শিল্প-সংস্কৃতি
কুমার নদে ১২৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচে মানুষের ঢল
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার তেলজুড়ী এলাকায় কুমার নদে ১২৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বছরের এই উৎসবের অপেক্ষায় থাকে ওই এলাকাসহ আশপাশের কয়েক উপজেলার নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। নৌকা বাইচ দেখতে নদের দুই পাড়ে অর্ধলক্ষাধিক নারী-পুরুষের ঢল নামে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় নৌকা বাইচের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ব্যবসায়ী আরডিডি গ্রুপের কর্নধার আজিজুল আকিল ডেভিড শিকদার।
ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচকে ঘিরে তিন দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বাইচে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোটবড় ১০টি নৌকা অংশ নেয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার তেলজুড়ি বাজারসংলগ্ন এলাকায় কুমার নদের দুই পাড়ে অর্ধলক্ষাধিক নারী-পুরুষ বিভিন্ন সাজে দাঁড়িয়ে নৌকা বাইচ উপভোগ করছেন। অনেকেই নৌকা ও ট্রলার ভাড়া করে এই উৎসব দেখছেন। নৌকা বাইচ উপলক্ষে মেলায় মিষ্টির দোকান, ইলিশের দোকান, খেলনা ও বিভিন্ন খাবার দোকানের পসরা সাজিয়েছে দোকানিরা। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অঞ্চলের জামাইয়েরা বউ নিয়ে শ্বশুরবাড়ি এসেছেন। আত্মীয়-স্বজন, পরিবার-পরিজন নিয়ে মেতে ওঠেন আনন্দে।
নৌকা বাইচ দেখতে আসা তেলজুড়ি গ্রামের ও পাংশা উপজেলার গৃহবধূ শাহিদা বেগম বলেন, প্রতি বছরের এইদিনে কুমার নদে নৌকা বাইচ ও গ্রামীণ মেলা স্বামীর বাড়ি থেকে ছুটে আসি। মেয়েরা জামাই নিয়ে বাবার বাডিতে আসেন। প্রতিবারের মতো স্বামী সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে নৌকা বাইচ দেখতে এসেছি। মেলা থেকে অনেক কিছু কেনাকাটা করেছি।
মেলা দেখতে আসা শিক্ষার্থী নুর নাহার জানান, বান্ধবীদের নিয়ে নৌকা বাইচ দেখতে এসেছি। মেলায় ঘুরে উপভোগ করছি। খুব আনন্দ লাগছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের ধরলায় নৌকা বাইচে ব্যতীক্রমী পুরস্কার
৪ সপ্তাহ আগে
বন্যার্তদের সহায়তায় গ্যালারি কসমসে 'আর্ট ফর এইড: রিবিল্ডিং লাইভস' প্রদর্শনী শুরু
বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলায় সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় গ্যালারি কসমসে 'আর্ট ফর এইড: রিবিল্ডিং লাইভস' শীর্ষক একটি বিশেষ গ্রুপ আর্ট প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বন্যার্তদের জন্য তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর গ্যালারি কসমসে মাসব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। এই প্রদর্শনী থেকে প্রাপ্ত অর্থ বন্যার্তদের সহায়তায় দেওয়া হবে।
ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার জেলার ৫৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এখন পর্যন্ত ৬০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এরপর থেকে বন্যার্তদের আর্থিক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান।
১ মাস আগে
মাইলসের শাফিন আহমেদ: পপসংগীতের আকাশে চির উজ্জ্বল নক্ষত্র
