বৈদেশিক-সম্পর্ক
জুলাই বিপ্লব চলাকালে পরিকল্পিত দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের সময় বাংলাদেশের সাবেক সরকার এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিল।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ে বাংলাদেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদন এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য এবং অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে এটি সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী এবং সহানুভূতিশীলদের আক্রমণ ও সহিংসভাবে দমন করার একটি সরকারি নীতিও খুঁজে পেয়েছে। যা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। এসবের জন্য আরও জরুরি ফৌজদারি তদন্ত প্রয়োজন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিক্ষোভ দমনে সরাসরি জড়িত সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সূত্র বর্ণনা করেছে কীভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী– শেখ হাসিনা এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বড় আকারের অপারেশন পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করেছিলেন। সেসময় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের গুলি করে হত্যা করেছিল। করেছিল নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন।
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থান: জাতিসংঘ মিশনের প্রতিবেদন মধ্য-ফেব্রুয়ারিতে
বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রকাশিত মৃত্যুর খবরের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে যে, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার আহত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই নিহত হয়েছেন বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে। এর মধ্যে নিহতদের মধ্যে ১২ থেকে ১৩ শতাংশই শিশু। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, তাদের ৪৪ জন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
সরকারি চাকরিতে বাতিল হওয়া কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের উচ্চ আদালতের রায়ের পর এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল। তবে এর মূলে ধ্বংসাত্মক ও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যের ব্যাপক অভিযোগও ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতায় থাকার জন্য আগের সরকার ক্রমবর্ধমান সহিংস উপায়ে এই বিক্ষোভ দমনে ধারাবাহিকভাবে পদ্ধতিগত চেষ্টা করেছিল।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক বলেন, 'ব্যাপক বিরোধিতার মুখে ক্ষমতা ধরে রাখতে সাবেক সরকারের একটি পরিকল্পিত ও সুসমন্বিত কৌশল ছিল— যা নিষ্ঠুর প্রতিক্রিয়া।
তিনি আরও বলেন, ‘বিক্ষোভ দমনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পরামর্শ, সমন্বয় ও নির্দেশনা দিয়ে শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ব্যাপকহারে নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটক এবং নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।’
তুর্ক বলেন, আমরা যে সাক্ষ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করেছি তা ব্যাপক রাষ্ট্রীয় সহিংসতা এবং লক্ষ্যবস্তু হত্যার একটি বিরক্তিকর চিত্র উঠে এসেছে। মানবাধিকারের সবচেয়ে গুরুতর লঙ্ঘনগুলোর মধ্যে একটি এবং যা আন্তর্জাতিক অপরাধও হতে পারে। জাতীয় স্বস্থি এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য জবাবদিহিতা এবং ন্যায়বিচার অপরিহার্য।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের অনুরোধে গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস বাংলাদেশে ভয়াবহ ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় তদন্তে একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠায়। তদন্ত দলে একজন ফরেনসিক চিকিৎসক, একজন অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ও একজন মানবাধিকার তদন্তকারী ছিলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তদন্তে উল্লেখযোগ্য সহযোগিতা করেছে। তদন্তের জন্য যেসব সুবিধিা অনুরোধ করা হয়েছিল, তা মঞ্জুর করেছে এবং যথেষ্ট প্রমাণপত্র সরবরাহ করেছে।
প্রতিবেদনে নিরাপত্তা বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে এবং বেআইনিভাবে বিক্ষোভকারীদের হত্যা বা পঙ্গু করার প্রমাণ পেয়েছে। যার মধ্যে পয়েন্ট-ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে লোকজনকে গুলি করার ঘটনাও রয়েছে।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন চলাকালে আবু সাঈদ পুলিশের দিকে খালি হাত উচিয়ে 'আমাকে গুলি করো' বলে চিৎকার করার ঘটনাটিও বিস্তারিতভাবে পরীক্ষা করে এর সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:অভ্যুত্থানে আহতদের আজীবন চিকিৎসাসহ ভাতা দেওয়ার চিন্তায় সরকার
ভিডিও ফুটেজ, ছবি এবং জিও-লোকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্তকারীরা কীভাবে এটি ঘটেছিল তার সাক্ষ্যের সত্যতা প্রমাণ করার জন্য তার হত্যাকাণ্ডটি তদন্ত করেছেন।
