সিনেমা
আসছে নিশো-তমা জুটির নতুন সিনেমা ‘অসিয়ত’
ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র সুড়ঙ্গের জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় বড় পর্দায় ফের জুটি বাঁধতে চলেছেন আফরান নিশো ও তমা মির্জা। আগের মত এবারও চলচ্চিত্রের শিরোনাম এক শব্দের ও চিত্তাকর্ষক। নতুন এ সিনেমার নাম ‘অসিয়ত’। এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না এলেও তুমুল হইচই শুরু হয়ে গেছে নেটিজেনদের মধ্যে। চলুন, চলচ্চিত্রটির নির্মাণ, মুক্তির দিনক্ষণ ও সম্ভাবনা নিয়ে বিশদ জেনে নেওয়া যাক।
চলচ্চিত্র ‘অসিয়ত’ বৃত্তান্ত
সিনেমাটির নির্দেশনায় থাকবেন ‘তুফান’ খ্যাত নির্মাতা রায়হান রাফী। বর্তমানে তার ‘তুফান’ সিনেমাটি বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘তুফান’ চলচ্চিত্রটির মতো ‘অসিয়ত’ চলচ্চিত্রটির সঙ্গেও জুড়ে আছে ভারতের চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ (শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস) এবং বাংলাদেশের আলফা-আইয়ের নাম। চলচ্চিত্র দুইটির প্রযোজনায় ছিল আলফা-আই, আর পরিবেশক হিসেবে ভূমিকা পালন করেছিল এসভিএফ। তবে ‘অসিয়ত’ চলচ্চিত্রটির প্রযোজনায় থাকছে স্টুডিও দুইটির সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশি কোম্পানি এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড।
আরও পড়ুন: মেহজাবীন অভিনীত ভিকি জাহেদের ‘তিথিডোর’ নিয়ে কেন এত আলোচনা
পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরেই আগামী সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সিনেমার শুটিং। নিশো-তমা জুটি বাদে অভিনয়ে আর কারা থাকছেন এবং গল্পের পটভূমিই বা কি- সে ব্যাপারে এখনও কিছু প্রকাশ করা হয়নি। তবে সিনেমাটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না দর্শকদের।
‘অসিয়ত’ কবে মুক্তি পাবে
২০২৫ সালের ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যাবতীয় পরিকল্পনা চলছে চলচ্চিত্র নির্মাণের। ২০২৩ সালের ঈদুল আযহায় ‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তি পেয়েছিল জনপ্রিয় ওটিট (ওভার-দ্যা-টপ) প্ল্যাটফর্ম চরকিতে। একইভাবে ‘অসিয়ত’ চলচ্চিত্রটির সঙ্গেও দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সম্পৃক্ত হওয়ার কথা চলছে। শিগগিরই এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে এই সম্পৃক্ততাসহ মুক্তির স্পষ্ট দিনক্ষণ নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হবে ‘অসিয়ত’ টিম।
নিশোর বিচক্ষণ প্রত্যাবর্তন
‘সুড়ঙ্গ’ চলচ্চিত্রটির পর থেকে গত এক বছর একেবারেই ক্যামেরার সামনে দেখা যায়নি আফরান নিশোকে। ফলে এই বিস্তর সময়টাতে অপেক্ষায় থাকা অনুরাগীদের মধ্যে তাকে নিয়ে চলেছে হাজারো জল্পনা-কল্পনা। কিন্তু এ সময়টাতে ছোট পর্দার সুপ্রতিষ্ঠিত এই অভিনেতা প্রস্তুতি নিয়েছেন বড় পর্দার জন্য। এখন তার সমস্ত ধ্যান-জ্ঞান চলচ্চিত্রে অভিনয়কে ঘিরে। তবে ভাল গল্প পেলে ওটিটিতেও তাকে দেখা যাবে। সব মিলিয়ে তিনি চেয়েছিলেন সিনেমার মাধ্যমেই দর্শকদের সামনে হাজির হতে। আর তাই এই দীর্ঘ বিরতি।
আরও পড়ুন: আসছে তাহসান-মিথিলার ওয়েব সিরিজ ‘বাজি’
নিশোর মতে ভালো কিছু কাজের জন্য উপযুক্ত সময়ের প্রয়োজন। তাই আড়ালে থাকা মানে কাজ থেকে দূরে থাকা নয়। বরং এতে কাজের প্রতি আরও বেশি নিবেদিত হওয়া যায়, যার নিরিখে বৃদ্ধি পায় কাজের গুণগত মান। ফলশ্রুতিতে, সৃষ্টি হয় নতুন কাজ দেখার আগ্রহ এবং সেই সঙ্গে নিশ্চয়তা থাকে ভক্তদের প্রত্যাশাকে পূরণ করার।
সমূহ সম্ভাবনার সূচনালগ্নে ‘অসিয়ত’
বাংলাদেশের নাটক ও চলচ্চিত্র অঙ্গনে বিগত ২০ বছর ধরে একটি স্বনামধন্য নাম হয়ে উঠেছে আলফা-আই স্টুডিওজ লিমিটেড। অন্যদিকে, ওপার বাংলার প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফের রয়েছে দীর্ঘ ২৮ বছর চলচ্চিত্র নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ দুইটি প্রতিষ্ঠান যখনই একসঙ্গে হয়েছে তখনই অবতারণা ঘটেছে দারুণ নির্মাণশৈলীর। মূলত এর অঙ্কুরেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের। এই যৌথ উদ্যোগ ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, তারই প্রথম দৃষ্টান্ত হিসেবে নির্মাণ হতে চলেছে ‘অসিয়ত’।
শেষাংশ
রায়হান রাফীর পরিচালনায় নিশো-তমা জুটির সিনেমা ‘অসিয়ত’ নিশো ভক্তদের জন্য দারুণ একটি চমক হতে যাচ্ছে। চলচ্চিত্র প্রযোজনার দিক থেকে ভারত ও বাংলাদেশি স্টুডিওগুলোর যৌথ অবস্থান একদমই নতুন নয়। তবে সিনেমাকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ নতুন একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি চিত্রজগতে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তাছাড়া সিনেমা বানানো ও পরিবেশনে আলফা-আই এবং এসভিএফ প্রত্যেকেই সফল। সেই সুবাদে এই অংশীদারিত্ব বিশ্ব মানের চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিশ্রুতি রাখছে। এই প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশি ছবির জন্য বিশ্ব দরবারে মর্যাদাবান স্থানে অধিষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন শাওন
শাকিব খানের 'তুফান' চলচ্চিত্রের চমকপ্রদ কিছু তথ্য
দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন শাওন