সংগীতের পথে জীবনের প্রথম পদক্ষেপ, আবার সেই পথেই শেষ। কথাটি যেন অবিকল মিলে গেছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড সংগীত শিল্পী শাফিন আহমেদের সঙ্গে। গত ২০ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি কনসার্টে অংশ নিতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চার দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২৪ জুলাই ৬৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন শাফিন আহমেদ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ ও কিডনিসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। চলুন, দেশ বরেণ্য এই পপ-তারকার বর্ণাঢ্য জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ব্যক্তি জীবনে শাফিন আহমেদ
শাফিন আহমেদ ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মা দেশের স্বনামধন্য সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগম এবং বাবা সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ কমল দাশগুপ্ত। স্বভাবতই শাফিনের বেড়ে ওঠাটা হয়েছে গানের মাঝেই। পারিবারিক গন্ডিতে তার ডাক নাম ‘মুনা’। এ ছাড়া সংগীতাঙ্গনের যারা তাকে ছোটবেলা থেকে চেনে তারা দেখা হলে প্রথমেই ‘মুনা’ নামেই ডাকতেন।
শাফিন আহমেদের গানের হাতেখড়ি হয় তারা বাবা-মায়ের কাছেই। বাবার কাছে তালিম নিয়েছেন উচ্চাঙ্গ সংগীতের, আর মা শিখিয়েছেন নজরুলগীতি। তার আনুষ্ঠানিক গানের শুরুটা হয়েছিল মাত্র ৯ বছর বয়সে। পরে বড়ভাই হামিন আহমেদসহ দুই ভাই পড়াশোনার জন্য পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। সে সময় তার সামনে উন্মোচিত হয়েছিল পাশ্চাত্য সংগীতের বিস্তৃত পরিসর। আর এই অঙ্কুরেই শুরু হয় তার ব্যান্ড সংগীতের যাত্রা।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন শাওন
সংগীতাঙ্গনে শাফিন আহমেদ
১৯৭৯ সালে মাইল্স ব্যান্ড প্রতিষ্ঠার পর হামিন ও শাফিন দুজনেই যুক্ত হন ব্যান্ড দলের সঙ্গে। বেজ গিটার বাজানোর পাশাপাশি দলের প্রধান গায়ক ছিলেন শাফিন।
শুরুর দিকে তারা ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে (বর্তমান ঢাকা শেরাটন) নিয়মিত গান করতেন। তখন তাদের মনোনিবেশ ছিল শুধুমাত্র ইংরেজি গানের প্রতি। ব্যান্ড প্রতিষ্ঠার পর মাইলসের প্রথম অ্যালবামটির সবগুলো গানই ছিল ইংরেজিতে।
১৯৮২ সালে ত্রিশ মিনিটের একটা ইন্সট্রুমেন্টাল শো’র জন্য বিটিভির পক্ষ থেকে ডাক আসে। তখন মাইলসের সেরা ছয়টি সুর রেকর্ড করে পাঠানো হয় বিটিভিতে। এই রেকর্ডগুলো টানা দুই বছর ভোর ৬টা থকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছিল বিটিভির সিগনেচার মিউজিক হিসেবে।
১৯৯১ সালে প্রকাশিত হয় মাইলসের প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম ‘প্রতিশ্রুতি’। সেই থেকে একের পর এক সৃষ্টি হতে থাকে কালজয়ী সব গান। এগুলোর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় গানগুলো হলো- ‘ফিরিয়ে দাও আমারি প্রেম’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘চাঁদ তাঁরা সূর্য’, ‘নীলা’, ‘পিয়াসী মন’, ‘পাথুরে নদীর জলে’, ‘ধিকি ধিকি’, এবং ‘সে কোন দরদিয়া’। চার যুগেরও বেশি সময় পেরিয়ে এখনও এই গানগুলো দেশ জুড়ে সমান জনপ্রিয়। এগুলোসহ মাইল্সের প্রায় ৯০ শতাংশ গানের ভোকাল ছিলেন শাফিন।
আরও পড়ুন: আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সক্ষমতার চিত্র
২ মাস আগে
দৃকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ প্রেস ফটো প্রদর্শনী ২০২৪
বাংলাদেশের সম্মুখ সারিতে কর্মরত আলোকচিত্র সাংবাদিকদের অর্জনকে উদযাপন এবং সম্মান জানাতে দৃক পিকচার লাইব্রেরি কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশ প্রেস ফটো প্রদর্শনী ২০২৪ এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকাস্থ দৃক গ্যালারিতে প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করা হয়।
