খুলনা
মেহেরপুরের গাংনীতে দুটি ‘হাতবোমা’ ও চিরকুট উদ্ধার
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির একটি কার্যালয়ের সামনে পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি বিস্ফোরক সদৃশ বস্তু ও একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে এগুলো উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মটমোড়া ইউনিয়নের নওদা মটমোড়া গ্রামে ওই বস্তুগুলো উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, বিএনপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের (বাবলু গ্রুপের) দলীয় কার্যালয়ের সামনে সকালে বিস্ফোরক সদৃশ্য বস্তু ও একটি চিরকুট পড়ে থাকতে দেখে তারা দ্রুত গাংনী থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেগুলো উদ্ধার করে।
ওই বিস্ফোরক সদৃশ্য বস্তুকে হাতবোমা বলে অভিহিত করেছে স্থানীয় জনগণ।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ঈদের নামাজ নিয়ে দ্বন্দ্বে বোমার আঘাতে নিহত ১
এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরায়েল বলেন, ‘স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুটি বিস্ফোরক সদৃশ্য বস্তু ও একটি চিরকুট উদ্ধার করেছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।’
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ওই জিনিসগুলো কাউকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে ফেলে রাখা হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গাংনীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলীয় কোন্দল ও হামলার পর এমন ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে গাংনী থানা পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার করা বস্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হবে। পাশাপাশি কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা খুঁজে বের করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
১৮৬ দিন আগে
যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
যশোরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত দুইজন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ভোর ৪টার দিকে যশোর সদর উপজেলার নতুনহাট এলাকায় যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— যশোর জেলার মাসুদুর রহমান মিলন (৪০) ও যশোর উপশহর সারথী মিল এলাকার লিটন হোসেনের স্ত্রী জুই (৩০)।
আহত দুইজন হলেন— বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি বেতাগা গ্রামের ফরিদ হোসেনের ছেলে মামুন (৩২) ও যশোর সদর উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে মাসুদ (৪৫)।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, আহত ২৫
দুর্ঘটনার বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, হতাহতরা একটি প্রাইভেটকারযোগে যশোর শহর থেকে বেনাপোলের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে নতুনহাট এলাকায় পৌঁছালে প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জুই ও মিলন। এ ছাড়া, গুরুতর আহত হন মামুন ও মাসুদ নামে আরও দুইজন।
ওসি আরও জানান, স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক এবং নিহতদের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৮৬ দিন আগে
রাইস কুকারে রান্নার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে মা-মেয়ে নিহত
মাগুরায় রাইস কুকারে ভাত রান্নার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৫ জুন) সকাল ৮টার দিকে মাগুরা সদরের টিলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ শিমুল বেগম ওই গ্রামের আব্দুল আওয়ালের স্ত্রী ও তাদের আট মাসের কোলের শিশু আলীশা।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়ুব আলী জানান, রাইস কুকারে ভাত রান্না করার সময় অসাবধানবশত বিদ্যুতায়িত হন গৃহবধূ শিমুল বেগম ও তার মেয়ে আলীশা। দুর্ঘটনার সময় শিশুটি তার মায়ের কোলো থাকায় দুজনেই বিদ্যুতায়িত হন। এরপর স্থানীয়রা তাদের মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এ বাপারে মাগুরা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতায়িত হয়ে পঞ্চগড়ের তিনজন নিহত
১৮৭ দিন আগে
যশোরে ৫টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
যশোরে স্বর্ণের বার পাচারের অভিযোগে ময়নাল মোল্লা (৩৫) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার কাছে থাকা পাঁচটি স্বর্ণের বার জব্দের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বুধবার (২৫ জুন) ভোরে যশোর সদরের ঝুমঝুমপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি দল। এ সময় তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।
আটক ময়নাল মোল্লা ঢাকার মিরপুরের উত্তর সিটি করপোরেশনে ৯ নম্বর কোর্টবাড়ী এলাকার আজগর মোল্লার ছেলে।