একটি ফরেনসিক বিশ্লেষণ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে তার আঘাতগুলো প্রায় ১৪ মিটার দূরত্ব থেকে ধাতব ছররা বোঝাই শটগান দিয়ে কমপক্ষে দু'বার গুলি করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, আবু সাঈদ পুলিশের ইচ্ছাকৃত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।
প্রথম দিকের বিক্ষোভের পুরোভাগে থাকার কারণে প্রতিবাদী নেতাসহ নারীরাও নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও দুর্ব্যবহার এবং হামলার শিকার হয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে নারীদের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে শারীরিক নির্যাতন এবং ধর্ষণের হুমকিসহ লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী শিশুদের হত্যা ও পঙ্গু করে দিয়েছে। তারা নির্বিচারে গ্রেপ্তার, অমানবিক পরিস্থিতিতে আটক ও নির্যাতন চালিয়েছে। বেশ কয়েকটি মারাত্মক ঘটনার মধ্যে একটি হলো- ধানমন্ডিতে ১২ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী প্রায় ২০০ ধাতব ছররা গুলি অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে মারা গেছেন।
নিহতদের মধ্যে খুব ছোট শিশুও ছিল। শিশুগুলো তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে বিক্ষোভে গিয়েছিল কিংবা যারা পথচারী হিসাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। নারায়ণগঞ্জে একটি বিক্ষোভে সহিংস সংঘর্ষ পর্যবেক্ষণ করার সময় ছয় বছরের এক মেয়ে তার ভবনের ছাদে দাঁড়িয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে।
৫ আগস্ট - বিক্ষোভের চূড়ান্ত এবং সবচেয়ে মারাত্মক দিনগুলোর মধ্যে একটি ঘটনা হলো- আজমপুরে পুলিশের গুলিতে ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে গুলিবিদ্ধ হন। তিনি বলেন, সেসময় পুলিশ ‘চারদিকে বৃষ্টির মতো গুলি চালাচ্ছিল। তিনি অন্তত এক ডজন মানুষের মৃতদেহ দেখেছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থানের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ আহ্বান
প্রতিবেদনে এমন ঘটনাও নথিভুক্ত করা হয়েছে যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী আহত বিক্ষোভকারীদের গুরুতর চিকিৎসা সেবা দিতে অস্বীকার করেছে বা বাধা দিয়েছে। রোগীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং হাসপাতালে তাদের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে। চিকিৎসা কর্মীদের ভয় দেখিয়েছে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করেছে।
আগের সরকার দেশের নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করলে আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থক, পুলিশ ও গণমাধ্যমকে লক্ষ্য করে প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য গুরুতর প্রতিশোধমূলক সহিংসতার উদ্বেগজনক উদাহরণও নথিভুক্ত করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
হিন্দু, আহমদিয়া মুসলমান এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীরাও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছিল।
বিভিন্ন ধর্মীয় ও আদিবাসী গোষ্ঠীর ওপর হামলার ঘটনায় প্রায় ১০০ জনকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেলেও প্রতিশোধমূলক সহিংসতা ও এ ধরনের গোষ্ঠীর ওপর হামলার অপরাধীরা এখনও দায়মুক্তি ভোগ করছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে নিরাপত্তা ও বিচার বিভাগের সংস্কার, নাগরিক ও রাজনৈতিক মতবিরোধ দমনের জন্য পরিকল্পিত দমনমূলক আইন ও প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত করা এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক শাসনব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন সাধনের জন্য বিস্তারিত সুপারিশও করা হয়েছে।
হাইকমিশনার তুর্ক বলেন, 'বাংলাদেশের সামনে এগিয়ে যাওয়ার সর্বোত্তম উপায় হলো- সত্য বলা, আহতদের সুস্থতা নিশ্চিত করা ও জবাবদিহিতার একটি বিস্তৃত প্রক্রিয়ার অনুসরণ। এর মাধ্যমে এই সময়কালে সংঘটিত ভয়াবহ অন্যায়ের মুখোমুখি হওয়া এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের উত্তরাধিকারের প্রতিকার করা। এছাড়া ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি যেন আর না হয় তা নিশ্চিত করা।’
গুরুত্বপূর্ণ এই জাতীয় জবাবদিহিতা ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস প্রস্তুত রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তুর্ক।
আরও পড়ুন: ‘ভয়ংকর ও অবিশ্বাস্য’, আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে ড. ইউনূস
৩১৯ দিন আগে
জুলাই অভ্যত্থানের পর ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের
জুলিই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের 'নিষ্ঠুর শাসনামলের' পতনের মাধ্যমে খুন ও গুমের অবসানের পর জাতিকে 'ঐক্যবদ্ধ' হয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবার ও আহতদের মাঝে সহযোগিতার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সংঘাত কাটিয়ে ওঠার আমাদের ক্ষমতার উপর। ‘আমাদের একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে বের করতে হবে।’
