আফ্রিকা
মালির মধ্যাঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৬, আহত ৪৮
আফ্রিকার দেশ মালির মধ্যাঞ্চলে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এতে আরও অন্তত ৪৮ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মালির পরিবহন ও অবকাঠামো মন্ত্রণালয় জানায়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মধ্য মালির উয়ানের ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মৌরিতানিয়ায় সাগরের উপকূল থেকে ৮৯ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্ঘনায় এক চালকের মৃত্যু হয়েছে।
বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো ও দ্রুত গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ‘ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি’ সবচেয়ে দীর্ঘ ছিল: জাতিসংঘের আবহাওয়া সংস্থা
নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে স্কুলের ভবন ধসে ২২ শিক্ষার্থী নিহত
নাইজেরিয়ার উত্তর-মধ্যাঞ্চলে শুক্রবার সকালের ক্লাস চলাকালে একটি দ্বিতল স্কুলের ভবন ধসে পড়লে ২২ শিক্ষার্থী নিহত হয় এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া শতাধিক ব্যক্তির সন্ধানে উদ্ধারকারীরা উদ্ধারকাজে নেমেছেন।
প্লাটো রাজ্যের বুসা বুজি সম্প্রদায়ের সেইন্টস একাডেমি স্কুলটিতে ক্লাস করতে আসার কিছুক্ষণ পরেই ভবন শিক্ষার্থীদের উপর ভেঙে পড়ে। এইসব শিক্ষার্থীর বেশিরভাগেরই বয়স ১৫ বছর বা তার কম।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের নিচে মোট ১৫৪ জন শিক্ষার্থী আটকা পড়েছে। তবে প্লাটো পুলিশের মুখপাত্র আলফ্রেড আলাবো পরে জানান, তাদের মধ্যে ১৩২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২২ জন শিক্ষার্থী মারা গেছে।
আরও পড়ুন: নেপালে ভূমিধসে ২ বাস নদীতে ভেসে গিয়ে ৬০ যাত্রী নিখোঁজ
বিষয়টি জানাজানি হলে শতাধিক গ্রামবাসী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির আশেপাশে ভিড় করেন। তাদের কেউ কান্নাকাটি করছেন, কেউ সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
নাইজেরিয়ার জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ধসের পরপরই ঘটনাস্থলে উদ্ধার-স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
প্লাটো রাজ্যের তথ্য কমিশনার মুসা আশোমস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দ্রুত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সরকার হাসপাতালগুলোকে কাগজপত্র বা অর্থ পরিশোধ ছাড়াই চিকিৎসাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।’
রাজ্য সরকার এই দুর্ঘটনার জন্য ভবটির ‘দুর্বল কাঠামো ও নদীর তীরের কাছে অবস্থানকে’ দায়ী করেছে। একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: গাজার একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
কেপটাউনে ঝড়ে ১ হাজার বাড়ি বিধ্বস্ত, বাস্তুচ্যুত প্রায় ৪ হাজার মানুষ
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ঝড়ো বাতাসে প্রায় ১ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এতে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৪ হাজার মানুষ।
সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, কেপটাউন ও এর আশপাশের এলাকায় আগামী শুক্রবার পর্যন্ত একাধিক শৈত্যপ্রবাহ আঘাত হানতে পারে, যার ফলে মুষলধারে বৃষ্টিপাত, জোরালো বাতাস, বন্যা এবং সম্ভাব্য ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
ঝড় ও উঁচু ঢেউয়ের বিষয়ে সতর্ক করে উপকূলবাসী লোকজনকে সৈকত থেকে দূরে থাকার সতর্কতা দিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ।
গত বৃহস্পতিবার থেকেই ঝড়ের বিষয়ে সতর্ক অবস্থায় ছিল কেপটাউনের দুর্যোগকালীন সমন্বয় দল।
দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরটির কোণে বসবাসরত দরিদ্র জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রবল বাতাসে বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় কেপটাউনের উপকণ্ঠে খায়েলিতশা শহরে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
গত সপ্তাহের শেষে খায়েলিতশায় বাস্তুচ্যুত লোকজনকে ১০ হাজার খাবারের প্যাকেট ও তিন হাজার কম্বল দিয়েছে গিফট অব দ্য গিভার্স স্থানীয় ত্রাণ সংস্থা।
যত দ্রুত সম্ভব এই অবস্থা মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কেপটাউন শহর কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এছাড়াও আরও অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ৩০টিও বেশি শহরতলিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।
এ সপ্তাহে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে তাই পানি বেড়ে বাঁধের ড্যামগুলো অতিক্রম যেন না করে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আফ্রিকার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের কেপটাউন বছরের মাঝামাঝি সময়ে শীতের মাসগুলোতে আটলান্টিক মহাসাগর থেকে আসা শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ে। এ সময় অস্থায়ী বসতিগুলোতে বসবাসরত দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়তে হয়।
মৌরিতানিয়ায় সাগরের উপকূল থেকে ৮৯ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার
মৌরিতানিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এন'দিয়াগোর কাছ থেকে ৮৯ জন অবৈধ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার করেছে মৌরিতানিয়ার কোস্টগার্ড।
বৃহস্পতিবার(৪ জুলাই) স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
মৌরিতানিয়ার নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, এন'দিয়াগো শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে আটলান্টিক মহাসাগরে আটকে পড়া একটি বড় সাধারণ মাছ ধরার নৌকায় উঠেছিল এসব অভিবাসী।
আরও পড়ুন: আটলান্টিক উপকূল থেকে ৯১ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে মরক্কো
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়েসহ ৯ জনকে উদ্ধার করেছে মৌরিতানিয়ার কোস্টগার্ড।
বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬ দিন আগে সেনেগাল-গাম্বিয়া সীমান্ত থেকে ইউরোপের উদ্দেশে ছেড়ে আসা নৌকাটিতে ১৭০ জন অভিবাসন প্রত্যাশী ছিল।
আরও পড়ুন: গত ৭ দিনে লিবিয়া থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৩০৩ অভিবাসীকে: আইওএম
মিশরে ভবন ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪
মিসরের দক্ষিণাঞ্চলীয় আসিউত প্রদেশে তিনতলা ভবন ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে।
আসিউতের গণমাধ্যম কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সোমবার পূর্ব আসিউতের ওই ভবনটি ধসে পড়ে এবং উদ্ধারকারী দলগুলো গত ২৪ ঘণ্টা ধরে জীবিতদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে।
আসিউতের গভর্নর এসাম সাদ দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।
নিহতদের পরিবারকে জরুরি আর্থিক সহায়তা এবং আহতদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ধসে পড়া ভবন ও এর আশপাশের ভবন পরীক্ষা করতে, ধসের কারণ খুঁজে বের করতে এবং আশেপাশের বাড়িগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে একটি প্রকৌশল কমিটি গঠন করতে বলেছেন গভর্নর।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ‘আশপাশের ভবনগুলোও পরীক্ষা করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কিছু বাড়ি খালি করা হয়েছে। পাশাপাশি নাগরিকদের জীবন রক্ষায় প্রয়োজনীয় জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মিশরে আবাসিক ভবন ধসে ৫ জন নিহত
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ‘ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি’ সবচেয়ে দীর্ঘ ছিল: জাতিসংঘের আবহাওয়া সংস্থা
ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি গত বছর পূর্ব আফ্রিকায় আঘাত হেনেছিল। এটি ৩৬ দিনের রেকর্ড করা সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ঘূর্ণিঝড় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতিসংঘের আবহাওয়া সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।
তিন দশক আগে হাওয়াইয়ে আঘাত হানা এবং উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে প্রায় ৩০ দিন ধরে চলা হারিকেন জনের আগের রেকর্ডের শীর্ষে ছিল ফ্রেডি।
আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থাটি একটি গবেষণায় বলেছে, গত বছরের মার্চে ফ্রেডির তাণ্ডব শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
সংস্থাটি জানিয়েছে, দূরত্ব ভ্রমণের দিক থেকেও এটি দ্বিতীয় দীর্ঘতম ছিল। যা প্রায় ১২ হাজার ৭৮৫ কিলোমিটার (৭,৯৪৫ মাইল) এবং হারিকেন জন ১৩ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ ছিল।
আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলে দুই দফায় আঘাত হানা ফ্রেডির আঘাতে মালাউইতে ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি এবং মোজাম্বিকে ১৮০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে ডব্লিউএমও।
ডব্লিউএমও'র মুখপাত্র ক্লেয়ার নুলিস বলেন, 'এটি শুধু একটি স্থলভাগে আঘাত হানায় সীমাবদ্ধ থাকেনি, যা আমরা সাধারণত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে দেখি।’বরং এটি মোজাম্বিক, মাদাগাস্কার এবং দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যান্য দেশ মালাউইতেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।’
আরও পড়ুন: চতুর্থ ক্যাটাগরির অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘বেরিল’
মিশরে আবাসিক ভবন ধসে ৫ জন নিহত
মিশরের দক্ষিণাঞ্চলীয় আসিউত রাজ্যে একটি আবাসিক ভবন ধসে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আহরাম অনলাইন এ খবর দিয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১ জুলাই) এ ঘটনার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ওই পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ধসে পড়া ভবন থেকে আরও অন্তত ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আসিউতের গভর্নর এসাম সাদ।
গভর্নর জানিয়েছেন, উদ্ধারকারী দল নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনার পর ওই ভবন ও তার আশপাশের এলাকার ভবনগুলো থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিশরে গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং আশপাশের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করতে একটি জরুরি প্রকৌশল কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জরুরি ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
নাইজেরিয়ায় নারীদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ১৮
নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একযোগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান, শেষকৃত্য অনুষ্ঠান ও একটি হাসপাতালে বোমা হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৩০ জুন) বোর্নো রাজ্যে আত্মঘাতী বোমা নিক্ষেপকারীদের সবাই নারী বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
২০০৯ সালে বোর্নো রাজ্য বোকো হারামের বিদ্রোহে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চরমপন্থী গোষ্ঠীটি এর আগেও আত্মঘাতী বোমা হামলায় নারী ও মেয়েদের ব্যবহার করেছে। কয়েক বছর ধরে স্কুলপড়ুয়া শিশুসহ হাজার হাজার মানুষকে অপহরণ করেছে এই গ্রুপ। তাদের মাধ্যমেই এ হামলা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
বোর্নো রাজ্যের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার মহাপরিচালক বারকিন্দো সাইদু সাংবাদিকদের বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোজায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালে প্রথম আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী একটি ডিভাইসের বিস্ফোরণ ঘটায়।
সাইদু বলেন, 'কয়েক মিনিট পর জেনারেল হাসপাতালের কাছে আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে।’ আর তৃতীয় হামলাটি করা হয়েছে একটি শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে। নিহতদের মধ্যে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীও রয়েছেন। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
সাইদু জানান, অনেকে পেট ফেটে গেছে এবং মাথার খুলি ভেঙে গেছে।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু এক বিবৃতিতে এ হামলাকে 'মরিয়া সন্ত্রাসী হামলা' এবং 'একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা' বলে অভিহিত করেছেন।
লেক চাদের আশপাশের সীমান্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়া এই বিদ্রোহে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ২৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।
নাইজেরিয়াকে একটি ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায় ইসলামিক স্টেট গ্রুপের সহযোগী বোকো হারাম। পশ্চিম আফ্রিকার তেল সমৃদ্ধ এ দেশটিতে ১৭ কোটি মানুষ বাস করে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চল খ্রিস্টান এবং উত্তরাঞ্চল মুসলিম অধ্যুষিত।
বোর্নোতে আত্মঘাতী বোমা হামলার পুনরুত্থানে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
কর্তৃপক্ষ শহরটিতে কারফিউ জারি করেছে। চিবোকের কাছে অবস্থিত গোজায় ২০১৪ সালে ২৭৬ জন স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছিল। এদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন মেয়ে এখনও বন্দি।
তারপর থেকে নাইজেরিয়া জুড়ে কমপক্ষে ১,৫০০ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে। কারণ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তহবিল সংগ্রহ এবং গ্রামগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য এই চর্চাকেই লাভজনক উপায় বলে মনে করে।
লিবিয়া উপকূল থেকে এক সপ্তাহে ৯৭৩ অভিবাসনপ্রত্যাশী আটক: আইওএম
গত এক সপ্তাহে লিবিয়া উপকূল থেকে ৯৭৩ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম)। আটকদের অনেককে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
এক বিবৃতিতে আইওএম জানিয়েছে, ১৬ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত ওইসব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে অন্তত ৪৪ জন নারী ও ২৭টি শিশু ছিল।
এছাড়া ওই সময়ে লিবিয়ার উপকূল থেকে ১২ অভিবাসনপ্রত্যাশীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
আইওএমের তথ্যানুসারে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশটির উপকূল থেকে মোট ৮ হাজার ৭৫৪ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ হয়েছে আরও অন্তত ৫২৮ জন।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ১৪৪ অনিয়মিত বাংলাদেশি
২০২৩ সালে মোট ১৭ হাজার ১৯০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে লিবিয়া উপকূল থেকে আটক ও ফেরত পাঠানো হয়।
২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফি সকারের পতনের পর থেকে ক্রমাগত নিরাপত্তাহীনতা ও অশান্তি বেড়ে চলেছে লিবিয়ায়। এর ফলে লিবিয়াসহ আফ্রিকার অন্যান্য দেশ থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপীয় উপকূলের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে।
বন রক্ষায় ফায়ার সার্ভিসের বিমানঘাঁটি খুলল আলজেরিয়া
দাবানল থেকে বনভূমি রক্ষা রক্ষা করতে বনভূমির কাছাকাছি ফায়ার সার্ভিসের বিমানঘাঁটি স্থাপন করেছে আলজেরিয়া। শনিবার (২২ জুন) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ মোস্তাগানেমে এ ঘাঁটির উদ্বোধন করা হয়।
আলজেরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা এপিএস জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় অগ্নিনির্বাপক বিমান এবং উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারগুলো অবতরণ, জ্বালানি নেওয়া এবং রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধা দেবে এই ঘঁটিটি। এছাড়া অগ্নিনির্বাপন কার্যক্রম ও উদ্ধার তৎপরতায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে এটি। জরুরি মুহূর্তে এটি দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
নতুন এ বিমানঘাঁটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন আলজেরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাহিম মেরাদ।
তিনি বলেন, অগ্নিনির্বাপক বহরকে শক্তিশালী করতে ভবিষ্যতে আরও বিমান সংযুক্ত করা হবে।।
গত তিন বছরে বারবার দাবানলের ঘটনা ঘটেছে আলজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলের বনভূমিতে। এতে বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল ধ্বংসের পাশাপাশি শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।