খুলনা
বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় অ্যাসিড নিক্ষেপ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৩
যশোরে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নারী-শিশুসহ এক পরিবারের তিনজনের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর অবস্থায় তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার গদখালী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
অ্যাসিড-দগ্ধরা হলেন— ওই গ্রামের জামাত হোসেনের স্ত্রী রাহেলা খাতুন (৪৮), মেয়ে মেয়ে রিপা খাতুন (২৬) ও ছেলে ইয়ানূর (৮)।
স্থানীয়রা জানান, মঠবাড়ি গ্রামের ফজলুর রহমানের গৃহপরিচারক জসিম উদ্দিন (৩৫) রিপাকে দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। রিপা তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত সোয়া ৮টার দিকে ঘরের জানালা দিয়ে রিপাকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছুড়ে মারে। এতে রিপা, তার ভাই ইয়ানূর ও মা রাহেলা খাতুন দগ্ধ হন।
আহতদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যান। বর্তমানে তারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। পুলিশ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ ও হত্যার পর মুখে অ্যাসিড: অপরাধীদের সবাই কিশোর
১৭৮ দিন আগে
যশোরে নির্মাণাধীন বিল্ডিং থেকে নিচে পড়ে নিহত ৩
যশোরে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ব্যালকনি ভেঙে নিচে পড়ে তিনজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর শহরের সার্কিট হাউজপাড়ার ইকবাল মঞ্জিলে বিল্ডিং ফর ফিউচার লিমিটেড কোম্পানির নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান (৩৫), দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা ম্যানেজার আজিজুল ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মহারাজপুর গ্রামের মৃত রমজানের ছেলে শ্রমিক নুরু (৪৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, আটতলা বিশিষ্ট নির্মাণাধীন বিল্ডিংটির ছয়তলার ব্যালকনিতে কাজ করছিলেন তারা। হঠাৎ করে ব্যালকনিটি তাদেরসহ ভেঙে নিচে পড়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হন তারা।
আরও পড়ুন: সিলেটে গ্রিনলাইনের বাস থেকে ১০০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার ২
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যশোর কোতয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ জানান, বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১৮১ দিন আগে
খুলনায় গ্যাসবাহী ট্রাকের চাপায় ইজিবাইকের ২ যাত্রী নিহত
খুলনায় এলপি গ্যাস ভর্তি একটি ট্রাকের চাপায় দুই ইজিবাইকযাত্রী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আরও অন্তত চারজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৩০ জুন) সকালে খুলনার হোগলাডাঙ্গা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন— হোগলাডাঙ্গা বাঁশবাড়িয়া এলাকার কিশোর রায়হান ও জুয়েল বাবু।
আরও পড়ুন: রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
এ বিষয়ে হরিনটানা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল মিয়া জানান, ট্রাকটি হোগলাডাঙ্গা মোড় এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইজিবাইককে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রায়হান নিহত হন।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ইজিবাইকে থাকা যাত্রী টিটু (২৬), চালক কবির (৪৭), হাসিব (২৩), নগেন্দ্রনাথ সরকার (৭৫) ও জুয়েল বাবু নামের আরও পাঁচজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে নেওয়ার পর জুয়েল বাবু মারা যান।
১৮২ দিন আগে
বেনাপোলে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ
বেনাপোল বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় টানা পাঁচদিন অভিযান চালিয়ে এক কোটি ৩০ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় দুইজন চোরাকারবারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) সকালে যশোর ৪৯ বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আটকেরা হলেন— খুলনার কয়রা থানার ইসলামপুর গ্রামের রুস্তম মাতবরের স্ত্রী রুবিনা খাতুন (৪০) ও ঢাকার মিরপুরের কোর্টবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ময়নাল মোল্লা (৩৫)।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার (২৩ জুন) থেকে শুক্রবার (২৭ জুন) রাত পর্যন্ত সীমান্তের বেনাপোল বিওপি, বেনাপোল আইসিপি, ঘিবা, মাসিলা, আন্দুলিয়া ও আমড়াখালী চেকপোস্ট এলাকায় চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়।
এ সময় অভিযানে স্বর্ণের বার, ভারতীয় মদ, ফেনসিডিল, গাঁজা, শাড়ি-থ্রিপিস, কম্বল, ওষুধ, কাজু বাদাম, চাদর, চকলেট, কসমেটিকস ও বিভিন্ন প্রকার খাদ্যসামগ্রী জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে মাদকসহ অর্ধ কোটিও বেশি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
জব্দ করা পণ্যের মোট মূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ ২ হাজার ৩৪০ টাকা বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রতিদিনের জব্দের পরিমাণ অনুসারে, সোমবার ৭ লাখ ৫১ হাজার টাকার, মঙ্গলবার ১৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা, বুধবার ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ৮০০ টাকা, বৃহস্পতিবার ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ৫৪০ টাকা ও শুক্রবার ১১ লাখ ৬৯ হাজার টাকার পণ্য জব্দ করা হয়।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধনিায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, চোরাকারবারিরা এসব পণ্যের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার করে। সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
১৮৪ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকায় মাদক ব্যবসা-সংক্রান্ত পুরোনো বিরোধের জের ধরে মোহন আলী (২৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
এ ঘটনায় হৃদয় (২৫) নামের আরও যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুণ্ডি গ্রামের ঠোঁটারপাড়া মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহন আলী জামালপুর গ্রামের মৃত মদন আলীর ছেলে এবং আহত হৃদয় একই গ্রামের মৃত মসুর আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ঠোঁটারপাড়া ও জামালপুরের কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে মোহন ও হৃদয়ের মাদক ব্যবসা নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন মোহন ও হৃদয় তাদের জনি নামের এক বন্ধুর অসুস্থ দাদাকে দেখতে ঠোঁটারপাড়ায় যান। বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে ঠোঁটারপাড়া মাঠ থেকে তাদের ওপর প্রতিপক্ষের লোকজন গুলি ছোড়ে। গুলির শব্দ শুনে জনি পালিয়ে গেলেও মোহন ও হৃদয় তাদের হাতে ধরা পড়েন। এ সময় তাদের কুপিয়ে আহত করা হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
পরে টহলরত বিজিবির একটি দল তাদের উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহন আলীর মৃত্যু হয়।
দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান লিটন বলেন, ‘মাদক ব্যবসা-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুরোনো বিরোধের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। মোহন মারা গেছেন, হৃদয় হাসপাতালে ভর্তি।’
বিজিবির মহিষকুণ্ডি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার শওকত আলী বলেন, ‘আমাদের টহল দল আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।’
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, ‘নিহতের লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
১৮৪ দিন আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষক কারাগারে
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) কক্ষে ডেকে ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি এক মাদ্রাসা শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. আব্দুল করিম (৩০)। তিনি উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের দড়ি কোমরপুর দারুস সুন্নাহ সালাফিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। আব্দুল করিম সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার পাতাখালি গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুন দুপুর আড়াইটার দিকে কুমারখালী আলাউদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী ও তার ছোট ভাই (৭) মাদ্রাসার সামনের সড়কে বৃষ্টির পানিতে গোসল করছিল। এ সময় মাদ্রাসার এক ছাত্রের (১১) মাধ্যমে মেয়েটিকে মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত শিক্ষকের কক্ষে ডেকে নেন ওই শিক্ষক। এরপর তিনি কক্ষের দরজা বন্ধ করে মেয়েটিকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে তার শরীরের আপত্তিকর স্থান স্পর্শ করেন, ভুক্তভোগীর পায়জামা খোলারও চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় মেয়েটি।
পরে তার স্বজন ও স্থানীয়রা এসে ওই শিক্ষককে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে আটক করে।
এরপর ঘটনার দিন রাতেই ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করে। মামলায় আটক শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ (শুক্রবার) সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বলে, ‘মাদ্রাসার সামনের সড়কে বৃষ্টির পানিতে গোসল করছিলাম। সে সময় হুজুর এক ছাত্রের মাধ্যমে তার কক্ষে নিয়ে যেয়ে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। আমি তার উপযুক্ত শাস্তির জন্য থানায় মামলা করেছি।’
কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল করিমকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৮৫ দিন আগে
খুলনায় ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা
খুলনার দক্ষিণপাড়া এলাকায় বাবলু দত্ত (৫০) নামের এক ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত ৯টার দিকে নগরীর হরিণটানা থানাধীন রাজবন্ধ এলাকার দক্ষিণ পাড়ায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত বাবুল দত্ত দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা অমূল্য দত্তের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে বাইরের কাজ শেষ করে মোটরসাইকেলযোগে বাড়িতে ফিরছিলেন বাবলু। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার গতিরোধ করে ফাঁকা একটি প্লটের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গলা কেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা চলে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাটি জানতে পেরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
হরিণটান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘কী কারণে বাবলুকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে নিহত ব্যক্তি বালু ও জমির ব্যবসা করতেন। ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