তিনি আরও ঘোষণা করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু করবে।
প্রধান উপদেষ্টা সরাসরি অভ্যুত্থানের সময় শহীদ ও সাতজন আহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ করেন।
তিনি বাংলাদেশের গুম ও খুনের শিকার পরিবার ও নাগরিকদের আশ্বস্ত করে বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্ত হত্যাকাণ্ড ও গুমের তদন্ত করা হবে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
ড. ইউনূস সহিংসতা বা রক্তপাত ঘটানোর যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পরিবারগুলোকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দল
তিনি বলেন, ‘বিচার তাৎক্ষণিকভাবে করতে গেলে অবিচার হয়ে যায়। বিচারের মূল জিনিসটা হলো এটা সুবিচার হতে হবে...অবিচার যেন না হয়। আমরা অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম বলেই এই সংগ্রাম হয়েছে, এই আত্মত্যাগ হয়েছে। আমরা যদি অবিচারে নামি, তাহলে তাদের আর আমাদের মধ্যে তফাতটা থাকল কোথায়? আমরা অবিচারে নামবো না।’
তিনি আরও বলেন, যারা অপরাধী তাদের আমরা পুলিশের হাতে, আইনের হাতে সোপর্দ করব।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যেসকল মানুষ অপরাধী নয়, তাদের মানুষ বানাবো। তাদের বলব, ‘ভাই, এ দেশটি আমরা একসঙ্গে গড়ি, এই দেশ আমরা একসঙ্গে গড়ার স্বপ্ন দেখছি, তোমরাও সে স্বপ্ন দেখ। এদেশ আমার একার না, তোমারও এ দেশ। তুমি এদেশের সন্তান। আমিও এ দেশের সন্তান। তুমি আমাকে বহু কষ্ট দিয়েছে। আমি তোমারে কষ্ট দেব না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একযোগে যত তাড়াতাড়ি পারি এটাকে একটা সুন্দর দেশ বানাবো। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। যারা অপরাধী নয়, তাদের সৎ পথে নিয়ে আসতে হবে।’
৩২১ দিন আগে
বাংলাদেশ-কানাডার মধ্যে ‘ফিপা’ ব্যবসায়িক আস্থা বাড়াতে পারে: মন্ত্রী হুসেন
কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ হুসেন বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন অ্যান্ড প্রটেকশন এগ্রিমেন্ট (ফিপা) সই করা হলে কানাডার ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হবেন।
দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক সম্প্রসারণে এফআইপিএ নিয়ে কারিগরি আলোচনা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানিয়েছে কানাডা।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে কানাডার মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী হুসেন বলেছেন, ‘এফআইপিএ সই হলে কানাডার ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত বোধ করবে। তারা এটিকে একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখবে।’
এসময় ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং এবং সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা কানাডাকে বাংলাদেশের যুব শক্তিকে কাজে লাগাতে তাদের উৎপাদন কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর এবং দেশটিকে একটি উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করতে কানাডার মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে সাড়া দিয়ে কানাডার মন্ত্রী বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের যেকোনো বৈধ শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাবেন এবং সম্প্রতি কানাডা যেসব শিক্ষার্থীর স্টাডি পারমিটের সংখ্যা কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে বাংলাদেশিদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। আমরা ভিসা সীমিত করেছি। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এমন কিছু নেই। বাংলাদেশের যেকোনো বৈধ শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাই।’
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে চুরি যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে আবারও কানাডার সহায়তা কামনা করেন।
তিনি বলেন, 'বেগম পাড়া বলে পরিচিত একটি পুরো এলাকা আছে, যেখানে দুর্নীতিবাজদের পরিবারের সদস্যরা বসবাস করছে। দুর্নীতি রোধে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করছি, কারণ দুর্নীতি সর্বত্র।’
বাংলাদেশকে কানাডা সরকারের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'আমরা কানাডায় জনগণের অর্থ লুটপাট করে দুর্নীতি চাই না।’
সাক্ষাৎকালে কানাডার মন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তার সরকারের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি, বাংলাদেশের মানুষ তাদের আশা ও প্রত্যাশা পূরণের জন্য আপনার ও আপনার সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে।’
প্রধান উপদেষ্টা ও কানাডার মন্ত্রী বাংলাদেশে চলমান সংস্কার উদ্যোগ, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন এবং মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশা নিয়েও আলোচনা করেন।
৩২১ দিন আগে
