফুটবল দল গঠন হয়। এর আগে ১৯২৯ সাল থেকেই ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (পিএফএ) ব্যানারে ফিফার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আসছিলেন ইহুদি খেলোয়াড়রা। সে সময় আরব, ইহুদি, এমনকি ব্রিটিশ শাসনামলে ওই অঞ্চলে কর্মরত ব্রিটিশ পুলিশ ও সেনাদের ক্লাবগুলোও পিএফএর অধীনে ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নিত।
জাতীয় দল গঠনের পর এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন বা এএফসির একেবারে শুরুর দিকে আয়োজিত কয়েকটি এশিয়ান কাপেও অংশ নেয় ইসরায়েল। ১৯৫৬ সালে এশিয়ান কাপের প্রথম আসরসহ ১৯৬০, ১৯৬৪ ও ১৯৬৮ সালের আসরে অংশ নেয় ইসরায়েল জাতীয় ফুটবল দল। এর মধ্যে ১৯৬৪ সালে আয়োজক দেশ হিসেবে এশিয়ান কাপের শিরোপা জেতে দেশটি।
১৯৭৩ সালের শেষের দিকে মিসর ও সিরিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের ইয়ম কিপুর যুদ্ধের অবসানের পর পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থেকে। আরব দেশগুলোর সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধ ফুটবলের ময়দানেও ছাপ ফেলে। সে সময় প্রতিবেশী দেশগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৪ সালে কুয়েতের তদবিরে আরব দেশগুলো ইসরায়েলকে এএফসি থেকে বহিষ্কারের পক্ষে ভোট দিলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দেশটি।
আরব লিগ থেকে বহিষ্কৃত হয়ে দেশের ফুটবল বাঁচাতে বিকল্প খুঁজতে থাকে ইসরায়েল। এশিয়া থেকে বের হয়ে ১৯৭৮ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য ওশেনিক ফুটবল ফেডারেশনে (ওএফসি) যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে দেশটি।
পরে সদস্য দেশ না হয়েও উয়েফার বিশেষ অনুগ্রহে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ পায় ইসরায়েল। ১৯৮২ সালে উয়েফা এবং তার পরের দুটি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ওএফসির অধীনে খেলে তারা।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসে ইসরায়েলি ফুটবল সমর্থকদের ওপর হামলা
পরবর্তী সময়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে একটি কৌশলগত সমাধানের অংশ হিসেবে ১৯৯১ সালে ইসরায়েলি ক্লাবগুলোকে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ দেয় উয়েফা। এরপর ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলকে সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তার পর থেকে স্থায়ীভাবে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ (ইউরো) ও নেশন্স লিগের মতো প্রতিযোগিতায় ইসরায়েল এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগে অংশগ্রহণ করে চলেছে দেশটির ক্লাবগুলো।
ইউরোপের এলিট ফুটবলে খেললেও গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ইসরায়েল। দেশটির বিভিন্ন ক্লাব ও সমর্থকদের প্রতি ক্ষোভ থেকে মাঝেমধ্যেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। বিষয়টি কেবল ক্রীড়া ক্ষেত্রে নয়, শিক্ষা রাজনীতিসহ ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন অঙ্গনে।
অবশ্য ফুটবলকে কেন্দ্র করে ইহুদিদের রাজনৈতিক সক্রিয়তার অভিযোগও ওঠে প্রায়ই। সবশেষ গত রাতে অনুষ্ঠিত ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগেও এমন ঘটনার কথা জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
ম্যাচের আগে প্যারিসে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইসরায়েলের সমর্থনকারী ফ্রান্সের উগ্র ডানপন্থি ইহুদিরা। ফ্রান্সে বসবাসকারী ইহুদিদের সংগঠিত করতে মূলত ‘ইসরায়েল ইজ ফরেভার’ নামের একটি ইসরায়েলপন্থি সংগঠন ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফিলিস্তিনে আগ্রাসন চলাকালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর জন্য তহবিল সংগ্রহও অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে ছিল বলে খবর পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ফুটবলে ১৯৬৪ সালের এশিয়ান কাপ জয়ই ইসরায়েলের এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় অর্জন। উয়েফার কোনো প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কিছু করে দেখাতে পারেনি তারা।