তিনি জানান, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
১৮৫ দিন আগে
খুলনায় ২ যুবককে গুলি করে হত্যা
খুলনা রুপসা উপজেলায় দুইজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার রাজাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— সাব্বির ও সাদ্দাম নামের দুই যুবক। এ ঘটনায় সাব্বির ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর গুলিবিদ্ধ সাদ্দাম হোসেনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান।
এ ছাড়া মিরাজ নামের অপর আহত যুবকের কোমরের পেছনে গুলি লেগেছে। তিনি খুলনা নগরীর একটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে দশটার দিকে রুপসা রাজাপুর এলাকার সোহাগের বাড়িতে যান সাব্বির, মিরাজ ওরফে কাউয়া মিরাজ ও সাদ্দাম। পরবর্তীতে হঠাৎ গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়।
ঘটনাস্থলেই সাব্বিরের মৃত্যু হলে সাদ্দামকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুলিটি মাথার পেছনের অংশে লাগায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। এরপর অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান সাদ্দাম।
এদিকে মিরাজের কোমরের পেছনে, নিচের অংশে গুলি লেগেছিল। পরে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি পালিয়ে যান বলে জানিয়েছে সূত্র।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় যুবককে গুলি করে হত্যা, অস্ত্র-মোটরসাইকেল ও কয়েক রাউন্ড গুলি জব্দ
বিশেষ সূত্রের খবর, খুলনার চানমারি ও লবণচরা এলাকার সন্ত্রাসী আশিক গ্রুপের অন্যতম প্রধান সদস্য সাজ্জাদ হোসেনসহ ১০-১২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এই কিলিং মিশনে অংশ নেয়। মাদক-সংক্রান্ত বিষয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাজ্জাদ গ্রুপের সহায়তা নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
এ বিষয়ে রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মিরাজ ও সাব্বির দুজনেই সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর প্রধান সহযোগী। স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী সোহাগের বাড়িতে মাদক ব্যবসা-সংক্রান্ত বিষয় অভ্যন্তরীণ ঝামেলা হওয়ায় সাব্বির, মিরাজ ও সাদ্দামকে গুলি করা হয়।’
তবে এই ঘটনায় আশিক ও সাজ্জাদ গ্রুপ জড়িত রয়েছে কি না, তদন্ত করলে তা বেরিয়ে আসবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
১৮৫ দিন আগে
মাগুরায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
মাগুরা সদর উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে মনিরা আক্তার মীম (১৮) নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী শামিম শেখের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৫ জুন) বিকালে সদর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এক লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
ঘটনার পর মাগুরা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়ুব আলী জানান, প্রায় চার বছর আগে সদর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের অটোরিকশা চালক শামিম শেখের সঙ্গে আলিধানী গ্রামের আরজু শেখের মেয়ে মনিরা আক্তার মীমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শামিম মীমের কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। বুধবার বিকালে আবারও যৌতুকের জন্য মারধর করলে মীম গুরুতর আহত হন। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরপরই শামিম শেখ পালিয়ে যায়।
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মীমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
স্বামী শামিমকে ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পারিবারিক কলহের জেরে ঈদের দিন স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
১৮৫ দিন আগে
নড়াইলে বজ্রপাতে মাদরাসাছাত্র নিহত, আহত ৩
নড়াইল সদর উপজেলায় বজ্রপাতে জাবেদ বিশ্বাস মিঠুন (২২) নামে এক মাদরাসাছাত্র নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া, পৃথকস্থানে বজ্রাঘাতে নারীসহ আরও ৩ জন আহত হয়েছেন।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মিঠুন বিশ্বাস ওই গ্রামের আমিনুর বিশ্বাসের ছেলে। তিনি স্থানীয় জুড়ালিয়া মাদরাসার আলিম ১ম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালের দিকে মিঠুন ও তার বাবা আমিনুর তাদের বাড়ির পাশে জমিতে আগাছা পরিষ্কার করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে মিঠুন গুরুতর আহত হন এবং তার বাবা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে নড়াইল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মিঠুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিন জেলার পৃথকস্থানে বজ্রপাতের ঘটনায় আহত আরও দুজন নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তারা হলেন—চাঁদপুর গ্রামের লাভলী বেগম (৩৮) ও নড়াইল পৌরসভার দুর্গাপুর এলাকার লিলি বেগম (৬০)।
আহতরা বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
নড়াইল জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সোহেলী জামান বলেন, ‘মিঠুন নামে এক যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। বজ্রপাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে গেছে। এ ছাড়া অপর আহতরা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন।’
আরও পড়ুন: মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
১৮৬ দিন আগে