বিজিবি জানায়, আটক ব্যক্তির জুতার সোলের ভেতরে বিশেষভাবে লুকানো ছিল স্বর্ণের বারগুলো। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ময়নাল মোল্লা জানিয়েছেন, ঢাকার গাবতলী এলাকার চোরাকারবারীদের কাছ থেকে স্বর্ণ সংগ্রহ করে সাতক্ষীরা হয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওইসব স্বর্ণ।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাট সীমান্তে ১ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, জব্দ করা স্বর্ণের ওজন ৫৮৫.৫৪ গ্রাম, যার আনুমানিক মূল্য ৮৬ লাখ ৭৭ হাজার ৭০২ টাকা। এ ছাড়া মোবাইলসহ মোট জব্দ করা সম্পদের মূল্য প্রায় ৮৭ লাখ ৭ হাজার ৭০২ টাকা।
আটক করা যশোর সদর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম চলছে বলেও জানান তিনি।
১৮৭ দিন আগে
যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি বিচারাধীন মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গেছে। আদালতের নথি থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই কাগজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে মামলার বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুলকে শোকজ করেছেন বিচারক। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ২২ জুন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। ওই দিন মামলাটির (এসসি-১৬৬৯/২০১৮) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল। আদালতে আসামি, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও আসামিপক্ষের আইনজীবী—সবাই উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিচারক মো. সালেহুজ্জামান মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান, নথিতে মামলার এজাহারের কপি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল তার কাছ থেকে নথি নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এজাহার দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আবার নথি বিচারকের কাছে জমা দেন।
এরপর এজলাসেই বিচারক আইনজীবীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারাসহ সিনিয়র আইনজীবীরা এজলাসে হাজির হন। একপর্যায় বিচারক ওই দুইজনকে শোকজ করে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিচারক এজলাসে ওঠার আগে আইনজীবী মামলার নথি নিয়েছিলেন। পরে ফেরত দেন। আমি নিজে নথিতে কোনো হেরফের করিনি। আইনজীবী কিংবা আইনজীবীর সহকারীর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ আটক ৫
অন্যদিকে, আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল জানান, তিনি নথি নিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বিচারক এজলাসে চলে আসায় তা যথাযথভাবে বেঞ্চ সহকারীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আসামির চালান কপি থেকে তথ্য নিয়েছেন। এজাহার সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন।
যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। একজন আইনজীবী এমন কাজ করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।’
আদালত ও আইনজীবী সমিতি সূত্র আরও জানায়, আদালতে থাকা মামলার মুল কপি থেকে মামলার এজাহারের কপি সরিয়ে নিয়ে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া এজাহার কপি হারিয়ে গেলেও মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওই মামলার এজাহারের ফটোকপি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কাছে সংরক্ষিত থাকে। এর বাইরেও অনেক মাধ্যমে মামলার এজাহারের কপি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তবে, মুল নথিতে এজাহারের কপি না থাকাটা সমীচীন নয়। এ বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানায় সূত্র।
১৮৭ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় বিলুপ্ত প্রজাতির ৬৭ কচ্ছপ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় র্যাবের অভিযানে বিলুপ্তপ্রায় কড়িকাইট্টা প্রজাতির ৬৭টি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে উপজেলার সাতবাড়িয়া বাজার থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১২, সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুদীপ্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের সাতবাড়িয়া বাজারে এক ব্যক্তি বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপ বিক্রি করছেন জানতে পারি। এরপর র্যাবের একটি দল ক্রেতা সেজে বাজারে অভিযান চালিয়ে ১১টি বড় ও ৫৬টি ছোট কড়িকাইট্টা প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার করে।
এর পরপরই উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলো ভেড়ামারা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করার পর বিকালে উন্মুক্ত জলাশয়ে অবমুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের চেন্নাইতে বিরল কচ্ছপ বাঁচাতে পাহারায় স্থানীয়রা
সুদীপ্ত সরকার জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে একত্র করে একই এলাকার মহিবুল ইসলামের ছেলে মাহি (২০) কচ্ছপগুলোকে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছিল।
পরে বিক্রেতার কাছ থেকে কচ্ছপগুলো উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তার করা হয়েছে।
ভেড়ামারা উপজেলা বন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিভাগীয় বন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আমরা কচ্ছপগুলোকে উন্মুক্ত জলাশয়ে অবমুক্ত করেছি। ’