২০০৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশের কিংবদন্তি ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ুন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ সিনেমা। সেখানে ‘নিশাদ’ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। তারপর থেকে গান ও নাটকের মাধ্যমে বেশ কিছুবার দর্শকদের সামনে এলেও বড় পর্দা থেকে তিনি নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন। অবশেষে ১৭ বছরের দীর্ঘ বিরতি ভেঙে ‘নীল জোছনা’ শিরোনামের চলচ্চিত্র দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় ফিরছেন শাওন।
কেমন হতে যাচ্ছে সিনেমার গল্প, আর এই নির্মাণে শাওনের সঙ্গী হচ্ছেন কারা- চলুন জেনে নেয়া যাক।
বিনোদন জগতে শাওনের পদচারণা
বিনোদন জগতে শাওনের শুরুটা ছিল ১৯৮৯ সালে ইবনে মিজান পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আলাল দুলাল’-এ শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে। সেখানে তিনি অভিনয় করেছিলেন তৎকালীন খ্যাতিমান নায়িকা সুচরিতার ছোটবেলার চরিত্রে। তবে তিনি আলোচনায় আসেন শিশু শিল্পীদের জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি’তে বিজয়ী হওয়ার পর। তার নামের সঙ্গে একাধারে জুড়ে ছিল নৃত্যশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনয়শিল্পী।
আরো পড়ুন: ইতালির ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কৃত হলো 'ময়না'
ছোটপর্দায় শাওনের অভিষেক হয় ১৯৯৬ সালের ধারাবাহিক নাটক ‘নক্ষত্রের রাত’-এর মাধ্যমে। ধারাবাহিকটি নির্মাণ করেছিলেন প্রথিতযশা নাট্যকার হুমায়ুন আহমেদ। ১৯৯৯ সালে তার কালজয়ী ধারাবাহিক ‘আজ রবিবার’-এ শাওনের ‘তিতলি’ চরিত্রটি আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। এরপর থেকে হুমায়ুন আহমেদের নাট্যদলের নিয়মিত একজন হয়ে যান শাওন। সে বছরই রম্য নাটক ‘সমুদ্র বিলাস প্রাইভেট লিমিটেড’-এ মিতু চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
শুধু নাটকেই নয়, প্রখ্যাত নির্মাতার চলচ্চিত্রগুলোতেও সমান বিচরণ ছিল এই মেধাবী তারকার। ২০০০ সালে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমায় প্রধান নায়িকা ‘কুসুম’-এর ভূমিকায় দেখা যায় শাওনকে। এরপর থেকে ‘দুই দুয়ারী’ (২০০১)-তে ‘তরু’, ‘চন্দ্রকথা’ (২০০৩)-য় ‘চন্দ্র’, এবং ‘শ্যামল ছায়া’ (২০০৪) সিনেমার ‘আশালতা’ চরিত্রগুলো দর্শক ও সমালোচক মহলে বেশ সমাদৃত হয়।
২০০৪ সালের দর্শকনন্দিত ধারাবাহিক নাটক ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’তে তিনি ‘পুষ্প’ চরিত্রে অভিনয় করেন।
হুমায়ুন আহমেদের নির্দেশনায় শাওনের সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল ২০০৮ সালের ‘আমার আছে জল’, আর সর্বশেষ নাটক ছিল ২০১১ সালের ‘স্বর্ণকলস’।
আরো পড়ুন: কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিস’ নিয়ে যে কারণে এত আলোচনা
২০১২ সালে হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুর পর থেকে তার বেশ কিছু রচনা পরিচালনা করেন শাওন।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২০১১ সালের নাটক ‘স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ’, ২০১৪ সালের ‘বিভ্রম’, এবং ২০১৬ সালের চলচ্চিত্র ‘কৃষ্ণপক্ষ’। ‘কৃষ্ণপক্ষ’ সিনেমায় ‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো’ শিরোনামের গানে কণ্ঠ দেওয়ার সুবাদে তিনি শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।
‘নীল জোছনা’ সিনেমার কথকতা
সিনেমার গল্প
চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য নির্মিত হয়েছে মোশতাক আহমেদের ‘নীল জোছনার জীবন’ উপন্যাস অবলম্বনে, যেটি মুলত একটি প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক কাহিনী নিয়ে রচিত।
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র লায়লা, যে অতীত ও ভবিষ্যত দেখতে পারে। আর এই বিষয়টি আতঙ্কিত করে তুলেছে তার স্বামী আমিনকে। কেননা সে জানতে পেরেছে খুব শিগগিরই লায়লার ফাঁসি হতে যাচ্ছে, আর কথাটি বলেছে স্বয়ং লায়লা নিজে। আমিন কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না, কেন তার স্ত্রীর ফাঁসি হবে; সে তো কোনো অপরাধ করেনি!
আরো পড়ুন: ঈদুল আজহা ২০২৪ এর বাংলাদেশি সিনেমা
চরম উদ্বিগ্নতার মুহুর্তে তারা শরণাপন্ন হয় মনস্তাত্ত্বিক ড. তরফদারের। গভীর পর্যবেক্ষণে তিনি খেয়াল করেন যে, লায়লা প্রায়ই একটি গান গুনগুন করে। আর এই গানের উৎসটি ডাক্তারকে সন্ধান দেয় এক অদ্ভূত বিমূর্ত জীবনের, যার নাম নীল জোছনা।
লায়লার অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার পেছনে এই নীল জোছনাই দায়ী। আবার এই নীল জোছনাই তাকে ফাঁসির দিকে ধাবিত করছে।
ডাক্তার টের পান, লায়লার জীবন প্রবাহ পৃথিবীর আর দশটা মানুষের মত স্বাভাবিক নয়। এরপরও তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে থাকেন মেয়েটির ভয়াবহ পরিণতির গতিপথ পাল্টানোর জন্য।
আরো পড়ুন: ঈদুল আজহা ২০২৪ এর কিছু চমকপ্রদ বাংলা নাটক
চলচ্চিত্রের নির্মাণ ও কলাকুশলি
৬ বছর আগে ২০১৮ সালের শেষ দিকে সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্রটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ফাখরুল আরেফিন খানের পরিচালনায়। মহামারী করোনাসহ নানা কারণে শুটিংয়ের কাজ বারবার পিছিয়ে যায়। অতঃপর চলতি বছরের মে মাস থেকে সফলভাবে সিনেমাটির শুটিং চলছে।
‘ভুবন মাঝি’, ‘গণ্ডি’ এবং ‘জেকে ১৯৭১’-এর পর ফাখরুল আরেফিন খানের চতুর্থ সিনেমা ‘নীল জোছনা’। এর আগে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘আল বদর’ (২০১১)-এর জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
