শিল্প-সংস্কৃতি
প্রাচীন জৈন্তারাজ্যের প্রত্নতত্ত্বের নান্দনিক স্থাপনা
মোহাম্মদ মহসীন, সিলেট, ৭ ডিসেম্বর (ইউএনবি)- সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ২০০ বছরের পুরোনো জৈন্তা রাজ্যের স্থাপনার ধ্বংসাবশেষগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন স্থানে। মোঘল আমলে বৃহত্তর জৈন্তার জনপদ ছিল মোঘল শাসনামলের বাইরে। সেই সময়টায় জৈন্তাপুর ছিল স্বাধীন জৈন্তা রাজ্য, যার স্মৃতিগুলো এখনও পরিচয় বহন করে বর্তমান প্রজন্মের কাছে।
জৈন্তা রাজ্যের শাসনামলের সমাপ্তির পরও এখনও কিছু স্মৃতি চিহ্ন রয়ে গেছে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের বিভিন্ন পরতে পরতে। কালের বিবর্তনে অনেক স্থাপনা ধ্বংস কিংবা মানুষের দখলে চলে গেলেও যে কয়টা স্থাপনা বা পুরাকীর্তি রয়েছে তাও দীর্ঘ সময় ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে ছিল।
তার মধ্যে অন্যতম জৈন্তেশ্বরী ইরাদেবী রাজবাড়ীর একটা বিশাল অংশ গত বছর বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর সংরক্ষণের জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে স্থাপত্যশৈলীকে দৃশ্যমান করা হয়েছে। বর্তমানে ইরাদেবী রাজবাড়ীর বটতলার বিশাল অংশটি দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
২ সপ্তাহ আগে
ঢাকায় লোকবাদ্যযন্ত্র প্রদর্শনী শুরু
‘নিরাময়ের ঐক্যতান’ শিরোনামে এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ও উদ্ভাবনী বাদ্যযন্ত্র নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
সোমবার আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারিতে ব্যতিক্রমী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পী শফি মণ্ডল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার পরিচালক ফ্রাঁসোয়া গ্রোসজিয়ান।
জাকির হোসেন ১৯৯৪ সালে গাইবান্ধায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কলকাতায় সংগীত অধ্যয়ন করেছেন। ভারতীয় শাস্ত্রীয়, বাংলা লোক, রবীন্দ্রসংগীত, আধুনিকসহ সংগীতের বিভিন্ন ধরন নিয়ে পড়ালেখা করেছেন তিনি। বাংলাদেশে ফিরে এসে তিনি মানবতাবাদ ও নিরাময়ের উপর সংগীতের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন।
বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে শিল্প ও সংস্কৃতি লালনের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী ও নিরীক্ষাধর্মী সংগীত সংরক্ষণ ও বিকাশের চেষ্টায় ২০১৮ সালে 'অবকল্প' নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন জাকির।
এ আয়োজনে নিরীক্ষাধর্মী দেশীয় বাদ্যযন্ত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি থাকবে সেমিনার, কর্মশালা ও বাংলা লোকসংগীত পরিবেশনা। প্রদর্শনীটি পরিচালনা করছেন লুসি তৃপ্তি গোমেস।
সবার জন্য উন্মুক্ত এ প্রদর্শনী চলবে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর )পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।
৪ সপ্তাহ আগে
শেরপুরে দুই দিন ধরে হবে ‘ওয়ানগালা’ উৎসব
নৃ-জনগোষ্ঠি গারোদের অন্যতম প্রধান উৎসব ‘ওয়ানগালা’। নতুন ফসল ঘরে তোলাকে কেন্দ্র করে নবান্ন উৎসব হিসেবে এ ওয়ানগালা উৎসব উদযাপন করা হয়।
এ বছর আগামী ২৩ ও ২৪ নভেম্বর শেরপুরে ঝিনাইগাতী উপজেলার মরিয়মনগর সাধু জর্জের ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানগালা উৎসব।
মরিয়মনগর সাধু জর্জের ধর্মপল্লীর নিয়ন্ত্রণে জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতবাড়ী উপজেলা এবং পাশ্ববর্তী জামালাপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার গারো সমাজের ৪৭টি গ্রাম রয়েছে। ওইসব গ্রামের প্রায় ২২ হাজার খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী গারো সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস।
জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য খৃষ্টভক্ত এবং গারাগানজিং, কতুচ, রুগা, মমিন, বাবিল, দোয়াল, মাতচি, মিগাম, চিবক, আচদক ও আরেং নামে ১২টি গোত্রের গারো সম্প্রদায়ের শত শত লোক ওয়ানগালা উৎসবে শামিল হন।
