সিনেমা
৩৬-২৪-৩৬: কারিনা কায়সার বনাম সমাজে নারীর প্রথাগত সৌন্দর্য্যের মাপকাঠি
শুধু মুখশ্রী ও শারীরিক গড়নের নিরীখে একজন নারীকে বিচার করা অনেক প্রাচীন ধ্যানধারণা। অথচ একবিংশ শতাব্দির তথ্য-প্রযুক্তির যুগেও এই সামাজিক স্টেরিওটাইপ থেকে বের হওয়া সম্ভব হয়নি। বরং আরও গেঁড়ে বসেছে সমাজের বেঁধে দেওয়া তথাকথিত সৌন্দর্যের মাপকাঠি। ফলে জন্মগত ভাবে যেসব নারী সেই শর্ত পূরণে অপারগ হচ্ছেন, তাদের বেছে নিতে হচ্ছে বিষণ্নতার জীবন। এমনি এক জীবনের বর্ণিল উপাখ্যান চরকি অরিজিনাল মুভি ৩৬-২৪-৩৬। ওটিটির আগেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে সিনেমাটির ভূয়সী প্রশংসা চলছে দর্শক মহলে। চলুন, ৩৬ ২৪ ৩৬ মুভিটির বিশদ বৃত্তান্তসহ জেনে নেওয়া যাক- কীভাবে চটকদার শিরোনামের চলচ্চিত্রটি বিস্তৃত পরিসরে সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা পেল।
৩৬-২৪-৩৬ চলচ্চিত্রের নেপথ্যের মানুষ
চরকি ও ছবিয়ালের ব্যানারে নির্মিত এই কমেডি নাট্য-চলচ্চিত্রটি চরকির মিনিস্ট্রি অব লাভ প্রকল্পের পঞ্চম ছবি। এই প্রকল্পের আওতায় এরই মধ্যে নির্মিত চারটি ছবি হলো- ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’, ‘মনোগামী’, ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ ও ‘ফরগেট মি নট’।
‘৩৬-২৪-৩৬’-এর পরিচালনায় ছিলেন রেজাউর রহমান, যিনি মোনতাসির মান্নানের সঙ্গে ছবিটির গল্পও লিখেছেন। রচনায় আরও ছিলেন মুভির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা সামাজিক মাধ্যমের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে খ্যাত কারিনা কায়সার। এটিই তার বড় পর্দায় প্রথম কাজ। মুভির কয়েকটি দৃশ্যে দেখা গেছে তার বাবা জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় কায়সার হামিদ এবং মা লোপা কায়সারকে।
কারিনার সঙ্গে সিনেমার মূল চরিত্রগুলোতে ছিলেন সৈয়দ জামান শাওন, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, আবু হুরায়রা তানভীর এবং ডানা ভাই জোস খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কামরুন নাহার ডানা।
অন্যান্য গুরুত্ব ভূমিকায় দেখা গেছে শহীদুল আলম সাচ্চু, মিলি বাশার, গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস কুমার মৃধা, রোজী সিদ্দিকী ও শামীমা নাজনীনকে।
২০২৪ সালের ৮ নভেম্বর ছবিটি দেশজুড়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। অতঃপর ২৮ নভেম্বর থেকে ওটিটি চরকির গ্রাহকদের জন্যও ছবিটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন: পেক্ষাগৃহে আসছে ‘ভয়াল’
৩৬ ২৪ ৩৬ মুভি রিভিউ
.
দুটি স্তরে বিভক্ত চিত্রনাট্য
হাস্যরস ও আবেগের মিশেলে ভরপুর পুরো গল্পটি চার বছর সময়ে দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগে কেন্দ্রীয় চরিত্রকে ঘিরে গড়তে থাকে গল্পের গাঁথুনি।
এ অংশে সায়রাকে দেখা যায়, একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হিসেবে। নিছক আবেগের বশে নয়; মেধাবী ও বাস্তববাদী সায়রা যেকোনো কিছু বিচার করে যুক্তি দিয়ে। আর এই বৈশিষ্ট্য তাকে করে তুলেছে অনুসরণীয় পেশাদারিত্ব ও উদ্যোগী দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী।
নিজের স্থুল শরীর নিয়ে খুব ব্যতিব্যস্ত হওয়ার সুযোগ তার নেই।এরপরেও পেশা যখন সামাজিক অনুষ্ঠান নিয়ে, তখন প্রায়ই তাকে সমাজের তথাকথিত দৃষ্টিভঙ্গি সামাল দিতে হয়। তখন অলক্ষ্যেই হৃদয়ের গহীনে কোথাও গুপ্ত বঞ্চিত বিষণ্ণ সত্ত্বাটির মুখোমুখি হতে হয় সায়রাকে। অবশ্য প্রতিবারই বিষয়টিকে মেনে নিয়ে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিজেকে সামলে নেয় সে।
কিন্তু মেঘমুক্ত আকাশে হঠাৎ বৃষ্টির মতো সায়রার জীবনে প্রেম নিয়ে আসে তাহসির। জীবন নিয়ে তার মনে এতদিন ধরে গড়ে ওঠা চিন্তা-চেতনা সব ভুল প্রতীয়মান করে ঘটতে শুরু করে অমূল্য কিছু ঘটনা। তবে বেশি দিন স্থায়ী হয় না এই সুখের অনুভূতি। হঠাৎ তাহসিরের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারে না সায়রা। বহু কষ্টে তার বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগের পর জানতে পারে যে তাহসির ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন। প্রচণ্ড শঙ্কায় মনোকষ্টে দিন কাটতে থাকে সায়রার। তাহসিরের আরোগ্য লাভের জন্য দোয়া করতে থাকে।