চলচ্চিত্রে শাওনকে দেখা যাবে শহুরে এক নারীর চরিত্রে। সিনেমার আলাদা চমক হিসেবে থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী পাওলি দাম। এছাড়া অন্যান্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন- ইন্তেখাব দিনার, তারিক আনাম খান, এস এম নাঈম ও পার্থ বড়ুয়া।
আরো পড়ুন: আসছে তাহসান-মিথিলার ওয়েব সিরিজ ‘বাজি’
ছবির ক্যামেরাম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন রানা দাশগুপ্ত। সাকি ব্যানার্জির সংগীত পরিচালনায় ছবিতে গান থাকবে মোট তিনটি। এগুলোর মধ্যে মৌলিক গান দুটি, যেগুলোর গীতিকার লয়দীপ ও মাহমুদ শাওন।
পরিশেষ
মনস্তাত্ত্বিক গল্পের চলচ্চিত্র দিয়ে শাওনের প্রত্যাবর্তন হুমায়ুন-ভক্তদের জন্য নতুন করে থ্রিলার নির্ভর কাজ দেখার ইন্ধন যোগাচ্ছে। ২১ শতকের প্রথম দশকে বিনোদন জগতের বিভিন্ন অঙ্গনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার মাধ্যমে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের একটি আলাদা জায়গা তৈরি করেছিলেন শাওন। তবে ‘নীল জোছনা’র মাধ্যমে সেই জনপ্রিয়তার পুনরুত্থান ঘটবে কি না, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে চলচ্চিত্রটির মুক্তির দিন পর্যন্ত।
তবে ফাখরুল আরেফিন খানের বিগত ভিন্ন ধারার কাজের সুবাদে বাংলাদেশি সিনেমা জগতে নতুন কিছু সংযোজনের সম্ভাবনা তৈরি করছে চলচ্চিত্রটি।
মেহজাবীন অভিনীত ভিকি জাহেদের ‘তিথিডোর’ নিয়ে কেন এত আলোচনা
ইতালির ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কৃত হলো 'ময়না'
ইতালির গালফ অব নেপলস ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে স্পেশাল মেনশন ফিচার ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড জিতেছে মঞ্জুরুল ইসলাম মেঘ পরিচালিত চলচ্চিত্র 'ময়না'।
গত ১১ থেকে ১৪ জুন নেপলসে উৎসবটির দশম আসর অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিকভাবে নিজের জায়গা করে নেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন চলচ্চিত্রটির পরিচালক।
আরও পড়ুন: মিনি ফিল্ম ফেস্টিভেলের মাধ্যমে মানবাধিকার সপ্তাহ পালন ডাচ দূতাবাসের
এই স্বীকৃতির সঙ্গে যে নিজের পরবর্তী প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে সবার প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ার দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে তা স্বীকার করেন তিনি।
তিনি বলেন, 'ময়না' চলচ্চিত্রটি বড় পরিসরে দর্শকদের মন জয় করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বাইরেও এর আবেদন আমাদের দেশের দর্শকদের কাছে প্রশংসিত হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
ছবিটির প্রযোজক আলিম উল্লাহ খোকন জানান, 'ময়না' বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে এবং আগামী সেপ্টেম্বরে স্থানীয় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
সেপ্টেম্বরে স্থানীয়ভাবে মুক্তির আগে চলচ্চিত্রটি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে বলে জানান তিনি।
'ময়না' এর আগে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ২৫তম ইএমএমএ'স বিবিসি ফেস্টিভ্যাল অব মাল্টিকালচারাল ২০২৩-এ সেরা চলচ্চিত্র প্রযোজনার পুরস্কার পেয়েছিল এবং আসন্ন আগস্টে কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ২১তম আপোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ভিলেজ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আলীম উল্লাহ খোকনের গল্প অবলম্বনে ছবিটির চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন চলচ্চিত্রটির পরিচালক মেঘ।
চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন রাজ রিপা, কায়েস আরজু, আমান রেজা, আফফান মিতুল, জিলানী, মোমেনা চৌধুরী, নাদের চৌধুরী, সুব্রত, সূচনা, খলিলুর রহমান কাদরী, শিশির ও শিশুশিল্পী জান্নাতুল ভোর।
আরও পড়ুন: ইতালির গালফ অব নেপলস ইনডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভালের দশম অধিবেশনে মনোনীত ‘ময়না’
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ-যুক্তরাষ্ট্রের গেটি ইমেজের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
ঈদুল আজহা ২০২৪ এ বাংলাদেশি যেসব সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায়
গত ঈদের রেকর্ড বজায় রেখে আসন্ন ঈদুল আজহাতেও মুক্তির মিছিলে শামিল হয়েছে বেশ কিছু বাংলাদেশি চলচ্চিত্র। বিগ বাজেটের ব্যবসানির্ভর সিনেমা থেকে শুরু করে নতুন কাজও রয়েছে এই তালিকায়। ঈদের উৎসব মুখরতা নতুন ছবি দেখার আনন্দকে বাড়িয়ে দেয় দ্বিগুণ। আর এই উদ্দেশ্যেই ঈদকে কেন্দ্র করে পুঞ্জীভূত হতে থাকে বড় পর্দার আয়োজন। চলুন, এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ঢালিউড সিনেমাগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
২০২৪ ঈদুল আজহায় মুক্তি পাচ্ছে যেসব বাংলাদেশি চলচ্চিত্র
তুফান
ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত এই অ্যাকশন চলচ্চিত্রটির পরিচালনায় রয়েছেন ‘পোড়ামন ২’ ও ‘দহন’ খ্যাত নির্মাতা রায়হান রাফী। প্রযোজনায় রয়েছে ভারতের এসভিএফ এবং বাংলাদেশের চরকি এবং আলফা আই। শাকিব ছাড়াও ‘তুফানে’ দেখা যাবে দুই বাংলার সাড়া জাগানো সব অভিনয়শিল্পীদের। তারা হলেন চঞ্চল চৌধুরী, ফজলুর রহমান বাবু, মিমি চক্রবর্তী, যীশু সেনগুপ্ত, মাসুমা রহমান নাবিলা এবং মিশা সওদাগর।