উয়েফায় যোগ দেওয়ার পর থেকে ২০০৮ সালে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সর্বোচ্চ ১৫তম অবস্থানে উঠেছিল ইসরায়েল। এ র্যাঙ্কিংয়ে তাদের বর্তমান অবস্থান ৮১তম।
৫ দিন আগে
সূচি নিয়ে বিপাকে রিয়াল মাদ্রিদ
বার্সেলোনা ও এসি মিলানের কাছে টানা দুই ম্যাচ হারের পর ওসাসুনাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে আন্তর্জাতিক বিরতিতে গিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। অবশ্য ক্লাবের বিরতি থাকলেও বসে থাকার জো নেই রিয়ালের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের। জাতীয় দলের হয়ে এ সময় মাঠে দেখা যাবে তাদের প্রায় সবাইকে।
আন্তর্জাতিক ‘বিরতি’ বললেও তাই বিরাম পাচ্ছেন না রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবলাররা। তার ওপর আছে ভ্রমণ-ক্লান্তি।
ফর্মহীনতার কারণে আন্তর্জাতিক বিরতিতে ছুটি কাটাবেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে। এছাড়া চোটের কারণে খেলা হবে না রদ্রিগো, এদের মিলিতাও ও দানি কারভাহালদের। তবে নিজ নিজ দেশের হয়ে পারফর্ম করতে দেখা যাবে রিয়ালের একাদশের নিয়মিত মুখ ভিনিসিউস জুনিয়র, জুড বেলিংহ্যাম, এন্দ্রিক, ফেদেরিকো ভালভের্দে, আন্টোনিও রুয়েডিগার, লুকা মদ্রিচ, অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি, ফেরলঁ মদিঁ, আর্দা গুলের ও এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাদের।
অবশ্য জাতীয় দলের দায়িত্ব সেরে মাদ্রিদে ফিরলেই তাদের জন্য অপেক্ষা করবে নতুন বিড়ম্বনা। রিয়াল মাদ্রিদের সূচি থেকে দেখা যায়, ক্লাবটির সামনের ৮ ম্যাচের সাতটিই রয়েছে প্রতিপক্ষের মাঠে। আর এই ৮টি ম্যাচ তাদের খেলতে হবে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে। অর্থাৎ, একেকটি মাঝে তিন দিনের বেশি সময় পাবেন না রিয়ালের খেলোয়াড়রা। ভ্রমণের কারণে তা থেকেও কমে যাবে সময়।
আরও পড়ুন: আক্রমণভাগে পরিবর্তন আসায় দলে ভারসাম্যের অভাব দেখছেন আনচেলত্তি
আন্তর্জাতিক বিরতি থেকে ফিরে আগামী ২৪ নভেম্বর লা লিগায় নিজেদের ত্রয়োদশ ম্যাচ খেলতে লেগানেস যাবে রিয়াল মাদ্রিদ। এর তিন দিন পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চলতি মৌসুমে উড়তে থাকা লিভারপুলের মুখোমুখি হবে কার্লো আনচেলত্তির দল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখন পর্যন্ত সবকটি ম্যাচ জিতে টেবিলের শীর্ষে থাকা লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে অ্যানফিল্ডে।
অ্যানফিল্ড থেকে ফিরে ফিট হতে না হতেই আগামী ১ ডিসেম্বর লা লিগায় গেতাফেকে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে আতিথ্য দেবেন ভিনিসিউস-বেলিংহ্যামরা। এরপর পর্যাপ্ত বিশ্রাম ছাড়াই ফের ব্যাগ গোছাতে হবে রিয়ালের ফুটবলারদের। ৪ ডিসেম্বর সান মামেসে আথলেতিক বিলবাও তাদের অপেক্ষায় থাকবে। এই ম্যাচটি মূলত লা লিগার ১৯তম রাউন্ডের ম্যাচ, যেটি জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্প্যানিশ সুপার কাপের ম্যাচ খেলতে ওই সময়ে দুই দলই সৌদি আরব ভ্রমণ করবে বিধায় সেদিনের সূচিটি এগিয়ে নিয়ে এসেছে লা লিগা।
বাস্কে কান্ট্রি থেকে ফেরার তিন দিন পর ফের জিরোনার বিপক্ষে খেলতে কাতালুনিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করতে হবে আনচেলত্তির শিষ্যদের। এরপর অনুশীলন একপাশে রেখে ইতালিতে যাত্রার উদ্দেশে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন এমবাপে-মদ্রিচরা। ১০ ডিসেম্বর আতালান্তার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে মাঠে নামবেন তারা। ওই ম্যাচটি হবে আতালান্তার জন্য প্রতিশোধের ম্যাচ। সবশেষ গত ১৪ আগস্ট গাস্পেরিনির শিষ্যদের ২-০ গোলে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপ জেতে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন: মৌসুমই শেষ কারভাহালের!