গারো সম্প্রদায়ের কয়েকশত মানুষ দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন।
এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গারোদের নিজস্ব ভাষায় গান ও নৃত্য পরিবেশিত হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শেষে র্যাফেল ড্র ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উৎসব ঘিরে ধর্মপল্লীর পাশে গারোদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও শিশুদের নানা রকমের খেলনা নিয়ে এক মেলা বসে।
আগামী রবিবার (২৪ নভেম্বর) মরিয়মনগর সাধূ জর্জের ধর্মপল্লীতে ওয়ানগালা উৎসবের ধর্মীয় ও সামাজিক আনুষ্ঠানিকতা চলবে। তবে আগেরদিন শনিবার ময়িমনগর ধর্মপল্লী উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে দিনব্যাপী গারোদের ঐতিহ্যবাহী রান্না ও খাবারের প্রদর্শনী। এ উপলক্ষে গারোদের ঐতিহ্যবাহী রান্না ও খাবারের প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
ঝিনাইগাতী ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (টিডব্লিওএ) সাধারণ সম্পাদক অসীম ম্রং জানান, গারো জনগোষ্ঠির আধ্যাত্মিক ও মূল্যবোধকে আরও সমৃদ্ধ এবং ঐতিহ্যবাহী গারো কৃষ্টি ও সংস্কৃতি চর্চায় নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করা হয় এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। যাতে বর্তমান প্রজন্ম এখান থেকে বুঝতে ও শিখতে পারে। ওয়ানগালা উৎসবটি গারো সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবও বটে।
মরিয়মনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক অঞ্জন আরেং বনে, ওয়ানগালা উৎসব আয়োজনের মূল লক্ষ্য হলো লুপ্তপ্রায় গারো জনগোষ্ঠির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির চর্চায় উৎসাহিত করা এবং ঐতিহ্যবাহী এই সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্ম ও বৃহত্তর জনগোষ্ঠির নিকট তুলে ধরা। যাতে আমাদের নতুন প্রজন্ম এই সংস্কৃতি চর্চা ও সংরক্ষণ করতে পারে।
১ মাস আগে
ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করে হত্যার প্রতিবাদে প্রদর্শনী দৃকের
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় গণহত্যার খবর প্রচার দমন করতে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করায় ১৯১ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে দৃক পিকচার লাইব্রেরির উদ্যোগে 'গাজা হলোকাস্ট: কিলিং দ্য ট্রুথটেলারস' শীর্ষক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
দৃকের পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধবদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত দর্শনার্থীরা ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য চলমান লড়াইয়ে নিহত সাংবাদিকদের ছবি নিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন।
এ বছরের শুরুতে ৫ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪ উপলক্ষে দৃক পান্থপথের দৃকপাঠ ভবনে একই শিরোনামে ৭ দিনব্যাপী একটি প্রদর্শনী এবং একটি প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: গাজায় এক বছরের যুদ্ধে ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় নিহত গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজিত প্রদর্শনীর ভূমিকায় বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুল আলম বর্ণনা করেন, ‘আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রবেশাধিকার ইসরায়েল বন্ধ করায় ফিলিস্তিনি সাংবাদিকরাই হাসপাতাল ধ্বংসের একমাত্র সাক্ষী ছিলেন। যেখানে একসময় মৃত্যুর পথযাত্রীদের জীবন বাঁচাতে তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে শ্রম দিয়েছিল এবং পরিত্যক্ত শিশুরা নির্জন ইনকিউবেটরে পড়ে ছিল। জীবন্ত অবস্থায় তাদের গণকবর দেওয়া হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘তারা দেখেছে ক্ষুধার্ত মানুষগুলো খাবারের ট্রাকের বাইরে সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে। তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং গর্ভবতী মায়েদের স্তন শুকিয়ে গেছে। তাদের হৃদয় ব্যথায় ভারি হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। তারা অনেক কিছু দেখেছে। অনেক বেশি বলেছে এবং শুটিং আর্কেডে কার্নিভালের হাঁসের মতো তুলে ফেলা হয়েছিল। কখনো একা, কখনো পরিবারের সঙ্গে। প্রযুক্তি জায়ান্টদের পরিচালিত ড্রোনগুলো তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।’
