রংপুর
বিজয় দিবস উপলক্ষে লালমনিরহাটে বউ-জামাই মেলা
লালমনিরহাটে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে এদিন জেলার বড়বাড়ি আবুল কাশেম ডিগ্রি কলেজে স্থানীয়দের উদ্যোগে ১৫ দিনব্যাপী বৌ-জামাই মেলা উদ্বোধন করা হয়।
মেলার উদ্বোধন করেন সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু।
১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এবার এ মেলায় মাছ, পিঠা ও অন্যান্য প্রসাধনী পণ্যের স্টল স্থান পেয়েছে। প্রথম দিনই মেলা প্রাঙ্গণে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা মেলায় যোগ দিয়েছেন। গলায় মালা ও শাড়ি পড়ে মেয়ে-জামাই মেলায় এসে তারা আনন্দ উপভোগ করেন।
মেলায় হরেক রকমের পিঠা ও নানা প্রজাতির মাছ নিয়ে দোকানিরা পসরা সাজিয়ে বসেছেন। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলবে এই উৎসব।
মেলা উপলক্ষে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে এসেছেন মেয়ে ও জামাই। নতুন রূপে সেজেগুজে মেয়ে-জামাই এসেছেন মেলায়। তারা শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য কিনছেন মাছ ও নানা রকমের পিঠা।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বসছে না পাথরকালি মেলা
নতুন জামাই বাড়িতে আসবে বলে শ্বশুররাও বড় বড় মাছ কিনে বাড়ি ফিরেছেন।
দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, অনেক আশা নিয়ে মাছ, পিঠা কিনতে এসেছি। কিন্তু বিক্রেতারা অনেক দাম হাঁকাচ্ছেন।
তবে দাম যাই হোক, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য মেলায় আসা বউ-জামাইরা পছন্দমতো সামগ্রী কিনে শ্বশুরবাড়ির দিকে যাচ্ছেন।
বিক্রেতারা বলছেন, আড়তেই দাম চড়া। এরপর পরিবহন খরচ মিলিয়ে এই মাছগুলো বিক্রি করতে হয়। মেলায় বিক্রি বেশি, তাই লাভ কম।
সব জিনিসেরই দাম বেশি হওয়ায় এ বছর পিঠা দাম একটু বাড়াতে হয়েছে বলে জানান পিঠা বিক্রেতারা।
মেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ফারুক সিদ্দিকী জানান, গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই এই মেলার আয়োজন। মেলার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিশুরা বিলুপ্তপ্রায় অনেক প্রজাতির মাছের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে।
সব মিলিয়ে গ্রামবাংলার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতেই মূলত এ ব্যতিক্রমী মেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান ফারুক সিদ্দিকী।
তিনি আরও জানান, এই মেলাটির তাৎপর্য হলো এ অঞ্চলের জামাইরা বৌ নিয়ে সকাল বেলায় এই মাছের মেলায় আসেন। এখান থেকে বড় বড় মাছ নিয়ে শশুড় বাড়িতে যাবেন; শাশুড়ি দুপুরের রান্না করবেন এবং শশুড়-শাশুড়ি ও তার অন্যান্য আত্নীয়-স্বজন নিয়ে মাছের তরকারি দিয়ে দুপুরের খাবার খাবেন তারা।
এরপর তারা আবার বিকালে পিঠে মেলায় আসবেন। মেলায় রাত পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রামীণ নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান ফারুক সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন: এবার বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজের বদলে বিজয় মেলা হবে
১ দিন আগে
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মাঝে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, সোমবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল থেকে পুনরায় সব কার্যক্রম চালু হবে বলে জানান তিনি।
১ দিন আগে
বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভারতীয় মালামাল জব্দ, ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে অবৈধভাবে আসা প্রায় লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় মালামালগুলো বহন করা ট্রাকচালককে গ্রেপ্তার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ৬১ বিজিবি তিস্তা-২ ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী বিওপির টহল কমান্ডার সুবেদার আবুল কাশেম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভারতীয় ট্রাকচালক ফিরোজ রহমান (৩৪) কুচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা থানার ১৫৪ নগর চ্যাংড়াবান্ধার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রায় দেড় কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ
বিজিবি জানায়, সীমান্তের ৮৪২/১ এস নম্বর মেইন পিলারের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বুড়িমারী আইসিপিতে মালামালসহ ভারতীয় ট্রাক ও ট্রাকচালক ফিরোজ রহমানকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে মদ এক বোতল, ত্বক ফর্সা করা ক্রিম ৩৯০টি, শীসা তেল ১৬টি, পোকো মোবাইল একটি, ভারতীয় সিম একটি, ভারতীয় মুদ্রা ১ হাজার ১৯০ রুপি, সৌদি মুদ্রা ৫ রিয়াল জব্দ করা হয়।
জব্দ মালামালের মূল্য প্রায় ১লাখ ৪৫ হাজার ২৩৫ টাকা হবে বলেও জানান তিনি।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান সরকার বলেন, ‘এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার ভারতীয় নাগরিককে আদালতে পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে দুইদিনে পৌনে ২ কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ
২ দিন আগে
পঞ্চগড়ে মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
পঞ্চগড়ে এক অংকে নেমেছে তাপমাত্রা। বিকেল থেকে সকাল পর্যন্ত ঘনকুয়াশার পাশপপাশি বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। একারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। রাতের শীতে কাঁবু হয়ে পড়েছে এ জেলার জনজীবন। তিন দিন ধরে পঞ্চগড়ে দিনভর কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল। সেসময় এখানে তাপমাত্রা ছিল ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলাতেও গরম কাপড় পড়ে বের হতে হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৭টার মধ্যে সূর্য উঠলেও হিমালয়ের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা কমছে। এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্রনাথ রায় জানান, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শুক্রবার সকাল ৬টায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সকাল ৯টায় কমে গিয়ে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি দেশের সর্বনিম্ন এবং এ মৌসুমেরও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
