সিনেমা
শুক্রবার পেক্ষাগৃহে আসছে ‘ভয়াল’
সার্টিফিকেশন বোর্ড চালু হওয়ার পর দেশের প্রথম প্রাপ্তবয়স্কদের সিনেমা হিসেবে এ গ্রেডে ছাড়পত্র পেয়েছে ‘ভয়াল’। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) প্রেক্ষাগৃহে অসছে সিনেমাটি।
সিনেমাটির ডিস্ট্রিবিউটর জাজ মাল্টিমিডিয়ার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ভয়াল সিনেমা পরিচালনা করেছেন বিপ্লব হায়দার। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ ও আইশা খান। অন্যতম একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শওকত সজল। সিনেমাটিতে কামাল চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভূতের গল্পে পর্দায় আসছেন সত্যম, সন্দীপ্তা ও সুহত্র
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি নেতিবাচক একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। কামাল সমাজের একজন খারাপ লোক। চোরাকারবারী, নারী লোভী ও অসৎ এক লোক। কমেডি ধাঁচের চরিত্রও বলতে পারেন। দর্শকের ভালো লাগার মতো এই চরিত্র। যখন কাজটির প্রস্তাব পাই তখন ওয়েব ফিল্ম নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল নির্মাতার। তাকে বলেছিলাম গল্পটি ভালো। এটি সিনেমা হতে পারে। শুরুতে প্রযোজক রাজি না হলেও পরে রাজি হন। সিনেমাটি নিয়ে আমরা অনেক আশাবাদী।’
সিনেক্রাফট ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত ‘ভয়াল’ চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন তরুণ প্রযোজক আশিকুর রহমান। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ, আইশা খান, গোলাম ফরিদা ছন্দা, লুৎফর রহমান জর্জ, ম্যাক বাদশা, পারভেজ সুমন, ইকবাল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: 'বাঘি ৪'র ফার্স্ট লুকে টাইগার শ্রফ
৫ দিন আগে
'বাঘি ৪'র ফার্স্ট লুকে টাইগার শ্রফ
সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত 'সিংহাম এগেইন'র সাফল্যে উচ্ছ্বসিত টাইগার শ্রফ। এরই মধ্যে তার জনপ্রিয় অ্যাকশন ফ্র্যাঞ্চাইজির 'বাঘি ৪'র প্রথম পোস্টার প্রকাশ হয়েছে।
সোমবার তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ছবিটির উত্তেজনাপূর্ণ ও রক্তাক্ত প্রথম লুক শেয়ার করেছেন।
এক হাতে ছুরি, অন্য হাতে বোতল নিয়ে টয়লেট সিটে বসে থাকা পোস্টারের ছবি শেয়ার করেছেন টাইগার।
ছবিটির সঙ্গে অভিনেতা একটি ক্যাপশন জুড়ে দিয়েছেন। তাতে লেখা ছিল, ‘একটি অন্ধকার আত্মা, একটি রক্তাক্ত মিশন। এবার সে আগের মতো নেই!’
'বাঘি ৪' পরিচালনা করবেন কন্নড় নির্মাতা এ হর্ষ। এর মধ্যে দিয়ে বলিউডে তার অভিষেক ঘটবে।
নাদিয়াদওয়ালা গ্র্যান্ডসন ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা এবং ২০২৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে এটি।
২০১৬ সালে সাব্বির খান পরিচালিত প্রথম ‘বাঘি’ সিনেমার মাধ্যমে এ ফ্র্যাঞ্চাইজির যাত্রা শুরু হয়। এটি ছিল অ্যাকশন-ঘন থ্রিলার, যা ২০০৪ সালের তেলেগু সিনেমা ‘বর্ষম’ এবং ২০১১ সালের ইন্দোনেশিয়ান চলচ্চিত্র ‘দ্য রেইড: রিডেম্পশন’ থেকে অনুপ্রাণিত। সিনেমাটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন টাইগার শ্রফ, শ্রদ্ধা কাপুর ও সুধীর বাবু।
আহমেদ খান পরিচালিত দ্বিতীয় পর্ব ‘বাঘি ২’ মুক্তি পায় ২০১৮ সালে। এই সিনেমাটি ছিল তেলেগু সিনেমা ‘ক্ষনম’-এর রিমেক। এতে টাইগার শ্রফের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন দিশা পাটানি, মনোজ বাজপেয়ী ও রণদীপ হুদা।
২০২০ সালে ‘বাঘি ৩’ মুক্তি পায়।সেটিও আহমেদ খান পরিচালনা করেছিলেন। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন টাইগার শ্রফ, রিতেশ দেশমুখ ও শ্রদ্ধা কাপুর।
টাইগার শ্রফ ২০১৪ সালে বলিউডে তার অভিষেক ঘটান সাব্বির খান পরিচালিত ‘হিরোপান্তি’ সিনেমার মাধ্যমে। এরপর তিনি ‘বাঘি’, ‘বাঘি ২’, ‘বাঘি ৩’, ‘ওয়ার’, ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার ২’, ‘মুন্না মাইকেল’, ‘এ ফ্লাইং জাট’, ‘হিরোপান্তি ২’ এবং ‘গণপথ’-সহ বেশ কয়েকটি সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার সাম্প্রতিকতম উপস্থিতি ছিল ‘সিংহম অ্যাগেইন’ সিনেমায়।
২ সপ্তাহ আগে
নতুন করে হুমকির পর চার স্তরের নিরাপত্তার মধ্যে সালমানের শুটিং
বেশ কিছুদিন ধরে কয়েক দফায় বলিউড নায়ক সালমান খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের লোকজন।
এর ফলে নিরাপত্তা বলইয়ের মধ্যেই চলছেন সালমান। লাগাতার হুমকির মধ্যেও কাজ বন্ধ করেননি তিনি। এর মধ্যেই তার নতুন ছবি ছবি ‘সিকান্দার’র শুটিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার বিষ্ণোইয়ের লোকজন নতুন করে হুমকি দিয়েছেন সালমান খানকে।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই হুমকিবার্তা পেয়েছে মুম্বাইয়ের ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুম। একটি গানে সালমানের সঙ্গে বিষ্ণোই গোষ্ঠীকে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। তাতেই আবারও ক্ষুব্ধ হয়েছেন গ্যাংস্টারের অনুগামীরা।
আরও পড়ুন: শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি
ওই গান যিনি লিখেছেন, তার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তারা।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে হায়দরাবাদে পৌঁছেছেন সালমান। 'সিকান্দার’র শুটিংয়ে আপাতত কয়েকদিন সেখানেই থাকবেন।
তবে হুমকির চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা।
সালমানকে ‘ওয়াই’ কাটাগরির নিরাপত্তা আগেই দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।
এই মুহূর্তে হায়দরাবাদের যে হোটেলে রয়েছেন সালমান, সেখানে কর্মীদের বেশ কয়েকটা নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে অভিনেতার কাছে পৌঁছাতে হবে। ঢোকা ও বেরোনোর সময় পরিচয়পত্র দেখাতেই হবে। এ ছাড়াও, অভিনেতা শুটিং করছেন যেখানে, সেখানে বেশ কিছু নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। রয়েছেন প্রাক্তন প্যারামিলিটারিরাও। সেইসঙ্গে সালমানের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী ও সবসময়ের ছায়াসঙ্গী শেরা রয়েছেন।
তার ওপর হায়দরাবাদ পুলিশও দিয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। ভাইজানের ধারে কাছে যাতে কেউ ঘেঁষতে না পারে, তার জন্যই এতটা কড়াকড়ি।
এর আগে ১২ অক্টোবর মুম্বাইয়ে সালমানের ঘনিষ্ঠ রাজনীতিক বাবা সিদ্দিকি খুন হন। সেই সময় ‘সিকান্দার’ ছবির শুটিং করছিলেন ভাইজান। খবর পেয়েই তিনি শুটিং ফ্লোর থেকে সরাসরি হাসপাতালে পৌঁছান। পরের দিন তিনি সিদ্দিকির শেষকৃত্যেও উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম
আরও পড়ুন: ‘তোমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি’: জন্মদিনে শাহরুখকে মেয়ে সুহানা
৩ সপ্তাহ আগে
ভূতের গল্পে পর্দায় আসছেন সত্যম, সন্দীপ্তা ও সুহত্র
সত্যম, সন্দীপ্তা ও সুহত্রকে নিয়ে টলিউডে আসছে ‘ভূত ও পূর্ব’। তিনটি আলাদা গল্পের সমন্বয়ে বড় পর্দায় আসছে ‘ভূত ও পূর্ব’।
পরিচালক কাকলি ঘোষ ও অভিনব মুখোপাধ্যায় যৌথভাবে এ ছবি নির্মাণ করছেন।
এর মাধ্যমেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মণিহারা’ আবারও ফিরছে বড় পর্দায়। ফণীভূষণ হয়ে পর্দায় দেখা দিচ্ছেন সত্যম ভট্টাচার্য আর মণিমালিকা হয়ে আসছেন অমৃতা চট্টপাধ্যায়।
১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সত্যজিৎ রায় পর্দায় এনছিলেন ফণীভূষণ ও মণিমালিকাকে। ২০২৪ সালে ফের জানা গেল পর্দায় ফিরবে মণিমালিকা ও ফণিভূষণ। এবারও মণিহারার সঙ্গে আলাদা দুটি ভূতের গল্প থাকছে। তবে সেগুলো রবীন্দ্রনাথের গল্প নয়।
কমেডি ঘরানার ভূতের সিনেমা ‘বল্লভপুরের রূপকথা’র মাধ্যমেই দর্শকপ্রিয়তা পেছেন সত্যম। আরও একবার ভূতের ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন তিনি।
বাংলা সাহিত্যের তিনটি জনপ্রিয় গল্প নিয়েছেন এই দুই পরিচালক। রবীন্দ্রনাথের ‘মণিহারা’র পাশাপাশি থাকছে তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তারানাথ তান্ত্রিক’ সিরিজ়ের একটি গল্প এবং মনোজ সেনের ‘শিকার’।
ছবিতে ভিন্ন সময়ের তিনটি গল্পের মধ্যে একটি যোগসূত্রও থাকবে বলে জানিয়েছেন ছবি সংশ্লিষ্টরা।
নতুন ‘মণিহারা’ গল্পে ফণিভূষণের চরিত্রেই অভিনয় করছেন সত্যম। মণিমালিকার চরিত্রে রয়েছেন অমৃতা চট্টোপাধ্যায়। অন্য দিকে তারানাথ তান্ত্রিক এবং মাতু পাগলির চরিত্রে রয়েছেন সপ্তর্ষি মৌলিক এবং রূপাঞ্জনা মিত্র।
‘শিকার’ গল্পে রয়েছেন সুহোত্র মুখোপাধ্যায় ও সন্দীপ্তা সেন।
আরও একবার ভূতের ছবিতে অভিনয় নিয়ে সত্যম বলন, কাহিনি আলাদা। তাই তিনি চিন্তিত নন।
তিনি আরও বলেন, ‘কাকলি ও অভিনব থিয়েটারে জগতের মানুষ। খুব অন্যভাবে চিত্রনাট্য ভেবেছেন। আশা করি ছবিটা দর্শকের পছন্দ হবে।’
সম্প্রতি ছবির জন্য অভিনেতাদের লুক সেটও করা হয়েছে। বোলপুরে ছবির আউটডোর শুরু হবে আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে। তারপর শহরের একাধিক লোকেশন জুড়ে হবে ছবি শুটিং।
সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম
৩ সপ্তাহ আগে
প্রখ্যাত অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে রাজধানীর কলাবাগানে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার বয়স হয়েছিল ৯৫। মাসুদ আলী বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন এবং বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
তার জানাজা ও দাফনের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
মাসুদ আলী খান ১৯২৯ সালের ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকায় বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রতিষ্ঠার পর 'ভাই ভাই সবাই' নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার।
