���������������������������
চাঁদপুরে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে প্রাণ গেল ছাত্রদল নেতার, আহত ৩
চাঁদপুরের কচুয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে কচুয়া-গৌরিপুর সড়কের ঘাগড়া বাজার নতুন পাড়া জামে মসজিদ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে সিএনজি ও পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৩
নিহত ওমর ফারুক উপজেলার উত্তর পালাখাল গ্রামের হাবিব উল্যার ছেলে এবং কচুয়া উপজেলা ছাত্রদলের একাংশের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- উপজেলার রাগদৈল গ্রামের আবু তাহের, আবু তাহেরের স্ত্রী জাবিন খান ও নবীর হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকাগামী আল-আরাফাহ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওমর ফারুক মারা যান।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম খলিল ইউএনবিকে জানান, আল-আরাফাহ বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দুর্ঘটনার পরপর উভয় পরিবহনের চালক পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের হেলপার নিহত
কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
কলেজছাত্র হৃদয় হত্যা: আরও ২ আদিবাসী যুবক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাউজানের কলেজছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয়কে অপহরণ ও খুনের পরিকল্পনায় জড়িত আরও দুই আদিবাসী যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
রবিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-৭ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- উচিংথোয়াই মারমা (২৩) ও ক্যাসাই অং চৌধুরী (৩৬)।
সংবাদ সম্মেলনে মো. মাহবুব আলম বলেন, পোল্ট্রি ফার্মের মুরগির খাবার চুরি করার প্রতিবাদ করায় হৃদয়কে খুন করা হয়। খুনের পর যাতে লাশ শনাক্ত করতে না পারে, তাই লাশ টুকরো টুকরো করে ফেলে অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন: বিশ্বের ৪০ ভাগ আদিবাসী নিজ ভাষায় শিক্ষার সুযোগ পান না: ইউনেস্কো
তিনি বলেন, অভিযুক্তরা মুরগিকে পর্যাপ্ত খাবার না দিয়ে বিক্রি করে দিতে। এ নিয়ে পোল্ট্রি ফার্মের ম্যানেজার হৃদয় তাদের ভৎর্সনা করে। এ কারণে খামারে কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কয়েক দফা কথা কাটাকাটি হয়। তখন হৃদয়কে শিক্ষা দিতে অপহরণের পরিকল্পনা করে তারা।
তিনি আরও বলেন, অপহরণের একদিন পর ২৯ আগস্ট বিকালে রঙিন পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। উচিংথোয়াই মারমা নিজেই ছুরি দিয়ে হৃদয়ের গলা কাটে। তার সহযোগী ক্যাসাই অং চৌধুরীসহ আরও চারজন হৃদয়ের হাত-পা এবং মুখ চেপে ধরে। হত্যার পর মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। লাশ যাতে চিহ্নিত করতে না পারে এ জন্য টুকরো টুকরো করা হয়।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে অভিযান চালিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে উচিংথোয়াই মারমাকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিকাল ৫টার দিকে আসামি ক্যাসাই অং চৌধুরীকে নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা খুনের বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছে বলে দাবি করেছে র্যাব।
র্যাবের অধিনায়ক জানান, হৃদয়কে হত্যার পর মাংস খেয়ে ফেলেছে- এমন একটি খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা বলেছে, এ ব্যাপারে তারা জানে না। তবে শরীরের মাংস আলাদা করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এটি সত্য। মাংস খাওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর রাউজানের গহীন অরণ্য থেকে হৃদয়ের খন্ড-বিখন্ড লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে ফেরার সময় গণপিটুনিতে নিহত হন অভিযুক্ত উমংচিং মারমা নামে এক যুবক। লাশ উদ্ধারের ১৪ দিন আগে অপহৃত হন হৃদয়।
আরও পড়ুন: হিলিতে মোটরসাইকেলচাপায় আদিবাসী নারী নিহত, চালক আটক
দিনাজপুরে আদিবাসী নৈশ প্রহরীর লাশ উদ্ধার
ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলার অভিযোগ, রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর
ফেনীতে ছাত্রলীগ নেতা শফি উল্যাহ শুভর উপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় শহরের শহীদুল্লা কায়সার সড়কের পাঠানবাড়ির মাথায় ধানসিঁড়ি রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে চ্যানেল ২৪-এর সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত, বাড়িতে হামলা
হামলায় আহত শফি উল্যাহ শুভ ফেনী পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। এ সময় শুভর মামা আবদুল ওয়াদুদ শিপন ও বন্ধু শিপনও আহত হন।
আহত শফি উল্যাহ শুভ জানান, তিনি ধানসিঁড়ি রেস্তোরাঁয় বসা ছিলেন। এ সময় তার মামা আবদুল ওয়াদুদ শিপন ও বন্ধু শিপন সঙ্গে ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে মাথা, পায়ে ও ডান হাতে গুরুতর জখম হয়। এ ছাড়া হামলাকারীরা রেস্তোরাঁয় ব্যাপক ভাঙচুর করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আমির হোসেন বাহার জানান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার নিন্দনীয়। হামলাকারীরা বহিরাগত বলে তিনি শুনেছেন।
ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হায়াত উল্যাহ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থৈয়াই অংপ্রু মারমা জানান, প্রকাশ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনাটিকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে বিচারকের ওপর হামলা: নেতার ছেলের কারাদণ্ড
