সিনেমা
ঈদুল ফিতর ২০২৫-এ ঢালিউডে মুক্তির অপেক্ষায় যে সকল বাংলাদেশি সিনেমা
বাণিজ্যিক ঘরানার পাশাপাশি অভিনব গল্প ও আধুনিক চিত্রনাট্যে সমৃদ্ধ সিনেমা সাদরে গ্রহণ করেছে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রপ্রেমিরা। বিশেষ করে ঈদ উৎসবে এখনও সিনেমা হলগুলোতে থাকে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতরেও নানান উদ্দীপনার খোরাক যোগাচ্ছে নতুন কিছু ছবি। চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আসন্ন ঈদে ২০২৫ ঈদুল ফিতরে ঢালিউডে মুক্তি পাচ্ছে যে সকল চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় থাকা চলচ্চিত্রগুলো।
২০২৫ ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাচ্ছে যে সকল বাংলাদেশি চলচ্চিত্র
.
বরবাদ
ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান ও কলকাতার ইধিকা পল জুটির এই দ্বিতীয় কাজটি নিয়ে ইতোমধ্যে চলচ্চিত্র পাড়ায় বেশ হৈচৈ চলছে। এর আগে প্রিয়তমা (২০২৩)-তে বেশ সাড়া ফেলেছিলো এই জুটি। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ভারতের যীশু সেনগুপ্তের যুক্ত হওয়া ছবিটির প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। একটি আইটেম গানে ক্যামিও চরিত্রে থাকবেন কলকাতার আরেক তারকা নুসরাত জাহান-কে।
রোমান্টিক অ্যাকশন থ্রিলারটি পরিচালনার মধ্য সিনেমা নির্মাণে পদার্পণ করেন মেহেদী হাসান হৃদয়। প্রযোজনায় রয়েছেন শাহরিন আক্তার সুমি (রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন) এবং আজিম হারুন (রিধি সিধি এন্টারটেইনমেন্ট)।
অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, মামুনুর রশীদ, এবং ইন্তেখাব দিনার।
আরো পড়ুন: ‘কৃশ ৪’-এর বিশাল বাজেটে অনিশ্চিত বিনিয়োগ, কেন সরে দাঁড়ালেন রাকেশ রোশান
সংগীত আয়োজনে আছেন প্রীতম হাসান। ২০২৪ সালের তুফান চলচ্চিত্রে তার ‘লাগে উড়া ধুরা’ গানটি বিভিন্ন মহলে বেশ সমাদৃত হয়। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার কাজ করছেন শাকিব খানের সঙ্গে। প্রীতমসহ ছবির বিভিন্ন গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বলিউডের কয়েকজন গায়ক।
অ্যাকশন দৃশ্য পরিচালনা করেছেন বলিউড ও তেলুগু ইন্ডাস্ট্রির অ্যাকশন ডিরেক্টর রবি বর্মা। নাচের কোরিওগ্রাফি করেছেন বলিউডের আদিল শেখ।
জংলি
বেশ কয়েকবার মুক্তির তারিখ পিছিয়ে অবশেষে প্রেক্ষাগৃহে যাচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র জংলি। এম রাহিম পরিচালিত রোমাঞ্চকর নাট্য চলচ্চিত্রটির প্রধান ভূমিকায় আছেন এ সময়কার দর্শকনন্দিত তারকা সিয়াম আহমেদ। তার প্রধান সহশিল্পীরা হলেন শবনম বুবলী ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি।
সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমার গল্প লিখেছেন আজাদ খান। মেহেদী হাসান ও সুকৃতি সাহা যৌথভাবে গল্পটিকে চিত্রনাট্যে রূপ দিয়েছেন।
আরো পড়ুন: গৌরী স্প্রাট কে? আমির খানের বান্ধবী, বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক উদ্যোক্তা
অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, দিলারা জামান, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এবং এরফান মৃধা শিবলু।
প্রিন্স মাহমুদের সংগীত পরিচালনায় একটি বিশেষ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তাহসান খান। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে এমআইবি স্টুডিও এবং টাইগার মিডিয়া।
দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে ২৫ এপ্রিল চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিকভাবে উন্মুক্ত হবে।
দাগি
২০২৩ সালে শাকিব অভিনীত প্রিয়তমার সাথে প্রতিযোগিতা করেছিলো আফরান নিশোর সুড়ঙ্গ। এবার তারই পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে আসন্ন ঈদে। প্রথম ছবি সুড়ঙ্গ-এর পর প্রায় দেড় বছরের বিরতিতে ছিলেন ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় অভিনেতা। তারপর ভক্তদের হতবাক করে দিয়ে দিলেন দ্বিতীয় চলচ্চিত্র দাগি’র সংবাদ। তার বিপরীতে নায়িকার অবস্থানও থাকছে অপরিবর্তিত। দেড় বছর সিনেমা থেকে দূরে থাকার পর দ্বিতীয়বারের মতো নিশোর সাথে জুটি বদ্ধ হয়েছেন তমা মির্জা।
আরো পড়ুন: অস্কার ২০২৫: ৯৭তম অ্যাকাডেমি পুরষ্কারের আসর মাতালেন যারা
একটি বিশেষ ভূমিকায় দেখা যাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার জয়ী অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালকে। সিনেমায় আরও রয়েছেন মনোজ কুমার প্রামানিক, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, রাশেদ মামুন অপু, মনিরা আক্তার মিঠু, এবং মিলি বাশার।
পরিচালনার পাশাপাশি ছবির কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য গড়েছেন শিহাব শাহীন। এখানে বলা হয়েছে একজন সাধারণ মানুষের অপরাধজগতে জড়ানোর গল্প। এই পটভূমিকে উপজীব্য করেই কাহিনী এগিয়ে গেছে মূল চরিত্রের প্রায়শ্চিত্য ও মুক্তির দিকে।
২০১৫ সালে ‘ছুঁয়ে দিলে মন’-এর পর ‘দাগি’ নির্মাতার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। এটি এসভিএফ আলফা-আই এবং দেশীয় ওটিটি (ওভার দ্যা টপ) চরকির একটি যৌথ প্রযোজনা।
চক্কর ৩০২
মোশাররফ করিম ভক্তদের জন্য এবারের ঈদে রয়েছে দারুণ চমক। শরাফ আহমেদ জীবনের গল্প, পরিচালনা এবং সহ-প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘চক্কর ৩০২’। সহ-প্রযোজনায় আরও ছিলেন আবুল ফজল মোহাম্মদ রিতু, সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন, সরদার সানিয়াত হোসেন, এবং আদনান আল রাজীব।
আরো পড়ুন: ভালোবাসা দিবস ২০২৫: ভ্যালেন্টাইনস ডেতে মুক্তি পাচ্ছে যেসব নাটক
সিনেমাতে মোশাররফ করিম একটি মার্ডার কেসের তদন্তকারী কর্মকর্তা। তার স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু।
সংলাপ লিখেছেন নাহিদ হাসনাত, যিনি সৈয়দ গাউসুল আলম শাওনের সাথে যৌথভাবে ভূমিকা রেখেছেন চিত্রনাট্যে।
বিভিন্ন চরিত্রের অভিনয়ে ছিলেন তারিন জাহান, ইন্তেখাব দিনার, মৌসুমী নাগ, রওনক হাসান, শাশ্বত দত্ত্ব, সুমন আনোয়ার, সারা আলম, ফারজানা বুশরা, আহমেদ গোলাম দস্তগীর শান, এবং ডিকন নূর।
সঙ্গীত পরিচালনার কাজ করেছেন ইমন চৌধুরী, জাহিদ নিরব, অমিত চ্যাটার্জি।
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালের রূপালি পর্দায় সুপারহিরোদের রোমাঞ্চকর অভিযান
বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্রের অনুদানে নির্মিত ছবিটি মুক্তি পাবে কারখানা প্রোডাকশন এবং গামাফ্লিক্স-এর ব্যানারে।
৫ দিন আগে
‘কৃশ ৪’-এর বিশাল বাজেটে অনিশ্চিত বিনিয়োগ, কেন সরে দাঁড়ালেন রাকেশ রোশান
‘কৃশ’ ফ্র্যাঞ্চাইজির যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৩ সালের সায়েন্স-ফিকশন সিনেমা ‘কোই... মিল গয়া’ দিয়ে। এরপর ২০০৬ সালে ‘কৃশ’ এবং ২০১৩ সালে ‘কৃশ ৩’ মুক্তি পায়। হৃত্বিক রোশন প্রতিটি কিস্তিতেই প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যেখানে শেষ দুটি সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
যদিও এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে ‘বলিউড হাঙ্গামার’ প্রতিবেদন অনুসারে ‘কৃশ ৪’-এর চিত্রনাট্য চূড়ান্ত করা হয়েছে।
রাকেশ রোশন ‘কৃশ ৪’-এর পরিচালক পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন, নতুন পরিচালকের ইঙ্গিত
বলিউডের প্রবীণ চলচ্চিত্র নির্মাতা রাকেশ রোশন অদ্যাবধি ‘কৃশ’ ফ্র্যাঞ্চাইজির পরিচালনা করেছেন । সম্প্রতি এই প্রতিভাবান নির্মাতা নিশ্চিত করেছেন যে আসন্ন চতুর্থ কিস্তির পরিচালনা তিনি করছেন না।
রাকেশ রোশন পুত্র জনপ্রিয় নায়ক হৃত্বিক রোশন অভিনীত এই ফ্র্যাঞ্চাইজি বক্স অফিসে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করেছে। তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে—কে হতে চলেছেন নতুন পরিচালক?
আরো পড়ুন: গৌরী স্প্রাট কে? আমির খানের বান্ধবী, বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক উদ্যোক্তা
এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে রাকেশ রোশন পরিচালকের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার বিষয়টি ‘বলিউড হাঙ্গামা’ কে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "এটি ভালো যে আমি এখনই দায়িত্ব হস্তান্তর করি, যখন আমার বুদ্ধি-বিবেক পুরোপুরি সচল। এতে আমি পুরো প্রক্রিয়াটি তদারকি করতে পারব এবং নিশ্চিত করতে পারব যে এটি সঠিকভাবে হচ্ছে। যদি আমি দেরি করি এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি, তাহলে আমি জানতেও পারব না তারা কী তৈরি করছে।"
তবে ‘কৃশ ৪’-এর পরিচালক না হওয়া নিয়ে কোনো হতাশা নেই বলে জানিয়েছেন রাকেশ রোশন। তিনি বলেন, "এটি একটি ঝুঁকি, যা আমাদের নিতেই হবে। কোনো নিশ্চয়তা নেই যে আমি যদি ‘কৃশ ৪’ পরিচালনা করি, সেটি সুপারহিট হবে। এটি উল্টো দিকেও যেতে পারে।"
তিনি আসন্ন ‘কৃশ ৪’ সিনেমার নতুন পরিচালকের নাম প্রকাশ করেননি, তবে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি ছবির প্রযোজনায় জড়িত থাকবেন।
আরো পড়ুন: অস্কার ২০২৫: ৯৭তম অ্যাকাডেমি পুরষ্কারের আসর মাতালেন যারা
‘কৃশ ৪’-এর বাজেট ৭০০ কোটি রুপি? স্টুডিওগুলো বিনিয়োগে অনিশ্চিত
বলিউড হাঙ্গামার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ‘কৃশ ৪’-এর বাজেট ৭০০ কোটি রুপি। এই বিশাল অঙ্কের বাজেট স্টুডিওগুলোর জন্য বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়াকে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। ফলে স্টুডিওগুলো প্রতিশ্রুতি দিতে দ্বিধা করছে।
প্রথমদিকে, হৃত্বিক রোশন তার বন্ধু সিদ্ধার্থ আনন্দকে—যিনি এই প্রকল্পের একজন প্রযোজক ছিলেন—উপযুক্ত স্টুডিও খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেন। তবে পোস্ট-মার্ভেল যুগে ছবিটির প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে সংশয় থাকায় স্টুডিওগুলো বিনিয়োগে আগ্রহী হয়নি। ফলে সিদ্ধার্থ আনন্দ ও তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মারফ্লিক্স প্রকল্পটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেদনে এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, "পোস্ট-মার্ভেল যুগে এই বাজেটে ‘কৃশ’-এর সম্ভাবনা নিয়ে স্টুডিওগুলো আত্মবিশ্বাসী ছিল না, কারণ ‘কৃশ ৩’ মুক্তির পর থেকে এক দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে।"
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালের রূপালি পর্দায় সুপারহিরোদের রোমাঞ্চকর অভিযান
তবে ইন্ডিয়া টুডে ডিজিটাল-এর কাছে এক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ‘কৃশ ৪’-এর বাজেট ৭০০ কোটি রুপি নয়। তিনি বলেন, "এই বিপুল বাজেট নিয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।"
৬ দিন আগে
অস্কার ২০২৫: ৯৭তম অ্যাকাডেমি পুরষ্কারের আসর মাতালেন যারা
মহা সমারোহে পর্দা নামলো বিশ্ব চলচ্চিত্রের মহা উৎসব অস্কারের ৯৭তম আসরের। ২০২৫-এর ২ মার্চ কোটি কোটি সিনেমাপ্রেমির উদ্দীপ্ত দৃষ্টি ছিল লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারের দিকে। অ্যাকাডেমি অব মোশন পিক্চার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস’র পরিবেশনায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল মার্কিন মুল্লুকের হলিউড সন্ধ্যা। কমেডিয়ান কোনান ও'ব্রায়েনের হাস্যোজ্জ্বল সম্ভাষণে শুরু হলো সেরা সব স্বপ্নবাজদের সম্মাননা। ২০২৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলোকে ঘিরে একে একে উদ্ভাসিত হতে থাকল ২৩টি বর্ণিল বিভাগ। চলুন, ২০২৫-এর অস্কার পুরষ্কারে ভূষিত তারকা এবং তাদের শ্রেষ্ঠ কাজগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সেরা নির্মাণ, নির্মাতা, এবং অভিনয়শিল্পীরা
আসরের সেরা সিনেমার তকমা পেয়েছে মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা শন বেকারের ছবি ‘অ্যানোরা’। মুভির সম্পাদনা, রচনা, এবং পরিচালনার পাশাপাশি প্রযোজনা টিমেও ছিলেন বেকার। আয়োজনের মধ্যমণি হতে ফিল্ম ন্যাশন ইন্টারটেইনমেন্ট ও ক্রি ফিল্মের এই যৌথ নির্মাণটিকে পেছনে ফেলতে হয়েছে ৮টি চলচ্চিত্রকে। সেগুলো হলো- 'দ্যা ব্রুটালিস্ট', 'এ কম্প্লিট আন্নোন', 'কনক্লেভ', 'ডিউন: পার্ট টু', 'এমিলিয়া পেরেজ', 'আই’অ্যাম স্টিল হেয়ার', ‘নিকেল বয়েজ’, 'দ্যা সাবস্ট্যান্স', এবং 'উইকেড'।
সেরা নির্দেশকের পুরষ্কারটিও ছিলো অ্যানোরা’র নির্মাতার হাতেই। এই প্রতিযোগিতায় বেকারের প্রতিদ্বন্দ্বীরা ছিলেন 'দ্যা ব্রুটালিস্ট'র ব্র্যাডি করবেট, 'এ কম্প্লিট আন্নোন'র জেমস ম্যানগোল্ড, 'এমিলিয়া পেরেজ'র জ্যাক অদিয়ার্দ, এবং 'দ্যা সাবস্ট্যান্স'র কোরালি ফার্জা।
'দ্যা ব্রুটালিস্ট' মুভির ‘লাজেলো টথ’ হিসেবে অভিনয়ের জন্য প্রধান চরিত্রে সেরা অভিনেতার খেতাব পেয়েছেন অ্যাড্রিয়েন ব্রডি। বিজয়ীর নাম ঘোষণার আগ পর্যন্ত তার সহযাত্রী ছিলেন ৪ জন। প্রথম দুজন হলেন 'এ কম্প্লিট আন্নোন'র বব ডিলানের ভূমিকায় থাকা টিমোথি শ্যালামেট এবং ‘সিং সিং’ চলচ্চিত্রে জন ‘ডিভাইন জি’ হুইটফিল্ডের চরিত্রে থাকা কোলম্যান ডোমিঙ্গো। বাকি দুজন 'কনক্লেভ'র কার্ডিনাল টমাস লরেন্স চরিত্রে অভিনীত রালফ ফিয়েন্স এবং ‘দি অ্যাপ্রেন্টিস’ সিনেমার ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকায় অভিনয় করা সেবাস্টিয়ান স্ট্যান।
আরো পড়ুন: ভালোবাসা দিবস ২০২৫: ভ্যালেন্টাইনস ডেতে মুক্তি পাচ্ছে যেসব নাটক
অ্যানোরা’র প্রধান অ্যানোরা ‘আনি’ মিখিভা হিসাবে চরিত্রটির জন্য সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন মাইকি ম্যাডিসন। তার এই চরিত্রের সঙ্গে আরও ৪টি চরিত্র লড়েছিলো শ্রেষ্ঠ নারী অভিনয়শিল্পী বিভাগ জেতার জন্য। প্রথম দুটি চরিত্র হলো সিনথিয়া এরিভো’র এলফাবা থ্রপ (উইকেড) এবং কার্লা সোফিয়া গ্যাস্কোন’র এমিলিয়া পেরেজ/জুয়ান ‘ম্যানিটাস’ ডেল মন্টে (এমিলিয়া পেরেজ)। বাকি দুটি ডেমি মুর অভিনীত এলিজাবেথ স্পার্কল (দ্যা সাবস্ট্যান্স) এবং ফার্নান্দা টরেস’র ইউনিস পাইভা (আই’অ্যাম স্টিল হেয়ার)।
‘এ রিয়েল পেইন’ চলচ্চিত্রের বেঞ্জি কাপলানের চরিত্রের জন্য পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে ভূষিত হয়েছেন কিইরান কালকিন। এই প্রতিযোগিতায় তিনি পেছনে ফেলেছেন ৪ অভিনেতাকে। এর মধ্যে ইউরা বোরিসভের নাম এসেছিল ‘অ্যানোরা’র ‘ইগোর’ এবং এডওয়ার্ড নর্টন নির্বাচিত হয়েছিলেন 'এ কম্প্লিট আন্নোন'র ‘পিট সিগার’ চরিত্রের জন্য। গায় পিয়ার্সের চরিত্র ছিলো 'দ্যা ব্রুটালিস্ট'-এর হ্যারিসন লি ভ্যান বিউরেন সিনিয়র এবং জেরেমি স্ট্রংয়ের চরিত্র ছিলো ‘দি অ্যাপ্রেন্টিস’র রয় কোন।
'এমিলিয়া পেরেজ'–এ রিতা মোরা ক্যাস্ত্রো চরিত্রটি করেছিলেন জো সাল্ডানা এবং এর জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরষ্কার জিতেন। বিভাগটির জন্য তিনি সহ মোট ৫ জন অভিনেত্রী মনোনীত হয়েছিল। এর মধ্যে মনিকা বারবারোকে নির্বাচিত করা হয়েছিল জোয়ান বেজ (এ কম্প্লিট আন্নোন) ভূমিকায় এবং আরিয়ানা গ্র্যান্ডের নাম এসেছিল গালিন্ডা ‘গ্লিন্ডা’ আপল্যান্ড (উইকেড) চরিত্রে অভিনয়ের জন্য। ফেলিসিটি জোন্সের চরিত্রের নাম ছিলো এর্জসেবেত টথ (দ্যা ব্রুটালিস্ট) এবং ইসাবেলা রোসেলিনির চরিত্রের নাম সিস্টার অ্যাগ্নেস (কনক্লেভ)।
এবারের আসরের সেরা এনিমেটেড ফিচার ফিল্মের মর্যাদা পেয়েছে সংলাপহীন সিনেমা ‘ফ্লো’। গিন্টস জিল্বালদিস পরিচালিত লাটভিয়ান চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে ড্রিম ওয়েল স্টুডিও, স্যাক্রেব্লিউ প্রডাকশন্স ও টেক ফাইভ’র যৌথ প্রযোজনায়। পুরষ্কার ঘোষণার আগে মনোনয়নের সারিতে এর সঙ্গে ছিলো ‘ইন্সাইড আউট ২’, যার প্রথম পর্বটি ২০১৬ সালে অস্কার জিতেছিল। অন্যান্য এনিমেটেড মুভিগুলো হলো- ‘মেমোয়ার অফ এ স্নেইল’, ‘ওয়ালেস অ্যান্ড গ্রোমিট: ভেঞ্জেন্স মোস্ট ফাউল’, এবং ‘দ্যা ওয়াইল্ড রোবট’।
২০২৪ সালের সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম ব্রাজিলিয়ান সিনেমা ‘আই অ্যাম স্টিল হেয়ার’। পর্তুগিজ ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্রটি নির্দেশনায় ছিলেন ওয়াল্টার সালেস। এই বিভাগের মনোনয়নপ্রাপ্ত ছবিগুলো হলো- 'এমিলিয়া পেরেজ' (ফ্রান্স), ‘ফ্লো’ (লাটভিয়া), ‘দ্যা গার্ল উইথ দ্যা নিডল’ (ডেনমার্ক), এবং ‘দ্যা সিড অফ দ্যা সেইক্রেড ফিগ’ (জার্মানি)।
শর্ট ফিল্মের সারিতে সেরা লাইভ অ্যাকশন বিভাগে জয় পেয়েছে ‘আই’অ্যাম নট এ রোবট’ এবং সেরা এনিমেশন জিতেছে ইরানি শর্ট ফিল্ম ‘ইন দ্যা শ্যাডো অফ দ্যা সাইপ্রাস’।
সেরা ডকুমেন্টারি ফিচার ফিল্ম ‘নো আদার ল্যান্ড’ এবং সেরা ডকুমেন্টারি শর্ট ফিল্ম ‘দি অনলি গার্ল ইন দি অর্কেস্ট্রা’।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের রূপালি পর্দায় সুপারহিরোদের রোমাঞ্চকর অভিযান
পর্দার পেছনের অন্যান্য কলাকুশলীরা
জাঁকজমক উৎসবের লাইমলাইটে থাকা চলচ্চিত্র ‘অ্যানোরা’র আরও দুটি অর্জন হচ্ছে সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য এবং সেরা চলচ্চিত্র সম্পাদনা। সিনেমাটির একমাত্র চিত্রনাট্যকার ও সম্পাদক হওয়ায় যথারীতি এই পুরষ্কারটি গিয়েছে শন বেকারের হাতেই।
অন্য গল্পের ছায়ায় নির্মিত চিত্রনাট্যে শ্রেষ্ঠ পুরষ্কারটি পেয়েছেন পিটার স্ট্রন 'কনক্লেভ' সিনেমার জন্য। এর গল্পটি তিনি নিয়েছিলেন ব্রিটিশ লেখক রবার্ট হ্যারিসের একই শিরোনামের উপন্যাস (২০১৬) থেকে।
প্রথমটির মতো ‘ডিউন: পার্ট টু'ও এবার জিতে নিয়েছে সেরা ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের খেতাব। সম্মাননার অংশীদার হয়েছেন পল ল্যামবার্ট, স্টিফেন জেম্স, রীস সালকম্ব, এবং গার্ড নাফজার। এই স্বীকৃতি অর্জনে তাদের লড়াই হয়েছিলো ‘এলিয়েন: রোমুলাস’, ‘বেটার ম্যান’, ‘কিংডম অফ দ্যা প্ল্যানেট অফ দি এপ্স’ এবং 'উইকেড'র সঙ্গে। এছাড়া 'ডিউন: পার্ট টু'র শব্দগ্রহণের জন্য পুরষ্কৃত হয়েছেন গ্যারেথ জন, রিচার্ড কিং, রন বার্টলেট, এবং ডগ হেমফিল।
'দ্যা ব্রুটালিস্ট'র অর্জনগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি পুরষ্কার হলো শ্রেষ্ঠ সিনেমাটোগ্রাফি, যেটি পেয়েছেন লল ক্রোলি। মৌলিক স্কোরের জন্য সেরা সঙ্গীতায়োজনের পুরষ্কার পেয়েছেন ড্যানিয়েল ব্লামবার্গ।
ক্লেমেন্ট ডুকল ও ক্যামিলির গাওয়া ‘এল মাল’ (এমিলিয়া পেরেজ) গানটি সেরা মৌলিক গান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ডুকল এবং ক্যামিলির পাশাপাশি গানটির কথা লিখেছেন জ্যাক অদিয়ার্দ।
'উইকেড'র শোকেস-এ যুক্ত হয়েছে সেরা প্রডাকশন ডিজাইনের পদবি, যার কৃতিত্ব নেইথান ক্রাউলি এবং লি সান্ডালিসের। আর সেরা কস্টিউম ডিজাইনের পুরষ্কার ঘরে তুলেছেন পল টাজেওয়েল।
সেরা মেকআপ ও হেয়ারস্টাইলিং বিভাগের বিজয়ীরা হলেন 'দ্যা সাবস্ট্যান্স'-এর পিয়েরে-অলিভিয়ার পার্সিন, স্টেফানি গিলন এবং মেরিলিন স্কারসেলি।
আরো পড়ুন: গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫: সঙ্গীতের সেরা পুরস্কার বিজয়ীরা
অস্কার ইতিহাসে নতুন রেকর্ড
শন বেকার ৪টি পুরষ্কার জয় করে দ্বিতীয়বারের মতো একই বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্যাটাগরিতে অস্কার জেতার রেকর্ড গড়লেন। এর আগে এই রেকর্ডের একমাত্র অধিকারী ছিলেন কিংবদন্তির এনিমেটর ওয়াল্ট ডিজনি।
এ আসরে সর্বোচ্চ মনোনয়নের (১৩) অধিকারী চলচ্চিত্র 'এমিলিয়া পেরেজ'। একই সঙ্গে এটি নন-ইংলিশ ভাষার চলচ্চিত্রের দিক থেকেও সর্বাধিক মনোনয়নপ্রাপ্ত। কেননা এর আগে চাইনিজ মুভি ‘ক্রাউচিং টাইগার, হিডেন ড্রাগন’ (২০০০) এবং স্প্যানিশ মুভি ‘রমা’ (২০১৮) প্রত্যেকে এক আসরে ১০টি মনোনয়নের অধিকারী ছিল। এছাড়াও মুভিটি ‘আই’অ্যাম স্টিল হেয়ার’ চলচ্চিত্রের সঙ্গে একত্রে সেরা ছবি এবং সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্মের জন্য মনোনয়ন পায়। একসঙ্গে দুটি বিভাগে দুটি চলচ্চিত্রের মনোনয়ন পাওয়ার ঘটনা অস্কারের ইতিহাসে এই প্রথম।
মাত্র ২৯ বছর বয়সে টিমোথি শ্যালামেট সর্বকনিষ্ঠ অভিনয়শিল্পী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো (প্রথমবার ২০১৮তে) প্রধান সেরা অভিনেতার মনোনয়ন পেয়েছেন। সর্বশেষ ১৯৫৭ সালে এই রেকর্ডের অধিকারী হয়েছিলেন জেমস ডিন।
‘অ্যানোরা’তে সহশিল্পীর মনোনয়ন পেয়েছেন রাশিয়ান অভিনেতা ইউরা বোরিসভ। ১৯৭৮ সালের মুভি ‘দ্যা টার্নিং পয়েন্ট’র জন্য মিখাইল বারিশ্নিকভের পর এই প্রথম এই বিভাগের মনোনয়নে একজন রাশিয়ান অভিনেতার নাম এসেছে।
প্রথম পর্তুগিজ ভাষার ছবি হিসেবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা ছবিটির নাম 'আই’অ্যাম স্টিল হেয়ার'।
একসঙ্গে সেরা এনিমেটেড এবং সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম উভয় বিভাগে মনোনয়ন পাওয়া দ্বিতীয় এনিমেটেড মুভি ‘ফ্লো’। পূর্বে এই ঘটনা ঘটেছিল ২০২১ সালে ‘ফ্লি’ মুভির ক্ষেত্রে।
প্রধান চরিত্রে সেরা অভিনেত্রী বিভাগে মোট ৫টি মুভি থেকে অভিনেত্রীদের মনোনয়ন নির্ধারিত হয়েছিল। এই ৫টির সবকটিই সেরা ছবি বিভাগের মনোনয়নের কাতারে রয়েছে। ১৯৭৮ সালের পর এই ৯৭তম অস্কারে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটনাটির পুনরাবৃত্তি ঘটল।
'উইকেড' ছবির সেরা শব্দগ্রহণে মনোনয়নপ্রাপ্ত আর্টিস্টদের মধ্যে রয়েছেন অ্যান্ডি নেলসন। এই সাউন্ড মিক্সার এ নিয়ে মোট ২৫টি অস্কার মনোনয়ন পেলেন। এর মাধ্যমে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মনোনয়নধারীর রেকর্ড করলেন। প্রথম স্থানে থাকা ব্যক্তিটি হচ্ছেন জন উইলিয়াম্স, যিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগে এ নিয়ে সর্বমোট ৫৪টি মনোনয়ন পেয়েছেন।
শেষাংশ
২০২৫ সালের অস্কার বিশ্ব চলচ্চিত্র ইতিহাসের কতগুলো অনন্য ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল। উৎসবমুখরতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ‘অ্যানোরা’। সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা প্রধান অভিনেত্রী (মাইকি ম্যাডিসন), সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য ও সেরা সম্পাদনা সবই এই মুভির ঝুলিতে। সেরা প্রধান অভিনেতা (অ্যাড্রিয়েন ব্রডি), সেরা সিনেমাট্রোগ্রাফি, এবং সেরা মৌলিক স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে 'দ্যা ব্রুটালিস্ট'। 'এমিলিয়া পেরেজ'র সর্বোচ্চ সংখ্যক মনোনয়নের রেকর্ডের ফলে আরও বেশি বিদেশি ভাষার সিনেমামুখী হবে সিনেমাপ্রেমীরা। সর্বোপরি, প্রতিটি বর্ণিল ক্যাটাগরি বৈচিত্র্যপূর্ণ সজ্জায় নৈপুণ্য মেলে ধরেছে সমগ্র চলচ্চিত্র জগৎকে।
আরও পড়ুন: ষাটে পা রাখতে যাচ্ছেন বলিউডের তিন খান, কী থাকছে চমক?
