রংপুর
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, ধুবনি বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে লোকালয়ে
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির তীব্র স্রোতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা এলাকায় একটি বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে লালমনিরহাটের তিস্তাপাড়ের হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ‘তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ধুবনি এলাকায় একটি পুরনো বাঁধ ভেঙে গেছে, ফলে লোকালয়ে পানি ঢুকছে।’
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাত ৯টায় হাতীবান্ধায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২০ মিটার যা বিপৎসীমার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার) ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই পানি বাড়তে থাকে এবং বিকেলের দিকে স্রোতের গতি বেড়ে যায়। সন্ধ্যার পর থেকে দ্রুতগতিতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে লোকালয়ে। বর্তমানে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
নদীপাড়ের মানুষ ও পাউবো জানায়, কয়েক দিন ধরে ভারতে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় উজান থেকে আসছে পানি। ফলে তিস্তা নদীতে পানিপ্রবাহ বেড়ে গেছে। কয়েক দিন ধরে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি, তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তা অতিক্রম করে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বাড়ছে, দেখা দিতে পারে বন্যার আশঙ্কা
গাতকাল রাত ৯টার দিকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানিপ্রবাহ ক্রমেই বাড়ছে। ফলে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে তিস্তাপাড়ের হাজার হাজার পরিবার। ডুবে গেছে তিস্তা চরাঞ্চলের রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ।
১৫২ দিন আগে
রংপুরে যুবকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
রংপুরের তারাগঞ্জে বাবু মিয়া (২২) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি সয়ার ইউনিয়নের চালচারলিয়া বুড়িরহাট এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের ছেলে।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর বুড়াবাড়িরডাঙ্গা নামক স্থানে খবির মিয়ার পুকুর পাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতের পরিবার জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে বাবু মিয়া তার বাবার ভ্যানগাড়ি নিয়ে বের হন, কিন্তু গভীর রাত পর্যন্ত তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন, ঘনিরামপুর বুড়াবাড়িরডাঙ্গা এলাকার একটি পুকুরপাড়ে এক যুবকের মরদেহ পড়ে আছে। শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেকে শনাক্ত করেন।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে জঙ্গল থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
স্থানীয়দের ধারণা, দুর্বৃত্তরা ভ্যান ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য বাবুকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে গেছে। বাবুর গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
অপরাধীদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন তিনি।
১৫৩ দিন আগে
লালমনিরহাটে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে কমিটি
লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে বিডিআর গেট এলাকার কাছে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। লালমনিরহাট রেল বিভাগের ডিভিশনাল ট্রাফিক সুপারইন্টেডেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুনকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিলম্বে লালমনিরহাট স্টেশনে পৌঁছে যাত্রী নামিয়ে দেয়। এরপর সেটি ওয়ার্ক শেডের দিকে পরিষ্কারের জন্য অগ্রসর হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় বিপরীত দিক থেকে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী ৬৬ নম্বর কমিউটার ট্রেনটি স্টেশনে প্রবেশের চেষ্টা করে। একই লাইনে থাকা অবস্থায় ট্রেন দুটি মুখোমুখি চলে এলে কমিউটার ট্রেনটি লালমনি এক্সপ্রেসের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয় এবং রেললাইন আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ঘটনায় ৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর গতকাল রাত ৮টার পরে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। দুর্ঘটনায় লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের অন্তত ৮ যাত্রী আহত হন।
আহত যাত্রীদের মধ্যে আকলিমা বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘ট্রেনটি স্টেশনে ঢোকার আগ মুহূর্তে বিকট শব্দ হলো। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমি ও আমার মেয়ে সিট থেকে পড়ে যাই। মাথা ও হাতে আঘাত পেয়েছি।’