তারপর হঠাৎ একদিন সেই বন্ধু ফোন করে জানায়, তাহসির আর বেঁচে নেই। এর মধ্যে দিয়ে শেষ হয় সিনেমার প্রথম ভাগ।
দ্বিতীয় অংশে দেখা যায়- সায়রার নিজেরই একটা ওয়েডিং প্ল্যানিং প্রতিষ্ঠান হয়েছে। একসঙ্গে অনেক ক্ল্যায়েন্টকে সার্ভিস দিতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় তার টিমকে। এরই মধ্যে আবার এক পুরাতন ক্লায়েন্ট রহমান সাহেবের মেয়ের ওয়েডিং প্ল্যানের জন্য সময় বের করতে হয়। আর এখানেই দেখা মেলে নতুন চরিত্র প্রিয়ন্তির। প্রাণচ্ছল ও চঞ্চল প্রকৃতির মেয়েটির পুরো বিয়ের অনুষ্ঠানকে ঘিরে আবর্তিত হয় গল্পের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত ভাগ। এ অংশটি প্রথম অংশের তুলনায় আরও বিচিত্র এবং হাস্যরসে ভরপুর। সেই সঙ্গে রয়েছে সংগীত বিনোদন, প্রেম ও টুইস্ট।
আরো পড়ুন: কোন নাটকের মাধ্যমে নির্দেশনায় ইতি টানছেন অঞ্জন দত্ত
সায়রা চরিত্রের বিভিন্ন দিক
এই চরিত্রের মাঝে একাধারে রয়েছে একজন পেশাদার ব্যবস্থাপক, প্রতিভাবান শিল্পী, বিষণ্নতা আড়াল করে চলা মানুষ এবং ইতিবাচক মনোরম ব্যক্তি সত্ত্বা। কাহিনির বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে প্রাসঙ্গিকভাবে এগুলো ফুটিয়ে তোলা যেকোনো নতুন অভিনেত্রীর জন্যই চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু তা মোকাবিলায় বেশ ভালোভাবেই উতরে গেছেন কারিনা। বিশেষ করে মনোলগ, সংলাপহীন বিষণ্নতা ও দুঃখবোধের জায়গাগুলোতে তার অভিব্যক্তিগুলো ছিল প্রশংসনীয়।
গল্পের টুইস্ট ও ক্লাইমেক্স অংশগুলোতেও তার প্রতিক্রিয়াগুলো ছিল যথেষ্ট নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিতিবোধ সম্পন্ন। অবশ্য এখানে দৃশ্যের গতিশীলতার জন্য সম্পাদনা ও পরিচালনাও কৃতিত্বের দাবি রাখে।
২০ ঘণ্টা আগে
লাকি ভাস্কর মুভি রিভিউ: সততা বনাম লোভের এক জমজমাট গল্প
জীবনমুখী গল্পের আবেগঘন নাটকীয়তা দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার বিরাট এক জনরা দখল করে আছে। এমন ঘরানার চলচ্চিত্রের প্রাণপুরুষদের অন্যতম হচ্ছেন দুলকার সালমান। তার উপস্থিতি অনায়াসে ঘুচিয়ে দেয় ছবির বাণিজ্যিক আবেদন ও শৈল্পিক গভীরতার মধ্যকার ব্যবধান। এই ধারাবাহিকতার উন্মুক্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে সাম্প্রতিক মুভি লাকি ভাস্করে।
চরিত্র ও গল্পের বৈচিত্র্যময় পরিবেশনা নিয়ে সমালোচক ও দর্শকদের মধ্যে দুলকার সালমানের লাকি ভাস্কর সিনেমাটি ইতোমধ্যে বেশ আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। কারা ছিলেন সিনেমাটির নেপথ্যের কলাকুশলী, পর্দায় তাদের পরিবেশনাই বা কেমন ছিল, চলুন, তা পর্যালোচনা করা যাক।
লাকি ভাস্কর বৃত্তান্ত
তেলেগু ভাষার অপরাধ ঘরানার চলচ্চিত্রটির রচনা ও পরিচালনায় ছিলেন ভেঙ্কি আটলুরি। সিথারা এন্টারটেইনমেন্ট্স, ফরচুন ফোর সিনেমা ও শ্রীকারা স্টুডিওর অধীনে ছবির প্রযোজনা করেছেন এস নাগা ভামসি ও সাই সৌজন্যা।
শ্রেষ্ঠাংশে সিনেমার নাম ভূমিকায় থাকা দুলকার সালমানের বিপরীতে ছিলেন মীনাক্ষী চৌধুরী। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন তিনু আনান্দ, পি সাই কুমার, রামকি, রঘু বাবু, সর্বদামান ডি ব্যানার্জি, শচীন খেড়েকার, প্রভাস শ্রীনু, হাইপার আদি, শিবনারায়ণ নারিপেদি ও সূর্য শ্রীনিবাস।
আরও পড়ুন: প্রসঙ্গ জেনারেশন জেড: কারা এই জেন জি প্রজন্ম, কী তাদের বৈশিষ্ট্য
সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র ভাস্কর কুমার একজন নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষ যিনি পেশায় ব্যাংকের ক্যাশিয়ার। টানাপোড়েনের জীবন থেকে বাঁচতে এক ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার পর তিনি জড়িয়ে পড়েন ভয়াবহ এক আর্থিক কেলেঙ্কারিতে।
সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী মুক্তি পায় চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর।
লাকি ভাস্কর মুভি রিভিউ
ছবিটিতে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ার বিষয়টি হচ্ছে একই চরিত্রের মধ্যে বিচিত্রতা। ভিন্ন অংশগুলোর প্রতিটি প্রেক্ষাপটের সঙ্গে পার্শ্ব-চরিত্রগুলোকে পরিমিত অনুষঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন নির্দেশক আটলুরি। ফলে উপজীব্য কাহিনীর আবহে উঠে এসেছে পরস্পরের মধ্যে সম্পর্কযুক্ত গুটি কয়েক বিষয়। চলুন, গভীরভাবে তা বিশ্লেষণ করা যাক।
গল্পের আবেদন ও পরিণতি
সিনেমার প্রধান চরিত্র ভাস্কর ব্যাংকের একজন ক্যাশিয়ার, যিনি নিজের সংসার চালাতে রীতিমত যুদ্ধ করে চলেছেন। তার পরিবারে রয়েছে তার স্ত্রী সুমতি ও অসুস্থ বাবা।
ভাস্করের দিন বদলের জন্য আলোকবর্তিকা নিয়ে হাজির হন অ্যান্টনি। জীবনের যাবতীয় সমস্যা থেকে বাঁচার চাবিকাঠি থাকলেও মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে অ্যান্টনির প্রস্তাবে।
আরও পড়ুন: কোন নাটকের মাধ্যমে নির্দেশনায় ইতি টানছেন অঞ্জন দত্ত
এই সুযোগ আপাতদৃষ্টিতে আশীর্বাদ মনে হলেও উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভাস্কর নিমেষেই এগিয়ে যেতে থাকে অন্ধকার জগতের দিকে। আর এভাবেই চলচ্চিত্রটি দর্শকদের নিকট আবেদন রেখে যায় গল্পে প্রবেশের।
এক দিকে ভাস্কারের অবৈধ পদক্ষেপগুলো সাময়িক স্বস্তির উদ্রেক করে, অন্যদিকে লোভের কারণে তার জীবন জড়িয়ে পড়তে থাকে নানাবিধ জটিলতায়। সফলতা পাওয়ার শর্টকাট রাস্তাগুলো খুব আকর্ষণীয় হলেও দিন শেষে যে এর চরম মূল্য দিতে হয়- তা-ই ফুটে ওঠে গল্পের পরিণতিতে।
কাহিনী বিন্যাসের জড়তার রোমাঞ্চকর রূপান্তর
মুভির প্রথমার্ধের ধীরগতিটা যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল তা খুব সহজেই বোঝা যায়। যথেষ্ট সাবধানতার সঙ্গে প্রতিটি চরিত্র ও কাহিনীর স্তম্ভগুলোর গাঁথুনি দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ ভনিতা দর্শকদের কিছুটা খেই হারানোর দিকে ধাবিত করলেও আবেগের উপকরণগুলো চিত্রনাট্যকে একদম গতিহীন হতে দেয়নি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হয় নাটকীয়তার অভিকর্ষ প্রভাব, যেখানে পরতে পরতে থাকে অপ্রত্যাশিত টুইস্ট।
নেপথ্যে আবেগঘন পটভূমি থাকলেও ব্যাংক রসিদ কেলেঙ্কারির ক্লাইমেক্সটি উত্তেজনাকে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দেয়। এ অংশে মুভির সামগ্রিক সম্পাদনা ও আটলুরির চিত্রনাট্যে মেধার বিশদ পরিচয় মেলে।
আরও পড়ুন: শুক্রবার পেক্ষাগৃহে আসছে ‘ভয়াল’
বৈচিত্র্যপূর্ণ স্তরে চরিত্রের বিকাশ
একজন ভাস্করকে লাখ লাখ মধ্যবিত্ত চাকরীজীবীদের অন্তরে পৌঁছে দিয়েছেন দুলকার। আর্থিক নিরাপত্তাহীনতার সঙ্গে অপমান, হতাশা এবং সেই সঙ্গে ধন-দৌলতের নেশা ছিল তার চরিত্রের প্রধান দিক। বৈশিষ্ট্যগুলোর প্রত্যেকটির স্বাধীন পরিস্ফূটন ঘটেছে তার অভিব্যক্তিতে, যা কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই স্পর্শ করেছে দর্শকদের অনুভূতি।
সুমতির চরিত্রে মীনাক্ষী চৌধুরীর অবস্থান সংলাপ ও আবহতে যোগ করেছে উষ্ণতা। চলচ্চিত্রের কাহিনীকে পূর্ণতা দিয়েছেন ব্যাংকের জিএমের ভূমিকায় শচীন খেড়েকার ও অ্যান্টনির চরিত্রের রামকি।
শৈল্পিকতা ও চিত্তবিনোদনের যুগপৎ বিচরণ
মুভির পরিবেশ, আবহ, দৃশ্যধারণের নৈপুণ্য বাড়ানোর জন্য প্রযুক্তিগত দিকগুলো নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। জি ভি প্রকাশ কুমারের সঙ্গীত পরিচালনা উদ্দীপনা ও অপ্রতুলতার পাশাপাশি প্রাসঙ্গিকতা বজায়ে পরিপূরক হিসেবে কাজ করেছে।
সঙ্গীতায়োজনে দারুণ সংযোজন ছিল ভিশা মিশ্র ও শ্বেতা মোহানের ডুয়েট এবং উশা উথুপের প্লেব্যাকগুলো। গল্পের মূল আবেদন থেকে রোমাঞ্চকর দৃশ্যের রূপায়নকে চমকপ্রদ করে তুলেছে নিমিশ রাভির সিনেমাটোগ্রাফি। ভাস্করের সংকট নিরসণের কায়দা এবং আর্থিক কেলেঙ্কারির ক্লাইম্যাক্স সিনেমার পরিণত সম্পাদনার দৃষ্টান্ত।