২০ দিন আগে
২০২৫ সালের রূপালি পর্দায় সুপারহিরোদের রোমাঞ্চকর অভিযান
বিশ্ব চলচ্চিত্রে ফ্যান্টাসি ঘরানার মহাকাব্যিক আখ্যানগুলো অনেক আগে থেকেই সমাদৃত হয়ে এসেছে। তন্মধ্যে অভূতপূর্ব শক্তির কিংবদন্তির জন্য সুপারহিরো মুভিগুলোর জনপ্রিয়তা যারপরনাই বেশি। ২১ শতকে ভিজুয়াল ইফেক্টে পরিপক্কতা আসায় এই দর্শকপ্রিয়তা রূপ নিয়েছে ঝড়ো হাওয়ায়।
বিশেষ করে মার্ভেল ও ডিসি মুভিগুলোর অনুষঙ্গ উঠলে মুভিপ্রেমিরা রীতিমত হামলে পড়েন। অন্যান্য বছরগুলোর মতো ২০২৫ সালেও সুপারহিরোকে রূপালি পর্দায় আনতে যাচ্ছে খ্যাতিমান কয়েকটি ফিল্ম হাউজ।
চলুন, বহুল প্রত্যাশিত সেই চলচ্চিত্রগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
২০২৫ সালের যত সুপারহিরো চলচ্চিত্র
.
ডগ ম্যান/৩১ জানুয়ারি, ২০২৫
ডেভ পিল্কির শিশুতোষ গ্রাফিক উপন্যাস সিরিজ ‘ডগ ম্যান’-এর পূর্ণদৈর্ঘ্য এনিমেটেড সংস্করণ তৈরি করেছে ড্রিমওয়ার্ক্স এনিমেশন। ইউনিভার্সাল পিকচার্স নিবেদিত এই কমেডি মুভি ‘ক্যাপ্টেন আন্ডারপ্যান্ট্স’ ফ্র্যাঞ্চাইজির দ্বিতীয় ছবি। রচনা ও পরিচালনায় ছিলেন পিটার হেস্টিংস। অ্যাকশন কমেডিটি নিমির্ত হয়েছে ২০১৭ সালের ‘ক্যাপ্টেন আন্ডারপ্যান্ট্স: দ্যা ফার্স্ট এপিক মুভি’ চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপটে। মজার এই চলচ্চিত্রটির গল্প ডগ ম্যানকে নিয়ে, যার পুরো শরীরটাই মানুষের কিন্তু গলার উপরের অংশ কুকুরের।
আরো পড়ুন: জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছাড়া পেয়েছেন শাওন ও সোহানা সাবা
তার রয়েছে অতিমানবীয় শক্তি ও ক্ষিপ্রতা, যা ব্যবহার করে সে জনসাধারণের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করে। তার প্রধান শত্রু হচ্ছে এক ধূর্ত বিড়াল, যে পিটি দ্যা ক্যাট নামে পরিচিত। নানান ধরণের অপকর্মের এই মূল হোতাকে থামানোর জন্য নিরলস চেষ্টা করে চলে ডগ ম্যান। কুকুর ও মানুষের দ্বৈত ভূমিকায় কণ্ঠ দিয়েছেন স্বয়ং পরিচালক হেস্টিংস।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন পিট ডেভিড্সন, ইস্লা ফিশার, লিল রিল হাওরি, পপি লিউ, বিলি বয়েড, এবং রিকি জার্ভেস।
ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড/১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
এটি মার্ভেল কমিক সুপারহিরো ফ্যাল্কন ওরফে স্যাম উইল্সনের ক্যাপ্টেন আমেরিকা হিসেবে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এর মাধ্যমে কিংবদন্তির চরিত্রটি নিয়ে প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করবেন অ্যান্থনি ম্যাকি। এর আগে এই ভূমিকায় থাকা ক্রিস ইভান্সের ট্রিলজির পরিসমাপ্তি ঘটে ২০১৬ সালের ছবি ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার’-এর মাধ্যমে। ফ্যাল্কন উইল্সনের নতুন সুপারহিরো হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হওয়ার ঘটনাটি ঘটে ২০২১-এর মিনিসিরিজ- ‘দ্যা ফ্যাল্কন অ্যান্ড দ্যা উইন্টার সোল্জার’-এ।
আরো পড়ুন: শিশুদের টিকটক আসক্তি: ঝুঁকি থেকে যেভাবে বাঁচবেন
‘ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’ হতে যাচ্ছে মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স (এমসিইউ)-এর ৩৫-তম মুভি। এর মধ্য দিয়ে ইউনিভার্সের পঞ্চম ফেজ-এ ক্যাপ্টেন আমেরিকার যুগ শুরু হবে। মুভির নির্দেশনায় রয়েছেন জুলিয়াস ওনাহ ও চিত্রনাট্য গড়েছেন রব এডওয়ার্ড্স। সাই-ফাই অ্যাকশন ঘরানার মুভিটির গল্প লেখনীতে ওনাহ সহ আরও রয়েছেন পিটার গ্ল্যাঞ্জ, ডালান মুসন, এবং ম্যাল্কম স্পেলম্যান। সিনেমার গল্পে দেখা যাবে— থ্যাডিয়াস রস রাষ্ট্রপতি পদে আরোহণের পরপরই একটি আন্তর্জাতিক সংকটে জড়িয়ে পড়বেন উইল্সন। প্রতারণার নেপথ্যের নাটের গুরুকে জব্দ করার জন্য তার ফাঁদে পা দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই তার।
সিনেমায় নতুন ফ্যাল্কন হিসেবে আগমন ঘটবে জ্যাকুইন টোরিস (ড্যানি রামিরেজ)-এর। অন্যান্য সুপারহিরোদের মধ্যে আরও দেখা যাবে রেড হাল্ক (হ্যারিসন ফোর্ড), সাইডউইন্ডার (জিয়ানকার্লো এস্পোসিতো) এবং ডায়মন্ডব্যাক (রোসা স্যালাজার)। এছাড়া সহশিল্পী হিসেবে থাকবেন শিরা হাস, কার্ল লুম্বলি, লিভ টাইলার, জোহানেস হাউকুর জোহানেসন, জোশা রোকমোর এবং টিম ব্লেক নেল্সন। বরাবরের মতো চলচ্চিত্রের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মার্ভেল স্টুডিও ও পরিবেশন করা হবে ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস মোশন পিকচার্সের সৌজন্যে।
থান্ডারবোল্ট্স*/২ মে, ২০২৫
মার্ক ব্যাগ্লি ও কার্ট বিসিয়্যাকের গড়া মার্ভেল গ্রুপ ‘থান্ডারবোল্টস’-কে প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় নিয়ে আসছেন পরিচালক জেক শ্রায়ার। চিত্রনাট্যে রয়েছেন লি সুং জিন, এরিক পিয়ার্সন এবং জোয়ানা ক্যালো। মার্ভেল স্টুডিওস নির্মিত এমসিইউয়ের এই ৩৬-তম চলচ্চিত্রটির মধ্য দিয়ে ইতি ঘটবে ইউনিভার্সের পঞ্চম ফেজের। সরকার পরিচালিত এক ঝুঁকিপূর্ণ মিশনে যাওয়া কতক সুপার অ্যান্টিহিরোদের নিয়ে আবর্তিত হয়েছে মুভির কাহিনী।
আরো পড়ুন: গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫: সঙ্গীতের সেরা পুরস্কার বিজয়ীরা
শুরু থেকে শেষব্দি অ্যাকশনে মোড়া এই সিনেমায় একত্রিত করা হয়েছে মুখোমুখি মুষ্ঠি যুদ্ধে পারদর্শি মার্ভেলের সেরা হিরোদের। যাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা যাবে ফ্লোরেন্স পাফ, সেবাস্টিয়ান স্ট্যান, ডেভিড হার্বার, হানা জন-কামেন, ওল্গা কিউরিল্যাঙ্কো এবং লুইস পুলম্যানকে। অ্যন্টিহিরোদের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ওয়ায়েট রাসেল, জুলিয়া লুই-ড্রেফাস, জেরাল্ডিন বিশ্বনাথান, ক্রিস বাউয়ার এবং ওয়েন্ডেল এডওয়ার্ড পিয়ার্স। বিশ্ব জুড়ে ছবিটির ডিস্ট্রিবিউশন স্বত্ব পেয়েছে ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস মোশন পিকচার্স।
সুপারম্যান/১১ জুলাই, ২০২৫
ডিসি কমিকের সবথেকে জনপ্রিয় এই চরিত্রটিকে এবার চলচ্চিত্ররূপ দিতে যাচ্ছেন জেম্স গান। তার লেখা এবং পরিচালনায় এই সুপারম্যান-এর মধ্য দিয়ে সূচনা হবে ডিসি ইউনিভার্সের। ডিসি স্টুডিওর প্রোডাকশনটির পরিবেশনের দায়িত্ব পেয়েছে ওয়ার্নার ব্রাদার্স পিকচার্স। ফ্র্যাঙ্ক কোয়াইটলি ও গ্র্যান্ট মরিসনের ‘অল-স্টার সুপারম্যান’ কমিক বই সিরিজ আকারে প্রকাশ পেয়েছিলো ২০০৫ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত। এই সিরিজ অবলম্বনেই তৈরি করা হয়েছে এবারের চিত্রনাট্য। একদিকে ক্রিপ্টোনের শিকড়ের টান অপরদিকে পৃথিবীর ছোট্ট মান্ত শহর স্মলভিলে মানব পরিবার। এ দুয়ের মাঝে ভীষণ মানসিক পীড়নে জর্জরিত ক্লার্ক কেন্টকে নিয়েই এগিয়ে যাবে সিনেমার কাহিনী। ক্লার্ক কেন্ট ওরফে সুপারম্যান চরিত্রে এবার অভিনয় করেছেন ডেভিড কোরেন্সওয়েট। লইস লেনের চরিত্রে রয়েছেন র্যাচেল ব্রসনাহান এবং লেক্স লুথার চরিত্রে নিকোলাস হল্ট।
আরো পড়ুন: ইউটিউবে প্রকাশিত হলো তাহসান-সিঁথির ‘একা ঘর আমার’
অ্যাডভেঞ্চার মুভিটি হতে যাচ্ছে একাধিক সুপারহিরোদের মিলনমেলা। তালিকার বহুল পরিচিতদের মধ্যে রয়েছে গ্রিন ল্যান্টার্ন (নাথান ফিলিয়েন), মিস্টার টেরিফিক (এডি গাথেজি), মেটামর্ফো (অ্যান্থনি ক্যারিগান), এবং হকগার্ল (ইসাবেলা মার্স্ড)। অন্যান্য প্রধান চরিত্রগুলোর অভিনয়ে আছেন ওয়েন্ডেল পিয়ার্স, নেভা হাওয়েল, প্রুইট টেলর ভিন্স এবং স্কাইলার জিসন্ডো।
দ্যা ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ্স/২৫ জুলাই, ২০২৫
মার্ভেল স্টুডিওর প্রযোজনায় দ্বিতীয়বারের মতো রিবুট হতে যাচ্ছে মার্ভেল সুপারহিরো গ্রুপ ফ্যান্টাস্টিক ফোর-এর। এমসিইউয়ের এই ৩৭-তম মুভিটির মধ্য দিয়ে শুরু হতে চলেছে ইউনিভার্সের ৬ষ্ঠ ফেজ-এর যাত্রা। ম্যাট শাকম্যান পরিচালিত সাই-ফাই অ্যাডভেঞ্চারটির চিত্রনাট্যে কাজ করেছে বিরাট টিম। এই টিমের সদস্যরা হলেন পিটার ক্যামেরন, জেফ কাপলান, জশ ফ্রিডম্যান, ইয়ান স্প্রিঙার, এরিক পিয়ার্সন এবং ক্যামেরন স্কয়ার্স। ১৯৬০-এর দশকের এক অদ্ভূত ডিস্টোপিয়ান জগত ঘিরে আবর্তিত হয়েছে গল্পের পটভূমি। এমন বৈরি জগতে গ্যালাক্টাস এবং সিলভার সার্ফার নামক সুপারভিলেনদের সর্বগ্রাসী শক্তির মুখোমুখি হবে ফ্যান্টাস্টিক ফোর।
শিরোনামের গ্রুপটির প্রতিটি সদস্যের ভূমিকায় দেখা যাবে নতুন অভিনয়শিল্পীদের। ‘মিস্টার ফ্যান্টাস্টিক’ চরিত্রে পেড্রো প্যাস্কেল, ‘ইন্ভিজিবল উইমেন’ চরিত্রে ভ্যানেসা কার্বি, ‘দ্যা থিং’ চরিত্রে ইবন মস-বাচরাক, এবং ‘হিউম্যান টর্চ’ চরিত্রে থাকবেন জোসেফ কুইন। রাল্ফ ইনেসন হাজির হবেন ‘গ্যালাক্টাস’ হিসেবে এবং জুলিয়া গার্নার থাকবেন ‘সিলভার সার্ফার’-এর নেপথ্যে। অন্যান্য সহশিল্পীদের তালিকায় রয়েছেন পল ওয়াল্টার হাউসার, জন মাল্কোভিচ, স্যারা নাইল্স এবং নাতাশা লিওন। চলচ্চিত্রটির পরিবেশনার ভার অর্পন হয়েছে ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস মোশন পিকচার্সের উপর।
আরো পড়ুন: স্কুইড গেম সিজন-২: জনপ্রিয় যেসব চরিত্র
সারসংক্ষেপ
২০২৫ সালের সুপারহিরো মুভিগুলো কিংবদন্তির সুপারহিরো চরিত্রগুলোকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করতে যাচ্ছে। তন্মধ্যে ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’, ‘থান্ডারবোল্ট্স*’, ও ‘দ্যা ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ্স’ প্রতিনিধিত্ব করছে মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সকে। সুপারহিরোদের মিলনমেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে ডিসি মুভি ‘সুপারম্যান’, যা ভক্তদের জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতার প্রত্যাশা রাখছে। ‘ডগ ম্যান’ তার হাস্যরসে ভরা রোমাঞ্চ দিয়ে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন বয়সের দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। সর্বসাকূল্যে, হলিউড চলচ্চিত্রগুলোর মুক্তির আবহে গল্প ও ভিজুয়াল পরিবেশনার দিক থেকে সুপারহিরো জনরা পেতে যাচ্ছে নতুন দিগন্ত।
৪৪ দিন আগে
সাইফ আলি খানের ওপর হামলাকারী বাংলাদেশি: মহারাষ্ট্র পুলিশ
তিন দিন আগে মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে নিজ বাসায় হামলার শিকার হন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলি খান। আর তখন থেকেই শুরু হয়েছে হামলাকারীকে ধরতে পুলিশের অভিযান।কথা উঠেছে, মুম্বাইয়ের বান্দ্রার মতো নিশ্ছিদ্র নিরাপদ এলাকাতে মাঝরাতে কে এই নবাবের প্রাসাদে ঢুকে হামলা চালালো? এ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশের সাতটি দল। শুরুতে একজনকে গ্রেফতার করলেও পরবর্তীতে বলা হয়—সে হামলাকারী না।-খবর হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা।এবার দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে মহারাষ্ট্র থানা আটক করেছে মোহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদকে। আর এই শরিফুল ইসলামকে নিয়েই শুরু হয়েছে জল ঘোলা হওয়া।মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন শরিফুল একজন বাংলাদেশি। তার ভারতীয় বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। তার বিভিন্ন জিনিসপত্র ঘেটে প্রাথমিকভাবে তাকে বাংলাদেশি বলেই মনে করছে ভারতের পুলিশ।এরইমধ্যে শরিফুলের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেছে পুলিশ। এতে তার বয়স ৩০ উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিজ বাসায় ছুরিকাহত সাইফ আলী খান, হাসপাতালে অস্ত্রোপচারপুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শরিফুল ৫-৬ মাস আগে মুম্বাইতে এসেছিলেন। এরপর ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করে আবার দিন পনেরো আগে বান্দ্রা এলাকায় আসেন তিনি। এখানে তিনি বিজয় দাস নামে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন। তার নামবদল থেকে শুরু করে অন্যান্য কাগজপত্র কোনোটাই বৈধ না বলে দাবি ভারতীয় পুলিশের।এর আগে ১৬ জানুয়ারি মাঝরাতে সাইফের অ্যাপার্টমেন্টে হামলা করে একজন। সাইফ তাকে থামাতে গেলে দুজনার মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় এবং এক পর্যায়ে হামলাকারী সাইফের পাঁচ জায়গায় ছুরিকাঘাত করে। বর্তমানে বলিউডের এ নায়ক লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
৬৪ দিন আগে
নিজ বাসায় ছুরিকাহত সাইফ আলী খান, হাসপাতালে অস্ত্রোপচার
ভারতের মুম্বাইয়ে নিজ বাসায় অনুপ্রবেশকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলী খান। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে এমন ঘটনা ঘটেছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, রাত আড়াইটায় একজন অনুপ্রবেশকারী তার বাসায় ঢুকে তাকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করে। বর্তমানে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার চলছে।
হাসপাতালকর্মীরা বলছেন, সাইফ আলী খান এখন বিপদমুক্ত। রাতে তার নিউরোসার্জারি করা হয়েছে। বর্তমানে প্লাস্টিক সার্জারি চলছে।
