এশিয়া
ইরাকের উত্তরাঞ্চলে বিয়ের অনুষ্ঠানে আগুন লেগে নিহত শতাধিক
ইরাকের উত্তরাঞ্চলে এক খ্রিস্টান বিয়ের আয়োজক হলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১০০ জন নিহত ও ১৫০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানিয়েছে বলেছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইরাকের নিনেভেহ প্রদেশের হামদানিয়া এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এটি রাজধানী বাগদাদ থেকে প্রায় ৩৩৫ কিলোমিটার (২০৫ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে মসুল শহরের ঠিক বাইরে এটি খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকা।
টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বিয়ের হলের ওপর দিয়ে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ছে।
বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে তাদের অক্সিজেন ও ব্যান্ডেজ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইরাকের কুর্দি অঞ্চলে সামরিক বিমানবন্দরে হামলায় নিহত ৩
নিনেভেহ প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ মৃতের সংখ্যা ১১৪ জনে উন্নীত করেছে। ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফ আল-বদর এর আগে ইরাকের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কে আহতের সংখ্যা ১৫০ বলে জানিয়েছিলেন।
আল-বদর বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ দেওয়ার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।’
অনলাইনে এক বিবৃতিতে তার কার্যালয় বলেছে, প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি অগ্নিকাণ্ডের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং দেশটির স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ত্রাণ সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন।
নিনেভেহ প্রদেশের গভর্নর নাজিম আল-জুবরি বলেন, আহতদের কয়েকজনকে আঞ্চলিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আগুনে হতাহতের কোনো চূড়ান্ত সংখ্যা এখনও পাওয়া যায়নি। যা মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দেয়।
আরও পড়ুন: ইরাকে তীর্থযাত্রী বহনকারী বাস উল্টে নিহত ১৮
ইরাকে কুর্দি যোদ্ধাদের হামলায় ৬ তুর্কি সেনা নিহত : আঙ্কারা
স্বাধীন ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিকের আহ্বান ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানের
ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে বলেছেন, ভারত একটি মুক্ত ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ; যেখানে সকল জাতির সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা হয়। কারণ এই অঞ্চলে চীনা প্রভাব নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়ছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মি চিফস কনফারেন্সে জেনারেল মনোজ পান্ডে এসব কথা বলেন।
সামরিক কূটনীতি এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রচারের লক্ষ্যে এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। ৩০টি দেশের সেনাপ্রধান ও প্রতিনিধিদল দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন, যা বুধবার শেষ হবে।
পান্ডে বলেছেন, এই অঞ্চলের দেশগুলো যখন একটি মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক নিশ্চিতে কাজ করছে, তখন ‘আমরা আন্তঃরাজ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা দেখতে পাচ্ছি।’
পরোক্ষভাবে তিনি চীনের কথা বলেছেন, কেননা দেশটি সম্প্রতি এই অঞ্চলে তার কার্যক্রম বাড়িয়েছে।
পান্ডে বা মার্কিন সেনাপ্রধান র্যান্ডি জর্জ কেউই তাদের মন্তব্যে স্পষ্টভাবে চীনের কথা উল্লেখ করেননি।
একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনা সম্প্রসারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জর্জ বলেন, অঞ্চলটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার। ‘এ কারণেই আমরা এই কনফারেন্স আয়োজন করেছি এবং এজন্যই আমরা প্রশান্ত মহাসাগরের অন্য যে কোনও জায়গার চেয়ে এই অঞ্চলে বেশি সক্রিয়।’
মার্কিন সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘এই সম্মেলন যা প্রমাণ করে... তা হলো (আমাদের) ঐক্য ও প্রতিশ্রুতি।’
পরে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পান্ডে বলেন, ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি সবসময়ই বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান, বলপ্রয়োগ এড়ানো এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা।