আরও পড়ুন: মার্চে মুক্তি পাচ্ছে সি শঙ্করন নায়ারকে নিয়ে নির্মিত অক্ষয় ও করণ জোহরের ছবি
কিছু অপূর্ণতা
মূলত প্রথমার্ধের ধীরগতিটাই এই ছবির সবচেয়ে বড় অপূর্ণতা। বিশেষত সংকটের সুবিধাজনক সমাধান দৃশ্যায়নে পরিমিতিবোধের কিঞ্চিত ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। উপরন্তু, মাঝেমধ্যেই দুলকারের চতুর্থ দেওয়াল ভাঙ্গার ব্যাপারটি ‘টুয়েল্ফথ ফেইলের’ রিস্টার্টের মতো স্লোগান বা পাঞ্চ লাইন হয়ে উঠতে পারেনি।
পরিশেষ
লাকি ভাস্কর মুভিটি ৮০-এর দশকের শেষের দিকে মধ্যবিত্তের সহজাত প্রবৃত্তি, উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও জীবন সংগ্রামের নিরঙ্কুশ পরিস্ফূটন। প্রধান ভূমিকায় দুলকার সালমানের সপ্রতিভ অভিনয়ের পাশাপাশি নিজেদের চরিত্রগুলোর সুবিচারে সচেষ্ট ছিলেন সহ-অভিনয়শিল্পীরা।
এখানে গল্পের মূল নির্যাস তুলে এনে কাঙ্ক্ষিত বার্তাটি প্রকাশে ভেঙ্কি আটলুরির অবদান অনস্বীকার্য। সিনেমার প্রথমার্ধে কাহিনী গঠনের জড়তা গতি পেয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে, যেখানে বায়োপিকের রূপান্তর ঘটেছে রুদ্ধঃশ্বাস থ্রিলারে।
সর্বোপরি, সম্পাদনা, সঙ্গীত ও সিনেমাটোগ্রাফির দুর্দান্ত সমন্বয়ে চলচ্চিত্রের শেষ পর্যন্ত দর্শকদের মনোযোগ ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সেরা কাজগুলো: চলচ্চিত্র, ধারাবাহিক ও নাটক
৩ দিন আগে
শুক্রবার পেক্ষাগৃহে আসছে ‘ভয়াল’
সার্টিফিকেশন বোর্ড চালু হওয়ার পর দেশের প্রথম প্রাপ্তবয়স্কদের সিনেমা হিসেবে এ গ্রেডে ছাড়পত্র পেয়েছে ‘ভয়াল’। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) প্রেক্ষাগৃহে অসছে সিনেমাটি।
সিনেমাটির ডিস্ট্রিবিউটর জাজ মাল্টিমিডিয়ার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ভয়াল সিনেমা পরিচালনা করেছেন বিপ্লব হায়দার। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ ও আইশা খান। অন্যতম একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শওকত সজল। সিনেমাটিতে কামাল চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভূতের গল্পে পর্দায় আসছেন সত্যম, সন্দীপ্তা ও সুহত্র
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি নেতিবাচক একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। কামাল সমাজের একজন খারাপ লোক। চোরাকারবারী, নারী লোভী ও অসৎ এক লোক। কমেডি ধাঁচের চরিত্রও বলতে পারেন। দর্শকের ভালো লাগার মতো এই চরিত্র। যখন কাজটির প্রস্তাব পাই তখন ওয়েব ফিল্ম নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল নির্মাতার। তাকে বলেছিলাম গল্পটি ভালো। এটি সিনেমা হতে পারে। শুরুতে প্রযোজক রাজি না হলেও পরে রাজি হন। সিনেমাটি নিয়ে আমরা অনেক আশাবাদী।’
সিনেক্রাফট ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত ‘ভয়াল’ চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন তরুণ প্রযোজক আশিকুর রহমান। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ, আইশা খান, গোলাম ফরিদা ছন্দা, লুৎফর রহমান জর্জ, ম্যাক বাদশা, পারভেজ সুমন, ইকবাল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: 'বাঘি ৪'র ফার্স্ট লুকে টাইগার শ্রফ
১ সপ্তাহ আগে
'বাঘি ৪'র ফার্স্ট লুকে টাইগার শ্রফ
সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত 'সিংহাম এগেইন'র সাফল্যে উচ্ছ্বসিত টাইগার শ্রফ। এরই মধ্যে তার জনপ্রিয় অ্যাকশন ফ্র্যাঞ্চাইজির 'বাঘি ৪'র প্রথম পোস্টার প্রকাশ হয়েছে।
সোমবার তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ছবিটির উত্তেজনাপূর্ণ ও রক্তাক্ত প্রথম লুক শেয়ার করেছেন।
এক হাতে ছুরি, অন্য হাতে বোতল নিয়ে টয়লেট সিটে বসে থাকা পোস্টারের ছবি শেয়ার করেছেন টাইগার।
ছবিটির সঙ্গে অভিনেতা একটি ক্যাপশন জুড়ে দিয়েছেন। তাতে লেখা ছিল, ‘একটি অন্ধকার আত্মা, একটি রক্তাক্ত মিশন। এবার সে আগের মতো নেই!’