শহিদুল আলম বলেন, ‘এই সাহসী সাংবাদিকরা তাদের আত্মত্যাগে বিবেকের প্রদীপ জ্বালিয়ে দিয়েছেন। তারা মাংস এবং হাড়ের চেয়ে বেশি ছিল। সত্য বলার পবিত্র শিল্পের কাছে শহীদ হয়েছেন তারা। তাদের লেন্স এমন একটি আয়না মানবতার অন্ধকারতম কোণগুলোকে তুলে ধরে। তাদের গল্পের ওজন আমাদের সম্মিলিত বিবেকের উপর চাপ দেয়।’
এই সংহতি প্রদর্শনীটি ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং চলমান গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার অঙ্গীকারের অংশ।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত
১ মাস আগে
হুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মদিন আজ
নন্দিত কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মদিন আজ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামের পরে প্রায়শই বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা লেখক হিসাবে বিবেচিত তিনি।বাংলা সাহিত্যকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয় হুমায়ূন আহমেদকে। তিনি 'হিমু', 'মিসির আলী', 'বাকের ভাই' এবং অন্যান্য আইকনিক কাল্পনিক চরিত্রায়নের পাশাপাশি জাদুকরি গল্পের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত।
হুমায়ূন তার প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে (১৯৭২) এর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছিলেন। তিনি ২০০ টিরও বেশি উপন্যাস ও গল্পের বই লিখেছেন। যার সবগুলোই বাংলাদেশে সর্বাধিক বিক্রিত। এখনও সেগুলো পাঠকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়।
বাঙালি সংস্কৃতি ও বিনোদন জগতে অসামান্য অবদানের জন্য নব্বই ও ২০০০-এর দশকে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পদক, বাচসাস পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
টেলিভিশনে একজন সফল কন্টেন্ট নির্মাতা হিসেবে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) প্রথম প্রহর (১৯৮৩) নাটকের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক করেন। টেলিভিশনে তার সফল যাত্রা অব্যাহত ছিল জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক 'এই সব দিনরাত্রি', 'বহুব্রীহি', 'অসময়', 'নক্ষত্রের রাত', 'আজ রবিবার' এবং 'বাকের ভাই' চরিত্রে অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর অভিনীত 'কোথাও কেউ নেই' নাটকটি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।
হুমায়ূন আহমেদ ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসাবে সাফল্য লাভ করেছিলেন এবং তার চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্যারিয়ারে আটটি চলচ্চিত্র তৈরি করেছিলেন। প্রতিটি তার নিজের উপন্যাস অবলম্বনে। তার দুটি চলচ্চিত্র, 'শ্যামল ছায়া' (২০০৪) এবং 'ঘেটুপুত্র কমলা' (২০১২) তাদের নিজ নিজ মুক্তির বছরে সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্রের জন্য একাডেমি পুরস্কারের জন্য অফিসিয়ালি বাংলাদেশি জমা দিয়েছিল।
শঙ্খনীল কারাগার (চিত্রনাট্যকার হিসেবে), 'আগুনের পরশমণি', 'দারুচিনি দ্বীপ' ও 'ঘেটুপুত্র কমলা' চলচ্চিত্রের জন্য তিনি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সাতবার বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
আরও পড়ুন: হুমায়ূন আহমেদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
হুমায়ূন আহমেদের জীবন ও কর্ম স্মরণে তার পরিবার, বিভিন্ন সংগঠন এবং তার গুণগ্রাহীরা আজ জন্মদিন উদযাপন করবেন।
হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মেহের আফরোজ শাওন তাদের ছেলে নিষাদ হুমায়ূন ও নিনিথ হুমায়ূনকে নিয়ে এই দিনে প্রতি বছর রাত ১২টায় রাজধানীর দক্ষিণ হাওয়া বাসভবনে কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করেন।
বিশিষ্ট এই লেখকের বিখ্যাত ফ্যান গ্রুপ হিমু পরিবহন বেশ কয়েক বছর ধরে তার জন্মদিন পালন করে আসছে। সাহিত্যিকের জন্মদিন উপলক্ষে আজ গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে যাবেন তারা।
এদিকে লেখকের নিজ জেলা নেত্রকোনায় তরুণদের সংগঠন হিমু পাঠক আড্ডায় দিনব্যাপী 'হিমু উৎসব' অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে বিখ্যাত গ্রন্থ 'মিসির আলী' অবলম্বনে তাদের নাটক 'আমি এবং আমরা' বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ করবে নাট্যদল বহুবচন।
লেখকের ৭৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকাল ৪টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি, সংবাদপত্র ও মিলনায়তন বিভাগের পরিচালক ড. সরকার আমিন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন কথাসাহিত্যিক সালাহ উদ্দিন শুভ্র। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেবেন অধ্যাপক আহমেদ মাওলা ও অধ্যাপক সুমন রহমান।
এছাড়া আজ সকালে নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের সমাধিতে বিভিন্ন সংগঠন ও গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিকালে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন: পাওয়া গেছে হুমায়ূন আহমেদের আঁকা হারিয়ে যাওয়া চিত্রকর্ম
১ মাস আগে
‘নাট্যশালার উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে জনতার মুখোমুখি দাঁড়ায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’
সম্প্রতি জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে একটি নাটক মঞ্চায়নের সময় উদ্ভুত অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ও বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফ্যাসিস্ট সরকারের মতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জনতার মুখোমুখি দাঁড় করা হয়নি।
সোমবার (৪ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি।
এতে বলা হয়, গত শনিবার (২ নভেম্বর ) ‘দেশ নাটক’ প্রযোজিত নাটক ‘নিত্যপুরাণ’ মঞ্চায়নের সময় এক দল লোক বিক্ষোভ করে তা বন্ধ করে দিতে জড়ো হয়। এসময় আলোচনার মাধ্যমে এটি সমাধানের জন্য শিল্পকলা একাডেমি একাধিকবার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা ক্ষান্ত হয়নি। বরং তাদের সংখ্যা বেড়ে গেলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবার উপক্রম হয়। তখন অভিনয়শিল্পী ও দর্শকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ‘দেশ’ নাটকের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে দর্শকের নিকট দুঃখপ্রকাশ করে প্রদর্শনী বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে আরও বলা হয়, ৩ নভেম্বর দেশের কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় ‘শিল্পকলায় নাটকের প্রদর্শনী বন্ধের ঘটনা সমর্থন করে না সরকার’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের মূল বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে এটি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি বিক্ষুব্ধকারীদের নাটক বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনাকে অর্থাৎ শিল্পচর্চার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সরকার সমর্থন করে না মর্মে বুঝিয়েছেন। তিনি মনে করেন , বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