তিনি আরও বলেন, সামুদ্রিক নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জগুলো ছাড়াও, আঞ্চলিক বিরোধসহ ‘কৃত্রিমভাবে সম্প্রসারিত দ্বীপগুলোকে রিয়েল এস্টেট অধিগ্রহণ এবং সামরিক ঘাঁটি স্থাপন’-সহ অঞ্চলটি স্থল নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং মানবিক উদ্বেগের সম্মুখীন হয়েছে।’
এখানেও চীনের নাম উহ্য রাখেন তিনি।
দ্বীপগুলোর উপর পূর্ব চীন এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আঞ্চলিক দাবি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাশাপাশি জাপানের বেইজিংয়ের ছোট প্রতিবেশীকে বিচলিত করেছে।
এদিকে ২০২০ সাল থেকে নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
সেসময় হিমালয় লাদাখ অঞ্চলে অনির্ধারিত সীমান্তে সংঘর্ষে মোট ২৪ জন ভারতীয় ও চীনা সৈন্য নেহত হয়। তাদের মধ্যে ২০ জন ছিল ভারতীয় এবং চার জন ছিল চীনা সৈন্য।
পাকিস্তানে ট্রেন দুর্ঘটনায় ৩০ জন আহত
পূর্ব পাকিস্তানে রেললাইনে থেমে থাকা একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সঙ্গে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ যাত্রী আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা শহীদ আজিজ বলেছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ লাহোরগামী যাত্রীবাহী ট্রেনটির চালক, তার সহকারী এবং দুই গ্রাউন্ড স্টাফকে কর্তব্যে অবহেলার জন্য বরখাস্ত করেছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৩০, আহত ৬০
আজিজ বলেন, সকালে কিলা সাত্তার শাহ স্টেশনের কাছে শাইখুপুরা জেলায় মিয়ানওয়ালী থেকে লাহোরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়ে। সেখানে পণ্যবাহী ট্রেনটি আগে থেকেই পার্ক করা ছিল।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন, তবে গুরুতর আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রেললাইনগুলো দ্রুত পরিষ্কার করা হয়েছে।
পাকিস্তানে রেলপথে প্রায়ই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। ঔপনিবেশিক যুগের এই যোগাযোগ ব্যবস্থা বহুদিন আধুনিকায়ন করা হয়নি এবং এর নিরাপত্তার মানও দুর্বল।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সমাবেশে বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহত, আহত প্রায় ২০০
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণে নিহত ২৫, আহত ১৪৫
ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪ মাসে সর্বনিম্ন
শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ১৫ সেপ্টেম্বর সপ্তাহ শেষে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৮৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কমে ৫৯৩ দশমিক ০৩৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর সপ্তাহ শেষে বৈদেশিক মুদ্রা ৪ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার কমে দাঁড়িয়েছে ৫৯৩ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারে।
বলা হচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বর্তমান মূল্য ৪ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
আরও পড়ুন: আইএমএফ’র হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৩.৫৭ বিলিয়ন ডলার
বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ হ্রাসের জন্য গত বছর থেকে বৈশ্বিক উন্নয়নের কারণে সৃষ্ট চাপের মধ্যে ভারতীয় রুপিকে রক্ষা করার জন্য আরবিআই কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে দায়ী করা হচ্ছে।
আরবিআই প্রকাশিত উইকলি স্ট্যাটিসটিকাল সাপ্লিমেন্ট অনুসারে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের একটি প্রধান উপাদান বৈদেশিক মুদ্রার সম্পদও ৫১১ মিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়ে ৫২৫ দশমিক ৯১৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভারতের মুদ্রায় বাণিজ্য লেনদেন রিজার্ভের ওপর চাপ কমাবে: হাইকমিশনার
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোতে ৩০০ বিলিয়ন ডলার জরুরি তহবিল ধার দিল ফেডারেল রিজার্ভ
কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে কানাডার নাগরিকদের ভিসা স্থগিত করল ভারত