ফেনীতে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কারে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ছাগলনাইয়া থানাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটলেও শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে শ্রমিকরা কাজের পর বাসায় না ফেরায় তাদের পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের লাশ দেখতে পায় স্বজনরা।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় মাদরাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
নিহতরা হলেন- মাইন উদ্দিন (২৫), বিকাশ চন্দ্র দাস (৩৫)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুই মাস আগে ওই এলাকার শহিদুলের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ছাদ ঢালাই দেওয়া হয়। শুক্রবার ওই সেপটিক ট্যাংকের ভেতরের বাঁশ কাঠসহ নির্মাণসামগ্রী খুলতে নামেন আকাশ ও মাইন উদ্দিন।
এরপর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
শ্রমিকদের স্বজনরা ঠিকাদারকে বিষয়টি জানায়। পরে শনিবার সকালে ঠিকাদার ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে জানায়।
খবর পেয়ে ছাগলনাইয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করে।
দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ছাগলনাইয়া ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মিরাজুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেপটিক ট্যাংকের ভেতর জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. ওয়ালী উল্লাহ জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি একজন শ্রমিক সেন্টারিং খোলার জন্য নিচে নামলে সেখানে গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে আরেকজন শ্রমিক তাকে উদ্ধার করার জন্য নামলেই সেও গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে সেখানে থাকা পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করে।
তিনি আরও জানান, তারপরেও আমরা পুরো বিষয়টিকে তদন্ত করছি। পাশাপাশি ময়না তদন্তের মাধ্যমে আসল ঘটনাটি উদঘাটন করা হবে।
তিনি বলেন, সেফটি ট্যাংক ভেঙে লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চকরিয়ায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের
সাভারে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে নিহত ৩
চট্টগ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর ইন্তেকাল
চট্টগ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন দৈনিক আজাদীর সাবেক চীফ রিপোর্ট ও যায়যায়দিন পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ছিলেন।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
আরও পড়ুন: প্রবীণ সাংবাদিক এম শাহজাহান মিয়া মারা গেছেন
তিনি স্ত্রী ও এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
১৯৭৪ সালে সাংবাদিকতা পেশা শুরু করেন হেলাল উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি দৈনিক গণকণ্ঠ, দৈনিক আজাদী, দৈনিক সমকালে কাজ করেন। তিনি দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার ও সমকালের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
জানা গেছে, একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য হেলাল উদ্দিন চৌধুরী শুক্রবার সকালে কক্সবাজার যান।
আরও পড়ুন: যুগান্তরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাবিবুর রহমান ৪২ বছর বয়সে মারা গেছেন
দুপুরে সেখানে অনুষ্ঠান চলাকালে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রথমে সিসিইউতে এবং পরে লাইফ সাপোর্টে রেখে চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। সব চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেন।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আশিকুর রহমান বলেন, প্রবীণ সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী সাহেব আজ (শুক্রবার) দুপুর ১২টা ৩৮ মিনিটে আমাদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন বুকে ব্যথা নিয়ে। সেখানে ইসিজি করে তার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ সামর্থ দিয়ে উনার চিকিৎসা চালিয়ে গেছেন। কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: ‘ঘুড্ডি’ পরিচালক সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকি মারা গেছেন
ছাগলনাইয়ায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ৩
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুহুরীগঞ্জ সমিতির বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী সেনাবাহিনীর সাবেক সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ও সেনা কল্যাণের চট্টগ্রাম শাখার কর্মকর্তা আবু তাহের (৫৯) ও তার স্ত্রী সালমা আক্তার (৪৮) ও অটোরিকশার চালক মনা মিয়া (৩০)।
নিহতের ভাই ছাগলনাইয়ার ঘোপাল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন জানান, তার ভাই ও ভাবি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বাংলাবাজারে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে তারা নিহত হন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে সংবাদকর্মীসহ আহত ৫০
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মুহুরীগঞ্জ এলাকায় মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেইনের পাশে সিএনজি পাম্প থেকে বের হয়ে একটি অটোরিকশা ইউটার্ন নিয়ে ঢাকামুখী লেনে যাওয়ার সময় দ্রুতগামী শ্যামলী পরিবহন একটি গাড়ি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি কয়েকবার উল্টে গিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে যায়।
তাৎক্ষণিক পুলিশ ও আশপাশের লোকজন এসে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ফাজিলপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ২ বন্ধুর মৃত্যু
ফেনীতে কাভার্ডভ্যান-পিকআপ সংঘর্ষে দম্পতিসহ নিহত ৩
সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী স্পিডবোট ডুবিতে নিহত ১, উদ্ধার ২৩
