এশিয়া
বিদেশি বিনিয়োগকারী ও মেধাবীদের জন্যে ইন্দোনেশিয়ায় গোল্ডেন ভিসা চালু
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট এবং তাদের অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজ করতে ‘গোল্ডেন ভিসা প্রোগ্রাম’ চালু করেছে ইন্দোনেশিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদো এই ভিসা প্রোগ্রাম চালু করেন।
জাকার্তায় প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উইদোদো বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় এসে বিনিয়োগ ও দেশের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর সুযোগ করে দেবে গোল্ডেন ভিসা।
তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগের জন্য ইন্দোনেশিয়া (বিনিয়োগকারীদের জন্য) একটি প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্য হওয়া উচিত, বিশ্বব্যাপী প্রতিভাদের কাজের ক্ষেত্র হওয়া উচিত এই দেশ। মূলধন লাভ, কর্মসংস্থানের সুযোগ, প্রযুক্তি স্থানান্তর থেকে শুরু করে মানবসম্পদের মানোন্নয়নের মাধ্যমে দেশের জন্য একটি বিপুল সম্ভাবনা তৈরি করবে গোল্ডেন ভিসা।’
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
গোল্ডেন ভিসাধারীদের একচেটিয়া সুবিধা প্রদান করবে ইন্দোনেশিয়া, যা তাদের জন্য দ্বিতীয় স্বদেশের মতো সুবিধা দেবে।
এই সুবিধার মধ্যে রয়েছে- অবস্থানের সময়সীমা, প্রবেশ ও প্রস্থান পদ্ধতি এবং ইমিগ্রেশন অফিসগুলোতে ভিসা আবেদনের জটিলতা দূর করা।
বিদেশি বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী, মেধাবী ও নির্দিষ্ট কিছু বিদেশি পর্যটককে এ বিশেষ ভিসা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
নির্দিষ্ট বিনিয়োগের মানদণ্ড পূরণকারী বিদেশি বিনিয়োগকারীরা গোল্ডেন ভিসা প্রোগ্রামের মাধ্যমে পাঁচ থেকে ১০ বছরের জন্য ইন্দোনেশিয়ায় বসবাসের অনুমতি পেতে পারেন।
গোল্ডেন ভিসা আবেদনকারীদের সতর্কতার সঙ্গে বাছাই করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে উইদোদো বলেন, দেশের জন্য অবদান রাখতে পারবেন- এমন প্রমাণিত ব্যক্তিরাই শুধু এই বিশেষ ভিসা পাবেন। বাছাই প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও জাতীয় সুবিধার বিষয়টি সর্বোচ্চ বিবেচ্য গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।
ইন্দোনেশিয়ার মালুকু প্রদেশে ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় মালুকু প্রদেশে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬.০।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ জুলাই) ভোর ৩টা ৩২ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়।
স্থানীয় ভূকম্পন সংস্থা জানিয়েছে, সমুদ্রপুষ্ঠের ১৭০ কিলোমিটার নিচে এবং মালুকুর বারাত দায়া এলাকায় ভূমির ১২১ কিলোমিটার গভীরে কম্পনটির উৎপত্তিস্থল ছিল।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় শিক্ষাসফরের বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১১
তবে ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অব ফায়ার’ নামে পরিচিত দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া। এটি ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিকে ভূমিকম্প-প্রবণ করে তুলেছে।
টাইফুন গায়েমি: ফিলিপাইনে বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩
টাইফুন গায়েমির কারণে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে ফিলিপাইনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দেশটির বাতান প্রদেশে ডুবে যাওয়া একটি তেল ট্যাঙ্কারের ক্রুসহ রাজধানী ম্যানিলায় মোট ১১ জন, কালাবারজোন অঞ্চলে ১২ জন এবং সেন্ট্রাল লুজনের ১০ জন নিহত হয়েছেন।
মূলত পানিতে ডুবে, ভূমিধস, উপড়ে পড়া গাছ ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এসব প্রাণহানি ঘটেছে। তবে ফিলিপাইনের জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার পক্ষ থেকে এখনও নিহতের সংখ্যা জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১
বৃহস্পতিবার সকালে চলতি বছর তৃতীয় টাইফুন হিসেবে ফিলিপাইনে উপকূলে আঘাত হানে গায়েমি।
গায়েমির আঘাতে হাজার হাজার মানুষ বন্যা ও ভূমিধসপ্রবণ এলাকা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যেতে বাধ্য হয়েছে; গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে, টিনের চাল উড়ে গেছে।
বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে ফিলিপাইন অন্যতম। মূলত প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় টাইফুন বেল্টে দেশটির অবস্থানের কারণে এখানে ঘন ঘন ঘুর্ণিঝড় আঘাত হানে। দ্বীপপুঞ্জের দেশটিতে বছরে গড়ে ২০টি টাইফুন হয়, যার মধ্যে কিছু মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: তাইওয়ান ফিলিপাইনে ২৫ প্রাণহানির পর চীন উপকূলে আঘাত হেনেছে টাইফুন গায়েমি
বর্ষাকালে ফিলিপাইনজুড়ে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যা দেশটির সাধারণ ঘটনা। ২০১৩ সালে ফিলিপাইনে সুপার টাইফুন হাইয়ানের আঘাতে সাত হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২১ সেপ্টেম্বর
আগামী ২১ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) এ বিষয়ে জারি করা গেজেট প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের মনোনয়নের তারিখ ১৫ আগস্ট।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে এক মাস বা অনধিক দুই মাস আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ২০২২ সালের জুলাইয়ে পদত্যাগ করেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।
রাজাপাকসের পদত্যাগের পর পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রনিল বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
ভারী বৃষ্টিপাতে জাপানে বন্যা ও ভূমিধস, বাস্তুচ্যুত শত শত মানুষ
জাপানের উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। শত শত বাসিন্দাকে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সৃষ্ট এই বন্যা ও ভূমিধসে অঞ্চলটির পরিবহন ব্যবস্থাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইয়ামাগাতা ও আকিতা অঞ্চলের বেশ কয়েকটি পৌরসভায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা।
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ অবস্থানে যেতে ও কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ তথ্যের ওপর মনোযোগ রাখতে আহ্বান জানান।
এদিকে, আকিতা প্রদেশের ইউজাওয়া শহরে একটি সড়ক নির্মাণ সাইটে ভূমিধস হয়ে একজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি।
বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে নৌকায় করে ১১ জনকে সরিয়ে নিয়েছে শহরের উদ্ধারকর্মীরা।
অন্যদিকে ইয়ামাগাতা প্রদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউজা ও সাকাতা শহর। বৃহস্পতিবার শহর দুটিতে এক ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটারের (৪ ইঞ্চি) বেশি বৃষ্টিপাত হয়।
ওই এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দাকে উঁচু ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেওয়া হলেও কতজন সেই পরামর্শ মেনেছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ইস্ট জাপান রেলওয়ে কোম্পানি জানায়, বৃহস্পতিবার এ পরিস্থিতিতে ইয়ামাগাতা শিনকানসেন বুলেট ট্রেন চলাচল আংশিকভাবে স্থগিত করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই অঞ্চলে ২০ সেন্টিমিটারেরও (৮ ইঞ্চি) বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে পূর্বাভাস দিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা।
তাইওয়ান ফিলিপাইনে ২৫ প্রাণহানির পর চীন উপকূলে আঘাত হেনেছে টাইফুন গায়েমি
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চীনের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে একটি শক্তিশালী টাইফুন আঘাত হানার পর নিকটবর্তী তাইওয়ান দ্বীপের ওপর দিয়ে বয়ে যায়, যার প্রভাবে নিম্নাঞ্চলে সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে।
‘গায়েমি’ নামের এই টাইফুন পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্টি হয়। এর প্রভাবে সপ্তাহের শুরুতে ফিলিপাইনে মৌসুমি বৃষ্টি তীব্র আকার ধারণ করে। এর ফলে দেশটিতে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
টাইফুনের কারণে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো তাইওয়ানের সরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি নাগরিকদের ঘরে ও উপকূল থেকে দূরে নিরাপদ স্থানে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তাইওয়ানের সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বুধবার মধ্যরাতে ঝড়টি আঘাত হানার আগে দুজন নিহত হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে ভূমিধসে ৭৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৮০ জন।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১
বুধবার তৃতীয় আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। উল্টে যাওয়া এক্সক্যাভেটরের নিচে চাপা পড়ের চালকের মৃত্যু হয়। এ মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিকভাবে টাইফুনকে দায়ী করা হলেও পরে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, এ ঘটনার সঙ্গে টাইফুনের কোনো যোগসূত্র নেই।
সাগরের মাঝে অবস্থিত বলে তাইওয়ানে টাইফুনের আঘাত নিয়মিত ঘটনা। ফলে দ্বীপের আবহাওয়া সতর্ক ব্যবস্থাগুলোও বেশ জোরদার। তবে ভৌগলিক অবস্থান, জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব ও উচ্চ-প্রযুক্তির অর্থনীতির কারণে এই জাতীয় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে।
টাইফুনের প্রভাবে রাজধানী তাইপেতেও বৃহস্পতিবার হালকা বৃষ্টি এবং মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া ছিল।
ঝড়ের কারণে চলতি সপ্তাহে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে বিমান বাহিনীর মহড়া বাতিল করা হয়েছে।
চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, টাইফুন ধেয়ে আসায় চীনের উপকূলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে বিমানের ফ্লাইট, ট্রেন ও ফেরি পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি ২ লাখ ৪০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ঝড়টি দুর্বল হলেও চীনের রাজধানী বেইজিংসহ অভ্যন্তরীণ এলাকাগুলোতে আগামী তিন দিন ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
ফিলিপাইনে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১
ফিলিপাইনে টাইফুন গায়েমির প্রভাবে সৃষ্ট দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর কারণে ভারী বৃষ্টিপাত, ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) প্রাথমিক প্রতিবেদনে পুলিশ জানিয়েছে, ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় ৭ জন, ক্যাভাইট প্রদেশে তিনজন, বাতাঙ্গাস প্রদেশে পাঁচজন এবং রিজাল প্রদেশে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও বুলাকান প্রদেশে একজন এবং পামপাঙ্গা প্রদেশের অ্যাঞ্জেলেস সিটিতে আরও দুজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পানিতে ডুবে, ভূমিধসে, গাছ পড়ে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
তবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও গায়েমির প্রভাবে মৃত্যুর বিষয়ে ফিলিপাইনের জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো তথ্য প্রকাশিত হয়নি।
চলতি বছরে ফিলিপাইনে আঘাত হানা তৃতীয় টাইফুন গায়েমির প্রভাবে ম্যানিলাসহ অনেক অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
টাইফুনের তাণ্ডবে প্রাণহানির পাশাপাশি উপকূলীয় ও নদীতীরবর্তী এলাকাগুলোর অনেক বাড়িঘর ও গাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ভেসে গিয়েছে।
স্থানীয় আদালত, স্কুলঘর, গির্জা এবং অন্যান্য অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা। বন্যার পানি কমে আসার অপেক্ষায় আছেন তারা।
প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় টাইফুন বেল্টে অবস্থিত ফিলিপাইন বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর একটি। দ্বীপপুঞ্জের দেশটিতে বছরে গড়ে ২০টি টাইফুন হয়, যার মধ্যে কিছু তীব্র ও ধ্বংসাত্মক হয়ে থাকে।
নেপালে রানওয়ে থেকে ছিটকে বিমান বিধ্বস্ত, ১৮ যাত্রীর মৃত্যু
নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি অভ্যন্তরীণ উড়োজাহাজ উড্ডয়নের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ১৮ যাত্রীর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। ওই বিমানের পাইলটকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা বসন্ত রাজৌরি বলেন, কর্তৃপক্ষ ১৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
পাইলটকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, পাইলটের চোখে আঘাত লেগেছে, তবে তার কোনো আশঙ্কা নেই।
সৌর্য এয়ারলাইন্সের বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে পোখারার দিকে যাচ্ছিল।
এয়ারলাইন্সটি অভ্যন্তরীণ রুটে বোম্বার্ডিয়ার সিআরজে-২০০ পরিচালনা করে।
রানওয়েতে বিমানটি ছিটকে যাওয়ার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের ছবিতে দেখা যায়, বিমানের ধ্বংসাবশেষ একটি খাদে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং তা থেকে ধোঁয়া উঠছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে জানা যায়।
জরুরি উদ্ধার কর্মীরা কাজ শুরু করলে এসময় নেপালের এই প্রধান বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে ২০১৯ সালে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বাংলাদেশি একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৫১ জনের মৃত্যু হয়।
ভারতের বিহারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে প্রাইভেট কারের ধাক্কা, নিহত ৬
ভারতের বিহার রাজ্যে একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত হওয়া ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত পাঁচজন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিহারের পাটনার বখতিয়ারপুর থানা এলাকার জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের নিচে দ্রুতগতির একটি প্রাইভেট কার ঢুকে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বার-২ সাব-ডিভিশনাল পুলিশ কর্মকর্তা অভিষেক সিং জানিয়েছেন, গাড়িতে মোট ১১ জন ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতে দোতলা বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ১৮
এ ঘটনায় মোট ছয়জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং বাকিরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আহত ৫ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং লাশের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।’
‘সিসিটিভি ফুটেজ, ফরেনসিক রিপোর্ট ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে।’
আফগানিস্তানে বন্যায় নিহত বেড়ে ৪০, আহত ৩৪৭
আফগানিস্তানে বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আহতের সংখ্যাও বেড়েছে। আকস্মিক এ দুর্যোগে অন্তত ৩৪৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকালে পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। প্রাদেশিক রাজধানী জালালাবাদ, সুখ রদ জেলা এবং পাকিস্তান সীমান্তবর্তী প্রদেশের আশপাশের এলাকাগুলোতে এই দুর্যোগ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শরাফত জামান অমরখিল জানান, আহতদের চিকিৎসার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে বন্যায় ৩৫ জনের মৃত্যু, আহত ২৫০
এর আগে সোমবার সকালে নানগারহারের পার্শ্ববর্তী কুনার প্রদেশেও একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে গত মে মাস থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় চার শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।