গত ২৮ মে শাকিব খানের সিনেমা ক্যারিয়ারের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে মুক্তি দেওয়া হয় ছবিটির প্রথম গান ‘লাগে উরা ধুরা’। প্রীতম হাসানের সুর, সংগীতায়োজন ও গায়কীতে গানটি সামাজিক মাধ্যম জুড়ে বেশ সাড়া ফেলে।
আরও পড়ুন: শাকিব খানের 'তুফান' চলচ্চিত্রের চমকপ্রদ কিছু তথ্য
ময়ূরাক্ষী
২০১৯ সালে ‘নোলক’ এর পর থেকে প্রায় ৪ বছরের বিরতির পর ‘ময়ূরাক্ষীর’ মাধ্যমে আবারও প্রেক্ষাগৃহে ফিরছেন চিত্রনায়িকা ববি। প্রেম ও প্রতারণা কেন্দ্রিক গল্পের আবর্তে ছবিটি নির্মিত হয়েছে গোলাম রাব্বানীর গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপে। রাশিদ পলাশ পরিচালিত ছবিটির প্রধান চরিত্রে ববির সঙ্গে জুটি হিসেবে আছেন সুদীপ বিশ্বাস দ্বীপ। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন সাদিয়া মাহি, সমু চৌধুরী, সুমিত সেনগুপ্ত, দীপক সুমন এবং ফারজানা ছবি।
ছবির সংগীত পরিচালনা ও গায়কীতে ছিলেন জাহিদ নিরব। তার সহ-কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আরও ছিলেন পুর্ণতা, মুহিন খান ও তরসা। আজ ইন্টারন্যাশনালের অধীনে চলচ্চিত্রটির প্রযোজনায় ছিলেন চৌধুরী নিজাম নিশো।
আরও পড়ুন: ইতালির গালফ অব নেপলস ইনডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভালের দশম অধিবেশনে মনোনীত ‘ময়না’
রঙবাজার
এবারের ঈদে পরিচালক রাশিদ পলাশের আরও একটি ছবি মুক্তির মিছিলে রয়েছে, যার নাম রঙবাজার। তামজিদ অতুলের গল্পে সিনেমাটির চিত্রনাট্য ও সংলাপ গড়েছেন গোলাম রাব্বানী।
৯০ দশকের শেষের দিকে যৌনকর্মীদের আবাসস্থল উচ্ছেদ নিয়ে একটি ঘটনা দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। এর উপর ভিত্তি করেই রচিত হয়েছে লাইভ টেকনোলজি প্রযোজিত সিনেমাটির গল্প।
‘রঙবাজার’ এর অভিনয়শিল্পীরা হলেন, মৌসুমী হামিদ, শম্পা রেজা, নাজনীন চুমকি, তানজিকা আমিন, শাজাহান সম্রাট, লুৎফুর রহমান জর্জ, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, বড়দা মিঠু, মাসুম রেজয়ান, কনিকা এবং কানিজ।
আরও পড়ুন: কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিস’ নিয়ে যে কারণে এত আলোচনা
নীলচক্র
গত রোজার ঈদে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’ এর মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে মন্দিরা চক্রবর্তীর। সিনেমাটির নাম ভূমিকায় তার অভিনয় ব্যাপক নজর কাড়ে দর্শক ও সমালোচকদের। ‘কাজলরেখার’ রেশ কাটতে না কাটতেই মন্দিরা কুরবানীর ঈদে হাজির হচ্ছেন ‘নীলচক্রে’। এবার তিনি জুটিবদ্ধ হবেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়ক আরিফিন শুভর সঙ্গে। সম্প্রতি প্রকাশিত সিনেমার ফার্স্ট লুক ইতোমধ্যে দর্শকদের নিকট বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
ফিল্ম ফায়োস প্রোডাকশনের প্রযোজনায় সিনেমাটির পরিচালনায় রয়েছেন মিঠু খান। তিনি নাজিম উদ দৌলার সঙ্গে যৌথভাবে ছবিটির কাহিনী বিন্যাস ও চিত্রনাট্যও লিখেছেন।
শুভ-মন্দিরা জুটি ছাড়া এখানে আরও দেখা যাবে ফজলুর রহমান বাবু, শাহেদ আলী, দীপান্বিতা মার্টিন, মনির আহমেদ শাকিল এবং টাইগার রবিকে।
আরও পড়ুন: 'প্রিয় মালতী' হতে যাচ্ছে মেহজাবীন চৌধুরীর প্রথম সিনেমা
ইতালির গালফ অব নেপলস ইনডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভালের দশম অধিবেশনে মনোনীত ‘ময়না’
ইতালির গালফ অব নেপলস ইনডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভালের দশম অধিবেশনে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা বিভাগে মনোনীত হয়েছে বাংলাদেশের মনজুরুল ইসলাম মেঘ পরিচালিত ‘ময়না’ (I want to be Mother)।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে আলিম উল্যাহ খোকনের কাহিনি ও প্রয়োজনায় ময়না সিনেমার চিত্রনাট্য, সংলাপ রচনা ও পরিচালনা করেছেন মনজুরুল ইসলাম মেঘ।
আরও পড়ুন: বেটিয়া ফিল্ম ফেস্টিভালের জুরি হলেন মনজুরুল ইসলাম
ইউরোপের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এই আসন্ন উৎসবের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে- মরক্কোর জিহানে এল বাহার পরিচালিত ‘ট্রিপল এ’, বাংলাদেশের মনজুরুল ইসলাম মেঘ পরিচালিত ‘আই ওয়ান্ট টু বি মাদার (ময়না)’, ইতালির স্টেফানো উসারডি পরিচালিত ‘উইদ্যাউট এজ’, আন্দ্রেয়া বিফুলকো পরিচালিত ‘করসা আবুসিভা’, ব্র্যান্ডো ইমপ্রোটা পরিচালিত ‘লা পারফেজিওন’, যুক্তরাষ্ট্রের চাইসেন বিচাম পরিচালিত ‘হোয়াট উই ফাইন্ড অন দ্য রোড’, জুলিয়া হ্যালপেরিন, জেসন কর্টলুন্ড পরিচালিত ‘ক্রুকডফিঙ্গার’, কানাডার টেলর ওলসন পরিচালিত ‘লুক এট মি’, মেক্সিকোর মাউরো মাউদ পরিচালিত ‘উনা ললাবে হাচিয়ে ইল পাসাদু’ এবং স্পেনের কার্লোস অ্যাসিতুনো পরিচালিত ‘সেপ্টেম্বর’।
‘ময়না' সিনেমায় অভিনয় করেছেন রাজ রিপা, কায়েস আরজু, আমান রেজা, আফ্ফান মিতুল, জিলানী, সুব্রত, মোমেনা চৌধুরী, নাদের চৌধুরী, খলিলুর রহামান কাদরী, সূচনা সিকদার, আনোয়ার, সীমান্ত, স্মৃতি রানী দেবী, তাহমিনা মোনা, মন্টু, সোহেল, সাব্বির, শিশু শিল্পী জান্নাতুল ভোর, বিশেষ চরিত্রে আপন ও শিশির সরদার।
বাংলাদেশের গ্রামীণ প্রান্তিক পর্যায়ের মধ্যবিত্ত পরিবারের উচ্চভিলাসী একটি মেয়ের বেড়ে উঠা এবং সাংসারিক জীবনের কঠিন বাস্তবতায়, শহরের সংগ্রামী দিনগুলো ফুটে উঠেছে ময়না চলচ্চিত্রে।
পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ বলেন, ‘ইউরোপের একটি উৎসবে বাংলাদেশের সিনেমা মনোনীত হওয়া মানেই আমাদের কাছে পুরস্কার পাওয়ার আনন্দের থেকে বেশি।