এবারের প্রদর্শনীতে ২০২২ সাল থেকে দৃকের ধারাবাহিক আয়োজন বাংলাদেশ প্রেস ফটো কনটেস্টের (বিপিপিসি) ৩য় সংস্করণে নির্বাচিত ৩০টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে।
এ বছর ১৬ এপ্রিল ছবি আহ্বানের মধ্যে দিয়ে প্রতিযোগিতাটি উন্মুক্ত করা হয়। এতে আলোকচিত্র সাংবাদিকরা ২০২৩ সালে তোলা রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রায় ১ হাজারের বেশি ছবি জমা দেন।
আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিপিপিসি ২০২৪ এর অন্যতম বিচারক এবং দৃক পিকচার লাইব্রেরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম। তিনি বলেন, ‘দুনিয়ার কোনো প্রেস ফটো প্রতিযোগিতায় আমার জানামতে গণমুখী সাংবাদিকতার ক্যাটাগরি নেই। মিডিয়ার মালিকানাসহ নানা কারণে তারকা বা প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ দলীয় প্রচারেই মিডিয়ার কাজ সীমাবদ্ধ থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের প্রদর্শিত ছবিগুলোর আলোকচিত্রীরা নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকেই এই কাজগুলো করেছে। তাদের কাজের মাধ্যমে নিজেদের প্রমাণ করে বাংলাদেশের আলোকচিত্র আজ অনেক দূর পৌঁছে গিয়েছে।’
প্রতিযোগিতার অন্য বিচারক ছিলেন- অমল আকাশ, শিল্পী, গায়ক, আন্দোলনকর্মী, সমগীত; মনিরুল আলম, আলোকচিত্র সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, ইপিএ; শোয়েব ফারুকী, আলোকচিত্রী, শিক্ষাবিদ, ফটোব্যাংক গ্যালারি এবং তাসমিমা হোসেন, সম্পাদক, দৈনিক ইত্তেফাক।
আরও পড়ুন: ‘রেজ অ্যান্ড হোপ’: দৃকে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপিত
এবারে বর্ষসেরা আলোকচিত্র ২০২৩ বিজয়ী হয়েছেন ফোকাস বাংলার কুদ্দুস আলম এবং তিনি পুরস্কার পেয়েছেন ১ লাখ টাকা।
একই সঙ্গে ৩টি বিভাগে পুরস্কার জিতেছেন আরও ৬ আলোকচিত্রী। বিভাগ বিজয়ীরা হচ্ছেন-
শিল্প, সংস্কৃতি এবং ক্রীড়া: কাজী গোলাম কুদ্দুস হেলাল, এফআইএপি এবং বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন পিয়াস বিশ্বাস, নিউজবাংলা২৪.কম।
রাজনীতি: নায়েম আলী, দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এবং বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন মো. সাজিদ হোসাইন, দৈনিক প্রথম আলো।
জনমুখী সাংবাদিকতা: আবদুল গনি, দৈনিক ইত্তেফাক এবং বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন সৈয়দ মাহমুদুর রহমান, দৈনিক বাংলা।
প্রতিটি বিভাগ থেকে একজন বিজয়ী ও একজন বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার বিজয়ী পেয়েছেন যথাক্রমে ৫০ হাজার টাকা ও ১০ হাজার টাকা। পাশাপাশি তারা প্রত্যেকে পেয়েছেন সম্মাননা স্মারক ও সনদ।
দৃক ২০২৩ সাল থেকে আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় প্রান্তিক গোষ্ঠীর অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার জন্য 'আদিবাসী জনগোষ্ঠী গ্র্যান্ট' প্রবর্তন করেছে। এ বছর এই গ্র্যান্টটি জিতেছেন আদিবাসী আলোকচিত্রী ডেনিম চাকমা, যার মূল্যমান ৫০ হাজার টাকা।
এবারের প্রদর্শনীতে ২০২৩ সালের প্রথম অনুদান বিজয়ী পদ্মিনী চাকমার কিছু বাছাইকৃত ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে।
প্রদর্শনীটি ২৬ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: ‘রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি’ নিয়ে দৃক গ্যালারিতে চলছে প্রদর্শনী
৩ মাস আগে
‘আর্কা ফ্যাশন উইক’র দ্বিতীয় দিনের সেমিনার অনুষ্ঠিত
