ইউরোপ
গ্রিস উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের স্পিডবোট ডুবে নিহত ৮
গ্রিসের পূর্বাঞ্চলীয় রোডস দ্বীপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি স্পিডবোট ডুবে আটজন নিহত হয়েছেন।
দেশটির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, স্পিডবোটটি কোস্টগার্ডের একটি টহল জাহাজকে ফাঁকি দিতে ‘বিপজ্জনক কৌশল’ অবলম্বন করতে গেলে সাগরে ডুবে যায়। এ ঘটনায় ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
দ্বীপের উত্তর-পূর্বে আফানতু বিচের রিসোর্ট এলাকার কাছে কোস্টগার্ডের তিনটি জাহাজ ও একটি হেলিকপ্টারে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছেন। এ ঘটনায় আরও কেউ নিখোঁজ রয়েছেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জীবিতদের মধ্যে আটজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।তুরস্ক উপকূলের কাছে অবস্থিত বেশ কয়েকটি বড় গ্রিক দ্বীপের মধ্যে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে একটি ব্যস্ত অবৈধ চোরাচালান রুটে পড়েছে রোডস।
আরও পড়ুন: জিবুতির উপকূলে লোহিত সাগরে নৌকাডুবিতে ৪৫ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় গ্রিসে অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমন বাড়ার আশঙ্কার মধ্যে গত সপ্তাহে অভিবাসীদের নিয়ে এটি দ্বিতীয় প্রাণহানির ঘটনা।
সপ্তাহের শেষ দিনে ক্রিট দ্বীপের দক্ষিণে একটি নৌকা আংশিকভাবে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় ৮ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত হন। ওই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলে ধারণা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের।
দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এ বছর গ্রিসে অবৈধভাবে ভ্রমণকারী অভিবাসীর সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সিরীয়রা। তারপর রয়েছে আফগানিস্তান, মিসর, ইরিত্রিয়া ও ফিলিস্তিনের নাগরিক।
৩ দিন আগে
ফ্রাঁসোয়া বায়রুকে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা
দেশজুড়ে কয়েকদিনের রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর অবশেষে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ। দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মধ্যপন্থী রাজনীতিক ফ্রাঁসোয়া বায়রুর নাম ঘোষণা করেছেন তিনি।
ফ্রান্সের পার্লামেন্টে ঐতিহাসিক অনাস্থা ভোটে গত ৪ ডিসেম্বর ক্ষমতাচ্যুত হন প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ার। পরের দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মাক্রোঁ নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হয়েছিল, কিন্তু সেদিন তিনি তা করেননি। এরপর মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দলের নেতাদের বৈঠকে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করতে তাকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
তবে সেই সময়সীমাও অতিক্রান্ত হলে আজ (শুক্রবার) নতুন প্রধানমন্ত্রীর নামের ঘোষণা আসতে পারে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। অবশেষে সেই খবর সত্যি করে ফ্রাঁসোয়া বায়রুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।
মাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত ৭৩ বছর বয়সী বায়রু মধ্যপন্থী জোটের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। গত কয়েক দশক ধরে ফরাসি রাজনীতিতে তিনি সুপরিচিত নাম। তিনি দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একজন মেয়র এবং মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (মোডেম) দলের শীর্ষ নেতা। ২০০৭ সালে তিনি নিজেই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে রক্ষণশীল সরকারের শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে ফরাসি জনগণের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন এই রাজনীতিক। এরপর ২০০২, ২০০৭ ও ২০১২ সালে তিনবার দেশটির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ছিলেন তিনি।
পরে ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় মাক্রোঁকে সমর্থকন দেন বায়রু। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে মাক্রোঁ তাকে ফ্রান্সের বিচারমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেও পরবর্তী সময়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের তহবিল তছরুপের অভিযোগে মোডেমের বিরুদ্ধে তদন্তের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: অনাস্থা ভোটে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাচ্যুত
চলতি বছর প্যারিসের একটি আদালত ওই মামলায় মোডেমের ৮ কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত ও দলটিকে জরিমানা করলেও বায়রুকে নির্দোষ সাব্যস্ত করে অব্যাহতি দেয়।
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত তিনজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন মাক্রোঁ। বাইরু হতে যাচ্ছেন তার চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী।
চলতি গ্রীষ্মে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। তারপর থেকেই দেশটির রাজনৈকিক অঙ্গনে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বায়রুর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বায়রুর কাজ হবে একটি নতুন সরকার গঠন করা। নতুন মন্ত্রী নির্বাচনে আগামী দিনগুলোতে তিনি বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে এই কাজ বায়রুর জন্য মোটেও সহজ হবে না। কারণ ফ্রান্সে সর্বশেষ সংসদীয় নির্বাচনে কোনো দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় একটি ঝুলন্ত সংসদ গঠিত হয়। সেখানে মাক্রোঁর মধ্যপন্থী জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। ফলে সরকার গঠনে বাম ও ডান উভয় পক্ষের মধ্যপন্থী নেতাদের ওপর তার নির্ভর করতে হবে। এমনকি, রক্ষণশীল নেতাদের কেউ কেউ নতুন সরকারের অংশ হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
১ সপ্তাহ আগে
নটরডেমে ফিরছে যিশু খ্রিষ্টের ‘কাঁটার মুকুট’
২০১৯ সালের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পাঁচ বছর পর ফ্রান্সের বিখ্যাত নটরডেম ক্যাথেড্রালে আবারও ফিরছে যিশু খ্রিষ্টের ‘কাঁটার মুকুট’।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সোনায় মোড়ানো গাছের শাখার ওই মুকুটটি ফিরছে তার পুরনো ঠিকানায়।
এ উপলক্ষে ক্যাথেড্রালে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্যারিসের আর্চবিশপ। ক্যাথেড্রালের পুনরুদ্ধার যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত করা এই অনুষ্ঠানে পবিত্র সেপালচারের অশ্বারোহী নাইট ও ডেমরাও উপস্থিত থাকবেন।
দশম শতাব্দীতে কনস্টান্টিনোপোলে স্থানান্তরিত হওয়ার আগে পঞ্চম শতাব্দীতে জেরুজালেমের তীর্থযাত্রীরা এই ঐতিহাসিক নিদর্শনটির কথা প্রথম উল্লেখ করেন। এরপর ১২৩৯ সালে এটি অধিগ্রহণ করেন ফ্রান্সের রাজা নবম লুই। তিনি এটি প্যারিসে নিয়ে আসেন এবং সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সান্তে-চাপেল কমিশন করার আগে নটরডেমে রাখেন। পরে তা আবার নটরডেমে ফেরত পাঠানো হয়।
২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল নটরডেমে আগুন লাগলে অন্যান্য প্রাচীন নিদর্শনের পাশাপাশি এটিও একটি সিল করা বাক্সে সংরক্ষণ করা ছিল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের তৎপরতায় এটি গ্রাস করার আগেই আগুন নির্বাপিত হয়।
আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে গুড ফ্রাইডে (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত প্রতি শুক্রবার জনসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য মুকুটটি প্রদর্শিত হবে। তারপর থেকে প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার সেটি নিয়মিত প্রদর্শিত হবে।
১ সপ্তাহ আগে
আসাদের পতন: সিরীয়দের এখনই আশ্রয় দেবে না ইউরোপের একাধিক দেশ
বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় অস্পষ্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দেশটির নাগরিকদের আশ্রয়ের আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে জার্মানিসহ একাধিক ইউরোপীয় দেশ।
এ বিষয়ে সোমবার জার্মানির অভিবাসন ও রিফিউজি বিষয়ক দপ্তর জানিয়েছে, (সিরিয়া থেকে) ৪৭ হাজারের বেশি (আশ্রয়ের) আবেদন এসেছে, যেগুলো অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। তবে দেশটির পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে আবেদনগুলো পুনর্মূল্যায়ন করে ফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জোনিয়া কক বলেছেন, (বিদেশিদের) আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে প্রতিটি ঘটনা আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর দেশের পরিস্থিতিও মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। সিরিয়ার বর্তমান অবস্থার মতো পরিস্থিতি যদি অস্পষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের আবেদনগুলো অগ্রাধিকার পায়।