'বাঘি ৪' পরিচালনা করবেন কন্নড় নির্মাতা এ হর্ষ। এর মধ্যে দিয়ে বলিউডে তার অভিষেক ঘটবে।
নাদিয়াদওয়ালা গ্র্যান্ডসন ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা এবং ২০২৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে এটি।
২০১৬ সালে সাব্বির খান পরিচালিত প্রথম ‘বাঘি’ সিনেমার মাধ্যমে এ ফ্র্যাঞ্চাইজির যাত্রা শুরু হয়। এটি ছিল অ্যাকশন-ঘন থ্রিলার, যা ২০০৪ সালের তেলেগু সিনেমা ‘বর্ষম’ এবং ২০১১ সালের ইন্দোনেশিয়ান চলচ্চিত্র ‘দ্য রেইড: রিডেম্পশন’ থেকে অনুপ্রাণিত। সিনেমাটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন টাইগার শ্রফ, শ্রদ্ধা কাপুর ও সুধীর বাবু।
আহমেদ খান পরিচালিত দ্বিতীয় পর্ব ‘বাঘি ২’ মুক্তি পায় ২০১৮ সালে। এই সিনেমাটি ছিল তেলেগু সিনেমা ‘ক্ষনম’-এর রিমেক। এতে টাইগার শ্রফের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন দিশা পাটানি, মনোজ বাজপেয়ী ও রণদীপ হুদা।
২০২০ সালে ‘বাঘি ৩’ মুক্তি পায়।সেটিও আহমেদ খান পরিচালনা করেছিলেন। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন টাইগার শ্রফ, রিতেশ দেশমুখ ও শ্রদ্ধা কাপুর।
টাইগার শ্রফ ২০১৪ সালে বলিউডে তার অভিষেক ঘটান সাব্বির খান পরিচালিত ‘হিরোপান্তি’ সিনেমার মাধ্যমে। এরপর তিনি ‘বাঘি’, ‘বাঘি ২’, ‘বাঘি ৩’, ‘ওয়ার’, ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার ২’, ‘মুন্না মাইকেল’, ‘এ ফ্লাইং জাট’, ‘হিরোপান্তি ২’ এবং ‘গণপথ’-সহ বেশ কয়েকটি সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার সাম্প্রতিকতম উপস্থিতি ছিল ‘সিংহম অ্যাগেইন’ সিনেমায়।
২ সপ্তাহ আগে
নতুন করে হুমকির পর চার স্তরের নিরাপত্তার মধ্যে সালমানের শুটিং
বেশ কিছুদিন ধরে কয়েক দফায় বলিউড নায়ক সালমান খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের লোকজন।
এর ফলে নিরাপত্তা বলইয়ের মধ্যেই চলছেন সালমান। লাগাতার হুমকির মধ্যেও কাজ বন্ধ করেননি তিনি। এর মধ্যেই তার নতুন ছবি ছবি ‘সিকান্দার’র শুটিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার বিষ্ণোইয়ের লোকজন নতুন করে হুমকি দিয়েছেন সালমান খানকে।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই হুমকিবার্তা পেয়েছে মুম্বাইয়ের ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুম। একটি গানে সালমানের সঙ্গে বিষ্ণোই গোষ্ঠীকে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। তাতেই আবারও ক্ষুব্ধ হয়েছেন গ্যাংস্টারের অনুগামীরা।
আরও পড়ুন: শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি
ওই গান যিনি লিখেছেন, তার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তারা।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে হায়দরাবাদে পৌঁছেছেন সালমান। 'সিকান্দার’র শুটিংয়ে আপাতত কয়েকদিন সেখানেই থাকবেন।
তবে হুমকির চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা।
সালমানকে ‘ওয়াই’ কাটাগরির নিরাপত্তা আগেই দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।
এই মুহূর্তে হায়দরাবাদের যে হোটেলে রয়েছেন সালমান, সেখানে কর্মীদের বেশ কয়েকটা নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে অভিনেতার কাছে পৌঁছাতে হবে। ঢোকা ও বেরোনোর সময় পরিচয়পত্র দেখাতেই হবে। এ ছাড়াও, অভিনেতা শুটিং করছেন যেখানে, সেখানে বেশ কিছু নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। রয়েছেন প্রাক্তন প্যারামিলিটারিরাও। সেইসঙ্গে সালমানের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী ও সবসময়ের ছায়াসঙ্গী শেরা রয়েছেন।
তার ওপর হায়দরাবাদ পুলিশও দিয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। ভাইজানের ধারে কাছে যাতে কেউ ঘেঁষতে না পারে, তার জন্যই এতটা কড়াকড়ি।
এর আগে ১২ অক্টোবর মুম্বাইয়ে সালমানের ঘনিষ্ঠ রাজনীতিক বাবা সিদ্দিকি খুন হন। সেই সময় ‘সিকান্দার’ ছবির শুটিং করছিলেন ভাইজান। খবর পেয়েই তিনি শুটিং ফ্লোর থেকে সরাসরি হাসপাতালে পৌঁছান। পরের দিন তিনি সিদ্দিকির শেষকৃত্যেও উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম
আরও পড়ুন: ‘তোমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি’: জন্মদিনে শাহরুখকে মেয়ে সুহানা
৪ সপ্তাহ আগে
ভূতের গল্পে পর্দায় আসছেন সত্যম, সন্দীপ্তা ও সুহত্র