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কানাডার নাগরিকদের ভিসা প্রদান স্থগিত করেছে ভারত।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভিসা আবেদনের প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ের জন্য নিযুক্ত বেসরকারি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিএলএস ইন্টারন্যাশনাল তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'অপারেশনাল কারণে' পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভিসা সেবা স্থগিত করা হয়েছে।
খালিস্তানপন্থী শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নয়াদিল্লির জড়িত থাকার 'বিশ্বাসযোগ্য' প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছে অটোয়া।এ নিয়ে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে।এরই মধ্যে এই ঘোষণা এল।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগকে 'অযৌক্তিক' ও 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভিসা স্থগিতের সঙ্গে ওই বিতর্কের কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ভারতের শান্তিনিকেতন
এবার ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ঠাই পেয়েছে ভারতের শহর শান্তিনিকেতন। এ শহরেই এক শতাব্দী আগে নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সংস্থাটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব সংস্থাটি এ ঘোষণা দিয়েছে।
বর্তমানে সৌদি আরবে চলমান বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির ৪৫তম অধিবেশনে শান্তিনিকেতনকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন।
শান্তিনিকেতন শব্দের অর্থ ‘শান্তির আবাস’। মূলত এটি ছিল একটি আবাসিক স্কুল এবং প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্যের উপর ভিত্তি করে শিল্পের কেন্দ্র এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সীমানা অতিক্রম করে মানবতার ঐক্যের দৃষ্টিভঙ্গি।
নির্বাচন আয়োজন নিয়ে পিটিআইয়ের আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট
৯০ দিনের মধ্যে দেশব্যাপী নির্বাচন চেয়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) করা আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানভিত্তিক জিও নিউজের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম এএনআই।
সাবেক ক্ষমতাসীন জোট সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার আগে প্রাসঙ্গিক ফোরামের কাছে না যাওয়ায় আবেদনটি ফেরত দেওয়া হয়েছে।
আবেদনে পিটিআই পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে বিবাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তবে রেজিস্ট্রার বলেছেন, ২৪৮ ধারা অনুযায়ী প্রেসিডেন্টকে পিটিশনের অংশ করা যাবে না।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার আরও বলেছেন যে আবেদনকারীর কোন মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে তা ‘পিটিশনে উল্লেখ করা হয়নি। পিটিশনটি ১৮৪/৩ ধারার অধীনে আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে না।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর শপথ
পিটিআই গত আগস্টে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছিল।
আবেদনকারী পিটিআই-এর মহাসচিব ওমর আইয়ুব, সুপ্রিম কোর্টকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আলভিকে নির্বাচনের তারিখ দেওয়ার জন্য এবং পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনকে (ইসিপি) সেই অনুযায়ী নির্বাচনের সময়সূচি জারি করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
জিও নিউজ জানিয়েছে, আইয়ুব সংবিধানের ১৮৪(৩) অনুচ্ছেদের অধীনে পিটিশনটি দাখিল করেন এবং আদমশুমারিকে অবৈধ ও বাতিল হিসেবে অনুমোদন দিয়ে ২০২৩ সালের ৫ আগস্টের সাধারণ স্বার্থ কাউন্সিলের (সিসিআই) সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেছিলেন। এটি ছিল সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা দ্বিতীয় পিটিশন।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের (এসসিবিএ) সভাপতি আবিদ এস জুবায়েরি সুপ্রিম কোর্টে একই আবেদন করেছিলেন।
জুবায়েরি ব্যারিস্টার আলী জাফরের মাধ্যমে পিটিশনটি দাখিল করেন।
তাতে তিনি ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট তারিখ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বিজ্ঞপ্তিটিকে বেআইনি, বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করার অনুরোধ করেন।
২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ইসিপি’র প্রস্তাবিত বিজ্ঞপ্তিটিকে বেআইনি ও অকার্যকর ঘোষণা করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি।
পিটিআই আদালতকে অনুরোধ করেছেন, সিন্ধু রাজ্যপালকে সিন্ধু জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে এবং নির্বাচনী সংস্থাকে সেই অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল জারি করতে বলা হবে এবং বেলুচিস্তান প্রদেশের জন্যও একই নিয়ম মানা হবে।
আরও পড়ুন: আনোয়ার-উল-হক কাকার পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত
জিও নিউজ জানিয়েছে, ইসিপি আরও বলেছে যে পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া বিধানসভার নির্বাচন আদালতের রায় অনুসারে এবং আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
পিটিআই পিটিশনে বলেছে, জাতীয় পরিষদের নির্বাচন বিলম্বিত করার অজুহাত হিসেবে ইসিপি’র করা আদমশুমারি ব্যবহার করা হচ্ছে।
পাকিস্তানভিত্তিক ডন জানিয়েছে, ১৩ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজাকে একটি চিঠিতে ৬ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনের তারিখ হিসেবে প্রস্তাব করেছিলেন।
চিঠিতে প্রেসিডেন্ট আলভি বলেছেন, তিনি ৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে অংশীজনদের মধ্যে মতামত বিভক্তের কারণে সিইসিকে প্রেসিডেন্ট এই পরামর্শ দেন।
তিনি সংবিধানের ৪৮ (৫) অনুচ্ছেদও উদ্ধৃত করেছেন।
ডনের রিপোর্ট অনুযায়ী, আলভী বলেন যে সভাপতিকে বিধানসভা 'বিলুপ্তির তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করার জন্য ক্ষমতা ও আদেশ দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ইমরান খানের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া মানার আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘তাই অনুচ্ছেদ ৪৮ (৫) অনুসারে জাতীয় পরিষদের সাধারণ নির্বাচন সাধারণ পরিষদ ভেঙে দেওয়ার তারিখের ৮৯তম দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।’
ডন জানিয়েছে, চিঠিতে আলভি আরও বলেছেন যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পূরণের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সিইসিকে সাংবিধানিক অভিপ্রায় এবং আদেশ বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণ করার জন্য একটি বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেছেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন ও পরিচালনার জন্য 'অনুচ্ছেদ ৫১, ২১৮, ২১৯, ২২০ এবং নির্বাচন আইন, ২০১৭'-এর অধীনে নির্ধারিত সমস্ত সাংবিধানিক ও আইনি পদক্ষেপগুলো মেনে চলা পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) দায়িত্ব।
বিশ্ববাসীর মূল্যায়ন: অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন ইস্যুতে ফোকাস করতে জি২০’র প্রতি আহ্বান
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিশ্বের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে আস্থা বাড়ানোর জন্য জি২০ গ্রুপের বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নতি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সামনে আসা সমস্যা মোকাবিলায় পুনরায় মনোযোগ দেওয়া উচিত।
বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির নেতারা একত্রে কাজ করার উপায় খুঁজে বের করবেন এবং বিশ্ব যেসব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাড়িয়ে আছে, সেগুলো মোকাবিলা করার বিষয়ে ঐকমত্য হবে।
বহুপাক্ষিকতা রক্ষা করা
নয়দিল্লিরি জওহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটির সেন্টার অব চাইনিজ অ্যান্ড সাউথইস্ট এশিয়ান স্টাডিজের চেয়ারপার্সন বি.আর. দীপক বলেছেন, বর্তমান বিশ্বের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ হলো বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থায় বহুপাক্ষিকতার অভাব।
তিনি বলেন, ‘কিছু দেশ; বিশেষ করে পশ্চিমের দেশগুলো সুরক্ষাবাদ, নিজ দেশের বাসিন্দাদের স্বার্থ রক্ষার নীতি ও একচেটিয়া প্রভাবের নীতিগুলো মেনে চলছে এবং সম্ভবত উন্নয়নশীল দেশগুলো যে ধরনের বহুপাক্ষিকতায় বিশ্বাস করে, তারা তাতে বিশ্বাস করে না।’
তিনি আরও বলেন, বহুপাক্ষিকতা হলো জি২০ এর মূল এজেন্ডাগুলোর মধ্যে একটি। আশা করছি গ্রুপটি শক্তিশালী বহুপাক্ষিকতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিশ্বকে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাবে।
১৯৯৯ সালে গঠিত হওয়া জি২০ হলো আর্থিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি শীর্ষস্থানীয় ফোরাম।
এটি ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নিয়ে গঠিত। যা বিশ্বব্যাপী জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ, বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশের বেশি এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে।
২০০৮ সালে বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকটের পটভূমিতে জি২০ অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের বৈঠকগুলো আরও ভালোভাবে সংকট সমন্বয়ের জন্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের স্তরে উন্নীত করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৭টি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই বছরের শীর্ষ সম্মেলনের থিম- ‘ওয়ান আর্থ, ওয়ান ফ্যামিলি, ওয়ান ফিউচার’ (এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ)।
এবারের সম্মেলনে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, ডিজিটাল উদ্ভাবন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ভারতে জি-২০ সম্মেলনে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে অগ্রগতি প্রয়োজন।
অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যাগুলোর জন্য একটি অভিন্ন পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে ইনু বলেন, যদিও জি২০ সদস্যদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে, তবে সাধারণ কিছু বিষয়ে অগ্রগতির জন্য এক হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ওই আইনপ্রণেতা বলেন, অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর উপর রাজনৈতিক সমস্যাগুলোর প্রভাব পড়া উচিত না। অনেকগুলো দেশের উপর আরোপিত বাণিজ্য বিধিনিষেধ, বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলকে বাধাগ্রস্ত করছে।
অর্থনীতি ও উন্নয়ন অবশ্যই আলোচনা মূল কেন্দ্রে থাকবে
ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতি, আর্থিক অস্থিরতা, গভীরতর ভূ-অর্থনৈতিক বিভাজন এবং উদীয়মান অর্থনীতি ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ঋণের চাপ বৃদ্ধিসহ একাধিক চ্যালেঞ্জ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির উপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক আপডেট অনুসারে, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ২০২২ সালের আনুমানিক ৩ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ৩ শতাংশে নেমে যাওয়ার অনুমান করা হচ্ছে।
ইনু বলেন, বিশ্বের প্রধান উন্নত ও উদীয়মান অর্থনীতির প্রতিনিধিত্বকারী একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম হিসেবে, জি২০-কে টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডার লক্ষ্য অর্জনের জন্য নর্থ-সাউথ সহযোগিতার প্রসার করতে হবে।
দীপকের দৃষ্টিতে, গ্লোবাল সাউথের বর্তমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমস্যাগুলোকে কার্যকর অর্থায়ন এবং প্রযুক্তির সহায়তায় সমাধান করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সম্ভবত আরও সহযোগিতা দেখতে পাব। গ্লোবাল নর্থ থেকে এই দেশগুলোতে প্রযুক্তি স্থানান্তরসহ নীতি ও তহবিলের আরও সমন্বয় দেখতে পাব।’
দ্য অস্ট্রেলিয়া ইনস্টিটিউটের আন্তর্জাতিক ও নিরাপত্তাবিষয়ক প্রোগ্রামের পরিচালক অ্যালান বেহম বলেছেন, বিশ্ব শাসনে জি২০ সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বেহম বলেন, ‘এই দেশগুলো মানুষের অগ্রগতিতে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় ব্যাপক অবদান রাখতে পারে। তাদের অর্থনীতির প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের অর্থনীতিও প্রসারিত হয়।’
চীনের সক্রিয় ভূমিকা
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এবং বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চীন বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামোর উন্নয়নে জি২০’র অগ্রণী ভূমিকাকে সমর্থন করে এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির আহ্বান জানায়।
ইনুর মতে, জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (ইউএমএফ) মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বর দুর্বল।
তিনি জি২০-এ আফ্রিকান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্তির জন্য চীনের সমর্থনেরও প্রশংসা করেন।
ইনু বলেন, ‘চীন জি২০ এর মধ্যে এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারে এবং গ্লোবাল সাউথের স্বার্থের উন্নয়ন ঘটাতে পারে।’