‘টাঙ্গাইল তাঁত ভবিষ্যতের বুনন: সমসাময়িক ফ্যাশনে ঐতিহ্যের ভূমিকা’শিরোনামে আর্কা ফ্যাশন উইকের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ জুন) রাজধানীতে বেলা সাড়ে ৩টায় সেমিনারটি শুরু হয়।
সেমিনারের শুরুতে শেখ সাইফুর রহমান টাঙ্গাইল শাড়ির ইতিহাস, এর নিজস্বতা, বৈশিষ্ট্য ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। ঐতিহ্যবাহী এই টেক্সটাইলের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
পরে জিশান কিংসক হকের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনা শুরু হয়।
ইউনেস্কোর সংস্কৃতি বিষয়ক প্রোগ্রাম অফিসার কিজি তাহনিন, বাংলাদেশ তাঁতশিল্প বোর্ডের প্রকল্প প্রধান মো. আইয়ুব আলী, টাঙ্গাইল শাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক, ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি), বিজিএমইএ-এর ফ্যাশন স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক শর্মিলি সরকার এবং আর্কা ফ্যাশন উইকের বিশেষ প্রদর্শনী বয়নকাব্যের কিউরেটর জুয়েল এ রব আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ৫ তরুণ আলোকচিত্রীর 'বোধ'
রঘুনাথ বসাক বসাক পরিবারগুলোর বিভিন্ন সময়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরে জানান, তন্তুবায় সম্পদায়ের লোক বসাকরা। ২৫০ বছর আগে টাঙ্গাইলে এই কাপড় বোনা শুরু হয় তাই নাম হয় টাঙ্গাইল শাড়ি। আবহাওয়ার খোঁজে তাঁতী পরিবারগুলো চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিভিন্ন এলাকা হয়ে টাঙ্গাইল আসে। এখানে লৌহজং নদীর পাড় সবচেয়ে বেশি উপযোগী মনে হয়েছিল তাদের কাছে।
কিজি তাহনিন জানান ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার পদ্ধতি নিয়ে বলেন, তাঁতশিল্পীরা চাইলেই কেবল টাঙ্গাইলের তাঁতশিল্পকে ইন্টেলিজিবল কালচারাল হেরিটেজ করার জন্য আবেদন করা যাবে।
বস্ত্র সম্পর্কীয় হেরিটেজগুলো জিআই পেতে কী কী করছেন তা তুলে ধরেন আইয়ুব আলী।
টাঙ্গাইল শাড়ির মোটিফগুলো সংরক্ষণ করতে গবেষণার গুরুত্ব ও একাডেমিকদের আগ্রহ প্রয়োজন বলে তুলে ধরেন শর্মিলি সরকার।
জুয়েল এ রব তার বক্তব্যে আর্কায় ‘টাঙ্গাইল বয়নকাব্য নামে’ যে প্রদর্শনীটি আয়োজন করা হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করেন। শাড়ির পাড় ও নদীর পাড় তার কাছে একই। আর তাঁতীদের বর্তমান জীবন ও তাদের বিভিন্ন সমস্যাগুলো তুলে ধরতেই এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সক্ষমতার চিত্র
৪ মাস আগে
আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সক্ষমতার চিত্র
বিশ্ব শরণার্থী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বুধবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে শুরু হয়েছে 'রেজিলিয়েন্স-সক্ষমতা' শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
কক্সবাজারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সক্ষমতার বিষয়বস্তু প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হয়েছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থী আলোকচিত্রী ও মানবিক সহায়তা সংস্থার কর্মীদের তোলা ছবি এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার আর্ট ক্লাবের সহযোগিতায় জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী সাড়াদানে কর্মরত মানবিক সহযোগিতা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আইএনজিও ও এনজিওর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ১০ লাখ শরণার্থী অকল্পনীয় কষ্টের মধ্যেও যে অবিশ্বাস্য সক্ষমতা প্রতিনিয়ত দেখাচ্ছে তারই প্রমাণস্বরূপ এই ছবিগুলো।
এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী চলবে ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: ৫ তরুণ আলোকচিত্রীর 'বোধ'
৪ মাস আগে
রমনা বটমূলে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ছায়ানটের জমকালো পহেলা বৈশাখ উদযাপন
ঈদ উৎসবের মাঝে রাজধানীর রমনা পার্কের রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রবিবার(১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৬টায় দেশের জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট পরিবেশন করে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। মর্তুজা কবির মুরাদের 'রাগ আহীর ভৈরব' গানের মন্ত্রমুগ্ধকর বাঁশি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই সাংস্কৃতিক উৎসবের। দেশের বিশিষ্ট শিল্পীদের পরিবেশনা, গান, আবৃত্তি ও অন্যান্য পরিবেশনা শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
আরও পড়ুন:ঢাকার জনপ্রিয় ১০টি বুক ও স্টাডি ক্যাফে: বইপ্রেমীদের স্বর্গরাজ্য
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ১১টি কোরাস গান ও ১৫টি এককসহ ৩১টি একক পরিবেশনা পরিবেশন করা হয়। এরমধ্যে সত্যম কুমার দেবনাথ, খায়রুল আনাম শাকিল, চন্দনা মজুমদার, তানিয়া মান্নান, রামেন্দু মজুমদার, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়সহ প্রখ্যাত শিল্পীরা প্রকৃতি, মানবপ্রেম, আত্মশুদ্ধি ও দেশপ্রেমের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
নতুন বাংলা বর্ষপঞ্জি ১৪৩১ সনকে স্বাগত জানাতে রাজধানীর প্রতিটি প্রান্ত থেকে দর্শকরা জড়ো হয়ে নাচ-গানে মেতে উঠেছিল।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে নতুন বছরের ভাষণ পাঠ করেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ড. সারওয়ার আলী। দলগত জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে অনুষ্ঠানের।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে দুই ঘণ্টার অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় এবং ছায়ানট তাদের ইউটিউব চ্যানেলে https://www.youtube.com/@ChhayanautDigitalPlatform অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।
সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং ১৩তম হুসার্স ওপেন রোভার স্কাউট গ্রুপের স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি ছায়ানটের স্বেচ্ছাসেবকরা অনুষ্ঠানস্থলে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পবিত্র শবে কদরের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও করণীয়
৬ মাস আগে
মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু
পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ থেকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়।
ঐক্য, সাংস্কৃতিক গর্ব ও স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক শোভাযাত্রাটি ঐতিহ্যবাহী শিল্পীসত্তা ও চেতনার মন্ত্রমুগ্ধকর প্রদর্শনীর মধ্যে দিয়ে সকাল ৯টা ১৮ মিনিটে আরম্ভ হয়।
উৎসাহী অংশগ্রহণকারীদের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা শাহবাগ, ঢাকা ক্লাব এবং শিশু পার্কের মতো ঐতিহাসিক স্থান হয়ে ঢাকার ব্যস্ত রাস্তা অতিক্রম করে। বর্ণিল পোশাকে সজ্জিত ও প্রতীকী নিদর্শন সম্বলিত শোভাযাত্রাটি বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিধ্বনি করে এবং আনন্দ-উল্লাসে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখ উদযাপনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ডিএমপির