জার্মান কর্মকর্তারা বলছেন, আসাদের পতন ২০১০ দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জার্মানিতে আশ্রয় নেওয়া সিরীয়দের ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা বলার সময় এখনও আসেনি।
জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশটিতে ৯ লাখ ৭৪ হাজার ১৩৬ জন সিরীয় নাগরিক রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগেরই কোনো না কোনো শরণার্থী বা অন্য ধরনের সুরক্ষিত মর্যাদা রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নান্সি ফায়েজার বলেছেন, (আসাদ ক্ষমতায়) ফিরে আসবেন কিনা, সে সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা এখনই সম্ভব নয় এবং এই ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে এটি অনুমান করাও ঠিক হবে না।
আরও পড়ুন: দেশ ছেড়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ
এদিকে, জার্মানির প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামারও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সিরীয়দের আশ্রয় আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখতে বলেছেন।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শালেনবেয়ার্গ বলেন, ‘আশ্রয় ও পরিবারের পুনর্মিলন কার্যক্রম স্থগিত করতে প্রথমে সত্য প্রতিষ্ঠা করা গুরুত্বপূর্ণ। (সিরিয়ায়) পরিস্থিতি শান্ত হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, যাতে আমরা দেখতে পারি কী ঘটছে এবং পরবর্তীতে এর কী প্রভাব পড়ে।
সিরিয়া থেকে পাওয়া আশ্রয় আবেদনগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিতের কথা জানিয়েছে সুইডেনও। দেশটির অভিবাস সংস্থা বলেছে, আবেদনকারীদের নিরাপত্তা চাওয়ার কারণগুলো এই মুহূর্তে মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়।
এই বিরতি কতদিনের জন্য, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতায় ফিরে আসার সময়ও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে তারা।
এছাড়া, সিরীয়দের বিষয়ে ফিনল্যান্ডও তাদের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে।
এ বিষয়ে ফিনল্যান্ডের সরকারি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশটির অভিবাসন পরিষেবার আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক আন্টি লেহটিনেন বলেছেন, এ (সিরীয়দের) বিষয়ে আবার কবে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।
একই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে নরওয়ের অভিবাসন অধিদপ্তর বলেছে, পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা সিরিয়া থেকে আসা আশ্রয়ের আবেদন স্থগিত রেখেছে।
এ ছাড়াও, জার্মানির কার্যক্রম পদাঙ্ক অনুসরণ করার কথা বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্স।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আমরা সিরিয়া থেকে আসা আশ্রয়ের আবেদনগুলো স্থগিতের বিষয়ে কাজ করছি। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছাব।
ফ্রান্সে সিরিয়ার নাগরিকদের ৪৫০টি আবেদন বিচারাধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
২ সপ্তাহ আগে
ইতালিতে তেলের ডিপো বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৪
ইতালির তুস্কানি অঞ্চলের একটি জ্বালানি তেলের ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর মঙ্গলবার আরও দুটি লাশ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারীরা। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়াল।
ফ্লোরেন্সের উত্তরে ইএনআইয়ের একটি তেলের ডিপোতে সোমবার বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরনের পর বাতাসে ধোঁয়ার কুণ্ডলী এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ে যে কয়েক মাইল দূর থেকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বড় ধরনের বিস্ফোরণ ও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
বিস্ফোরণে একটি ভবন ধসে পড়ে, যেখানে একটি অফিস ছিল। ভবনটির একজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া আরও ১৪ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তুস্কানির গভর্নর ইউজেনিও জিয়ানি।
বিস্ফোরণের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরের জানালা বন্ধ রাখার পরামর্শ দেয় প্রশাসন। চারদিক ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়ায় আঞ্চলিক ট্রেন চলাচলও সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হয়।
কালেনসানো শহরের ডিপোতে বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ইএনআই তেল কোম্পানি।
২ সপ্তাহ আগে
রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনে নিহত ১২, আহত ৩৯
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত ও ৩৯ জন আহত হয়েছে।
দেশটির জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, কেবল দক্ষিণাঞ্চলীয় জাপোরিঝঝিয়া শহরেই গাইডেড বোমা হামলায় ১০ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে। হামলায় ২৫০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, যাতে ছয়টি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। অবশ্য পরে তা নিভিয়ে ফেলা হয়।
অপরদিকে, ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় ক্রিভি রিহ শহরে একটি বেসামরিক প্রশাসনিক ভবনে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে দুজন নিহত ও ১৯ জন আহত হয় বলে জানিয়েছেন শহরটির প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের প্রধান ওলেকজান্ডার ভিলকুল।
ভিলকুল বলেন, হামলায় ছয়টি আবাসিক ভবন, পাঁচটি ব্যক্তিগত বাড়ি ও বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২ সপ্তাহ আগে
ইউক্রেনে পরমাণু হামলার ঝুঁকি নিয়ে ল্যাভরভের হুঁশিয়ারি
ইউক্রেনে পারমাণবিক উত্তেজনা বৃদ্ধির ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, রাশিয়া সংলাপের জন্য প্রস্তুত।
শুক্রবার সামাজিক এক্স পোস্টে মার্কিন সাংবাদিক টাকার কার্লসনের প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন ল্যাভরভ। আলোচনায় ইউক্রেন সংকটসহ বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক দৃশ্যপটও উঠে আসে।
সম্প্রতি পেন্টাগন এবং ন্যাটোর কিছু কর্মকর্তা রাশিয়ার ওপর সীমিত পরিসরে সম্ভাব্য পারমাণবিক হামলার বিষয়ে মন্তব্য করার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ল্যাভরভ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ ধরনের যেকোনো পদক্ষেপ উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে পাঁচটি পরমাণু শক্তিধর দেশের নেতাদের যৌথ বিবৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সামরিক নীতিও বলে, পারমাণবিক যুদ্ধ এড়ানোই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
তিনি ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে রাশিয়ার দীর্ঘদিনের বিরোধিতার কথা পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, পশ্চিমারা রাশিয়ার জাতীয় নিরাত্তা বারবার উপেক্ষা করে আসছে। ন্যায়সঙ্গত শর্তে সংলাপের জন্য রাশিয়া সবসময়ই প্রস্তুত।
২ সপ্তাহ আগে
অনাস্থা ভোটে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাচ্যুত
ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদ সদস্যদের অনাস্থা ভোটে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ার। এর ফলে ফ্রান্সের বর্তমান সরকারের পতন ঘটছে।
স্থানীয় সময় বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এই ভোটাভুটি হয়।
ফ্রান্সে অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জাতীয় পরিষদ সদস্যদের ন্যূনতম ২৮৯টি ভোটের প্রয়োজন হয়। সেখানে বার্নিয়ারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ৩৩১টি ভোট পড়েছে।
দেশটির বামপন্থী দলগুলোর জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি) ও উগ্র ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র্যালির (আরএন) নেতাদের অধিকাংশই বার্নিয়ারের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। এর ফলে, ১৯৬২ সালের পর বার্নিয়ারই প্রথম ফরাসি প্রধানমন্ত্রী যাকে অনাস্থা ভোটে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হলো।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স-বাংলাদেশ সম্ভাব্য রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রতিবেদনটি 'অসত্য': প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
ফ্রান্সের সংবিধান অনুযায়ী, বার্নিয়ারকে এখন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে পদত্যাগপত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে গৃহীত হবে বলে গণ্য করা হয়ে থাকে।
ভোটাভুটির আগে ফরাসি সংসদ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় ২০২৫ সালের সামাজিক নিরাপত্তা বাজেট পাস করতে বাধ্য করার সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গান বার্নিয়ার। তিনি বলেন, ‘শোনা, শ্রদ্ধা ও সংলাপের মনোভাব দেখানোর পরই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ফ্রান্স ব্যাপক ঘাটতির মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে বার্নিয়ার বলেন, ‘এটিই এখন বাস্তবতা। অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে আমাকে সরিয়ে দিলেও রাতারাতি এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না। (আমার পর) যে-ই দায়িত্ব নিক, তাকে এই বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে।’
অনাস্থা ভোটে সাফল্য পেলেও এটিকে বিজয় হিসেবে দেখতে নারাজ সাবেক কট্টর ডানপন্থী নেত্রী মারিন লে পেন।
তার ভাষ্যে, ‘এর মাধ্যমে আমরা দেশের নাগরিকদের রক্ষা করেছি মাত্র। এটি ছাড়া সামনে আর কোনো পথ খোলা ছিল না।’
নির্বাচনের ফলাফলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এনএফপি থেকে কাউকে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী করা হবে, এটিই প্রাথমিকভাবে সবাই ধরে নিয়েছিল, কিন্তু মাক্রোঁ বার্নিয়ারকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেন। এমন পদক্ষেপের পর তিনি বামপন্থী দলগুলোর দ্বারা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন।
এরপর ২০২৪ সালের ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে দলের পরাজয়ের পর ৯ জুন ফ্রান্সের বর্তমান সরকার ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন মাক্রোঁ।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সের নির্বাচনে বেশি আসনে জয় বাম জোটের, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
বার্নিয়ার সরকারের পতনের ফলে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ২০২৫ সালের জন্য অনুমোদিত বাজেট তৈরির চ্যালেঞ্জের সামনে পড়ল ফ্রান্স।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম বিএফএমটিভির খবরে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করবেন প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ। সৌদি আরব সফর থেকে ফিরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২ সপ্তাহ আগে
জর্জিয়ায় ইইউ আলোচনা স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, আহত ৪৪
জর্জিয়া সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা স্থগিতের ঘোষণার পর শনিবার তিবলিসিতে টানা তৃতীয় রাতের মতো বিক্ষোভ ছড়িয়ে করেন বাসিন্দারা। এ সময় ৪৪ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ২৭ জন বিক্ষোভকারী, ১৬ জন পুলিশ কর্মকর্তা এবং একজন সাংবাদিক রয়েছেন।
হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জর্জিয়ার পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হয়ে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা পাথর নিক্ষেপ করেন এবং আতশবাজি ফোটান। ক্ষমতাসীন জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা বিদজিনা ইভানিসভিলির কুশপুত্তলিকাও পোড়ান। এধিকে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে সরকারের প্রতিরক্ষা
প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি কোবাখিদজে জর্জিয়ার ইউরোপীয় সংহতি প্রচেষ্টা পরিত্যাগের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রবিবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যা প্রত্যাখ্যান করেছি, তা কেবল লজ্জাজনক ও অপমানজনক ছিল।’
এই বিক্ষোভের জন্য বিরোধী রাজনীতিবিদদের দায়ী করেন কোবাখিদজে এবং আইন লঙ্ঘনের জন্য কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন।
আরও পড়ুন: কপ২৯: স্বল্পোন্নত-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে ২০০ মিলিয়ন বরাদ্দ দিতে ইইউ’র সমর্থন চাইল বাংলাদেশ
কোবাখিদজে জর্জিয়ার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কৌশলগত অংশীদারিত্ব স্থগিত করার ঘোষণাকেও খাটো করে দেখেছেন। এটিকে বিদায়ী প্রশাসনের একটি প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যার উদ্দেশ্য ছিল আসন্ন ইউএস নেতৃত্বের জন্য ট্রানজিশনকে জটিল করে তোলা।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ সমালোচনা
ইউরোপীয় ইউনিয়ন রবিবার একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সেখানে পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা কাল্লাস এবং সম্প্রসারণ কমিশনার মার্তা কোস জর্জিয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন। তারা এই পদক্ষেপকে বেশিরভাগ জর্জিয়ানের ইউরোপীয় সমর্থনের আকাঙ্ক্ষা থেকে একটি বিচ্যুতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের করার অধিকারকে সম্মান করার আহ্বান জানান।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্তের পর এসব বিক্ষোভ শুরু হয়। এর আগে বিতর্কিত "ফরেন ইনফ্লুয়েন্স" আইন পাসের পর জর্জিয়ার জন্য আর্থিক সহায়তা স্থগিত করেছিল এটি। সমালোচকরা দাবি করেন এটি গণতান্ত্রিক স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা স্থগিতের জন্যও সমালোচনা করেছে। তারা জর্জিয়ায় গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে মতপ্রকাশের অধিকারকে সমর্থন জানিয়েছে।
বিরোধীদের নির্বাচনের আহ্বান
জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির বিরুদ্ধে ২৬ অক্টোবরের সংসদীয় নির্বাচনে রাশিয়ার সমর্থন এবং ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছেন বিরোধী নেতারা। তাদের দাবি, এই নির্বাচন জর্জিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।এর ফলস্বরূপ ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংসদ বর্জন করেন বিরোধীরা।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জর্জিয়ার পশ্চিমা সমর্থক প্রেসিডেন্ট স্যালোমে জৌরাবিখভিলি সরকারের বিরুদ্ধে দেশের গতিপথ ‘আধা রুশ’ রাষ্ট্রে পরিণত করার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন নির্বাচন চাই, তবে সেখানে যেন মানুষের ইচ্ছাকে পুনরায় বিকৃত বা চুরি না করা হয়।’
ইউরোপীয় আকাঙ্ক্ষা ঝুঁকিতে
ব্লকের সুপারিশ মেনে চলার শর্তে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে জর্জিয়াকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রার্থী দেশ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। তবে, এই বছর শুরুর দিকে গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের উদ্বেগের মধ্যে দেশটির সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা স্থগিত করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে সদস্যপদ এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রতি নতুন প্রতিশ্রুতির দাবি জানিয়েছেন।
উত্তেজনা অব্যাহত থাকায় সংকট মোকাবিলা এবং গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার জন্য ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় চাপের মুখোমুখি হচ্ছে জর্জিয়ার সরকার।
সূত্র: এজেন্সি
আরও পড়ুন: ২৮ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ
৩ সপ্তাহ আগে
ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের বিনিময়ে সংঘাত অবসানে প্রস্তুত ইউক্রেন
নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনে (ন্যাটো) ইউক্রেনের সদস্যপদ লাভের বিনিময়ে রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতের অবসান ঘটাতে নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স-ইউক্রেন শুক্রবার এ খবর জানিয়েছে।
জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমরা যদি যুদ্ধের উত্তেজনা বন্ধ করতে চাই, তাহলে আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের ভূখণ্ডকে ন্যাটোর আশ্রয়ে রাখতে হবে। আমাদের এটি দ্রুত করা দরকার।’
‘পরবর্তীতে কূটনৈতিক উপায়ে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা (ইউক্রেনের) অঞ্চলগুলো ফিরে পাওয়া যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ন্যাটোর আমন্ত্রণে ইউক্রেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমান্তকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।
জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের আরও ভূখণ্ড দখল করতে রাশিয়া যাতে ফিরে না আসে তার নিশ্চয়তা দিতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।
৩ সপ্তাহ আগে