১৮৮ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের গোলাগুলি, ভাঙচুর-লুটপাট
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সার্চ কমিটির বৈঠককে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে গোলাগুলির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাত ১০টা থেকে দিবাগত রাত পর্যন্ত ধরমপুর ইউনিয়নের গো-হাট সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সেখানে প্রথমে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খায়। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পাঁচটি গুলির খোসা ও চারটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
এদিকে বুধবার (১৮ জুন) সকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। থানায় কেউ অভিযোগও করেনি বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠনের জন্য মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় ধরমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সার্চ কমিটির সমন্বয়ে ওয়ার্ড কমিটির ভোটার তালিকা গঠনের প্রস্তুতি চলছিল। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। বৈঠকে সার্চ কমিটির সদস্য রবিউল ইসলাম সরকার, আসাদুজ্জামান মিঠু ও শামসুল ইসলামসহ অন্য সদস্যরা ছিলেন। সেখানে রবিউল ও আসাদুজ্জামানের সঙ্গে শামসুলসহ তার পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। বৈঠক শেষ মূহুর্তে হঠাৎ সেখানে গুলি ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। এতে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের লোকজন দুইদিকে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সেনাবাহিনীকে খবর দেয়।
সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী হামিদুল ও আরিফ আহত হন। অপর পক্ষের বিএনপি কর্মী টিপু আহত হন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
ধরমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিঠু বলেন, ‘বৈঠক শেষ হওয়ার পর যে যার মত সভাস্থল ত্যাগ করেন। ঠিক সেই মূহূর্তে সার্চ কমিটির সদস্য শামসুলসহ তার লোকজন হামলা চালায়। তারা গুলি ছোড়ে। এতে তাদের দুই কর্মী আরিফের মাথায় ও হামিদুলের ডান হাতের কনুইতে গুলি লেগে আহত হন।’
ধরমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম সরকার বলেন,‘শামসুল ইসলাম খুবই বেপরোয়া আচরণ করেন। তিনি তার ছেলেসহ অন্যদের দিয়ে আজ আক্রমণ চালিয়েছেন। আমরা কোনোভাবেই এই হামলার সঙ্গে জড়িত না।’
অপরদিকে ধরমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সার্চ কমিটির সদস্য শামসুল বলেন, ‘ধরমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী হওয়ার কারণেই মূলত আজকের এই নাটক শুরু করেছে। সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে আজকের এই ঘটনা ঘটনা হয়েছে। মিটিং শেষে আসাদুজ্জামান মিঠু আমাকে গাড়িতে তুলে দিয়েছে। আমি চলে আসার পরেই মূলত এই ঘটনা ঘটেছে। এখানে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ওরা মূলত আমাকে আর আমার ছেলে রাজনকে টার্গেট করেছে। এই ঘটনা আসাদুজ্জামান মিঠু, রবিউল সরকার আর ধরমপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক নান্টুন নেতৃত্বে ঘটেছে। তারা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আকাশের বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।’
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ছাত্রাবাসে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আকাশের বোন চাঁদনী খাতুন বলেন, ‘লুটপাটকারীরা বাড়িঘর ভাঙচুরের পাশাপাশি সোনার গহনা ও টাকা লুট করেছে। আমার ভাই সবেমাত্র রাজনীতিতে যোগ দিয়েছে।’
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘একজন মাথায় ও আরেকজন হাতের কনুইতে আঘাত নিয়ে রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।’
ভেড়ামারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি সার্চ কমিটির বৈঠককে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছিল। তিনজন আহত হয়েছেন। তবে তারা গুলিতে আহত হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে গুলির ৫টি খোসা ও ৪টি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’
এ বিষয়ে থানায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি বলেও জানান ভেড়ামারা থানার পরিদর্শক।
১৯৪ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় ছাত্রাবাসে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কুষ্টিয়ার একটি ছাত্রাবাসে মধ্যরাতে লুবাব হোসেন (২০) নামে এক পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে কালিশংকরপুর এলাকার বাঁধন ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে।
লুবাব কুষ্টিয়ার দর্পণ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায়। তিনি উপজেলার খন্দকবাড়িয়া গ্রামের শফিউল ইসলামে ছেলে।
রুমমেটের ভাষ্য মতে, ঘুমের মধ্যে অস্বাভাবিক চিৎকারের পর লুবাবকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দায়িত্বরত চিকিৎসক হাসপাতালের স্লিপে (সায়ানোসড বডি) উল্লেখ করেছেন। তবে পুলিশ বলছে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এমন মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা উঠেছে।