সৃজনশীলতা ও শৈল্পিক প্রকাশের লালনের জন্য পরিচিত চারুকলা অনুষদ সাংস্কৃতিক তাৎপর্যের সূচনা স্থান। অনুষদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আয়োজিত এই আয়োজনে বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক সৌন্দর্যের প্রচার ও সংরক্ষণে প্রতিষ্ঠানটির অঙ্গীকারের দৃষ্টান্ত ফুটে ওঠে।
শোভাযাত্রাটি টিএসসিতে সমাপ্তির পথে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার বাতাস হর্ষধ্বনি, সংগীত এবং অংশগ্রহণকারী ও দর্শকদের সম্মিলিত উল্লাসে অনুরণিত হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা শুধু বাংলা নববর্ষের আগমনই উদযাপন করে না, প্রতিকূলতার মধ্যেও বাঙালি মানুষের সহনশীলতা ও চেতনার সাক্ষ্য বহন করে।
আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে এই জাতীয় আয়োজন ঐক্য, স্থিতিস্থাপকতা ও একাত্মতার বোধকে লালন করার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গুরুত্ব নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখ উদযাপনে প্রস্তুত ঢাবি
পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে ঘিরে যেকোনো জঙ্গি হামলা প্রতিহত করতে প্রস্তুত র্যাব: ডিজি
৬ মাস আগে
পবিত্র শবে কদরের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও করণীয়
পবিত্র রমজান মাসের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ সময়টি হচ্ছে শবে কদর। ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই মহিমান্বিত রাতটির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে ইসলামী জীবন ব্যবস্থায়। প্রতি বছর এই সময়টিতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগীতে নিজেদেরকে নিয়োজিত করেন। রমজানের ঠিক কততম দিনে এই রাতের আগমন ঘটে সে ব্যাপারে কোনও সুনির্দিষ্ট করা তারিখ নেই। তবে হাদীস অনুসারে মাসের একটি নির্দিষ্ট পরিসরের রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর অন্বেষণের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। চলুন, তাৎপর্যপূর্ণ এই সৌভাগ্যের রাতের বিশেষত্ব বিশ্লেষণের পাশাপাশি জেনে নিই- কীভাবে এর সর্বোত্তম সদ্ব্যবহার করা যায়।
শবে কদর কী
আরবী ভাষায় ‘কদর’ বলতে ভাগ্যের পরিমাপ বা পরিধি বোঝানো হয়। আর শব শব্দটি ফার্সি ভাষার, যার অর্থ রাত। এছাড়া এই রাতের অন্যান্য নামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘লাইলাতুল কদর’ (সৌভাগ্যের রাত), ‘লাইলাতুল আযমা’ (মহত্বের রাত) এবং ‘লাইলাত আল-শরাফ’ (সম্মানের রাত)।
শবে কদরের সময়টি বিস্তৃত সূর্যাস্ত বা মাগরিবের ওয়াক্ত থেকে ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত। তবে রাতটি আসলে ঠিক কোন তারিখের তা সুনির্দিষ্ট নয়। তবে বুখারি ও মুসলিম সহ বিভিন্ন হাদীস গ্রন্থ অনুযায়ী এটি রমজানের শেষ দশ দিনের বিজোড় রাতগুলোর যে কোনও একটি। অর্থাৎ সুস্পষ্টভাবে রমজানের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তম রাতগুলোর প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দশটি প্রাচীন মসজিদ: দেশের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নিদর্শন
শবে কদরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
৬১০ হিজরী সনের এই রাতে নাজিল হয়েছিল পবিত্র কুরআন শরীফের প্রথম ৫ আয়াত। মক্কার জাবালে নূর পর্বতের হেরা গুহায় ফেরেশতা জিব্রাইল (আ.) মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে এসেছিলেন আল্লাহর বাণী নিয়ে। এটি ছিল আল কুরআনের ৯৬-তম সূরা আল আলাকের প্রথম ৫টি আয়াত। এরপর থেকে টানা ২৩ বছরে পুরো কুরআন নাজিল সম্পন্ন হয়।
এই মূল্যবান রাতটিকে উদ্দেশ্য করে কুরআন মাজিদের সম্পূর্ণ একটি সূরাই রয়েছে। এখানে বলা হয়েছে যে, কদরের রাত্রি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ সময় সৃষ্টিকর্তার নির্দেশে ফেরেশতারা পৃথিবীর আকাশে নেমে আসেন এবং ভোর না হওয়া পর্যন্ত শান্তি বর্ষণ করতে থাকেন।
অর্থাৎ এই এক রাতের একটি মাত্র নেক আমল হাজার মাসের বরকত নিয়ে আসে। সারা জীবন ইবাদত করেও এ রাতের ইবাদতের মাধ্যমে যে বরকত পাওয়া যায় তার সমান হবে না। একই সঙ্গে এটি আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার রাত। এই সময়ের প্রতিটি মুহূর্ত মুসলমানদের জন্য আল্লাহর নৈকট্য এবং আশীর্বাদ লাভের পরম সুযোগ। যারা এই সময় ঈমানের সঙ্গে নামাজ পড়বে, তাদের পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পবিত্র শবে বরাতের তাৎপর্য, শিক্ষা ও করণীয়
মুহাম্মদ (সা.) এই সম্মানের রাতটির জন্য অপেক্ষা করতেন। রমজানের শেষ দশ দিন শুরু হতেই তিনি ইতিকাফে বসে যেতেন এবং সারা রাত ধরে নামায পড়তেন। নিজের অনুসারীদেরকেও তিনি এভাবে সৌভাগ্যের রাতকে সম্মানিত করতে অনুপ্রাণিত করতেন।
৬ মাস আগে
ঢাকার জনপ্রিয় ১০টি বুক ও স্টাডি ক্যাফে: বইপ্রেমীদের স্বর্গরাজ্য
বইয়ের সঙ্গে কফি বা অন্যান্য কোমল পানীয় পরিবেশন মূলত ইউরোপ-আমেরিকার ধারা। কিন্তু প্রিয় বই হাতে নিয়ে আয়েশ করে চা বা কফিতে চুমুক দেয়াটা যে কোনও ব্যস্ত-সমস্ত শহরবাসীরই কাম্য। কেননা শুধু জ্ঞানার্জনের জন্য সঠিক পরিবেশ তৈরিতে নয়, এরকম স্থান যান্ত্রিক জীবনে বিস্তর প্রশান্তির জন্যও সহায়ক। স্বল্প পরিসরে হলেও এই ধরণের অভিজ্ঞতা বিগত কয়েক দশক ধরে পেয়ে আসছেন বাংলাদেশের বইপ্রেমীরা। চলুন, ঢাকা শহরে অবস্থিত ১০টি চমৎকার বুক ও স্টাডি ক্যাফের ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
বইপোকাদের জন্য ঢাকার সেরা ১০টি বুক ও স্টাডি ক্যাফে
পাঠক সমাবেশ কেন্দ্র
দেশ ও বিদেশের বৈচিত্র্যপূর্ণ বইয়ের ভান্ডার হিসেবে দেশের সবচেয়ে পুরনো সংগঠন পাঠক সমাবেশ কেন্দ্র। এর প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৮৭ সালের ১২ জুলাই। ১৯৯৯ সালে পাঠক সমাবেশ রিডার্স ক্লাব কর্মসূচির ফলে সংগঠনটির সঙ্গে পাঠকদের সখ্যতা আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে আরও যোগ হয়েছে শিশু কর্নার। বসে বই পড়ার জায়গা কম থাকলেও এর দেশি-বিদেশি অরিজিনাল প্রিন্টের সংগ্রহ কাছে টানে বইপ্রেমীদের।
শাহবাগ মোড়ের জাতীয় জাদুঘর থেকে কাঁটাবনের দিকে কিছুটা এগুলেই আজিজ সুপার মার্কেটের বিপরীত পার্শ্বে এর অবস্থান। এছাড়া কাঁটাবনের এলিফেন্ট রোডের ২৭৮/৩ ঠিকানায়ও একটি শাখা রয়েছে পাঠক সমাবেশ কেন্দ্রের। প্রায় ৬ হাজার বর্গ ফুটের এই জায়গায় লাইব্রেরি ছাড়াও ঠায় পেয়েছে সাইলেন্ট রিডিং রুম এবং ক্যাফে। প্রতিদিন এর কার্যক্রম সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টায় শেষ হয়।
আরও পড়ুন: কীভাবে এল বাংলা ক্যালেন্ডার: দিনলিপি গণনার ইতিবৃত্ত
দ্যা রিডিং ক্যাফে
২০১৪ সাল থেকে চালু হওয়া দ্যা রিডিং ক্যাফের প্রতিষ্ঠাতা আতিকুর রহমান। রাজধানী জুড়ে ক্যাফেটির মোট ৪টি শাখা; গুলশান, বনানী, উত্তরা, এবং সায়েন্স ল্যাবরেটরি। সবগুলোতেই প্রতিদিন প্রায় ১০০ থেকে ১২০ জন অতিথির জন্য আয়োজন চলে।