সাদেক খানের 'নদী ও নারী' (১৯৬৪) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রুপালি পর্দায় তার অভিষেক হয়। এরপর 'দীপু নাম্বার টু' (১৯৯৬), 'দুই দুয়ারী' (২০০০), 'মাটির ময়না' (২০০২), 'মোল্লা বাড়ির বউ' (২০০৫) এবং 'প্রিয়তমেষু' (২০০৯) চলচ্চিত্রে অভিনয়সহ আরও অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
মাসুদ আলী খান 'কোথাও কেউ নেই', 'এই সব দিন রাত্রি', 'বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল', '৬৯', 'সুখী মানুষ প্রকল্প', 'দিন চলে যায়', 'গুলশান এভিনিউ'সহ অনেক জনপ্রিয় টেলিভিশন নাটক ও সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করার জন্য পরিচিত।
তিনি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও কাজ করেছেন। ১৯৮৮ সালে তিনি বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
দেশের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের জন্য মাসুদ আলী খান ২০২৩ সালে একুশে পদক এবং মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা ২০২৩ লাভ করেন।
তার মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: সুজিত সরকারের সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের নতুন ছবি 'আই ওয়ান্ট টু টক'
১ মাস আগে
সুজিত সরকারের সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের নতুন ছবি 'আই ওয়ান্ট টু টক'
এবার পরিচালক সুজিত সরকারের ফিরছেন অভিনেতা অভিষেক বচ্চন। গতকাল বুধবার তাদের নতুন ছবির এক ঝলক উন্মোচিত হয়েছে।
'আই ওয়ান্ট টু টক' শিরোনামের ছবিটি ২০২৪ সালের ২২ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।
ইনস্টাগ্রামে অভিষেক একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে আমরা দেখা যাচ্ছে, অভিষেকের মুখ একটি বাবলহেডে রাখা হয়েছে। ব্যাকগ্রাউন্ডে অভিনেতার কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে, 'আমি শুধু কথা বলতে ভালোবাসি না, আমি কথা বলার জন্যই বাঁচি। আমি শুধু জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে এই মৌলিক পার্থক্যটাই দেখতে পাই। যারা বেঁচে আছেন তারা কথা বলতে পারেন; যারা মারা গেছে তারা পারবে না।’
ওই পোস্টের ক্যাপশনে অভিষেক লেখেন, ‘আমরা সবাই জানি যে একজন মানুষ কথা বলতে ভালোবাসে। এখানে এমন একজন ব্যক্তির গল্প বলা হয়েছে, যিনি সর্বদা জীবনের উজ্জ্বল দিকটি দেখেন; জীবন তাকে যেটাই দিক না কেন! আপনার পরিচিত ব্যক্তিকে ট্যাগ করুন যিনি কথা বলার জন্য বেঁচে আছেন।’
চলতি বছরের মার্চে মুম্বাইয়ে প্রাইম ভিডিওর অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এই পরিচালক ও অভিনেতা জুটি আশ্বাস দিয়েছিলেন, প্রকল্পটি দর্শকদের মুখে হাসি ফোটাবে।
সুজিচত বলেন, ‘আমি সাধারণ জীবন নিয়ে সিনেমা বানাই এবং সেই সাধারণ চরিত্রগুলোকে অসাধারণ করে তোলার চেষ্টা করি। এই ছবি আপনাকে হাসাবে এবং আপনাকে উষ্ণতা দেবে।’
প্রকল্পের অফিসিয়াল সারসংক্ষেপে লেখা ছিল, কখনো কখনো জীবন আমাদের দ্বিতীয় সুযোগ দেয়। অর্জুন নামে এক ব্যক্তি 'দ্য আমেরিকান ড্রিম' এর সন্ধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসতি স্থাপন করেছিলেন। এটি তার মেয়ের সঙ্গে তার বন্ধনকে পুনরায় আবিষ্কার এবং আলিঙ্গন করার একটি সুযোগ।