বিডিআর গেট এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী রশিদুল ইসলাম জানান, ‘প্রতিদিনের মতো এক্সপ্রেস ট্রেনটি লোকশেডে ঢোকার আগ মুহূর্তে আচমকা কমিউটার ট্রেনটি এসে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।’
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার ও নিরাপত্তা কাজে সহায়তা করেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে দুটি বগি লাইনচ্যুত
রেলওয়ের নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা আরএমবি বেনজির আহমেদ বলেন, ‘বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং উদ্ধার কাজ দ্রুত চালানো হয়েছে।’
রেলওয়ের লোকো দপ্তরের ডিএমই সাজিদ হাসান নির্ঝর বলেন, ‘ঘটনায় কারও গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবু হেনা মোস্তফা আলম বলেন, ‘চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন। দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৫৩ দিন আগে
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা কমিটির কার্যক্রম স্থগিতের একদিন পর এবার স্থগিত করা হয়েছে মহানগর কমিটির কার্যক্রম।
শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রংপুর মহানগর শাখার আহ্বায়ক কমিটির নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ায় কমিটির সব ধরনের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
একই কারণে গত ২৪ জুলাই রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
এদিকে, কমিটি গঠনের পর থেকেই জেলা ও মহানগর কমিটির কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি দখল ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠতে থাকে। এসব অভিযোগের প্রতিবাদে সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা পদত্যাগও করেন।
গত ১৮ মে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা ও মহানগর কমিটির শীর্ষ চার নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে ১৬ জন নেতা একযোগে পদত্যাগ করেন। একই দিনে সংগঠনটি থেকে আরও অর্ধশতাধিক কর্মী সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: সাত জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি স্থগিত
এর আগে, ১৫ মে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জেলা কমিটির আরও এক সদস্য পদত্যাগ করেন।
এ ছাড়াও মহানগর কমিটির মুখপাত্রের বিরুদ্ধে বালু মহালে চাঁদাবাজির চেষ্টার অভিযোগ ওঠে এবং চাঁদাবাজির ঘটনার ভিডিও এবং অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে গত ৮ মার্চ সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাকে মুখপাত্রের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে আবার সংগঠনে পুনর্বহাল করা হয়।
জেলা কমিটির আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ ও মহানগর কমিটির আহ্বায়ক আহমেদ বলেন, ‘কমিটির সময় অতিক্রান্ত হওয়ার কারণেই এই কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।’
১৫৫ দিন আগে
পুলিশের ধাওয়ায় পুকুরে ডুবে শিবিরকর্মী নিহত, ওসিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে উত্তাল গাইবান্ধা
গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় পুলিশের ধাওয়ায় পুকুরে ডুবে সিজু মিয়া নামে এক শিবিরকর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাঘাটা থানা ভবনে এই ঘটনা ঘটে। এর জেরে বিক্ষোভ, মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাওসহ একের পর এক প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ‘সিজু হত্যার’ বিচার দাবিতে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন।
আজ সকালে সাঘাটার সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে বোনারপাড়া উপজেলা চত্তর এলাকায় প্রতিবাদ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন সাঘাটা ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক এনামুল হক সরকার, যুবদল নেতা ইখতিয়ার আহম্মেদ সুজন, ছাত্রশিবির থানা সভাপতি সাজেদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন সাঘাটা থানা শাখার সেক্রেটারি সুরুজ্জান, সচেতন নাগরিক কমিটির গোলাম রাব্বি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সিজু যদি অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে থাকে, তাহলে তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেত। কিন্তু পুলিশ তা না করে উল্টো তাকে পুকুরে নামার পরও নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ–জেএসএস সংঘর্ষে চারজন নিহতের শঙ্কা
ঘটনার বিবরণে স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাঘাটা থানা চত্বরে পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ তুলে সিজু মিয়াকে ধাওয়া দেয় পুলিশ। ধাওয়া খেয়ে সিজু থানা-সংলগ্ন পুকুরে ঝাঁপ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেখানে পুলিশ ও স্থানীয় কিছু ব্যক্তি পানিতে পড়ে যাওয়া সিজুকে বেধড়ক মারধর করেন। গুরুতর আঘাতে ঘটনাস্থলেই পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়। এরপর সারা রাত তাকে পানি থেকে উদ্ধার না করে সাঘাটা থানা পুলিশ শুক্রবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহযোগিতায় পুকুর থেকে সিজুর লাশ উদ্ধার করে। সে সময়ও নিহত সিজু মিয়ার শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা সাঘাটা থানায় পৌঁছান। এরপর সাংবাদিকদের কাছে তারা পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তোলেন।
