খুলনা
মেহেরপুরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে চাচা শ্বশুর নিহত
মেহেরপুরের গাংনীতে মাদকাসক্ত জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে ইলিয়াছ হোসেন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ইলিয়াছ হোসেন (৪৫) ওই গ্রামের নেক্কার আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত, আটক ২
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালের দিকে সবুজ আহম্মেদ তার শ্বশুর বাশারের বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে মারধর করছিলেন। এ সময় চাচা শ্বশুর ইলিয়াছ তাকে বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে সবুজ তার পেটে ছুরিকাঘাত করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ইলিয়াছকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা ঘাতক সবুজ আটক করেন। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতকের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
৩৬ মিনিট আগে
দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতদের গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশি
দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতদের গুলিতে রবিউল ইসলাম রণি নামে এক প্রবাসি বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ মে) বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
নিহত রণি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুদিয়া গ্রামের গোলজার মোল্লার ছেলে।
নিহতের আত্মীয় তানভীর হোসেন আদনান জানান, ঘটনার সময় একটি ব্যাংকের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন রণি। এ সময় নিকটস্থ একটি ব্যাংক ডাকাতি করে এলোপাথাড়ী গুলি ছোড়ে ডাকাতদল। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি নিহত হন।
আরও পড়ুন: বারবার ডাকলেও আসেননি ডাক্তার, অবশেষে বৃদ্ধের মৃত্যু
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, রবিউল ইসলাম রণি দীর্ঘ ২২ বছর সপরিবারে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করছেন। সেখানে তার ব্যবসাও আছে। আগামী বৃহস্পতিবার (৮ মে) রণির মরদেহ দেশে আসতে পারে।
আজ (বুধবার) সকালে এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডাকাতদের গুলিতে প্রবাসে কেউ নিহত হয়েছেন এমন কোন খবর তার কাছে নেই। এ বিষয়ে বৈদেশিক মন্ত্রণালয় থেকে কোনো ম্যাসেজও পাওয়া যায়নি বলে জানান ওসি।
২১ ঘণ্টা আগে
যশোরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার ওসিসহ ৭ পুলিশ সদস্য
যশোরের চৌগাছায় আসামি ধরতে গিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের সাত সদস্য হামলার শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লাবলুর রহমানকে আহত অবস্থায় চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহত ছয় পুলিশ সদস্য প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ মে) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মাকাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা হলেন— এএসআই মিরাজুল ইসলাম, কনস্টেবল ভিক্টর ঘোষ, রবিউল ইসলাম, সুলতান আহমেদ ও মেহেদী হাসান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিয়মিত মামলার আসামি মাকাপুর গ্রামের সাজেদুর রহমানের ছেলে সিয়াম (২৩) কে গ্রেপ্তারে উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান মারুফ ও এসআই উত্তমের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা অভিযানে যান। সেখান থেকে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং পুলিশের ওপর চড়াও হন তারা। খবর পেয়ে ওসি আনোয়ার হোসেন পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এরপর আসামিকে নিয়ে ফেরার পথে আবারও ওসিসহ পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা হয়। এতে ওসিসহ সাতজন আহত হন।
আরও পড়ুন: শেখ হেলাল-তন্ময়ের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলা
চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আনোয়ারুল আবেদীন জানান, ওসির চোখে ও আরেক সদস্যের মাথায় আঘাত রয়েছে। আহত ছয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তবে এএসআই লাবলুর রহমান হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এ বিষয়ে, চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, আসামি সিয়ামকে আটক করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
১ দিন আগে
পালিয়ে গিয়ে কিশোরীর বিয়ে, উদ্ধারে গিয়ে আহত ৩ পুলিশ
প্রেমের টানে যশোর থেকে পালিয়ে বিয়ে করা ১৪ বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য।
সোমবার (৫ মে) বিকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার বাকুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন— যশোর কোতোয়ালি থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তাপস কুমার পাল, কনেস্টবল রাবেয়া খাতুন ও ফারজানা খাতুন।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি বাকুলিয়া গ্রামের সুজন হোসেন যশোর থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক এক মেয়েকে নিয়ে এসে পরিবারের অমতে বিয়ে করে। এ ঘটনায় মেয়ের পরিবার অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপর যশোর থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরের পর কালীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় মেয়েটিকে উদ্ধারে ওই গ্রামে যায়। বাকুলিয়া গ্রামের ইমাদুলের বাড়িতে গিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় স্থানীয় কয়েকজন নারী-পুরুষ পুলিশের ওপর হামলা করে। এ সময় তারা পুলিশের কাছ থেকে কিশোরীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
পরে খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। তাদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: হকার জুবায়ের হত্যা: ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন দুজনের
এ সময় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে ওসি মো. শহিদুল ইসলাম।
রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় ৬ থেকে ৭ জন আমাকে বলে হাত ছেড়ে দাও। হাত না ছাড়ায় আমাকে ও আমার সঙ্গে থাকা নারী কনেস্টবলকে মারপিট শুরু করে। তারা আমাদের বেধড়ক মারপিট করে।’
যশোর কোতোয়ালি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাতকে ফোন করলে তিনি বলেন, ‘কালীগঞ্জ থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমি কিছুই বলতে পারব না।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, যশোর কোতোয়ালি থানার পুলিশ কালীগঞ্জ থানার সহযোগিতায় বাকুলিয়া গ্রামের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েটিকে উদ্ধারে গেলে হামলার শিকার হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আইনগত ব্যবস্থা যশোর থানা নেবে বলে জানান ওসি।
১ দিন আগে
কুয়েটের পুকুরে গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পুকুরে গোসল করতে নেমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তুনু কর্মকার নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু হয়।
শান্তুনু পুরান ঢাকার রাজার দেওড়ি এলাকার বাসিন্দা সুকুমার চন্দ্র কর্মকারের ছেলে। কুয়েটের ২৩ ব্যাচের ম্যাটারিয়াল সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ লিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাসার মোহাম্মাদ আতিকুর রহমান।
ফায়ার সার্ভিসের খুলনা সদর স্টেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, কুয়েটে পুকুরে ডুবে মৃত্যুর খবর পাই দুপুর ৩টায়। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ক্যাম্পাসে ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, ‘শান্তুনুকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
আরও পড়ুন: বারবার ডাকলেও আসেননি ডাক্তার, অবশেষে বৃদ্ধের মৃত্যু
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘দুপুর ৩টার দিকে শান্তুনু গোসল করতে কুয়েটের পুকুরে নামে। ফেরত আসাতে দেরি দেখে সহপাঠীরা পুকুরের চারপাশে খোঁজ নিতে থাকে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের খবর দেওয়া হলে তারা ৪টার দিকে এসে পুকুর থেকে শান্তুনুকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।’
১ দিন আগে
বারবার ডাকলেও আসেননি ডাক্তার, অবশেষে বৃদ্ধের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ায় আব্দুল মোমিন মালিতা পানু (৮০) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। এসময় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালে।
সোমবার (৫ মে) রাত ৯টা ৪০মিনিটে হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আব্দুল মোমিন মালিতা।
তিনি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত হায়দার মালিতার ছেলে।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, সদর হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আব্দুল মোমিন সোমবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তারা একাধিকবার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদেরকে ওয়ার্ডে আসার অনুরোধ করেন। তবে তিনি নিজে না গিয়ে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক পাঠান। পরে প্রায় ২০ মিনিট পর তিনি এসে রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মৃতের বড় ছেলে মাসুদ আল মাহমুদ তুষার বলেন, ‘অ্যাজমা-জনিত শ্বাসকষ্ট ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে চারদিন ধরে বাবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা বারবার চিকিৎসককে ডাকলেও তিনি আসেননি। সময়মতো চিকিৎসা পেলে হয়ত বাবা বেঁচে যেতেন।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার পর স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে ডা. আব্দুল কাদেরের ওপর চড়াও হন। তাদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় চিকিৎসকের। পরে হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই বন্দির মৃত্যু
চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের বলেন, জরুরি বিভাগে সবসময় রোগীর চাপ থাকে। প্রথমে ইন্টার্ন চিকিৎসক পাঠানো হয় এবং তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে রোগীর স্বজনরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও মারধরের চেষ্টা করেন, ফলে পুলিশের সহায়তা নিতে হয়।
চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের বলেন, ‘জরুরি বিভাগে সব সময়ই রোগীর চাপ থাকে। সব সময় ওয়ার্ডে যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠে না। প্রথমে ইন্টার্ন চিকিৎসককে পাঠানো হয়, তারা রোগীর প্রাথমিক পরিস্থিতি জানালে আমরা সেই মোতাবেক চিকিৎসা দেই।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘রোগীর স্বজনরা জরুরি বিভাগে এসে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন, গালিগালাজ ও মারধরের চেষ্টা করেছেন। এ কারণে আমাকে পুলিশের সহায়তা নিতে হয়েছে।’
এদিকে, রাত প্রায় ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আব্দুল মোমিন মালিতার লাশ তার গ্রামের বাড়ি গোপালপুরের উদ্দেশ্যে সদর হাসপাতাল থেকে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসা কর্মকর্তাকে (আরএমও) একাধিবার কল করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
১ দিন আগে
যশোরে এতিম-অনাথ শিক্ষার্থীদের মাঝে লিচু বিতরণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার
মাদরাসায় অধ্যয়নরত মা ও বাবাহারা এতিম-অনাথ ছাত্র-িছাত্রীদের মাঝে লিচু বিতরণ করেছেন যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার। সোমবার (৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় অফিসের কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি সদর উপজেলার তিনটি মাদরাসায় লিচু বিতরণ করেন।
শারমিন বলেন, ‘মাদরাসায় অধ্যয়নরত এতিম-অনাথ ছাত্র ও ছাত্রীরা সমাজে নানাভাবে অবহেলিত। তাই পিতা-মাতাহারা এসব ছাত্র-ছাত্রীদের দুঃখ, কষ্টের কথা মনে করে ও তাদের সঙ্গে একসঙ্গে মিলেমিশ খাওয়ার জন্যই আমি তাদের মাঝে আমার বাসভবনে উৎপাদিত লিচু বিতরণ করেছি।’
উপজেলা পরিষদের নিজ বাসভবনে উৎপাদিত লিচু নিজে না খেয়ে এবং অফিসের কর্মচারীদের না দিয়ে মাদরাসার এতিম-অনাথদের দুঃখ, কষ্টের কথা ভেবে তিনি এই লিচু বিতরণ করেন।
বসুন্দিয়া ইউনিয়নের সিঙ্গিয়া এতিমখানা ও বানিয়ারগাতি দাখিল মাদরাসায় প্রথমে তিনি লিচু বিতরণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে মাদরাসার শিক্ষক ও অফিসের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার ঝুমঝুমপুর ফজলুল উলুম কওমী মাদরাসা ও এতিমখানায় লিচু বিতরণ করেন।
২ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ৬
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে ৬ জন আন্তঃজেলা ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৫ মে) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীপুর বাজার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
আটক হওয়া ডাকাতদের কাছে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, পুলিশি পোশাক, ওয়াকিটকি, ইয়াবা ট্যাবলেট ও ডাকাতির অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।আটককৃতরা হলেন—রুবেল রানা (২৯), আজিজুর মন্ডল (৩৬), শিলন মোল্লা (২১), সবুজ আলী মিঠু (৩০), মনিরুল ইসলাম (৪০) ও মারুফ শেখ (২০)। তারা কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে খাসকররা যাওয়ার পাকা সড়কে একটি ডিজেলের দোকানের সামনে মাইক্রোবাসে একদল অস্ত্রধারী ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ মাইক্রোবাসটি ঘিরে ফেলে এবং তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: শার্শার আ.লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৭ তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি রিভলবার, ১টি ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ২টি চাইনিজ কুড়াল, ২টি তালা কাটার যন্ত্র, ৫টি মাস্টার চাবি, ১টি পুলিশের জ্যাকেট, ১টি ওয়াকিটকি সদৃশ্য মোবাইল সেট, ৫০ পিস ইয়াবা, ১টি মোবাইল ফোন ও ঢাকা মেট্রো-গ-১২-৩০৯৭ নম্বরের একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান। ঘটনার পর আলমডাঙ্গা থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদক আইনে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২ দিন আগে
শার্শার আ.লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৭
যশোরের শার্শার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সাত নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ।
সোমবার (৫ মে) সকালে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঝিকারগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান।
এর আগে রবিবার (৪ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার পারবাজার এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন— যশোরের শার্শা উপজেলার তিন নম্বর বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান (৬৫), একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সহ-সভাপতি বেনাপোল পোর্ট থানার নটাদিঘা গ্রামের মুকুল হোসেন (৪৪), শার্শা উপজেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য চটকাপোতা গ্রামের সাহেব আলী (৫৫) একই উপজেলা যুবলীগের সদস্য পান্তাপাড়া গ্রামের মহিউদ্দিন আলম তোতা মেম্বার (৪০), শার্শা ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাতিপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক মেম্বার (৫৪) শার্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য শার্শার কাজী আক্তারুজ্জামান মাখন (৫৪), শার্শা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি শার্শা মধ্যপাড়া গ্রামের হায়দার আলী (৩৭)।
আরও পড়ুন: সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার ৫
পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে ওই সাত নেতা ঝিকরগাছা পারবাজার এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে গোপন সূত্রে জানতে পারেন তারা। ওই সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
এছাড়া গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বে সরকারের পতন হওয়ার পর গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি বাবলুর রহমান।
তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ একাধিক মামলা থাকায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার দুপুরে তাদের যশোর আদালতে পাঠানো হবে।
৩ দিন আগে
মেহেরপুরে হাতবোমা ফাটিয়ে গণডাকাতি
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় লিচু বাগনমালিকসহ ৫ পথচারীকে মাঠের মধ্যে বেঁধে রেখে তাদের মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে ডাকাতদল। পরে গ্রামবাসী বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাতদের ধাওয়ো দিলে তারা দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
শনিবার (৩ মে) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার পাকুড়িয়া-খড়মপুর ও কসবা গ্রামের মাঝখানে নাকদহর মাঠ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পরে গ্রামবাসী ওই মাঠের মাঝ থেকে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় পাঁচজনকে উদ্ধার করে।
ডাকাতির শিকার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—কসবা গ্রামের মিষ্টি ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হোসেন, পাকুড়িয়া গ্রামের লিচু বাগানমালিক মোফাজ্জেল হোসেন মোফা, একই গ্রামের সবুজ হোসেন, জুয়েল রানা ও সজিব হোসেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডাকাতি ঠেকাতে গিয়ে সেনাসদস্য গুলিবিদ্ধ
স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ৫/৬ জন ডাকাতের একটি দল দেশীয় ধাঁরালো অস্ত্র নিয়ে ওই স্থানে এসে প্রথমে মোফাজ্জল হোসেনকে ধরে মুখ বেঁধে তার কাছ থেকে একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও একটি বাইসাইকেল ছিনিয়ে নেয়। পরে পথচারী মিষ্টি ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হোসেনের কাছ থেকে ২৫ শ’ টাকা নিয়ে নেয়। এরপর মোটরসাইকেল আরোহী সবুজ হোসেন, সজিব হোসেন ও জুয়েল রানাকে ধরে মাঠের মধ্যে থামিয়ে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ডাকাতদল।
মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘৫/৬ জনের একটি ডাকাত দল হাতে ধাঁরালো দেশীয় রামদা নিয়ে আমাকে জিম্মি করে। আমার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, নগদ কিছু টাকা ও একটি বাইসাইকেল ছিনিয়ে নেয় তারা। এ সময় পথচারী বিস্কুট ব্যবসায়ীসহ বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে নগদ টাকাসহ মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে গ্রামবাসী খবর পেয়ে ডাকাতদের ধাওয়া দিলে তারা গ্রামবাসীকে লক্ষ করে দুটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়রা এসে আমাদের হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে।’
৪ দিন আগে