ইন্দোনেশিয়ার পদজাদজারান ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সহযোগী অধ্যাপক তেকু রেজাসিয়াহ আশা করেন, চীন অবকাঠামো, গবেষণা ও উন্নয়ন, ওষুধ, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি ও টেকসই উন্নয়নে তার সুবিধাগুলো ব্যবহার করে বর্তমান গ্লোবাল সাউথ সহযোগিতার শূন্যতা পূরণের জন্য বিভিন্ন কর্মকাণ্ড প্রচার করবে।
ইনু বলেন, চীন বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবিলায় সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বিশ্বাস করেন, চীন এই বছরের জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে ‘খুব ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে’।
ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপকে সংযুক্ত করে রেল ও শিপিং প্রকল্প ঘোষণা করবেন বাইডেন-মোদি
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার মিত্ররা শনিবার একটি শিপিং করিডোর ঘোষণার পরিকল্পনা করছে যা ভারতকে-মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপ পর্যন্ত সংযুক্ত করবে। গ্রুপ অব-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য একটি সম্ভাব্য গেম চেঞ্জার হিসেবে এটি ঘোষণা করা হবে।
প্রেসিডেন্টের উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন ফিনার বলেছেন, একটি শিপিং এবং রেল পরিবহন করিডোরের জন্য প্রস্তাবিত সমঝোতা স্মারকটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জি-২০ -এর অন্যান্য দেশ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্টের অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে প্রকল্পটি ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছেন। রেল এবং শিপিং করিডোর দেশগুলোর মধ্যে জ্বালানি পণ্যসহ বৃহত্তর বাণিজ্য সক্ষম করবে। এটি চীনের নিজস্ব বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এর আরও উচ্চাভিলাষী কাউন্টারগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে, যা বিশ্বের আরও বেশি দেশের অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত করতে চায়।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা-মোদি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেননি: মোমেন
ফিনার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রকল্পের জন্য তিনটি বড় যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি প্রথমে বলেছিলেন যে করিডোরটি জ্বালানি সরবরাহ এবং ডিজিটাল যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে জড়িত দেশগুলোর মধ্যে সমৃদ্ধি বাড়াবে। দ্বিতীয়ত, প্রকল্পটি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব মেটাতে সাহায্য করবে। এবং তৃতীয়, ফিনার বলেছেন যে এটি মধ্যপ্রাচ্য থেকে ছড়ানো ‘অশান্তি এবং নিরাপত্তাহীনতার’ ‘পরিবেশ হ্রাসে’ সাহায্য করতে পারে।
ফিনার বলেন, ‘আমরা এটিকে জড়িত দেশগুলোর কাছে এবং বিশ্বব্যাপী উচ্চ আবেদন হিসাবে দেখি, কারণ এটি স্বচ্ছ, একটি উচ্চ মানসম্পন্ন এবং এটি জবরদস্তিমূলক নয়।’
আরও পড়ুন: মরক্কোতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে শত শত নিহত
ফিনার জি-২০ এ বাইডেনের এজেন্ডাও তুলে ধরেন। শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনটি ‘এক পৃথিবী’প্রতিপাদ্যকে ঘিরে আবর্তিত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও বিনিয়োগের জন্য চাপ দেওয়ার জন্য প্রতিপাদ্যটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছেন।, যেমন নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারকে উৎসাহিত করার জন্য তার নিজস্ব অভ্যন্তরীণ প্রণোদনা। বাইডেনও এই বিষয়টি তৈরি করতে চান যে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ অন্যান্য অনেক দেশকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে, যেগুলোকে তাদের ঋণের উপর উচ্চ সুদের হারের পাশাপাশি বৃহত্তর খাদ্য ও জ্বালানি ব্যয়ের মোকাবিলা করতে হয়েছে।
দ্বিতীয় অধিবেশন‘এক পরিবার’সম্পর্কে বাইডেন এই অংশটি বিশ্বব্যাংকের জন্য অতিরিক্ত তহবিলের জন্য কংগ্রেসে তার অনুরোধ নিয়ে আলোচনা করতে ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছেন যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন ঋণের জন্য ২৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি তৈরি করতে পারে।