তবে এখানেই শেষ নয়, ওই ম্যাচের পর মাদ্রিদে ফিরে আগামী ১৫ ডিসেম্বর রায়োর মাঠে খেলতে হবে রিয়াল মাদ্রিদকে। মাদ্রিদের ক্লাব হওয়ায় রায়োর ক্ষেত্রে অবশ্য লম্বা সময় ধরে ভ্রমণ করা লাগবে না ক্লাবটির খেলোয়াড়দের।
ফলে তিন সপ্তাহে আটবার মাঠে নামতে হবে লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের। এর মধ্যে স্পেনের বিভিন্ন স্থান ছাড়াও যুক্তরাজ্য ও ইতালি ভ্রমণ করতে হবে তাদের।
এতকিছুর মাঝে খেলোয়াড়রা শারীরিকভাবে কতটা ফিট থাকে তা নিয়ে সংশয় থেকে যাবে। কারণ ঠাসা সূচির কারণে ইতোমধ্যে ইউরোপীয় শীর্ষ ক্লাবগুলোতে খেলা ফুটবলারদের মাঝে চোটের হিড়িক পড়ে গেছে; ছাড় পায়নি রিয়াল মাদ্রিদও।
চোটের কারণে মৌসুমই শেষ হয়ে গেছে দলটির অধিনায়ক দানি কারভাহালের। পাশাপাশি লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে রয়েছেন মূল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। এছাড়া গত শনিবার ওসাসুনার বিপক্ষে জয়ে ফেরার রাতে এসিএলে চোট পেয়ে অন্তত ৯ মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন ডেভিড আলাবার চোটের কারণে রিয়ালের রক্ষণ সামলানোর মূল দায়িত্বে থাকা এদের মিলিতাও। ওইদিন চোটের কারণে তিন-চার সপ্তাহের জন্য বিশ্রামে থাকবেন রদ্রিগো ও লুকাস ভাসকেসও।
এ ছাড়াও চোটের কারণে এখনও স্কোয়াডে ফিরতে পারেননি রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি মিডফিল্ডার অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি। এমতাবস্থায় জানুয়ারির দলবদলের বাজার খোলার আগে ক্লাবটির আরও খেলোয়াড় যদি চোটে পড়ে, তাহলে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ধরে রাখার দৌড়ে আরও পেছনে পড়ে যাবে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসকে বিক্রি করে দিতে এবার পেরেসকে চাপ
এমনিতেই নড়বড়ে শুরুর পর লা লিগায় ১২ ম্যাচে ৮ জয় ও তিন ড্রয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ৬ পয়েন্টে পিছিয়ে আছে লস ব্লাঙ্কোসরা। অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলেছে আনচলত্তির দল। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের অবস্থা সত্যিই হতাশাজনক। চতুর্থ রাউন্ড শেষে দুটি করে জয় ও হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান ১৮তম।
উল্লেখ্য, দলের সংখ্যা বাড়িয়ে চলতি মৌসুম থেকে নতুন ফরমেটে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু করেছে উয়েফা। চার দলের গ্রুপ পর্বের পরিবর্তে এবার ৩৬ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে লিগ পর্ব। এতে প্রতিটি দল আটটি করে ম্যাচ খেলবে এবং লিগ পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ ৮ দল সরাসরি শেষ ষোলো নিশ্চিত করবে, পরের ১৬ দল প্লে-অফ খেলে পরের রাউন্ডে উঠবে আর টেবিলের তলানির ৮ দল সরাসরি প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়বে।
৬ দিন আগে
ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে বিক্ষোভে উত্তাল প্যারিস
উয়েফা নেশন্স লিগে ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে ইসরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়েছে দেশটির রাজধানী প্যারিস। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শহরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করেছে প্যারিস প্রশাসন।
