সিলেট
সিলেটে এক বছরে সড়কে ঝরেছে ৩৭৫ প্রাণ
বিদায়ী বছরে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)। ২০২৪ সালে এই বিভাগে মোট ৩৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৫ জন নিহত হয়েছেন; সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৭০৯ জন।
নিহতদের মধ্যে ২৮৭ জন পুরুষ, ৫৮ জন নারী ও ৩০টি শিশু রয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় গত বছর সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারিয়েছে মোটরসাইকলের চালক ও আরোহীরা।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার এসব তথ্য তুলে ধরেন নিসচা সিলেট বিভাগীয় কমিটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে সিলেট জেলায় ১৫৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫৭ জন নিহত ও ৩১৪ জন আহত হয়েছেন; সুনামগঞ্জ জেলায় ৬৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬ জন নিহত ও ১০৮ জন আহত হয়েছেন; মৌলভীবাজার জেলায় ৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৭ জন নিহত ও ৭২ জন আহত হয়েছেন এবং হবিগঞ্জ জেলায় ৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৫ জন নিহত ও ২১৫ জন আহত হয়েছেন।
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী মিলে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩৭ জন, সিএনজিচালক ও যাত্রী ৮৫জন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি উল্টে ৪২টি দুর্ঘটনায় ৬১ জন, পথচারী ৬৯ জন এবং বৈদ্যুতিক খুটি ও গাছের সঙ্গে ধাক্কায় আরও ৩০ জন নিহত হয়েছেন।
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে সিলেট-তামাবিল সড়কে ২০টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন, সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে ২২টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন, সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে ১৩টি দুর্ঘটনায় ১৭ জন, দরবস্ত-কানাইঘাট সড়কে ৮টি দুর্ঘটনায় ৮ জন এবং গোয়াইনঘাট সড়কে ৭টি দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত হন।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ কলেজছাত্র নিহত
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালে সিলেট বিভাগের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৩-এ সিলেটে মোট ২৯৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬১ জন নিহত ও ৪৬৪ জন আহত হয়েছিলেন।
নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট-চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মিশু এক বিবৃতিতে বলেন, স্থানীয় ৫টি দৈনিক পত্রিকা, ২টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন পত্রিকার তথ্য, অনুমেয় অনুজ্জ বা অপ্রকাশিত ঘটনা এবং নিসচার শাখা সংগঠনগুলোর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রতি বছরের মতো এবারও সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করেছে নিসচা।
২ দিন আগে
হবিগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় ২ নারী শ্রমিক নিহত
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাকের ধাক্কায় টমটম ইজিবাইকে থাকা দুই নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দরগাহ গেইট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: গ্যাসবাহী ট্যাঙ্কারে ট্রাকের ধাক্কায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, রাজস্থানে নিহত ৯
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হক জানান, নিহত শ্রমিকরা বাদশা কোম্পানির পাইওনিয়ার ডেনিম কারখানার শ্রমিক।
তিনি বলেন, সকালে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে করে তারা কারখানায় যাচ্ছিলেন। এ সময় মহাসড়কের দরগা গেইট এলাকায় পেছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাদের ইজিবাইকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই এক নারী শ্রমিক নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে, ঘটনার পর কারখানার বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় ২ সিএনজিযাত্রী নিহত, আহত ৩
৬ দিন আগে
সুনামগঞ্জ সীমান্তে গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি সীমান্তে ভারতীয়দের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নাকি গারোরা গুলি করেছেন; তা নিশ্চিত করতে পারেনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিব)।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে সুপারি পাঠানোর সময় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক মো. সাইদুল ইসলাম উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের গামাতলা খাসপাড়া পূর্ব এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাইদুল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে সুপারি পাঠানোর সময় গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
