অস্ট্রেলিয়া
মাস্কের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে অস্ট্রেলিয়ার কড়া জবাব
শিশু-কিশোরদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে রাখতে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে নতুন যে আইন উত্থাপন হয়েছে, তা দেশটির সরকারের কূট পরিকল্পনা হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন এক্স-এর মালিক মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। মাস্কের সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে উত্থাপিত বিলের উদ্দেশ্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
শিশুদের বেড়ে ওঠা প্রাণবন্ত করার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে তাদের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পার্লামেন্টে এক প্রস্তাব উত্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী মিশেল রোল্যান্ড। প্রস্তাবিত আইনে ১৬ বছরের কম বয়সি শিশু-কিশোরদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করা হয়।
রোল্যান্ড বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের মধ্য দিয়ে শিশুদের বেড়ে ওঠা যে অস্ট্রেলিয়ার সামাজিক বৈশিষ্ট নয়, এই বিলের মাধ্যমে এ বিষয়ে একটি নতুন আদর্শিক মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা হবে।’
‘যাচাই না করা বিপুল পরিমাণ কনটেন্টের সংস্পর্শ থেকে শিশু-কিশোরদের বিরত রাখতে তাৎক্ষণিকভাবে অবশ্যই কিছু করা উচিত। আর এ বিষয়টি দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।’
তবে বিষয়টিতে অন্য কিছুর গন্ধ পান ইলন মাস্ক। এক্স-এ তিনি লেখেন, অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণে এটি (সরকারের) একটি গোপন কৌশল বলে মনে হচ্ছে।
তবে শুক্রবার মাস্কের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির কোষাধ্যক্ষ জিম চালমার্স।
আরও পড়ুন: ১৬ বছরের কম বয়সিদের জন্য সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ করবে অস্ট্রেলিয়া
মাস্কের দাবিই সরকারের উদ্দেশ্য কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই না।’
‘মাস্কের কাছ থেকে এমন মন্তব্য পাওয়া বিস্ময়কর কিছু নয়। কারণ আইন বাস্তবায়নের পর তা লঙ্ঘন করলে এক্সসহ সব সামাজিক প্ল্যাটফর্মকে ১৫ কোটি (অস্ট্রেলিয়ান) ডলার করে জরিমানা করা হবে।’
‘ফলে মাস্ক যে আমাদের এই পদক্ষেপে খুশি নন, তা আমাদের বিস্মিত করে না। তার মন্তব্য আমাদের খুব বেশি ভাবায় না।’
ব্যাপক রাজনৈতিক সমর্থন থাকায় এক্স, টিকটক, ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট, রেডিট ও ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক প্ল্যাটফর্ম থেকে কিশোর-কিশোরীদের নিষিদ্ধ করতে আগামী সপ্তাহেই অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট আইনটি পাস হতে পারে। সোমবার এ নিয়ে দেশটির সংসদ সদস্যদের মধ্যে পার্লামেন্টে বিতর্ক হওয়ার কথা রয়েছে।
চালমার্স আরও বলেন, ‘ইলন মাস্ককে খুশি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নীতিমালা করা আমাদের কাজ নয়। আমাদের কাজ হচ্ছে অনলাইনে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’
১ মাস আগে
১৬ বছরের কম বয়সিদের জন্য সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ করবে অস্ট্রেলিয়া
অনলাইনে সন্তানদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাবা-মায়ের জন্য সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে যুগান্তকারী এক আইন উত্থাপন করেছেন দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী মিশেল রোল্যান্ড। প্রস্তাবিত আইনে ১৬ বছরের কম বয়সি শিশু-কিশোরদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্টে রোল্যান্ড বলেন, এই আইন পাস হলে ছোট ছোট বাচ্চাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলা ও ব্যবহার আটকাতে ব্যর্থ হলে টিকটক, ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট, রেডিট, এক্স ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোকে ৫ কোটি (অস্ট্রেলিয়ান) ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
এ সময় তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের মধ্য দিয়ে শিশুদের বেড়ে ওঠা যে অস্ট্রেলিয়ার সামাজিক বৈশিষ্ট নয়, এ বিষয়ে এই বিলের মাধ্যমে একটি নতুন আদর্শিক মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা হবে।’
‘যাচাই না করা বিপুল পরিমাণ কনটেন্টের সংস্পর্শ থেকে শিশু-কিশোরদের বিরত রাখতে তাৎক্ষণিকভাবে অবশ্যই কিছু করা উচিত। আর এ বিষয়টি দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।’
তবে বিষয়টি অন্যভাবে দেখছেন এক্সের মালিক ইলন মাস্ক। তিনি বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণে এটি (সরকারের) একটি গোপন কৌশল বলে মনে হচ্ছে।’
অবশ্য পার্লামেন্টে উত্থাপনের পর বিলটি ব্যাপক রাজনৈতিক সমর্থন পেয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে সামাজিক মাধ্যমে বয়সের সীমাবদ্ধতা কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা নিয়ে কাজ করার জন্য প্ল্যাটফর্মগুলো এক বছর সময় পাবে।
রোল্যান্ড বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার অনেক তরুণের জন্যই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ক্ষতিকর হতে পারে। ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সি অস্ট্রেলিয়ানদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই অনলাইনে মাদকের ব্যবহার, আত্মহত্যা কিংবা সহিংস কনটেন্ট দেখে থাকে। অনিরাপদ খাদ্যাভ্যাসের বিজ্ঞাপন দেখেছে তাদের এক-চতুর্থাংশ।’
‘সরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার ৯৫ শতাংশ সেবাদাতা অনলাইন নিরাপত্তাকে অভিভাবকত্বের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। নিজেদের প্ল্যাটফর্ম থেকে হওয়া ক্ষতির মোকাবিলায় তারা আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তরুণদের শাস্তি দেওয়া বা (অনলাইনে কর্মকাণ্ড থেকে) বিচ্ছিন্ন করে ফেলা নয়, বরং তাদের সুরক্ষার জন্য আইনটি প্রণয়ন করা হচ্ছে। বাবা-মায়েদের উদ্দেশে বলতে চাই, সন্তানের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য আমরা তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি।’
১ মাস আগে
রহস্যময় কালো বলে সয়লাব, সিডনির সৈকত বন্ধ ঘোষণা
অপরিচিত ও রহস্যময় প্রচুর কালো কালো বলের আকৃতির বস্তু ভেসে আসার পর সিডনির একটি জনপ্রিয় সৈকত জনসাধারণের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পূর্ব সিডনির কুগি সৈকতজুড়ে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) লাইফ গার্ডরা বলের আকৃতির শত শত আবর্জনা পাওয়ার পর সৈকতটিকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় র্যান্ডউইক সিটি কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সৈকতটি বন্ধ থাকবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভেসে আসা বস্তুগুলো কী ধরনের উপাদান দিয়ে গঠিত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ জন্য সেগুলোর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
২ মাস আগে
ইসলামবিদ্বেষ মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দূত নিয়োগ
দেশে বিদ্যমান ইসলামবিদ্বেষ মোকাবিলায় একজন বিশেষ দূত নিয়োগ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ।
জাতিসংঘের মুসলিমবিষয়ক বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত ব্রিটিশ-অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক আফতাব মালিককে অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রথম ইসলামবিদ্বেষ-বিষয়ক দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সময় সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে এক ঘোষণায় জানান প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ।
গত জুলাই মাসে জিলিয়ান সেগালকে ইহুদিবিদ্বেষ-বিষয়ক দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রায় তিন মাস পর এবার ইসলামবিদ্বেষ-বিষয়ক দূত নিয়োগ দিল অস্ট্রেলিয়ার সরকার।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে সহিংসতার জেরে ইসরায়েলিদের ওপর অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞা
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অভিবাসন ও বহুসংস্কৃতি-বিষয়ক মন্ত্রী টনি বার্কের সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে অ্যালবানিজ বলেন, বিশেষ দূত মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্য, ধর্মীয় বৈষম্য বিশেষজ্ঞ এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ইসলামবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সর্বোত্তম উপায় নিয়ে কাজ করবেন।
আগামী ১৪ অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন মালিক। তিন বছরের জন্য তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ এবং মন্ত্রী টনি বার্ককে রিপোর্ট করবেন তিনি।
যুক্তরাজ্যে পাকিস্তানি পিতামাতার ঘরে জন্মগ্রহণের পর ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান মালিক। সেখানে তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজ্য সরকারের সংহতি প্রচার এবং ঘৃণা ও চরমপন্থা মোকাবিলায় কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: বেকারত্ব বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ায়
২ মাস আগে
শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করছে অস্ট্রেলিয়া
শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
অ্যালবানিজ বলেছেন, এ বছরই তার সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারের ন্যূনতম বয়স প্রয়োগের উদ্দেশ্যে আইন প্রবর্তন করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে, সামাজিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং এটি শিশুদের প্রকৃত বন্ধু এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।’
যে আইনটি পাস করা হবে, তাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে ন্যূনতম বয়স ১৬ বছর হতে হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেকারত্ব বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ায়
গত আগস্টে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, ৬১ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ান ১৭ বছরের কম বয়সীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রবেশাধিকার সীমিত করার পক্ষে মত দিয়েছেন।
একই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিষিদ্ধ করতে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার পিটার ম্যালিনাউসকাসের সাবেক ফেডারেল বিচারক রবার্ট ফ্রেঞ্চকে আইনি পথগুলো অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, আইনটির খসড়া তৈরির সময় ফেডারেল সরকার রবার্ট ফ্রেঞ্চের পর্যালোচনা বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন: নির্ভুলভাবে ব্রেইন টিউমার শনাক্ত করবে এআই টুল: অস্ট্রেলিয়ার গবেষক দল
৩ মাস আগে
বেকারত্ব বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ায়
গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে অস্ট্রেলিয়ায় বেকারত্বের হার।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) অস্ট্রেলিয়ার পরিসংখ্যান ব্যুরো (এবিএস) থেকে প্রকাশিত তথ্যানুসারে, জুলাইয়ে দেশটিতে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ২ শতাংশে, জুনে যা ছিল ৪ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২১ সালের নভেম্বরের পর থেকে এটিই দেশটির সর্বোচ্চ বেকারত্বের হার।
অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (এবিসি) জানিয়েছে, জুলাই মাসে দেশটির বেকারত্বের হার ৪.১ শতাংশেই স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিবিদরা।
এবিএস জানিয়েছে, জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় কর্মরত মানুষের সংখ্যা ৫৮ হাজার ২০০ জন বেড়ে মোট ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬০ হাজার জনে দাঁড়িয়েছে। এই সময়ে দেশটির বেকার মানুষের সংখ্যা ২৩ হাজার ৯০০ জন বেড়ে মোট ৬ লাখ ৩৭ হাজার ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে, ২০২১ সালের নভেম্বরের পর যা সর্বোচ্চ।
এবিএসের শ্রম পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান কেট ল্যাম্ব এক বিবৃতিতে বলেন, ‘কর্মসংস্থান ও জনসংখ্যার অনুপাত শূন্য দশমিক ১ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে ৬৪.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেয়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির গতি দ্রুত ছিল।’
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ানদের এক-তৃতীয়াংশ একাকীত্বে ভুগছে: জরিপ
৪ মাস আগে
পশ্চিম তীরে সহিংসতার জেরে ইসরায়েলিদের ওপর অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞা
পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের ওপর সহিংসতার অভিযোগে বেশকিছু ইসরায়েলি নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অস্ট্রেলিয়া। এর ফলে প্রথমবারের মতো বসতি স্থাপনের কার্যক্রমের জন্য ইসরায়েলিদের ওপর এ ধরনের শাস্তির সিদ্ধান্ত নিল দেশটির সরকার।
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংস হামলায় অংশ নেওয়ায় সাত ইসরায়েলি ও একটি সংগঠনের ওপর আর্থিক ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং।
অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- ফিলিস্তিনিদের মারধর, যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতনের ফলে গুরুতর আহত এবং কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুও।
আরও পড়ুন: গাজা থেকে ৫ জিম্মির লাশ উদ্ধার করেছে ইসরায়েল
এক বিবৃতিতে ওং জানান, নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সংগঠনটি একটি যুব সংগঠন, যারা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়া এবং নিপীড়ন চালানোয় অভিযুক্ত।
তিনি বলেন, ‘ক্যানবেরা দৃঢ় ও ধারাবাহিকভাবে বলে আসছে যে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোতে ইসরায়েলি বসতি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অবৈধ।’
‘সহিংসতায় জড়িত বসতি স্থাপনকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে এবং চলমান বসতি স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ করতে আমরা ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানাই। এসব কর্মকাণ্ড শুধু উত্তেজনা বাড়িয়েই যায়, যা স্থিতিশীলতা আনতে ও দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনাকে ক্ষীণ করে দেয়।’
আরও পড়ুন: সিডনিতে শপিং সেন্টারে ছুরিকাঘাতে ৬ জন নিহত, পুলিশের গুলিতে ঘাতকের মৃত্যু
অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (এবিসি) রেডিওতে তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ানদের উচিত এই নিষেধাজ্ঞাকে বড় ধরনের শাস্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।’
৪ মাস আগে
ভূমিধসে পাপুয়া নিউগিনিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৬৭০ জন ছাড়িয়েছে
পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭০ জন ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
রবিবার (২৬ মে) দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটিতে জাতিসংঘ অভিবাসন সংস্থার মিশনের প্রধান সেরহান আকটোপ্রাক বলেন, ইয়াম্বালি গ্রাম ও এনগা প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের হিসাব অনুযায়ী শুক্রবারের ভূমিধসে দেড় শতাধিক বাড়ি চাপা পড়েছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) আকটোপ্রাক জানান, এই মুহূর্তে ৬৭০ জনেরও বেশি মানুষ মাটির নিচে তলিয়ে গেছে বলে ধারণা করছেন তারা।
শুক্রবার স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন প্রাথমিকভাবে মৃতের সংখ্যা ১০০ বা তারও বেশি হতে পারে। রবিবারের মধ্যে মাত্র ৫টি মৃতদেহ এবং অন্য একটি মরদেহের একটি পা উদ্ধার করা হয়।
জীবিতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ করছে সেখানে অবস্থানরত জরুরি সেবাদানকারীরা।
অন্যদিকে আরও আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজন আছে কি না সেটি বিবেচনা করে দেখছে দেশটির সরকার।
উদ্ধারকারীরা মাটির নিচে এবং ধ্বংসস্তূপের ৬ থেকে ৮ মিটার (২০ থেকে ২৬ ফুট) গভীরে জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছে বলে জানান আকটোপ্রাক।
তিনি বলেন, 'কষ্ট ও শোকে ভারাক্রান্ত মানুষ এই বিষয় মেনে নিচ্ছে।’
আকটোপ্রাক আরও বলেন, 'ধ্বংসস্তূপের ওপর দিয়ে কাজ করা খুবই বিপজ্জনক এবং এখনো ভূমিধস হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিধসে শতাধিক মৃত্যুর দাবি
সরকারি কর্তৃপক্ষ নিরাপদ স্থানে তিন থেকে চারটি ফুটবল মাঠের সমান এলাকা জুড়ে আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করেছে এবং প্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রধান মহাসড়ক কেটেছে।
এদিকে প্রাদেশিক রাজধানী ওয়াবাগ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে বিধ্বস্ত তাম্বিতানিস গ্রামে যাওয়ার পথে খাবার, পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বহনকারী গাড়িগুলো উপজাতিদের লড়াইয়ের মুখে পড়ার হুমকিতে রয়েছে। যদিও পাপুয়া নিউগিনির সেনারা কনভয়গুলো পাহারা দিচ্ছে।
ভূমিধসের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিরোধের জেরে শনিবার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ৮ জন নিহত হয়। এ লড়াইয়ে প্রায় ৩০টি বাড়িঘর ও ৫টি দোকান পুড়ে গেছে বলে জানান স্থানীয় কর্মকর্তারা।
আকটোপ্রাক বলেন, তিনি আশা করেননি যে উপজাতীয় যোদ্ধারা ত্রাণবাহী গাড়িগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করবে তবে সুবিধাবাদী অপরাধীরা চলমান বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে এ কাজ করতেও পারে।
তিনি বলেন, ‘গাড়ি ছিনতাই বা ডাকাতির জন্য হামলা হতে পারে। তবে শুধু কর্মীদের সুরক্ষার বিষয় নয় বরং যে ত্রাণগুলো নিয়ে আসা হয়েছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে সেগুলো চুরির সম্ভাবনাও রয়েছে।’
দীর্ঘসময় ধরে চলা এই উপজাতীয় যুদ্ধ সরকারি অনুমানের ওপর সন্দেহ তৈরি করে কেন না মুঙ্গালো পর্বতের যে অংশের ধস হয়েছে সেখানের গ্রামটিতে প্রায় ৪ হাজার মানুষ বাস করত।
মানবাধিকার সংস্থা কেয়ার ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর জাস্টিন ম্যাকমাহন বলেন, বেঁচে যাওয়াদের খাবার, পানি ও আশ্রয়ের পাশাপাশি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া বেশি জরুরি। সেনাবাহিনী এ লক্ষ্যে কাজ করছে।
রবিবারের মধ্যে আহত ও নিখোঁজদের সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি। শনিবার এক শিশুসহ ৭ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে জানালেও তাদের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি স্থানীয় কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: পাপুয়া নিউগিনিতে উপজাতিদের সহিংসতায় ৫৩ জন নিহত
কর্মকর্তারা আরও জানান, বাড়িঘর, বেশকিছু ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, একটি গেস্ট হাউস, স্কুল ও গ্যাস স্টেশনের পাশাপাশি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোও ভূমি ধসে চাপা পড়েছে।
ওই অঞ্চলে অন্যান্য স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে উল্লেখ করে ম্যাকমাহন জানান, প্রাদেশিক সরকার স্বাস্থ্যকর্মী পাঠাচ্ছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্মী মোতায়েন করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু সাহায্য পাওয়া গেলেও এটি এমন বিস্তৃত এলাকা যে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। বিপর্যয়ের প্রভাব আসলেই বেশ বিস্তৃত এলাকাজুড়ে।’
পাপুয়া নিউগিনি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে হলেও বিধ্বস্ত ওয়াবাগ গ্রাম সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার মিটার অর্থাৎ প্রায় ৬ হাজার ৬০০ ফুট উপরে যেখানে তাপমাত্রা যথেষ্ট শীতল।
রবিবার পাপুয়া নিউগিনির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিলি জোসেফ এবং সরকারের জাতীয় দুর্যোগ কেন্দ্রের পরিচালক লাসো মানা হেলিকপ্টারযোগে গ্রামটি পরিদর্শনে যান।