এ ঘটনায় বান্দ্রা থানায় একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, সাইফ আলী যখন বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন একজন অনুপ্রবেশকারী চুপিসারে তার বাসায় ঢোকেন। এ সময়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সাইফের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এরপর সাইফ আলী খানকে ছয়বারের বেশি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান অনুপ্রবেশকারী। এক বিবৃতিতে লীলাবর্তী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছয়টি আঘাতের মধ্যে দুটি তার মেরুদণ্ডের কাছে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।
এরইমধ্যে তার বাসার তিন পরিচারককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত করছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
এক বিবৃতিতে সাংবাদিক ও ভক্তদের ধৈর্য ধারণ করতে বলেছেন সাইফ আলী খান টিম। এতে বলা হয়, এটি এখন পুলিশের কাজ। আমরা আপনাদের হালানাগাদ তথ্য জানিয়ে দেব। কারিনা কাপুর খান টিমও একই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, পরিবারের অন্য সদস্যরা ভালো আছেন।
৬৭ দিন আগে
চলচ্চিত্র তারকা প্রবীর মিত্রের শেষ বিদায়, ইসলামী রীতিতে দাফন
বাংলাদেশের প্রবীণ চলচ্চিত্র অভিনেতা প্রবীর মিত্র, যিনি রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন, তাকে তার সহকর্মীদের পক্ষ থেকে ইসলামী রীতিতে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে। আজ সোমবার তাকে দাফন করা হয়েছে।তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর এফডিসি মসজিদে, যেটি জোহর নামাজের পরে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর, চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর প্রখ্যাত এই অভিনেতাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।অনেক নেটিজেন প্রশ্ন তুলেছিলেন কেন অভিনেতা প্রবীর মিত্র, যার নাম ‘মিত্র’ একটি হিন্দু নাম, তাকে ইসলামী পদ্ধতিতে দাফন করা হলো? তার পরিবার এবং একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রবীর মিত্র বিয়ের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন এবং তার নাম হয়েছিল ইমাম হাসান।অভিনেতা সুব্রত ও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিশা সওদাগরও এই ব্যাপারটি মিডিয়ায় ব্যাখ্যা করেছেন। প্রবীর মিত্রের ছেলে সিফাত ইসলাম, মিথুন মিত্র এবং বৌমা সোনিয়া ইসলামও বলেছেন যে, এই প্রবীণ অভিনেতা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, প্রখ্যাত অভিনেতার নামাজে জানাযায় অংশ নিয়ে বলেন, ‘যদিও তার (মিত্র) শারীরিক অবস্থার কারণে তিনি পরে অভিনয় চালিয়ে যেতে পারেননি, তবে আমরা জানতে পেরেছি যে তিনি একজন নিবেদিত মুসলিম ছিলেন এবং ইসলামী রীতিনীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করতেন।’একবার একটি সাক্ষাৎকারে প্রবীর মিত্র নিজে বলেছিলেন, ‘আমি যখন আমার স্ত্রীর (আজন্তা মিত্র, যিনি ২০০০ সালে মারা যান) সঙ্গে বিয়ে করি, তখন ইসলাম গ্রহণ করি এবং যদিও আমি ইসলাম অনুসরণ করি, মানবতা সবকিছুর ওপরে।’প্রবীর মিত্র ১৮ আগস্ট ১৯৪৩ সালে চাঁদপুরের চন্দিনা গ্রামে একটি হিন্দু কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা গোপেন্দ্র নাথ মিত্র এবং মাতা আমিয়াবালা মিত্র ছিলেন। তিনি পুরান ঢাকায় স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন, তবে পরবর্তীতে ঢাকার ধানমন্ডিতে চলে আসেন।ছোটবেলা থেকেই তিনি থিয়েটারে জড়িত ছিলেন এবং বিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক ‘ডাকঘর’ অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান। ১৯৬৯ সালে ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি ক্যারিয়ারের সূচনা করেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে চরিত্র অভিনেতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।তার শেষ বড় চরিত্র ছিল ‘রঙ্গিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ চলচ্চিত্রে, তবে পরবর্তী সময়ে তিনি চরিত্র অভিনেতা হিসেবে অভিনয় করতে থাকেন এবং দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।চার দশকের বেশি সময় ধরে প্রায় ৪০০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন প্রবীর মিত্র। ‘তিতাশ এক্টি নদীর নাম’, ‘ফরিয়াদ’, ‘জয় পরাজয়’, ‘বড়ো ভালো লোক ছিলো’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘রক্ত শপথ’, ‘আঙ্গার’, ‘চরিত্রহীন’, ‘মধুমিতা’ এবং ‘ফকির মজনু শাহ’ তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে।‘বড়ো ভালো লোক ছিলো’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা সহকারী অভিনেতা হিসেবে পুরস্কৃত হন। ২০১৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।অভিনয়ের পাশাপাশি, প্রবীর মিত্র এক সময় ক্রীড়াঙ্গনেও সক্রিয় ছিলেন। তিনি ৬০-এর দশকে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট, ফায়ার সার্ভিসের জন্য প্রথম বিভাগ হকি এবং দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল খেলেছেন।
৭৭ দিন আগে
কিংবদন্তি অভিনেতা প্রবীর মিত্র আর নেই
রূপালী পর্দার নবাবখ্যাত অভিনেতা প্রবীর মিত্র মারা গেছেন। রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। তার পারিবারিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।৮১ বছর বয়সী কিংবদন্তি এই অভিনেতা বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা নিয়ে ১৩ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শরীরে অক্সিজেন–স্বল্পতাসহ বেশ কিছু অসুস্থতায় গত ২২ ডিসেম্বর তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। তার পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।প্রবীর ‘লালকুটি’ থিয়েটার গ্রুপে অভিনয়ের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। কর্মজীবনে তিনি সর্বক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছেন। স্কুলে পড়া অবস্থায় জীবনে প্রথমবারের মতো নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এটি ছিল রবীন্দ্রনাথের ‘ডাকঘর’। চরিত্র ছিল প্রহরী। এরপর পুরনো ঢাকার লালকুঠিতে শুরু হয় তার নাট্যচর্চা।১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত জলছবি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক ঘটে। ১৯৮২ সালে তিনি বড় ভালো লোক ছিল চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৮ সালে আজীবন সম্মাননা বিভাগে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।২০১৯ সাল পর্যন্ত, তিনি প্রায় ৪ যুগ ধরে ৪০০ টিরও বেশি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।
৭৭ দিন আগে
ষাটে পা রাখতে যাচ্ছেন বলিউডের তিন খান, কী থাকছে চমক?
শাহরুখ, আমির, সালমান; বলিউড মানেই তিন খানের রাজত্ব। নব্বইয়ের দশক থেকে ভক্তদের মনের মণিকোঠায় ঘুরে ফিরে উঠে এসেছে এই তিনজনেরই নাম। শুধু ভারতে না, ভারতের বাইরেও তিন খানের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী।
১৯৮৮ সালে বলিউডে বীরদর্পে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়েছিল আমির আর সালমান। তখন শাহরুখের নাম পর্যন্ত মানুষ জানে না। এর চার বছর পর দিওয়ানা ছবি দিয়ে বলিউডে অভিষেক শাহরুখের। হিট, সুপারহিট, ব্লকবাস্টার ছবির কথা না হয় নাই-বা তুললাম, তিন খানের এমন অনেক ফ্লপ ছবিও আজ পর্যন্ত দর্শকদের মনে দাগ কাটে।
নব্বইয়ের দশকে যারা খানদের সিনেমা ভক্ত, তাদের অনেকেরই বয়স ত্রিশোর্ধ্ব। বয়স কম হয়নি তিন সুপারস্টারেরও। ২০২৫ সালে এসে তিনজনেরই বয়স হবে ৬০ বছর।
কিন্তু বলিউড বাদশাহ শাহরুখের অ্যাকশন, ভাইজান সালমানের ফাইটিং আর পারফেকশনিস্ট আমিরের কাজ দেখে আর কার সাধ্য আছে তিন জনের সামনে বয়সের দাঁড়িপাল্লাকে বাধা হিসেবে দাঁড় করানোর।
করোনা পরবর্তী সময়ে বলিউড সিনেমায় যখন রীতিমতো ধস নেমেছিল, ত্রাণকর্তা হয়েছিলেন শাহরুখ নিজেই। শাহরুখের ব্লকবাস্টার পাঠান রীতিমতো ঝড় তুলেছিল সিনেমা পাড়ায়। এরপর জাওয়ান সিনেমার ধুন্ধুমার অ্যাকশন দিয়ে শাহরুখ প্রমাণ করেছেন- বয়স কেবল নিছক একটি সংখ্যা।
ভক্তরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সালমানের সিকান্দার সিনেমার জন্য। যদিও বিগ বস হোস্ট করে ভক্তদের মাতিয়ে রেখেছেন তিনি। এদিকে আমির লাল সিং চাড্ডা সিনেমার পর নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে নিলেও আবার ফিরে আসছেন নতুন বছরে।
বলিউডের দুনিয়ায় যেখানে অনেক তারকা এসেছেন, আবার কালের গহ্বরে হারিয়ে গেছেন, সেখানে এই তিন জনের সমানতালে টিকে থাকা, বিশাল ফ্যানবেজ ধরে রাখা আর নিরবধি কাজের প্রতি কমিটমেন্টই প্রমাণ করে- সিনেমা শেষ হতে ঢের দেরি!
তিন খানের মধ্যে সালমান-শাহরুখ এবং আমির-সালমান স্ক্রিন শেয়ার করলেও তিনজনে একসঙ্গে দেখা যায়নি পর্দায়; আর এটি কম না পোড়ায় ভক্তদের। অমিতাভ বচ্চন, দিলিপ কুমার, রাজেশ খান্না কিংবা ধর্মেন্দর মতো একসময়ের সুপারস্টাররা ৬০ বছরে পা রাখার আগেই জ্বলজ্বলে তারকার তকমা হারিয়ে হয়েছিলেন দূরবর্তী নক্ষত্র।
অথচ এই তিন খানের বেলায় ভক্তদের এখনো প্রত্যাশা আগামীতেও এদেরকে লিডিং রোলে দেখা। আর ফুলস্টপ যদি দিতেই হয় তাহলে যেন তিনজন এক পর্দায় এক সিনেমায় দেখা দিয়ে যায় অন্তত।
২০২৫ সালে ভক্তরা অপেক্ষা করছেন তিন খানের নতুন সিনেমার জন্য। যদিও এ বছর শাহরুখের নতুন কোনো ছবি মুক্তি পাচ্ছে না। ২০২৬ সালে বলিউড বাদশাহ কিং সিনেমা নিয়ে হাজির হবেন ভক্তদের সামনে। এই সিনেমা দর্শকদের কাছে বাড়তি আবেদন সৃষ্টি করবে, তা আর বলতে। কারণ এবারই প্রথম শাহরুখের সঙ্গে পর্দায় দেখা যাবে তার মেয়ে সুহানাকেও।
নতুন বছরে ঈদকে সামনে রেখে মুক্তি পাবে সালমানের অ্যাকশন ধাচের সিনেমা সিকান্দার আর খরা কাটিয়ে বছরে মধ্যভাগে আসবে আমির খানের সিতারে জমিন পার। আর বয়স যতই হোক বলিউডের তিন খানের রাজত্ব শেষ হতে এখনো অনেক বাকি, তা ফ্যানদের ক্রেজ দেখে সহজেই অনুমান করা যায়।
৭৮ দিন আগে
চিত্রনায়িকা অঞ্জনা মারা গেছেন
সত্তর ও আশির দশকের ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান (৫৯) মারা গেছেন। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।গণমাধ্যমকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগার। অভিনেতা জায়েদ খানসহ অন্য চলচ্চিত্র শিল্পীরাও নিজেদের সামাজিকমাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর দিয়েছেন।শনিবার (৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় এফডিসি প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। গেল তিন দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন সত্তর ও আশির দশকের ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।গেল ২৪ ডিসেম্বর শরীরে জ্বর নিয়ে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে চিকিৎসকরা জানতে পারেন যে তার রক্তে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে, যা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তার হার্ট ও কিডনিতে সমস্যা তৈরি হয়। এছাড়াও তার ফুসফুসে পানি জমে যায়, তিনি একবার স্ট্রোকও করেন।‘পরিণীতা’ ও ‘গাংচিল’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এই নায়িকা এক সময় বাংলাদেশের ঘরে ঘরে ছিলেন অতি পরিচিত মুখ।ঢাকায় এক সংস্কৃতিমনা পরিবারে অঞ্জনার জন্ম। শৈশব থেকে নাচের প্রতি তার আগ্রহের কারণে বাবা-মা তাকে নাচ শিখতে ভারতে পাঠান। সেখানে তিনি ওস্তাদ বাবুরাজ হীরালালের কাছে নাচের তালিম নেন, শেখেন কত্থক।সিনেমায় আসার আগেই অঞ্জনা পরিচিতি পান নৃত্যশিল্পী হিসেবে। ১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্র দিয়ে তিনি ঢাকাই সিনেমায় কাজ শুরু করলেও তার মুক্তি পাওয়া প্রথম চলচ্চিত্র ছিল শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত ‘দস্যু বনহুর’।নায়ক সোহেল রানার বিপরীতে ওই সিনেমার পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি অঞ্জনাকে। নিজের সেরা সময়ে ঢাকাই সিনেমার প্রথম সারির প্রায় সব নায়কের বিপরীতেই অভিনয় করেছেন তিনি।
৭৯ দিন আগে