চিকিৎসক শফিকুর ইসলাম বলেন, নিহতের বুকে ও পেটে দুটি গুলি লেগেছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে কী ধরনের গুলি শরীরে লেগেছে।
স্থানীয়দের কেউ কেউ জানিয়েছেন, সীমান্তে সুপারি নিয়ে গেলে সাইদুলের সঙ্গে বিএসএফ সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে শুনেছেন তারা।
আরও পড়ুন: কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে চৌকা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ উত্তেজনা
স্থানীয়দের ধারণা, বিএসএফের গুলিতেই সাইদুল মারা গেছেন।
সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন ২৮ বিজিবির অধিনায়ক একেএম জাকারিয়া কাদির জানিয়েছেন, বিএসএফের গুলিতে নাকি ভারতীয় গারোদের গুলিতে আমাদের বাংলাদেশি একজন নিহত হয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ জন্য মাছিমপুর বিওপি ও ভারতের কড়াইগড়া বিএসএফ ক্যাম্পের পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে। বৈঠকের পরে জানতে পারব কী ঘটেছে।
১ সপ্তাহ আগে
সুনামগঞ্জে এইচএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ
আগামী এপ্রিলে সারাদেশে শুরু হবে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা। এজন্য ছাতকের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ফরম পূরণ শুরু হয়েছে।
তবে ছাতক চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ফরম পূরণের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার ৮০০ টাকা করে আদায় করা হলেও তা দেখার কেউ নেই।
এছাড়া গেল ২৯ ডিসেম্বর ছাতক চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম-নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু সফটওয়্যারজনিত ত্রুটি দেখিয়ে তিন দিনের ব্যবধানে গত ১ জানুযারি দ্বিতীয় বার নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ রবিউল ইসলাম।
বার্ষিক পরীক্ষার নবম শ্রেণির দুটি ফল প্রকাশের ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
অভিযোগ আছে, জাতীয় শিক্ষা বোর্ডের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ফরম পূরণের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছে ছাতকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বহু শিক্ষার্থীর।
অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অভিভাবকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি ফিস ১৬৫০ টাকা, সেন্টার ফিস ৪৮০ টাকাসহ দুই হাজার ১৩৯ টাকা নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে ১১ শর্ত
এছাড়া বিজ্ঞান বিভাগের জন্য পাঁচ হাজার ৮০০ টাকা এবং বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের জন্য পাঁচ হাজার ৬০০ টাকা ধরা হয়েছে। তবে সুবিধাভোগীরা ম্যানেজিং কমিটির নাম ভাঙিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন।
চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, তাদের কাছ তিন থেকে চার হাজার টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে।
নবম শ্রেণিতে দুবাব পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সত্যতা স্বীকার করে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘সফটওয়্যারজনিত যান্ত্রিক ত্রুটি দেখিয়ে এসব করা হয়।’
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখরবিউল ইসলামকে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলে কেউ রিসিভ করেননি।
উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা পুলিন চন্দ্র রায় বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা আদায় করা অন্যায়। এছাড়া নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার দুটি ফলাফল প্রকাশ করতে পারেন না। এসব ঘটনার খোঁজ-খবর নিয়ে আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এসএসসির নিধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।’
বার্ষিক পরীক্ষায় দুটি ফলাফল প্রকাশের ঘটনায় ইউএনও বলেন, ‘এসব ঘটনায় অভিযোগ পেলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১ সপ্তাহ আগে
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে ব্যর্থ শেওলা স্থলবন্দর
সরকারের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-ডিসেম্বর) লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেনি বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ সময়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩০ কোটি ৮৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলেও তারা পিছিয়ে আছে ১০ কোটি টাকা।
সর্বশেষ ২০২৪ পঞ্জিকাবর্ষের শেষ দিন লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক রাজস্বও আহরণ করতে পারেনি শেওলা কাস্টমস।
শেওলা কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি অর্থবছরের শুরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বেশ কয়েকদিন পণ্য শুল্কায়ন থেকে খালাস প্রক্রিয়া পুরোদমে ব্যাহত হয়। এর প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ে।