দালালের খপ্পরে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়াচ্ছেন বাংলাদেশিরা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
দালালের খপ্পরে পড়ে কয়েকজন বাংলাদেশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দালাল চক্রের কবলে পড়ে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে আমরা জানতে পেরেছি। একটি বাংলাদেশি এজেন্সি রাশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশিকে রাশিয়ায় পাঠায়। এক পর্যায়ে তাদেরকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়াতে বাধ্য করা হয়।’আরও পড়ুন:ভারত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বেড়া দেওয়ার সব প্রোটোকল-চুক্তি মেনে চলছে: ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এ বিষয়ে মস্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাসে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং এ ধরনের কাজে জড়িত রিক্রুটিং ও ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি যে, রাশিয়ায় মানবপাচারের সাথে জড়িত থাকা চক্রের একজনকে গত সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়েছে।
‘এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় গমনেচ্ছুদের জন্য অথবা যাদের পাসপোর্টে রাশিয়া ভ্রমণের বৈধ ভিসা আছে, তাদের জন্য দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে,’ বলেন রফিকুল আলম।আরও পড়েন: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের বক্তব্য অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত: ঢাকা
তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে সোলায়মান কবির নামক একজন বাংলাদেশি দালালের খপ্পরে পড়ে রাশিয়ায় গিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তিনি পালিয়ে মস্কোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে অবস্থান নিলে দূতাবাস তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এভাবে বাংলাদেশ দূতাবাসে কেউ যদি যোগাযোগ করে তাদের সমস্যার বিষয়টি জানায় তাহলে দূতাবাস তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
৩২২ দিন আগে
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের বক্তব্য অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত: ঢাকা
সম্প্রতি রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ভারত। এ বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি ঢাকা। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য ‘অপ্রত্যাশিত’ ও ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারতে অবস্থান করে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদান করছেন, যা বাংলাদেশের জনগণ ভালোভাবে নিচ্ছে না। গত ৫ ফেব্রুয়ারি তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যেই তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে।
রফিকুল আলম বলেন, এ বিষয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বক্তব্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নজরে এসেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই বক্তব্য প্রদান অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত।
আরও পড়ুন: ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ নিয়ে সরকারের বিবৃতি
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিবেশী দেশটিতে নানা ধরনের বিরুপ পরিস্থিতির উদ্ভব হতে দেখেছি। কিন্তু বাংলাদেশ কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরকারিভাবে কোনো বক্তব্য প্রদান করে না। অন্যদের কাছ থেকেও বাংলাদেশ একই ধরনের আচরণ আশা করে।
এর আগে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে অভিহিত করে ভারত। বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হামলা-ভাঙচুরের এই ঘটনার অবশ্যই নিন্দা জানানো উচিৎ।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘দখলদারত্ব ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে ওঠা শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবনটি ৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ধ্বংস করা হয়, যা দুঃখজনক। বাঙালির পরিচয় গড়ে দেওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল্য যারা দেন এবং এ নিয়ে যারা গর্ববোধ করেন, তাদের প্রত্যেকেই এই বাসভবনের গুরুত্ব বোঝেন।’
এরপর এই হামলায় ঘটনা নিয়ে এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকার বলে, ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে যার বহির্প্রকাশ ঘটেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মানুষের মনে জুলাই গণহত্যা নিয়ে যে ক্ষত রয়েছে, সে ক্ষততে শেখ হাসিনা একের পর এক আঘাত করে চলছেন। তার এই সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার কার্যক্রম নিয়ে নয়া দিল্লিকে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রমাগত মিথ্যা, বানোয়াট মন্তব্য ও বিবৃতি দেওয়ায় ভারতের কাছে তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে তার হাতে একটি প্রতিবাদপত্র তুলে দেয়। ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলবের এক দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে দিল্লি।