এতে আরও লেখা হয়েছে, সুজিত সরকার এই সিনেমা বাবা ও কন্যার সম্পর্ক নিয়ে তৈরি করেছেন। একটি অন্তরঙ্গ আবেগঘন যাত্রা, যেখানে তারা জীবনের অপ্রত্যাশিত ঘটনাগুলোকে মোকাবিলা করে একটি কাহিনীর মাধ্যমে। চলচ্চিত্রটি আমাদের জীবনের ক্ষণস্থায়ী মুহূর্তগুলোর সত্যিকারের মূল্য আবিষ্কার করে, প্রত্যেককে লালন করতে শিখে।
রাইজিং সান ফিল্মস এবং কিনো ওয়ার্কস প্রযোজিত এই ছবিতে আরও রয়েছেন জনি লিভার, অহল্যা বামরু এবং জয়ন্ত কৃপলানি।
১ মাস আগে
মার্চে মুক্তি পাচ্ছে সি শঙ্করন নায়ারকে নিয়ে নির্মিত অক্ষয় ও করণ জোহরের ছবি
ভারতীয় আইনজীবী ও রাষ্ট্রনায়ক সি শঙ্করন নায়ারের গল্প অবলম্বনে নির্মিত বহুল প্রতীক্ষিত অক্ষয় কুমারের সিনেমা বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমাটি ২০২৫ সালের ১৪ মার্চ হিট হতে যাচ্ছে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) করণ জোহরের ধর্ম প্রোডাকশনের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। ছবিটির নাম এখনও ঠিক হয়নি। এতে তামিল অভিনেতা রঙ্গনাথান মাধবন (আর. মাধবন হিসেবে বেশি পরিচিত) এবং অনন্যা পান্ডেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
আরও পড়ুন: বিবি টাঙ্গা, এরিক কেরিজ, মিঠুন চক্র ও সাদ চৌধুরী সমন্বিত ফিউশন পপ কনসার্টের আয়োজন
কুখ্যাত জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের পটভূমিতে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি ব্যারিস্টার সি শঙ্করন নায়ারের অসাধারণ জীবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে। সি শঙ্করন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন এবং ভারতের ঔপনিবেশিক ইতিহাসের অন্যতম অন্ধকার অধ্যায়ের সময় সংঘটিত নৃশংসতা প্রকাশের জন্য লড়াই করেছেন।
রঘু পলাত এবং পুষ্পা পলাতের ‘দ্য কেস দ্যাট শক দ্য এম্পায়ার’ বই থেকে নেওয়া এই কাহিনীটি মূলত গণহত্যাকে জনসাধারণের নজরে আনার নায়ারের যে লড়াই তাকে কেন্দ্র করেই। অতুলনীয় তাৎপর্যপূর্ণ একটি আদালতের নাটকে ব্রিটিশ প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ জানায়।
ব্রিটিশ বাহিনী ১৯১৯ সালে সংঘটিত জালিয়ানওয়ালাবাগে শত শত নিরস্ত্র ভারতীয় নাগরিকের ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল। যা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত।
ধর্ম প্রোডাকশনের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘একটি গণহত্যার মর্মান্তিক ধামাচাপা দেওয়ার বিষয়ে শিরোনামহীন চলচ্চিত্রটি ভারতের শীর্ষ ব্যারিস্টার সি শঙ্করন নায়ারকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে একটি অভূতপূর্ব লড়াইয়ে বাধ্য করে।’
আরও পড়ুন: '৫ কোটি রুপি না দিলে বাবা সিদ্দিকির মতো পরিণতি হবে': সালমান খানকে হুমকি
চলচ্চিত্রটি বাস্তব জীবনের ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত এবং 'দ্য কেস দ্যাট শক দ্য এম্পায়ার' বই অবলম্বনে নির্মিত।
করণ সিং ত্যাগি পরিচালিত এই ছবিটি কোর্টরুম ড্রামা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও প্লটটির আরও বিশদ বিবরণ গোপন রয়েছে। এটি একটি কঠোর আখ্যান হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, যেখানে অক্ষয় কুমার নায়ারের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
অক্ষয় কুমার বক্স অফিসে একটি চ্যালেঞ্জিং পর্বে রয়েছেন। সম্প্রতি তার কমেডি হাউসফুল ৫ এর চিত্রগ্রহণ শেষ করেছেন। বিদেশে এটির বিদেশি শুটিং করার পরিকল্পনা ছিল।
বক্স অফিসে অভিনেতার সাম্প্রতিক সংগ্রাম সত্ত্বেও তার আসন্ন চলচ্চিত্রগুলোর একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অগ্রগতি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জলি এলএলবি ৩, সিংহাম এগেইন (যেখানে তিনি একটি বিশেষ উপস্থিতি তৈরি করেন) এবং স্কাই ফোর্স।