প্যারিসে দেশটির জাতীয় স্টেডিয়াম স্তাদ দে ফ্রান্সে বৃহস্পতিবার নেশন্স লিগের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে ইসরায়েলকে আতিথ্য দেবে ফ্রান্স। স্থানীয় সময় রাত পোৗনে ৯টায় (বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ২টা) শুরু হবে ম্যাচটি।
এই ম্যাচে উপস্থিত থাকার কথা জানান ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেটেলারদের মুখপাত্র বেজালেল স্মোত্রিচ। তার আগমন উপলক্ষে প্যারিসে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইসরায়েলের সমর্থনকারী ফ্রান্সের উগ্র ডানপন্থী ইহুদিরা।
ফ্রান্সে বসবাসাকারী ইহুদিদের সংগঠিত করতেই মূলত ‘ইসরায়েল ইজ ফরেভার’ নামের একটি ইসরায়েলিপন্থী সংগঠন ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ফিলিস্তিনে আগ্রাসন চলাকালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর জন্য তহবিল সংগ্রহও অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে ছিল বলে জানা গেছে।
এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্যারিসজুড়ে উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। এক পর্যায়ে বামপন্থী দলগুলো রাস্তায় নেমে আসে।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসে ইসরায়েলি ফুটবল সমর্থকদের ওপর হামলা
এর পরিপ্রেক্ষিতে ফ্রান্স সফর বাতিল করেন স্মোত্রিচ। ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ের প্রতিবাদ জানানো হয়।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয় স্থানের নাগরিকরা যাতে শান্তি বসবাস করতে পারে, তার জন্য দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে ফ্রান্স। এটিই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধানের একমাত্র সম্ভাবনা।’
তবে এরপরও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে শহরজুড়ে। বুধবার রাত থেকেই উল্লিখিত অনুষ্ঠানের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। ইসরায়েলপন্থীদের ওই অনুষ্ঠানের নিন্দা জানিয়ে তারা এটিকে ‘ঘৃণা ও লজ্জার অনুষ্ঠান’ বলে অভিহিত করেছেন।
বিক্ষাভকারীদের যুক্তি ছিল এমন যে, হামাস বা হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো দল বা গোষ্ঠী যদি প্যারিসে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, তাহলে নিশ্চিতভাবে পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। ফলে (ইহুদিদের) এ ধরনের কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ বেআইনি।
বিক্ষোভ ছড়ালেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন প্যারিসের পুলিশ প্রধান লরেন্ত নুনেস।
এদিকে, ম্যাচ চলাকালে গ্যালারিতে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ৪ হাজার পুলিশ ও স্টেডিয়ামের ১ হাজার ৬০০ নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে, পার্ক দে প্রান্সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গত বুধবার রাতে পিএসজি-আতলেতিকো মাদ্রিদ ম্যাচের আগে গ্যলারি থেকে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিশাল ব্যানার প্রদর্শন করতে দেখা যায়। পরেরদিন বৃহস্পতিবার রাতে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে ইউরোপা লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচের পর ইসরায়েলি ক্লাব মাকাবি তেল আবিবের সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এবার ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগেই বিক্ষোভ ছড়িয়েছে প্যারিসজুড়ে।
