বিজ্ঞান-এবং-উদ্ভাবন
আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে ব্যবহৃত বস্তুটি হওয়ায় ক্রমশ মূল্যবান হয়ে উঠছে স্মার্টফোনগুলো। বিশেষ করে পুনঃবিক্রয় মূল্য এবং জনপ্রিয়তার কারণে রীতিমতো সম্পদতুল্য বস্তু আইফোনগুলো। তাই ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই ফোনগুলো চুরি হওয়ার পরিমাণ। এই সমস্যার নিরসনে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের রয়েছে অত্যাধুনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা। এই প্রতিরক্ষামূলক ফিচারগুলো চুরি করা ডিভাইস ব্যবহার বা বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। ফলশ্রুতিতে, ব্যবহারকারীর ডেটাগুলোর চূড়ান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। চলুন, আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের কয়েকটি কার্যকরী ফিচার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আইফোন চুরি প্রতিরোধে কয়েকটি কার্যকরী নিরাপত্তা ফিচার
.
অ্যাক্টিভেশন লক
ইন্টারনেটের মাধ্যমে অ্যাপলের তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা বা ক্লাউড সার্ভিসটি আইক্লাউড নামে পরিচিত। এখানে আইফোনকে একটি অনন্য অ্যাপল আইডির সঙ্গে লিংক করা হয়। যখন ডিভাইসে থাকা ফাইন্ড মাই আইফোন ফিচারকে সক্রিয় করা হয়, তখন তার সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায় অ্যাক্টিভেশন লক। এর ফলে চুরির পর ডিভাইসটি পুরো ফর্মেট দেয়া বা রিসেট করা হলেও, আসল মালিকের অ্যাপল আইডি ও পাসওয়ার্ড ছাড়া ফোন খোলা যাবে না। সঙ্গত কারণেই কল করা বা এসএমএস পাঠানোসহ বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহারের মতো কাজগুলো করা সম্ভব হবে না। এতে করে বিক্রয়ের জন্য একের পর এক হাত বদল হলেও প্রান্তিক গ্রাহক পর্যায়ে ফোনটি আর বিক্রয় উপযোগী থাকে না।
ফেস ও টাচ আইডি
মুখের ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ আইফোন আনলক করার সবচেয়ে নিরাপদ উপায়গুলোর শীর্ষে রয়েছে। এখান ফেস আইডি মূলত উন্নত ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জন্য একটি অনন্য শারীরিক বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ করে। বিষয়টি টাচ আইডির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যেখানে আঙ্গুলের ছাপও প্রতিটি মানুষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হয়। তাই কোনোভাবে পিন কোড বা পাসওয়ার্ড যোগাড় করা সম্ভব হলেও এই বায়োমেট্রিক তথ্যগুলোর অভাবে ফোনটি আনলক করা দুষ্কর হয়ে পড়ে।
টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
ফাইন্ড মাই নেটওয়ার্ক
অ্যাপলের এই উদ্ভাবনী ব্যবস্থাটি হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া আইফোন খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকর। এমনকি অফলাইনে থাকলেও এই ট্র্যাকিং সিস্টেমটি চালু থাকে। অবশ্য এখানে ব্লুটুথ অন থাকার প্রয়োজন হয়। ফাইন্ড মাই নেটওয়ার্ক প্রধানত কাছাকাছি থাকা অ্যাপল ডিভাইসের ব্লুটুথ সংকেত ব্যবহার করে হারিয়ে যাওয়া আইফোনের অবস্থান চিহ্নিত করে। এই বেনামী ও এন্ক্রিপ্ট করা সংকেতগুলো চোরের অলক্ষ্যেই ফোনের অবস্থানটি আসল মালিককে জানিয়ে দিতে পারে।
দূর থেকে ডেটা মুছে ফেলা
এখানে আগে থেকে আইফোনে ফাইন্ড মাই আইফোন অ্যাপটি চালু বা আইক্লাউডের সঙ্গে ফোনকে লিংক করে রাখতে হয়। এতে করে পরবর্তীতে চুরি হলে ব্যবহারকারীরা দূর থেকেই ডিভাইসে থাকা যাবতীয় সংবেদনশীল তথ্য মুছে ফেলতে পারে। ফলে কোনোভাবে ফোনের নিরাপত্তা বূহ্য ভাঙা সম্ভব হলেও ফোনের আসল মালিকের গোপনীয়তাগুলো প্রকাশিত হয় না। ফোনের ডেটা নিয়মতি আইক্লাউডে ব্যাকআপ রাখা হলে, ডিভাইস পুনরুদ্ধারের পর সেই মুছে ফেলা তথ্যগুলোও ফিরে পাওয়া যেতে পারে।
টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (টুএফএ)
পিন কোড বা পাসওয়ার্ডের ওপর নিরাপত্তার অতিরিক্ত স্তর যোগ করে এই টুএফএ সিস্টেম। এই পদ্ধতিতে অ্যাপল আইডিতে সফলভাবে সাইন ইন করার জন্য ডিভাইসে নিবন্ধিত ফোন নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হয়। ফলে অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড জেনে যাওয়ার পরেও যাচাইকরণ কোড ছাড়া অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা সম্ভব হয় না। এই পদ্ধতিটি আইক্লাউড ও আইটিউন্সসহ অন্যান্য অ্যাপল পরিষেবাগুলোকে অননুমোদিত লগইন থেকে বিরত রাখে।
মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
সিকিউর ইন্ক্লেভ
বর্তমানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিকশিত হওয়ার পাশাপাশি তথ্যচুরির মতো সাইবার অপরাধগুলোতেও ব্যবহৃত হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ফলে প্রায় ক্ষেত্রে পেশাদার হ্যাকারদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীরা। এই পেশাদার চৌর্যবৃত্তি থেকে সাধারণ আইফোন ব্যবহারকারীকে নিরাপত্তা দিতেই ডিজাইন করা হয়েছে সিকিউর ইন্ক্লেভের। এটি অনেকটা ব্যক্তিগত লকারের মতো কাজ করে, যেখানে সংরক্ষিত থাকে ফেস আইডি, টাচ আইডি এবং অ্যাপল পে-এর মতো বায়োমেট্রিক তথ্যাদি। প্রত্যেকটি গোপনীয় তথ্য এখানে এমনভাবে এন্ক্রিপ্ট করা থাকে যে আপাত অবস্থায় এগুলোকে কোনো পাসকোড বলে মনে হয় না। ফলে হ্যাকিংয়ের জন্য এগুলো খুঁজে বের করাটাই যথেষ্ট কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। অবশ্য এই প্রচেষ্টাটি একেবারে ব্যর্থ হয় না; তবে তাতে অনেক বেশি সময় লাগে। আর এই সময়টি অ্যাপলের ট্র্যাকিং সিস্টেম কাজে লাগিয়ে ফোনের অবস্থান শনাক্ত করার জন্য যথেষ্ট।
পরিশিষ্ট
আইফোন চুরি প্রতিরোধে এই নিরাপত্তা ফিচারগুলো সামগ্রিকভাবে ডিভাইসের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলে। অ্যাক্টিভেশন লক, টুএফএ, এবং ফেস ও টাচ আইডি আইফোনকে অননুমোদিত অ্যাক্সেস থেকে রক্ষা করে। অপরদিকে ফাইন্ড মাই নেটওয়ার্ক ও রিমোট ডেটা ইরেজ ফোন চুরির পরেও ডেটা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। এগুলোর মধ্যে প্রায় সবগুলো ফিচারই আইফোন এক্স ও এর পরবর্তী মডেলগুলোতে পাওয়া যায়। তবে টাচ আইডি আইফোন ৬ থেকে ৮ এবং আইফোন এসই-এর ২য় প্রজন্ম ও তার পরবর্তী মডেলগুলোতে রয়েছে। উপরন্তু, সিকিউর এন্ক্লেভ ফিচারটি রয়েছে আইফোন ৫এসসহ তার পরবর্তী ভার্সনগুলোতে।
রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির নতুন চারটি মোটরবাইক মডেলের আকর্ষণীয় সব ফিচার
৬ দিন আগে
রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির নতুন চারটি মোটরবাইক মডেলের আকর্ষণীয় সব ফিচার
নিত্য নতুন ফিচার এবং প্রযুক্তির সংযোজনে দেশের মোটরবাইকগুলো আরও উন্নত হচ্ছে; সেই সঙ্গে রাইডারদের অভিজ্ঞতাতেও আসছে বৈচিত্র্য। যন্ত্রকৌশলে এমন বৈপ্লবিক পরিবর্তন বিকশিত করছে দেশের সমগ্র অটোমোবাইল শিল্পকে। এই পরিবর্তনের প্রথম সারির অগ্রপথিক হচ্ছে নবাগত রয়্যাল এনফিল্ড। এর ৩৫০ সিসির চারটি ভিন্ন মডেলে সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার। ক্লাসিক, বুলেট, হান্টার ও মিটিওর শিরোনামের মোটরযানগুলোকে দেশের রাস্তায় দেখার জন্য রীতিমতো মুখিয়ে আছেন বাইকপ্রেমীরা। চলুন, এই আইকনিক মডেলগুলোর প্রধান ফিচারগুলো সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক।
রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০
আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে এনফিল্ড নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার কারণেই মূলত এর জন্য ক্লাসিক নামটি বাছাই করা হয়েছে।
এর বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে ক্র্যাঙ্ক আর্মের ৬ হাজার ১০০ আরপিএম (রিভোলিউশ্যন পার মিনিট) ঘূর্ণন ক্ষমতা।
অপরদিকে,গতি নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ২০ দশমিক ২ বিএইচপির (ব্রেক হর্সপাওয়ার)। এটি ৪ হাজার আরপিএমের প্রতি ফুট দূরত্বে সরবরাহ করবে ১৯ পাউন্ড টর্ক।
যানের বডিকে ঠান্ডা রাখার জন্য রয়েছে শীতলীকরণ প্রক্রিয়া সমৃদ্ধ একক সিলিন্ডার।
সজ্জাগত দিক থেকে সর্বাঙ্গে থাকা স্টিলের ফ্রেমটি কেবল নান্দনিকই নয়; যথেষ্ট উপকারীও বটে। কারণ এতে চালক ও যাত্রী দুজনের উচ্চতা ও বসার অবস্থানের সঙ্গে হ্যান্ডেলবার ও হ্যান্ড গ্রিপগুলোকে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখে।
সামনের সাস্পেনশনে রয়েছে ৪১ মিলিমিটার টেলিস্কোপিক ফর্ক। আর পেছন থেকে একে সাপোর্ট দেয় টুইন সাইড সুইং আর্ম। সামনে ও পেছনে উভয় দিকেই আছে হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক, যেটি এবিএস (অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম)-এর কাজ করবে।
যাবতীয় যান্ত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে শক্তিশালী ৩৪৯ সিসির ইঞ্জিন।
রয়্যাল এনফিল্ড-৩৫০: বাংলাদেশের প্রথম ৩৫০ সিসি মোটরবাইক
রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০
ইঞ্জিন ও ক্র্যাঙ্ক শিফটিং-এ বুলেট ক্লাসিকের মতোই। তবে পার্থক্য হচ্ছে গতি সামলানোর জন্য ক্র্যাঙ্কটি ৪ হাজার আরপিএম-এর প্রতি ফিট দূরত্বে ১৯ দশমিক ৯ পাউন্ড টর্ক পাবে।
১৩ লিটারের জ্বালানি ট্যাঙ্ক পুরোটা একবার ভরে নিলেই মাইলেজ পাওয়া যাবে ৩০০-এরও বেশি।
বুলেটের নকশার বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনফিল্ডের ঐতিহাসিক ডিজাইন শৈলী। পুরো ভিন দেশি এই নকশাই মডেলের মূল আকর্ষণ। অবশ্য ইউএসবি চার্জিং পোর্টটিও আলাদাভাবে দৃষ্টি কাড়ে।
সিট সেট-আপ ডুয়্যাল এবং মোটা-প্যাডের হওয়ায় তা ৮০৫ মিলিমিটার উচ্চতায় চালক ও যাত্রীর বসার জায়গাকে আরামদায়ক করে তোলে।
রয়্যাল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০
চার মডেলের মধ্যে প্রযুক্তিগত দিক থেকে সব থেকে এগিয়ে হান্টার। অন্য দুটোর মধ্যে এখানেও একক সিলিন্ডার আর ইঞ্জিন ৩৪৯ সিসির। গতির ক্ষেত্রে ৬ হাজার ১০০ আরপিএমের সঙ্গে ব্রেকিং ক্ষমতা ১৪ দশমিক ৮৭ কিলোওয়াট বা ১৯.৯ এইচপি (১ কিলোওয়াট = ১ দশমিক ৩ হর্সপাওয়ার)। হর্সপাওয়ারের হিসেবে এটি ক্লাসিক ও বুলেট থেকে কিছুটা কম। অবশ্য ৪ হাজার আরপিএমে সরবরাহ করা টর্ক ২৭ এনএম (নিউটন-মিটার)। প্রতি ফুট দূরত্বে পাউন্ডের হিসেবে এটি প্রায় ১৯.৯ পাউন্ড (১ পাউন্ড টর্ক = ১ দশমিক ৪ এনএম) অর্থাৎ বুলেটের টর্কের সমান।
অন্যগুলোর মতো এর বডিতেও স্টিলের ফ্রেম এবং সামনের সাস্পেনশনে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পেছনেরটিতে টুইন সাইড সুইং আর্ম। একই সঙ্গে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে সামনে ও পেছনের এবিস সমৃদ্ধ হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক।
হান্টারের ওজন সর্বোচ্চ ১৮১ কেজি এবং বসার জায়গাটির উচ্চতা ৭৯০ মিলিমিটার। অ্যালুমিনিয়ামের চাকাগুলোতে লাগানো টায়ারগুলো টিউবলেস। এ সবকিছুর মধ্যে ডিজিটাল পাওয়ার আউটলেটটি আলাদাভাবে নজর কাড়ে।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানোর ১০টি উপায়
রয়্যাল এনফিল্ড মিটিওর ৩৫০
ওজন, সিলিন্ডার ও ক্র্যাঙ্ক ঘূর্ণনের গতির ক্ষেত্রে মিটিওর অনুসরণ করেছে ক্লাসিক মডেলকে। আর গতি নিয়ন্ত্রণের টর্কের সাদৃশ্য রয়েছে হান্টারের সঙ্গে।
তবে যে বিষয়টি অন্যান্যগুলো থেকে একে আলাদা করেছে, তা হচ্ছে এর আরামদায়ক রাইডিং অভিজ্ঞতা। ইঞ্জিন ও গিয়ারের বোঝাপোড়াটা এতোটাই সঙ্গতিপূর্ণ যে,গতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেলেও চালক কম্পন অনুভব করবে না।
গ্রাউন্ড থেকে বসার অবস্থানের ডুয়্যাল সিট পর্যন্ত উচ্চতা ৭৬৪ দশমিক ৫ মিলিমিটার। বাকি বডি থেকে শুরু করে সাস্পেনশন ও হুইল আর্মার এবং ডিজিটাল যন্ত্রাংশ সব অন্য ৩ মডেলের মতোই।
মোটর বাইক রাইডারদের নিরাপত্তার জন্য সেফটি গিয়ার
শেষাংশ
বিভিন্ন ধরনের বাইক রাইডারদের পছন্দগুলোর এক অভাবনীয় সন্নিবেশ ঘটেছে রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির চারটি মডেলে। তন্মধ্যে ‘ক্লাসিক’ শক্তিশালী যান্ত্রিক সজ্জার সঙ্গে দিচ্ছে পুরোনো ধাঁচের বৈশিষ্ট্য ফিরে পাওয়ার নস্টালজিয়া। ‘বুলেট’ তার অভূতপূর্ব ডিজাইন দিয়ে ইতোমধ্যেই দৃষ্টি কেড়েছে স্টাইল সচেতন ব্যক্তিদের। ঢাকার মতো জনাকীর্ণ শহরের জন্য একচেটিয়া অবস্থানে রয়েছে হাল্কা ওজনের প্রযুক্তি-বান্ধব ‘হান্টার’। ‘মিটিওর’-এর আরামদায়ক ও নিরাপদ দীর্ঘ ভ্রমণের ফিচারগুলো অনায়াসেই যেকোনো বাইকপ্রেমীর মন জয় করে নিতে সক্ষম।
উপরন্তু, ক্লাসিক, বুলেট, হান্টার বা মিটিওর; পছন্দ যেটাই হোক না কেন, তা দেশের রাস্তায় বাইক রাইডিং অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে।
সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
১ সপ্তাহ আগে
টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
প্রতিদিনের লন্ড্রির কাজে সময় ও শ্রম উভয়ই বাঁচাতে একটি অপরিহার্য গৃহস্থালি যন্ত্র ওয়াশিং মেশিন। কাজ ও গঠনের ভিত্তিতে মেশিনগুলো বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। তাছাড়া নানা ধরণের পরিস্থিতিতেও এগুলোর উপযোগিতায় তারতম্য ঘটে। বর্তমান সময়ে বাসা-বাড়িতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় টপ লোড ও ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন। বৈশিষ্ট্যগত ভিন্নতার কারণে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে দুটোরই রয়েছে কিছু সুবিধা-অসুবিধা। সেগুলো যাচাই করে চলুন দেখে নেই- সঠিক ওয়াশিং মেশিন নির্বাচনে কোন বিষয়গুলোতে গুরুত্বারোপ করা জরুরি।
টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশার
টপ লোড মেশিনে কাপড় রাখার জন্য বৃত্তাকার ড্রামের ঢাকনা ওপর থেকে খোলা যায়। ড্রামের ভেতর কাপড় পরিষ্কার করার কাজটি করে কেন্দ্রে থাকা ফিনযুক্ত অ্যাজিটেটর নামের অংশটি। কিছু মেশিনে অ্যাজিজেটরের বদলে থাকে ইম্পেলার নামের একটি ফ্ল্যাট ডিস্ক।
অপরদিকে ফ্রন্ট লোডে কাপড় প্রবেশ করানোর জন্য ড্রামের দরজাটি সামনে থেকে খোলা হয়। এখানে পুরো ড্রামটি ঘূর্ণনের মাধ্যমে কাপড়গুলো পরিষ্কারে সাহায্য করে। এতে তুলনামূলক কম পানি ব্যবহার হয় কারণ এখানে শুধুমাত্র ড্রামের নীচের অংশ পানিতে পূর্ণ হয়। ধোয়ার পরে নোংরা
পানি একটি পাম্পের মাধ্যমে বের করে দেয়। অধিকাংশ টপ লোড-এ গরম পানি ব্যবহারের জন্য হিটার থাকে।
আরো পড়ুন: ডিপ ফ্রিজ খুঁজছেন? যেসব বিষয় জানা প্রয়োজন
টপ লোড ওয়াশিং মেশিনের সুবিধা-অসুবিধা
.