গালফ অব নেপলস ইনডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ইতালির অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব। এই উৎসবের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় স্থান পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, স্পেন, ইতালি, মেক্সিকো, মরক্কো ও বাংলাদেশের সিনেমা। এশিয়ার একমাত্র চলচ্চিত্র হিসেবে লড়বে ময়না, এটি বাংলা চলচ্চিত্রের জয়।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার কিরাম আর্টস ফেস্টিভালে বাংলাদেশের পূজা
পরিচালক আরও বলেন, “আমাদের ‘ময়না’ সিনেমা দক্ষিণ কোরিয়ার ২১তম ‘আপোরিয়া আন্তর্জাতিক ভিলেজ চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪ এ মনোনীত হয়েছে। এর আগে লন্ডনের ২৫তম ইএমএমএএস বিবিসি ফেস্টিভ্যাল অব মাল্টিকালচারাল ২০২৩ এ ‘ময়না’ সেরা ফিল্ম প্রডাকশন পুরস্কার পেয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মর্যাদাবান উৎসবগুলোতেই ময়না স্থান করে নিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামনে আরও ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা পাচ্ছি, এই অর্জন আমার টিমকে দিতে চাই।’
মেঘ জানান, দক্ষিণ কোরিয়ায় ময়না সিনেমার প্রিমিয়ারের পাশাপাশি ১৫ দিনের একটি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ওয়ার্কশপে অংশ নেবে ময়না। বিভিন্ন দেশের প্রথিতযশা ১৬ জন পরিচালকের সঙ্গে যৌথ কর্মশালা পরিচালনা করবেন এবং চলচ্চিত্রের ওপর আলোচনা করবেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত অপোরিয়াকে সিনেমার অলিম্পিক বলা হয়। বিগত ২০ বছর ধরে আয়োজন হলেও এই প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ময়না মনোনয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ অংশগ্রহণের সুযোগ পেল।
এদিকে, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া সূত্র জানায়, আগামী সেপ্টেম্বরে ‘ময়না’ বাংলাদেশের সিনেমা হলে মুক্তি পাবে।
'ময়না' সিনেমার প্রযোজক আলিম উল্যাহ খোকন বলেন, “ময়নার আন্তর্জাতিক সাফল্যে আমরা মুগ্ধ। জাজ মাল্টিমিডিয়া থেকে আমরা অনেক ভালো ও ব্যবসা সফল সিনেমা নির্মাণ করেছি এবং তা অব্যাহত। আমরা যেমন নায়ক-নায়িকা তৈরি করেছি, তেমনি নতুন পরিচালকও তৈরি করেছি। আমাদের ‘ময়না’ বিভিন্ন দেশের উৎসবে প্রশংসিত হচ্ছে, আশা করছি বাংলাদেশেও ময়না ব্যবসা সফল ও প্রশংসিত হবে।”
গালফ অব নেপলস ইনডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভাল অনুষ্ঠিত হবে ইতালির নেপল উপসাগরের সৈকতে আগামী ১১-১৪ জুন পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: খাজানায় চলছে ওপার বাংলার ফুড ফেস্টিভাল
কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিস’ নিয়ে যে কারণে এত আলোচনা
২৬ এপ্রিল বিশ্ব নন্দিত ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ) প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে প্রিমিয়ার হলো কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিস’ চলচ্চিত্র। এর আগে ১ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই শোরগোল শুরু হয়ে গেছে হিন্দি ভাষার ছবিটি নিয়ে। প্রথম সারির কোনো অভিনয়শিল্পী না থাকলেও সিনেমাটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন স্বনামধন্য বলিউড তারকারা। মিডিয়াপাড়াজুড়ে এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে কেন এত আলোচনা, চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।
‘লাপাতা লেডিস’ চলচ্চিত্রের কলাকুশলী
পরিচালক কিরণ রাওয়ের শুরুটা ছিল ২০১০ সালে রোমান্টিক সিনেমা ‘ধোবি ঘাট’ দিয়ে। দীর্ঘ ১৪ বছর পর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে এবার তিনি ফিরলেন স্যাটায়ার নিয়ে।
প্রযোজনা কমিটিতে তার সঙ্গে রয়েছেন জ্যোতি দেশপান্ডে এবং প্রাক্তন স্বামী বলিউডের তারকা অভিনেতা আমির খান। বিপ্লব গোস্বামীর গল্প নিয়ে চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য ও সংলাপ নির্মাণ করেছেন স্নেহা দেশাই।
সিনেমার অভিনয়শিল্পীরা হলেন নিতানশি গোয়েল, প্রতিভা রান্তা, স্পর্শ শ্রীবাস্তাব, ছায়া কদম, অভয় ডুবে, রবি কিষাণ, দুর্গেশ কুমার, এবং গীতা আগারওয়াল।
আরও পড়ুন: 'প্রিয় মালতী' হতে যাচ্ছে মেহজাবীন চৌধুরীর প্রথম সিনেমা
ছবিটির সংগীত আয়োজন করেছেন রাম সম্পাথ এবং গানের কথায় ছিলেন দিব্যনিধি শর্মা, প্রশান্ত পান্ডে এবং স্বানন্দ কিরকিরে। সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন বিকাশ নওলাখা এবং সম্পাদনায় জাবীন মার্চেন্ট।
ছবিটি সর্বপ্রথম ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর টিআইএফএফ (টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল) এ প্রদর্শিত হয়েছিল।
'প্রিয় মালতী' হতে যাচ্ছে মেহজাবীন চৌধুরীর প্রথম সিনেমা
বর্তমান সময়ের বহুরূপী অভিনয় শিল্পীদের মাঝে স্বনামধন্য একটি নাম মেহজাবিন চৌধুরী। দীর্ঘ ১৪ বছরের অভিনয় জীবনে বহুমুখী প্রতিভার কারণে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। মডেলিং, বিজ্ঞাপন ও নাট্যাঙ্গনে সমানভাবে নিজের কাজের দক্ষতার সাক্ষর রাখায় ভূষিত হয়েছেন নানা সম্মাননায়। মেহুর অনবদ্য অভিনয় দেখা গেছে শর্ট ফিল্ম এবং ওটিটি (ওভার-দ্যা-টপ) কন্টেন্ট ওয়েব ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজেও। স্বতন্ত্র অভিনয় নৈপুণ্য নিয়ে এবার তিনি পদার্পণ করতে চলেছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে; সিনেমার নাম ‘প্রিয় মালতী’। চলুন, আসন্ন সেই সিনেমাটির ব্যাপারে সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক।