৩২২ দিন আগে
অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্বের সমস্যার মুখে পড়তে হবে পরবর্তী সরকারকে: কুগেলম্যান
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারকে কেবল অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জই না, দেশের বাইরের সমস্যার মুখেও পড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কের অনিশ্চয়তা ও আরকান বিদ্রোহীহের নিয়ন্ত্রণে মিয়ানমার সীমান্ত—এসব সংকটকে দেশের বাইরের সমস্যা হিসেবে দেখছেন তিনি।
সম্প্রতি মার্কিন প্রভাবশালী সাময়িকী ফরেন পলিসির সাউথ এশিয়া ব্রিফে এক লেখায় তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর—সেটা যখনই হোক না কেন—ঢাকার জন্য সবকিছু সহজ হয়ে যাবে; বিষয়টি ঠিক এমন না।’
গেল সপ্তাহ ঢাকায় কাটিয়েছেন ওয়াশিংটনভিত্তিক উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই পরিচালক। এক সময় ঢাকার সর্বত্র শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করা হতো। সবকিছুতে তিনি সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন।
সেই কথা উল্লেখ করে কুগেলম্যান লিখেছেন, ‘দেশজুড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের এই নেতার প্রচুর ভাস্কর্য ও ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছিল। জনপরিসরে দেওয়া রাজনীতিবিদদের বক্তৃতায় তার নাম সবসময় স্মরণ করা হতো। কিন্তু আজ তাকে কোথাও পাওয়া যায় না, পুরো শহরজুড়ে এখন কেবল জেন জি বিপ্লবীদের স্মরণ করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ইউএনজি’র ৭৯তম অধিবেশন ড. ইউনূসের সরকারের জন্য বড় সুযোগ: কুগেলম্যান
ঢাকা সফরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ ক্রমাগত অধৈর্য হয়ে পড়ছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন ও শাসন ব্যবস্থায় সংস্কারের উচ্চাভিলাষের অঙ্গীকার করলেও এখন পর্যন্ত তাদের সফলতা উল্লেখ করার মতো না।’
‘জননিরাপত্তার উন্নতি হয়েছে, যদিও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থকদের বিরুদ্ধে কিছুটা প্রতিশোধমূলক সহিংসতা রয়ে গেছে,’ বলেন তিনি।
কুগেলম্যান বলেন, ‘অনেক পুলিশ কর্মকর্তা এখনো কর্মস্থলে যোগ দেননি। গত বছরের আন্দোলনে উজ্জীবিত অ্যাকটিভিস্টরা বিভিন্ন কারণে এখনো রাস্তায় জড়ো হচ্ছেন—আন্দোলন ও বিক্ষোভ করছেন।’
কিন্তু দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ব্যবসায়ীসহ অনেক বাংলাদেশিকে এখনো উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন এই গবেষক। বাংলাদেশের অর্থনীতি হোঁচট খাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত বছর হাসিনা শাসনের পতনের পর থেকে অর্থনীতির ক্রমাগত অবনতি ঘটছে।’
‘মুদ্রাস্ফীতি কমছে, কিন্তু এখনো সেটা দুই অঙ্কের কাছাকাছি। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ছিল দুই শতাংশের নিচে। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাসে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) একাত্তর শতাংশ কমেছে,’ বলেন এই পররাষ্ট্র বিশেষজ্ঞ।
‘এসবের বাইরেও সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে জনগণের কাছে সীমিত তথ্য আছে। যদিও ব্যাংকিং ও সংবিধানসহ বিভিন্ন বিষয়ে কমিশন গঠন করা হয়েছে। কিন্তু কী লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে; তা পরিষ্কার না,’ বলেন কুগেলম্যান।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বলছে যে এ জন্য সময় লাগবে। একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছেন যে দেশের শাসন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে দিয়েছে হাসিনা। এখান থেকে বের হওয়ার সহজ রাস্তা নেই।’
জনগণের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ম্যান্ডেটের ঘাটতি এই সরকারকে দুর্বল করে দেবে বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, ‘গেল আগস্টে নতুন প্রশাসনকে স্বাগত জানিয়েছিল দেশের অধিকাংশ মানুষ। কিন্তু এটা কোনো নির্বাচিত সরকার না। যে কারণে এই সরকার যত দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকবে, ততবেশি নির্বাচন দেওয়ার চাপের মুখে পড়বে।’
‘ঢাকায় যে কয়েকজন লোকের সাথে আমার আলাপ হয়েছে, সে অনুসারে বলতে পারি, দুটি গোষ্ঠী এখন নির্বাচন দেখতে চাচ্ছে: ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও সামরিক বাহিনী,’ বলেন দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই গবেষক।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘চলতি বছরের শেষ দিকে কিংবা আগামী বছরের জুনে নির্বাচন হতে পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক সময়সীমা ঘোষণা করেনি সরকার।’