হিমালয়ের হিমেল বাতাস সরাসরি প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা কমেছে। বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। দিনের তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। সকাল থেকে র্সূয উঠলেও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করায় ঠান্ডা বেড়েছে। শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে এখানে তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে যাবে।শীতের কারণে অসহায় ছিন্নমূল দরিদ্র মানুষের কাজকর্ম কমেছে। আয় কমে যাওয়ায় পরিবারগুলোতে দুর্ভোগ বেড়েছে। অসচ্ছল দিনমজুর, কৃষি শ্রমিক, চাশ্রমিক, পাথর শ্রমিকসহ জেলার লাখ লাখ শ্রমিক ওতাদের পরিবারের লোকজন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। কাজকর্ম করতে না পেরে এবং গরম কাপড়ের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।শহরের অটোচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, সকালে ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাসে গাড়ি চালানো যায় না। রাস্তাঘাটে যাত্রীও তেমন পাওয়া যায় না। ফলে আয় রোজগার কমেছে। শীত আসলে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।দিনমজুর লুৎফর মিয়া বলেন, শীতের সময় কাজ কম পাই। কাজ না পেলে সংসার চালানো কষ্ট হয়। আয় না হলে তো খেয়ে না খেয়ে থাকতে হয়।চা শ্রমিক আলেয়া খাতুন জানান, সকাল বেল ঘনকুয়াশায় চা গাছ ভিজে যায়। সকাল সকাল পাতা তুলতে খুব কষ্ট হয়। ঠান্ডা লাগে। হাত পা অবশ হয়ে যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন জানান, ঘনকুয়াশা বর্তমানে কৃষির জন্য প্রয়োজন। বিশেষ করে আলু, গম, ভুট্টা চাষে প্রয়োজনীয়। রাতে ঘনকুয়াশা এবং দিনে রোদ উঠলে শীত কৃষির জন্য সর্হাযক। আমরা এ ব্যাপারে কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শীত শুরু হলে এখানে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। হাসপাতালের বহিঃবিভাগ ও আন্তঃবিভাগে রোগীর চাপ বেড়ে যায়। শীতের প্রকোপ বাড়লে হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তির হারও বেড়ে যায়। আমরা রোগীদের সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ।টা করছি। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী জানান, দুই হাজার কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। পাঁচ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আরও বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় তিনি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
৪ দিন আগে
কুড়িগ্রামে আ. লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুই যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ধরনীবাড়ি ইউনিয়নের বামনের হাট বাজার থেকে ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি উপজেলা কৃষক লীগ নেতা ছিলেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: রাবিতে সার্টিফিকেট তুলতে এসে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
এর আগে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে পৌর শহরের পাট হাটি থেকে পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র খোরশেদ আলম লিটন (৪৪) ও গুনাইগাছ ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলামকে (৪০) গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগরাকুড়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ১৮ জুলাই দুপুরে উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং মসজিদুল হুদা সংলগ্ন এলাকা থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধর করা হয়। এই ঘটনার পর গত ২১ নভেম্বর মোসাব্বির হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৮০ জনকে আসামি করা হয়।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলাকারী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
৫ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে সূর্যের দেখা নেই ৩ দিন
ঠাকুরগাঁওয়ে টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলেনি। গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত জেলায় সর্বনিম্ন ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
প্রচণ্ড ঠান্ডায় সমস্যায় পড়েছেন বিভিন্ন বয়সি মানুষ। সকালে ও সন্ধ্যার পর প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ।
প্রতিদিনই বেলা ১১টা পর্যন্ত মহাসড়কের যানবাহনগুলোকে দেখা যায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করতে।
কয়েকদিনের প্রচণ্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে লক্ষ্যণীয় মাত্রায়। যাদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যাই বেশি। প্রতিদিন রাত ৮টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রাম-গঞ্জ ও শহরের হাট বাজারগুলো।
শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে শীতের পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। নর্থ সার্কুলার রোডে কাপড়ের দোকান ও মার্কেট থাকায় সেখানে মানুষের ভিড় অনেক বেশি দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এখানকার গরম কাপড়ের দোকানগুলোতেও বেড়েছে মানুষের ভিড়। গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সুযোগ বুঝে বিক্রেতারা কাপড়ের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
পৌর শহরের রোড যুব সংসদ মাঠের গরম কাপড়ের মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ ও শিশুরা মিলে ভিড় করছেন পছন্দমতো শীতের কাপড় কিনতে।
শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের শীতের শুরুর দিকে অন্যান্য বছর ভ্রাম্যমাণ হকার্স মার্কেট বসলেও এবার জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় সেটি আর বসছে না। ফলে ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে মানুষ ভিড় করছে।
রোড যুব সংসদ মাঠে কাপড় কিনতে আসা মফিজুল ইসলাম জানান, এখানে নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় কিনতে এসেছেন তিনি। শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভালো মানের কাপড় এখানে পাওয়া যায় তবে কাপড়ের দাম গত বারের চেয়ে অনেক বেশি বলেও জানান তিনি।
গরম কাপড় ব্যবসায়ী রাসেল হাসান জানান, এ বছর ভালো মানের শীতের গরম কাপড়ের দোকান বসেছে। ক্রেতারা উন্নত মানের যাবতীয় কাপড় সংগ্রহ করতে পারছেন এবং এখনকার মতো শীত থাকলে বেচা-কেনা আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
৫ দিন আগে
সার কেলেঙ্কারিতে দুই ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সার কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার দায়ে দুই ছাত্রদল নেতাকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ফজলে রাব্বি বিজয়ের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- হাতীবান্ধার উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য ও ফকিরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রশিদুল আলম সবুজ এবং বড়খাতা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য শরিফুল ইসলাম সবুজ।
আরও পড়ুন: বিএনপির দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের সকল পদ–পদবি থেকে বহিষ্কার করা হলো।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি–সম্পাদক এই বহিষ্কারাদেশে অনুমোদন দিয়েছেন বলেও সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গত ৯ ডিসেম্বর দোয়ানী মোড়ে ব্যবসায়ীর পিকাআপ থেকে ৫৩ বস্তা সার লুট হয়, যার মধ্যে ৪৭ বস্তা ওই দুই ছাত্রদল নেতার বাড়ি ও হেফাজত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। অবশ্য পলাতক থাকায় তারা এখনও আটক বা গ্রেপ্তার হননি।
৬ দিন আগে
আবু সাঈদের অসুস্থ বাবাকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনকে অসুস্থ অবস্থায় রংপুর সিএমএইচ থেকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে রংপুর থেকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৭ ডিসেম্বর জ্বর ও পেটের ব্যাথা নিয়ে রংপুর সিএমএইচে ভর্তি হন মকবুল হোসেন। পরে ১০ ডিসেম্বর তাকে হৃদপিণ্ডের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে উন্নততর চিকিৎসার জন্য গতরাতে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রমজান আলী বলেন, ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।’
এ সময় তার বাবার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন রমজান আলী।
৬ দিন আগে
কুড়িগ্রামে ট্রাকচাপায় মা-মেয়ে নিহত
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার যাত্রী মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কের ঘুন্টিঘর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- ভূরুঙ্গামারীর বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের মাহিগঞ্জ চান্দনীয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী মোমেনা বেগম ও মেয়ে মুন্নী আক্তার।
স্থানীয়রা জানান, অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে ভুরুঙ্গামারীর দিকে যাওয়ার সময় সোনাহাট স্থলবন্দরগামী একটি ট্রাকের চাপায় দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ সময় ভেতরে থাকা যাত্রীরা আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মুন্নিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক-পিকআপ-মাইক্রোবাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩
আহতদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাদের রংপুর স্থানান্তর করা হলে সেখানে যাওয়ার পথে মোমেনা বেগমের মৃত্যু হয়।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনিরুল ইসলাম বলেন, লাশগুলোর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হলেও ট্রাকের ড্রাইভার পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৬ দিন আগে
শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ, ১২ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা
তাপমাত্রা কমায় শীতের তীব্রতা বেড়ে কাহিল হয়ে পড়েছেন কুড়িগ্রামের মানুষ। শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আকাশে ঘন মেঘ থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টা সূর্যের দেখা না মেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে কৃষি শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। তীব্র ঠান্ডায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টাও করছেন। এদিকে দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়। শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন জেলার ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের দরিদ্র মানুষজন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শীতের দাপটে জনজীবনে ভোগান্তি, শীতবস্ত্রের দাবি নিম্ন আয়ের মানুষের
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঘোড়ার গাড়ি চালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা। আজ আরও বেশি ঠান্ডা। হাত পা বরফ হয়ে যায়। কাজ করতে খুব সমস্যা হচ্ছে।’
একই ইউনিয়নের ধরলার পাড় এলাকার সাইফুল বলেন, ‘বোরো বীজতলা তৈরির কাজ করছি। পানিতে হাত দেওয়া যায় না, এতো ঠান্ডা। তার পরেও হামারগুলার কাজ ছাড়া উপায় নাই।’
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠা-নামা করছে। এ মাসের ১৫ তারিখের পর শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও আগামী ২৪ ঘণ্টা সূর্যের দেখা না মেলার সম্ভাবনাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে কুড়িগ্রামের জনপদ, তাপমাত্রা ১৫. ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
৬ দিন আগে