‘প্রিয় মালতী’ চলচ্চিত্রের নির্মাণ
পরিচালনায় ও গল্প লেখনীতে রয়েছেন তরুণ নির্মাতা শঙ্খ দাশগুপ্ত। নির্দেশনা অনেক আগে শুরু করলেও আলোচনায় এসেছেন মূলত ‘বলি’ (২০২১) এবং ‘গুটি’ (২০২৩) ওয়েব সিরিজ দু’টির মাধ্যমে।
চলচ্চিত্রটি নির্মিত হচ্ছে ফ্রেম পার সেকেন্ড এবং চরকি’র ব্যানারে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওটিটি হলেও সিনেমাটি বানানো হয়েছে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির লক্ষ্যে।
‘প্রিয় মালতী’র গল্পের প্রেক্ষাপট
চলচ্চিত্রে গল্প নিয়ে এখন পর্যন্ত নির্মাতা বা অভিনয় শিল্পীদের কেউই স্পষ্ট করে তেমন কিছু বলেননি। যতটুকু প্রকাশ করেছেন তা হচ্ছে, এটি মূলত একটি নারীকেন্দ্রিক মুভি। নানা চড়াই-উৎড়াইয়ের মাঝে নারীদের জীবন-সংগ্রামকে গভীরভাবে তুলে ধরা হয়েছে সিনেমাতে। নাম ভূমিকায় মেহু থাকলেও এখানে গল্পটা নিজেই সিনেমার প্রধান চরিত্র।
গত ১৯ এপ্রিল প্রকাশিত টিজারে দেখা যায়, হাসি, কান্না, আতঙ্ক, হতাশা এবং ভয়; বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিফলিত হয়েছে এক নারীর দৈনন্দিন জীবন। মালতীকে ঘিরে আবর্তিত ঘটনার আবহে উন্মুক্ত হয়েছে নাটকীয়তা, থ্রিলার ও অপরাধ ঘরানার অনিন্দ্য সংমিশ্রণ।
আরও পড়ুন: অস্কারজয়ী অভিনেত্রী এমা স্টোন ‘নিজ নামেই’ পরিচিত হতে চান
প্রথম ছবিতে মেহজাবীনের সহশিল্পীরা
আসন্ন চলচ্চিত্রটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। বিগত বছরগুলোর মতো এবারে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। ছোট পর্দায় তার সেরা কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে-
২০১৮-এর 'বড় ছেলে', ২০১৯-এর 'বুকের বাঁ পাশে', ২০২১-এর 'শেষটা সুন্দর', এবং 'এই শহরে'।
দক্ষ এই শিল্পীর ভিন্ন ধারার কাজগুলোর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘চিরকাল আজ’ (২০২২), এবং ধারাবাহিক টিভি চলচ্চিত্র ‘পুনর্জন্ম’ (২০২১-২০২৩)।
‘প্রিয় মালতী’ সিনেমাতে বিপরীতে কোন নায়ক ছাড়াই মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে মেহজাবীনকে। এখানে মেহজাবীনের সহশিল্পীরা হলেন শাহজাহান সম্রাট, নাদের চৌধুরী, এবং রিজভী রিজু।
মেহজাবীনের বড় পর্দায় অভিষেক
২০০৯ সালে রিয়েলিটি শো লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার থেকে বিজয়ের মুকুট অর্জন। তারপর থেকেই শুরু মিডিয়া জগতে মেহজাবীন চৌধুরীর পথ চলা। ২০১০-এর ২১ ফেব্রুয়ারি ইফতেখার আহমেদ ফাহমি পরিচালিত ‘তুমি থাকো সিন্ধুপারে’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন মেহজাবীন। তারপর থেকে ধীরে ধীরে ছোট পর্দার পরিচিত মুখ হয়ে উঠতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: সালমান খানের মুম্বাইয়ের বাড়ির সামনে গুলি
বড় পর্দায়ও তার অভিষেক হওয়ার কথা ছিল সেই সময়েই; অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় দেড় দশক আগে। ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সালাহউদ্দিন লাভলু পরিচালিত ‘ওয়ারিশ’ শিরোনামের চলচ্চিত্রটির শুভ মহরতও হয়েছিল। ছবিতে তার বিপরীতে নায়ক হিসেবে আরিফিন শুভর অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু পরে ছবিটি আর নির্মাণ মঞ্চ পর্যন্ত যেতে পারেনি।
২০২২ সালে ওটিটিতে যাত্রা শুরু করেন চরকি’র ‘রেডরাম’ ওয়েব চলচ্চিত্র দিয়ে। ভিকি জাহেদ পরিচালিত রহস্য-থ্রিলারটিতে তার বিপরীতে ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো।
শাকিব খানের 'তুফান' চলচ্চিত্রের চমকপ্রদ কিছু তথ্য
২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মধ্যে দিয়ে কাজ শুরু হয় ‘তুফান’ চলচ্চিত্রের। সেই থেকে হৈচৈ-এর শুরু ঢালিউড সুপার স্টার শাকিব খান অভিনীত এই নতুন মুভি নিয়ে। ২৮ মার্চ প্রথম পোস্টার প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে দর্শক ও গণমাধ্যমজুড়ে জল্পনা-কল্পনা যেন আরও বেড়ে গেছে। শাকিব ভক্ত ছাড়াও ছবিটি এবার বাংলা মুভিপ্রেমিদের আরও বড় অংশকে আকৃষ্ট করছে। কেননা বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটিতে অংশ নিচ্ছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় সব তারকারা। চলুন, অ্যাকশন ঘরানার চলচ্চিত্র ‘তুফান’ নিয়ে চমকপ্রদ কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
‘তুফান’ এর পর্দার পেছনের শিল্পীরা
ছবিটির নির্দেশনায় রয়েছেন এ সময়ের ভিন্ন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফি। প্রথম ছবি ‘পোড়ামন ২’ (২০১৮) দিয়ে বাজিমাত করার পর থেকে তিনি একের পর এক দুর্দান্ত ছবি উপহার দিয়ে চলেছেন। ‘পরান’ (২০২২), ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’ (২০২১) এবং ‘সুড়ঙ্গ’ (২০২৩) এ অনবদ্য নির্মাণশৈলী রাফিকে এনে দিয়েছে স্বতন্ত্র ভক্তশ্রেণী।
বাংলাদেশের আলফা-আই স্টুডিওস ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি এবং ভারতের এসভিএফ- এই ৩টি প্রোডাকশন হাউজ যৌথভাবে প্রযোজনা করছে ছবিটি। স্বভাবতই নির্মাণ খরচের প্রতিযোগিতায় সমসাময়িক সব সিনেমাকে পেছনে ফেলতে যাচ্ছে ‘তুফান’।
আরও পড়ুন: শাকিব-সোনাল জুটি: কতটা বরাবর হলো!
‘তুফান’ চলচ্চিত্রের গল্প
কাহিনী ও চিত্রনাট্য নিয়ে পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা এখনও গোপনীয়তা বজায় রেখে চলেছেন। এরই মধ্যে ফার্স্ট লুক প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ভক্তদের মাঝে ছবি নিয়ে কৌতুহলটা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।
সোফায় হেলান দেওয়া শাকিব খানের বৈমানিক সানগ্লাসের সঙ্গে কালো জ্যাকেট, লম্বা ও ঢেউ খেলানো চুল মারদাঙ্গা কাহিনীর আভাস দিচ্ছে।
বুকের কাছে বোতাম খোলা শার্টের মাঝে গলার কালো লকেট, হাতের অনামিকা ও কনিষ্ঠায় কালো আংটি। এর সঙ্গে পায়ের কাছে কালো বন্দুকটি হলিউডের গডফাদার মুভির কথা মনে করিয়ে দেয়। সর্বপরি, দর্শক এবার পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় দেখতে চলেছে গ্যাংস্টার শাকিবকে। সেই সূত্রে বলা যেতে পারে যে, আদ্যোপান্ত হাই-ভোল্টেজ অ্যাকশন ঘরানার ছবি হতে যাচ্ছে ‘তুফান’।
আরও পড়ুন: ভারতের ৩ রাজ্যে শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’
‘তুফান’ এ দুই বাংলার সেরা তারকারা
সিনেমাটির সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক বিষয়টি হলো এর কাস্টিং। বাংলাদেশ ও ভারতের জনপ্রিয় সব তারকাদের বড় পর্দায় একসঙ্গে দেখা যাবে এখানে। ফলে প্রত্যেক তারকার স্বতন্ত্র ভক্তদের সংযোজনে দুই বাংলা জুড়ে বিশাল এক দর্শক শ্রেণী তৈরি হয়েছে ‘তুফান’ এর জন্য।
শাকিব খানের বিপরীতে প্রধান সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন কলকাতার তারকা মিমি চক্রবর্তী।
এটি কেবল মিমি-শাকিব জুটির প্রথম ছবিই নয়, সেই সঙ্গে এটি মিমির অভিনয় ক্যারিয়ারেও প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র। ২০১২ সালের ‘বাপি বাড়ি যা’ এবং ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ দিয়ে লাইমলাইটে আসেন মিমি। এরপর থেকে বিভিন্ন আর্ট ফিল্মসহ অনেক ব্যবসায়িক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। বিগত বছরগুলোতে তার সেরা কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘এসওএস কলকাতা’ (২০২০) এবং ‘বাজি’ (২০২১)।
আরও পড়ুন: রাফির পরিচালনায় শাকিব খানের ‘তুফান’
‘তুফান’-এ প্রধান সহশিল্পী হিসেবে আরও থাকছেন বাংলাদেশের ছোট পর্দার তারকা মাসুমা রহমান নাবিলা। বড় পর্দায় আনাগোণাটা খুব একটা না থাকলেও ‘আয়নাবাজি’ (২০১৬)-এর মাধ্যমে দর্শকদের মনে এক বিশাল জায়গা করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
ছবিতে খলনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে টলিউড অভিনেতা যীশু সেনগুপ্তকে। বিনোদন জগতে তার পদার্পণ বেশ আগে হলেও ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’ (২০০৮), ‘আবহমান’ (২০১০), ‘নৌকাডুবি’ (২০১১), ‘চিত্রাঙ্গদা’ (২০১২) চলচ্চিত্রগুলো তাকে ব্যাপক সুখ্যাতি এনে দিয়েছে। বিগত দশকে তার সেরা কাজগুলো ছিলো ২০১৪-এর ‘জাতিস্মর’, ২০১৫-এর ‘রাজকাহিনী’ ও ‘আরশিনগর’, ২০১৬-এর ‘জুলফিকার’।
অতিথি চরিত্র হলেও ‘তুফান’-এর সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরীর যুক্ত হওয়াটা দারুণ চমক দিয়েছে মুভিপ্রেমীদের।
আরও পড়ুন: একই প্ল্যাটফর্মে দুই তারকা শাকিব-সাকিব
চলতি বছরের ‘রুমি’ এবং ‘মনোগামী’ এর জনপ্রিয়তার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন সিনেমার খবরটি নেটিজেনদের মধ্যে রীতিমতো প্রত্যাশার ঝর বইয়ে দিয়েছে। বিশেষ চরিত্রটি কেমন হবে তা এখনও খোলাসা করা হয়নি। ফলে রায়হান রাফি ও চঞ্চল চৌধুরীর এই কাজ নিয়ে কৌতুহল বেড়েই চলেছে সিনেমাপ্রেমীদের।
এখানেই শেষ নয়; ‘তুফান’ টিমের সঙ্গে আরও রয়েছেন ৬ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার বিজয়ী বর্ষিয়ান অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। তার এই সেরা কাজগুলো হচ্ছে ‘শঙ্খনাদ’ (২০০৪), ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ (২০১৬), ‘ফাগুন হাওয়ায়’ (২০১৯), ‘গহীন বালুচর’ (২০১৭) এবং ‘বিশ্বসুন্দরী’ (২০২০), এবং ‘নোনা জলের কাব্য’ (২০২১)। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে বহু সিনেমায় কাজ করলেও শাকিব খানের সঙ্গে এই প্রথম কাজ করছেন ফজলুর রহমান বাবু।
এছাড়া রায়হান রাফির ২০২১ সালের সিনেমা ‘খাচার ভিতর অচিন পাখি’তেও তার কাজ ব্যাপক ভাবে সমাদৃত হয়। যে কোনো চরিত্রে অবলীলায় মিশে যাওয়ার মতো এক অদ্ভূত স্বতঃস্ফূর্ততা রয়েছে এই শক্তিমান অভিনেতার মাঝে।
আরও পড়ুন: না ফেরার দেশে অভিনেতা রুমি
‘তুফান’ সিনেমায় আরও দেখা যাবে শহীদুজ্জামান সেলিম, একে আজাদ সেতু, গাজী রাকায়েত এবং হাসনাত রিপনকে।
কবে মুক্তি পাচ্ছে ‘তুফান’
সিনেমার শুটিং শুরু হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। এ পর্যন্ত ভারতের হায়দারাবাদের রামুজি ফিল্ম সিটিতে শুটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ৯০ দশকের গাড়ি, বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনায় সাজানো সেটটি দারুণ ভাবে নজর কেঁড়েছিল দর্শকদের।
বর্তমানে কলকাতা শহরে দৃশ্য ধারণের কাজ চলছে, যেটি শুরু হয়েছিল গত ১৫ এপ্রিল থেকে। চলবে প্রায় এক মাস ধরে। পরিকল্পনা অনুসারে একটি ট্রেইলারও প্রকাশ করা হবে শিগগিরই। বাকি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে যাবতীয় চমক নিয়ে ‘তুফান’ এর পর্দা উঠবে আগামী ঈদুল আজহায়।
আরও পড়ুন: খালিদকে স্মরণ করে শুরু হচ্ছে টিএমএম বাংলা সংগীত প্রতিযোগিতা ২০২৪
শেষাংশ
দুই বাংলার বড় বড় ৩টি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সমর্থনে শাকিব খানের ‘তুফান’ মুভি বাংলাদেশি ছবির জন্য এক মাইলফলক হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ) এর বদৌলতে রায়হান রাফির ভিন্ন ধারার নির্মাণশৈলী বাংলাদেশি ছবির নতুনত্বের ব্যাপারে অবহিত করবে গোটা বিশ্বকে।
অন্যদিকে, শাকিব খানসহ মিমি চক্রবর্তী, যীশু সেনগুপ্ত, চঞ্চল চৌধুরী, মাসুমা রহমান নাবিলা, ও ফজলুর রহমান বাবুর ভক্তরা সব মিলে বিশাল এক দর্শক শ্রেণী তৈরি করছে ‘তুফান’-এর জন্য। এই ধারাবাহিকতায় সর্বাঙ্গীনভাবে এই সিনেমার জন্য শৈল্পিক গুনগত মানের পাশাপাশি থাকছে ব্যবসায়িক ভাবেও সফল হওয়ার অপার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: কারিনা-টাবু ও কৃতির ক্রু: তিন প্রজন্মের তিন নায়িকার রম্য সিনেমা
অস্কারজয়ী অভিনেত্রী এমা স্টোন ‘নিজ নামেই’ পরিচিত হতে চান
হলিউডে নিজের শক্তিশালী ভূমিকার জন্য বিখ্যাত এমা স্টোন তার জন্মের সময় দেওয়া নামটিতেই পরিচিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
বিবিসির একটি প্রতিবেদনে অভিনেত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, তার অভিনয়ের মঞ্চের নামের চেয়ে তার ব্যক্তিগত পরিচয়ের দিকে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন এমা স্টোন। তিনি বলেছেন, ‘আমার নিজের নামে ফিরতে পারলে খুব ভালো হতো। আমি এমিলি হতে চাই।’
দ্য হলিউড রিপোর্টারের সঙ্গে আলাপচারিতায় অভিনেত্রী উল্লেখ করেছিলেন, তিনি এমন লোকদের পছন্দ করেন যারা তাকে ভালোভাবে জানেন। যাদের সঙ্গে কাজ করেন, তারা তাকে এমিলি বলে ডাকলেই তার ভালো লাগে।
স্টোন ব্যাখ্যা করেন, অভিনেতাদের ইউনিয়নে নাম নিবন্ধনের সময় প্রথমে তার পরিবর্তন করা হয়। কারণ অন্য একজন সদস্য তার নাম নিবন্ধন করেন। ।এ কারণে 'এমা' নামটি গ্রহণ করতে তিনি বাধ্য হয়েছিলেন।
তার নতুন প্রকল্প, "দ্য কার্স" এর প্রচারমূলক সাক্ষাৎরের সময় এ ব্যাখ্যা দেন তিনি। তার আসল নাম ব্যবহার না করায় অস্বস্তির কথা প্রকাশ করেন এমা। তিনি বলেন, একই কারণে তিনি অন্য নাম ব্যবহার করেছিলেন। তবে এটি আর করবেন না ।
তিনি বলেন, তার সহঅভিনেতা নাথান ফিল্ডার প্রায়ই তাকে ‘এম’ বলে ডাকেন। এটি তিনি সহজভাবেই মেনে নিয়েছেন। ফিলডার বলেন, ‘এটি বন্ধুত্ব স্থাপনের একটি উপায়।’
আরও পড়ুন: কারিনা-টাবু ও কৃতির ক্রু: তিন প্রজন্মের তিন নায়িকার রম্য সিনেমা
স্টোন প্রাথমিকভাবে তার প্রিয় স্পাইস গার্ল এমা বান্টনের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এমা নামটি বেছে নিয়েছিলেন, যিনি বেবি স্পাইস নামেও পরিচিত।
ইউনিয়ন বিধিবিধানের কারণে পেশাগত নাম গ্রহণের অনুশীলন বিনোদন শিল্পে খুবই সাধারণ ঘটনা। উদাহরণস্বরূপ, প্রাক্তন 'ডক্টর হু' তারকা ডেভিড টেন্যান্ট তার আসল নাম ডেভিড ম্যাকডোনাল্ড। তিনি পেট শপ বয়েজের নীল টেন্যান্ট থেকে তার পেশাগত নামটি বেছে নিয়েছিলেন।
একইভাবে, কানাডিয়ান সংগীতশিল্পী দ্য উইকেন্ড কপিরাইট সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাওয়ার জন্য একটি 'ই' বাদ দিয়ে তার পেশাগত নামটি পরিবর্তন করেন। আমেরিকান অভিনেত্রী ও পরিচালক এলিজাবেথ ব্যাংকস তার আসল নাম এলিজাবেথ মিচেলকে স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ডে নিবন্ধিত করেছিলেন।
এই নাম পরিবর্তনের ঘটনাগুলো হলিউড ফিল্ম ওকে ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে তাদের পেশাদার এবং ব্যক্তিগত পরিচয় বজায় রাখার ক্ষেত্রে শিল্পীরা যে প্রায়শই একক চ্যালেঞ্জ এবং ব্যক্তিগত আপসের মুখোমুখি হয়, তা তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: সালমান খানের মুম্বাইয়ের বাড়ির সামনে গুলি
সালমান খানের মুম্বাইয়ের বাড়ির সামনে গুলি
বলিউড অভিনেতা সালমান খানের মুম্বাইয়ের বাড়ির সামনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে শহরটির পুলিশ।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, রবিবার ভোর ৫টার দিকে দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেলে করে এসে সালমান খানের বান্দ্রার বাসভবনের বাইরে ৫টি গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ফের সালমান খানকে হত্যার হুমকি, অভিযুক্ত আটক
পুলিশ জানিয়েছে, সালমান খানের বাসভবনের প্রথম তলায়ও একটি গুলি লাগে। বিদেশি অস্ত্র ব্যবহার করে গুলি চালানো হয়েছে। মুম্বাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং কারা গুলি চালিয়েছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
গত বছর ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) জানায়, ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের ঘটনার কারণে কারাগারে বন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হত্যার উদ্দেশ্যে শীর্ষ ১০ জনের মধ্যে একজন হলেন সালমান খান। হরিণ শিকারের ঘটনা বিষ্ণোই সম্প্রদায়কে ক্ষুব্ধ করেছিল বলে দাবি ওই গ্যাংস্টারের।
বিষ্ণোই জানিয়েছেন, তাঁর অনুচর সম্পাত নেহরা হামলার উদ্দেশ্যে খানের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে নজরদারি চালাচ্ছিলেন। তবে হরিয়ানা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স নেহরাকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: হুমকির পর সালমান খানের নিরাপত্তা জোরদার
গত বছরের ১১ এপ্রিল আরেকটি হত্যার হুমকির চিঠি পাওয়ার পরে মুম্বাই পুলিশ সালমান খানের নিরাপত্তা লেভেল ওয়াই+ এ উন্নীত করে।
খবরে বলা হয়েছে, সালমানকে হুমকির ই-মেইল পাঠানোর অভিযোগে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী এক ভারতীয় ছাত্রকে লুকআউট সার্কুলার (এলওসি) দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বলিউড অভিনেতা সালমান খানকে হত্যার ষড়যন্ত্র!