ছাত্রাবাসের অন্য ছাত্ররা জানায়, লুবাব ও অনিক নামে এক ছাত্র ওই ছাত্রাবাসের একই রুমে থাকত। প্রতিদিনের মতো রাত ১১টার দিকে দুজন ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ১২টার দিকে লুবাবের অস্বাভাবিক চিৎকারে অনিকের ঘুম ভেঙ্গে যায়।
এ সময় লুবাবকে অস্বাভাবিক অঙ্গভঙ্গি করতে দেখে সে ভয় পেয়ে ছাত্রবাসে থাকা অন্য ছাত্রদের ডাক দেয়। সবাই মিলে লুবাবের মাথায় পানি দেয়। এরপরেও লুবাবের স্বাভাবিক হওয়ার কোনো লক্ষণ না দেখলে কয়েকজন মিলে দ্রুত তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কলেজছাত্র হত্যাকাণ্ডের ৬ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন গ্রেপ্তার
তারা আরও জানান, তার এই অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হলে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মর্গে পাঠায়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) বলেন, সায়ানোসড বডি উল্লেখ করা হয়েছে। বিষক্রিয়া থেকে মৃত্যু হতে পারে। কোনো কিছুর ওভার ডোজ হলেও বিষক্রিয়া হয়। সেটা মাদকও হতে পারে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, লাশে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তদন্তে অন্য কোনো আলামত পাইনি। তবে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি ওই ছাত্র মাদকাসক্ত ছিলেন কিনা ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রির্পোট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’
১৯৪ দিন আগে
পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে যুবদল কর্মী নিহত, গ্রেপ্তার ৩
যশোরের কেশবপুর উপজেলায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে মনিরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার (১৮ জুন) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত মনিরুল ইসলাম উপজেলার বরণডালি গ্রামের আলী বক্সের ছেলে এবং স্থানীয় যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকালে কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের সরসকাটি বাজারে পাওনা টাকা নিয়ে মনিরুল ও একই গ্রামের রেজা হাসান সবুজের অনুসারীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে মনিরুল ছাড়াও কাশেম গাজী, জাকির হোসেন ও মিজানুর রহমান আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে মনিরুলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগের রায়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেলেন জামায়াত নেতা আজহার
ঘটনার পরপরই কেশবপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বরণডালি গ্রামের রেজা হাসান সবুজ, লিটন হোসেন ও মশিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
চিংড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন বলেন, ‘মনিরুলের ভাই মিজানুর বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
এ বিষয়ে কেশবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘মামলায় নাম উল্লেখ থাকা অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
১৯৪ দিন আগে
খুলনায় অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ আটক ৫
খুলনা সদর থানার শিপিয়ার্ড রোড চানমারি বাজার এলাকায় সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে ইয়াবা, রিভলবারসহ ৫ জনকে আটক করেছে।
সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকের এই অভিযানে ১টি বিদেশি রিভলবার, ২ রাউন্ড গুলি ও ২৭০টি ইয়াবাসহ উদ্ধার করা হয়। আটকদের মধ্যে ৩ জন ছাত্র দলের সঙ্গে জড়িত।
আটকরা হলেন- রূপসা ইস্টার্ন রোডের নুরুল ইসলামের ছেলে ছাত্রদল কর্মী মো. রাজু আহমেদ (৩০), চানমারী বাজার মাদরাসা রোডের শামসুর রহমানের ছেলে ছাত্রদল কর্মী জুনায়েদ হোসেন মুন্না (৩০), মাস্টারপাড়ার শওকত হোসেনের ছেলে ছাত্রদল কর্মী মিরাজ (৩২), চানমারী দ্বিতীয় গলির জালালের ছেলে নীরব ইসলাম জিয়া (২৩) ও বাগেরহাটের শরণখোলার রায়েন্দা বাজারের হানিম শিকদারের ছেলে শামীম হোসেন (২৯)।
স্থানীয়রা জানান, সেনাবাহিনী এবং পুলিশের একটি যৌথ অভিযান নগরীর শিপইয়ার্ড এবং চানমারী এলাকায় পরিচালনা করে।
অভিযানটি মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে। এ সময় তারা ওই দু’টি এলাকার ৩টি বাসায় অভিযান চালায়।
চানমারী ইউনুস তালুকদারের বাড়ি থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড তাজাগুলি এবং ২৭০ পিছ ইয়াবাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানোয়ার হোসেন মাসুম বলেন, ‘রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে এদের আটক করা হয়েছে। আটক আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুলনা সদর ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের খুলনা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আরও যাচাই-বাছাই করে এদের দলীয় পরিচয়সহ অস্ত্র রাখার কারণ উদঘাটন করা হবে।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ‘সন্ত্রাসী’ তূর্য গ্রেপ্তার
১৯৫ দিন আগে