বিদেশী ফিকশনধর্মী বইগুলোর আধিক্য থাকায় তরুণদের আনাগোণাটাই বেশি হয় এখানে। তবে সেই সাথে বাচ্চাদের বইও রয়েছে। এমনকি শিশুদের খেলা করার জন্য আলাদা একটি জোনও রয়েছে।
পছন্দের বইটি পড়ার পাশাপাশি ব্যবস্থা রয়েছে চা-কফি খাওয়ার।
দ্যা রিডিং ক্যাফে পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত হয় সকাল ১০টায়, আর বন্ধ হয়ে যায় রাত ৯টার দিকে।
আরও পড়ুন: কালের বিবর্তনে বঙ্গদেশের যে ভাষাগুলো বিলুপ্তির পথে
নার্ডি বিন কফি হাউজ
ফারিয়া মাহজাবিন এবং মাসরু হাসান কমল ২০১৭ সালের জুলাই মাসে শুরু করেন এই কফি শপটি।
গুটি কয়েক বইয়ের তাকগুলোকে ইউরোপীয় কায়দায় সামঞ্জস্য করা হয়েছে পুরো শপের আভ্যন্তরীণ নকশার সঙ্গে।
আরামপ্রদ বসার জায়গাগুলোতে কফি আর বই নিয়ে নিমেষেই একটি অলস বিকেল কাটিয়ে দেয়া যায়। এখানকার বইয়ের বিভাগটি ইংরেজি সাহিত্য পড়ুয়াদের জন্য উৎকৃষ্ট। তবে সেগুলো শুধু এই ক্যাফেতে পড়ার জন্য, কেনার উপায় নেই।
কফি হাউজটির অবস্থান ধানমন্ডির ২ নম্বর রোডের আহমেদ কাজী টাওয়ার নামের ৩৫ নম্বর বাড়িটির আন্ডারগ্রাউন্ডে। এখানে আগত টিনেজ ও তরুণ-তরুণীদের মূল আকর্ষণ থাকে বাহারি পদের কফি এবং স্ন্যাক্স। প্রতি চুমুকের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় আড্ডা, আর মাঝে মাঝে লাইভ মিউজিক। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে নার্ডি বিন কফি হাউজ।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলার শিকড়ের সন্ধান
বেঙ্গল বই
বইয়ের মাঝে ডুব; এই স্লোগান নিয়ে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বেঙ্গল বইয়ের যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর। দেশ-বিদেশের বইয়ের পাশাপাশি এখানে রয়েছে পুরনো মূল্যবান বই ও ম্যাগাজিন। নিরিবিলিতে বসে বই পড়ার আধুনিক ক্যাফেতে রয়েছে চা-কফি ও ফ্রেশ জুস খাওয়ার ব্যবস্থা। আছে আকাশ কুসুম নামের শিশু কর্ণার, যেখানে শিশুরা আঁকাআঁকি, পড়াশোনা ও খেলাধুলা করতে পারে।
বিভিন্ন সময়ে এর আয়োজনগুলোর মধ্যে থাকে কবিতা পাঠের আসর, পাঠচক্র, প্রকাশনা উৎসব, নতুন লেখক ও তাদের লেখা নিয়ে সভা, চিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।
বেঙ্গল বইয়ের বর্তমান অবস্থান ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর রোডের ৪২ নম্বর বাসা। শুক্র ও শনিবার যাবতীয় কর্মকাণ্ড শুরু হয় সকাল ৯টায়, আর শেষ হয় রাত ৯টায়। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে কাজ চলে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: টাকা কীভাবে এলো? মানব সভ্যতায় টাকার ইতিহাস
বাতিঘর
২০০৫-এর ১৭ জুন চট্টগ্রামের চেরাগি মোড়ে ১০০ বর্গফুটের ছোট্ট দোকান থেকে বাতিঘরের পথচলা। প্রতিষ্ঠাতা দীপঙ্কর দাশ। এখন চট্টগ্রাম, ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেট মিলিয়ে বাতিঘরের মোট শাখা ৬টি। বাতিঘরের সংগ্রহে রয়েছে আড়াই হাজার প্রকাশনা সংস্থার প্রায় লক্ষাধিক বই।
দ্বিতীয় শাখা হিসেবে ঢাকার বাংলা মোটরের আউটলেটটি চালু হয়েছিল অনেক পরে; ২০১৭ সালে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনের সাত তলায় এই বইঘরটি বানানো হয়েছে লালবাগ কেল্লার আদলে। বাংলা- ইংরেজি দুই ভাষার বইগুলো পাঠকরা ভেতরে বসেই পড়তে পারেন। ছেলে-বুড়ো সবার রুচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই সমৃদ্ধ করা হয়েছে বইয়ের সংগ্রহ। এমনকি প্রত্যেকটি শাখাতেই রয়েছে আলাদা শিশু-কিশোর কর্নার। সরকারি ছুটির দিনসহ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে বাতিঘর।
৬ মাস আগে