আনুষ্ঠানিকভাবে আরও আন্তর্জাতিক সহায়তার অনুরোধ জানানোর ব্যাপারে সরকার মঙ্গলবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন জাতিসংঘ অভিবাসন সংস্থার মিশনের প্রধান আকটোপ্রাক।
এই বিপর্যয়ের মুহূর্তে দেশটিকে সহায়তা করতে কিছু দেশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পাপুয়া নিউগিনির নিকটতম প্রতিবেশী ও সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক সহায়তা সরবরাহকারী অস্ট্রেলিয়া।
পাপুয়া নিউগিনি একটি বৈচিত্র্যময়, উন্নয়নশীল দেশ যেখানে ৮০০ ভাষা এবং ১০ মিলিয়ন মানুষ বাস করে যাদের বেশিরভাগই কৃষক।
আরও পড়ুন: পাপুয়া নিউগিনির দুই বড় শহরে দাঙ্গা, নিহত ১৫
৬ মাস আগে
পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিধসে শতাধিক মৃত্যুর দাবি
শুক্রবার পাপুয়া নিউগিনির প্রত্যন্ত এলাকায় ভূমিধসে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (এবিসি) প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটির রাজধানী পোর্ট মোর্সবি থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এনগা প্রদেশের কাওকালাম গ্রামে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
সেখানকার বাসিন্দারা বলছেন, বর্তমানে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। যদিও কর্তৃপক্ষ এই সংখ্যাটি নিশ্চিত করেনি।
গ্রামবাসীরা বলছেন, নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয়রা মাটিচাপা মরদেহগুলো বের করে আনছেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষ
৭ মাস আগে
সিডনিতে শপিং সেন্টারে ছুরিকাঘাতে ৬ জন নিহত, পুলিশের গুলিতে ঘাতকের মৃত্যু
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি শপিং সেন্টারে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ হামলায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
শনিবার শহরের পূর্বাঞ্চলে বন্ডি জংশনের ওয়েস্টফিল্ড শপিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের অবস্থা সম্পর্কে পুলিশ বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
নিউ সাউথ ওয়েলসের সহকারী পুলিশ কমিশনার অ্যান্থনি কুক জানান, সন্দেহভাজন হামলাকারী শহরের পূর্ব শহরতলীর বন্ডি জংশনের ওয়েস্টফিল্ড শপিং সেন্টারে ৯ জনকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর পুলিশ তাকে গুলি করে। এ ঘটনায় হামলার শিকার ৬ জন ও সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ইরান হামলা করলে আত্মরক্ষায় পাল্টা আঘাত হানতে প্রস্তুত ইসরায়েল
কুক আরও বলেন, নিহত সন্দেহভাজন একাই এ কাজ করেছে। আর কোনো হুমকির সম্ভাবনা নেই। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থলে এমন কিছু নেই যা কোনো উদ্দেশ্য বা কোনো মতাদর্শের ইঙ্গিত দেয়। তবে আমরা কোনো কিছুর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না।’
কুক বলেন, ঘটনাস্থলে একজন পুলিশ পরিদর্শক সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির মুখোমুখি হয়ে ‘অনেক লোকের জীবন বাঁচিয়েছিলেন’।
ভিডিওতে দেখা যায়, শপিং সেন্টারের আশপাশে অনেক অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে এবং লোকজন বের হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে তীর্থযাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
স্বাস্থ্যকর্মীরা ঘটনাস্থলে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অস্ট্রেলিয়ার এবিসি টিভির সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার রোই হুবারম্যান বলেন, ঘটনার সময় তিনি একটি দোকানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ আমরা সম্ভবত দুটি গুলির শব্দ শুনতে পাই এবং আমরা কী করব তা বুঝতে পারছিলাম না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দোকানের একজন আমাদের পেছনে নিয়ে গিয়ে দোকানে তালা লাগিয়ে দেন। তিনি আমাদের পেছন দিয়ে যেতে দেন এবং তারপর আমরা বাইরে চলে এসেছি।’
আরও পড়ুন: সরাসরি ইরানে হামলা চালানোর হুমকি ইসরাইলের
৮ মাস আগে