স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশ পরিকল্পিতভাবে সিজুকে হত্যা করেছে। এ ঘটনার পর ফুঁসে ওঠে জামায়াত-শিবির ও স্থানীয় জনগণ। তারা সিজু মিয়াকে হত্যার অভিযোগে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলমসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।
১৫৫ দিন আগে
রংপুরে ব্যাস্ততম সড়কে ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ
রংপুর নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে মাহীগঞ্জ সাতমাথা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে, খোয়া বের হয়েছে, স্থানে স্থানে বড় গর্ত; বৃষ্টি হলেই জমে কাদা। এই দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে আবারও প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাতমাথা রেলগেটসংলগ্ন ভাঙা সড়কের ওপর ধানের চারা রোপণ ও রংপুর সিটি করপোরেশনকে ‘লাল কার্ড’ দেখানো হয়।
স্থানীয়রা বলেন, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের সঙ্গে রংপুরের যোগাযোগের অন্যতম রুট সাতমাথা-জাহাজ কোম্পানি সড়ক। এ সড়কের ৫ কিলোমিটার দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরা। প্রতিদিনই মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা, সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন সেখানে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
চলতি বর্ষায় জলাবদ্ধতার কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়েছে। ফলে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার রোগী ও গর্ভবতী নারীদের রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে যেতে অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রংপুরে মহাসড়ক সংস্কারে অনিয়ম ধরল সেনাবাহিনী
তারা আরও বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বলা হলেও তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাই এর আগে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের গায়েবানা জানাজার নামাজ পড়া হয়েছিল। শুক্রবার সড়কে প্রতীকী ধানের চারা রোপণসহ সিটি করপোরেশনকে লালকার্ড প্রদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে এ ধরনের কর্মসূচি অব্যহত থাকবে।
১৫৬ দিন আগে
রংপুরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে মব-নাশকতার চেষ্টা ছাত্রলীগের
রংপুরে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অনুপ্রবেশ করে মব সৃষ্টি ও অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে— এমন তথ্য রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাতে। এনএসআইয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, কিছুদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রবেশ করছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে মব সৃষ্টিসহ নানা অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় রংপুরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সামনের সারিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের অংশগ্রহণ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কয়েকটি গ্রুপ রংপুরে এসে আন্দোলনের ভেতরে ঢুকে নাশকতা তৈরির চেষ্টা করছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অনুপ্রবেশকারীরা চিহ্নিত। তাদেরকে গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।
অন্যদিকে তদন্ত সংস্থাগুলো নিশ্চিত করেছে, এসব অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদে থাকা ছাত্রলীগ থেকে আসা কয়েকজন নেতা।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ট্র্যাজেডি ইস্যুতে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রংপুর মহানগরীতে আন্দোলন ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মহানগরীর কাচারি বাজারের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের ভিতরে একজন কাফনের কাপড় পড়ে দাঁড়িয়ে যান। তাতে একহাতে উঁচিয়ে লেখা ছিল লাল প্লাকার্ডে বিচার। অপর হাতে নিচু করে তাতে দাড়িপাল্লার একপাশে একটি কফিন আরেক পাশে টাকা ও পিস্তল। এনিয়ে তোলপাড় তৈরি হয় পুরো নগরীতে।
পড়ুন: নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে বিএনপি নেতাকে গাছের সঙ্গে বাঁধল গ্রামবাসী
ওই ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করে একটি পোস্ট দেন রংপুর মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি। ওই পোস্টে ইমতি লেখেন ‘একটু আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা এভাবেই দাঁড়িয়েছিল রংপুর ডিসি অফিসের সামনে, এতো নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর পরও যাদের মাঝে বিন্দু পরিমাণ অনুশোচনা বোধটুকু নেই। তারা আসছে বিচারের নামে প্রোপাগান্ডা চালাতে। ১০ মিনিট দাঁড়ায় থাকার হ্যাডাম হলো না?’