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে স্পিডবোট ডুবে সৈয়দা বেগম নামে এক নারী মারা গেছেন। এসময় জীবিত ২৩ পর্যটককে উদ্ধার হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টার দিকে সেন্টমার্টিন জেটি ঘাট থেকে তিন কিলোমিটার দূরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সৈয়দা বেগম সেন্টমার্টিন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক নারী সদস্য।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: পদ্মায় স্পিডবোট সংঘর্ষ: আরও ৩ জেলের লাশ উদ্ধার
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বিএন খন্দকার মুনিফ তকি বলেন, টেকনাফ থেকে ছেড়ে আসা একটি স্পিডবোটে পর্যটক ও স্থানীয় ২৪ জন ছিলেন। এটি সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি এলে উল্টে যায়। কোস্টগার্ড খবর পেলে তাৎক্ষণিক উদ্ধার অভিযান পরিচলনা করে ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা। এর মধ্যে একজন মারা যায়। বাকি পর্যটকদের সেন্টমার্টিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় স্পিডবোট উল্টে শিশু নিখোঁজ
যমুনায় দুই স্পিডবোটের সংঘর্ষে নিহত এক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেয়াল চাপায় ভাই-বোনের মৃত্যু, আহত-৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাটির ঘরের দেয়াল চাপায় ঘুমন্ত অবস্থায় ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুরা হলো- মিশু (১০) ও তার ভাই রাফিন (১২)। তারা উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের মো. মন্নাফ মিয়ার সন্তান।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা খুন
এ ঘটনায় পিতা মন্নাফ (৪২) তার আরেক মেয়ে ইসু (১০) ও স্ত্রী রোকসানা বেগম (৩৫) আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, রাতে খাওয়ার পর দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ স্ত্রী নিয়ে মন্নাফ মিয়া ঘুমাতে যান। রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় মাটির দেয়াল ভিজে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। ভোরে হঠাৎ পাশের আরেকটি পরিত্যক্ত মাটির ঘরের দেয়াল ধসে তাদের ঘরের উপর পড়ে।
মাটির দেয়াল চাপায় ঘরে থাকা ৫ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিশু ও রাফিনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া গুরুত্বর আহত অবস্থায় ইসুকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সীতাকুণ্ডে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ১১
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত এবং ১১জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার জোড়আমতল এবং সুলতানা মন্দির এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. মছিউদৌলা (৭১) উপজেলার জোড়আমতল এলাকার কুয়েত কামালের বাড়ির মৃত সুলতান আহমদের ছেলে।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জোড়আমতল এলাকায় গার্লস স্কুলের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় উল্টো পথে আসা একটি অজ্ঞাত লরী মছিউদৌলাকে চাপা দেয়।এসময় খবর পেয়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিস টিম তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ফিরোজ ভূঁইয়া।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার বাঁশবাড়িয়াস্থ সুলতানা মন্দির এলাকায় কক্সবাজারগামী বাস একটি লরিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ওই বাসের ১১ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন।
হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর দুর্ঘটনা দুটির সত্যতিা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী আহত
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদ ইকবাল। তিনি পরিবার নিয়ে কুষ্টিয়া থেকে বান্দরবান যাচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এলাকায় বহনকারী হাইচ মাইক্রোবাস কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছেন।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, কুষ্টিয়া থেকে পুলিশ কর্মকর্তাসহ তার পরিবারকে বহনকারী হাইচ গাড়িটি চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে পৌঁছার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। পরে সেটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি প্রাইভেটকার। আর এতেই ঘটনাস্থলে মারা যান জাহিদ ইকবাল।
আরও পড়ুন: ফেনীতে সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার আদালতে আত্মসমর্পণ, কারাগারে প্রেরণ
তারা আরও জানান, গাড়িতে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদের ছেলে, দুই বোন ও দুই ভাগনের পাশাপাশি প্রাইভেটকারে থাকা দু’জনও এতে আহত হন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যান।
সীতাকুণ্ডের কুমিরা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মো. শাহাদাত হোসেন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিহত পুলিশ সদস্যের লাশ কুমিরা হাইওয়ে থানায় আছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হবে।’
নিহত পুলিশ পরিদর্শক জাহিদ ইকবাল বাংলাদেশ পুলিশের ২৭তম ব্যাচের ক্যাডেট (এসআই) ছিলেন। তিনি রাণীসংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন। সম্প্রতি বদলি হয়ে সর্বশেষ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সিআইডি পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০২২ সালে তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার শ্রেষ্ঠ ওসিও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার স্ত্রী রেশমা-ও পুলিশ পরিদর্শক।
আরও পড়ুন: পত্নীতলায় ট্রাকের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা