বৈদেশিক-সম্পর্ক
গণতন্ত্রের দুর্বলতা আছে, অনুশীলনেই পরিপক্কতা অর্জন করে: কূটনীতিকদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সরকার বলেছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে কোনো ধরনের অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়াই নির্বাচিত সরকারগুলোর মধ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের দেওয়া এক ব্রিফিং নোটে বলেছে, 'গণতন্ত্রের দুর্বলতা আছে, কিন্তু চর্চার মাধ্যমেই তা পরিপক্কতা অর্জন করে।’
মন্ত্রণারয় কূটনীতিকদের জানিয়েছে, বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী এতে অংশ নিতে আগ্রহী হলেও এটা দুঃখজনক যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অসাংবিধানিক দাবির অজুহাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা: মোমেন
২০১১ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক বিধানকে ‘অতি বৈষম্যমূলক’ (আইনী কর্তৃত্বের আওতা বহির্ভূত যে কোনও কাজ) এবং বাতিল ঘোষণা করে। কারণ, এটি গণতন্ত্রের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
নির্বাচন কমিশন বারবার বিএনপিকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিল, এমনকি বিএনপি যোগ দিলে ইসি নির্বাচনের তফসিল সংশোধন করতে ইচ্ছুক ছিল।
সরকার বলছে, বিএনপি এই 'অযৌক্তিক দাবিকে' তাদের প্রধান রাজনৈতিক নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং জনগণের জানমাল ধ্বংস করে তাদের জিম্মি করে রেখেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির হরতাল ‘ঢংঢাং’, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিন: মোমেন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বিএনপি ও তার মিত্ররা সারাদেশে যে ভয়াবহ সহিংসতা চালিয়েছে তা ২০০১, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তাদের কার্যক্রমের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত তারা প্রায় এক হাজার সরকারি ও বেসরকারি যানবাহন এবং পুলিশ হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ও অ্যাম্বুলেন্সসহ দুই শতাধিক স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। প্রায় এক হাজার যানবাহন ও প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারকদের বাসভবনসহ অনেক স্থাপনা ভাঙচুর করেছে। এছাড়া প্রায় দেড় হাজার পুলিশ সদস্য ও প্রায় ৫০০ বেসামরিক লোককে আহত করেছে। এমনকি সাংবাদিক ও ফটো সাংবাদিকদের ওপরও হামলা চালিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, দুই পুলিশ সদস্যসহ ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজনকে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত: মোমেন
ব্রিফিং নোটে বলা হয়,‘তারা আমাদের রেল ব্যবস্থায় নাশকতা চালিয়েছে, যার ফলে এক মা ও তার তিন বছরের শিশুকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এতে আরও অনেকে গুরুতর আহত হওয়াসহ পাঁচটি মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে।’
নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপি ভয় ও আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য 'সহিংসতা বাড়িয়েছে'। নির্বাচনের আগের দিন ভোটারদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে তারা ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে কূটনীতিকদের জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করতে এবং ভোটারদের ভোট দিতে তাদের নির্বাচনী এলাকায় যেতে বাধা দিতে বিএনপি দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
এতে বলা হয়, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, এতে চারজন যাত্রী নিহত হন। অনেকে গুরুতর আহত হন এবং যাত্রীবাহী ট্রেনটির একটি বগি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
গত ৭ জানুয়ারি ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে 'অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ' পদ্ধতিতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রত্যক্ষ করেছে যে, বর্তমান সরকার সমর্থিত একটি স্বাধীন ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত সাংবিধানিক সংস্থা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দক্ষতার সঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে।
২০২৪ সালের নির্বাচন বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের যাত্রার ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের জনগণ তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি নিয়মভিত্তিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং শান্তি, অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার প্রতি তাদের দৃঢ় সংকল্প প্রদর্শন করেছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসীবান্ধব: মোমেন
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে, সাংবিধানিক ম্যান্ডেট সমুন্নত রাখতে এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অভূতপূর্ব রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রকাশ করেছে।
বিএনপির নির্বাচন বর্জন সহিংসতা এবং ক্রমাগত ভীতি প্রদর্শনের আহ্বান সত্ত্বেও বাংলাদেশের জনগণ একটি শান্তিপূর্ণ ও 'স্মার্ট বাংলাদেশ' রূপকল্পের প্রতি তাদের অঙ্গীকার ও আকাঙ্ক্ষাকে জোরদার করেছে।
এতে বলা হয়, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আস্থা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে এটি একটি নতুন দৃষ্টান্ত।
ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গউইন লুইস এবং বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনউপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আমি দৌঁড়াতে পারি বলেই নড়াইলে মেগা প্রকল্প আসছে : মাশরাফি
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার আহ্বান
মানবাধিকার, আইনের শাসন ও উন্নয়নের প্রসারে 'সহায়ক' গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়া সরকার বলেছে, 'অস্ট্রেলিয়া একটি উন্মুক্ত, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চলের জন্য নিজেদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি থেকে ৩০০ জনকে উদ্ধার
গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিবৃতি দেয় অস্ট্রেলিয়া।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'যদিও আমরা এই সত্যকে স্বাগত জানাই যে, লাখ লাখ বাংলাদেশি ভোটার নির্বাচনের দিন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, তবে এটি দুঃখজনক যে নির্বাচন এমন একটি পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে সমস্ত অংশীজনরা অর্থবহ এবং উল্লেখযোগ্যভাবে অংশ নিতে পারেনি।’