তাছাড়া বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বাবস্থায় জনগণের, শিল্পচর্চার ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্বাস করে। এজন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে কাজ করছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি চায় না শিল্পকলার কণ্ঠ কেউ রোধ করুক। কেননা, বাংলাদেশের হাজার বছরের নাটকের ইতিহাস আছে। নাটকের মাধ্যমেই সমাজের ত্রুটি বিচ্যুতি ও বিকল্প ধারণা তুলে ধরা সম্ভব। তাই যারা নাটক করতে চায় তাদের নাটক করতে দিতে হবে। নাটক দেখেই দর্শক বিবেচনা করবে তাদের নাটক তারা গ্রহণ করবে কিনা। মতাদর্শ ও শিল্পকলার হাজার মালভূমির এই বাংলাদেশে সকল দলের নাটক করার বিষয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সার্বিক সহযোগিতা রয়েছে।
শিল্পকলা একাডেমি মনে করে, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে কোনো ব্যক্তির কারণে নাটকের দল যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে প্রচেষ্টা সাংস্কৃতিক সংগঠন বা নাটকের দলের থাকা উচিত। কোনো দলের ভেতরে বিতর্কিত কেউ যদি থাকে, যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অস্বীকার করে এবং স্বৈরাচারীর দোসর হয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের কার্যক্রমকে এখনো সমর্থন করে তাহলে দলের পক্ষ থেকেই তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এসব গণহত্যার দোসর বা সমর্থনকারীদের তিরস্কার করে, নিন্দা জানায়।
সুস্থ, উৎসবমুখর, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জনবান্ধব শিল্পচর্চায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পাশে থেকে দেশের শিল্প সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখতে দেশের সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবীসহ দেশের জনসাধারণ এগিয়ে আসবে এটাই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রদর্শনী ২০২৪ -এর ঢাকা সংস্করণ শুরু
১ মাস আগে
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রদর্শনী ২০২৪ -এর ঢাকা সংস্করণ শুরু
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ও দৃক পিকচার লাইব্রেরির আয়োজনে ঢাকার দৃক গ্যালারীতে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রদর্শনী ২০২৪ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দৃক গ্যালারিতে এটির উদ্বোধন করা হয়।
বিশ্বব্যাপী সফররত এই প্রদর্শনীতে ফাউন্ডেশনের বার্ষিক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার ফলাফলের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন বিচারকমন্ডলী দ্বারা নির্বাচিত বিগত বছরে তোলা সমগ্র বিশ্বের সেরা আলোকচিত্র সাংবাদিকতা এবং ডকুমেন্টারি আলোকচিত্রসমূহ প্রদর্শিত হচ্ছে।
দৃকপাঠ ভবনে আযোজিত এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদর্শনীর ঢাকা সংস্করণের প্রেক্ষাপটের উপর আলোকপাত করেন বাংলাদেশস্থ নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন, জাতিসংঘের মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিকাশ ও সুরক্ষাবিষয়ক বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান এবং দৃক পিকচার লাইব্রেরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রতিযোগিতার প্রাক্তন জ্যুরি বোর্ড সভাপতি শহিদুল আলম।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রতিযোগিতার এশিয়া অঞ্চলের কোর্ডিনেটর এএসএম রেজাউর রহমান।
এর আগে পূর্বে এশিয়া অঞ্চলের সহযোগি হিসাবে ২০২২ সালের নভেম্বরে দৃক ২০২২ সালের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল। এছাড়াও দৃক এশিয়া অঞ্চলের ২০২৩ সালের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রতিযোগিতার বিচারপ্রক্রিয়ার আয়োজন করে ঢাকায় এবং ২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রতিযোগিতার বিচারপ্রক্রিয়ার আয়োজন করে অনলাইনে।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সহায়তায় গ্যালারি কসমসে 'আর্ট ফর এইড: রিবিল্ডিং লাইভস' প্রদর্শনী শুরু