অক্ষয় কুমারের ভক্তরা ঐতিহাসিক নাটকগুলোর মতো একইভাবে চলচ্চিত্রটির মুক্তির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তারা আশা করছেন, এটি ভারতের আইনি ইতিহাসে কম পরিচিত, তবে গভীরভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের জীবন ও কৃতিত্বের উপর আলোকপাত করবে।
সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম
আরও পড়ুন: 'আপনাকে অজ্ঞ বলতে বাধ্য করবেন না’: উপদেষ্টা নাহিদকে অভিনেতা সোহেল রানা
১ মাস আগে
'৫ কোটি রুপি না দিলে বাবা সিদ্দিকির মতো পরিণতি হবে': সালমান খানকে হুমকি
পাঁচ কোটি রুপি না দিলে বলিউড অভিনেতা সালমান খানের পরিণতিও বাবা সিদ্দিকির মতো হবে বলে মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের কাছে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে।
ওই বার্তায় আরও বলা হয়েছে, এই অর্থের বিনিময়ে তাকে কারাবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সমাধান করতে হবে।
বার্তা প্রেরক নিজেকে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছেন।
মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি হুমকি বার্তা পাঠানো হয়েছে, যেখানে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে অভিনেতা সালমান খানের কাছ থেকে ৫ কোটি রুপি দাবি করা হয়েছে।’
বার্তা প্রেরক বরেন, ‘এটিকে হালকাভাবে নেবেন না, যদি সালমান খান বেঁচে থাকতে চান এবং লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে শত্রুতা শেষ করতে চান তবে তাকে ৫ কোটি টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে বাবা সিদ্দিকির থেকেও খারাপ পরিণতি হবে সালমান খানের।’
মুম্বই পুলিশ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং মামলার তদন্ত শুরু করেছে।
সম্প্রতি ভারতীয় রাজনৈতিক দল এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুন হয়ছেন।
এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করা শিবকুমার গৌতম ও জিশান আখতারের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার (এলওসি) জারি করেছে মুম্বাই পুলিশ।
মুম্বাই পুলিশ প্রাথমিকভাবে শুধু শুভম লোঙ্কারের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করেছিল এবং এখন এই দুজনের বিরুদ্ধেও এটি জারি করেছে, পুলিশ সন্দেহ করছে যে তারা নেপালে পালিয়ে যেতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিটি সীমান্ত ও বিমানবন্দরে অভিযুক্ত সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্তদের সন্ধান চলছে।
এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকীর ছেলে জিশান সিদ্দিকি তার বাবা ও পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।
এখনও পর্যন্ত মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে, তিনজন পলাতক রয়েছে, পুলিশ সক্রিয়ভাবে তাদের সন্ধান করছে।
এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দিকিকে নির্মল নগরে তার অফিসের বাইরে গুলি করা হয়। এ সময় তার বুকে দুটি গুলি লাগে। তাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।
১ মাস আগে
অস্কারে যাচ্ছে লাপাতা লেডিস
সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাস খুব একটা উজ্জ্বল নয়। দীর্ঘ কয়েক দশকের ব্যবধানে মনোনয়ন পর্যন্ত যেতে পেরেছে মাত্র ৩টি সিনেমা; ‘মাদার ইন্ডিয়া’ (১৯৫৭), ‘সালাম বোম্বে!’ (১৯৮৮) এবং ‘লাগান’ (২০০১)। আগামী ৯৭-তম অস্কারে এই বিভাগে প্রতিযোগিতার জন্য বাছাই করা হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের জনপ্রিয় মুভি ‘লাপাতা লেডিস’কে। চলুন, চলচ্চিত্রটিকে ঘিরে সৃষ্টি হওয়া নতুন সম্ভাবনার বিষয়টি বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
লাপাতা লেডিস বৃত্তান্ত
জিও স্টুডিও, আমির খান প্রোডাকশন এবং কিন্ডলিং পিকচার্স প্রযোজিত এই সিনেমার প্রথম প্রকাশ ঘটে ২০২৩-এর ৮ সেপ্টেম্বর টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। তারপর ২০২৪-এর পহেলা মার্চ-এ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াটা খুব একটা সুখকর ছিলো না। তবে ২৬ এপ্রিল নেটফ্লিক্সে-এ প্রিমিয়ার হওয়ার পর থেকে দর্শক মহলে অভাবনীয় সাড়া পেতে শুরু করে স্যাটায়ারধর্মী চলচ্চিত্রটি।
মুভিটির পরিচালনায় ছিলেন বলিউডের ‘মিস্টার পার্ফেকশনিস্ট’ হিসেবে খ্যাত সফল অভিনেতা আমির খানের প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাও। প্রযোজনা কমিটিতে ছিলেন এই প্রাক্তন দম্পতির পাশাপাশি আরও ছিলেনকিরণ রাও, আমির খান, এবং জ্যোতি দেশপান্ডে।
আরও পড়ুন: ২০২৬-এর ঈদ চলচ্চিত্রে মুখোমুখি শাহরুখ ও রণবীর
ছবির শ্রেষ্ঠাংশে দেখা গেছে প্রতিভা রান্তা, নিতানশি গোয়েল, ছায়া কদম, স্পর্শ শ্রীবাস্তাব, অভয় ডুবে, গীতা আগারওয়াল, রবি কিষাণ, এবং দুর্গেশ কুমারকে।
অস্কারের পথে লাপাতা লেডিস
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার ভারতের ফিল্ম ফেডারেশন জুরি আসন্ন ৯৭তম অস্কারের জন্য তাদের নির্বাচিত সিনেমা হিসেবে ‘লাপাতা লেডিস’র নাম ঘোষণা করে। ছবিটি ভারতীয় সিনেমা হিসেবে অস্কারের সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম ক্যাটাগরিতে মনোনয়নের জন্য প্রতিযোগিতা করবে।
আসামের চলচ্চিত্র পরিচালক জাহ্নু বড়ুয়ার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিটিতে ছিলেন মোট ১৩ জন সদস্য। এই বাছাই প্রক্রিয়ায় ‘লাপাতা লেডিস’ পেছনে ফেলেছে কানজয়ী ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’, বলিউড হিট ‘অ্যানিম্যাল’ ও মালায়ালামের ‘আট্টাম’ সহ মোট ২৯টি চলচ্চিত্রকে।
সাধারণ নিয়মানুসারে, অস্কারের আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম বিভাগের জন্য প্রত্যেক দেশ থেকে শুধুমাত্র একটি চলচ্চিত্রের নাম গৃহীত হয়। এভাবে সারা বিশ্ব থেকে প্রাপ্ত আবেদন থেকে প্রস্তুত করা হয় ১৫টি সিনেমার সংক্ষিপ্ত তালিকা। আর এই তালিকা থেকে পরবর্তীতে অস্কারের মূল আসরে মনোনয়নে যায় ৫টি ছবি।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন শাওন
অস্কার কমিটিতে ছবি জমা দেওয়ার সর্বশেষ সময়সীমা আগামী ১৪ নভেম্বর। নির্বাচিত প্রতিযোগীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৭ ডিসেম্বর। অতঃপর ২০২৫ সালের ১৭ জানুয়ারি ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম, যারা অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হবে। সেই সূত্রে, ‘লাপাতা লেডিস’র অস্কার যাত্রায় এখনও আরও দুটি কঠিন ধাপ রয়েছে।
অস্কারের ৯৭তম আসর বসবে ২০২৫ সালের ২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়ার ডলবি থিয়েটারে।
২ মাস আগে
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড চালু