সুবিধা
ফাস্ট ওয়াশিং সাইকেল: টপ লোডিং ওয়াশিং মেশিনে খুব দ্রুত সময়ে কাপড় ধোয়ার কাজ সম্পন্ন হয়।
সাশ্রয়ী মূল্য: যারা কম দামে একটি কাপড় ধোয়ার মেশিন নিতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য এই মেশিনগুলো উপযুক্ত। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ফিচারগুলো থাকার কারণে এগুলোর দাম যথেষ্ট কম হয়ে থাকে।
দুর্গন্ধ নেই: টপ লোডের পানি নিষ্কাশন প্রক্রিয়াটি বেশ ভাল। এর ফলে ড্রামের ভিতরে ফাঙ্গাস বা অন্যান্য ময়লা জমে না। তাই দীর্ঘ দিন ব্যবহারে এ থেকে দুর্গন্ধের আশঙ্কা থাকে না।
ঘন ঘন বাসা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সহায়ক: যাদের ঘন ঘন বাসা পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকে, এই মেশিন তাদের জন্য। এগুলোর সংযোগ স্থাপন ও বিচ্ছিন্ন করা সহজ এবং ওজনে হাল্কা হওয়ায় পরিবহনেও কোনো বিড়ম্বনা হয় না। এই কারণে টপ লোডার কম বিদ্যুৎ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এলাকায় বসবাসের জন্যও সহায়ক।
আরো পড়ুন: ডিএসএলআর ক্যামেরা খুঁজছেন? কেনার আগে জেনে নিন ফিচার ও দাম
অসুবিধা
পানি এবং বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়: টপ লোড ওয়াশিং মেশিনের কাপড় ধোয়ার জন্য বেশি পানি এবং বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। এটি সময়ের সঙ্গে ইউটিলিটি বিলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কাপড় নষ্ট হয়: ফিনযুক্ত অ্যাজিটেটরের কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাপড়ে (বিশেষ করে সিল্ক বা লেসের মতো সূক্ষ্ম কাপড়গুলোর ক্ষেত্রে) ছিদ্র সৃষ্টি হয়। এছাড়া কাপড়ের গুনগত মানও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ভাইব্রেশন ও শব্দ হয়: ঘোরার সময় টপ লোডারগুলোতে প্রচণ্ড কম্পন সৃষ্টি হয়। অনেক সময় ড্রামে জমাকৃত কাপড়ের ওজন যদি কমবেশি হয়, তখন এই কম্পন অতিরিক্ত শব্দের সৃষ্টি করে। বিশেষ করে সংকীর্ণ জায়গায় যেখানে একাধিক গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি কাছাকাছি থাকে এমন পরিবেশে এই ঝামেলা হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
আরো পড়ুন: হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিনের সুবিধা-অসুবিধা
সুবিধা
সীমিত পানি এবং বিদ্যুৎ খরচ: টপ লোডারের তুলনায় ফ্রন্ট লোডার কাপড় ধোয়ার জন্য কম পানি এবং বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। ফলে ইউটিলিটি বিলের ওপর খুব একটা চাপ পড়ে না।
কাপড় নষ্ট হয় না: পুরো ড্রামের ঘূর্ণনের ফলে ভেতরে থাকা কাপড়গুলোতে যে আন্দোলন হয় তাতে সেগুলোর তেমন ক্ষতি হয় না। তাই কোনো রকম ছিদ্র বা গুনগত মানের অবনতি ঘটার আশঙ্কা নেই। তবে এর জন্য সঠিক সেটিংসে মেশিন অপারেট করা প্রয়োজন। ভুল সাইকেল বা তাপমাত্রা সেট করা হলে কাপড় সঙ্কুচিত বা বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে। তাই কেনার পরে প্রথম চালানোর সময় একটু সময় নিয়ে হলেও সেটিংসগুলো ভালভাবে জেনে নেওয়া উচিত।
ভাল পরিষ্কার হয়: টপলোডারের তুলনায় এই মেশিনে কাপড় ভালভাবে পরিস্কার হয়। শক্ত বা কালো দাগ মুছে ফেলার ক্ষেত্রে এগুলোর কার্যকারিতা বেশি।
উন্নত প্রযুক্তির ফিচার: ফ্রন্ট লোড ওয়াশারগুলোতে প্রায় ক্ষেত্রে উন্নত বৈশিষ্ট্যগুলো যোগ করতে দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ফোনের মাধ্যমে মেশিন নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন ধরণের কাপড়ের জন্য কাস্টম ওয়াশ সেটিংস এবং শব্দহীন অপারেশনের জন্য ইনভার্টার মোটর।
হিটার এবং ঘূর্ণন নিয়ন্ত্রণের সুবিধা: বেশিরভাগ ফ্রন্ট লোডারে বিল্ট-ইন হিটার থাকে। শক্ত দাগ দূর করার ক্ষেত্রে হিটার যথেষ্ট কার্যকর। এছাড়া ড্রামের ঘূর্ণন গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটি কাপড় শুকানোর জন্য সাহায্য করে। দীর্ঘক্ষণ যাবৎ একই গতিতে চালালে অনেক সময় সূক্ষ্ম যন্ত্রাংশগুলোর ক্ষতি হতে পারে। গতি নিয়ন্ত্রণ সুবিধাটি এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারে।
কম জায়গা নেয়: এই মেশিন স্থাপনের জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। তাই ছোট বাসার জন্য ফ্রন্ট লোডার বেশ উপযোগী।
চাইল্ড সেফটি ফিচার: ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিনের বিল্ট-ইন চাইল্ড লক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সুবিধা। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে মেশিন চালু থাকা অবস্থায় বাচ্চারা দুর্ঘটনাক্রমে মেশিনের দরজা খুলে ফেলতে পারে না।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
অসুবিধা
খরচ বেশি: মেশিনের দক্ষতা বাড়ানো জন্য বিভিন্ন ধরণের ফিচার যুক্ত থাকায় স্বাভাবিকভাবেই এগুলোর দাম বেশি হয়ে থাকে।
পরিষ্কারে সময় বেশি নেয়: ফ্রন্ট লোডারে লন্ড্রির কাজ শেষ হওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।
ফাঙ্গাস জমতে পারে: রাবারের দরজার সিলে আর্দ্রতাজনিত কারণে প্রায়ই এই মেশিনগুলোতে ফাঙ্গাস জমে। তাই ব্যবহারের পর কিছু সময় দরজাটি খোলা রাখতে হয়। এছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে কোনো দুর্গন্ধ ছাড়া ফ্রন্ট লোড ব্যবহার করতে হলে এটি নিয়মিত পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ঝামেলা: বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা মেশিন চালু থাকার সময় মাঝে বন্ধ করার প্রয়োজন হলে, তা যথেষ্ট বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে। বিশেষ করে ডিটারজেন্ট যোগ করতে ভুলে গেলে বা কোনো কারণে ভেতর থেকে কোনো কাপড় বের করতে হলে।
অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট বেরিয়ে আসতে পারে: ভুলবশত খুব বেশি ডিটারজেন্ট যোগ করে ফেললে মেশিন চলার সময় তা দরজা গলে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
টপ বা ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন কেনার সময় কোন কোন বিষয়গুলো দেখা জরুরি
.
দিনে লন্ড্রি ব্যবহারের পরিমাণ
একটি যৌথ পরিবার থাকে সারা দিনে দুইয়ের অধিকবার কাপড় ধোয়ার প্রয়োজন পড়ে। প্রতিবারে বেশি সংখ্যক লোড ধারণের জন্য এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত হতে পারে টপ লোডার মেশিন। অপরদিকে, নিয়মিত স্বল্প সংখ্যক কাপড় পরিষ্কারের জন্য ফ্রন্ট লোডারই যথেষ্ট।
ঘরের জায়গা এবং প্লাম্বিং সেটআপ
এ ধরণের মেশিনের জন্য বাসায় জায়গা সঙ্কুলান হওয়াটা একটু গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার। বিশেষ করে স্থাপনের ক্ষেত্রে আগে থেকেই প্লাম্বিং-এর সেটআপ ঠিক করে রাখা দরকার হয়। ফ্রন্ট লোড ওয়াশার ছোট বাসাতে অনায়াসেই স্থাপন করা যায়। তবে ড্রেন পাইপটি মেঝে বরাবর সেট করা নিয়ে ঝামেলা হতে পারে। কম জায়গা লাগলেও দরজা সম্পূর্ণরূপে খোলার জন্য সামনে যথেষ্ট জায়গা রাখতে হবে।
কাপড়ের ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে
শুধুমাত্র ধোয়া বা পরিষ্কার করাটাই মূখ্য বিষয় নয়। পরিষ্কার কাপড়টি কতটুকু ভালো থাকছে এবং তা পরবর্তীতে কতদিন পর্যন্ত পরিধান করা যাবে, সেটাও বিবেচনায় আনা আবশ্যক। তাই কোন ধরণের কাপড় বেশি পড়া হয় সেদিকে খেয়াল রেখে ওয়াশিং মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
বাজেট এবং রক্ষণাবেক্ষণ
শুধুমাত্র ক্রয়মূল্যই নয়, কেনার পরে মেশিনের রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ খরচ এবং ইউটিলিটি বিলকেও বিবেচনায় আনা জরুরি। টপ লোডারগুলো শুরুতে বাজেট-বান্ধব হলেও দীর্ঘমেয়াদে অর্থ সাশ্রয় করে ফ্রন্ট লোডারগুলো। উপরন্তু, ফ্রন্ট লোডের মেশিনে ফাঙ্গাস বা দুর্গন্ধ রোধ করতে নিয়মিত পরিষ্কারের জটিলতা রয়েছে।
ঘন ঘন বাসা পরিবর্তন করা হয় কিনা
বাসা পরিবর্তন মানেই গৃহস্থালি যন্ত্রপাতির পুনঃস্থাপন এবং পরিবহন ঝামেলা পোহানো। এ ক্ষেত্রে সহজে স্থানান্তরযোগ্য হাল্কা টপ লোডারগুলো উত্তম। অপরদিকে, যারা নিজেদের অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন তাদের জন্য ফ্রন্ট লোড ওয়াশার-ড্রায়ার কম্বোতে বিনিয়োগ করাটাই শ্রেয়।
আরো পড়ুন: অ্যাপলের আইফোন ১৬ সিরিজ উদ্বোধন: নতুন ফিচার ও মূল্য তালিকা
শেষাংশ
সর্বসাকূলে, কাপড় দ্রুত পরিষ্কারের ক্ষেত্রে এবং ভাড়াটে ব্যবহারকারীদের জন্য উপযুক্ত হবে সাশ্রয়ী টপ লোড ওয়াশিং মেশিন নেওয়া। অপরদিকে কাপড়ের যত্ন, স্বল্প জায়গা এবং পানি ও বিদ্যুৎ খরচের বিচারে এগিয়ে থাকবে ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিনগুলো। এছাড়া প্রযুক্তি-বান্ধব উন্নত বৈশিষ্ট্যগুলো পেতে হলে ফ্রন্ট লোডের বিকল্প নেই। উপরুন্তু, কেনার পরে রক্ষণাবেক্ষণের খরচের সাথে দিনে কতটুকু লন্ড্রি ব্যবহার করা হচ্ছে সেই বিষয়টিও সম্পৃক্ত। সব মিলিয়ে, ওয়াশিং মেশিনটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া পরিবারের সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তাকে মূল্যায়ন করা উচিত।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
২ সপ্তাহ আগে
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিজ্ঞানী জিওফ্রে হিন্টন ও জন হপফিল্ড
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে মানব জ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সীমানাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন ড. জিওফ্রে হিন্টন ও ড. জন হপফিল্ড।
মেশিন লার্নিংয়ের বিকাশে তাদের অবদানের জন্য এই সম্মাননা।
পদার্থবিজ্ঞান এবং কম্পিউটেশনাল স্নায়ুবিজ্ঞানের সুপরিচিত নাম এআইয়ের গডফাদারখ্যাত ড. হিন্টন এবং ড. হপফিল্ড মানব মস্তিষ্ক দ্বারা অনুপ্রাণিত জটিল গণনামূলক সিস্টেম কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করেন।
এই পুরস্কারপ্রাপ্তি পদার্থবিজ্ঞানে এআইয়ের প্রভাবকে তুলে ধরে।
কানাডা ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক ড. জিওফ্রে হিন্টন বর্তমানে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন।
তিনি ডিপ লার্নিং ও ব্যাকপ্রোপাগেশনের ক্ষেত্রে নিজের উদ্ভাবনী কাজের জন্য বিখ্যাত। এটি কম্পিউটারের একটি লার্নিং মেকানিজম যা কম্পিউটারগুলোকে নিজস্ব উন্নয়নে সাহায্য করে।
১৯৮০ এর দশকে তার যুগান্তকারী গবেষণা কেবল এআইয়ের গতিপথই পরিবর্তন করেনি বরং বিশ্বজুড়ে অগণিত গবেষক ও উদ্ভাবকদের জন্য আলোকবর্তিকা হিসেবেও কাজ করেছিল।
প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. হপফিল্ড মানব মনের সবচেয়ে জটিল ধাঁধা উন্মোচন করতে পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে কাজ করছেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্টকহোমে ড. হিন্টন ও ড. হপফিল্ডের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল পুরস্কার অর্থাৎ এক কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (৯ লাখ পাউন্ড) পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
২ সপ্তাহ আগে
কীভাবে বুঝবেন ছবিটি এআই দিয়ে বানানো কিনা
একজন দক্ষ চিত্রশিল্পী তার তুলির ছোঁয়ায় পটে আঁকা ছবিতে ফুটিয়ে তোলেন বাস্তব অভিব্যক্তি। তবে অত্যন্ত দক্ষ শিল্পীর আঁকা ছবিতেও তার রঙের উপাদানগুলোর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় ক্যানভাস জুড়ে। আর এটিই ব্যবধান গড়ে দেয় অঙ্কিত কোনও ছবির সঙ্গে বাস্তবতার। ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রেও ক্যামেরার মানের উপর ভিত্তি করে ধরা পড়ে কিছু সুক্ষ্মে পার্থক্য। কিন্তু এই সীমানাকে চমকপ্রদভাবে অতিক্রম করেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। মানুষের তৈরি সফটওয়্যার এমনভাবে স্থিরচিত্র তৈরি করছে যা দেখে বোঝার উপায় নেই, যে এটি আসলে একটি কৃত্রিম ছবি। তবে খুব সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এই এআইকেও তোলা যাবে সমালোচনার কাঠগড়ায়। চলুন, এআইয়ের তৈরি ছবি শনাক্ত করার কয়েকটি কৌশল জেনে নেওয়া যাক।
এআই দিয়ে বানানো ছবি চেনায় উপায়
ডিটেইলিং-এর সুক্ষ্ম বিশ্লেষণ