২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রতিযোগিতাটি বিশ্বব্যাপী মোট ছয়টি অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয়েছে- আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর এবং মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং ওশেনিয়া। প্রতিযোগিতার এবারের ৬৭তম আসরে ১৩০টি দেশের ৩ হাজার ৮৫১ জন আলোকচিত্রীর কাছ থেকে ৬১ হাজার ৬২টি আলোকচিত্র ও ওপেন ফরম্যাট এন্ট্রি পাওয়া যায়। ৬১ হাজারেরও বেশি এন্ট্রি থেকে নির্বাচিত বিজয়ী কাজগুলোর মধ্য দিয়ে ধ্বংসাত্মক সংঘাত এবং রাজনৈতিক উত্থান থেকে শুরু করে জলবায়ু সংকট এবং অভিবাসীদের নিরাপদ উত্তরণ সম্ভ্রান্ত বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এধরনের গুরুত্বপূর্ণ গল্পগুলোকে একত্রিত করার ক্ষেত্রে, নির্বাচিত কাজগুলো সমসাময়িক ঘটনাগুলো সম্পর্কে বৃহত্তর বোঝাপড়া এবং সচেতনতাকে উৎসাহিত করে। সেইসঙ্গে বিশ্বের সমস্ত কোণে সাংবাদিকতার স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তাকেও মনে করিয়ে দেয়।
এবছর বিশ্বব্যাপী সফর শুরু করার পূর্বে, গত এপ্রিলের ১৯ তারিখে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রদর্শনী ২০২৪ আযোজিত হয় নেদারল্যান্ডের অ্যামস্ট্যারডাম শহরে। বর্তমানে প্রদর্শনীটি ৬০টির বেশি দেশে সফর করছে।
প্রদর্শনীটি আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: কুমার নদে ১২৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচে মানুষের ঢল
১ মাস আগে
কুমার নদে ১২৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচে মানুষের ঢল
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার তেলজুড়ী এলাকায় কুমার নদে ১২৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বছরের এই উৎসবের অপেক্ষায় থাকে ওই এলাকাসহ আশপাশের কয়েক উপজেলার নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। নৌকা বাইচ দেখতে নদের দুই পাড়ে অর্ধলক্ষাধিক নারী-পুরুষের ঢল নামে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় নৌকা বাইচের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ব্যবসায়ী আরডিডি গ্রুপের কর্নধার আজিজুল আকিল ডেভিড শিকদার।
ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচকে ঘিরে তিন দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বাইচে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোটবড় ১০টি নৌকা অংশ নেয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার তেলজুড়ি বাজারসংলগ্ন এলাকায় কুমার নদের দুই পাড়ে অর্ধলক্ষাধিক নারী-পুরুষ বিভিন্ন সাজে দাঁড়িয়ে নৌকা বাইচ উপভোগ করছেন। অনেকেই নৌকা ও ট্রলার ভাড়া করে এই উৎসব দেখছেন। নৌকা বাইচ উপলক্ষে মেলায় মিষ্টির দোকান, ইলিশের দোকান, খেলনা ও বিভিন্ন খাবার দোকানের পসরা সাজিয়েছে দোকানিরা। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অঞ্চলের জামাইয়েরা বউ নিয়ে শ্বশুরবাড়ি এসেছেন। আত্মীয়-স্বজন, পরিবার-পরিজন নিয়ে মেতে ওঠেন আনন্দে।
নৌকা বাইচ দেখতে আসা তেলজুড়ি গ্রামের ও পাংশা উপজেলার গৃহবধূ শাহিদা বেগম বলেন, প্রতি বছরের এইদিনে কুমার নদে নৌকা বাইচ ও গ্রামীণ মেলা স্বামীর বাড়ি থেকে ছুটে আসি। মেয়েরা জামাই নিয়ে বাবার বাডিতে আসেন। প্রতিবারের মতো স্বামী সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে নৌকা বাইচ দেখতে এসেছি। মেলা থেকে অনেক কিছু কেনাকাটা করেছি।
মেলা দেখতে আসা শিক্ষার্থী নুর নাহার জানান, বান্ধবীদের নিয়ে নৌকা বাইচ দেখতে এসেছি। মেলায় ঘুরে উপভোগ করছি। খুব আনন্দ লাগছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের ধরলায় নৌকা বাইচে ব্যতীক্রমী পুরস্কার
২ মাস আগে
বন্যার্তদের সহায়তায় গ্যালারি কসমসে 'আর্ট ফর এইড: রিবিল্ডিং লাইভস' প্রদর্শনী শুরু
বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলায় সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় গ্যালারি কসমসে 'আর্ট ফর এইড: রিবিল্ডিং লাইভস' শীর্ষক একটি বিশেষ গ্রুপ আর্ট প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বন্যার্তদের জন্য তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর গ্যালারি কসমসে মাসব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। এই প্রদর্শনী থেকে প্রাপ্ত অর্থ বন্যার্তদের সহায়তায় দেওয়া হবে।
ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার জেলার ৫৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এখন পর্যন্ত ৬০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এরপর থেকে বন্যার্তদের আর্থিক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান।
৩ মাস আগে
মাইলসের শাফিন আহমেদ: পপসংগীতের আকাশে চির উজ্জ্বল নক্ষত্র
সংগীতের পথে জীবনের প্রথম পদক্ষেপ, আবার সেই পথেই শেষ। কথাটি যেন অবিকল মিলে গেছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড সংগীত শিল্পী শাফিন আহমেদের সঙ্গে। গত ২০ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি কনসার্টে অংশ নিতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চার দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২৪ জুলাই ৬৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন শাফিন আহমেদ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ ও কিডনিসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। চলুন, দেশ বরেণ্য এই পপ-তারকার বর্ণাঢ্য জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ব্যক্তি জীবনে শাফিন আহমেদ
শাফিন আহমেদ ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মা দেশের স্বনামধন্য সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগম এবং বাবা সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ কমল দাশগুপ্ত। স্বভাবতই শাফিনের বেড়ে ওঠাটা হয়েছে গানের মাঝেই। পারিবারিক গন্ডিতে তার ডাক নাম ‘মুনা’। এ ছাড়া সংগীতাঙ্গনের যারা তাকে ছোটবেলা থেকে চেনে তারা দেখা হলে প্রথমেই ‘মুনা’ নামেই ডাকতেন।
শাফিন আহমেদের গানের হাতেখড়ি হয় তারা বাবা-মায়ের কাছেই। বাবার কাছে তালিম নিয়েছেন উচ্চাঙ্গ সংগীতের, আর মা শিখিয়েছেন নজরুলগীতি। তার আনুষ্ঠানিক গানের শুরুটা হয়েছিল মাত্র ৯ বছর বয়সে। পরে বড়ভাই হামিন আহমেদসহ দুই ভাই পড়াশোনার জন্য পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। সে সময় তার সামনে উন্মোচিত হয়েছিল পাশ্চাত্য সংগীতের বিস্তৃত পরিসর। আর এই অঙ্কুরেই শুরু হয় তার ব্যান্ড সংগীতের যাত্রা।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন শাওন
সংগীতাঙ্গনে শাফিন আহমেদ
১৯৭৯ সালে মাইল্স ব্যান্ড প্রতিষ্ঠার পর হামিন ও শাফিন দুজনেই যুক্ত হন ব্যান্ড দলের সঙ্গে। বেজ গিটার বাজানোর পাশাপাশি দলের প্রধান গায়ক ছিলেন শাফিন।
শুরুর দিকে তারা ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে (বর্তমান ঢাকা শেরাটন) নিয়মিত গান করতেন। তখন তাদের মনোনিবেশ ছিল শুধুমাত্র ইংরেজি গানের প্রতি। ব্যান্ড প্রতিষ্ঠার পর মাইলসের প্রথম অ্যালবামটির সবগুলো গানই ছিল ইংরেজিতে।
১৯৮২ সালে ত্রিশ মিনিটের একটা ইন্সট্রুমেন্টাল শো’র জন্য বিটিভির পক্ষ থেকে ডাক আসে। তখন মাইলসের সেরা ছয়টি সুর রেকর্ড করে পাঠানো হয় বিটিভিতে। এই রেকর্ডগুলো টানা দুই বছর ভোর ৬টা থকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছিল বিটিভির সিগনেচার মিউজিক হিসেবে।
১৯৯১ সালে প্রকাশিত হয় মাইলসের প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম ‘প্রতিশ্রুতি’। সেই থেকে একের পর এক সৃষ্টি হতে থাকে কালজয়ী সব গান। এগুলোর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় গানগুলো হলো- ‘ফিরিয়ে দাও আমারি প্রেম’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘চাঁদ তাঁরা সূর্য’, ‘নীলা’, ‘পিয়াসী মন’, ‘পাথুরে নদীর জলে’, ‘ধিকি ধিকি’, এবং ‘সে কোন দরদিয়া’। চার যুগেরও বেশি সময় পেরিয়ে এখনও এই গানগুলো দেশ জুড়ে সমান জনপ্রিয়। এগুলোসহ মাইল্সের প্রায় ৯০ শতাংশ গানের ভোকাল ছিলেন শাফিন।
আরও পড়ুন: আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সক্ষমতার চিত্র
৪ মাস আগে