আরও পড়ুন: ২০০৮ সাল থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলছে বাংলাদেশ: অস্ট্রেলিয়ান রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে অস্ট্রেলিয়া বলেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে সংঘটিত সহিংসতা ও রাজনৈতিক বিরোধী দলীয় সদস্যদের গ্রেপ্তারে তারা উদ্বিগ্ন।
দেশটির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব অস্ট্রেলিয়া ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের কাছে তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন: মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে শোকপ্রকাশ অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের
পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচণ্ড ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো বার্তায় তিনি বলেন, ‘আগামী বছরগুলোতে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক ও সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিতে ও জোরদার করতে আমি আপনাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।’
নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুবিধাজনক সময়ে নেপাল সফরের জন্য শেখ হাসিনাকে আন্তরিক আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাজিলের অভিনন্দন
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রতিবেশি হিসেবে আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক পারস্পরিক সমর্থন, সমঝোতা ও সহযোগিতার পাশাপাশি জনগণ থেকে জনগণে শক্তিশালী যোগাযোগের মাধ্যমে চিহ্নিত।’
তিনি বলেন, তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে সহযোগিতা করে আসছে।
পুষ্প কমল দাহাল প্রচণ্ড বলেন, ‘জ্বালানি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে সম্পৃক্ততা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ও কল্যাণের পাশাপাশি বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাজিলের অভিনন্দন
ব্রাজিল সরকার ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনকে স্বীকৃতি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জয়লাভের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- উভয় দেশের উন্নয়ন, দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা এবং দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও জলবায়ু সংকটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পক্ষে ব্রাজিল বাংলাদেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্রাজিল-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অত্যন্ত জোরদার হয়েছে। ২০২৩ সালের আগস্টে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছিলেন।
এতে আরও বলা হয়, ২ দেশের মধ্যে দ্বিতীয় 'ফরেন অফিস কনসাল্টেশন' ২০২৩ সালে ব্রাসিলিয়াতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গত বছর পক্ষীয় বাণিজ্য ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব
বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন : মুখপাত্র
ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
ব্রুনাই দারুসসালামে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ হাইকমিশনের চ্যান্সারি প্রাঙ্গনে দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা।
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পাঠানো বাণী পাঠ করে শোনান নাহিদা রহমান সুমনা।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার তার বক্তব্যের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি হিসেবে গর্বের সঙ্গে অবিহিত করেন এবং তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অপরিসীম গুরুত্ব ও তাৎপর্য সবার কাছে তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ নামে এই সুন্দর দেশটির অভ্যুদয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার জন্য তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সেই সঙ্গে বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জাতির পিতার যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য ও বাংলাদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাদের সুখ-দুঃখ ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করার আশ্বাস দেন।
তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উদ্দীপিত হয়ে সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করার, ব্রুনাইয়ের আইন-কানুন মেনে চলার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত করার উপদেশ দেন।
এছাড়া, ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সুইজারল্যান্ডে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াব বলেছেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে তার (শেখ হাসিনা) নেতৃত্বে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে সক্ষম হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো বার্তায় শোয়াব বলেন, ‘আপনার নেতৃত্বে গৃহীত সাহসী সংস্কারগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানকে উন্নত করতে সহায়তা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম এর পূর্ণ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা অর্জনে সহায়তা করার জন্য আপনার ও আপনার সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একটি মিনি সুইজারল্যান্ড গড়ে তুলুন: সুইস বিনিয়োগকারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
তিনি ২০২৪ সালের ১৫ থেকে ১৯ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের দাভোস-ক্লিস্টারসে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ৫৪তম বার্ষিক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান। এবারের বার্ষিক সভার থিম হচ্ছে- ‘রিবিল্ডিং ট্রাস্ট’।
যথারীতি, ১০০টিরও বেশি সরকার, সকল প্রধান আন্তর্জাতিক সংস্থা, ১ হাজার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক সংস্থা, প্রাসঙ্গিক নাগরিক সমাজ এবং একাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো যোগ দেবে।