ইমতি লেখেন, ‘২৪ বিপ্লবে শহীদ হওয়া আমার ভাইবোনদের রক্তের সঙ্গে প্রতিজ্ঞা করে বলছি, রংপুরের মাটিতে এভাবে আর কখনো ফ্যাসিস্ট কোনো শক্তি দাঁড়ানোর সাহস দেখালে পুলিশ প্রশাসনকে লাগবে না, আমি লড়বো তাদের বিপক্ষে, ইনশাআল্লাহ। বিশ্বাস রাখি, রংপুরের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা পাশে থাকবে এবং তাদের সমূলে প্রতিহত করবে।’
পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘সেখানে যিনি দাঁড়িয়েছিলেন তার নাম মোহাম্মদ তানভীর হোসেন রিদম। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করছেন চলতি বছরে। তার বাসা নগরীর সেনপাড়া এলাকায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে কী পদবি—তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।’
এদিকে শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের পদত্যাগের দাবিতে গত মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নগরীর কাচারি বাজার এলাকায় শিক্ষা অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান ও বক্তব্য দেয়।
এ প্রতিবাদ কর্মসূচির সামনের সারিতে দেখা যায় পীরগাছার অন্নদাগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বিজয়কে। আন্দোলনকারীরা জানায়, ‘এ সময় আতাউর শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করতে একাধিকবার উসকানিমূলক স্লোগান দেয় এবং শিক্ষা অফিসে মব তৈরির চেষ্টা করেন। এছাড়া এ কর্মসূচিতে থাকা অনেককেই অচেনা বলে জানান আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীরা।
পড়ুন: ভারতে প্রবেশের সময় ৭ মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা আতাউর রহমান বিজয়ের ছবি এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ জুলাই যোদ্ধারা। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ছবি পোস্ট করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
এ বিষয়েও ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি। ওই পোস্টে ইমতি লেখেন, ‘আমার রংপুরের কোমলমতি ভাইবোনদের আন্দোলনের মাঝে ছাত্রলীগ ঢুকেছে, আপনারা সকলেই জানেন এই শোকাবহ সময়ে পুরো বিষয়টাকে নোংরাভাবে উপস্থাপন এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতে আন্দোলনের মাঝে ঢুকেছিল ছাত্রলীগ।’
ইমতি আরো লেখেন, ‘রংপুরেও তাদের পরিকল্পনা ছিল আন্দোলন উসকিয়ে দিয়ে শিক্ষা অফিসে ভাঙচুর করা। প্রশাসনের বিচক্ষণতায় সেদিন তা সামলানো গেছে। কোনোভাবেই আমরা চাই না আমাদের স্নেহের ভাইবোনদের কোনো বিপদের কারণ এই সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ হোক। শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক দাবিতে আমরা তাদের সঙ্গে সামনের সারিতে থাকব, ইনশাআল্লাহ। তবে এই লীগের দেখা পেলে তাদের সঙ্গে আর কোনো আপস হবে না।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে, এরই মধ্যে রংপুরে ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রংপুরে এসে অবস্থান নিয়েছে। তারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের নাশকতার করতে পারে।সূত্রগুলো জানায়, ২২ জুলাই পীরগাছার ছাত্রলীগ নেতা আতাউর রহমান বিজয় আন্দোলনে যোগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের উসকে মব তৈরির মাধ্যমে শিক্ষা অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ায় বিজয়সহ বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়।
পড়ুন: শ্যামপুরে বাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী গ্রেফতার
গোয়েন্দা সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, রংপুরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশের পেছনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মধ্যে থাকা ছাত্রলীগ থেকে আসা নেতাদের প্রশ্রয়ের প্রমাণও পেয়েছেন তারা। তাদের সকল কর্মকাণ্ড মনিটরিং করা হচ্ছে। বিশেষ করে তাদের সকল ডিজিটাল ডিভাইস ও অ্যাকাউন্টে কড়া নজরদারিও রাখছে গোয়েন্দা বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে রংপুর মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি বলেন, ‘এখন মাইলস্টোন ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে রংপুরকে অস্থিতিশীল করতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা তৎপর। তারা ছদ্মবেশে অত্যন্ত কৌশলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢুকে পড়ছে এবং মব তৈরি করে নাশকতার চেষ্টা করছে। তাদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা লক্ষ্য করছি না।’
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ রংপুর মহানগর কমিটির মুখপাত্র (গেল বছর ১৬ জুলাই রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলিবিদ্ধ আবু সাঈদকে প্রথম উদ্ধারকারী) সিয়াম আহসান আয়ান বলেন, ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ পরিকল্পিতভাবে আমাদের শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে সরকারের সংস্কার আন্দোলনকে অন্যদিকে ঘুরানোর অপচেষ্টা করছে। আমরা এজন্য সতর্ক অবস্থায় আছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলবো আপনারা তৎপরত হোন। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এই অপচেষ্টা রংপুরে জিরো টলারেন্সে আমরা প্রতিহত করব।’
রংপুর মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহির আলম নয়ন বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা রংপুরের নানা কর্মসূচিতে অনুপ্রবেশ করে মব সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এটি অশনি সংকেত। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আরও তৎপর হতে হবে। প্রতিহত করতে হবে ফ্যাসিস্টদের। আমরা বিএনপির প্রতিটি সদস্য সজাগ রয়েছি।