সত্যম, সন্দীপ্তা ও সুহত্রকে নিয়ে টলিউডে আসছে ‘ভূত ও পূর্ব’। তিনটি আলাদা গল্পের সমন্বয়ে বড় পর্দায় আসছে ‘ভূত ও পূর্ব’।
পরিচালক কাকলি ঘোষ ও অভিনব মুখোপাধ্যায় যৌথভাবে এ ছবি নির্মাণ করছেন।
এর মাধ্যমেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মণিহারা’ আবারও ফিরছে বড় পর্দায়। ফণীভূষণ হয়ে পর্দায় দেখা দিচ্ছেন সত্যম ভট্টাচার্য আর মণিমালিকা হয়ে আসছেন অমৃতা চট্টপাধ্যায়।
১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সত্যজিৎ রায় পর্দায় এনছিলেন ফণীভূষণ ও মণিমালিকাকে। ২০২৪ সালে ফের জানা গেল পর্দায় ফিরবে মণিমালিকা ও ফণিভূষণ। এবারও মণিহারার সঙ্গে আলাদা দুটি ভূতের গল্প থাকছে। তবে সেগুলো রবীন্দ্রনাথের গল্প নয়।
কমেডি ঘরানার ভূতের সিনেমা ‘বল্লভপুরের রূপকথা’র মাধ্যমেই দর্শকপ্রিয়তা পেছেন সত্যম। আরও একবার ভূতের ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন তিনি।
বাংলা সাহিত্যের তিনটি জনপ্রিয় গল্প নিয়েছেন এই দুই পরিচালক। রবীন্দ্রনাথের ‘মণিহারা’র পাশাপাশি থাকছে তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তারানাথ তান্ত্রিক’ সিরিজ়ের একটি গল্প এবং মনোজ সেনের ‘শিকার’।
ছবিতে ভিন্ন সময়ের তিনটি গল্পের মধ্যে একটি যোগসূত্রও থাকবে বলে জানিয়েছেন ছবি সংশ্লিষ্টরা।
নতুন ‘মণিহারা’ গল্পে ফণিভূষণের চরিত্রেই অভিনয় করছেন সত্যম। মণিমালিকার চরিত্রে রয়েছেন অমৃতা চট্টোপাধ্যায়। অন্য দিকে তারানাথ তান্ত্রিক এবং মাতু পাগলির চরিত্রে রয়েছেন সপ্তর্ষি মৌলিক এবং রূপাঞ্জনা মিত্র।
‘শিকার’ গল্পে রয়েছেন সুহোত্র মুখোপাধ্যায় ও সন্দীপ্তা সেন।
আরও একবার ভূতের ছবিতে অভিনয় নিয়ে সত্যম বলন, কাহিনি আলাদা। তাই তিনি চিন্তিত নন।
তিনি আরও বলেন, ‘কাকলি ও অভিনব থিয়েটারে জগতের মানুষ। খুব অন্যভাবে চিত্রনাট্য ভেবেছেন। আশা করি ছবিটা দর্শকের পছন্দ হবে।’
সম্প্রতি ছবির জন্য অভিনেতাদের লুক সেটও করা হয়েছে। বোলপুরে ছবির আউটডোর শুরু হবে আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে। তারপর শহরের একাধিক লোকেশন জুড়ে হবে ছবি শুটিং।
সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম
৪ সপ্তাহ আগে
প্রখ্যাত অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে রাজধানীর কলাবাগানে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার বয়স হয়েছিল ৯৫। মাসুদ আলী বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন এবং বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
তার জানাজা ও দাফনের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
মাসুদ আলী খান ১৯২৯ সালের ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকায় বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রতিষ্ঠার পর 'ভাই ভাই সবাই' নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার।
সাদেক খানের 'নদী ও নারী' (১৯৬৪) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রুপালি পর্দায় তার অভিষেক হয়। এরপর 'দীপু নাম্বার টু' (১৯৯৬), 'দুই দুয়ারী' (২০০০), 'মাটির ময়না' (২০০২), 'মোল্লা বাড়ির বউ' (২০০৫) এবং 'প্রিয়তমেষু' (২০০৯) চলচ্চিত্রে অভিনয়সহ আরও অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
মাসুদ আলী খান 'কোথাও কেউ নেই', 'এই সব দিন রাত্রি', 'বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল', '৬৯', 'সুখী মানুষ প্রকল্প', 'দিন চলে যায়', 'গুলশান এভিনিউ'সহ অনেক জনপ্রিয় টেলিভিশন নাটক ও সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করার জন্য পরিচিত।
তিনি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও কাজ করেছেন। ১৯৮৮ সালে তিনি বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
দেশের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের জন্য মাসুদ আলী খান ২০২৩ সালে একুশে পদক এবং মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা ২০২৩ লাভ করেন।
তার মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: সুজিত সরকারের সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের নতুন ছবি 'আই ওয়ান্ট টু টক'
১ মাস আগে
সুজিত সরকারের সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের নতুন ছবি 'আই ওয়ান্ট টু টক'
এবার পরিচালক সুজিত সরকারের ফিরছেন অভিনেতা অভিষেক বচ্চন। গতকাল বুধবার তাদের নতুন ছবির এক ঝলক উন্মোচিত হয়েছে।