ফিনার বলেছেন, হোয়াইট হাউস আরও বিস্তৃতভাবে একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম হিসাবে জি-২০ কে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। যেখানে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উপস্থিত হচ্ছেন না। তবুও, চীন এবং রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করছে এবং এটি জি-২০ এর পক্ষে ইউক্রেনের যুদ্ধের বিষয়ে একটি যৌথ বিবৃতি তৈরি করা কঠিন করে তুলতে পারে।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন: বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সম্প্রদায় গঠন ও ঐক্য জোরদারে অঙ্গীকার আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থার (আসিয়ান) ৪৩তম শীর্ষ সম্মেলনে এর সম্প্রদায়, ঐক্য ও কেন্দ্রীয়তা শক্তিশালী করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
'আসিয়ান ম্যাটারস: এপিসেন্ট্রাম অব গ্রোথ' প্রতিপাদ্য নিয়ে ৩ দিনব্যাপী আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন ও সংশ্লিষ্ট শীর্ষ সম্মেলন বৃহস্পতিবার শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
বুধবার জারি করা ৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের চেয়ারম্যানের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আসিয়ানের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছি, আজকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং এর জনগণ, অঞ্চল ও বিশ্বের জন্য প্রাসঙ্গিক থাকতে শক্তিশালী ও কর্মতৎপরতা, শক্তিশালী সক্ষমতা ও প্রাতিষ্ঠানিক কার্যকারিতায় সজ্জিত একটি সংস্থা হিসেবে আসিয়ানকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি।’
আরও পড়ুন: সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে একমত মোদি-শি জিনপিং
এতে আরও বলা হয়, আসিয়ান দেশগুলো এই অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে তাদের অভিন্ন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
তারা আঞ্চলিকতা ও বহুপাক্ষিকতাকে সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং জাতিসংঘ সনদ, আসিয়ান সনদ এবং শান্তি, স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতার অঞ্চলের ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত মূল নীতি, অভিন্ন মূল্যবোধ ও রীতিনীতি মেনে চলার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
সম্মেলনে আসিয়ান কনকর্ড চতুর্থ, আসিয়ান নেতাদের প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে এর নেতাদের ঘোষণাসহ বেশ কয়েকটি নথি গৃহীত হয়েছে।
আসিয়ান কনকর্ড চতুর্থ এই অঞ্চল এবং এর জনগণের জন্য সংস্থাটির গুরুত্ব নিশ্চিত করতে অব্যাহত প্রচেষ্টাকে সংহত করে এবং এই অঞ্চল ও এর বাইরেও প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিরাজ করছে।
সামুদ্রিক সহযোগিতা, যোগাযোগ, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ এবং অর্থনীতির ৪টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আসিয়ান ভুক্ত দেশগুলো তাদের অংশীদারদের ব্যবহারিক ও বাস্তব সহযোগিতায় নিয়োজিত হতে আরও উৎসাহিত করার অঙ্গীকার করেছে।
আরও পড়ুন: জি২০ সম্মেলনে যোগ দেবে না শি, তবে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে: চীন
মহামারি পরবর্তী আঞ্চলিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপের (আরসিইপি) কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা জরুরি প্রয়োজন উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরসিইপি চুক্তি বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে আমরা সন্তুষ্ট।’
এতে আরও বলা হয়, সংস্থাটি আসিয়ান লোকাল কারেন্সি ট্রানজেকশন টাস্ক ফোর্স প্রতিষ্ঠা এবং আসিয়ানের জন্য রিজিওনাল পেমেন্ট কানেকটিভিটি সম্পর্কিত রোডম্যাপ সম্পন্নকে স্বাগত জানিয়েছে।
আসিয়ান দেশগুলো পরিবেশ সংরক্ষণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অনুঘটক হিসেবে টেকসই পর্যটনের গুরুত্বও উল্লেখ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৬ সালে ফিলিপাইন আসিয়ানের সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে বলেও জোটের সদস্যরা একমত হয়েছেন।
১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আসিয়ান। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে- ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।
আরও পড়ুন: আগামী ৫ ও ৭ সেপ্টেম্বর হচ্ছে আসিয়ান ও পূর্ব-এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন