আফ্রিকা
নাইজেরিয়ায় উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহত বেড়ে ৩৫
নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়ো রাজ্যের রাজধানী ইবাদানে আয়োজিত শিশুদের উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র আদেওয়ালে ওসিফেসো সাংবাদিকদের বলেন, এ পর্যন্ত ৩৫ শিশু-কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত আরও ছয়জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উৎসবের আয়োজক হিসেবে চিহ্নিত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মামলাটি ইয়াগানকুতে (ইবাদান) রাজ্য অপরাধ তদন্ত বিভাগের হোমিসাইড বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার।
বুধবার সকালে বেসরকারি আয়োজকরা ৫ হাজার শিশুকে নগদ অর্থ বিতরণের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর উৎসব শুরু হলেও পরে তা শোকে পরিণত হয়।
৩ দিন আগে
লিবিয়া উপকূলে ৪৯৯ অভিবাসী উদ্ধার: আইওএম
লিবিয়া উপকূল থেকে ৩৪ জন নারী ও ছয় শিশুসহ ৪৯৯ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এসব অভিবাসীদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
২৯ জন অভিবাসী নিখোঁজের কথা উল্লেখ করে আইওএম আরও জানিয়েছে, গত ৮ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ৪৯৯ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে লিবিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ৩৪৩ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে লিবিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই সংখ্যাটি গত বছরের তুলনায় চার হাজারেরও বেশি।
আইওএমর তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুটে ৬৩৫ জন নিহত এবং ৯৮২ জন অভিবাসী নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজ ও নিহতদের মধ্যে লিবিয়া এবং অন্যান্য দেশ থেকে পালিয়ে আসা নাগরিকরা রয়েছেন।
২০১১ সাল থেকে অনেক অভিবাসন প্রত্যাশী ইউরোপের উপকূলে যাওয়ার জন্য লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে।
১ সপ্তাহ আগে
সুদানে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় ৩ দিনে নিহত ৪২
সরকারি বাহিনী (এসএএফ) ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘর্ষে সুদানে বেসামরিক নাগরিক মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। গত তিন দিনে মধ্য সুদানের সিন্নার রাজ্যে একটি স্থলমাইন বিস্ফোরণ এবং গেজিরা রাজ্যে আরএসএফের দুটি পৃথক হামলায় কমপক্ষে ৪২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠী এ খবর জানিয়েছে।
সিন্নার রাজ্যের আল-সুকি শহরের স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠী আল-সুকি ইমার্জেন্সি রুম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জেবেল মোয়া এলাকায় একটি পিকআপ ট্রাকে একটি স্থলমাইন বিস্ফোরণে আল-সুকি এলাকার ১৩ জন নিহত ও আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, হতাহতরা আল-সুকি থেকে জেবেল মোয়া পর্যন্ত চুরি হওয়া গাড়ি ও সরঞ্জামের সন্ধানে বেরিয়েছিলেন।
এছাড়া, গেজিরা রাজ্যের কয়েকটি গ্রামে আরএসএফের হামলায় বুধ ও বৃহস্পতিবারের হামলায় ২৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠীগুলো।
আরও পড়ুন: সুদানে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় আরও ৪৫ জন নিহত
মধ্য সুদানে মানবাধিকার লঙ্ঘন পর্যবেক্ষণকারী স্থানীয় বেসরকারি গোষ্ঠী গেজিরা কনফারেন্স এক বিবৃতিতে বলেছে, আরএসএফ মিলিশিয়ারা বৃহস্পতিবার গেজিরা রাজ্যের দক্ষিণে আল-হাউস এলাকার ওয়াদ হুসেইন আল-হালাউইন গ্রামে হামলা চালায়। মিলিশিয়াদের বোমা হামলায় পাঁচ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে।
গেজিরা সম্মেলন ও আরেকটি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নিদা আল-ওয়াসাত প্ল্যাটফর্ম উভয়ই জানিয়েছে, সশস্ত্র আরএসএফ বাহিনী মোটরসাইকেল ও যুদ্ধযানে চড়ে বুধবার গেজিরার আল-মানাগিল এলাকার আল-হুদা প্রশাসনের বেশ কয়েকটি গ্রামে হামলা চালায়। এতে ২৪ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং প্রায় ৩০ জন আহত হয়।
২০২৩ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে পশ্চিম সুদানের উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী এল ফাশেরে এসএএফ ও আরএসএফের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। গত ১০ মে থেকে এই সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, সুদানের ভেতরে বা বাইরে প্রাণঘাতী এই সংঘাতে এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৭ শ’র বেশি মানুষের মৃত্যু এবং ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
১ সপ্তাহ আগে
সুদানে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় আরও ৪৫ জন নিহত
সুদানের পশ্চিমাঞ্চলের আবাসিক এলাকা ও শরণার্থী শিবিরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) গোলাবর্ষণে অন্তত ৪৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ২৮ জন আহত হয়েছেন।
দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর (এসএএফ) ষষ্ঠ পদাতিক ডিভিশনের কমান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, বিদ্রোহী মিলিশিয়াদের ইচ্ছাকৃত গোলাবর্ষণের ফলে গতকাল (বৃহস্পতিবার) এল ফাশের শহরের আশপাশের এলাকা ও শরণার্থী শিবিরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গণহত্যা প্রত্যক্ষ করা হয়েছে। এতে শিশু ও নারীসহ ৪৫ জন নিহত এবং আরও ২৮ জনকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এল ফাশেরের দক্ষিণাঞ্চলের আবাসিক এলাকা, শহরের দক্ষিণে অবস্থিত জমজম শরণার্থী শিবির ও উত্তরের আবু শৌক শিবির লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করা হয়।
হামলার বিষয়ে আরএসএফের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য আসেনি।
২০২৩ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে পশ্চিম সুদানের উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী এল ফাশেরে এসএএফ ও আরএসএফের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। গত ১০ মে থেকে এই সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, সুদানের ভেতরে বা বাইরে প্রাণঘাতী এই সংঘাতে এ পর্যন্ত ২৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু এবং ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
১ সপ্তাহ আগে
সুদানে আধাসামরিক বাহিনীর গোলাবর্ষণে নিহত ১৫
সুদানের উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী এল ফাশেরের দক্ষিণে একটি শরণার্থী শিবির ও বাজারে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) গোলা নিক্ষেপে অন্তত ১৫ জন নিহত ও ৬৪ জন আহত হয়েছেন।
রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইব্রাহিম খাতির বলেন, ‘এ পর্যন্ত ১৫ জন নিহত ও ৬৪ জন আহত হয়েছে। জমজম শিবির ও গবাদি পশুর বাজারে আরএসএফ মিলিশিয়াদের গোলাবর্ষণ এখনও অব্যাহত রয়েছে।’
হতাহতদের অধিকাংশই শিশু ও নারী বলে জানান তিনি।
এক যৌথ বিবৃতিতে স্থানীয় বেসরকারি গোষ্ঠী এল ফাশেরের প্রতিরোধ কমিটিও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বুধবারের গোলাবর্ষণের বর্ণনায় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, গত ১০ মে আরএসএফ এল ফাশেরে অবরোধ শুরু করার পর থেকে সবচেয়ে সহিংস হামলা ছিল এটি।
তিনি বলেন, ‘শরণার্থীতে ঠাসা জমজম শিবিরের মাঝখানে অন্তত ছয়টি গোলা পড়ে। এছাড়া আরও চারটি গোলা পড়ে এল ফাশেরের দক্ষিণে পশুর বাজারে।’
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে সংঘাত অব্যহত রয়েছে। এতে এ পর্যন্ত ২৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু এবং ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
১ সপ্তাহ আগে
নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীরা ৫০ জনকে অপহরণ করেছে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জামফারা রাজ্যে বন্দুকধারীরা নারী ও শিশুসহ অন্তত ৫০ জনকে অপহরণ করেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দেশটির পুলিশ ও বাসিন্দারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সর্বশেষ গণ অপহরণের ঘটনাটি এই অঞ্চলে চলমান নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টিকে তুলে ধরেছে। ওই এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সামান্য প্রতিরোধের মধ্যে এসব কাজ করছে।
কমিউনিটি নেতা হালিরু আত্তাহিরু জানান, দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই অভিযান চালানো হয়। এসময় ‘বেশ কয়েকজন নারী ও ছোট শিশুকে অপহরণ করা হয়েছে।’
আত্তাহিরু বলেন, কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনও পদক্ষেপ নেয়নি।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১২
তাসিউ হামিদু নামে আরেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, বন্দুকধারীরা বিনা প্রতিরোধের মধ্যে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ২০ জনকে অপহরণ করেছে।
জামফারা পুলিশের মুখপাত্র ইয়াজিদ আবুবকর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত জানাননি। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার না করলেও স্থানীয়রা সন্দেহ করছে যে, গণহারে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির সঙ্গে পরিচিত ডাকাত দলগুলো জড়িত। এই গোষ্ঠীগুলো, প্রায়শই বসতি স্থাপনকারী প্রাক্তন পশুপালক সম্প্রদায়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছে। এর ফলে সংঘাত-প্রবণ উত্তরাঞ্চলে একটি স্থায়ী হুমকি হয়ে উঠেছে তারা।
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ বেড়ে গেছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দুর্বল নিরাপত্তার সুযোগ নিয়ে গ্রাম ও পর্যটকদের লক্ষ্যবস্তু করছে। বেশিরভাগ ভুক্তভোগীকে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দেওয়ার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রতিবেশী কাদুনা রাজ্যে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্দি থাকার পর ১৩০ জনেরও বেশি স্কুলশিক্ষার্থীকে মুক্তি দেওয়া হয়।
নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলায় সামরিক বাহিনী প্রচেষ্টা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেনাপ্রধান ওলুফেমি ওলুয়েদে সংকট মোকাবিলায় নতুন করে অভিযানের ওপর জোর দিয়েছেন। তবে, ২০১৪ সালের কুখ্যাত চিবোক স্কুলছাত্রী অপহরণসহ অপহরণের ধারাবাহিকতা এই চ্যালেঞ্জের মাত্রাকে তুলে ধরে। চিবোক থেকে অপহৃত ২৭৬ জন মেয়ের মধ্যে প্রায় ১০০ জন এক দশক পরেও বন্দী অবস্থায় রয়েছে।
তারপর থেকে দেড় হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো অন্যান্য অপরাধের জন্য মুক্তিপণ ব্যবহার করে। দুর্বল নিরাপত্তার ব্যবস্থার কারণে নাইজেরিয়া সম্পদ-সমৃদ্ধ উত্তরাঞ্চলে তাদের প্রভাব বিস্তার করে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় নৌকাডুবিতে ২৭ জন নিহত, নিখোঁজ শতাধিক
১ সপ্তাহ আগে
কায়রোয় ভবন ধসে নিহত ৮
মিসরের কায়রোতে একটি ছয়তলা আবাসিক ভবন ধসে অন্তত আটজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।
দেশটির রাজধানীর আল-ওয়াইলি জেলার আব্বাসিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মিসরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে ৯টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্থদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসাম আবদেল-গাফফার জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপ অপসারণে সহায়তা করতে এবং আরও জীবিত বা মৃতদের সন্ধানে কাজ করছে উদ্ধারকারীরা।
কায়রোর গভর্নর ইব্রাহিম সাবের খলিল সতর্কতার অংশ হিসেবে আশপাশের ভবনগুলো খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং ধসের কারণ অনুসন্ধানে একটি প্রকৌশল কমিটি গঠন করেছেন।
১ সপ্তাহ আগে
আইভরি কোস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৬
আইভরি কোস্টে দুটি মিনিবাসের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ব্রোকুয়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বাসে আগুন ধরে গেলে ১০ জন নিহত হয়। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মতে, জরাজীর্ণ রাস্তাঘাট ও বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সড়ক দুর্ঘটনায় আইভরি কোস্টে বছরে এক হাজারেরও বেশি লোক মারা যায়।
গত মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: আইভরি কোস্টে বাস ও ট্যাংকারের সংঘর্ষে নিহত ১৩, আহত ৪৬
চলতি বছরের শুরুর দিকে আইভরি কোস্টের উত্তরাঞ্চলে একটি ট্যাংকার ট্রাক একটি বাসকে ধাক্কা দিলে ১৩ জন নিহত ও ৪৪ জন আহত হয়।
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গত বছর একটি পয়েন্টভিত্তিক ড্রাইভিং লাইসেন্স চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে লাইসেন্সের মাধ্যমে প্রত্যেক চালককে মোট ১২ পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। তবে আইন অমান্য ও দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পয়েন্ট কেটে নেওয়া হবে। এছাড়া অপরাধীদের জরিমানা করতে দেশের প্রধান সড়কগুলোতে ক্যামেরাও বসানো হয়েছে।
২ সপ্তাহ আগে
সুদানে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় আরও ১২ জন নিহত
মধ্য সুদানের গেজিরা রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামগুলোতে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) হামলায় অন্তত ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন।
মধ্য সুদানের সহিংসতা পর্যবেক্ষণকারী স্থানীয় বেসরকারি গোষ্ঠী গেজিরা কনফারেন্স এক বিবৃতিতে বলেছে, আরএসএফ মিলিশিয়ারা গতকাল (বুধবার) ও আজ (বৃহস্পতিবার) দক্ষিণ গেজিরার আল সাফা, ওয়াদ শামা, আল-তেলেহ ও ওয়াদ হেমাইদান গ্রামের বাসীন্দাদের ওপর সহিংস অভিযান শুরু করেছে।
ওয়াদ শামায় চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, এছাড়া ওয়াদ হেমাইদানে আরও পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, পৃথক বিবৃতিতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠী নিদা আল-ওয়াসাত বলেছে, ওয়াদ হেমাইদানে আরএসএফের হামলায় আরও দুজন নিহত এবং আব্দুল-আজিজ গ্রামে একজন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন।
এসব ঘটনায় আরএসএফ কোনো মন্তব্য করেনি।
আরও পড়ুন: সুদানে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ২০
এদিকে, গেজিরা রাজ্যের ওয়াদ আল-ওবেইদ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা করেছে আবু আকলা কেইকেলের নেতৃত্বে সুদানিজ সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) ও সুদান শিল্ড ফোর্সেসের একটি যৌথ বাহিনী।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এসএএফ রাজ্যের রাজধানী ওয়াদ মাদানি থেকে সরে যাওয়ার পর আরএসএফ গেজিরা রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
২০২৩ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে সুদানে এসএএফ ও আরএসএফের মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত শুরু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, সুদানে চলমান যুদ্ধে ২৭ হাজার ১২০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে এবং দেশে ও বিদেশে এক কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
২ সপ্তাহ আগে
১১ মাসে ৮০৩৪ সন্ত্রাসী হত্যা করেছে নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনী
গত ১১ মাসে নাইজেরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর হাতে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী ও ডাকাতসহ মোট ৮ হাজার ৩৪ জন বন্দুকধারী নিহত হয়েছে।
নাইজেরিয়ার সামরিক কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
রাজধানী আবুজায় দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এডওয়ার্ড বুবা সাংবাদিকদের বলেন, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে দেশজুড়ে অন্তত ১১ হাজার ৬২৩ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে অন্তত ৬ হাজার ৩৭৬ জন জিম্মিকে উদ্ধার করেছে সামরিক বাহিনী।
এ সময়ে সন্দেহভাজন বন্দুকধারীদের কাছ থেকে ৮ হাজার ২১৬টি অস্ত্র ও ২ লাখ ১১ হাজার ৪৫৯টি গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
২ সপ্তাহ আগে