'আই ওয়ান্ট টু টক' শিরোনামের ছবিটি ২০২৪ সালের ২২ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।
ইনস্টাগ্রামে অভিষেক একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে আমরা দেখা যাচ্ছে, অভিষেকের মুখ একটি বাবলহেডে রাখা হয়েছে। ব্যাকগ্রাউন্ডে অভিনেতার কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে, 'আমি শুধু কথা বলতে ভালোবাসি না, আমি কথা বলার জন্যই বাঁচি। আমি শুধু জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে এই মৌলিক পার্থক্যটাই দেখতে পাই। যারা বেঁচে আছেন তারা কথা বলতে পারেন; যারা মারা গেছে তারা পারবে না।’
ওই পোস্টের ক্যাপশনে অভিষেক লেখেন, ‘আমরা সবাই জানি যে একজন মানুষ কথা বলতে ভালোবাসে। এখানে এমন একজন ব্যক্তির গল্প বলা হয়েছে, যিনি সর্বদা জীবনের উজ্জ্বল দিকটি দেখেন; জীবন তাকে যেটাই দিক না কেন! আপনার পরিচিত ব্যক্তিকে ট্যাগ করুন যিনি কথা বলার জন্য বেঁচে আছেন।’
চলতি বছরের মার্চে মুম্বাইয়ে প্রাইম ভিডিওর অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এই পরিচালক ও অভিনেতা জুটি আশ্বাস দিয়েছিলেন, প্রকল্পটি দর্শকদের মুখে হাসি ফোটাবে।
সুজিচত বলেন, ‘আমি সাধারণ জীবন নিয়ে সিনেমা বানাই এবং সেই সাধারণ চরিত্রগুলোকে অসাধারণ করে তোলার চেষ্টা করি। এই ছবি আপনাকে হাসাবে এবং আপনাকে উষ্ণতা দেবে।’
প্রকল্পের অফিসিয়াল সারসংক্ষেপে লেখা ছিল, কখনো কখনো জীবন আমাদের দ্বিতীয় সুযোগ দেয়। অর্জুন নামে এক ব্যক্তি 'দ্য আমেরিকান ড্রিম' এর সন্ধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসতি স্থাপন করেছিলেন। এটি তার মেয়ের সঙ্গে তার বন্ধনকে পুনরায় আবিষ্কার এবং আলিঙ্গন করার একটি সুযোগ।
এতে আরও লেখা হয়েছে, সুজিত সরকার এই সিনেমা বাবা ও কন্যার সম্পর্ক নিয়ে তৈরি করেছেন। একটি অন্তরঙ্গ আবেগঘন যাত্রা, যেখানে তারা জীবনের অপ্রত্যাশিত ঘটনাগুলোকে মোকাবিলা করে একটি কাহিনীর মাধ্যমে। চলচ্চিত্রটি আমাদের জীবনের ক্ষণস্থায়ী মুহূর্তগুলোর সত্যিকারের মূল্য আবিষ্কার করে, প্রত্যেককে লালন করতে শিখে।
রাইজিং সান ফিল্মস এবং কিনো ওয়ার্কস প্রযোজিত এই ছবিতে আরও রয়েছেন জনি লিভার, অহল্যা বামরু এবং জয়ন্ত কৃপলানি।
১ মাস আগে
মার্চে মুক্তি পাচ্ছে সি শঙ্করন নায়ারকে নিয়ে নির্মিত অক্ষয় ও করণ জোহরের ছবি
ভারতীয় আইনজীবী ও রাষ্ট্রনায়ক সি শঙ্করন নায়ারের গল্প অবলম্বনে নির্মিত বহুল প্রতীক্ষিত অক্ষয় কুমারের সিনেমা বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমাটি ২০২৫ সালের ১৪ মার্চ হিট হতে যাচ্ছে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) করণ জোহরের ধর্ম প্রোডাকশনের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। ছবিটির নাম এখনও ঠিক হয়নি। এতে তামিল অভিনেতা রঙ্গনাথান মাধবন (আর. মাধবন হিসেবে বেশি পরিচিত) এবং অনন্যা পান্ডেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
আরও পড়ুন: বিবি টাঙ্গা, এরিক কেরিজ, মিঠুন চক্র ও সাদ চৌধুরী সমন্বিত ফিউশন পপ কনসার্টের আয়োজন
কুখ্যাত জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের পটভূমিতে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি ব্যারিস্টার সি শঙ্করন নায়ারের অসাধারণ জীবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে। সি শঙ্করন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন এবং ভারতের ঔপনিবেশিক ইতিহাসের অন্যতম অন্ধকার অধ্যায়ের সময় সংঘটিত নৃশংসতা প্রকাশের জন্য লড়াই করেছেন।
রঘু পলাত এবং পুষ্পা পলাতের ‘দ্য কেস দ্যাট শক দ্য এম্পায়ার’ বই থেকে নেওয়া এই কাহিনীটি মূলত গণহত্যাকে জনসাধারণের নজরে আনার নায়ারের যে লড়াই তাকে কেন্দ্র করেই। অতুলনীয় তাৎপর্যপূর্ণ একটি আদালতের নাটকে ব্রিটিশ প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ জানায়।
ব্রিটিশ বাহিনী ১৯১৯ সালে সংঘটিত জালিয়ানওয়ালাবাগে শত শত নিরস্ত্র ভারতীয় নাগরিকের ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল। যা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত।
ধর্ম প্রোডাকশনের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘একটি গণহত্যার মর্মান্তিক ধামাচাপা দেওয়ার বিষয়ে শিরোনামহীন চলচ্চিত্রটি ভারতের শীর্ষ ব্যারিস্টার সি শঙ্করন নায়ারকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে একটি অভূতপূর্ব লড়াইয়ে বাধ্য করে।’