৬ দিন আগে
ভিনিসিউসকে বিক্রি করে দিতে এবার পেরেসকে চাপ
ভিনিসিউস জুনিয়র ব্যালন দ’র না জেতার খবরে ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ডের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে সম্প্রতি ফ্রান্স ফুটবলের অনুষ্ঠানই বর্জন করে রিয়াল মাদ্রিদ। অথচ সেই ভিনিসিউসকেই নাকি বিক্রি করে দিতে ক্লাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চাপের মুখে পড়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেস।
ব্যালন দ’র না পেলেও তার পর থেকে দারুণভাবে জ্বলে ওঠা ভিনিসিউসকে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের এমন খবর সত্যিই বোমা ফাটানোর মতো।
চলতি মৌসুমে রিয়ালের আক্রমণভাগের দুঃসময়ের মাঝেও প্রতিটি ম্যাচে নিজের উপস্থিতির জানান দিয়ে চলেছেন ২৪ বছর বয়সী এই উইঙ্গার। লা লিগায় ১২ ম্যাচে ৮ গোল ও চার অ্যাসিস্ট করে এখন পর্যন্ত রিয়ালের সবচেয়ে সফল স্ট্রাইকার তিনিই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও চার ম্যাচে চারটি গোলের দেখা পেয়েছেন এই ফরোয়ার্ড।
লেফট উইংয়ে তার চেয়ে ক্ষিপ্র গতির আক্রমণাত্মক ফুটবলার বর্তমানে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সমালোচকদের চোখেও তিনি ইউরোপের এ সময়ের সেরা উইঙ্গার এবং সেরা ফুটবলারদের একজন। অথচ সেই ভিনিসিউসকেই নাকি ছেড়ে দিতে চান রিয়ালের পরিচালনা বোর্ডের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের জন্য সৌদির ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব ফেরাল রিয়াল
গত গ্রীষ্মে সৌদি আরব থেকে বিরাট অঙ্কের অর্থিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন ভিনিসিউস। পাঁচ বছরের চুক্তিতে এই ফুটবলারকে এক বিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) কর্মকর্তারা। পাশাপাশি ভিনিকে ২০৩৪ সালে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের দূত হওয়ারও একটি বিশেষ প্রস্তাব রাখা হয়েছিল চুক্তিতে।
এমনকি রিলিজ ক্লস হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদকে ৫০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছিল তারা। তবে সৌদি থেকে আসা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ভিনিসিউস জানিয়েছিলেন, রিয়ালেই আজীবন থাকতে চান তিনি।
অথচ মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে পাল্টে গেছে ক্লাবের অভ্যন্তরীণ চিত্র। রিয়ালের আর্থিক অবস্থায় ভারসাম্য আনতে ভিনিসিউসকে নাকি তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করতে চান ক্লাবটির কর্তারা।
আরও পড়ুন: আক্রমণভাগে পরিবর্তন আসায় দলে ভারসাম্যের অভাব দেখছেন আনচেলত্তি
সূত্রের বরাত দিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্তের খবরে বলা হয়েছে, ভিনিসিউসকে ছেড়ে দিতে ক্লাব সভাপতি পেরেসকে চাপ দিয়ে আসছে তার উপদেষ্টা পরিষদ। এবার এ বিষয়ে সরব হয়েছেন তার ছেলে চিভোও।
রিয়াল মাদ্রিদে পেরেসের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং তার ব্যক্তিগত ব্যবসায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার চিভোর দাবি, রিয়াল মাদ্রিদ যে আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে আছে, ভিনিসিউসকে বিক্রি করে দিলে তার সমাধান হয়ে যাবে। এছাড়া ভিনি সরে গেলে তার জায়গায় কিলিয়ান এমবাপে খেললে দলের আক্রমণভাগের সমস্যাও মিটে যাবে।
সৌদি আরবের প্রস্তাব পেয়ে ভিনিসিউসের এজেন্ট সেসময় জানিয়েছিলেন, মাদ্রিদে সুখে থাকলেও এই ধরনের বিরাট অঙ্কের প্রস্তাব অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করা উচিৎ।
রিয়ালের সঙ্গে ভিসিসিউসের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ রয়েছে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। ফলে নতুন চুক্তির ব্যাপারে ভিনির এজেন্টের সঙ্গে আলোচনার সময় এগিয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্লাব কর্তাদের এহেন সিদ্ধান্তে রিয়ালে ভিনিসিউসের ভবিষ্যত যে খানিকটা অনিশ্চয়তায় পড়ে গেল, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
তবে বিষয়টি আলোর মুখ দেখতে এখনও অনেক দেরি। আবার ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকাকালে ইউরোপীয় ফুটবল ছেড়ে ভিনিসিউস সৌদি আরবে যাবেন কিনা, সেটিও দেখার বিষয়। তবে পিআইএফ যদি ভিনিসিউসকে পাওয়ার আশা না ছাড়ে, আর নতুন চুক্তিতে বেতন-বোনাস নিয়ে রিয়ালের সঙ্গে ভিনিসিউস যদি ঐক্যমত্যে না পৌঁছাতে পারেন, তাহলে তিনি রোনালদো-নেইমার-বেনজেমাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
৬ দিন আগে
হাজার গোলের মাইলফলক ছোঁয়া নিয়ে সংশয়ে রোনালদো
গত সেপ্টেম্বরে ৯০০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়ে হাজার গোলের মাইলফলকে পৌঁছানোর প্রত্যয় ঝরেছিল ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা মহাতরকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর মুখে। তবে বয়সের দিকে তাকিয়ে দুই মাস পরই তার কণ্ঠে মিলল বাস্তবতার সুর।
পেশাদার ফুটবলে ইতোমধ্যে ৯০৮ গোল করে ফেলেছেন রোনালদো। ১০০০-এর মাইলফলক ছুঁতে তার এখনও প্রয়োজন ৯২টি গোল। এদিকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ৪০-এ পা দেবেন এই সুপারস্টার। তাই অনন্য এই মাইলফলক ছুঁতে যতটা সময় প্রয়োজন সে পর্যন্ত শরীর সায় দেবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান তিনি।
রোনালদোর সম্মানে পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন (এফপিএফ) এক জমকালো পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে দেওয়া বক্তৃতায় আল-নাসর তারকা বলেন, ‘জীবনের এই পর্যায়ে এসে আমি বর্তমানে বাঁচতে চাই। আমি আর দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করতে চাই না।’
‘আমি প্রকাশ্যেই বলেছিলাম যে হাজার গোলের মাইলফলক স্পর্শ করতে চাই। গত মাসেই ৯০০ গোল পার করেছি, এখনও মনে হচ্ছে সবকিছু সহজ। তবে জীবনের এই পর্যায়ে এসে দেখার বিষয়, আগামী কয়েক বছর আমার পা কীভাবে সাড়া দেয়। যদি হাজার গোল করতে পারি ভালো, তবে যদি না-ও পারি, তবুও আমিই ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা।’
আরও পড়ুন: হাজার গোলের মাইলফলক ছুঁতে চান রোনালদো
জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ২১৬ ম্যাচ খেলে ১৩৩ গোল করেছেন রোনালদো, আন্তর্জাতিক ফুটবলে যা সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত গোলের রেকর্ড। ২০২৬ বিশ্বকাপে অংশ নিলে আরও অনেক রেকর্ডে নিজের নাম জুড়ে দিতে পারবেন রোনালদো।
ফিট থাকলে আগামী বিশ্বকাপে তাকে দেখা যে বিস্ময়কর কিছু হবে না, এদিন সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন এফপিএফের সভাপতি ফার্নান্দো গোমেস।
অনুষ্ঠানে রোনালদোকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘(ফুটবলের) সর্বোচ্চ মর্যাদার পুরস্কার প্লাটিনাম কিনাসের জন্য কেউ যদি যোগ্য হয়ে থাকেন, তিনি নিঃসন্দেহে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।’
‘২০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি জাতীয় দলকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। পর্তুগাল জাতীয় দলের প্রতি, জার্সির প্রতি যদি কেউ সর্বোচ্চ ভালোবাসা দেখিয়ে থাকেন, তিনি রোনালদো। অনন্য এক শুভেচ্ছাদূত, যিনি জাতীয় দল ও জার্সিকে অনুভব করেন।’
১ সপ্তাহ আগে
২২ বছর বয়সে ইকুয়েডরিয়ান ফুটবলারের মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনার ৩৯ দিন পর অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনেছেন ইকুয়েডরের তরুণ ফুটবলার মার্কো আঙ্গুলো। দেশটির ফুটবলের ভবিষ্যতের অন্যতম কাণ্ডারী হিসেবে বিবেচিত হলেও মাত্র ২২ বছর বয়সেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন এই খেলোয়াড়।
গত ৭ অক্টোবর ভোরে ব্যারিকেড দিয়ে মহাসড়কে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। এ সময় পাঁচ যাত্রী নিয়ে আঙ্গুলোর প্রাইভেট কারটি প্রচণ্ড গতিতে এসে ব্যারিকেডে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় শ্রমিকদের বেশ কয়েকজনসহ গাড়ির তিন যাত্রী গুরুতর আহত হন।
দুর্ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন আঙ্গুলো। তবে ৩৯ দিন পর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই ফুটবলার। এর ফলে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটির মোট তিন যাত্রী নিহত হলো।
পৃথক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করে আঙ্গুলোর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশন (এফইএফ) ও তার ক্লাব লিগা দে কিতো।
আরও পড়ুন: পোশাক নিয়ে মুসলিম নারী ফুটবলারদের পাশে এফএ
মাত্র ২২ বছর বয়সেই আঙ্গুলোকে সাম্প্রতিক সময়ে ইকুয়েডরের অন্যতম সেরা প্রতিভা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। ইকুয়েডরের স্থানীয় ক্লাব ইন্দিপেন্দিয়েন্তে দেল ভায়ের ডিফেন্ডার হিসেবে পেশাদার ফুটবলে ক্যারিয়ার শুরু করার আগে ক্লাবটির হয়ে অনূর্ধ্ব-২০ কোপা লিবার্তাদোরেস জেতেন তিনি। এরপর পেশাদার ফুটবলে ক্লাবটির জার্সিতে অভিষেকের পরও দক্ষ মিডফিল্ডার হিসেবে নজর কাড়েন তিনি।
২০২৩ সালে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব এফসি সিনসিনাটিতে যোগ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। সেখানেও নিজের টেকনিক্যাল দক্ষতা ও বল নিয়ন্ত্রণের জন্য জনপ্রিয়তা পান এই ফুটবলার। পরে সেখান থেকে ইকুয়েডরে ফিরে এসে তিনি লিগা দে কিতোয় যোগ দেন।
ইকুয়েডর জাতীয় দলেও খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন আঙ্গুলো। তবে অকাল মৃত্যুতে ক্যারিয়ার লম্বা করার সুযোগ পেলেন না এই ফুটবলার।
আঙ্গুলোর মৃত্যুতে ইকুয়েডরের ফুটবল অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে এফইএফ বলেছে, ‘দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের প্রিয় খেলোয়াড় মার্কো আঙ্গুলো মারা গেছেন। আমরা তার পরিবার ও স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তার চলে যাওয়া অপূরণীয় ক্ষতি যা আমাদের হৃদয়ে অমোচনীয় ছাপ রেখে গেছে।’
‘আমরা তার পরিবার, সতীর্থ ও স্বজনদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং এই কঠিন সময়ে তাদের শক্তি কামনা করছি।’
১ সপ্তাহ আগে