এ ব্যাপারে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী জানান, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ কৌশলী ঢুকে পড়াদের ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে আমরা কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি।
১৫৭ দিন আগে
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ৩
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন। তাদের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ভুন্দুর চর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন ( ৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া ( ৫৫) ও ফুলবাবু ( ৫০)।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়া পক্ষের মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। জমিটি নিয়ে একাধিক মামলাও রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে শাহাজাহান মিয়ার লোকজন ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার পক্ষের লোকজন বাধা দেন। এতে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। তারা সবাই শাহাজাহান মিয়ার অনুসারী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিবির-ছাত্রদল সংঘর্ষে আহত অন্তত ২০
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে এবং নিহত তিনজনের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান ওসি লুৎফর রহমান।
১৫৮ দিন আগে
দিনাজপুর ও নীলফামারীতে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২০
দিনাজপুর এবং সৈয়দপুরে পৃথকস্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। এতে আরও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার(২৩ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে সৈয়দপুরের ওয়াপদা মোড়ে বাস ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৯ যাত্রী আহত এবং ৪টার দিকে বিরলের মঙ্গলপুরে পিকআপ মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।
বিরল থানার উপপরিদর্শক সোহেল রানা জানান, বিকাল ৪টার দিকে বিরলের মঙ্গলপুরে পিকআপের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। নিহত মোটরসাইকেল চালক সোহেল রানা (৩৬) বিরলের কাটিগাড়ী গ্রামের বাবুলের ছেলে। এসময় পিকআপের হেলপার আহত হয়েছেন।
বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছবুর জানান, পিকআপটি জব্দ করেছেন তারা।
এর আগে দিনাজপুর রংপুর মহাসড়কের সৈয়দপুর বাইপাসে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৯ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, যাদের বেশিরভাগই বাসযাত্রী।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮
খবর পেয়ে তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ও সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করেন।
সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার হামিদুর রহমান জানান, রংপুর থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুরগামী একটি গেটলক বাস সৈয়দপুর বাইপাসের ওয়াবদা মোড় এলাকা পার হওয়ার পর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। উল্টো দিক থেকে আসা ট্রাকের এক পাশের চাকা ফেটে গেলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বিপরিতগামী বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ১৯ যাত্রী আহত হয়েছেন।
১৫৯ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে সেনা কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, যুবক আটক
ঠাকুরগাঁওয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনা কর্মকর্তা সেজে একাধিক বিয়েসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে নয়ন (৩৫) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাত ৯টার দিকে তাকে আটক করে ঠাকুরগাঁও শহরের অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যান স্থানীয়রা। পরে তাকে থানায় হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।
নয়ন সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মাস্টারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
সেনাবাহিনী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নয়ন নিজেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রতারণামূলক কাজে লিপ্ত ছিল। এ পরিচয়ে তিনি একাধিক বিয়েও করেছেন। এ ছাড়াও এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিলেন। নিজেকে এলাকায় সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ের মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেন তিনি।
মঙ্গলবার রাতে এসব কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে আটক করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যান এলাকাবাসী। পরে সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন তার অপরাধ স্বীকার করলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বিদেশ পাঠানোর নামে প্রতারণা মামলা: বিএসবি গ্লোবালের বাশার রিমান্ডে
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সরোয়ার আলম খান বলেন, নয়ন নামে এক যুবক সেনাবাহিনীর ভুয়া কর্মকর্তা পরিচয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করছিলেন বলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানা যায় তিনি সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয়ে একাধিক বিয়ে এবং মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিলেন। পরে সেনাবাহিনী তাকে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
তার বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
১৫৯ দিন আগে