তিনি তার (শেখ হাসিনা) নতুন নেতৃত্বের সাফল্য কামনা করে বলেন, ‘আমি সত্যিই আপনাকে এই প্রচেষ্টায় যুক্ত করতে আগ্রহী এবং দাভোসে আপনাকে স্বাগত জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের পক্ষ থেকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আপনার দলের ঐতিহাসিক বিজয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দয়া করে আমার অভিনন্দন গ্রহণ করুন। আমি আপনাকে এবং আপনার সহকর্মীদের নতুন মেয়াদের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফলতা কামনা করছি।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সুইজারল্যান্ড সফর ‘অত্যন্ত রহস্যময়’: রিজভী
পর্তুগালের প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
পর্তুগালে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ সোমবার (৮ জানুয়ারি) সে দেশের প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন।
রাজধানী লিসবনে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের অফিস ‘প্যালাসিও দ্যা বেলেমে’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট প্রফেসর মারসেলো রেবেলো দ্য সোজার কাছে রাষ্ট্রদূত পরিচয়পত্র পেশ করেন।
রাষ্ট্রদূত মোটর শোভাযাত্রায় ‘বাংলাদেশ ভবন’ হতে ‘প্যালাসিও দ্যা বেলেম’ পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। রাষ্ট্রদূত সালাম গ্রহণকালে বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
পর্তুগালের প্রেসিডেন্টের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র প্রদানকালে পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াও গোমেজ ক্রাভিনহো, পর্তুগিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো রিবেরো টেলেস, প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিকবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত মারিয়া এ্যামেলিয়া পাইভা, রাষ্ট্রাচার প্রধান জর্জ সিলভা লোপস, প্রেসিডেন্টের অসামরিক ও সামরিক উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর লায়লা মুনতাজেরি দীনা এবং প্রথম সচিব মো. আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পরিচয়পত্র পেশের পর পর্তুগিজ প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একটি সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার শুভেচ্ছা জানান।
আরও পড়ুন: মিশরের প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কেসি।
তিনি বলেন, 'নির্বাচনে বিজয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমার অভিনন্দন।
আরও পড়ুন: বিএমসিসিআইয়ের সভাপতি সাব্বির খান, মহাসচিব মোতাহার খান
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এক অভিনন্দন বার্তায় বলা হয়, কমনওয়েলথ সচিবালয় জাতীয় অগ্রাধিকার অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে প্রস্তুত। বাংলাদেশের জনগণ এবং কমনওয়েলথ পরিবারের সকল সদস্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির এমপিরা পরে শপথ নেবেন: জাপা মহাসচিব
যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বক্তব্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই,কারণ তারা জনগণের রায়কে সম্মান করে।
তিনি বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও অহিংস পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটাই যথেষ্ট।’ বাংলাদেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা এতে খুবই খুশি।’
ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধায় 'মিট অ্যান্ড গ্রিট' অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসীবান্ধব: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ আবারও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।
মোমেন বলেন, দেশের জনগণ তাদের রায় দিয়েছে এবং তাদের আর কিছুর প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানটিটস্কি, ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গউইন লুইসসহ বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির হরতাল ‘ঢংঢাং’, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিন: মোমেন
মোমেন এই অনুষ্ঠানটিকে কেবল একটি স্ট্যান্ডার্ড ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আরও ভাল অংশীদারিত্ব, আরও ভাল সহযোগিতা এবং আরও ভাল সমন্বয় দেখার জন্য আগ্রহী। এটা আমাদের জন্য অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, সহযোগিতা ও অবদানের কারণে বাংলাদেশ অনেক অর্জন করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র ব্যবস্থার ধারাবাহিকতার প্রতীক। যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবদান রাখতে পারে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ ও চরমপন্থা নির্মূলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
মোমেনের বক্তব্যের পর কূটনীতিকদের মধ্যে দেওয়া এক ব্রিফিং নোটে বলা হয়, 'নতুন সরকারের উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সংহতকরণ ও যোগাযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় অভিন্ন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে প্রস্তুত হবে।’
ব্রিফিং নোটে বলা হয়, 'আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে সফল হবে, যা নিয়ে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম গর্ববোধ করবে।’
এতে বলা হয়, জাতীয় পর্যায়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিগত তিন মেয়াদে অর্জিত আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে আরও গতিশীলতা আনার নতুন সুযোগের সূচনা করবে। গণতান্ত্রিক শাসনের অধীনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এসব অর্জনে অনেক অবদান রেখেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত: মোমেন
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকরা
ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়েছেন।
সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানটিটস্কি, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গউইন লুইসসহ বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সহিংসতা পরিহার করে বাংলাদেশে মানবাধিকার-আইনে শ্রদ্ধা নিশ্চিতে সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন 'মিট অ্যান্ড গ্রিট' অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
মোমেন এটিকে কেবল একটি সৌজন্য ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আরও ভাল অংশীদারিত্ব, আরও ভাল সহযোগিতা এবং আরও ভাল সমন্বয় দেখার জন্য আগ্রহী। এটা আমাদের জন্য অপরিহার্য।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সহযোগিতা ও অবদানের ফলে বাংলাদেশ অনেক কিছু অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন : মুখপাত্র