আরও পড়ুন: আইএমএফের শর্ত নয়, রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য ভ্যাট বাড়ানো হবে: অর্থ উপদেষ্টা
তাদের দাবি, শেওলা কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার তৎপরতা বাড়ানোর কারণে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি কমেছে। আবার খালাসেও রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নিতে পারেনি সুযোগসন্ধানীরা।
তবে শ্রমিকদের দাবি উল্টো। পণ্যের ওজন কারচুপির কারণে সৃষ্ট অনিয়মের কারণেই এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কমেছে বলে দাবি তাদের।
কাস্টমস কর্মকর্তাদের দূর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি এই বন্দরে ব্যাপক শ্রমিক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে শ্রমিকরা জানান, ওজন কারচুপির মতো দূর্নীতি এই বন্দরের একটি বড় সমস্যা। ভারত থেকে যে পাথর আমদানি করা হয়, তা সরাসরি মাইন থেকে গাড়িতে বোঝাই হয়ে চলে আসে। ফলে এসব পাথরের সঙ্গে মাটি ও বালি মিশে থাকে। এর আগে তামাবিল ও শেওলায় পাথর শুল্কায়নের আগে বন্দর কর্তৃপক্ষ মাটি ও বালির ওজন বাদ দিয়ে পাথরের ওজন নির্ণয় করত এবং সে অনুযায়ী শুল্কায়ন করা হতো। বর্তমানে শেওলার নতুন কর্মকর্তারা মাটি ও বালির ওজন ছাড় দিতে চাচ্ছেন না।
শেওলা কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, এই বন্দর দিয়ে গত ৬ মাসে ১১ কোটি টাকার কয়লা, আদা, কমলা, আপেল, সাতকড়া, চুনাপাথর ও চাল আমদানি হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম মাস হওয়ায় আগের মাসের বকেয়া রাজস্ব আদায় হওয়ার কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আদায় দেখা গেছে, যা প্রকৃত চিত্র নয়। প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় আগস্ট মাস থেকে।
কয়লা আমদানিকারক ইকবাল হোসেন জানান, বাজারে ডলারের দাম বাড়ার কারণে অনেক ব্যবসায়ী আমদানির এলসি (ঋণপত্র) খুলতে পারেননি। যারা এলসি খুলেছেন তাদের অনেককে খোলা মার্কেট থেকে বেশি দামে ডলার কিনে ব্যাংকে শতভাগ মার্জিন দেখিয়ে ঋণপত্র খুলতে হয়েছে। ফলে সামগ্রিক নেতিবাচক একটি প্রভাব পড়েছে আমদানিতে।
এ বিষয়ে শেওলা কাস্টমসের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা শিমুল সেন বলেন, ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়। আবার ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর রাজস্ব আদায়ও বাড়ে। তবে বেশিরভাগ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া যায় না। এবার লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা সহনীয় ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা ও উচ্চ শুল্কে পণ্য আমদানি কমে যাওয়ার কারণে এই অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারিনি।
আরও পড়ুন: রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউরের বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে করা রিট খারিজ
১ সপ্তাহ আগে
জকিগঞ্জে ট্রাকচাপায় সিএনজির যাত্রী নিহত
সিলেটের জকিগঞ্জে ট্রাকের চাপায় কাজী কমর উদ্দিন নামের সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক বৃদ্ধ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কের আটগ্রাম স্টেশনের পূর্ব পাশে কাশেম কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় সিএনজিচালক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও তাৎক্ষণিক তার নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বিজয় সরণিতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
নিহত কাজী কমর উদ্দিন (কমই মিয়া) (৬০) উপজেলার ৮ নম্বর কসকনকপুর ইউনিয়নের বিয়াবাইল গ্রামের (নালুহারা) ফুলেরদিঘীর মৃত ময়না মিয়ার ছেলে।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে। এ ছাড়াও গাড়িদুটিও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত ২১
১ সপ্তাহ আগে
সিলেটে মহাসড়কের পাশ থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
সিলেট-তামাবিল-জাফলং মহাসড়কের পাশ থেকে সালাউদ্দিন নামে এক সেলুন ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) ভোরে জৈন্তাপুরের ২ নম্বর লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সালাউদ্দিন (৩৫) ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার ছেলে। তিনি গত ৭ বছর যাবত জৈন্তাপুর উপজেলার ৪ নম্বর বাংলা বাজার এলাকায় মসজিদ মার্কেটে সেলুনের ব্যবসা করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে তার চাচাতো বোনের বাসা থেকে রাতের খাবার শেষ করে ৪ নম্বর বাংলা বাজারে ফিরছিলেন সালাউদ্দিন। রবিবার (৫ জানুয়ারি) ভোরে স্থানীয় এক ব্যক্তি মহাসড়কের পাশে সালাউদ্দিনের দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
আরও পড়ুন: গাংনীতে ওয়ার্ড যুবদল সভাপতির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
পরে স্থানীয়রা জৈন্তাপুর মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। এ সময় লাশের মুখমণ্ডল থেতলে যাওয়া রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা কোনো বেপোরয়া গতির গাড়ির ধাক্কায় তার মৃত্যু হতে পারে। এছাড়াও লাশের আশপাশে কাঁচের টুকরো পাওয়া গেছে। এ সময় নিহত সালাউদ্দিনের পরনে কালো রংয়ের হুডি ও মেরুন রংয়ের প্যান্ট ছিল।
তামাবিল হাইওয়ে পুলিশ সিলেট রিজিওনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, উদ্ধার হওয়া লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় নিজ দোকান থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ সপ্তাহ আগে
বিয়ানীবাজারে ৪ ইউপি চেয়ারম্যানকে নোটিশ, বরখাস্তের প্রক্রিয়া
সিলেটের বিয়ানীবাজারের ৪ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন।
এরা হলেন- সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ও আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহবাবুর রহমান খান শিশু, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জেলার নেতা চারখাইয়ের হোসেন মুরাদ চৌধুরী; উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেওলার মো. জহুর উদ্দিন এবং সহ-প্রচার সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাথিউরার মো. আমান উদ্দিন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, উপজেলা প্রশাসনের কার্যক্রমে অসহযোগিতা, ইউপি কার্যালয়ে অনুপস্থিতি, মাসিক উন্নয়ন সভায় গরহাজির, একাধিক মামলায় পলাতক থাকাসহ বিভিন্ন কারণে তাদের বিরুদ্ধে বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে তারা ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্র জানায়, ইউপি চেয়ারম্যানরা মামলায় পলাতক থাকার কারণে তৃণমূলের সাধারণ মানুষ সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর একাধিক মামলা হলে তারা অনেকেই আত্মগোপনে চলে যান। এ কারণে দাপ্তরিক কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে পড়েছে। গ্রেপ্তারের ভয়ে তারা সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২
অবশ্য চারখাইয়ের চেয়ারম্যান একটি হত্যা মামলায় কারাবাস শেষে বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হলে বিধি-মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আলোকে উপজেলা প্রশাসন ওই চেয়ারম্যানদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়।
ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী, ইউএনও কারণ দর্শানো ব্যাতিরেকে ইউপি চেয়ারম্যানদের বরখাস্ত করার অধিকার কেউ রাখেন না।
বিয়ানীবাজার ইউএনও গোলাম মুস্তাফা মুন্না জানান, স্থানীয় সরকার ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
১ সপ্তাহ আগে
সিলেটে কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ
সিলেটে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, চিনি, কম্বল, গরু, বিয়ার, টারগেট ট্যাবলেট এবং বাংলাদেশ থেকে পাচারকালে রসুন, পাথর ও শিং মাছ জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সিলেট ও সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকা থেকে এসব চোরাচালানের মালামাল জব্দ করা হয়।
সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) জানায়, সিলেট এবং সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকা মিনাটিলা, কালাইরাগ, বিছনাকান্দি, নোয়াকোট, দমদমিয়া, কালাসাদেক, শ্রীপুর, বাংলাবাজার, লাফার্জ, প্রতাপপুর, পান্থুমাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় শাড়ী, চিনি, কম্বল, গরু, বিয়ার, টারগেট ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে পাচারকালে রসুন, পাথর ও শিং মাছ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি চোরাচালানের মালামাল পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ও ট্রাক আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অভিযানে ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন ৫ গাড়ি জব্দ
জব্দ হওয়া এসব মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০ টাকা।
সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকার অভিযান পরিচালনা করে চোরাচালানী মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দ করা চোরাচালানের মালামাল সমূহের আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফেনী নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ২৬ ড্রেজার মেশিন জব্দ
১ সপ্তাহ আগে
৩৬ চিকিৎসকের পদ শূন্য রেখেই চলছে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল
নানা সমস্যায় জর্জরিত সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল। ভবনসহ সব সুযোগ-সুবিধা থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে ৩৬ জন চিকিৎসক, ৭৪ জন নার্সের পদ শূন্য রয়েছে।
প্রায় ২৭ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসার জায়গা জেলার এই সদর হাসপাতালটি এখন নিজেই রোগে আক্রান্ত। জেলার ১২ উপজেলার রোগীরা হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা সেবা না পেয়ে সিলেটসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে এলাকার গরীব অসহায় রোগীরা মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে হাসপাতালের ভবনটিতে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জেলা সদর হাসপাতালটির খাবার সরবরাহ নিয়ে এখানে ভর্তি হওয়া রোগীদের রয়েছে নানান অভিযোগ। ওয়ার্ডের ওয়াসরুম (টয়লেট) নোংরা, ওয়ার্ডের ভিতরে দুর্গন্ধ। শিশু ওয়ার্ড, মহিলা ওয়ার্ড, সার্জারি ওয়ার্ডে রোগীরা বেড না পেয়ে ফ্লোরে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর সঙ্গে থাকা লোকজনও তাদের সঙ্গেই শুয়ে আছেন। বহিরাগতদের আনাগোণাও লক্ষ্য করা গেছে।
দিরাই উপজেলার মনোয়ারা বেগম জানান, ‘তার ৭ মাসের নাতির পাতলা পায়খানা হয়েছে। দুইদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।’ ওয়ার্ডের ভেতরে পর্যাপ্ত পরিমাণে সিট না থাকায় মেঝেতে রেখেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। যে ওয়ার্ডে ১০ জন রোগী থাকার কথা সেখানে ২০ জন রোগী গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রতিটি ওয়ার্ডের টয়লেট খুবই নোংরা, আর্বজনায় ভরপুর। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। মশা-মাছি উড়ছে। এখানে চিকিৎসা নিতে এসে আরও অসুস্থ হতে হচ্ছে রোগিসহ সঙ্গে থাকা স্বজনদের। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের এক্সরে মেশিনটি অকেজো হয়ে আছে, কারো কোনো খেয়াল নাই।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর গ্রামের রহিমা বেগম জানান, তিনি চারদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ দিন সকালে পেয়েছেন ডিম, পাউরুটি আর কলা। দুইদিন পেয়েছেন সেমাই ও পাউরুটি। কিন্তু হাসপাতালের খাদ্য তালিকায় রোগীদের সকালের নাস্তা বাবদ, ডিম, কলা, পাউরুটি ও চিনি দেওয়া আছে। দুপুরের ও রাতের খাবার তালিকায় আছে মাছ, মুরগি, ডাল ও সবজি। কিন্তু রোগীদের দুপুর ও রাতে দেওয়া হচ্ছে শুধু পোল্ট্রি মুরগি আর ডাল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জেলা সদর হাসপাতালটিতে ৬৬জন এমবিবিএসসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকার অনুমোদন থাকলেও বর্তমানে কমর্রত ৩০ জন চিকিৎসক। দীর্ঘদিন ধরে ৩৬ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। চিকিৎসকের শূন্য পদগুলোর মধ্যে রয়েছে সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), সিনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু), সিনিয়র কনসালটেন্ট (ইএনটি) সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি), সিনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি), সিনিয়র কনসালটেন্ট (ডেন্টাল), জুনিয়র কনসালটেন্ট (প্যাথলজি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (রেডিওলজি)। অপরদিকে দ্বিতীয় শ্রেণির নার্সসহ ২৬৪টি পদের মধ্যে শূন্য রয়েছে ৭৪টি পদ। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর ৩৮টি পদের মধ্যে ১৯টি শূন্য এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর ২৮টি পদের মধ্যে ১৩টি পদ শূন্য রয়েছে।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এখন শীত মৌসুম হওয়ায় রোগীর সংখ্যা একটু কম। এরপরও এখানে দৈনিক ভর্তি হচ্ছেন ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী। গরমের মৌসুমে রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৭০০ এর উপরে। ২৫০ শয্যা হাসপাতাল হওয়ায় তারা ২৫০ ডিম প্রতিদিন রোগীদের দিতে পারেন, এর চেয়ে বেশি দিতে পারেন না। যার কারণে খাবারে সমন্বয় করে ডিম দিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘জেলার এতো বড় একটি হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের কোনো চিকিৎসক না থাকায় আমরাও হতাশ। এতে ছোটোখাটো সব সার্জারি রোগীদেরও সিলেট রেফার করতে হচ্ছে, এটা আমাদের জন্য লজ্জার। আমি সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকসহ শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
টয়লেট নোংরার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা সত্য অতিরিক্ত রোগীর চাপে টয়লেট পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যাচ্ছে না। বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগ দেখেন। জেলা গণপূর্ত বিভাগকে এ ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা টয়লেটর সমস্যা দ্রুত সমাধান করে দেবেন বলে জানিয়েছেন।’
সিভিল সার্জন ডা. মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘জেলা সদর হাসপাতালের বিষয়টি দেখভাল করে তত্ত্বাবধায়ক। হাসপাতালে জনবহুল সংকটের কারণেই এ সমস্যাগুলো দেখা দিয়েছে। ইদানীং জনবল সংকট দূর করার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। আশাকরি চিকিৎসকসহ জনবল সংকট দূর হবে এবং হাসপাতালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’
১ সপ্তাহ আগে