একটি ছবি তৈরিতে তার ডিটেইলিংয়ে যত বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, তার গুণগত মান তত বেশি হয়। সফটওয়্যার কেন্দ্রিক গ্রাফিক সামগ্রী সূক্ষ্ম হলেও সেগুলো কিন্তু অসঙ্গতিমুক্ত নয়। বরং অতিমাত্রায় ডিটেইলিংয়ের উপাদানগুলোর সংযোজনের কারণে ত্রুটিগুলো উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যেমন, ছবির বিষয়বস্তুর প্রান্তিক অংশ বা ধারগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে টেক্সচারগুলো অত্যধিক মসৃণ।
তাছাড়া মূল অংশের মাঝে এমন অদ্ভুত কিছু শৈলী ফুটে উঠে যা কখনোই বাস্তব ফটোগ্রাফির অন্তর্ভুক্ত নয়। বিশেষ করে চুল, লোম ও পাপড়িতে এই অতিরঞ্জিত বিষয়গুলো সাধারণত বেশি থাকে।
আরো পড়ুন: হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
মেটাডেটা পরীক্ষা
সত্যিকারের ছবিতে ক্যামেরা মডেল, লেন্সের ধরন, এক্সপোজার সেটিংস এবং জিপিএস স্থানাঙ্কসহ বিস্তারিত মেটাডেটা থাকে। অপরদিকে এআই ব্যবহার করে ডিজাইনকৃত চিত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই তথ্যাবলি অনুপস্থিত থাকে।
এখানে মেটাডেটা হিসেবে থাকে ছবিটি এডিট করা সফটওয়্যার, প্ল্যাটফর্ম বা ডিজাইন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত নির্দিষ্ট সরঞ্জামের তথ্য। সুস্পষ্টভাবে সফটওয়্যার বা প্ল্যাটফর্মটির নামও উল্লেখ থাকতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপলোডের তথ্যসহ কোন ওয়েব ঠিকানায় ছবিটি সর্বপ্রথম ডিজাইন করা হয়েছিল তার বিস্তারিত লিপিবদ্ধ থাকতে পারে। এই ভিন্নতাগুলো ক্যামেরায় তোলা ছবির সঙ্গে কৃত্রিম ছবির পার্থক্য গড়ে দেয়।
এআই-এর অঙ্কন শৈলীর আঙ্গিকে পর্যবেক্ষণ
কম্পিউটার-প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে সৃষ্ট শিল্পকর্মগুলো প্রায় ক্ষেত্রে পরাবাস্তব উপাদান এবং আকর্ষণীয় রঙের কারসাজি থাকে। এটি এআইয়ের নিজস্ব অঙ্কন শৈলী, যা স্বাভাবিকভাবেই ফটোগ্রাফি থেকে আলাদা।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
এআই মূলত স্বতন্ত্রভাবে ছবির নানা ধরনের সূচকের মাত্রা নির্ধারণ করে। এই নির্ধারণীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কতগুলো নির্দেশনার আঙ্গিকে। ফলে সংখ্যাগত মানগুলো একদম সুনির্দিষ্ট হলেও সামগ্রিকভাবে ছবিটিতে বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সামঞ্জস্যতা থাকে না। যেমন কোথাও দেখা যেতে পারে নিতান্ত মসৃণ ধারায় ঝর্ণা পড়ছে অথবা দিনের আলোয় অস্বাভাবিক গাঢ় ছায়া। আর এই জন্যেই একরকম পরাবাস্তব দৃশ্যের অবতারণা ঘটে।
রিভার্স ইমেজ সার্চ
গুগল সার্চ ইঞ্জিনে সরাসরি নির্দিষ্ট ছবি বা ছবির অংশ কেটে তা দিয়ে সার্চ করা যায়। এতে করে ব্যবহারকারীরা ছবির সম্ভাব্য উৎস বা ওয়েব ঠিকানাগুলো খুঁজে পান। সেই সঙ্গে ছবিটি সম্পর্কিত অন্যান্য ডিজিটাল শিল্পকর্মগুলোও সামনে চলে আসে। এর মাধ্যমে ছবিটি কোনও এআই ডাটাবেসের সঙ্গে লিঙ্ক করা আছে কিনা তা জানা যায়।
এছাড়াও এই অনুসন্ধানের ফলে ছবিটি অনলাইনে কতগুলো জায়গায় কতটা পরিবর্তন করে ব্যবহার করা হয়েছে তাও নজরে আসে। আর এই মূল্যায়নের মধ্য দিয়েই নিশ্চিত হওয়া যায় ছবিটির কৃত্রিমতার ব্যাপারে।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
ছবির বিষয়বস্তুর অবস্থান ও আনুষঙ্গিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ
এই বিষয়টির জন্য সুক্ষ্ম দৃষ্টির দরকার নেই। ওয়েবসাইটে কন্টেন্টের প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে অনেক সময় এমন ছবি তৈরি করা হয়, আপাতদৃষ্টে যার কোনো যৌক্তিকতা থাকে না। অথচ আশ্চর্যজনকভাবে এগুলো দেখতে একদম বাস্তব মনে হয়। পূর্বে এগুলো ফটোশপের মাধ্যমে যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে একাধিক ছবি জুড়ে দিয়ে তৈরি করা হতো। এআই আসার পর এই সন্নিবেশ প্রক্রিয়া এতটাই উন্নত হয়েছে যে তা বাস্তব জগতের অনুভূতি দেয়।
তাছাড়া অভিনব হওয়ার কারণে প্রথম দর্শনেই ছবিগুলো দর্শককে দারুণভাবে চমকে দেয়। তবে যতই প্রাণবন্ত হোক না কেন, মূল বিষয়বস্তুর পারিপার্শ্বিক পরিবেশের অবাস্তবতাই এই ছবিগুলোর কৃত্রিমতার আসল মাপকাঠি।
শেষাংশ
সব মিলিয়ে এআই দিয়ে বানানো ছবি চেনার এই পদ্ধতিগুলোর জন্য প্রয়োজন তীক্ষ্ম দৃষ্টি এবং সফটওয়্যার নির্মিত কন্টেন্ট সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা। সূক্ষ্ম অসঙ্গতি বিশ্লেষণ এবং মেটাডেটা নিরীক্ষণে উন্মোচিত হয় চিত্রাঙ্কনের নেপথ্যে থাকা সফটওয়্যার বা প্ল্যাটফর্মের নামটি। ছবি আঁকার ক্ষেত্রে এআইয়ের বিশেষত্ব বোঝা এবং সরাসরি ছবি দিয়ে গুগল সার্চের মাধ্যমে এর প্রথম ওয়েব ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়। ছবির বিষয়বস্তুর ত্রিমাত্রিক অবস্থান এবং আলো-ছায়ার অসামঞ্জস্যতায় উল্লেখযোগ্য তারতম্য ধরা পড়ে ক্যামেরায় তোলা ছবির সঙ্গে। সর্বসাকূল্যে, এই সূচকগুলো ছবির মৌলিকতা যাচাইয়ের জন্য যথেষ্ট কার্যকর।
আরো পড়ুন: অ্যাপল আইফোন ১৬ সিরিজে নতুন কি থাকছে
২ মাস আগে
হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক পর্বে রুয়েট তৃতীয়
হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশন-এর এশিয়া প্যাসিফিক (এপিএসি) পর্বে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীদের একটি দল তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এপিএসি অ্যাওয়ার্ড সিরিমনিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
গত বছর শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারেরও বেশি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এই প্রতিযোগিতায় নেটওয়ার্ক ট্র্যাক, ক্লাউড ট্র্যাক, কম্পিউটিং ট্র্যাক ও ইনোভেশন ট্র্যাকের চারটি গ্রুপে অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল।
প্রতিটি ট্র্যাক থেকে ১০ জন শিক্ষার্থীকে তাদের অধ্যয়ন ও পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
পরে তাদের মধ্য থেকে শীর্ষ ১২জন চারটি দলে ভাগ হয়ে এপিএসি পর্বে যোগ দেয়। রুয়েটের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি একটি দল যোগ দেয় নেটওয়ার্ক ট্র্যাকে এবং আরেকটি দল যোগ দেয় কম্পিউটিং ট্র্যাকে। এই ট্র্যাকে প্রতিযোগিতা করে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আরও একটি দল। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি দল যোগ দেয় ক্লাউড ট্র্যাকে। এই চার দলের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্র্যাক গ্রুপে অংশগ্রহণকারী রুয়েটের তিনজনের দলটি এপিএসি পর্বের ১৪টি দেশের ৬ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শীর্ষ তিনে জায়গা করে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের ৪ পুরস্কার অর্জন
বিজয়ী দলে রয়েছে রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শুভাম আগারওয়ালা, রাকেশ কার এবং মো. মাজহারুল ইসলাম। আজ ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় তাদের হাতে পুরষ্কার ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। আগামী মাসে দলটি চীনের শেনজেনে অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল রাউন্ডে অংশ নেবে।
রুয়েটের বিজয়ী দলের সদস্য শুভাম আগারওয়ালা বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতা আমাদের আইসিটি এবং নেটওয়ার্ক সেক্টর সম্পর্কে নতুন কিছু শেখার অনেক সুযোগ দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মেও আসতে পেরেছি। ষ্টেজে সবার সামনে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে দাঁড়ান আমাদের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা ছিল। এমন অভাবনীয় সুযোগ তৈরি করার জন্য আমরা হুয়াওয়ের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমরা গ্লোবাল রাউন্ডে আরও ভালো কিছু অর্জনের চেষ্টা আমাদের থাকবে।’
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার বোর্ড সদস্য লিজংশেং (জেসন) বলেন, ‘হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, তরুণরা যেকোনো দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশে যে বিশাল সংখ্যক তরুণ রয়েছে তাদের সম্ভাবনা অসীম। আর সেই বিশ্বাস নিয়েই হুয়াওয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আইসিটির জ্ঞান বৃদ্ধি করতে নানা ধরনের উদ্যোগের নিয়ে আসছে। বিজয়ী দলকে আমি অভিনন্দন জানাই। আমরা বাংলাদেশে প্রতিভা বিকাশের জন্য একটি দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ চালিয়ে যাব।’
জাকার্তার অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকা রুয়েটের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আজমাইন ইয়াক্কীন সৃজন বলেন, ‘আমার ছাত্ররা এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শুধু বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বই করছে না, তারা সকলের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করে নিয়েছে। এতে আমি খুবই গর্ববোধ করছি।’
তিনি বলেন, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ফলে তাদের জ্ঞান যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমন আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। তাদেরকে এমন একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।
গ্লোবাল রাউন্ডে প্রায় ৪০টি দেশের পাঁচশ’র বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি ১৭০টিরও বেশি দল অংশগ্রহণ করবে। শুরুর পর এটি হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় অফলাইন গ্লোবাল ফাইনালে পরিণত হতে যাচ্ছে।
‘কানেকশন, গ্লোরি, অ্যান্ড ফিউচার’ থিমের এই ইভেন্টে দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ৭২টিরও বেশি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে হুয়াওয়ে
৬ মাস আগে
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নির্মাণে বছরজুড়ে এটুআইয়ের নানা উদ্যোগ
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বছর জুড়ে নানা উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীন এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)প্রকল্প। এর মধ্যে দিয়েই সুগম হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ। তথ্য ও সেবাপ্রাপ্তি, লেনদেন ও সরকার ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয় এ প্রকল্পের অধীনে। প্রযুক্তিনির্ভর সেবা উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ এটুআই এবং এর উদ্যোগসমূহ বছরজুড়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ১৭টিরও বেশি পুরস্কার পেয়েছে।
সরকারি প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও মানোন্নয়ন করতে ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এটুআই। এ ছাড়া বেসরকারি খাতের দক্ষতা বাড়াতেও এটুআইয়ের ভূমিকা রয়েছে। এই প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যের জন্য এবছর আন্তর্জাতিক মান সংস্থার (আইএসও) সনদ পায় এটুআই।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সেবাও দিচ্ছে প্রকল্পটি। এ লক্ষ্যে এটুআইয়ের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফল হিসেবে সরকার এক্সেসিবিলিটি গাইডলাইনও প্রণয়ন করেছে।
এ ছাড়া দেশের জনবান্ধব সেবাব্যবস্থা ও উদ্ভাবনী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় এটুআই-কে প্রকল্প থেকে এজেন্সি গঠন করতে একাদশ জাতীয় সংসদে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই)’ বিল পাস করা হয়েছে।
ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন চালু করা হয়েছে এ প্রকল্পের অধীনে। নিউইয়র্কে ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন’ উদ্যোগের সূচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে বিশ্বব্যাপী শুরু হয়েছে জিরো ডিজিটাল ডিভাইড (#ZeroDigitalDivide) গ্লোবাল ক্যাম্পেইন।
৯ মাস আগে
শাবিপ্রবিতে দেশে সর্বপ্রথম তারবিহীন চার্জিং বৈদ্যুতিক যান উদ্ভাবন
দেশে প্রথম তারবিহীন চার্জিং পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স' নামে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ৯ শিক্ষার্থী।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) উদ্ভাবনকারী দলটির পরিদর্শক ও পরামর্শক সহযোগী অধ্যাপক ড. ইফতে খাইরুল আমিন এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
উদ্ভাবিত যানটির বিশেষত্ব সম্পর্কে ড. ইফতে খাইরুল আমিন বলেন, যানটিতে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি সম্বলিত ইনভার্টার টেকনোলজি, ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা, কিলো হার্জ রেঞ্জ রেজন্যান্ট কাপলিং, সিরিজ সিরিজ কম্পেন্সেটিং নেটওয়ার্ক, ভুল সংযোগ প্রতিরোধী টেকনিক, প্রোটেকশনের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির বিশেষত্ব রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ৪০ শতাংশেরও বেশি কার্যদক্ষতা রয়েছে এই যানটিতে। তৈরির পরে আমাদের শিক্ষার্থীরা এই যান চালিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছেন। এটি তারা সফলভাবে চালাতে সক্ষম হন।
তিনি বলেন, এই উদ্ভাবন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যেমন একটি বড় অর্জন। তেমনি বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বড় একটি মাইলফলকও বটে।
উদ্ভাবিত প্রজেক্টের দলের সদস্যরা হলেন — ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাহিদ ইসলাম, মো. কবির হাসান ও আজম জামান, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান জাকারিয়া, মো. রিফাত হোসেন, আবির মাহমুদ, মো. সাজ্জাদ হোসাইন, মো. ইরফান উদ্দিন আহমেদ মেহেদী ও মো. তাওসিফুল আলম।
এছাড়াও এই প্রজেক্টের পরিদর্শক ও পরামর্শক ছিলেন বিভাগটির সহকারী অধ্যাপক নাফিস ইমতিয়াজ রহমান।
আরও পড়ুন: সবুজ অর্থনীতিতে রূপান্তরের জন্য অর্থায়ন, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন প্রয়োজন: শাহরিয়ার আলম
জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ নেতাদের আবেগ ও উদ্ভাবন অমূল্য সম্পদ: রাষ্ট্রদূত হাস
১১ মাস আগে
সবচেয়ে দূরবর্তী ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেল জোতির্বিজ্ঞানীরা
নাসার টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এক্স-রেতে শনাক্ত করা সবচেয়ে দূরবর্তী ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
সোমবার (৬ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
ব্ল্যাক হোলটি বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে যা আগে কখনও দেখা যায়নি, যেখানে এর বিস্তৃতি তার ধারণকারী গ্যালাক্সির মতোই।
নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি এবং নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য একত্রিত করে গবেষকদের একটি দল মহাবিস্ফোরণের মাত্র ৪৭০ মিলিয়ন বছর পরে ক্রমবর্ধমান ব্ল্যাক হোলের টেলিটেল স্বাক্ষর খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন।
আরও পড়ুন: টেশিসকে ডিজিটাল হাবে পরিণত করতে সরকার বদ্ধপরিকর: মোস্তাফা জব্বার
নাসা জানিয়েছে, মহাবিশ্বের প্রথম সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের সৃষ্টি কীভাবে হয়েছিল তা এই ফলাফল ব্যাখ্যা করতে পারে।
গবেষকদল পৃথিবী থেকে সাড়ে ৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত গ্যালাক্সি ক্লাস্টার অ্যাবেল ২ হাজার ৭৪৪ এর দিকে ইউএইচজেড ১ নামের একটি গ্যালাক্সিতে ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পান।
নাসার মতে, ওয়েবের তথ্য থেকে জানা গেছে যে পৃথিবী থেকে ১৩ দশমিক ২ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই গ্যালাক্সিটি ক্লাস্টারের চেয়ে অনেক বেশি দূরে, যখন মহাবিশ্ব তার বর্তমান বয়সের মাত্র ৩ শতাংশ ছিল।
আরও পড়ুন: উইংস উইমেন অব ডিসকভারি অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী আলিফা বিনতে হক
১১ মাস আগে
উইংস উইমেন অব ডিসকভারি অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী আলিফা বিনতে হক
উইংস উইমেন অব ডিসকভারি অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ পেয়েছেন বাংলাদেশের ড. আলিফা আলিফা বিনতে হক।
পুরস্কারের অংশ হিসেবে তিনি তার গঠনমূলক কাজকে আরও এগিয়ে নিতে সীমাহীন অনুদান পাচ্ছেন।
গত ১২ অক্টোবর নিউইয়র্ক সিটিতে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর নতুন ভিসি রুবানা হক
আলিফা ওয়াইল্ডটিমের বোর্ড সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
তিনি বলেন, ‘১০০তম পতাকাবাহী সংস্থা- উইমেন অব ডিসকভারি পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। আমি খুব ভাগ্যবান যে ইএসআরআইয়ের প্রধান বিজ্ঞানী ডন রাইট এবং প্রথম হটস্পট কাগজের লেখক ক্রিস্টিনা মিটারমিয়ারের সঙ্গে দলে নাম রেখাতে পেরেছি। এটা খুবই সম্মানের বিষয়!’
আলিফার কাজ গ্লোবাল সাউথ প্রেক্ষাপটে হাঙর এবং রশ্মি সংরক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করে। তিনি অক্সফোর্ডের জীববিজ্ঞান বিভাগের নেচার বেজড সলিউশন ইনিশিয়েটিভ থেকে বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপের সহায়তায় পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
‘বঙ্গোপসাগরে হাঙর ও রশ্মি সংরক্ষণের জন্য সামাজিকভাবে ন্যায়সঙ্গত টেকসই মৎস্য চাষ’ শীর্ষক তার গবেষণার লক্ষ্য হলো- বিপন্ন প্রজাতির হাঙর ও রশ্মির জন্য একটি টেকসই মডেল প্রস্তুত করা।
আলিফা ও তার দল বৈচিত্র্য, মৎস্য ও বাণিজ্যের উপর বৃহত্তম আঞ্চলিক ডেটাসেট প্রতিষ্ঠা করেছে, ১৫টি নতুন রেকর্ডসহ হাঙর ও রশ্মির অত্যন্ত বিপন্ন প্রজাতি আবিষ্কার করেছে।
এডিনবার্গ ওশান লিডার্স প্রোগ্রামের ২০২৩ সালের দলটির জন্য আলিফা নির্বাচিত হন এবং শার্কস ইন্টারন্যাশনাল ২০২২-এ সেরা শিক্ষার্থী উপস্থাপনার জন্য পুরস্কৃত হন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতি চেয়ারম্যানের অসদাচরণ, বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের প্রতিবাদ
উইমেন লিডার অব দ্য ইয়ার-২০২৩ হলেন শেয়ারট্রিপের সাদিয়া হক
১১ মাস আগে