আরও পড়ুন: '৫ কোটি রুপি না দিলে বাবা সিদ্দিকির মতো পরিণতি হবে': সালমান খানকে হুমকি
চলচ্চিত্রটি বাস্তব জীবনের ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত এবং 'দ্য কেস দ্যাট শক দ্য এম্পায়ার' বই অবলম্বনে নির্মিত।
করণ সিং ত্যাগি পরিচালিত এই ছবিটি কোর্টরুম ড্রামা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও প্লটটির আরও বিশদ বিবরণ গোপন রয়েছে। এটি একটি কঠোর আখ্যান হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, যেখানে অক্ষয় কুমার নায়ারের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
অক্ষয় কুমার বক্স অফিসে একটি চ্যালেঞ্জিং পর্বে রয়েছেন। সম্প্রতি তার কমেডি হাউসফুল ৫ এর চিত্রগ্রহণ শেষ করেছেন। বিদেশে এটির বিদেশি শুটিং করার পরিকল্পনা ছিল।
বক্স অফিসে অভিনেতার সাম্প্রতিক সংগ্রাম সত্ত্বেও তার আসন্ন চলচ্চিত্রগুলোর একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অগ্রগতি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জলি এলএলবি ৩, সিংহাম এগেইন (যেখানে তিনি একটি বিশেষ উপস্থিতি তৈরি করেন) এবং স্কাই ফোর্স।
অক্ষয় কুমারের ভক্তরা ঐতিহাসিক নাটকগুলোর মতো একইভাবে চলচ্চিত্রটির মুক্তির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তারা আশা করছেন, এটি ভারতের আইনি ইতিহাসে কম পরিচিত, তবে গভীরভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের জীবন ও কৃতিত্বের উপর আলোকপাত করবে।
সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম
আরও পড়ুন: 'আপনাকে অজ্ঞ বলতে বাধ্য করবেন না’: উপদেষ্টা নাহিদকে অভিনেতা সোহেল রানা
১ মাস আগে
'৫ কোটি রুপি না দিলে বাবা সিদ্দিকির মতো পরিণতি হবে': সালমান খানকে হুমকি
পাঁচ কোটি রুপি না দিলে বলিউড অভিনেতা সালমান খানের পরিণতিও বাবা সিদ্দিকির মতো হবে বলে মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের কাছে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে।
ওই বার্তায় আরও বলা হয়েছে, এই অর্থের বিনিময়ে তাকে কারাবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সমাধান করতে হবে।
বার্তা প্রেরক নিজেকে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছেন।
মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি হুমকি বার্তা পাঠানো হয়েছে, যেখানে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে অভিনেতা সালমান খানের কাছ থেকে ৫ কোটি রুপি দাবি করা হয়েছে।’
বার্তা প্রেরক বরেন, ‘এটিকে হালকাভাবে নেবেন না, যদি সালমান খান বেঁচে থাকতে চান এবং লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে শত্রুতা শেষ করতে চান তবে তাকে ৫ কোটি টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে বাবা সিদ্দিকির থেকেও খারাপ পরিণতি হবে সালমান খানের।’
মুম্বই পুলিশ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং মামলার তদন্ত শুরু করেছে।
সম্প্রতি ভারতীয় রাজনৈতিক দল এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুন হয়ছেন।
এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করা শিবকুমার গৌতম ও জিশান আখতারের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার (এলওসি) জারি করেছে মুম্বাই পুলিশ।
মুম্বাই পুলিশ প্রাথমিকভাবে শুধু শুভম লোঙ্কারের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করেছিল এবং এখন এই দুজনের বিরুদ্ধেও এটি জারি করেছে, পুলিশ সন্দেহ করছে যে তারা নেপালে পালিয়ে যেতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিটি সীমান্ত ও বিমানবন্দরে অভিযুক্ত সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্তদের সন্ধান চলছে।
এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকীর ছেলে জিশান সিদ্দিকি তার বাবা ও পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।
এখনও পর্যন্ত মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে, তিনজন পলাতক রয়েছে, পুলিশ সক্রিয়ভাবে তাদের সন্ধান করছে।
এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দিকিকে নির্মল নগরে তার অফিসের বাইরে গুলি করা হয়। এ সময় তার বুকে দুটি গুলি লাগে। তাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।
১ মাস আগে