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা একটি পরিপূর্ণ সংস্কার চাচ্ছেন—এবং নতুন একটি রাজনৈতিক দল গড়তে তাদের আরও সময় দরকার।’ কুগেলম্যান বলেন, ‘যদি সংস্কার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সময়ক্ষেপণ করে, তাহলে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসে সবকিছু উল্টে দেবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে বাণিজ্যিক ও ভূরাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র: কুগেলম্যান
‘এসব অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে মানুষের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তার মানে এই নয় যে লোকজন হাসিনার প্রতি স্মৃতিকাতর হয়ে যাচ্ছেন; তাদের কাছে অতীতের নিপীড়নের চেয়ে বর্তমান পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার মতো।’
তিনি বলেন, ‘এখনো চোখে পড়ার মতো অগ্রগতি—বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে—অধরাই রয়ে গেছে, পাশপাশি মানুষের ধৈর্যও কমে যাচ্ছে।
৩২৩ দিন আগে
শেখ হাসিনার কার্যক্রম নিয়ে নয়া দিল্লিকে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডকে ঢাকা উসকানিমূলক বলে মনে করায় নয়া দিল্লিকে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে একটি প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের কাছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করেছে।
আরও পড়ুন: সীমান্ত ইস্যু একদিনে সমাধান সম্ভব নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনাকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকলেও নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে কোনো জবাব পায়নি ঢাকা।
তিনি বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবারও এ ধরনের প্রচেষ্টার প্রতিবাদ জানাল।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্য খুবই আক্রমণাত্মক, যা তরুণ প্রজন্মের অনুভূতিতে আঘাত করে থাকতে পারে।
হোসেন বলেন, ঢাকা ভারতকে অনুরোধ করে যাচ্ছে যাতে হাসিনা এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকেন। 'আমরা দেখব ভারত কী পদক্ষেপ নেয়।'
ভারতের সঙ্গে সই করা চুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আদানির সঙ্গে চুক্তিটি ভালো ছিল না এবং এটিতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করা হয়নি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংক্ষিপ্তভাবে আনুষ্ঠানিক আমিরাত সফর করবেন এবং সেখানে ভিসা ইস্যুসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
হোসেন বলেন, ভারত বলছে তারা শেখ হাসিনাকে কোনো প্লাটফর্ম দিচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে হোসেন বলেন, 'আমরা জানি এটা (ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ধ্বংসযজ্ঞ) নেতিবাচক হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এটিকে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছি। সরকার এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করার চেষ্টা করবে।’
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে চীন সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩২৫ দিন আগে
উপদেষ্টো আসিফের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত এলেনর স্যান্ডার্সের সাক্ষাৎ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সফররত যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার বিষয়ক রাষ্ট্রদূত এলেনর স্যান্ডার্সের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে উপদেষ্টার কার্যালয়ে তারা সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার বিষয়ক রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে, দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতা জোরদারের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, পারস্পরিক সম্পর্ক, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও ব্যবসায়িক স্বার্থে দু’দেশের সহযোগিতা জোরদার করতে কাজ করবে তার সরকার।
সাক্ষাৎকালে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার, ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা, কর্মসংস্থান, যুব ও ক্রীড়া, তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা ও নেতৃত্ব, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, লিঙ্গ সমতা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং শ্রম অধিকারের মতো বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে আরও বেশি বাণিজ্য সংযোগ ও অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার প্রত্যাশা ভারতের
দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় উপদেষ্টা বলেন, 'বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে ফ্যাসিস্ট শাসকের চালানো প্রোপাগান্ডা জনসম্মুখে আসা উচিৎ।' এছাড়াও বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা এবং রাজনৈতিক স্বৈরতন্ত্রের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
বেকার যুবক, নারী এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা আসিফ।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার বিষয়ক রাষ্ট্রদূত বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের কর্মসূচিকে সমর্থন করেছে। ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ক অটুট রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়াও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে, মানবাধিকার এবং শ্রম অধিকার বিষয়ে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন যুক্তরাজ্যের এই কূটনীতিক।
এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগ ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বেগমপাড়ার সম্পত্তি উদ্ধারে কানাডার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
৩২৬ দিন আগে
বেগমপাড়ার সম্পত্তি উদ্ধারে কানাডার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকায় কানাডীয় হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের বৈঠকে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের জনগণের কাছ থেকে চুরি হয়ে যাওয়া অর্থ দিয়ে বেগমপাড়ায় সম্পত্তি কেনা হয়েছে। সেই সম্পত্তি উদ্ধারে আপনাদের সহায়তা দরকার—এগুলো সবাই আমাদের জনগণের সম্পত্তি।
ইউনূস বলেন, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ, সহযোগী ও অলিগার্করা হাজার হাজার কোটি ডলার বাংলাদেশ থেকে লুট করেছে। সেই অর্থের একটা অংশ কানাডায় পাচার করেছে এবং টরোন্টোর কুখ্যাত বেগমপাড়ায় সম্পদ কিনেছে।
আরও পড়ুন: একুশের টান প্রজন্মের ঊর্ধ্বে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান তারই জ্বলন্ত প্রমাণ: প্রধান উপদেষ্টা
পাচারকারীদের শনাক্ত, সম্পদ জব্দ ও উদ্ধারে কানাডার সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময়ে চুরি হয়ে যাওয়া অর্থ উদ্ধারে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার প্রশংসা করেছেন কানাডীয় হাইকমিশনার, কানাডা সহায়তা করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
কানাডার হাইকমিশনার জানান, কানাডার সরকার চিহ্নিত ব্যক্তিদের পাচার করা অর্থ জব্দ এবং তা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি ‘প্রক্রিয়া’ চালু রেখেছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত সংস্কার কর্মসূচিকে সহযোগিতা প্রদানে তার দেশ প্রস্তুত রয়েছে।
রাষ্ট্র সংস্কার কর্মসূচির প্রতি ইঙ্গিত করে অজিত সিং বলেন, আপনারা যে মহৎ কাজ করছেন, আমরা তা সমর্থন করি। এরইমধ্যে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা প্রশংসনীয়। আমরা জানতে আগ্রহী, আরও কীভাবে আপনাদের সাহায্য করতে পারি।
কানাডা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করতে কানাডার একজন মন্ত্রী শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলেও জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে তার বৈঠকের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ঢাকা আরও বেশি কানাডীয় বিনিয়োগ প্রত্যাশা করছে।
কানাডার হাইকমিশনারকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আমরা আপনাদের দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে চাই এবং আমরা চাই কানাডীয় কোম্পানিগুলো তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করুক।
আরও পড়ুন: অনলাইনে মামলা গ্রহণ করতে পুলিশকে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমানে বহু বাংলাদেশি কানাডায় বসবাস ও পড়াশোনা করছে। তাই ঢাকায় কানাডার একটি ভিসা অফিস স্থাপন করা প্রয়োজন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
৩২৭ দিন আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে আরও বেশি বাণিজ্য সংযোগ ও অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার প্রত্যাশা ভারতের
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য সংযোগ এবং অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা দুই দেশের মানুষ ও ব্যবসা-বাণিজ্যকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনে ভারতীয় হাইকমিশনার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তৈরি পোশাক খাতের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সরবরাহ / ভ্যালু চেইনকে এগিয়ে নেওয়ারও গুরুত্ব তুলে ধরেন।
হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে সহযোগিতাকে তাদের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা এবং পারস্পরিক সুবিধার প্রমাণ হিসাবে চিহ্নিত করেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভারত টেক্স-২০২৫ এ বাংলাদেশের একটি বড় প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ টেক্সটাইল খাতের সরবরাহ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন বিভাগে নতুন সরবরাহ পদ্ধতির সংযোগ এবং বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সম্পর্ক স্থাপনের নতুন সুযোগ উন্মুক্ত করবে।
আগামী ১৪ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়া দিল্লিতে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক পারস্পরিক নির্ভরশীলতা ও স্বার্থে এগিয়ে যাবে: প্রণয় ভার্মা
৩২৮ দিন আগে