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড বিলুপ্ত করার বিষয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের ক্রমাগত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার অবশেষে রবিবার 'বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড' প্রতিষ্ঠা করেছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ১৫ সদস্যের নতুন সার্টিফিকেশন বোর্ড কমিটি প্রকাশ করে রবিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সেন্সর বোর্ড ও সার্টিফিকেশন বোর্ডের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো সেন্সর মূলত মুক্তির জন্য চলচ্চিত্রগুলো অনুমোদনের জন্য কাজ করেছিল। এর জন্য তারা চূড়ান্ত মুক্তি থেকে নির্দিষ্ট দৃশ্যগুলো কেটে ফেলা বা এমনকি পুনরায় শ্যুট করার দাবি জানাতে পারে। এতে ব্যর্থ হলে তারা একটি ছবির মুক্তি আটকে দিতে পারে।
অন্যদিকে একটি সার্টিফিকেশন বোর্ড তাদের সামনে রাখা কাজের মূল্যায়ন করবে এবং উপযুক্ত দর্শকদের জন্য এটির মুক্তির ব্যবস্থা করবে। যেমন- কিছু চলচ্চিত্র শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক দর্শকদের জন্য অনুমোদিত হতে পারে, যা সিনেমা হলে সেগুলো দেখানোর সময়কে প্রভাবিত করে, অন্যগুলো সর্ব সাধারণের জন্য অনুমোদিত হতে পারে। মুক্তি, তাদের উপর কোনো বিধিনিষেধ নেই।
সিস্টেমটি শৈল্পিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য বোঝানো হয়েছে, বোর্ডের সদস্যদের চূড়ান্ত বিষয়বস্তুর বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার সেন্সর বোর্ডের সংস্কার করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বা সচিবকে চেয়ারম্যান করে এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যানকে সদস্য সচিব করে।
একই কর্মকর্তারা সদ্য চালু হওয়া সার্টিফিকেশন বোর্ডের পদগুলো গ্রহণ করবেন এবং পুরো বোর্ড কর্মকর্তাদের এখন সার্টিফিকেশন বোর্ডের কর্মকর্তা হিসাবে স্থানান্তরিত করা হবে।
অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াত খান, চলচ্চিত্র নির্মাতা-চলচ্চিত্র গবেষক ও শিক্ষাবিদ জাকির হোসেন রাজু, লেখক-চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা তাসমিয়া আফরিন মৌ, চলচ্চিত্র প্রযোজক-লেখক-পরিচালক রফিকুল আনোয়ার রাসেল, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, চলচ্চিত্র প্রযোজক জাহিদ হোসেন, চলচ্চিত্র সম্পাদক ইকবাল এহসানুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নতুন বোর্ডের সদস্য হবেন।
সেন্সর বোর্ড বিলুপ্ত করে যথাযথ সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠনের দাবি দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, শিল্পী ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘদিনের। অতীতে বোর্ডের সিদ্ধান্তে দেশের বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন; যেমন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, যিনি বছরের পর বছর ধরে তার 'শনিবার বিকেল' ছবির সেন্সরশিপ নিয়ে লড়াই করেছেন।
ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পূর্ববর্তী শাসনের পতনের পরে, চলচ্চিত্র শিল্পের পেশাদাররা পূর্ববর্তী সেন্সর বোর্ডের সংস্কার এবং একটি নতুন সার্টিফিকেশন বোর্ড প্রতিষ্ঠার জন্য জোরালো অনুরোধ করেছিলেন।
১৯৬৩ সালের 'সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট'-এর আওতায় ১৫ সেপ্টেম্বর সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠনের বিপক্ষে সোচ্চার হন বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক ও চলচ্চিত্র সংগঠক। 'বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩' এর ধারা ৩ এর উপধারা (১) অনুযায়ী নতুন সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
২ মাস আগে